জীবের বিলুপ্তি ৩ঃ বিলুপ্ত প্রাণী কি ফিরিয়ে আনা উচিত?

সজীব ওসমান এর ছবি
লিখেছেন সজীব ওসমান (তারিখ: সোম, ০৮/০৭/২০১৩ - ১০:৩৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

‘পরিবেশের ভারসাম্যতা বলতে আসলে কোন কিছুর অস্তিত্ব নাই। ফসিল রের্কড ঘাঁটতে ঘাঁটতে এই একটা জিনিস অন্ততঃ আমি শিখেছি।’

গত পর্বের মাইকেল আর্চারের কথা মনে আছে তো? আর্চার, যিনি অদ্ভুত ধরনের এক ব্যাঙেকে পৃথিবীতে ফিরিয়া আনতে চেষ্টা করছেন? এই আর্চার মশাই একবার একটা বক্তৃতায় বলেছিলেন, ‘পরিবেশের ভারসাম্যতা বলতে আসলে কোন কিছুর অস্তিত্ব নাই। ফসিল রের্কড ঘাঁটতে ঘাঁটতে এই একটা জিনিস অন্ততঃ আমি শিখেছি।’ তিনি হয়তো বলতে চেয়েছেন, পরিবেশে পরিবর্তন ঘটে, তার ফলাফল এবং সবকিছুই পদার্থবিজ্ঞানের নীতি অনুযায়ী ঘটে। পরিবেশ নিজে থেকে কিছুই করেনা। ‘ভারসাম্যতা ফিরিয়ে আনা’ টার্মটাও তাই একটি আপাত ইলিউশান ছাড়া কিছুই নয়। ব্যাপারটা সবসময় আমরা চিন্তা করি আমাদের আশেপাশের পরিবেশ মানুষের জন্য কতটা সুবিধাজনক বা অসুবিধাজনক সেই প্রেক্ষিতে। কিন্তু পৃথিবীতে যদি একটা গাছও অবশিষ্ট না থাকে তবুও তো পরিবেশ থাকবে, তাইনা? হয়তো ব্যাপারটা হবে আমাদের জন্য অসুবিধাজনক। কিন্তু তারপরও তো কিছু জীব বেঁচে থাকতে পারবে, যদি তাদের জন্য সুবিধাজনক পরিবেশ তারা নিজেরা তৈরি করে নিতে পারে অথবা তৈরি হয় অন্য কোন মিথষ্ক্রিয়ার ফলে। সেজন্য ‘বিলুপ্ত প্রাণী ফিরিয়ে আনা দরকার পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য’- এই দাবীর খুব বেশি মানে নাই।

এবার আসি এই বির্তকের অন্য একটি দিকে।

শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ববিদ ডেভিড রপ ১৯৯৪ সালে বিখ্যাত সাময়িকী PNASএ গুরুত্বপূর্ণ একটি নিবন্ধ লিখেছিলেন। সেখানে তিনি বলছেন যে নন-ডারউইনিয় বিবর্তনতত্ত্ব অনুযায়ী জীবের বিলুপ্তি হয়তো ততটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। নন-ডারউইনিয় বিবর্তনতত্ত্ব অনুযায়ী প্রোটিনে পরিবর্তন হয়না এমন মিউটেশান এবং জিনের ফ্রিকোয়েন্সির পার্থক্য আসলে বিবর্তনে মূল ভূমিকা রাখে। ধারনা করা হয় বর্তমানে যতগুলি জীবিত জীব আছে তার সমান সংখ্যক জীবে বিলুপ্ত হয়ে গেছে- তাই জীবের প্রজাতির সংখ্যা ইতিহাসে সবসময়ই প্রায় একইরকম আছে। কিন্তু বর্তমান সময়ে আমাদের যত ধরনের জীব আছে সেগুলি হল প্রথম জীব থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত সবগুলির সমষ্টির একটি সমন্বিত ফলাফল। তাই ডারউইন জীবের বিলুপ্তিকে বেশ গুরুত্ব নিয়েই বিবেচনা করেছেন। কোন বিবর্তন বিজ্ঞানীর জন্য তাই বিলুপ্তিকে পাত্তা না দেয়াটা মূর্খামি হবে।

ডেভিড রপ

‘জীবের বিলুপ্তির সঙ্গে প্রাকৃতিক নির্বাচনের একটা নিবিড় সম্পর্ক আছে’

ডারউইন তাঁর অরিজিন বইটিতে (অন দ্য অরিজিন অফ স্পেসিস) জীবের বিলুপ্তির ৪টি মূল বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং তার মতামত স্পষ্টভাবেই জানিয়েছেন-
১) বিলুপ্তি পৃথিবীর ইতিহাসে পর্যায়ক্রমে এবং সার্বক্ষনিকভাবে হয়েছে।
২) গণ-বিলুপ্তি, বা কোন জীবের (বা জীবগোত্রের) হঠাৎ হারিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। [ডারউইন তার সময়ে এরকম হঠাৎ কোন জীবগোত্রের হারিয়ে যাওয়ার কথা জানতেন, কিন্তু তিনি ভেবেছিলেন এটা আমরা ধারনা করছি কারণ আমাদের পর্যাপ্ত ফসিল রের্কড নাই।]
৩) প্রজাতির বিলুপ্তি অবশ্যম্ভাবি যদি তারা অন্যান্য প্রজাতির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় হেরে যায়। অর্থাৎ বিলুপ্তির কারন মূলতঃ জৈবিক।
৪) বিলুপ্তির সঙ্গে প্রাকৃতিক নির্বাচনের একটা নিবিঢ় সম্পর্ক আছে। [অরিজিন বইটির কোন কোন জায়গায় ডারউইন জীবের বিলুপ্তিকে বিবর্তনের অংশ হিসেবে দেখেছেন।]

‘খুব অল্প ক্ষেত্র বাদে এটার কোন প্রমাণই নেই যে- জীবের বিলুপ্তি প্রাকৃতিক নির্বাচনের ক্ষেত্রে বিবর্তনকে সাফল্য দিয়েছে’

কিন্তু ডেভিড রপ বলছেন একটু ভিন্ন কথা যেগুলি আমার কাছে বেশ গ্রহণযোগ্য মনে হয়েছে। বিলুপ্তির ৩টি বিষয় গুরুত্বপূর্ণঃ
১) পৃথিবীর অনেক জায়গায় ছড়ানো প্রজাতিগুলির বিলুপ্তি তখনই ঘটে যখন তাদের হত্যার হারের সঙ্গে প্রাণীগুলি পাকৃতিক নির্বাচনে টিকে না থাকে।
২) বড়সড় গণ-বিলুপ্তি ঘটলে সেটা পরিবেশে একটি বিরাট রিস্ট্রাকচারিং বা পুণর্গঠন ঘটায়, ফলে পূর্বের প্রাকৃতিক নির্বাচনে সফল গোত্রগুলির যায়গায় প্রাকৃতিকভাবে কম শক্তিশালী জীবগোত্র সুবিধা পায় এবং তারা ছড়িয়ে পড়ে এবং বিচিত্র হয়। (সচল কৌস্তুভ যে বিষয়টাকে নিয়ে বলেছিলেন আগের পর্বে। কমেন্ট দ্রষ্টব্য।)
৩) খুব অল্প ক্ষেত্র বাদে এটার কোন প্রমাণই নেই যে- জীবের বিলুপ্তি প্রাকৃতিক নির্বাচনের ক্ষেত্রে বিবর্তনকে সাফল্য দিয়েছে।

তাহলে কি বোঝা গেল? জীবের বিবর্তন এবং বেঁচে থাকার ইতিহাসে জীবের বিলুপ্তি হয়তো কিছু অসফল জীবকে বিকশিত হতে সাহায্য করেছে, কিন্তু প্রাকৃতিক নির্বাচনে তার কোন ভূমিকা নেই।

ফিরে আসি বিলুপ্ত প্রাণী ফিরিয়ে আনার তর্কটিতে। হয়তো আমাদের বর্তমান পরিবেশ বহুবছর আগের প্রাণীর জন্য সুবিধাজনক নেই কিন্তু আমাদের নিজেদের কৌতুহল নিবৃত করতে আমরা ম্যামথ বা ডাইনোসরকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করতেই পারি। এই জানার ইচ্ছাই তো বিজ্ঞানের চালিকাশক্তি! আর কোন জীবিত প্রাণীকে সফলভাবে ফিরিয়ে আনতে পারা হবে বিজ্ঞানের একটা মাইলস্টোন পার হওয়ার মত ব্যাপার হবে। কিন্তু তার আগে বিবেচনা করতে হবে আমরা তাদের ফিরিয়ে এনে টিকিয়ে রাখতে পারবো কিনা সেটা নিয়ে।

বিলুপ্ত প্রাণী ফিরিয়ে আনা কি কোন ভাল বুদ্ধি?

ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর হেন্ড্রিক পয়নার কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল এই প্রশ্ন। চমৎকার উত্তর দিয়েছিলেন তিনি। এখানে তুলে দিচ্ছি-
‘এটা একটি মিলিয়ন-ডলার প্রশ্ন। আমরা ডাইনোসরের ব্যাপারে এখন কথা বলছিনা। আমরা শুরু করবো তৃণভোজী দিয়ে- যারা মাংস খায়না। আমরা তাদেরকে ফিরিয়ে এনে পরিবেশে বৈচিত্রটা আগের মত করে তুলতে পারবো যেন একটি বিলুপ্তপ্রায় চিতা বা নেকড়ের জন্য তা সুবিধাজনক হয়। আমরা কি ফিরিয়ে আনা প্রাণীদের বেশি রোগ-প্রতিরোধী করে তুলতে পারবো? বা ফিরিয়ে আনা কি পরিবেশের জন্য ভাল হবে? আমরা জানি যে ম্যামথেরা পরিবেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কিছু উদ্ভিদ প্রজাতি তাদের জন্যই বেঁচে ছিল। সেজন্য ম্যামথকে ফিরিয়ে আনা মনে হয় বেশ ভাল ব্যাপারই হবে সাইবেরিয়ার জন্য, যেখানের বাস্তুসংস্থান পরিবর্তিত হয়ে যাচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে।’

তাই দেখা যাচ্ছে এখানে পরিবেশের সাথে মিথষ্ক্রিয়ার ব্যাপরটা ভাবতে হবে। ম্যামথ যেমন পরিবেশকে পরিবর্তন করে অন্য জীবের জন্য সুবিধাজনক করতে পারে তেমনি পরিবশকেও ম্যামথের জন্য সুবিধাজনক থাকতে হবে। তারপরও, এমন একটি রাজসিক জীব যদি পৃথিবীতে আবার বিরাজ করে তবে কি দারুন ব্যাপারই না হবে!

পরের পর্বে আলোচনা করবো কিভাবে ম্যামথকে আবার ফিরিয়ে আনা যায় তার সম্ভাব্য দিকগুলি নিয়ে।

পূর্বের পর্বঃ

আইবেক্স এর ফিরে আসা! বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া প্রাণী কি ফিরিয়ে আনা যাবে?

গ্যাষ্ট্রিক ব্রুডিং ব্যাঙ এর ফিরে আসা! বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া প্রাণী কি ফিরিয়ে আনা যাবে?

সূত্রঃ

১) http://www.cbc.ca/news/technology/story/2013/06/07/hamilton-poinar-wooly-mammoth.html

২) http://phenomena.nationalgeographic.com/files/2013/03/mammoth-cloning.jpg
http://www.pnas.org/content/91/15/6758.full.pdf

৩) Darwin, C. (1859) On the Origin of Species (Murray, London)

খান ওসমান


মন্তব্য

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

আপনার কার্টুনে মডারেট রিপাবলিকানকে বোতল বন্দী দেখে না হেসে পারলাম না। দেঁতো হাসি

বাকিটুকু পড়ে জানাচ্ছি।

অতিথি লেখক এর ছবি

হাসি

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

আপাতত এটুকু বলি, ইন্টারেস্টিং! আপনার আগের লেখাগুলো পড়ছি, সেইসাথে ভবিষ্যতের লেখাগুলোর আশায় উদগ্রীব হয়ে রইলাম।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ।

অন্যকেউ এর ছবি

চলুক চলুক

লিখতে থাকুন। পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।

_____________________________________________________________________

বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

চলুক

এটা দিয়ে শুরু হলে ভাল হত বোধহয়... যাহোক, আপাতত পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

অতিথি লেখক এর ছবি

হুম। ধন্যবাদ।

আইলসা  এর ছবি

মজা পাচ্ছি পড়ে। তবে মনে হয়, বিজ্ঞানীরা যদি আবিষ্কার করতে পারতো নির্দিষ্ট চিন্তাধারা কিছু মানুষকে কিভাবে বিলুপ্ত করে দেয়া যায়-তাইল জোস হইতো। ধরেন গোড়া সাম্প্রদায়িকরা উধাও হয়ে গেলো একদিন!!!

অতিথি লেখক এর ছবি

মানুষ বিলুপ্তির জিনিসপত্র তো আবিষ্কার করাই আছে। কিন্তু ব্যাপার হইলো কে কিভাবে ব্যবহার করছে। চিন্তিত
বরং দরকার ব্রেইনওয়াশ করা। হীরক রাজার দেশের মত কোন যন্তর মন্তর যন্ত্র।

অতিথি লেখক এর ছবি

যদিও আমি ফিরিয়ে আনার পক্ষে,কিন্তু এই চিন্তা বাস্তবায়ন হলে যে অনেক সমস্যার দেখা দিবে তাতে সন্দেহ নেই...যাক,পোস্টটা ভালো লাগলো।

- রূপালি রাজপুত্র

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ

আলতাইর এর ছবি

ম্যামথ ফিরত আইলে ডিলারশিপ লয়া একটা খামার দিমু। তারপরে সোয়েটার আর কম্বল বেইচাই লালে লাল!! টেকাটুকা কামায়া মেম্বর ইলেকশনে খারামু চোখ টিপি

অতিথি লেখক এর ছবি

খাইছে

হিমু এর ছবি

ম্যামথ ফিরিয়ে আনার ব্যাপারটা একটু সমস্যাজনক হবে না? ম্যামথের আকারের কারণে ধরে নিচ্ছি হস্তিনীর গর্ভে ম্যামথের ক্লোন করা ভ্রুণ রোপণ করা হবে। হাতির বাচ্চা আর ম্যামথের বাচ্চার গর্ভকাল কমবেশি হলে সেটা সুস্থভাবে ভূমিষ্ঠ হবে কি?

অতিথি লেখক এর ছবি

সমস্যা হবে। এটা ক্লোনিং এর পদ্ধতিগুলির বড় বাঁধাগুলির একটি। আর যেই ক্লোনটা হবে সেটা কখনই পুরোপুরি ম্যামথ হবেনা। হয়তো তার মধ্যে ম্যামথের গুণ বেশি থাকবে কিন্তু এটা হবে একটা হাইব্রিড। একটা ম্যামথ মা পাওয়া গেলে সবচেয়ে ভাল হত। পরের পর্বে এসব আলোচনা করবো।

হিমু এর ছবি

এপিজেনেটিক্স কি পরের পর্বে প্রাসঙ্গিক হবে?

অতিথি লেখক এর ছবি

এপিজিনেটিক্স আনতে গেলে ব্যাপারটা বিরাট জটিল আকার ধারণ করবে বলে মনে করি। সেই পর্যায়ের জটিল প্রশ্নগুলির উত্তর এখনও সাধারন ক্লোনিং এর ক্ষেত্রেই ভালভাবে জানা যায়নি। সোমাটিক ডিএনএ ট্রান্সপ্ল্যান্টেশান ক্লোনিংএ এপিজিনেটিক চিহ্নগুলি ম্যামথ ডিএনএ থেকে ইনহেরিটেড হয়ে আসার কথা, তবে হাতির কোষ যদি কোন কারণে এই চিহ্নগুলিতে পরিবর্তন ঘটায় তবে সেটা ভয়াবহ হবে বলেই মনে করা যায়। আমি ম্যামথ ক্লোনিংএ উপায় এবং সাধারন যেসব সমস্যা হতে পারে তা নিয়ে কথা বলতে পারি।

হিমু এর ছবি

তাহলে সাগ্রহে অপেক্ষা করছি পরের পর্বের জন্যে। আপনি যে ইমেইল ঠিকানা ব্যবহার করে নিবন্ধন করেছেন, সেটা খুলে দেখুন।

অতিথি লেখক এর ছবি

ইমেইল পাইনাই। আমি আসলে 'সজীব ওসমান' নামে নিবন্ধন করসিলাম। কিন্তু এখানে 'খান ওসমান' লিখতেসি। নিবন্ধন-নামটা ভুলে গেসিলাম। আবার পাঠান অনুগ্রহ করে।

স্যাম এর ছবি

প্রথম ছবির শেষ প্রানীটা মজার দেঁতো হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

হাসি

কড়িকাঠুরে  এর ছবি

ইন্টারেস্টিং... চলুক

মডারেট রিপাবলিকান... অদ্ভুত!!! দেঁতো হাসি

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

আগ্রহ নিয়ে পড়ছি।
পরের পর্বের অপেক্ষায় হাসি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ

কৌস্তুভ এর ছবি

হেহে, আগের পর্বে আমি যে প্রসঙ্গটা তুলেছিলাম সেটা নিয়ে পুরো পোস্টই দিয়ে ফেললেন!

অতিথি লেখক এর ছবি

হাসি

খেকশিয়াল এর ছবি

পোস্টটা আগেই পড়েছিলাম। দারুণ! চলুক! চলুক

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ

স্পর্শ এর ছবি

চ্যালেঞ্জিং এবং ইন্টারেস্টিং একটা কাজ। না করার কোনো কারণ খুঁজে পাচ্ছি না।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

অতিথি লেখক এর ছবি

হাসি

আয়নামতি এর ছবি

পোস্টটা দারুণ কিন্তু!
এ যে রূপকথার যাদুর কাঠিটি স্পর্শের মত ব্যাপার না সেটা এই নিরেট মাথায় ঢুকেছে। কিন্তু ভাবনা যেটা, সেটা হলো, আসলেই ঠিক কতটা পরিবেশের পরিবর্তন ঘটে যাওয়া সম্ভব ম্যামথ ফিরে এলে? আরো কত নিরীহ প্রাণই তো বিলুপ্ত হয়ে গেছে, যারা পরিবেশের জন্য উপকারী ছিল। তাদের ক্ষেত্রে বিশেষ কী ভাবনা? গরীব বিজ্ঞান লেখকের জন্য শুভকামনা থাকলো। হাতপা খুলে লেখুন।

অতিথি লেখক এর ছবি

ম্যামথের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা একটু অন্যরকম কারণ যেই এলাকায় এর বসবাস ছিল, অথার্ৎ যেসব জায়গায় প্রায় সারাবছরই ঠান্ডা থাকে সেখানে জৈববৈচিত্র খুব বেশি নাই, মানে ট্রপিকাল এলাকার মত। তাই ম্যামথের ভূমিকা বেশ বড়ই হওয়ার কথা।
ব্যাপার হল কতটা সুবিধাজনক এসব প্রাণীকে ফিরিয়ে আনা সেটা। পর্যাপ্ত ডিএনএ থাকতে হবে, সুবিধাজনক হোস্ট থাকতে হবে ইত্যাদি।
ধন্যবাদ। হাসি

দিগন্ত এর ছবি

দুটো পর্বই সুন্দর হয়েছে। আপনার আরও লেখা পেলে ভাল লাগবে। আপাতত পরের পর্বের প্রতীক্ষায়।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

অতিথি লেখক এর ছবি

৩ টা পর্ব আসলে। লিংকগুলি দেয়া আছে। ধন্যবাদ।

তারেক অণু এর ছবি

ভালো লাগল, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকে পড়েছিলাম এই নিয়ে আলোচনা। আরেকটু বিস্তারিত জানতে পারলে ভাল লাগত চলুক

সজীব ওসমান এর ছবি

হুম। ধন্যবাদ।

অতিথি লেখক এর ছবি

যা: এমন চমৎকার লেখাটায় কিছুই না বলে চলে গেলাম কি করে!। ছোটবেলা আলঝাইমারের ছোটভাই যার মাথায় ভর করে থাকে তার এইরকম-ই হয়!
হিমু-র মন্তব্য পড়ে মনে হল খবর হ্যাজ! অভিনন্দন! হাততালি
- একলহমা

সজীব ওসমান এর ছবি

হাসি

ফুজিয়ামা এর ছবি

আহা! কবে যে বাংলাদেশে জামাত শিবির বিলুপ্ত প্রাণীর তালিকাভুক্ত হবে!

সজীব ওসমান এর ছবি

দেঁতো হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক

মাসুদ সজীব

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।