আমার বোন এর জন্ম বিলাতে, ভাই এর লিবিয়া। বাবা মা দুজনে কম করে হলেও ১৫টা দেশ ঘুরেছে। বাবা একলা তো আরও বেশি। আর আমি? জন্ম রাজশাহীতে। তারপর থেকে ঢাকা-রাজশাহী-বান্দরবান করেই জীবন কাটাচ্ছি। কখনও দেশের বাইরে যাইনি এ নিয়ে আমার থেকে আমার আশেপাশের মানুষের হা হুতাশ বেশি। কিন্তু এ নিয়ে কোন ধরনের কোন দুঃখ আমার কোনকালেও ছিল না। কারণ আমি জানতাম, যারা হা হুতাশ করে, এদের অধিকাংশই আমার দেশ আমার থেকে বেশি দ্যাখে নি। তা যাই হোক, ২৩টি বছর পার করার পরে কিভাবে কিভাবে জানি আমেরিকা ঘুরার সুযোগ হয়ে গেল। তাও আমার ভাই, বোন আর দুলাভাই এর উদ্যোগে। যে কোন ভ্রমণের আগে যেই উত্তেজনা থাকে, তার সময় এবার আমি পাই নি। এর কারণ মাসটারস ফাইনাল, থিসিস এবং বিসিএস ৩টা একসাথে। ২৪ মে, ২০১৩ সকালে পরীক্ষা দিয়ে বাসায় এসে প্যাকিং শুরু করলাম। আব্বু আম্মু আগের দিন ই চলে গিয়েছে। আমি একলা জীবনে প্রথম এত পথ পাড়ি দেয়ার মানসিক প্রস্তুতি নেয়া শুরু করলাম। এয়ারপোর্ট, প্লেন, বা অন্য কোথাও, এমনকিস্বপ্নেও মনে হয়নি যে এরকম কিছু এই ভ্রমন কালীন আমি দেখতে পাব।
আমেরিকা তে আমাদের ভ্রমণ ছিল মূলত দক্ষিণ পশ্চিম আমেরিকা, আর এর বাইরে নিউ ইয়র্ক আর ওয়াশিংটন ডিসি। কানাডা যাবারও কথা ছিল কিন্তু কানাডা এর মানুষদের কেন জানি মনে হল আমি ওদের দেশ কে এতই ভালবাসি যে আর আসব না :/ তাই তারা আমাকে ভিসা দিল না। যদিও এই ভিসা না দেয়াতেই আমার তিমি দেখা টা সম্ভব হয়েছিল তাই আমি আজীবন কৃতজ্ঞ থাকব কানাডিয়ান হাই কমিশনের কাছে। এক মাস ভ্রমণের মধ্যে ৫দিন বরাদ্দ ছিল কানাডার জন্য। এই ৫ দিন আমাকে থাকতে হয়েছিল ভাইয়ার সাথে বারক্লে, ক্যালিফোর্নিয়া তে, যেখানে সে পড়াশুনা করে। প্রথমে কথা ছিল লস এঞ্জেলেস এ নিয়ে যাবার। যতই বড় হই, মনটা তো শিশু। ডিজনি ল্যান্ড এর লোভ আমার বোন আমার মধ্যে বপন করে দিয়েছিল। কোন এক কারণে সেখানেও যাওয়া হল না। কানাডা, ডিজনি ল্যান্ড ২টা নিয়ে যখন মন খারাপ, এমন সময় ক্যালিফোর্নিয়া এর একটি গাইড বই ভাইয়া আমাকে দিয়ে বলল কোথায় কোথায় যেতে চাই ঠিক করতে। তিমি দেখার কথা শুনেছিলাম বোনের কাছে। তাই সবার আগে ওটাই ঠিক করলাম।
১৭ জুন,২০১৩ ভোরবেলা উঠে বারক্লে থেকে ১৯৬ কিমি দূরে প্রায় ৪ ঘণ্টা গাড়ি চালিয়ে আমার ভাই গেল তার ছোটবোনের তিমি দেখার শখ পূরণ করতে। মনটারে বে তে তিমি দেখার জন্য আগে থেকে বুকিং দেয়া লাগে, যেটা ঠিকভাবে দেয়া হয়নি। টেনশন ছিল আদৌ যেতে পারব কিনা। ভাগ্য,সুন্দর মত উঠে গেলাম নৌকাটিতে। মনটারে বে তে উপকূল থেকে ৮০ কিমি দূরে একটি ক্যানিয়ন রয়েছে যা উত্তর আমেরিকার বৃহত্তম ও গভীরতম সমুদ্রের খাদ। আমার জীবনের খুব বড় একটা ইচ্ছা ছিল বঙ্গোপসাগরের সোয়াচ অফ নো গ্রাউনড থেকে তিমি দেখা। সেটা আমি পারিনি। অপ্রত্যাশিত ভাবে আরেক উপসাগর যে কিনা আমার আপন ও না, সে আমাকে তার ভিতরে লুকনো কিছু আশ্চর্য প্রাণীর সন্ধান দিয়ে দিল। শুরু হল সী লায়ন(এক ধরণের সীল যাদের কান থাকে) আর তারামাছ দিয়ে। সীল প্রাণীটাকে খুব অলস মনে করতাম আমি। কিন্তু তাদের লাফালাফি, ঝাপাঝাপি দেখে আর সেই ধারণা থাকলো না।
নৌকা ভ্রমণ শুরু হবার কিছুক্ষনের মধ্যেই আমার ডিজনি ল্যান্ড যাবার সব শখ পূরণ হয়ে গেল। রোলার কোস্টার এ যেই মজা পেতাম, কাছাকাছি মজা প্রকৃতি তার নিজস্ব নিয়মে দিতে আরম্ভ করল। সমুদ্রের ঠাণ্ডা বাতাসে হাত পকেট থেকে বের করলে জমে যাচ্ছিল। কিন্তু রেলিং ধরে না থাকলে কে জানে, হয়ত তিমির পেটেই যেতে হবে। নৌকার একদম সামনে ঢেউ আর ঠাণ্ডা সবচেয়ে বেশি। তারপরও আমি আর ভাইয়া এক মুহূর্তও ঐ জায়গা থেকে নড়ি নি। পাছে একটা ১০০ ফুট প্রাণী মিস না হয়ে যায়। :প মনটারে বে তে মূলত ৭ ধরণের তিমি এবং ৭ ধরণের ডলফিন দেখা যায়। এ ছাড়াও আছে ৪ ধরণের সীল, সী অটার(ভোঁদড়) এবং সমুদ্রের পাখি। তিমির মধ্যে 'হাম্পব্যাক তিমি', 'নীল তিমি' আর 'কি্লার তিমি' বেশি দেখা যায়, এছাড়া 'গ্রে তিমি' দেখা যায় শীতকাল ও বসন্তকালে যখন তারা মাইগ্রেট করে। ডলফিন দের মধ্যে বেশি দেখা যায় 'রিসোস ডলফিন', 'প্যাসিফিক ওয়াইট-সাইডেড ডলফিন' এবং 'বটলনোজ ডলফিন'। এদের মধ্যে সবচেয়ে আগে আমাদের অভ্যর্থনা জানালো রিসোস ডলফিন। একেকজন মোটামুটি আকাশ ছোঁয়া একেকটি লাফ দিয়ে নিজেদের প্রদর্শন করছিল। ভালো লাগার অন্তিম পর্যায়ে তখন আমি। মনে হচ্ছিল আমিও ওদের সাথে লাফিয়ে লাফিয়ে চলে যাই। আরও বেশি ভালো লাগছিলো কারণ এটা কোন সার্কাস না। সদা উৎফুল্ল ও ভ্রমনপিয়াশু সামুদ্রিক প্রাণীদের নিজস্ব প্রদর্শনী এটা। স্বাধীনতার চূড়ান্ত রূপ হয়ত এটাই।
আমি যখন ডলফিন নিয়ে চিন্তা করছি এমন সময় মেরিন বায়লজিস্ট বলে উঠল, বামদিকে একটি হাম্পব্যাক তিমি। তাড়াহুড়ো করে নৌকার বামদিকে এসেই আমি জীবনের প্রথম তিমি টি দেখতে পেলাম। হাম্পব্যাক তিমির দেহ ৫০-৫৫ ফুট হয়। গায়ের রঙ কালোই বলা চলে। বিশাল দেহী এই প্রাণী নিঃশ্বাস ফেলবার জন্যে সমুদ্রপৃষ্ঠে উঠে আসে। তখন তার নিঃশ্বাসটি পানির সাথে মিশ্রিত অবস্থায় দেখা যায়। এরপরে সে তার অ্ধাঙ্গ প্রদর্শন করে আবার পানির তলে চলে যায়। লেজ প্রদর্শন করলে এই বিশাল্ প্রাণীটি বিশাল একটি ডুব দিয়ে আবার সমুদ্রের গভীরে চলে যায়। ৭-৮ মিনিট পানির নিচে থেকে আবার সমুদ্রেপৃষ্ঠে উঠে আসে। এই নিঃশ্বাস প্রশ্বাসের খেলা আমরা দেখলাম বেশ অনেকক্ষণ। তারপর তাকে বিদায় জানিয়ে সামনে এগুলাম আরও কিছু দেখার আশা নিয়ে। কিন্তু ততক্ষণে আমার সব শখ পূরণ হয়ে গিয়েছে। তিমি দেখে ফেলেছি, আর কি লাগে!!!
মনের সুখে সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করতে করতেই আবার শুনলাম, আরেকটি তিমি। আর এইবার নীল তিমি । এমন এক লাফ দিলাম যে আরেক্টু হলে পড়েই যাচ্ছিলাম। তিমি জাতিও কিছু একটা দেখতে পাচ্ছিলাম কিন্তু আমার বিশ্বাস হচ্ছিল না যে এটা নীল তিমি। বিশ্বাস হল, যখন দেখলাম, নিঃশ্বাস ফেলার পরে যে দেহ টা প্রদর্শন করা হয়, সেটা শেষ-ই হচ্ছে না। তখন উপলব্ধি করলাম, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় প্রাণীটি আমার সামনে সমুদ্রপৃষ্ঠে তার জীবন এর অল্প কিছু মুহূর্ত আমার সাথে শেয়ার করছে। উপলব্ধি করা মাত্র নিজের অজান্তে আনন্দে চিৎকার করে উথলাম। প্রায় ৮০ ফুট প্রাণীটি বোধয় আমার মত ক্ষুদ্র প্রাণীটির আনন্দ বুঝতে পেরে, এবার নিজের লেজ সহ প্রদর্শন করে একটি ডুব দিল। দেয়া মাত্রই মেরিন বায়লজিস্ট বলে উঠল, নীল তিমিরা নাকি লেজ দেখিয়ে ডুব মারে না, মানে আমরা সৌভাগ্যবান। আমার হাতে একটি হ্যান্ডিক্যাম ছিল, আমি মনে হয় ১-২ সেকেন্ড ভিডিও করেছি। এর বেশি আমি ব্যয় করতে চাইনি ক্যামেরার চোখ দিয়ে দেখাতে। ঐ সময়ের আমার অনুভূতি কিছুটা এমন, জীবনের সবকিছু পেয়ে গেছি, আর কি করব! :প
নীল তিমির উপস্থিতিতে মহিমান্বিত হয়ে আমরা যখন দাঁড়িয়ে আছি, এমন সময় মেরিন বায়লজিস্ট বলল, নীল তিমি নাকি প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু ঠিকভাবে সংরক্ষন করার কারণে তাদের সংখ্যা আবার আগের মত হয়ে গিয়েছে। আর ক্যালিফোর্নিয়া তে নাকি নীল তিমির সংখ্যা সবচে বেশি। শুনে কিছু মুহুরতের জন্নে গর্ব হচ্ছিল মানুষ প্রজাতি হয়ে। কিন্তু পরমুহুরতে মনটা খারাপ হয়ে গেল। খুব সুন্দর, শক্তিমান একটি প্রাণী আমাদেরও আছে। তার নাম 'রয়াল বেঙ্গল টাইগার'। অদ্ভুত সুন্দর, পারফেক্ট এই প্রাণীটার এ্কটাই দোষ। সে বাংলাদেশে জন্মেছে। আমরা বাংলাদেশের মানুষ, না তো নিজেদের জীবনের মান উন্নত করতে পারি, আর না অলরেডি যাদের জীবনের মান উন্নত তাদেরটা রক্ষা করতে পারি। আমাদের দেশেও তিমি আছে। কিন্তু তিমি দেখাতে এভাবে করে পর্যটকদের নিয়ে গেলে হয় বেচারাদের বঙ্গোপসাগর ছেড়ে পালাতে হবে, নয়ত মানুষের অত্যাচারে জীবন দিয়ে দিতে হবে। আশ্চর্য ব্যাপার হল, মনটারে বে তে এই ভয়াবহ আকর্ষণীয় প্রাণীটার খুব কাছে যাওয়া নিষিদ্ধ। যদি তিমি এবং ডলফিন নিজেই কাছে আসে, তাহলে সমস্যা নেই, কিন্তু নৌকা নিয়ে তার কাছে যাওয়া যাবে না। অথচ আমার বাংলাদেশে বন্য প্রাণী শিকার করা হয় তার চামড়া সাজিয়ে রাখার জন্য বা ব্যাবসা করার জন্য। কতটা কুৎসিত চিন্তা হলে এটা করা সম্ভব!!! হয়ত আমাদের বোধোদয় হবে, যখন আর আমাদের 'রয়াল বেঙ্গল টাইগার', তিমি, হরেক রকম পাখি, সাপ, ব্যাঙ এরা আর থাকবে না।
মন খারাপ টাকে বেশিক্ষণ্ স্থায়ি হতে দিলাম না। মনে মনে ঠিক করলাম, পারলে আরেকবার আসব। ওইদিনের মত নীল তিমির স্বপ্নর মত দৃশ্য মাথায় নিয়ে ফেরত আসলাম। বাসায় আসা মাত্রই বন্ধুদের (আর বোন কে) হিংসা দিতে ভুল্লাম না ঃপ। ফেসবুকে সবাইকে জানিয়ে দিলাম যে আমি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় প্রাণীটি নিজ চোখে দেখেছি। এর কয়দিন পর, আব্বু আম্মু কানাডা থেকে ফেরত এলে তাদেরকেও বললাম তিমি দেখার কথা। আবার যাবার প্রস্তাব দেয়ায় সবাই এক কথায় রাজি হয়ে গেল। শুধু আম্মু ভয় পাচ্ছিল, "তিমির ধাক্কায় নৌকা উল্টে গেলে শেষে তিমির পেটে গিয়ে মরতে হয় কিনা!" আমার মায়ের হরেক রকম ডায়ালগ দিয়ে পুরা একটা বই লিখা যাবে। যাক গে। আরও একবার চললাম তিমি দেখতে। এবার বাতাস প্রবল থাকার কারণে মেইন স্পট পযন্তও একটাও তিমি বা ডলফিন দেখা গেল না। আমি যখন ধরেই নিয়েছি যে কিছু দেখা যাবে না, ভিতরে এসে বসে আছি, তখন আসলো প্যাসিফিক ওয়াইট সাইডেড ডলফিন। সাথে কিছু রিসোস ডলফিন। ডলফিনগুলা নৌকার পিছে পিছে আসছিল। হঠাত শুনলাম, এখানে নাকি একাধিক হাম্পব্যাক তিমি আছে। সামনে এসে দেখি পুরা কেলেঙ্কারি অবস্থা। শয়ে শয়ে ডলফিন, আর ৬-৭ টা তিমি এক জায়গায়। মানে মোটামুটিভাবে আমাদের সামনে পিছনে, ডানে বামে, নিচে এমনকি উপরেও(ডলফিনের লাফ) ডলফিন আর তিমিতে একাকার অবস্থা। কাকে ছেড়ে কাকে দেখব বুঝতে পারছি না। এদিকে ডলফিনরা শুরু করেছে খেলে দেখান। নৌকার নিচ দিয়ে সাঁতরে সামনে এসে লাফ দেয়। আবার কেউ কেউ পানির উপরে এসে টুইস্ট করে। আরেকদিকে তিমি ভাসে। মানে পুরা কেলেঙ্কারি অবস্থা। এদের লম্ফঝম্প চলল প্রায় ৪০ মিনিটের মত। এরপর আমাদের যাবার সময় হয়ে গেল। ভীষণ ভালো সময় উপহার দেয়ার জন্য ডলফিন দের ধন্যবাদ জানিয়ে আমরা ফেরত আসলাম।
ঐদিন এদের দেখার জন্যে কিছু মাশুল দেয়া লেগেছিল। কিন্তু কিছু পাওয়ার জন্যে কিছু দেয়া লাগে। আর এখানে পাওয়ার মূল্যটা যে অনেক অনেক বেশি।
মন্তব্য
[লেখকের নামটা জানতে পারলে, আর কিছু ছবি হলে আরও চমৎকার হত, অপেক্ষায় থাকলাম]
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
ইলোরা তাসনিম রহমান
ভবিষ্যতে সা্বধান থাকব
শুভকামনা
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
নাম কই??
দারুণ লরা! খুউউউব্বব্ব খুশী হলাম লেখা পেয়ে। কিন্তু ছবি কোথায় ?
facebook
ভুল করে সাবমিট হয়ে গেছে ছবি দেয়ার আগেই
আপনি ছবির লিঙ্ক্গুলো মন্তব্যে জুড়ে দিন। কোন না কোন মডারেটর পোস্টে আপডেট করে দিবেন, নিশ্চয়ই।
চমৎকার অভিজ্ঞতাগুলোর জন্যেই মানুষের জীবন সদা বৈচিত্রময়।
শুভকামনা সব সময়ের।
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
লেখা টা এত ভাল্লাগসে যে মন টা লোভ আর আফসোস এ ভরে গেল ।
অনেক অনেক লিখুন।
লেখা ভাল লেগেছে। হয়ত কোনদিন এইরকম সুন্দর দৃশ্যের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা হবে আমার, কে জানে!
- একলহমা
প্রিয় মডারেটর/ অ্যাডমিন,
সচলের প্রায় প্রতিটি পেজ খুলতে গেলে বা লিংকে ক্লিক করলে s7.addthis.com/js/250/addthis_widget.js এক্সিকিউট হতে চাইছে।
এটার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
আমার লেখা মডারেট হয়ে যাবার কথা, তাই আশা রাখছি এই মন্তব্যটা মূল লেখার সাথে প্রকাশ হয়ে যাবে না।
এটা মন্তব্য শুধু মাত্র আপনাদের দৃষ্টিগোচর করার জন্য, প্রকাশের জন্য নয়।
মেঘলা মানুষ
দেখে ফেলেছি!
****************************************
খুব ভাল লাগলো
ইসরাত
অনেক ধন্যবাদ মনে জ্বালা ধরানোর জন্য …কিছু ছবি দিয়ে জ্বালা কিছুটা উপশম করেন দয়াকরে
আপনার অনুভুতি ধারন করার চেষ্টা করলাম।
আব্দুল্লাহ এ এম
আমিও তিমি দেখার জন্য মন্টেরে বে' তে গিয়েছিলাম। কিন্তু, আবহাওয়া খারাপ থাকার কারণে ক্রুজ শিপগুলো সেদিনের মত বন্ধ করে দেয় তারা। তবে, পাশের হাইওয়ে-১ এ ধরে ড্রাইভ করতে গিয়ে সেই দুঃখ কিছুটা হলেও দূর হয়ে গেছে। সারা আমেরিকার অন্যতম সুন্দর ড্রাইভওয়েগুলোর মধ্যে একটি। আশা করি সেদিকে গিয়েছেন। না গেলে, পরের বার ট্রাই করতে পারেন।
ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .
লেখা পড়ে 'হিংসিত' ভাললাগায় মন ভরে গেল!!
এখানে আপনার প্রথম লেখা কি এটা ? তাহলে সচলে স্বাগতম।
লেখা ভালো লেগেছে। এরপরে নিশ্চয় ছবি টবি জুড়ে দিয়ে গুছিয়ে পোস্ট দেবেন আরও। আরও গপ্পের আশায় রইলাম।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
ভালো লেগেছে।
এক মাস ঘোরা-ঘুরিতে তে আরও অনেক লেখা জমে গিয়েছে।
তাড়াতাড়ি লিখুন আর ও কিছু অভিজ্ঞতার কথা।
নীল তিমি নিয়ে এত সুন্দর, এত বড় একটা রঙসম্ভব বর্ণগর্ভ ছবিছাড়া নিরেট সাদাকালো লেখা পড়ে নিজের চোখ দুটাই একেবারে কটকট করতেসে! আপনি মনে হয় ছবি আর দিবেন না, তাই আমিই একটা দিয়ে দিলাম কটকটানি দূর করার জন্য!!
সূত্র
****************************************
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
একটা নীলতিমি লাইভ দেখতে মঞ্চায়
-----------------------------------------------------------
আঁখি মেলে তোমার আলো, প্রথম আমার চোখ জুড়ালো
ঐ আলোতে নয়ন রেখে মুদবো নয়ন শেষে
-----------------------------------------------------------
কি লিখেছিস তুই! চোখে তো জল চলে এলো রে! লেখা থামাবিনা, কথা দে!
অসাধারণ লেগেছে লেখাটি, তবে ছবি দেখার তৃষ্ণা নিবারণ হলনা। আরও লিখতে থাকুন।
সচলে স্বাগতম। দারুণ লেখা। লিখতে থাকুন হাতখুলে।
-----------------------------------------------------------
আঁখি মেলে তোমার আলো, প্রথম আমার চোখ জুড়ালো
ঐ আলোতে নয়ন রেখে মুদবো নয়ন শেষে
-----------------------------------------------------------
সচলে স্বাগতম।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
সবাইকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এতগুলো ভালো ভালো মন্তব্য পাব গুণীজনদের কাছ থেকে, আসলেই ভাবিনি। আর আমি আমার যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি (এখনও করছি) কয়েকটি ছবি দেয়ার। কিন্তু এখনও বুঝে উঠতে পারছি না। (আমি একদমই টেক স্যাভি না)। আশা রাখছি বুঝতে পারা মাত্রই ছবি দিয়ে দেব। যদি এ যাত্রায় না হয়, তবে অবশ্যই পরবর্তী লেখার সাথে থাকবে। আবারও সবাইকে অনেক ধন্যবাদ লেখালেখির জগতে একদমই নতুন মানুষটিকে এতটা অনুপ্রেরণা দানের জন্য।
[img=600x400][/img]
একটা দিলাম (অনেক কষ্টে), আশা করি ভালো লাগবে
ছবিটি আমার বড় ভাই আতিফ হাসান রহমান এর তোলা
চমত্কার পোস্ট। খুব ভাল লাগল পড়ে। বর্ননা ভাল হলে ছবি না দিলেও চলে।
ধন্যবাদ -_-
-ইলোরা
নতুন মন্তব্য করুন