দুই দশক আগের কথা। বাসায় নিয়মিত রাখা হতো সাপ্তাহিক/পাক্ষিক বাংলা পত্রিকা। মেয়েদের জন্য আসতো সানন্দা। আমার রহস্য পত্রিকা আর বাবার বিচিত্রা পড়া শেষ হয়ে গেলে একটু চোখ বুলিয়ে নিতাম সানন্দার পাতায়। শেষ পৃষ্ঠায় থাকত কোনও বিশিষ্টজনের সাক্ষাৎকার গোছের এক নিয়মিত আয়োজন। এক লাইনের গৎবাঁধা প্রশ্নের মধ্যে একটির উত্তর খুব আগ্রহ নিয়ে পড়তাম; ‘কি ভালো লাগে?পাহাড় না সমুদ্র?’ উত্তরটা পাহাড় হলে ভালো করে আবার দেখতাম সেই বিশিষ্টজনের ছবি, বড্ড আপন মনে হতো তাকে। তখনও তো পাহাড় বা সমুদ্র কোনটিই স্বচক্ষে দেখেনি কিন্তু এক দুর্দান্ত আকর্ষণ অনুভব করতাম গগনভেদী পাহাড়-পর্বতের ছবি দেখলে।
ঘরকুনো বাঙালি আমি এই প্রবাসে এসে নতুন করে শেকড় গড়েছি পাহাড়ের ঢালেই এক ছোট্ট জনপদে। জানালা খুললেই হারিয়ে যাই প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যে। ছয় ঋতুর অপূর্ব দেশ আমার জন্মভূমি থেকে হাজার মাইল দূরে থেকেও ভিনদেশী এই প্রকৃতি হয়ে গেছে আমার অতি আপন। ভালবাসি আমার বাড়ির পেছনের ওই দুই হাজার মিটার উঁচু পর্বতশৃঙ্ঘকে, কেমন যেন এক আদুরে মায়ের মত আগলে রেখেছে এর পাদদেশের ছোট্ট জনপদগুলিকে।
ছবিঃ নেট
বরফে আবৃত এই উপত্যকার আসল সৌন্দর্য ক্যামেরায় তোলার ক্ষমতা আমার নেই, চিত্রশিল্পীও নই আমি। হৃদয়ের ক্যানভাসে জমে থাকে হাজারো সুখস্মৃতি। জন্মদিনের উপহারের প্যাকেট খুলতে যে অনুভুতি হয় তার থেকে শতগুন বেশী আবেগে আপ্লুত হই বরফঢাকা শীতের প্রত্যুষে খুলতে গিয়ে আমার ঘরের জানালা!
দুমাস আগেই তো প্রকৃতির ছিল আরেক রূপ। গ্রীষ্মের শেষে আর শীতের আগমনের পূর্বের সেই পাতা ঝরার দিনগুলিতে হলদে হয়ে যাওয়া পাহাড়ের ঢালে কতই না হেঁটে বেরিয়েছি সপ্তাহান্তের ছুটির দিনগুলিতে।
গ্রীষ্মের লম্বা ছুটিতে সবাই দৌড়ায় সমুদ্রের তীরে আর আমি ধরি উল্টো রাস্তা। দোলোমিতির(dolomiti) প্রাণকেন্দ্র দক্ষিন তিরলে অবস্থিত রেননের(renon) হাজার মিটার উঁচু কোলালবো(collalbo) গ্রামের অপার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ভুলতে পাড়বে কি কোনদিন আমার দুই চোখ?
সেই উপত্যকার সর্বচ্চ শৃঙ্গ করনো দেল রেনন(corno del renon, ২২৬১ মিটার) পায়ে হেঁটে পৌঁছুতে লেগেছিল ৫ ঘণ্টা। কপাল ভালো ছিল বলে ঠিক সেইদিনই পাহাড়ের ঢালে বসেছিল ঐতিহ্যবাহী গরুর হাট। ইতালির অন্তর্ভুক্ত হলেও এই এলাকার মানুষেরা কথা বলে জার্মান ভাষায়, বেশভূষা আর খাদ্যাভ্যাসেও রয়েছে নিজস্ব স্বকীয়তা।
corno del renon
হোটেলের কাঠের বারান্দায় বসে কাটিয়েছি জীবনের সবচেয়ে আনন্দের কিছু মুহূর্ত। ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের একটি এই দোলোমিতি পর্বতমালার দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা যায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা।
ভেনেতো প্রদেশের আসিয়াগো(asiago, ১০০১ মিটার) আর কাম্পোফনতানা(campofontana, ১২২৪ মিটার) যেতে অবশ্য লম্বা ছুটির দরকার হয়না। মন চাইলেই শখের ট্র্যাকিং জুতা আর কাঁধের ঝোলা নিয়ে বেরিয়ে পড়ি খোলা আকাশের নিচে।
আসিয়াগো
আসিয়াগো
কাম্পোফনতানা
কাম্পোফনতানা
খাবো কি সারাদিন? ওটাই তো সবচেয়ে মজার সারপ্রাইজ পিকনিক......সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে হাজার মিটার উঁচু কোনও ছোট্ট লোকালয়ের বারে মিলবে সকালের নাস্তার কাপুচিনো, সাথে থাকবে গরম গরম ক্রোসান্ট। লাঞ্চ করার সুযোগ হয়ত মিলবে ১৭০০ মিটার উঁচু এক পাহাড়ি রিফুজুতে....স্পাগেত্তি আর আগুনে ঝলসানো মাংস...... তারপর এক কাপ এসপ্রেসসো কফি। বিল চুকিয়ে দিয়ে কাঁধে ফের ঝুলিয়ে নিই আমার শখের ঝোলা.........বুক ভরে নিই বিনে পয়সার বিশুদ্ধ অক্সিজেন...... ধরি আমি ঘরে ফেরার ফিরতি পথ।
......জিপসি
মন্তব্য
বাহ্! দারুণ। আপনার বাক্য গঠন বেশ সুন্দর। আমার কাছে অবশ্য একটা জিনিস মনে হয়েছে- পড়ার সময় মাঝে মাঝে ফ্লো কেটে গেছে। কিছু বাক্য আগে-পরে করলে বা দুই প্যারার মাঝে সমন্বয় করতে আরো একটা অতিরিক্ত বাক্য মন্দ হতো না। ছবিগুলোও ভালো লেগেছে।
ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .
তাড়াহুড়া করে লেখা পোষ্ট, ছোটখাটো একটা সিরিজ লেখার ইচ্ছে আছে……সামনে আছে গরমের ছুটি… হাতে থাকবে সময়…লিখতে পারবো গুছিয়ে।
......জিপসি
ভয়ঙ্কর সুন্দর আর হৃদয় কানা করে দেয়া দৃশ্যাবলি ! আহা কী অদ্ভুত শ্যামলিমা ! ভেতরে কোথায় যেন কড়া নেড়ে যায় !
চমৎকার !
(শুরুর কভার ছবিটার সাইজ একটু কমিয়ে দিলে সচলের মূল পাতাটা লেপ্টে যাওয়া থেকে বেঁচে যেতো আর পোস্টটাও বাইরে থেকে সুশৃঙ্খল থাকতো ! পোস্টদাতার এই সুযোগ না থাকলে মডু কেউ এটা করে দেবেন কিনা দেখেন।)
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
মডুরা আপনার কথা শুনেছে...
......জিপসি
বা: ভাল লাগল - ছবি, লেখা দুই-ই, ছবি বেশী
আমার তো আর কোথাও-ই যাওয়া হচ্ছে না, তাই আপনাদের এই ভ্রমণবৃত্তান্তই সম্বল!
- একলহমা
একদিন ঠিকই কোথাও যাওয়া হবে আপনার, তখন কিন্তু হাতে কলম তুলে নিতে আলসেমি চবে না।
......জিপসি
বাহ! আজকে সচল ভর্তি দেশি-বিদেশি পাহাড় আর পাহাড়!
আচ্ছা, লাল-গোলাপী ফুলগুলোর ক্লোজশটটার ঠিক উপরে তামাক খাবার পাইপের মত আকৃতির ইয়া বড় কি জানি কী দেখা যায়; ওইটা কি জিনিস? স্থানীয় কোন বাঁশি??
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
ওই সুরযন্ত্রের নাম মনে করতে পারছি না একেবারেই, দুঃখিত। এটা ওই প্রদেশের জার্মানভাষী মানুষদের ঐতিহ্যর সাক্ষী। তিরলের দক্ষিন অংশ ইতালির অন্তর্ভুক্ত আর অপর অংশ অস্ট্রিয়ায়।
......জিপসি
ইটালী? ল্যান্ডস্কেপে সেরকম মনে হলো।
চলুক ছবি ও লেখা।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
আসিয়াগোতে একদিন কাটানোর সুযোগ হয়েছিল।অসম্ভব সুন্দর। আপনার ছবি দেখে আবার যেতে ইচ্ছে করছে।
রাতের আসিয়াগো এখনও দেখা হয়নি। বরফে ঢাকা এই শহরের সৌন্দর্যও উপভোগ করিনি। ভাবছি একবার বড়দিনের ছুটিতে যাবো... এক ঢিলে দুই পাখি মারবো!
......জিপসি
ছবি আর লেখা দুটোই চমৎকার হয়েছে। আরো লিখুন অপেক্ষায় রইলাম ।
সামনের গরমের ছুটিটা কাটাবোই পাহাড়ে পর্বতে হাঁটাহাঁটি করে(পকেটে বেশি পয়সা নেই )। সচলায়তনের জন্য লিখব আমার ভালোলাগার কথা।
......জিপসি
আহা রে, কী সুন্দর জায়গা! কী সুন্দর পৃথিবী! বেঁচে থাকা খুব অসাধারণ একটা ব্যাপার আসলেই। ভাল লেগেছে ছবি আর লেখা।
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
পৃথিবী নামের এই গ্রহটা আসলেই অনেক সুন্দর।
......জিপসি
যদিও সমুদ্র আমার বেশী প্রিয়, পাহাড়ও আমি ভালোবাসি । কী দারুণ সব ছবি ! অপূর্ব সুন্দর জায়গা । ভ্রমণের বর্ণনা আর ছবিগুলো দেখে এখনই ছুটে যেতে মন চাইছে । আপনার সিরিজ লেখার অপেক্ষায় রইলাম ।
পণ্ডিতজীকে
.......জিপসি
দেখবো না দেখবো না দেখবো না!
আমিও 'পাহাড়ি', আপনার মত...
আপনিও পাহাড়ি?
......জিপসি
পাহাড় আমারও খুব বেশি প্রিয় তাই ছবিগুলো দেখে চোখ জুড়িয়ে গেল। কনদিন কি যেতে পারবো এই সব জায়গায়
লেখা আর ছবির জন্য
ইসরাত
......জিপসি
প্রিয় গানটা মনে করিয়ে দিলেন, ক্যাম্পাস জীবনে সবাই মিলে খুব গাইতাম।
ছবি আর লেখা দুটোই ভাল লেগেছে, আরও লিখুন।
পোষ্টের শিরোনাম আপনার প্রিয় গানের কলি থেকেই ধার করেছি
.......জিপসি
দুর্দান্ত জায়গা!
অবশ্যই দুর্দান্ত সব জায়গা, নাহলে গরীবের এই সস্তা হ্যান্ডি ক্যামেরাতে ভালো ছবি উঠত না!
.......জিপসি
আমি উঠানে লাগানো গাবগাছ।
ছবিগুলি অনেক সুন্দর। দেখে আনন্দ পেয়েছি।
নানা বাড়ির পুকুর পাড়ের গাব গাছের কথা মনে করিয়ে দিলেন ...... গাবের আঠা ছিল আমার শৈশবের সুপার গ্লু।
......জিপসি
ছবিগুলো খুবই সুন্দর। দেখামাত্র বৈদেশ যাইতে মন চাইল হঠাৎ করে।
গরুর হাটের ছবি দেখে মজা পাইলাম, তবে মনে হলো গরুর হাটের মধ্যে ঘোড়াও আছে।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
গাবতলীর গরু-ছাগলের হাটেও তো উটের দেখা মিলে!!!
কাউবয় মানেই তো ঘোড়ার পিঠে সওয়ার রাখল বালক!!!
.......জিপসি
সুন্দর হয়েছে ভাই ..চালিয়ে যান
......জিপসি
আহা, কী সুন্দর সব ছবিগো ! লেখাও ভাল।
......জিপসি
বাহ বাহ, সাথে জেমসের গানটা বোনাস!
facebook
আপনার তো দেখি বোনাসটাই ভালো লেগেছে বেশি ......হায়রে বাঙালি খালি বোনাস খুঁজে...
......জিপসি
ছবি আর লেখা দুটোই দারুন। সচলের সব লেখা পড়ার সুযোগ হয় না সময়ের কারনে, কিন্তু ভ্রমন বিষয়ক সব লেখাই পড়তে চেষ্টা করি। এই জীবনে অনেক দেশেই যাওয়া হবে না জানি, সেজন্যে তারেক অনু বা অন্য যারা বেড়ানো নিয়ে লেখেন তাদের লেখা পড়েই ঘুরে বেড়াই। অনেক ধন্যবাদ।
ভ্রমণ বিষয়ক লেখা আমারও প্রিয়
......জিপসি
আহা! ভ্রমণ কাহিনী পড়ি আর শুধু এই কথাটাই ভাবি, কবে পারবো এমন ঘুরতে।
অসাধারন পোস্ট! আমি তন্ময় হয়ে ছবিগুলো দেখছিলাম। আহা হা
সূর্যটা যেই ওঠা
লালচে লাল টকটকা-
রাত কেটে ভোর ফোটে
চারদিকে ফকফকা।
এই ভোরে- মন ওড়ে,
দৃষ্টি দিই দূর পথে;
সব ভুলে যাই চলে
নীলগিরি পর্বতে।
ফুল পাখি আজকে কী
এক সুরে গান ধরে;
কোন সুখে এই বুকে
জল প’ড়ে প্রাণ ভরে।
দূর পথে চাই যেতে-
ফুল পাখির মৌতাতে;
বন মাঝে বীণ বাজে
দেয় বাঁধা কে তাতে?
ঐ কোমল পথ শ্যামল
বুক চিরে যায় কোথা?
কোন্ আলো চমকালো
যায় বলে কার কথা!
কী বাহার নীল পাহাড়
রঙ বেরং উচ্ছাসে।
মেঘ ওড়ে কোল জুড়ে
পায় খুঁজে পাখনা সে।
ছড়াটা এমন মনোহর দৃশ্যের সাথে মানায় বোধহয়
......জিপসি
সুন্দর ছবি। প্রায় এরকমই একটি ভ্যালি থেকে কিছুদিন ছুটি কাটিয়ে ফিরলাম। সব কিছুই ঠিক আছে। কিন্তু মানুষের অভাবের কারনে অনেক সময় জায়গাটি ভৌতিক লাগছিল। তবে আপনার ছবিতে অনেক মানুষ দেখে ভালো লাগছে।
আরে আমি তো মানুষের গেঞ্জাম থেকে দূরে থাকতেই পাহাড়ে যাই, পুরা কাম্পোফনতানাতে স্থায়ী অধিবাসী আছে মাত্র ১২৬ জন!!!
......জিপসি
আহা - জিপসী হয়ে যেতে ইচ্ছে করে ছবি দেখে আর বর্ণনা পড়ে।
মনে রাখবেন 'জিপসিরা ঘর বাঁধে না, ভালোবাসে নীল আকাশ'
......জিপসি
এটুকু বুঝি নাই
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ওই ছবিটি ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করেছি, বাকিগুলি আমার ক্যামেরায় তোলা!
.....জিপসি
আপনার প্রথম ছবিখানা দেখে মনে হয়, ওই পাহাড়ের কোলে গিয়ে বিশ্রাম নেই। অসাধারণ হয়েছে ছবিটি এবং অন্যান্য গুলিও। ধন্যবাদ।
folgarida(Trento) সমুদ্রপৃষ্ট থেকে ১৩০০ মিটার উচুঁতে হোটেলের জানালা দিয়ে তোলা ফটো, ৫ মিনিট পূর্বেও অঝোরে বৃষ্টি হচ্ছিলো!
......জিপসি
এতো এতো সুন্দর ছেড়ে আমি মরে যাবো কি করে
যতক্ষন ছবি গুলো দেখেছি আর সল্পভাষী বর্ণনাগুলো পড়েছি কেমন জানি মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে পড়েছি।এমন প্রকৃতি দেখে মারা গেলেও আর দু:খ থাকবেনা।আপনার ছবিগুলো অতি অসাধারন হয়েছে,যদি একবার দেখে যেত পারতাম প্রকৃতির এই অপরুপ সোভা।
মাসুদ সজীব
নতুন করে আরেকটি পর্ব লিখছি মনে মনে...... ছবি তো হার্ডডিস্কেই আছে...... অভাবটা শুধু সময়ের।
সাথে থাকুন।
......জিপসি
নতুন মন্তব্য করুন