আর্জেন্টিনার দাদাগিরি আর আসল চাপ নাম্বার ওয়ানের দেশ উরুগুয়ে

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ২০/০৬/২০১৩ - ১১:৩৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


বঙ্গদেশের ইবনে বতুতা আমাদের সবার প্রিয় তারেক অনু ভাই কাজকাম ফেলে রেখে ঘুরে বেড়ায় দেশ-বিদেশ। মজার মজার আইটেম খায় আর তার বর্ণনা লিখে লাখো বাঙালির হৃদয়ে হিংসার আগুন জ্বালিয়ে দেয়। গরুর মাংস নিয়ে তো হালে শুরু করেছেন এক নতুন সিরিজ, ব্রাজিলে গিয়ে খেলেন চুরাস্কো, আর্জেন্টিনার চাপকে তো দিয়েই দিলেন নাম্বার ওয়ান সার্টিফিকেট! কথা সত্য হতেও পারে, তবে আমার কিছু ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা আছে যা বলার জন্যই এই পোষ্ট।

ব্রাজিল আর আর্জেন্টিনার মত বৃহৎ আয়তনের দুই দেশের চিপায় বিশ্ব মানচিত্রের একটু আড়ালে থাকা ছোট্ট দেশ উরুগুয়েতে গিয়েছিলাম। গর্বের সাথে এরা বলে “পৃথিবীর সবচেয়ে সেরা গোমাংসের দেশ হিসেবে উরুগুয়ে আজও প্রথম স্থানে, বিফ স্টেকের লড়াইয়ে আমাদের হারাতে পারে এমন কোনও দেশ নেই” । উরুগুয়ের মানুষ আর্জেন্টিনার দাদাগিরি খুব একটা পছন্দ করেনা। অনেকটা বাংলাদেশের একটা বিশাল জনগোষ্ঠীর ভারত বিরোধী মানসিকতার মতন। আর্জেন্টিনার জনগনের সাথে ভাষার মিল থাকা সত্ত্বেও আমি দেখেছি পর্তুগীজভাষী ব্রাজিলীয় পর্যটকদের প্রতি এরা বেশী বন্ধুভাবাপন্ন। বিশ্বফুটবলে যেমন আর্জেন্টিনা আর ব্রাজিল চরম শত্রু ঠিক তেমনি কোপা আমেরিকাতে উরুগুয়ে আর আর্জেন্টিনার শিরোপার লড়াই। গরুর মাংস নিয়েও ব্যাপারটা একই। দুই দেশই বলে আমি সেরা, একজনের আছে সারাবিশ্বে সুপরিচিতি আর অন্যজন বলে আমি ছোট দেশ হতে পারি কিন্তু আমার আছে ঐতিহ্য। উরুগুয়ের জাতীয় প্রতীক কিন্তু সেই ঐতিহ্যবাহী গরুর মাংস-শিল্পের সাক্ষ্য দেয়।

উরুগুয়েতে মানুষ আছে ৩ মিলিয়ন আর গরুর সংখ্যা ১২ মিলিয়ন। তাজ্জব ব্যাপার। দুনিয়াতে আর কোনও দেশ নেই যেখানে মাথাপিছু ৪ টি গরু আছে। ১ লক্ষ ৭৬ হাজার বর্গমাইল আয়তনের উরুগুয়ের ৬০% ভুমি সারাবছর পশুপালনের জন্য ব্যাবহৃত হয়। একজনকে জিজ্ঞেস করেছিলাম “ভাই এত খালি তৃণভূমি পড়ে আছে, ধান-গম কিছু ফলাও না কেন?” জবাব শুনে তো আমার চক্ষু চড়কগাছ “উরুগুয়েতে যে পরিমান ধান হয় তার ২০% দিয়েই দেশের চাহিদা পূরণ হয়ে যায়, এর থেকে ভালো ঘাস ফলানো আর গরু চড়ানো!” একজন তো আরও এক কাঠি সরস, নির্দ্বিধায় বলে বসল “উরুগুয়েতে প্রতিটি গরুর জন্য বরাদ্দ আছে দুইটি ফুটবল মাঠের সমপরিমান চারণভূমি”।

বেশিরভাগ গরুর ফার্ম পারিবারিক মালিকানায় চালিত। শ্রমিক সল্পতার কারণে বহুজাতিক মাংস উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলি উরুগুয়েতে আসতে চায়না। একবার গিয়েছিলাম রাজধানী মন্তেভিদেওর একটু বাইরে এক ওয়াইন প্রস্তুতকারী ফার্মে। মালিকপক্ষের সাথে আলাপ করে বুঝলাম শ্রমিকপক্ষকে বেশ তোয়াজ করে চলতে হয়, একজন রাগের মাথায় চাকরী ছেড়ে দিলে বিকল্প আরেকজন পাওয়া এত সোজা না! মাত্র ৩৩ লক্ষ মানুষ দিয়ে এরা দেশ চালায় ক্যামনে?

পশুপালনের জন্য সারাবছর জুড়েই থাকে চমৎকার আবহাওয়া। খোঁয়াড় জিনিসটা কি তা জানেনা এই দেশের গরু, খোলা আকাশের নিচে বিস্তীর্ণ চারণভূমিতে দিনরাত কাটিয়ে দেয়। প্রধান এবং একমাত্র খাদ্য সবুজ ঘাস, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ক্যাটেল ফুড চেনেনা এরা। সারাদিন হেঁটেহেঁটে ঘাস খাওয়ার কারণে মাংসে চর্বির পরিমাণও তুলনামুলকভাবে অনেক কম। খুঁটিতে বাঁধা কোনও মহেশকে দেখিনি আমি! উরুগুয়ের আইন অনুযায়ি একটি গরুকে খেতে হবে শুধুই ঘাস, দেহবৃদ্ধির জন্য দেয়া যাবেনা কোনও হরমোন। বহুজাতিক কোম্পানিগুলি বেশ নাখোশ এই নিয়মে। পাশের দেশ আর্জেন্টিনায় কিন্তু খামারগুলি এই নিয়মের বেড়াজালে বাঁধা না। তাই আর্জেন্টিনায় চুটিয়ে ব্যবসা করছে মাংস রপ্তানিকারকরা, বহুজাতিক কর্পোরেট ধান্ধায় ধীরে ধীরে জড়িয়ে পড়ছে ছোট খামারিরা।

গড়ে মাথাপিছু বছরে ৫৮ কিলো গোমাংস ভক্ষন করে এই দেশের মানুষ! তারপরও উরুগুয়ের রপ্তানি আয়ের প্রধান উৎস গরুর মাংস! এই দেশের জীবনযাত্রার সব কিছুতেই যেন জড়িয়ে আছে এদের গো-মাংস শিল্প। আমরা যেমনটা প্রতিদিন বলি আজ ভাতের সাথে কি খাবো? এরা জিজ্ঞেস করবে আজ মাংসের সাথে কি খাবো? আর মাংস বলতেও তো সেই গরু, দামেও বেশ সস্তা। প্রতিবছর যে ৩ মিলিয়নের কাছাকাছি পর্যটক আসে তারাও একবার হানা দিবেই রাজধানীর পোর্ট মার্কেটে। আসাদো অর্থাৎ আগুনে পোড়ানো গ্রিলড মাংসের সেরা সমাহার বসে সেই পোর্ট মার্কেটে। প্রতিদিন মধ্যাহ্নভোজে গমগম করে উঠে এর ভিতরের পরিবেশ। কি নেই তাতে? গরুর শরীরের চামড়া আর শিং বাদে এমন কোনও অংশ নেই যা গ্রিল হয়না। চুরাস্ক, চোরিসো সসেজ, ব্লাড সসেজ, বিফস্টেক আরও কত কি...... ফিক্সড রেট, যত খুশি তত খান! একটি স্মরণীয় দিন কাটিয়েছি মন্তেভিদেওর সেই পোর্ট মার্কেটে!

সেরা বিফস্টেক খেতে হলে কিন্তু যেতে হবে রাজধানীর বাইরে। হাইওয়ের পাশে থাকা খামারবাড়িতে মিলবে স্বাদে অতুলনীয় উরুগুয়ের সেরা মাংসের মেন্যু। এই খামারব্যবসায়ীদের মূল ক্রেতাই উরুগুয়ের বাইরে থেকে আসা পর্যটকেরা। নিজেদের মালিকানার বিস্তীর্ণ তৃণভূমিতে পালিত গরুর মাংস পরিবেশিত হয় রেড ওয়াইন সহকারে। উরুগুয়ের পূর্বপ্রান্তের কলোনিয়া দেল সান্ত থেকে পশ্চিম প্রান্তের পুন্তা দেল এস্ত পর্যন্ত ঘুরে বেরিয়েছি আমি। হাইওয়ের পাশের দৃশ্য বড়ই মনোরম, মাইলের পর মাইল তৃণভূমি আর অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে গরুর পাল।

রাস্তার পাশের বিলবোর্ডে ঝলসানো আগুনে পোড়ানো চাপের ছবি দিয়ে ক্রেতার দৃষ্টি আকর্ষণ করছে খামার মালিকেরা। সারাদিন পরিবার নিয়ে কাটানোর আর সাথে ভূরিভোজনের উৎকৃষ্ট স্থান হল এই খামারবাড়ি। আমি গিয়েছিলাম লা পাতাইয়্যা নামের এক খামারবাড়িতে, সেতো মন্তেভিদেও থেকে অনেক দূর। বিফস্টেক এই জীবনে আর না খেলেও চলবে, জিভের জল এখনও শুখায়নি!

আমার যেটা মনে হয় গো-মাংসের কথা বাদ দিলেও শুধুমাত্র উরুগুয়ে নামে যে একটি দেশ আছে বা থাকলেও সেটি কোথায় তা বিশ্বের অনেকে জানেনা। আমাদের বাংলাদেশটা যেমন বিশাল দেশ ভারতের ছায়ায় লুকিয়ে থাকে বিশ্বমানচিত্রে ঠিক তেমনি উরুগুয়ে হারিয়ে যায় বৃহৎ আয়তনের দুই প্রতিবেশী ব্রাজিল আর আর্জেন্টিনার চিপায়। বাঙালিকে যেমন রেস্টুরেন্ট খুলে শুধুমাত্র ব্যবসার খাতিরে নাম দিতে হয় ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্ট তেমনি উরুগুয়ের গরুর মাংসের সুনাম সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পরতে পারেনা বহুজাতিক মাংস ব্যবসায়ীদের অসহযোগিতায়।

......জিপসি


মন্তব্য

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

চলুক

[এক অণু'দারে লয়াই পারিনা... আসছে আরেকজন ওঁয়া ওঁয়া ]

অতিথি লেখক এর ছবি

আরে আমিও আছি উরুগুয়ের মত মাইনকা চিপায়। তারেক অনুর পোষ্ট পড়ার পর থেকেই বউ গুতাইতাছে, প্রতিবাদ করন লাগব! শয়তানী হাসি

বুঝতেই পারতাছেন শ্বশুরবাড়ির ইজ্জত নিয়া টান দিছে আমাগো অনু। ওঁয়া ওঁয়া

......জিপসি

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

আমাগো শ্বশুরবাড়ি নাই... ইজ্জত নাই... উরুগুয়েও নাই... ওঁয়া ওঁয়া

সত্যপীর এর ছবি

বিফ ইস্টেক খাইতে খাইতে পড়লাম। চমেতকার হইছে। খানাখাদ্য নিয়া এরম ফাটানো পোস্ট আরো দেন্দিকি। উরুগুয়ে নিয়েও লেখেন, আর্জেন্টিনার লগে কাইজা আর ব্রাজিলের প্রতি ভালুবাসা আমারো চাল্লু

..................................................................
#Banshibir.

অতিথি লেখক এর ছবি

যেই দেশের খাওন মজা আমি হেই দেশের গীবত গাই। পরথমে পেটপুজা, বাকি সব পরে! চোখ টিপি

......জিপসি

অতিথি লেখক এর ছবি

পোস্টে ছবি দুবার করে এসেছে কেন বুঝতে পারছিনা...আপলোড করার পর তো তালিকা থেকে টিক চিহ্ন তুলে দিয়েছিলাম।

......জিপসি

আলতাইর এর ছবি

এহে......এই রাইতের বেলা এইডা কি করলেন?? এখন কই যাই। তবে যাই হউক...এই দ্যাশে আমি যামুই...এইটাই আমার সেকেন্ড হোম বানামু। এত্ত এত্ত গরুর গোস্ত...ইহহিরে

অতিথি লেখক এর ছবি

খাইতে পারবেন ৫৮ কিলো গরুর মাংস এক বছরে? বুইঝা শুইনা যাইয়েন। চিন্তিত

......জিপসি

আলতাইর এর ছবি

এরিও কি কন?? বুফে, ফাস্ট ফুড থিকা শুরু কইরা KFC(কাদের ফুড সেন্টার) সব জাগায় তো গরু দিয়াই খায়া আইলতাছি...নিজেও খামু, গুষ্টিশুদ্ধা খাওয়ামু! বাকীটা ১০০% হালাল কইয়া শুক্কুরবার-শনিবার উত্তরার মোড়ে মোড়ে বেইচা দিমু। ওইটেকা দিয়া দুইডা নুবেল কিন্না ফালামু!!! দেঁতো হাসি দেঁতো হাসি

বলেন মারহাবা

তারেক অণু এর ছবি

ঐ মিয়া কইছিই তো যে উরুগুয়ে আসল এক নাম্বার ,আর আর্জেন্টিনা চামে ২ নম্বরি করে এক হয়ে গেছে ! সেবার বইটাতে বেশ বিতং করে সেই ঘটনা বলা ছিল।

আমার নাম ভুল ক্যান রেগে টং

অতিথি লেখক এর ছবি

মাইনকা চিপার মধ্যে থাইকা পোষ্ট লিখছি...... আপনার নাম ভুল লেইখা থাকলে মাফ কইরা দিয়েন। আপনারে ভালা পাই অণু ভাই!

......জিপসি

মেঘলা মানুষ এর ছবি

কি বিপদ! দুই চাপের চাপাচাপিতে তো আমার মত সাধারণ ভোজনরসিকদের অবস্থা সঙ্গীন।

অতিথি লেখক এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি
......জিপসি

মেঘলা মানুষ এর ছবি

আরেকটা জিনিস, যেই দেশের মানুষ এত পরিমাণ গরু খায়, ‌সেইদেশের হার্টের ডাক্তারদের তো পোয়াবারো হবার কথা।
৫০ পার হওয়া সবারই বাইপাস, রিং স্টেন্ট কম্প্লিট নাকি?

অতিথি লেখক এর ছবি

হার্টের ডাক্তাররাও ৫৮ কিলো গরুর মাংস খায় এক বছরে। হো হো হো
কিউবার সাথে চুক্তি করছে, উরুগুয়ে পাঠাইব গরুর গোশত, বিনিময়ে ফিদেল কাস্ত্রো পাঠাইব রোগাপটকা ডাক্তার।

......জিপসি

ফাহিম হাসান এর ছবি

অ্যালবার্টার বিফও বেশ বিখ্যাত। এখানের মানুষও স্টেক বলতে পাগল। শুধু গরু মাংসের লোভেই উরুগুয়ে যেতে হবে দেখছি!

উরুগুয়ের মানুষ আর্জেন্টিনার দাদাগিরি খুব একটা পছন্দ করেনা। অনেকটা বাংলাদেশের একটা বিশাল জনগোষ্ঠীর ভারত বিরোধী মানসিকতার মতন।

- এই অংশটুকুর দরকার ছিল না।

অতিথি লেখক এর ছবি

বাংলাদেশে এখনও কি আমরা কথায় কথায় বলিনা যে আমাদের দেশী গরুর গোশত ইন্ডিয়ান গরুর থেকে সুস্বাদু? পেঁয়াজের ক্ষেত্রেও তো একই কথা বলি।

ব্যাপারটা আমি ঐ দৃষ্টিকোণ থেকে বলেছি।

......জিপসি

চরম উদাস এর ছবি

আপনাদের কি লজ্জা শরম নেই? পাবলিক প্লেসে "চাপ খাইছি" "চাপ খাইছি" বলে হৈ হৈ শুরু করলেন। চাপ খেয়েছেন চেপে যান। আর্জেন্টিনার চাপই বলেন, উরুগুয়ের চাপই বলেন আর ঢাকার ভিড় বাসের চাপই বলেন , চাপ তো চাপই।

অতিথি লেখক এর ছবি

অণু ভাই কি বলেন? চাইপা যামু?
......জিপসি

স্যাম এর ছবি

হাহহাহহাহ - এই লোকটা আসলেই রসগোল্লা দেঁতো হাসি

মসীলক্ষণ পণ্ডিত এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি 'টিপ' নামের এক বিস্কুট আছে । ভাগ্যিস তারেক অণু কিংবা জিপসি বিস্কুটটা খেয়ে কোন পোস্ট এখনো দেয় নাই !

অতিথি লেখক এর ছবি

কস্কি মমিন!

......জিপসি

চরম উদাস এর ছবি

হ, পরে দুজনে মিলে শুরু করবে আবার। একজন বলবে আর্জেন্টিনার টিপ খাইতে মজা। আরেকজন বলবে রাখেন আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ের টিপ খাইছেন জীবনে?

সচলায়তনে আমরা সভ্য, সুশীল, নিরপেক্ষ, আন্তর্জাতিক, সপরিবারে পড়ার মত লেখা চাই। চাপ, টিপ এইগুলা হইলো কিছু ???

সত্যপীর এর ছবি

হ। আবার কুন দোকানে নাকি এক দামে যত খুশি চাপ খাওয়া যায়। কিসব কথাবাতরা।

..................................................................
#Banshibir.

অতিথি লেখক এর ছবি

আপ্নেরা মিয়া পারেনও গড়াগড়ি দিয়া হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

উরুগুয়ে আর আর্জেন্টিনার চাপ এক আর দুই নম্বর হতে পারে কিন্তু আমাদের অস্ট্রেলিয়ান বিফ স্টেক হইল নাম্বার ওয়ান ছাকিপ খান (চাপ-ই তো বলছেন - স্টেক তো আর বলেন নাই ম্যাঁও )

তবে আপনার পোস্ট পড়ে মনে একটা শখ জেগেছে। কোন ভাবে এই উরুগুয়ের গরুর মাংস বাংলাদেশে আনানোর ব্যাবস্থা করতে পারলে আমার পরিচিত এক বাবুর্চিকে দিয়ে চিটাই্যংগ্যা মেজবানী মাংস রান্না করাবো - শখের গ্রাম মিলিয়ন ডলার বলে কথা লইজ্জা লাগে

উরুগুয়ের আইন অনুযায়ি একটি গরুকে খেতে হবে শুধুই ঘাস, দেহবৃদ্ধির জন্য দেয়া যাবেনা কোনও হরমোন।

চলুক এটার দরকারি এবং প্রশংসার যোগ্য, অস্ট্রেলিয়াতে হরদম গরুর উপর হরোমন ব্যবহার করা হয়। অবশ্য গতবছর একটা বড় সুপারমার্কেট (কোলস) ঘোষনা করেছে তারা আর হরোমন যুক্ত বীফ বিক্রি করবেনা।

পরিশেষে বলি আপনিও তারেক অণুর মতন একটা অভিশাপ (অফিস ডেস্কে বসে আপেল খেতে খেতে লিখাটা পড়লাম, বুঝেন আমার অবস্থা... ), লিখা লিখিতে নিয়মিত হোন এই আশা করি।

-------------
বাপ্পীহায়াত

অতিথি লেখক এর ছবি

উরুগুয়ে ভেনেজুয়েলাতে গরুর চাপ রপ্তানি করে বিনিময়ে জ্বালানি তেল আমদানি করে। কিউবা থেকে আনে চিকিৎসক। বাংলাদেশ গোশতের বিনিময়ে কি সাপ্লাই দিতে পারবে? ক্যাশ টেকা তো আমাগো নাই!

......জিপসি

নির্বাসিত পথিক এর ছবি

আমরা ভাই, ওদের আমাদের সবচেয়ে মুল্যবান রিসোর্স দিবো!
জনশক্তি। দেঁতো হাসি ওদের তো ঐটাই সবচেয়ে বেশি অভাব!!

অতিথি লেখক এর ছবি

বাংলাদেশী এক আদম থাকে ঐ দেশে, উনি বঙ্গদেশ থেকে মানবসম্পদ(!) রপ্তানি(পাচার) করতে গিয়ে হাজত ঘুরে এসেছেন! অ্যাঁ
উরুগুয়ের মানুষ শান্তিপ্রিয়, তাগো শান্তিতে থাকতে দেন!

.....জিপসি

অতিথি লেখক এর ছবি

আমার এই কমেন্টটা লাফ দিয়ে উদাস'দার কমেন্টের জবাবে আসলো কেমনে?!
-------------
বাপ্পীহায়াত

অতিথি লেখক এর ছবি

উদাস’দার কথা আর বইলেন না, পরে বলব এইডা হইল ‘চাপের বিনিময়ে তেল কর্মসূচী’!

......জিপসি

তারেক অণু এর ছবি

ধড় নিয়ে লিখি? বা বিচি?

অতিথি লেখক এর ছবি

একবার চাপ খেয়েই তো এখন বড্ড চাপের মধ্যে আছি আপনাদের জ্বালায়। টিপ খেলে তো সমাজচ্যুত হতে হবে!

......জিপসি

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

মসীলক্ষণ পণ্ডিত এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

মসীলক্ষণ পণ্ডিত এর ছবি

হ, উনাদের সেই টিপ খাওয়া পোস্ট পড়ে আমরা আবার হাপিত্যেশ করব 'সকাল সকাল উঠেই টিপ খাওয়ার এতো সুন্দর লেখা আর ছবি দিলেন ! খুব টিপ খেতে ইচ্ছা করতেছে মন খারাপ ' ... কিংবা 'কেম্নে পারেন এতো টিপ খেতে ? আপনে অদ্ভুদ !'
চাল্লু

অতিথি লেখক এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

আলতাইর এর ছবি

দুইজনেরে একলগে বাইন্দা ৫ কুড়ি চাপা কলা গিলায়া দিতে মন চাইতাছে রেগে টং

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

গেঁয়ো ভূত এর ছবি

চাপে পইড়া চাপ খেয়ে একবার সেরাম অবস্থা হইসিলো, সাধু সাবধান, সব চাপ ভালা না !

-গেঁয়ো ভূত

সাইদ এর ছবি

বাংলাদেশের পাসপোর্টধারিরা উরুগুয়ের ভিসা কিভাবে আবেদন করতে পারে???

অতিথি লেখক এর ছবি

উরুগুয়েতে স্থায়ী দূতাবাস নেই আমাদের। নেট খুঁজে উরুগুয়ের নাগরিক একজনকে পেয়েছিলাম যিনি বাংলাদেশের অনাররি কনসাল জেনারেল হিসেবে কাজ করেন। মজার লোক, প্রথম ইমেইল করার ২০ মিনিট পরেই উত্তর পেয়ে যাই। ওখানে যেয়েও যোগাযোগ হয়েছিল, গল্প করতে জানে লোকটা। সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে পরে হয়ত আবার একটি পোষ্ট লিখব।

......জিপসি

সত্যপীর এর ছবি

অবশ্যই লিখবেন।

..................................................................
#Banshibir.

মসীলক্ষণ পণ্ডিত এর ছবি

পাবনা গিয়েছিলাম বেড়াতে । জানেন তো ওখানে দেশের সবচেয়ে বেশী গরু চড়ে বেড়ায় । দেখলাম, এখনো কিছু কিছু দিগন্তবিস্তৃত মাঠ পড়ে আছে । জিজ্ঞেস করে জানলাম ওগুলো 'বাথান' ।
সকলেই কিছু কিছু জায়গা ছেড়ে দিয়ে গরু-ছাগল চড়ে বেড়ানোর সুন্দর একটা তৃণভূমি করে দিয়েছে । কী সুন্দর আইডিয়া ! অবশ্য দিনকে দিন বাথানের সংখ্যা কমে যাচ্ছে ক্রমাগত বেড়ে চলা জনসংখ্যার চাপে ।

অতিথি লেখক এর ছবি

'বাথান' তো দেখি তাহলে বাংলা শব্দ! সেবা ওয়েস্টার্ন পড়ে মনে হয়েছিলো এটা ইংরেজি/টেক্সান শব্দ।

মসীলক্ষণ পণ্ডিত এর ছবি

'বাথান' শব্দের উৎপত্তি কোথায় তা বলতে পারছি না, তবে গ্রামের লোকজন তো বলে অহরহ ! আমার একেবারে পড়ালেখা না জানা দাদীর মুখে 'রায়ট' শব্দটা শুনে আমি ভাবতাম ওটা গেঁয়ো বাঙলা শব্দ । অনেক পরে দেখলাম ওটা ইংরেজি শব্দ । এখন বাঙলা থেকেই ওটা ইংরেজিতে গেছে, নাকি ইংরেজি থেকে বাংলাতে এসেছে আমি ঠিক নিশ্চিত নই ।

ফরহাদ হোসেন মাসুম এর ছবি

উরুগুয়ে, চমৎকার একটা নাম !! ছোটবেলায় এসব নাম নিয়ে মজা করতাম। উরু কোথায়? গুয়ে। Therefore, উরুগুয়ে। গড়াগড়ি দিয়া হাসি

খামারের গরুর মাংসের চেয়ে উন্মুক্ত বিচরণ করে বেড়ানো গরুর মাংস অপেক্ষাকৃত ভালো লাগারই কথা। আমি এখনো কোনটাই ট্রাই করতে পারলাম না, আফসোস...... নর্থ আমেরিকান চিজবার্গার আর বিফ স্টেক খেয়ে আর আপনাদের পোস্ট দেখে লোল ফালায়ে আপাতত সময় কাটাই। তবে টার্গেট রইলো ল্যাটিন আমেরিকা চষে খাওয়ার। জীবনে কত কিছু করা বাকি !!

অতিথি লেখক এর ছবি

ল্যাটিন আমেরিকার মানুষের আতিথেয়তা আপনার অবশ্যই ভালো লাগবে। চে গাভেরা আর তাঁর বন্ধু আলবেরতো তো পুরো মহাদেশটাই মোটরসাইকেলে চেপে চষে বেরিয়েছিল এক্কেবারে বিনে পয়সায়!

......জিপসি

অতিথি লেখক এর ছবি

The Motorcycle Diaries মুভিটার কথা বলছিলাম। ল্যাটিন আমেরিকা যাবার আগে একবার দেখে নিতে পারেন ফিল্মটা। ক্লাসিক এক জিনিস!

......জিপসি

ফরহাদ হোসেন মাসুম এর ছবি

দেখেছি মুভিটা। বাম রাজনীতি ক্রয়ার সুবাদে চে এর ভক্ত তো আগে থেকেই... আর ল্যাটিন আমেরিকাও অনেকখানি দেখা হয়ে গিয়েছিলো এই সুবাদে। ভেনেজুয়েলার লঙ্গেস্ট ওয়াটারফল, উরুগুয়ের চাপ, ব্রাজিলের সাম্বা, আকর্ষণের কোন অভাব নাই দক্ষিণ আমেরিকাতে... আসবো একদিন !!

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক আপনি কি ইগুয়াসু জলপ্রপাতের কথা বলছেন? আর্জেন্টিনা আর ব্রাজিলের সীমান্তবর্তী এই জলপ্রপাত দক্ষিন আমেরিকার সবচেয়ে বড়। [img]http://bn.wikipedia.org/wiki/চিত্র:Iguacu-004.jpg[/img]

......জিপসি

ফরহাদ হোসেন মাসুম এর ছবি

না, আমি এঞ্জেল ফলস এর কথা বলছি। এটা পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু জলপ্রপাত

নিভৃত_সহচর এর ছবি

তাইলে গুয়াতেমালা শোনার পর কী করসিলেন?

চরম উদাস এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

হ, আর ভারতে তো আস্ত একটা বন্দর আছে গোলামাজমের নামে...
ঐটা শুনেই বা কি করছিলেন??? চিন্তিত

মসীলক্ষণ পণ্ডিত এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

ফরহাদ হোসেন মাসুম এর ছবি

তালি বাজাইসিলাম গড়াগড়ি দিয়া হাসি

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

একদম ঠিকাছে। এইভাবে দেশে দেশে লোক পাঠিয়ে আমরা তারেকাণুর ভ্রমণসন্ত্রাসের উচিত জবাব দেবো! শয়তানী হাসি

চাপ খাওয়া চালায় যান। রিভিউ লিখতে ভুইলেন্না চোখ টিপি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

তারেক অণু এর ছবি

আইতাছি মমিন, কত আর দিবা!

নজমুল আলবাব এর ছবি

কাউন্টার দিতে হোক আর যাই হোক, খানাদানা বিশেষ করে হাম্বার চাপের এমন পৈশাচিক বর্ণনা বার বার সচলে আসতে থাকলে এর বিপক্ষে গণ আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

শাফায়েত এর ছবি

ধুরো যেইসব লোকজন নিজদেশের চাপ ছেড়ে ভীনদেশের চাপ খায় তারাই প্রকৃত বোকা। চাংখারপুল চলে আসুন, সোহাগ হোটেলে গিয়ে চাপের অর্ডার দেন, বা মোস্তাকিমের দোকানে চলে যান, উরুগুয়ের বেইল নাই!!!

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনি অর্ডার দেন, আমি তারেক অণুরে সাথে নিয়া আসতাছি ...... যে ব্যাটা কম খাইব বিল সে পেমেন্ট করব...ঠিক আছে?

......জিপসি

অতিথি লেখক এর ছবি

কি মামু, আপনি কোথায়? আমি আর অণু চাঙ্খারপুলে প্যাডেল মাইরা চইলা আইছি মোস্তাকিমের দোকানে! তাড়াতাড়ি আসেন...খিদা পাইছে...

......জিপসি

তারেক অণু এর ছবি

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

চলুক

বিসমিল্লা'য় যান নাই?? ওইটাও কম কিসে??

মসীলক্ষণ পণ্ডিত এর ছবি

চলুক

দিগন্ত এর ছবি

লাতিন আমেরিকা নিয়ে দু-দুটো লেখা প্রথম পাতায় সচলে! আপাতত কোলেস্টেরলের কারণে রেড মিট থেকে আমি দূরে আছি কিন্তু সামনে আশা রাখি যাওয়া হবে উরুগুয়েতে।
আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল উভয়েই কিছু সময়ের জন্য উরুগুয়ে দখল করে রেখেছিল, তাই তাদের ওই দুই দেশের প্রতি একটু বিতৃষ্ণা থাকতেই পারে। তবে দেশ ছোট হলেও উরুগুয়ে লাতিন আমেরিকার প্রথম দেশ যারা দাস-প্রথা উচ্ছেদ করেছিল। কৃষি-ভিত্তিক দেশের পক্ষে ১৮১৪ সালে পরাধীন দেশের পক্ষে এটা একটা বড়সড় পদক্ষেপ ছিল। সেই তুলনায় আর্জেন্টিনা (১৮৫৩) বা ব্রাজিল (১৮৭৫) অনেক বেশী সময় লাগিয়ে দিয়েছে এই সহজ কাজটা করে দেখাতে।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

অতিথি লেখক এর ছবি

উরুগুয়ের বর্তমান রাষ্ট্রপতি হোসে মুখিকা কিছুদিন আগে বিশ্ব সংবাদমাধ্যমে আলোচিত হয়েছিলেন তাঁর সততা আর অতি সাধারণ জীবনযাত্রার উদাহারন দিয়ে।

......জিপসি

ছাইপাঁশ  এর ছবি

চাপ নিয়ে চুদুর বুদুর চইলত না, চইলত না। গুল্লি

অতিথি লেখক এর ছবি


আপ্নে তাড়াতাড়ি ছুরি আর কাঁটা-চামচ নিয়ে আসুন। চুদুরবুদুর করনের টাইম নাই...

......জিপসি

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

অনেক কিছুই জানা হলো। গুগল মেরে দেখলাম হালাল দোকানও আছে। ভালই।

অতিথি লেখক এর ছবি

হালাল দোকানটি কাল বন্ধ হয়ে গেলেও উরুগুয়ে ঘুরতে যাবেন বলে আশা রাখি! ভ্রমন মানেই শুধূ খানা-পিনা না!

......জিপসি

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

তা-তো অবশ্যই। ঘোরার সুযোগ পেলে তো অবশ্যই যাবো। পোস্টটা খানাপিনা বিষয়ক বলেই একটু ঢুঁ মেরে দেখলাম আরকি।

কৌস্তুভ এর ছবি

আমি এবারে নিশ্চিত, মডুরা শুধুই নাকে শিয়ালকাঁটার তেল দিয়ে ঘুমোয়। নাহলে এমন জনচিত্তশান্তিবিঘ্নিতকারী পোস্ট বেমালুম ছাড়ে কী করে!

অতিথি লেখক এর ছবি

শিয়ালকাঁটার তেল কোথায় পাওয়া যাবে জানাবেন কি দাদা? পরেরবার উরুগুয়ে যাবার সময় নিয়ে যাবো এক শিশি, পেট ভরে চাপ খেয়ে নাকে তেল মেখে ঘুমাব!

......জিপসি

অতিথি লেখক এর ছবি

কি শুরু করছেন আপ্নারা? মানুষের মনে কষ্ট দেন কেন?

অতিথি লেখক এর ছবি

ভরপেট বিরিয়ানি খেয়ে তারপর সচলায়তনে আসবেন, লেখা পড়ে মনে কষ্ট পাবেন না! চোখ টিপি

......জিপসি

মৃষৎ এর ছবি

এত অত্যাচার কর্লে ক্যাম্নে কী? দেঁতো হাসি

এই মানবজীবনে একবার উরুগুয়ে যাওয়া চাইই চাই! মন খারাপ

অতিথি লেখক এর ছবি

পস্তাইবেন না…… দেশী ভাইয়ের গ্যারান্টি! চলুক

......জিপসি

সৈয়দ আখতারুজ্জামান এর ছবি

ওঁয়া ওঁয়া

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার আবার কি হলো? বাংলাদেশের পাসপোর্টে তো লেখা নাই যে উরুগুয়ে যেতে পারবেন না।

......জিপসি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।