কি? উপরের নাম দেখে থমকে গেলেন? ভাবছেন পিঙ্ক ফ্লয়েড , স্করপিয়ন্স এর পর হুট করে একেবারে বাংলায়?! অতি উৎসাহী কেউ কেউ যদি "পক্ষীরাজ-ই যদি হবে, তাহলে ন্যাজ নেই কেন" এর মত "বাংলা ব্যান্ড-ই যদি হবে তাহলে বাংলাদেশী নয় কেন" বলার জন্য মনে মনে ফন্দি আঁটা শুরু করে থাকেন, তাদের বলি "বাঙ্গালী না বাংলাদেশী" বিষয়ক খোঁচাখুচি আপাতত এই বিষয়ে করে লাভ নেই। মিউজিক হ্যাজ নো বাউন্ডারি। অন্তত আমি তাই মানি। আমার কাছে রবি বাবুর "দিবস রজনী আমি যেন কার ..." যেমন উদাস (চরম উদাস নহে) করে, আবার আফ্রিকান উদ্দাম বীট ও উন্মাতাল করে। আবার মাঝেমধ্যে "ক্র্যাডল অব ফিলদ" নামক ডেথ মেটাল ব্যান্ডের গানও কানে গুঁজে দিয়ে বসে থাকি। একসময় তো আমার একটা উদ্ভট অভ্যাস ছিল- মাথা ব্যাথা খুব বেশি ঝামেলা করলে দুই কানে হেডফোন গুঁজে দিয়ে মোটামুটি ফুল ভল্যুম দিয়ে "ক্র্যডল অব ফিলদ" এর ডেথ মেটাল ছেড়ে দিতাম। মাথা ব্যাথা যেন ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি বলে ছুটে পালাতো। কোথায় যেন শুনেছিলাম মাথা ব্যাথার সর্বোত্তম ঔষধ হচ্ছে পায়ের বুড়ো আঙ্গুল এ হাতুড়ি দিয়ে জোড়ছে একটা বাড়ি। ফলাফল - মাথা ব্যাথা উধাও! কিন্তু সাইড এফেক্ট এর জন্য উপদেশ দাতা দায়ী নহে! যাই হোক, সারা রাত জেগে মমতাজ এবং রশিদ উদ্দিন বয়াতীর নারী-পুরুষ পালা গান শুনার অভিজ্ঞতাও আমার আছে।গান ভাল হলেই হল। এই রে, কি লিখতে বসে কি সব বাকোয়াস জুড়ে দিয়েছি। লাইনে আসি-
সংক্ষিপ্ত ইতিহাস :
১৯৭৪ সালের শেষের দিকে গৌতম চট্টপাধ্যায়ের হাত ধরে জন্ম ব্যান্ডটির। প্রথমে ব্যান্ডটির নাম ছিল ‘সপ্তর্ষী’। পরবর্তীতে রঞ্জন ঘোষাল এর নাম প্রস্তাব করেন ‘মহিনের ঘোড়াগুলি’। নামটি নেয়া হয়েছে কবি জীবনান্দ দাশের ‘ঘোড়া’ কবিতার ‘মহিনের ঘোড়াগুলি ঘাস খায় কার্তিকের জোৎস্নার প্রান্তরে’ লাইনটি থেকে।
‘মহিনের ঘোড়াগুলি’ ব্যান্ড টি কে আসলে একটি নির্দিষ্ট ঘরানাতে সীমাবদ্ধ করা মুশকিল বা বলা যেতে পারে ব্যান্ডটি কোন নির্দিষ্ট জেনরার গান নিয়ে পড়ে থাকে নি বরং প্রতিনিয়ত পরীক্ষা নিরীক্ষা করে গিয়েছে গান নিয়ে। তবে তাদের কে অনেকেই ষাট এর দশকে বব ডিলানের আরবান ফোক আন্দোলনের সাথে তুলনা করে থাকে। সেই হিসেবে তাদের অনেকটা বাংলা ফোক রক ধারার বলা যেতে পারে।
ব্যান্ডটির জন্ম এমন এক সময়ে যখন পশ্চিম বাংলার মানুষেরা সিনেমার সুরেলা,রোমান্টিক গানের দ্বারা প্রচন্ড ভাবে সম্মোহিত ছিল এবং সম্পূর্ণ নতুন কিছু বা নতুন ধরণের গান গ্রহণ করার জন্য মানসিক ভাবে তৈরি ছিল না। ফলাফল যা হবার তাই হল-সনাতন প্রথা বিরোধী গানের কথা,ব্যাতিক্রমী সুর,তৎকালীন সময়ের জন্য অনেকটাই উদ্ভট সংগীত আয়োজন সেই সময়ের শ্রোতারা গ্রহণ করে নি। আর করবেই বা কিভাবে? সমসাময়িক শ্রোতারা যখন কাল্পনার মধুময় স্রোতহীন নদী সুরেলা প্রেমের গানের ভেলাতে পাড়ি দিতে বিভোর তখন মহিনের ঘোড়াগুলির গানের কথা ছিল যেন সেই কল্পনার মধু জগৎ থেকে বাস্তবতার শুকনো কঠিন মাটিতে আছড়ে ফেলার মত। তাদের গানের কথা এমন সব বিষয় কে সামনে নিয়ে এসেছিল যা অন্যদের কাছে গানের বিষয় হিসেবে চোখেই পড়ত না- রাজনীতি,দারিদ্র্য,অবিচার,বিপ্লব,প্রেম,একাকিত্ব এমনকি ভিক্ষাবৃত্তি এবং পতিতাদের জীবন সংগ্রামকেও তারা তাদের গানের কথা তে নিয়ে এসেছিল। কিন্তু পরিতাপের বিষয় এসব-ই ছিল সমসাময়িক শ্রোতাদের কাছে অগ্রহণযোগ্য!!
গৌতম এর একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক মতাদর্শ ছিল এবং তিনি বাম রাজনীতির সাথে সরাসরি জড়িত ছিলেন। ব্যান্ডের সাবেক সদস্য আব্রাহাম মজুমদারের ভাষ্য মতে গৌতম ‘নকশাল আন্দোলনের’ সাথেও জড়িত ছিলেন। তার রাজনৈতিক মতাদর্শের ছায়া তার গানের মধ্যে পাওয়া যায়। নব্বই এর দশকে সুমন চট্টপাধ্যায়,অঞ্জন দত্ত,নচিকেতা’র হাত ধরে ‘জীবনমুখী’ ধারার বাংলা গান জনপ্রিয়তা পেলেও মূলত বাংলা গানে এই ধারার প্রথম অনুপ্রবেশ ঘটে ‘মহিনের ঘোড়াগুলি’র হাত ধরেই।
ব্যান্ডটির যাত্রা পথ অনেক চরাই-উৎরাই, ভাঙ্গা-গড়ার মধ্য দিয়ে। ১৯৭৪ সালের শেষের দিকে প্রতিষ্ঠিত হলেও সে সময় এর স্থায়িত্ব ছিল মাত্র ৬ বছর। কারণ? ওই যে, তৎকালীন বাঙ্গালীর নতুন কিছু কে গ্রহণ করার অক্ষমতা। ১৯৮১ সালে ব্যান্ডটির অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যায়। এই ৬ বছরে তারা ৩ টি এ্যালবাম রেকর্ড করলেও কোনটি-ই জনপ্রিয়তা পায় নি, যদিও তারা এই সময়ে প্রায় ১৫/১৬ টির মত স্টেইজ পারফর্মেন্স করেছিল। রবীন্দ্র সদন,ম্যাক্সমুলার ভবন,সেন্ট পল’স ক্যাথেড্রাল মিশন গ্রাউন্ড সহ বিভিন্ন যায়গায় তারা স্টেইজ পারফর্মেন্স করেছিল। স্টেইজ এ তাদের উপস্থাপনাও ছিল ব্যাতিক্রম ধর্মী, এমন কি তাদের কনসার্টের টিকেটও ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন রকম। কখনো তাদের টিকেট ছিল টেলিগ্রামের মত দেখতে,আবার কখনো টিকেটে থাকত সব ব্যান্ড সদস্যের আঙুলের ছাপ!
পূনর্গঠনঃ
১৯৮১ সালে বিলীন হয়ে যাবার পর ৮০’র দশকের শেষের দিকে কলকাতা প্রসিডেন্সি কলেজের সুব্রত ঘোষাল নামের একটি ছেলে মহিনের ঘোড়াগুলির “ভাল লাগে জোৎস্নায় কাশবনে ছুটতে” গানটি শুনে গৌতম চট্টপাধ্যায়ের প্রচন্ড ভক্ত হয়ে যান এবং তার সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে তাঁকে খুঁজে বের করেন। সুব্রত’র সাথে কিছুদিন জ্যামিং করার পর মনি দা(গৌতম এর ডাক নাম ছিল মানিক) তথা গৌতম চট্টপাধ্যায় আবার মহিনের ঘোড়াগুলি পূনর্গঠনের স্বীদ্ধান্ত নেন। এরপর দিনের পর দিন ,মাসের পর মাস তারা আরও কয়েকজন নতুন প্রজন্মের ছেলেদের সাথে নতুন করে স্বপ্ন দেখতে থাকেন বাংলা গানের সনাতন ধারা কে ভেঙ্গে নতুন কিছু করার।
অবশেষে নব্বই এর দশকের মাঝামাঝি সুব্রত সহ আরও কয়েকজনের অনুপ্রেরণায় গৌতম স্বীদ্ধান্ত নেন ‘মহিনের ঘোড়াগুলি’র পুনঃপ্রকাশের। ১৯৯৫ সালে “আবার বছর কুড়ি পরে” নামের ‘ক্যাসেট’ এ্যালবাম টি প্রকাশিত হয় কলকাতা বই মেলায়। বিশ বছর আগে যে গানগুলি মানুষ অবহেলায় প্রত্যাখ্যান করেছিল,বিশ বছর পর সেগুলোই প্রচন্ড জনপ্রিয়তা পায়। শুরু হয় মহিনের ঘোড়াগুলির সফলতার অধ্যায়।
দুঃখের বিষয় বাংলা ব্যান্ডের ইতিহাসের অন্যতম প্রতিভাবান ব্যাক্তিটি (গৌতম) ১৯৯৯ সালে হঠাৎ ই হার্ট এ্যাটাকে মৃত্যুবরণ করেন। আবার থেমে যায় মহিনের ঘোড়াগুলি’র যাত্রা। গৌতমের মৃত্যুতে ওই সময়ের তার অনুসারীরা প্রচন্ডভাবে মুষড়ে পড়েন এবং গোতম কে ট্রিবিউট করে একটি এ্যালবাম বের করেন “মনি ছাড়া শূন্য লাগে” নামে।
মহিনের ঘোড়াগুলি’র এ্যালবাম সমূহঃ
(১) সংবিগ্ন পাখিকুল ও কলকাতা বিষয়ক (১৯৭৭)
(২) অজানা উড়ন্ত বস্তু বা অ-উ-ব (১৯৭৮)
(৩) দৃশ্যমান মহিনের ঘোড়াগুলি (১৯৭৯)
(৪) আবার বছর কুড়ি পরে (১৯৯৫)
(৫) ঝরা সময়ের গান (১৯৯৬)
(৬) মায়া (১৯৯৭)
(৭) খ্যাপার গান (১৯৯৯)
(৮) আবার কুড়ি বছর পরে এক্সটেন্ডেড সি ডি (১৯৯৯)
ব্যান্ড লাইন আপঃ
(১) গৌতম চট্টপাধ্যায়
(২) তাপস দাশ
(৩) আব্রাহাম মজুমদার
(৪) প্রদীপ চট্টপাধ্যায়
(৫) রঞ্জন ঘোষাল
(৬) বিশ্বনাথ চট্টপাধ্যায়
(৭) তপেশ বন্দপাধ্যায়
(৮) রাজা ব্যানার্জী
-----------—-----------------
সুবোধ অবোধ
মন্তব্য
যাদের গান শুনে জীবনটা নষ্ট হয়েছে তার মধ্যে মহিনের ঘোড়াগুলি অন্যতম। মহিনের সব গানই চমৎকার; তবে শহর,আকাশে ছড়ানো, এই মুহূর্তে এই গানগুলো অতিরিক্ত প্রিয়।
আমার জানামতে মাহিনের ঘোড়াগুলির সব গানই আমি শুনেছি এবং কোনটাই খারাপ লাগেনি! বরং অদ্ভুত সুন্দর!!
------------------
সুবোধ অবোধ
গৌতমকে নিয়ে গাওয়া অঞ্জন দত্তের গান পেলাম এই লিঙ্কে
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
''দত্ত vs দত্ত" তে অঞ্জন দত্ত গৌতম ঘোষের প্রতি খুব সুন্দর ট্রিবিউট দিয়েছেন, শ্রীজিত করে গৌতম ঘোষের পার্টটা।
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
গৌতম ঘোষ = চট্টোপাধ্যায় হবে মনে হয়
ধ্যাত্তেরি! ভুলে ঘোষ ঘোষ করছি, অবশ্যই চট্টোপাধ্যায় হবে
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
------------------
সুবোধ অবোধ
--------------------
সুবোধ অবোধ
ক্র্যাডল অফ ফিলথ ডেথ মেটাল নয়,ব্ল্যাক মেটাল; লেখাটা ভাল লেগেছে।
একেকজন একেকরকম বলে। যাইহোক, দেখি ড্যানি ফিলদ কি বলে - Dani Filth, in a 1998 interview for BBC Radio 5 for example, said "I use the term 'heavy metal', rather than 'black metal', because I think that's a bit of a fad now. Call it what you like: death metal, black metal, any kind of metal...".
আপনাকে...
অনেক পছন্দের একটু ব্যান্ড। দেখি এর পরের টা মিলে কিনা। ডেথ অর ব্ল্যাক হলে অবশ্য মিলবে না। হজম হয় না
আগের দুইটাও মিলে গেছে নাকি? নাহ ।পরের টা ডেথ বা ব্ল্যাক মেটাল হবেনা নিশ্চিত তবে মেলার সম্ভাবনা কম !
----------------------
সুবোধ অবোধ
ক্ল্যু দ্যান... দেখি মিলতে পারে নাকি
লেখা দিলেই দেইখেন।
লেখা ভাল লেগেছে।
পুনরুত্থানের আগে 'মহিনের ঘোড়াদের' সাথে আমার পরিচয় হয় নি। হওয়ার পরে অবাক হয়ে ভেবেছি, একেই বলে সময়ের অভিঘাত! আরো কয়েক বছর আগে যদি এই ব্যান্ড-এর গান শোনার সুযোগ আসত-ও আমি হয়ত তাকে সেভাবে গ্রহণ করে উঠতে পারতাম না। কুড়ি বছরের পারে শুধু মধুর স্মৃতিরাই হারায় না, অনেক ছাল-বাকল-ও খসে যায়!
- একলহমা
প্রথমবার বিলীন হয়ে যাবারও কয়েক বছর পর আমার জন্ম । অবাক হয়ে ভাবি - কত আগানো ছিলেন চিন্তা চেতনায় উনারা!!! প্রথম শুনেছিলাম "শহরের উষ্ণতম দিনে "!! শুনেই ফ্যান ! "থাকি আমি ভয়ে " গান টা গিটার হাতে আড্ডায় এত বেশি বার গেয়েছি যে এক ছোট ভাই ভুল করে ভেবেছিল যে ওইটা আমার ই গান!
------------------
সুবোধ অবোধ
গৌতম সম্পর্কে এত বিস্তারিত জানতাম না। মহীনের গান কতবার শুনি, পেছনের মানুষগুলো অজানাই ছিল। লেখা ভাল লেগেছে।
এটা আমার পুরোনো অভ্যাস - কোন গান শুনলে তার স্রষ্টা কে খুঁজে বের করা। গায়কের চেয়ে আমার কাছে তাই গানের গীতিকার, সুুরকার, কম্পোজার বেশি প্রাধান্য পায় ।
-------------------
সুবোধ অবোধ
ইসরাত
----------------
সুবোধ অবোধ
আহা প্রিয় ব্যন্ড নিয়ে লেখা। আমার গান শোনা হয় প্রচুর, কিন্তু গানের পেছনের গল্পগুলো জানা হয় না। অনেক অনেক বিখ্যাত গায়ক, সুরকার, গীতিকারদের নাম জানা হয়না। অথচ গান শুনেছি তাদের প্রচুর। এই ব্যপারে আমার আগ্রহও কম, তাও মাঝে মাঝে ভালোই লাগে প্রিয় সব গানের সৃষ্টিকর্তাদের গল্প শুনতে।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
আমার আবার কোন গান পছন্দ হলে তার স্রষ্টা দের সম্পর্কে না জানলে ভাল্লাগেনা।
পছন্দের ব্যান্ড। বিশেষত আকাশে ছড়ানো মেঘের কাছাকাছি... ভয়াবহ স্মৃতিবিজড়িত গান। এক একটা গান বিশেষ এক একটা সময় বা নির্দিষ্ট কোন মানুষকে রিপ্রেজেন্ট করে যখন, বারবার ঐ গানটা শোনা বা কাউকে শুনতে দেখে নস্টালজিক হয়ে ওঠার পুরো ব্যাপারটাই আসলে অন্যরকম।
এই পর্বটা বেশ পছন্দ হলো।
'চন্দ্রবিন্দু' ব্যান্ডকে নিয়েও লিখবেন কি? খুব খুশি হবো তাহলে।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
চন্দ্রবিন্দু আমার ও খুব প্রিয়। মাহিনের ঘোড়াগুলো, আমি প্রথম শুনি এক বন্ধুর বাসায় ২০০০ সনের দিকে, শুনে তো আমি পুরা আউলাইয়া গেছিলাম। টানা দুই-তিন মাস শুনছিলাম।
----------------
সুবোধ অবোধ
আকাশে ছড়ানো মেঘের কাছাকাছি " খুবসম্ভবত বাংলা ব্যান্ড গানের ইতিহাসে সবচেয়ে প্রথম 'abstractive' ঘরানার গান। এক কথায় অসাধারণ!! আগের পর্বগুলো পছন্দ হয়নি বুঝি?!!
চন্দ্রবিন্দুর "ঘুম ঘুম ক্লাসরুম " গানটা দারুণ। লিখব হয়ত কোনদিন ...
---------------
সুবোধ অবোধ
"এক একটা গান বিশেষ এক একটা সময় বা নির্দিষ্ট কোন মানুষকে রিপ্রেজেন্ট করে যখন, বারবার ঐ গানটা শোনা বা কাউকে শুনতে দেখে নস্টালজিক হয়ে ওঠার পুরো ব্যাপারটাই আসলে অন্যরকম।"
- ঠিক তাই।
- একলহমা
মাস কয়েক আগে চন্দ্রবিন্দুর গানগুলো নিয়ে ''abstracted' ঘরানার'' এই শুধু স্নানের জলে লিখেছি ডাকনাম... লেখাটা লিখেছিলাম অবশ্য।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
----------------
সুবোধ অবোধ
প্রিয় ব্যান্ড...
সিরিজটা চালু থাকুক।
গৌতম চট্টোপাধ্যায় কিন্তু ফিল্মও বানিয়েছিলেন
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
সিরিজ চালু রাখতে রাখতে একদিন চামেচিকনে নিজের ব্যান্ডের নাম ঢুকায়া দিমু। খিক খিক খিক...
ভাইয়া ...
---------------------
সুবোধ অবোধ
মহীনের ঘোড়াগুলির অনেক গানই প্রিয়! ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ ভাইয়া ...
---------------------
সুবোধ অবোধ
“ভাল লাগে জোৎস্নায় কাশবনে ছুটতে”- এই গানটা দিয়েই মহিনের ঘোড়াগুলির সাথে আমার পরিচয়। অদ্ভুত মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুনেই গিয়েছি শুধু। কোনো একবার ব্যান্ডের এই নামকরণ নিয়ে একটা লেখা পড়েছিলাম। আর আপনার লেখায় পিছনের নায়কদের গল্প জানলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
-নিয়াজ
ধন্যবাদ আপনাকেও...
-------------------
সুবোধ অবোধ
লেখা মোটামুটি উইকি থেকে অনুবাদ মনে হচ্চে।
ব্যান্ড হিস্ট্রি মোটামুটি সব পেইজ এই একই রকম । শুধু উইকি না আরও কয়েক যায়গা তেও একই প্রায়। আর নিজের অনুভূতির কথাও আছে।
-----------------------
সুবোধ অবোধ
মহিনের ঘোড়াগুলি ব্যান্ডটার সাথে পরিচয় হল প্রায় ভার্সিটি লাইফের শেষে। আড্ডায় গান শোনার পর প্রথম কিছুদিন খালি এদের গান শুনতাম। তখন কিছুদিন এদের লুপে ছিলাম মনে হয়
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
লুপে থাকার মতই ব্যান্ড।
--------------------
সুবোধ অবোধ
বাড়লে বয়স মানুষ চেনা যায় কি,এই মহুর্তে গানগুলো বোধহয় মহিনের ঘোড়াগুলির।তবে আমি এগুলো যা শুনলাম তার সবি বোধহয় বর্তমান গায়কদের গাওয়া।এখন কি মহিনের ঘোড়াগুলি ব্যান্ড নেই।আমি কিছু গান ডাউনলোড় করেছি তাদের।তবে ভাল লাগে জোৎস্নায় কাশবনে ছুটতে” আর আকাশে ছড়ানো মেঘের কাছাকাছি এই দুটি গান পাইনি।কোথায় পাবো লিংক কি দিতে পারবেন।কিংবা অ্যালবামের নাম বলতে পারলেও হবে।
মাসুদ সজীব
'আকাশে ছড়ানো মেঘের কাছাকাছি' পাবেন "আবার বছর কুড়ি পরে"তে। 'হায় ভালবাসা' পাবেন 'মায়া'তে।
গুগল সার্চ করে দেখতে পারেন। আমার কাছে মোটামুটি সব গান থাকলেও লিঙ্ক জানা নেই। কড়িকাঠুরে ভাই এ্যালবামের নাম সহ দিয়ে দিয়েছেন। আজিজে খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন।
নতুন মন্তব্য করুন