দীপ চলে গেছে দীপ নেভার আগেই...।।

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ০২/০৭/২০১৩ - ৬:৫৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

২০১০ সাল। ’০৯ ব্যাচের ক্লাস শুরুর এক কি দুই সপ্তাহ আগের কথা। বিকালে জনাকয়েক বন্ধু ক্যাম্পাসের হাফওয়ালে বসে আড্ডা দিচ্ছিলাম। হটাৎ দেখি একটা কালো, রোগাপটকা, লম্বাচুলো ছেলে মাজা থেকে প্যান্ট খসে পড়ে পড়ে অবস্থায় ড্যাংড্যাং করে হেঁটে যাচ্ছে। তখন ছিল র‍্যাগের মৌসুম। বন্ধুদের কেউ একজন চিনত যে ও নতুন ব্যাচের। আর যায় কই, প্রথমে ক্যাম্পাসে এবং পরে হলে এনে ডাইনিংয়ের আগে পর্যন্ত টানা ৩-৪ ঘণ্টা র‍্যাগ দেয়া হল ওকে। দীপের সাথে সেই প্রথম পরিচয়।

তারপর ক্লাস শুরু হল। প্রথম সপ্তাহ গেল। ওর সাথে আবার দেখা হল বাসচাপায় সম্রাটের মৃত্যু পরবর্তী আন্দোলনে। সেই আন্দোলনে ক্যাম্পাসে মাত্র এক সপ্তাহ কাটানো নবীন ব্যাচের ছাত্রছাত্রীদের সাথে নিয়ে ’০৮ ব্যাচই ছিল সক্রিয় ভূমিকায়। তার আগে ভাংচুরের শুরুটা হয়েছিল ’০৬ ব্যাচের ব্যাডবয় ইমেজের এক বড়ভাইয়ের হাত দিয়ে। ক্ষোভের সেই তাৎক্ষণিক বারুদে-পাটকেলে বেশ কিছু বাস ভেঙ্গে আর ঘাতক উইনারটিকে জ্বালিয়ে দিয়ে আমরা জড়ো হয়েছিলাম বুয়েটের শহীদ মিনারে। উইনার বাসের মালিকের রাজনৈতিক যোগাযোগের কারণেই হয়ত তখন বেশ কিছু রাজনৈতিক বড়ভাই এসেছিলেন আমাদের ক্ষোভের আগুনে পানি ঢালতে। কিন্তু সেইসময় ’০৮ এর আমরা অনেকে রাজনীতিতে সক্রিয় থাকা সত্ত্বেও সম্রাট হত্যার বিচার আদায়ে আরো বড় ও লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচির কথাই ভাবছিলাম। যতদূর মনে পড়ে, বন্ধু মুবিনুল হক রাফি এক বড় ভাইকে মুখের উপর বলে দিয়েছিল, “ভাই, আপনার উপর চাপ থাকলে ঘরে চলে যান। আমরা রাজনীতি ছেড়ে দিয়ে হলেও এই আন্দোলন করব।” রাতে ছাত্রলীগের মিটিং ডাকা হল আহসানউল্লা হলের ক্যান্টিনে। আন্দোলন থেকে সরে যাবার চাপ আসতে পারে আশংকায় আমরা ’০৯ কেও নিয়ে গিয়েছিলাম সেই মিটিংয়ে। সেইসময় আমাদের পাশাপাশি ’০৯ ব্যাচের পক্ষ থেকে কিছু কথা বলতে সামনে এগিয়ে গিয়েছিল একটি মাত্র ছেলে, সে আরিফ রায়হান দীপ। কথা বলতে বলতে ছেলেটির চোখ থেকে পানি ঝরছিল। হয়ত সেই থেকেই রাজনৈতিক বড়ভাইদের চোখে পড়ে যায় সে।

রাজনৈতিক বড়ভাইয়েরা চেয়েছিলেন আমরা পলাশী মোড় ছেড়ে দেই এবং বিকেল ২টা থেকে প্রতিকী অবস্থান কর্মসূচী পালন করি। কিন্তু আমরা লাগাতার আন্দোলনের সিদ্ধান্তে অনড় ছিলাম। পরদিন শুক্রবার সকাল থেকে পলাশী মোড় অবরোধ করে দাবিসম্বলিত স্ট্রীট পেইন্টিং, পোস্টারিংয়ের কাজ চালাতে থাকি আমরা। বিকাল ২টায় অবস্থান কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়। পরদিন কালোব্যাজ ধারণ ও দুপুর ১২টায় মানববন্ধনের ঘোষণা দেয় প্রশাসন। কিন্তু গভীর রাতে আবার বেশ কয়েকজনের ডাক পড়ে; প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের বাইরে কিছু ঘটলে তার দায় আমাদের উপর বর্তাবে বলে জানানো হয়। সেইসাথে একাডেমিকসহ বিভিন্ন প্রকার শাস্তির চোখরাঙ্গানি তো ছিলই।

কিন্তু তা সত্ত্বেও পরদিন সকাল থেকে ক্লাসে ক্লাসে গিয়ে ক্লাস বয়কটের অনুরোধ জানাই আমরা। বিনিময়ে অনেকক্ষেত্রেই হতাশ হতে হয়, নিজের সহপাঠীদের কাছ থেকেই বিরূপ মন্তব্য শুনতে হয়। আন্দোলনের সমাপ্তিও ঘটে সেদিনই।

যাই হোক, ফিরে আসি দীপের ইস্যুতে। সেই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক বড়ভাইদের চোখে পড়ে দীপ, ধীরে ধীরে সক্রিয় হয় রাজনীতিতে। কিন্তু ছেলেটা বড্ডো হতভাগা। রাজনীতির চেয়ে অপরাজনীতিতেই বেশি জড়িয়ে পড়ে ও। নিজের উদ্ধত, বেপরোয়াভাবের কারণে একটা খারাপ ছেলে হিসাবেই চিহ্নিত হয় সবার কাছে। ঈশানভাইয়ের ঘটনাতে জড়িত না থেকেও মার খায়; অপরাধী হিসেবে ওর ছবি সাঁটা হয় বুয়েটের দেয়ালে দেয়ালে। যদিও পরবর্তীতে ঈশান ভাইয়ের সাক্ষ্য থেকেই ও নির্দোষ প্রমাণিত হয়।

৫ ফেব্রুয়ারী বিকাল ৩টায় শাহবাগ যাওয়ার সময় বুয়েটের জনাবিশেক ছেলেকে পাশে পেয়েছিলাম আমি, যাদের বেশিরভাগই ছাত্রলীগার। কিন্তু ছাত্রলীগের শতোর্ধ পোস্টধারী নেতাকর্মীদের মধ্যে এই কয়েকজন মানুষ আমার কাছে সেদিন থেকে আলাদা। আমি মনে করি, অন্তত এই ছাত্রলীগাররা জানে দলের চেয়ে দেশ বড়। তাই হয়তো, তখনো পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশনা না পাওয়া সত্ত্বেও ওরা শাহবাগ গিয়েছিল আন্দোলন করতে। এক্ষেত্রে ছাত্রলীগের আহবায়কের ভূমিকাও ছিল প্রশংসনীয়। কারণ যেখানে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ যোগ দিতে এসেছিল সন্ধ্যের দিকে, সেখানে এই আগাম সিদ্ধান্ত শেষ করে দিতে পারত তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারকে। বিকেল ৩টায় প্রখর রোদে শুন্য শাহবাগে জাদুঘরের সামনে আমরা পোস্টার লিখতে বসেছিলাম। দীপ তার পোস্টারে লিখেছিল, “এই পথে আজ জীবন দেব, রক্তের বদলে ফাঁসি নেব।” দীপ তার জীবন দিয়ে গেছে আন্দোলনের পথে, সংগ্রামের পথে; জানি না আমাদের আর কত দূর পথ পাড়ি দিতে হবে দীপের জীবনদানকে সার্থক করতে...।।

৫ এবং ৬ ফেব্রুয়ারীর প্রতিটি মশাল মিছিলে ছিল দীপ ও তার সঙ্গীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ। এরপর ওরা নিজ ক্যাম্পাসকে শিবিরমুক্তকরণের কাজে ফিরে আসে। আন্দোলন চলাকালীন সময়েই বুয়েট থেকে শিবিরের একাধিক নেতাকর্মী গ্রেফতার হয়। আমরা যখন শাহবাগে আন্দোলন করছি, তখন ওরা কাজ করে যাচ্ছে নিজের ঘর থেকে, পর্দার অন্তরালে থেকে। ৬ এপ্রিলও সেভাবেই শহীদ স্মৃতি হলের ইমাম কর্তৃক হেফাজতের সমাবেশে খিচুড়ি পাঠানোর খবর পেয়ে প্রতিবাদ করে দীপ। ছাত্রছাত্রীদের দাবির মুখে সেই ইমামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয় বুয়েট প্রশাসন। কিন্তু এরপর হতভাগ্য দীপকে হতে হয় জামাত-শিবির চক্রের পুরনো খেলার শিকার। ব্লগার রাজিবের মতোই দীপকেও অনলাইনে ধর্মবিদ্বেষী হিসেবে প্রচার করতে থাকে এই চক্র। বলা হয়, দীপ নাকি ইমামের গায়ে হাত তুলেছে। দীপের বেপরোয়া ইমেজও সহায়ক হয় সেই অপপ্রচারে। অথচ প্রত্যক্ষদর্শীমাত্র জানে, এ খবর সম্পূর্ণই মিথ্যা। ৯ এপ্রিল সকালে নজরুল ইসলাম হলে নিজকক্ষে অবস্থানরত দীপের উপর আক্রমণ চালাতে আসে হেফাজতকর্মী মেজবাহ(বুয়েট’০৭)। প্রথম দফায় ব্যর্থ হলেও পরবর্তীতে চাপাতির আঘাতে দীপকে ক্ষতবিক্ষত করে পালায় সে। প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও পরবর্তীতে স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় দীপকে। দীর্ঘ তিনমাস হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থেকে আজ ভোর ৪টায় চিরবিদায় নেয় আরিফ রায়হান দীপ। দীপ চলে গেছে দীপ নেভার আগেই। আমরা কিছুই করতে পারি নি দীপের জন্য। শুধু প্রার্থনা করি, শান্তি পাক দীপের আত্মা, সফল হোক দীপের এই জীবনদান...।।

পুনশ্চঃ এই পোস্টটি আমার ক্যাম্পাস-জুনিয়র ও গণজাগরণ মঞ্চ আন্দোলনের সহযোদ্ধা দীপ ও তার সাথে সংশ্লিষ্ট কিছু ঘটনার স্মৃতিচারণে লেখা। সচলায়তনে আমার বিগত পোস্টে প্রসঙ্গবহির্ভূতভাবে আমার ব্যক্তিগত রাজনৈতিক সক্রিয়তাকে টেনে আনা হয়েছে, যার বেশির ভাগেরই জবাব দিতে ইচ্ছে হয় নি। ছাত্রফ্রন্টের রাজিবদা আমার রুমমেট হওয়ায় গৌতমদা, মামুনভাইরা আমার রুমে অনেক এসেছেন। সেদিক থেকে তাদের সাথে ব্যক্তিগত সখ্যতাও যথেষ্টই ভালো। গৌতমদার ঘটনাটি আমার থেকে অনেক সিনিয়র লেভেলের। রাজিবদার কাছ থেকে ব্লাডের জন্য ফোন পেয়েই আমি সে সম্পর্কে জেনেছিলাম এবং পরিচিত বাঁধনকর্মীদেরকে জানিয়েছিলাম। আশা করি সবাই লেখার প্রসঙ্গে থাকবেন এবং অযাচিত রাজনৈতিক আলোচনা পরিহার করে দীপের বিদেহী আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করবেন।

সুমিত সাহা (ষূমীথ)
ছাত্র, বুয়েট
কর্মী, গণজাগরণ মঞ্চ

ছবি: 
24/08/2007 - 2:03পূর্বাহ্ন

মন্তব্য

Fallen Leaf এর ছবি

খুব খুব খুব খারাপ লাগছে। ওপাড়ে ভালো থাকুক দীপ এই দোয়া করি।

রণদীপম বসু এর ছবি

প্রয়াত দীপের জন্য একটুকু ভালোবাসা রেখে গেলাম---

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

চরম উদাস এর ছবি

যেখানেই থাকুক ভালো থাকুক দীপ।

লেখার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

তবে ...

অযাচিত রাজনৈতিক আলোচনা পরিহার করে দীপের বিদেহী আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করবেন।

এই কাজটা করতে পারলাম না।

চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি নির্বিবাদী, শান্ত, মেধাবী বুয়েট এর ছাত্ররা "অযাচিত রাজনৈতিক আলোচনা পরিহার করে" দীপের জন্য ইনালিল্লাহে বলে যাচ্ছে। এভাবে "অযাচিত রাজনৈতিক আলোচনা পরিহার করে" চলতে চলতেই আমরা সনিকে হারিয়েছি। এভাবে চলতে থাকলে আরও অনেকবার ইনালিল্লাহে পড়তে হবে অনেকের জন্য। ক্যান্সারের চিকিৎসা দুয়া দিয়ে হয়না, দাওয়া দিতে হয়।

স্যাম এর ছবি

চলুক চলুক

সবজান্তা এর ছবি

দীপ মারা গেলো একটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক কারণে, অথচ পোস্টে আশা করা হচ্ছে রাজনৈতিক আলোচনা পরিহার করা হবে। শুধু বুয়েট না, পুরো দেশেই আমরা উৎসাহের সাথে এই সংস্কৃতিকে প্রশ্রয় দিচ্ছি।

ধর্মান্ধতা, মৌলবাদ, জামাত-শিবির এগুলি মামুলি রাজনীতি না- বরং বাংলাদেশের মূল চেতনার স্পষ্ট বিরোধী বিষয়। এইসব ইস্যুতে নিরব থেকে, পাশ কাটিয়ে গেলে দীপের মতো আরো অনেক জীবনই ঝরে যাবে। আশা করি এই সত্যটা সবাই বুঝবেন।

ষূমীথ এর ছবি

@চরমউদাস ভাই,

দীপ আহত হওয়ার পর থেকে গত তিনমাসে বিভিন্ন ব্লগ ও বুয়েটের বিভিন্ন গ্রুপে ওকে নিয়ে কম চুলকানি দেখি নি। অনেককেই "বেশ হয়েছে" মনোভাব পোষণ করতে দেখেছি। সদ্যপ্রয়াত দীপকে নিয়ে এই পোস্টে সে ধরণের কিছু দেখতে চাই না, দেখার মত মানসিক অবস্থায় নেই। সেই জায়গা থেকেই "অযাচিত" রাজনৈতিক আলোচনা পরিহারের অনুরোধ।

এই বুয়েটে সনি মরেছে; সম্রাট, দীপ মরেছে। কারো টনক নড়ে নি। সম্রাটের মৃত্যু পরবর্তীতে তৎকালীন প্রশাসনের ভূমিকা স্বচক্ষে দেখেছি। দীপ আহত হওয়ার পর দীপের চিকিৎসা ব্যয় বহনের জন্য প্রশাসনকে রাজি করাতেও অনেক কসরত করতে হয়েছে, প্রশাসন স্বতস্ফূর্তভাবে দিতে চায় নি। প্রথম কয়েকদিনের পর এই দীর্ঘ তিনমাসে দীপের চিকিৎসার খবর রাখা হয় নি। আমি এখনো বিশ্বাস করি, প্রশাসন আরেকটু আন্তরিক হলে এবং সময়মত উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা গেলে দীপকে বাঁচানো যেত, দীপ বাঁচতে পারত...।।

চরম উদাস এর ছবি

চলুক

স্যাম এর ছবি

দীপের এই আত্মদান বৃথা না যাক - -----

তমিস্রা এর ছবি

রাজনীতিতে প্রতিপক্ষ থাকবেই। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের ভেতরে এ ধরনের ঘটনা ভীষন দূর্বল নিরাপত্তা ব্যবস্থাই প্রমান করে। আরো দীপ অকালে নেভার আগেই বুয়েট প্রশাসনকে আবাসিক হলে ছাত্রদের নিরাপত্তা বাড়াতে বাধ্য করুন। দেশের সেরা বিশ্ববিদ্যায়টির হলের রুমে এসে একটা ছেলেকে কুপিয়ে দূর্বৃত্ত নিরাপদে পালিয়ে যায়! কর্তৃপক্ষ কি ঘাস কাটে?

সবজান্তা এর ছবি

জামাত শিবির বরাবরই হিসেব করে চাল দেয়। ব্লগার রাজিবের (থাবাবাবা ছদ্মনামে লিখতেন যিনি) ক্ষেত্রে যে হিসেব ছিলো, দীপের ক্ষেত্রেও একই হিসেব। এমন একজনকে হত্যা করা, যার প্রতিবাদে মানুষ একাত্ম হয়ে তীব্র কোনো প্রতিবাদ করতে পারবে না। দীপকে সবাই ক্যাম্পাসে ঈষাণকে নির্মমভাবে পেটানোর জন্যই চিনে- কাজেই দুঃখজনক বাস্তবতা হলো, ওর উপর হামলাতে প্রতিবাদ ছিলো অনেক স্তিমিত। আপনার লেখা থেকে জানতে পারলাম যে, ঈষাণের ঘটণার সঙ্গে দীপ জড়িত ছিলো না। সে ক্ষেত্রে, আমার মনে হয় আপনাদের কারো উচিত, পুরো ব্যাপারটাকে পরিষ্কারভাবে ব্যাখ্যা করে একটা বিবৃতি কিংবা একটা লেখা দেওয়া। অন্তত মৃত্যুর পরেও যেন দীপ মিথ্যা অভিযোগ (যদি আসলেই মিথ্যা হয়ে থাকে) মুক্তি পায়।

খুব জানতে ইচ্ছা করে, বুয়েট ক্যাম্পাসে এই ছাত্রলীগের এতো দাপট, এতো সুনাম (!)- সেই ছাত্রলীগ, নিজেদের একজন কর্মীর মৃত্যুর পর ক্যাম্পাসকে শিবিরমুক্ত করার জন্য কী করেছে?

দীপ যদি ঈষাণকে সত্যিও মেরে থাকে, তবু তাকে হত্যা করা বিন্দুমাত্র সমর্থন করি না। আমি আশা করবো হেফাজতকর্মী মেজবা'র সর্বোচ্চ শাস্তি হবে। দৃষ্টান্ত হয়ে থাকা উচিত এই শাস্তি।

চরম উদাস এর ছবি

চলুক

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

চলুক

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

নজমুল আলবাব এর ছবি

দীপ এর জন্য সন্তাপ

অতিথি লেখক এর ছবি

সকাল বেলায় খবরটা পড়ে খুব মন খারাপ হয়েছিল, আর কত প্রান গেলে আমাদের টনক নড়বে?
ইসরাত

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

শ্রদ্ধা

লাবণ্যপ্রভা  এর ছবি

শ্রদ্ধা

সাইদ এর ছবি

উপরে একজন মন্তব্য করেছেন নিরাপত্তা ব্যাবস্থা জোরদার করার জন্য। কিন্তু যেখানে নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র দ্বারাই হত্যাকাণ্ডের শিকার দীপ সেখানে নিরাপত্তা ব্যাবস্থা কিভাবে জোরদার করবে সেটাই বড় প্রশ্ন। ১% করতে করতে আজকে পুরা বাংলাদেশটাইতো হেফাজত, উগ্রবাদ, উন্মাদ, ভণ্ডদের অধিকারে চলে যাচ্ছে। আর একটা ব্যাপার জানতে ইচ্ছা করে হেফাজত, তাবলীগ, জামাত এদের মধ্যে কি আসলেই কোন পার্থক্য আছে??

অতিথি লেখক এর ছবি

আমার মতে বাংলাদেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েট। এটা আমাদের গর্বের বিষয়। কিন্তু ইদানিং বুয়েটে যা শুরু হয়েছে, আমরা কতদিন আর বুয়েট নিয়ে গর্ব করতে পারবো সেটাই দেখার বিষয়।
এ ধরনের দুঃখজনক ঘটনা যাতে আর না ঘটে সেটাই চাই। দীপের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
--------------
মিলন

সুমিমা ইয়াসমিন এর ছবি

দীপের জন্য শ্রদ্ধা।

বাপ্পীহায়াত এর ছবি

শ্রদ্ধা
দীপের জন্য শ্রদ্ধা

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।