মেঘ ছোঁব বলে দুই দুইবার পাহারে গেলাম। কিন্তু ছুঁয়ে এলাম রোদ। মেঘলা মেঘলা একটা দিন দেখে বেরিয়ে পরলাম পাহাড়ে। পাহাড়ের আঁকাবাঁকা পথে যেতে যেতে দূরে বেশ মেঘ দেখা যাচ্ছিলো। মনে মনে খুশিই হলাম। কিন্তু এমনি দুর্ভাগ্য, যখন পৌছালাম তখন চারিদিকে চকচক করছে রোদ্দুর। আমার আর মেঘ ছোঁয়া হলনা। একটা সময় সমুদ্রে খুব যেতে চাইতাম। আর এখন পাহাড়ে পাহাড়ে ঘুরে বেড়াই। হয়ত তখন আমি সমুদ্রের মত বিশাল ছিলাম। আর এখন পাহাড়ের মত শক্ত। ঠিক আমার জানালা বরাবর ছোট্ট একটা পাহাড়। মাঝে মাঝে সাদা সাদা মেঘ পাহাড়ের উপর দাঁড়িয়ে থাকে। বারোতলার জানালা দিয়ে হাত বাড়িয়েও সেই মেঘ ছোঁয়া যায়না। এখানে বৃষ্টি হয় প্রতিদিন। আমি বারান্দাই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখি। বারান্দা দিয়ে তাকালেই বিশাল একটা গাছ দেখা যায়। প্রচণ্ড বাতাসে আমার চুল গুলো অবাধ্য হয়ে উঠে।চারিদিকে গাছের পাতার ঝিরঝির শব্দ। দুরের টুইন টাওয়ার ঝাপসা হয়ে আসে। তারপর তুমুল বৃষ্টি। আমার ভালই লাগে। তারপরও বৃষ্টির ফোঁটাগুলোকে এখানকার মানুষ গুলোর মতই অপরিচত লাগে। শুধু মনে পড়ে আমাদের নতুন ছাদে যত্ন করে লাগানো বেলি ফুলের গাছ ,তুমুল বৃষ্টি, আমাদের হা হা হি হি হাসি , প্রবল বাতাসে বেলিফুল গুলো দুলছে। ঠিক করেছি, যেদিন আকাশ খুব মেঘলা থাকবে বা খুব বৃষ্টি হবে,সেদিন পাহাড়ে যাব। মেঘ আমি ছোঁবই।
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন