আমার বেলা গড়ান ক্ষীণস্বর যেন
কিছুকিছু কাহিনীর গায়েপায়ে মাখা;
মেঘলা আকাশ, ভিজেডানা পাখি রোজ...
রোজ দিয়ে যেত নাড়া...
বছর কুড়ি আগে ঘুম ভেঙ্গে স্বপ্ন;
খেলাঘরে হাসিমুখে কেটেছে দিন,
ভেলা নিয়ে চলে যেত কোন বেলাতে...
জলকেলি, শরীরে ঘাসের প্রলেপ;
বিকেলের নেমে আসা শান্ত আঁধার-
স্নেহময় কবিতায় সব যেন ছিল;
পিছু ফিরে কেন যেন চোখদুটো ভিজে,
নীলরঙা ফটোগ্রাফ আজও ছুঁতে চায়,
বাদ সাধে সময়-বাধা;
সেদিন তো জলকাদা ছিলনা...
ঢেকে রাখা ছিল মাপজোক;
শুধুশুধু আজ হাতনেড়ে ছায়াখেলা;
ফাঁকামাঠে দৌড়, ওই দূরে কয়খানি ঘুড়ি
পুরনো পাতার ফাঁকে...
গল্পেরা ভুলে গেছে যেন, জীর্ণ মলাটে ঢাকা...
উড়ে যায় পাতলা কাগজ, শব্দেরা খামেতে বন্দী;
পেন্সিলে হয়না তো আঁকা...
দুর্বোধ্যতা-যেন পথপাশে বসে থাকে;
চেয়ে থাকে, পাথরে খোদাই করে নাম;
জল সরে যায়, একপাশে বালুচর-
চোখদুটো দেখে যায় ফাঁকি;
ভোরবেলা ফুলতোলা গানে অমলিন
আজও সে কোন পুরনো দিনের কথা;
চোখ খুলে দ্রুতগতি-দোর দেয় ঘরে
সকালের কলপাড়ে তুলে রাখা জল;
পিচঢালা রাস্তায় ধুলো উড়ে যায়...
সাদাকালো ছবি কিছু থেকে গেছে শুধু-
চলে গেছে সেই শিশু পায়েপায়ে হেঁটে।।
- তীর্থ চক্রবর্তী
মন্তব্য
মন ছুঁয়ে গেছে। তবে কবিতার চলে মাঝে মাঝে ঠোক্কর খেয়েছি। অবশ্য এটাও সম্ভব যে, বাম্পার-গুলো আপনি ইচ্ছে করেই বসিয়েছেন!
আসুক আরো কবিতা আসুক! অপেক্ষায় রইলাম।
- একলহমা
ওইগুলোর মুখে আমিও পড়ছিলাম হয়ত...তাই এড়ানো যায়নি...
তীর্থ চক্রবর্তী
ভীষন ভালোলাগলো,শেষ দুটি লাইন হৃদয় ছুয়ে গেছে।
মাসুদ সজীব
এক কথায় চমৎকার।।।
নতুন মন্তব্য করুন