সরকারী অফিসে ওয়াইফাই ও আমার দুই পয়সা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৪/০৭/২০১৩ - ১:৩০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গতকাল বিডিনিউজের পাতায় চোখ বুলাতে যেয়ে একটা খবরে আটকে গেলাম। খবরের শিরোনাম, সরকারি সব অফিসে ওয়াইফাই। আপাতদৃষ্টিতে অত্যন্ত আনন্দের সংবাদ। তথ্য প্রযুক্তির পথে আমরা এখনো বেশ পিছিয়ে, বিশেষ করে সরকারি পর্যায়ে। সেই বিবেচনায় নিঃসন্দেহে খুশি হওয়ার মতো খবর। কিন্তু খুশিটা একটু ম্লাণ হয়ে গেলো কয়েকটা জিনিস চিন্তা করে। সে চিন্তাগুলি সবার সাথে শেয়ার করার জন্যই এই ব্লগটা লেখা।

প্রথমত, লক্ষ্য করি বিডিনিউজ কী বলছে-

সচিবালয়সহ সব সরকারি কার্যালয় ওয়াইফাই নেটওয়ার্কের আওতায় আসছে। ফলে এসব কার্যালয়ে থাকা কমপিউটার, প্রিন্টারের মতো ইলেকট্রনিক ডিভাইস তারের পরিবর্তে রেডিও তরঙ্গের মাধ্যমে সংযুক্ত হবে।

নেটওয়ার্ক অ্যাডমিনিস্ট্রেটর হিসেবে আমার যৎসামান্য অভিজ্ঞতা থাকার কারণে এই লাইনটি দেখে একটু চিন্তিত হলাম। ওয়াইফাই প্রযুক্তি এই মুহূর্তে অসম্ভব জনপ্রিয়। অফিসে ওয়াইফাই প্রযুক্তি চালু করা হলে, নিঃসন্দেহে নানা ধরনের সার্ভিস পাওয়া (অ্যাকসেস) সহজতর হবে, বিশেষ করে স্মার্টফোন, ল্যাপটপ কিংবা ট্যাবলেটের ক্ষেত্রে। কিন্তু একটা জিনিস মনে রাখা দরকার যে, ওয়্যারলেস প্রযুক্তি এখন পর্যন্ত জনপ্রিয় শুধুমাত্র তার মোবিলিটি ফিচার, অর্থাৎ তারবিহীনভাবে ব্যবহারযোগ্যতার জন্যেই। কিন্তু এর বাইরে সীমাবদ্ধতাও বহু।

ওয়াইফাইয়ের ক্ষেত্রেই ধরি- এর স্পীড নির্ভর করে ওয়াইফাই অ্যাকসেস পয়েন্ট (কিংবা রাউটার) থেকে ইউজার ইকুইপমেন্টের (কম্পিউটার, ট্যাবলেট ইত্যাদি) দূরত্বের উপরে। বাপারটা মোবাইল ফোনের মতোই, বেইজ স্টেশন টাওয়ার থেকে ফোনের দূরত্ব বাড়লে যেমন নেটওয়ার্কের কোয়ালিটি খারাপ হতে থাকে, ঠিক তেমনি। অথচ তারের ক্ষেত্রে কিন্তু ব্যাপারটা সেরকম নয়। তারের মূল ঝামেলা হচ্ছে, সামলানো অর্থাৎ ম্যানেজ করা। কিন্তু সেটুকু বাদ দিলে, বিশ্বস্ততা এবং পারফর্ম্যান্সের ক্ষেত্রে তারের বিকল্প আজ অবধি ওয়্যারলেস হতে পারেনি, সঙ্গত কারণেই। সরকারি অফিস দেখার অভিজ্ঞতা যতোটুকু আছে তাতে জানি, এখানে প্রায় সব কম্পিউটারই ডেস্কটপ, অর্থাৎ একটি নির্দিষ্ট জায়গাতেই আবদ্ধ, ল্যাপটপ কিংবা ট্যাবের সংখ্যা তেমন বেশি না (ট্যাব সম্ভবত আগে ছিলোই না, এই প্রজেক্টের আওতাতেই দেখলাম ট্যাব কেনা হচ্ছে)। সেক্ষেত্রে এই কম্পিউটারকে কেন ওয়াইফাইয়ের মাধ্যমেই সংযুক্ত করতে হবে? ওয়াইফাইয়ের মাধ্যমে ডেস্কটপ সংযুক্ত করা হলে যে দুটি সমস্যা প্রধান হয়ে দেখা দিবে- প্রথমত, খুব ভালো মানের রাউটার কিংবা অ্যাকসেস পয়েন্ট না হলে, সে ক্ষেত্রে কিছুদিন পার হওয়ার পর ঘন ঘন রাউটার/অ্যাকসেস পয়েন্ট হ্যাং করার সম্ভাবনা আছে। ইন ফ্যাক্ট, বাজারে যেসব ওয়াইফাই রাউটার বা অ্যাকসেস পয়েন্ট পাওয়া যায়, সেগুলির প্রায় সবই একই সমস্যা সৃষ্টি করে। এছাড়া টাকাটা যেহেতু চীনের সরকারের কাছ থেকে আসছে, যন্ত্রাংশ যে চীনেরই কোনো কোম্পানির থেকে কেনা হবে, সেটা মোটামুটি অনুমান করা যায়। সেই ক্ষেত্রে এই আশংকা আরো জোরালো হয়। কোনো রাউটার বা অ্যাকসেস পয়েন্ট বিকল হয়ে গেলে,রিস্টার্ট না দেওয়া পর্যন্ত তার আওতাধীন কম্পিউটারগুলিও আর নেটওয়ার্কে কানেক্ট করতে পারবে না। এমনিতেই সরকারি অফিসে কাজের গতি বেশ মন্থর, এই ধরনের ঝামেলা হলে যে কী হবে, সেটাও অনুমান করেই আতংকিত হচ্ছি। এর বাইরেও অধিক সংখ্যক লোক যদি কানেক্ট করে নেটওয়ার্ক ওভারলোড করে ফেলে, নেটওয়ার্কের গতি এমনিতেও মন্থর হয়ে যাবে। দ্বিতীয়ত, ডেস্কটপে সাধারণত ওয়্যারলেস ল্যান কার্ড থাকে না। যদি ডেস্কটপকে ওয়াইফাইয়ের মাধ্যমে সংযুক্ত করতে হয় নেটওয়ার্কে, তবে অবশ্যই প্রতিটা কম্পিউটারের জন্য আলাদা করে ওয়্যারলেস ল্যানকার্ড (এবং এর দামও তুলনামূলকভাবে বেশি) সংযুক্ত করতে হবে। সেই হিসেবে, যেই বিশাল টাকা ব্যয় হবে, তা নিতান্ত অপ্রয়োজনীয়, এবং অপচয় ছাড়া কিছুই না।

তবে একটা ব্যাপার একটু বলে রাখা ভালো- এই পুরো প্রস্তাবটাই এতো হাস্যকর এবং অদ্ভুত যে, সুস্থ মাথার কোনো নেটওয়ার্ক অ্যাডমিনিস্ট্রেটর কখনোই এমন পরামর্শ দেওয়ার কথা না। তাছাড়া শুধুমাত্র বিডিনিউজের খবরেই এতোটা ডিটেইল পেলাম। অন্য কোনো সোর্সে পাইনি। বাংলাদেশের সাংবাদিকদের জ্ঞানের বহরে বিভিন্ন সময় মুগ্ধ হয়েছি (প্রতিদিনের আইটি পাতাই তার স্বাক্ষী); আমি এখনো পুরোপুরি বিশ্বাস করিনি খবরের এই অংশটুকু। তবে এইটাও সত্যি, দেশের নাম যেহেতু বাংলাদেশ- এরকম ঘটনা সত্যিই ঘটতে পারে। আপাতত তাই আশাবাদী হয়ে অপেক্ষা করছি, খবরটা যাতে ভুল হয়।

তবে দ্বিতীয় আশংকাটি যেকোন পরিস্থিতিতেই ভ্যালিড এবং গুরুত্বপূর্ণ- ওয়াইফাই নেটওয়ার্কের সিকিউরিটি। ওয়াইফাই নেটওয়ার্কের সিকিউরিটি নিয়ে সারা পৃথিবীজুড়ে সঙ্গতকারণেই অনেক কড়াকড়ি আছে। বিপদগুলিকে কয়েকভাগে ভাগ করা যেতে পারে।

প্রথমত, অনিরাপদ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে, বিশেষ করে পাসওয়ার্ড যদি একেবারেই না দেওয়া হয়, যে কেউই সহজেই অফিসের ব্যান্ডউইডথ দিয়ে করে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবে, বিনামূল্যে। আর পাসওয়ার্ড দেওয়াটাই একমাত্র সমাধান না- ঠিক ঠিক স্কিমসহ পাসওয়ার্ড না দেওয়া হলে, সেটা ভাঙ্গাও সময়ের ব্যাপার। বিনামূল্যে ইন্টারনেট ব্যবহার বা ফ্রী-রাইডিং আমার কাছে ততোটা সিরিয়াস ইস্যু না। মূল বিপদ, আমার দৃষ্টিতে, সরকারি তথ্যের নিরাপত্তা।

তারের সংযোগের ক্ষেত্রে যে সুবিধাটি থাকে- তারের সঙ্গে সংযুক্ত না থাকলে আপনি কোনোভাবেই নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হতে পারবেন না। কিন্তু ওয়াইফাই হচ্ছে উন্মুক্ত বেতার তরঙ্গ। যেকোনো ল্যাপটপ, ট্যাব, মোবাইল এই এই নেটওয়ার্ককে দেখতে পারবে, পাসওয়ার্ড জানা থাকলে বা হ্যাক করতে পারলে কানেক্টও করতে পারবে। দুর্বল ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক ভেদ করে কম্পিউটার, বিশেষ করে ইমেইল অ্যাকাউন্টের অ্যাকসেস নিয়ে নেওয়া খুব কঠিন কোনো কাজ না। সচিবালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় যদি এই ধরনের সিকিউরিটি হোল থাকে, তার পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে। কাউকে আঘাত করতে চাই না, তবুও বলতে বাধ্য হচ্ছি- সরকারি পর্যায়ে আইটি বিশেষজ্ঞ হিসেবে যারা কাজ করেন, তাদের জ্ঞান, এবং আগ্রহ, দুই নিয়েই আমাদের মনে বিস্তর সন্দেহ আছে। আমি জানি না, সরকারি প্রতিটা অফিসে যেখানে ঠিকমতো কম্পিউটার অপারেট করারই লোক নেই, এই নেটওয়ার্ক মেইনটেইন্যান্সের ঝক্কি কে নিবে, নিলেও কতোটা পারবে। মাল্টিন্যাশনাল, বেসরকারি অফিস তুলনামূলকভাবে অনেক গোছানো হওয়া সত্বেও নেটওয়ার্ক অ্যাডমিনিস্ট্রেটরদের রীতিমতো ঘাম ছুটে যায় ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক ম্যানেজ করতে। সেই তুলনামূলক বিবেচনায় সরকারি অফিসের অবস্থা ভাবতেই আতংক লাগছে।

সেক্ষেত্রে পাঠকের মনের অবধারিত প্রশ্ন হবে, তবে কি সরকারি অফিসে ওয়াইফাই ব্যবস্থা করা হবে না?
- অবশ্যই হবে। ওয়াইফাই প্রযুক্তি গ্রহণ না করে মান্ধাতার আমলে পড়ে থাকা তো কোনো সমাধান না। সমাধান হচ্ছে, সরকারকে যথেষ্ট যোগ্য এবং দক্ষ লোক নিয়োগ দিতে হবে। যারা ইতমধ্যেই কাজ করছেন, তাদেরকে সত্যিকারের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক দৈনন্দিন রক্ষণাবেক্ষণ করতে হয় এমন নেটওয়ার্ক। সরকারি অন্যসব সেক্টরের মতো যদি প্রতিদিন এর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সলিউশন প্রোভাইডারকে ডাকতে হয়, প্রথমত সময়তো নষ্ট হবেই, অযথা প্রচুর টাকাও নষ্ট হবে।

প্রথম পয়েন্টের ব্যাপারে আমি আশাবাদী সরকার এমন কোনো হাস্যকর কাজ করবে না। আর দ্বিতীয় পয়েন্টের ক্ষেত্রে আশা থাকবে সরকার পর্যাপ্ত লোকবল এবং প্রশিক্ষণের পরই কেবল এই ধরনের কাজে এগুবে।

কার্যত কী ঘটে, সেটা দেখবার অপেক্ষায় বসে রইলাম।

লেখক: অমায়িক সত্যভাষী


মন্তব্য

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

সমাধান হচ্ছে, সরকারকে যথেষ্ট যোগ্য এবং দক্ষ লোক নিয়োগ দিতে হবে। যারা ইতমধ্যেই কাজ করছেন, তাদেরকে সত্যিকারের প্রশিক্ষণ দিতে হবে

একটা সরকারী চাকরির পেছনে যে কী পরিমান সুপারিশের ঠেলা সামলাতে হয়। সরকারী অফিসের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী পদের জন্যও নাকি শীর্ষ আইন প্রনেতাদের সুপারিশ থাকে পড়ছিলাম পত্রিকায়। সেখানে এরকম ভালো পদে তো সুপারিশের অভাব হবে না। এই বাঁধা ডিঙ্গিয়ে দক্ষ লোক নিয়োগ দেওয়াটা কঠিন কাজ

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাল বিশ্লেষণ চলুক
ইসরাত

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

প্রথম কথা হচ্ছে সিদ্ধান্তগুলো বুঝে শুনে নেয়া হচ্ছে নাকি "প্রিয় বিশেষজ্ঞ"দের মতামত অনুসারে নেয়া হচ্ছে। এখানে নিজের দু পয়সা লাভের জন্য অনেকেই অনেক কিছু করেন - বিশেষ অজ্ঞ এবং কর্মকর্তা উভয়েই।

দ্বিতীয় কথা নীতি নির্ধারকদের উদ্দেশ্য নিয়ে। উদ্দেশ্য যদি অনুদান বা ঋনের টাকায় নিজেদের পকেট ভারী করা হয়, তাহলে পোষা আইটি বিদকে দিয়ে বিপিপি তৈরী করা এমন কিছু কঠিন নয়।

যে দেশে থ্রী জি প্রযুক্তির সিদ্ধান্ত নিতে এত গড়িমসি করা হয়, সেখানে চুপি চুপি ওয়াই ফাইয়ের সিদ্ধান্ত মনে প্রশ্ন তোলে বৈ কি।

অতিথি লেখক এর ছবি

সেটাই আসলে সমস্যা। হুমায়ূন আহমেদ স্যারের বইয়ে পড়েছিলাম, সরকারী সব কমিটি আসলে ঐ বিষয়ে সর্ম্পূণ অজ্ঞ একদল লোকের আখড়া।

-----------
মিলন

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আমার সামান্য অভিজ্ঞতায় কোথাও ডেস্কটপে ওয়াইফাই ব্যবহার করতে দেখিনি। আমেরিকা-কানাডার যতগুলো ইউনিভার্সিটির সাথে কাজ করার সুযোগ হয়েছে সবগুলোতেই দেখেছি তারের মাধ্যমে নেটওয়ার্ক। তবে মোবাইল একসেসও আছে, যারা লাপটপ বা সেলফোনে কানেক্ট করতে চায় তাদের জন্য।

ভালো বিষয় নিয়ে লিখেছেন।

হাসান এর ছবি

এই ব্যাপারে পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ গুলো খুবই দুর্বোধ্য। এই তারহীন ইন্টারনেট কি অফিসে কর্মরত লোকজনদের ব্যবহারের জন্য? এতে উপকারটা কোথায় হবে বুঝলাম না। তারওয়ালা ইন্টারনেট দিয়েই সরকারি অফিসগুলোতে একটা ই-মেইলের জবাব পাওয়া যায় না, তারছিড়া ইন্টারনেট আনলে এর ব্যাতিক্রম হবে ক্যামন করে। তাছাড়া, সরকারি অফিস গুলোতে কর্মীদের ব্যবহারের জন্য রাখা যন্ত্রপাতিতে ইন্টারনেট সংয়োগ তো তারের মাধ্যমে দেয়াই নিরাপদ। আজব দেশ- যখন তথ্য পাচারের আশংকা ছিলো না, তখন সাবমেরিন কেবলের সাথে সংযোগ নেয়া হলো না তথ্যের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবার অমূলক আশংকার ওপর ভিত্তি করে, এখন যখন তথ্যের নিরাপত্তা একটা গুরুতর আশংকা, এই ব্যাপারে কারো কোনও টুঁ-শব্দ নাই।
লেখকের পর্যবেক্ষনের সাথে একমত। ভালো (এবং পত্রিকার চাইতে সুখপাঠ্য) লেখা।

মেঘলা মানুষ এর ছবি

প্রিন্টারকে ওয়াইফাইয়ে কানেক্ট করাটার কোন যুক্তি দেখতে পাচ্ছি না। ওয়াইফাই প্রিন্টার কনজুমার প্রডাক্ট হিসেবে ভালো, বাসায় ছোট একটা নেটওয়ার্কে সবাই প্রিন্ট করতে পারে। অফিসে ওয়াই ফাই থাকতে পারে পোর্টেবল ডিভাইসের জন‌্য। বাংলাদেশে টেলিকম কম্পানির অফিসগুলো যতটুকু দেখেছি, তারা ল্যাপটপ ব্যবহার করে ওয়াইফাই দিয়ে, কিন্তু প্রিন্টার প্রিন্ট সার্ভারের আওতায় আর ল্যান দিয়েই যুক্ত।

সবার আগে আমার জিজ্ঞাস্য হল, এই প্রজেক্টের সুফল কি?

পিয়াল এর ছবি

একটা অফিসে ওয়াইফাই কতটা জরুরী? মোবাইল বা ট্যাবলেটতো মুলত ব্যাক্তিগত ব্যাবহারের জন্য, এর জন্য সরকারী খরচে ওয়াইফাই বসালে অফিসের কর্মীদের সুবিধা হতে পারে, সরকারের কি লাভ? বিভিন্ন সময়ে ল্যাপটপে ইন্টারনেট/নেটওয়ার্ক অ্যাক্সেস প্রয়োজন হয় তার জন্য মিটিং/প্রেজেন্টেশান রুমে খালি নেটওয়ার্ক পোর্ট থাকাই প্রচলিত ব্যাবস্থা।
আপনি যে সমস্যাগুলোর করা বলেছেন সেটা তো খুবই বাস্তব আর কমন সেন্সের বিষয়। খোঁজ নিয়ে দেখলে হতো দেখা যাবে আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে টাকা খরচের একটা অজুহাত বের করা।

একটু ভিন্ন প্রসঙ্গ, সরকার/প্রসাশন/আমালা এই কাঠামোটা একটা চূড়ান্ত ইনএফিসিএন্টম সিস্টেম। যোগ্য ছেলেমেয়েরাও বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে প্রসাশন যন্ত্রের অংশ হয়ে কেমন মরচে পড়ে যায়। আমাদের ব্যাচের বেশ কিছু উজ্জ্বল বন্ধুরা এখন মাঝারি পর্যায়ের আমলা। সচিব বা নীতি নির্ধারণ পর্যায়ে যারা আছেন তাদের অনেকেই সম্ভবত তাদের সময়ের অন্যতম সেরা ছিলেন, তারপর ধীরে ধীরে "অভিজ্ঞতার" আলোকে মেধা-বুদ্ধিমত্তা ঢাকা পড়তে থাকে।

তৌহিদ এর ছবি

আপাতদৃষ্টিতে এই প্রজেক্টের উদ্দেশ্য হচ্ছে মারিং ও কাটিং।

অতিথি লেখক এর ছবি

চিন্তার বিষয়ই বটে!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।