আমরা যারা বেয়ারিং চাকা চালিয়ে
পাহাড়ের নৈঃশব্দ্য গ্রামে ছুটে যেতাম,
চুড়া থেকে আঁধার নিচে নামার আগেই
পাহাড়দের চুপচাপ ঘুম পাড়িয়ে ফিরতাম
ভেজা-ভেজা রোমাঞ্চ আর হাওয়াই মিঠাই নিয়ে,
অতঃপর যুগযুগ ধরে নীরব কোলাহলের সাথে
মৃত্তিকার পাঁজর উপচে পড়ত সেই রোমাঞ্চ,
জিহ্বা গাঢ় গোলাপি না হওয়ার আগ পর্যন্ত
চলত হাওয়াই মিঠাই উৎসব।
সে-ই আমরাই নিমন্ত্রিত ছিলাম না
মেঘরাজদের রাজকীয় সভায়।
গ্রাম্য বুনোহাঁসদের পুঁথি পাঠ শুনে শুনে
আমাদের গ্রাম কাটিয়ে দিত চৈত্রমাস,
কচু ক্ষেত থেকে বেরিয়ে এসে গেঁয়ো ব্যাঙদল
আমাদের ফ্যালফ্যাল চাওনিতে নাচানাচি করত
সুরে সুরে বৃষ্টি ভিক্ষা চাইত মেঘরাজাদের কাছে।
পাশাপাশি পড়ে থাকত চৈত্রমাসের দীর্ঘশ্বাস
বেয়ারিং চাকা এবং পাহাড়ের নৈঃশব্দ্য গ্রাম।
-------------------------------
মাসুম আহমদ
মন্তব্য
তুখাড় কবিতা।
কিন্তু কবি, একটা কথা বলতে ইচ্ছে করছে।
'নৈঃশব্দ্য' কথাটি বিশেষ্য পদ।
গ্রামের বিশেষণ হিসাবে তাকে ব্যবহার করতে গেলে 'নি:শব্দ' বসাতে লাগে।
ছন্দে-সুরে মেলাতে গিয়ে 'নি:শব্দ' কি অসুবিধা ঘটিয়েছে?
'শব্দহীন' হলে আমার চলে যায়।
কবির কিসে চলবে সে তো কবি-ই জানেন শুধু!
- একলহমা
ধন্যবাদ আপনাকে ! 'নৈঃশব্দ্য' শব্দটা 'নি:শব্দ' শব্দের চেয়ে একটু বেশি কাব্যিক লাগে ! তারপরেও নৈঃশব্দ্য' কে 'নি:শব্দ করে নেয়ার চিন্তাভাবনা করবো
হেহেহে,,,ঘটনা হইছিল কি একলহমার উদ্দেশ্যে কিছু বলতে চেয়েছিলাম। ওম্মা! দেখি ঘাড় ধাক্কা দিয়ে পোস্টে বইরে। জেদ চেপে গেলো এই একলহমা মন্তব্যের ঘরেই শুধু পটরপটর করেন কেন? আপনার পেট ভর্তি চমৎকার সবকথাগুলো একটা পোস্টাকারে দিন আম্রা পড়ি
বাবা মাসুম, বড় হয়ে অনেক বড় হবার সবটা লক্ষণ ফুটেফুটে উঠছে শব্দের ভেতর।
লেখার হাতসহ গোটা শরীরটাই দীর্ঘজীবি হউক
আপনার শুভকামনায় খুশি হইছি
ধন্যবাদ আপনাকে @ আয়নামতি ভাই
দারুণ লাগলো। দারুণ। ৫ তারা।
একজন কবির পর পর দুটো কবিতায় মুগ্ধ হলাম।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ধন্যবাদ আপনাকে
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
বাহ! মুগ্ধতা...
ধন্যবাদ
বেশ ভাল লাগল...
--------------
মঈন কাদির
ধন্যবাদ আপনাকে
নতুন মন্তব্য করুন