লেদ্রো হ্রদের নাম আমার পরিচিত অনেকে শুনে থাকলেও যায়নি বা যেতে পারেনি কোনদিন। যাবার একমাত্র রাস্তাটা অনেকেই চিনে …… ইতালির বিখ্যাত গারদা হ্রদকে না ছুঁয়ে বা না দেখে লেদ্রো উপত্যকায় পা ফেলার কোনও উপায় নেই। ঝামেলাটা ওখানেই, গারদা লেকের(lago di garda) বিশালতা আর এর চারপাশ ঘিরে গড়ে উঠা পর্যটন শিল্পের অত্যাধুনিক অবকাঠামো আটকিয়ে দিবে ছুটির আনন্দ অন্বেষণে ঘরছাড়া টুরিস্টকে। কে যাবে বলুন ৩৭০ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের গারদা লেক ছেড়ে ওই ২ বর্গকিলোমিটার আয়তনের পুঁচকে লেদ্রো লেকে? আমি কিন্তু যাই, আমার মত যারা পাহাড় ঘেরা এক শান্ত উপত্যকায় একটু আপন করে পেতে চায় প্রকৃতিকে তারা গরমের ছুটিতে ভিড় করে লেদ্রো উপত্যকায়। শখের ট্র্যাকিং জুতোজোড়া আর কাঁধের ঝোলা ছাড়াও এবার সাথে থাকছে DIANA।
ত্রেনতো(trento) প্রদেশটা পাহাড়-পর্বত আর ছোট-বড় হ্রদের সমারোহে প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যের এক লীলাভূমি। আল্পস পর্বতমালা আর দোলোমিতির(dolomiti) সারিবাঁধা সুউচ্চ পাহাড়ের মাঝে গড়ে উঠা ছবির মত সুন্দর শত উপত্যকার একটি এই লেদ্রো ভ্যালি। কেন্দ্রবিন্দু অবশ্যই লেদ্রো হ্রদ, লাগো দি লেদ্রো( lago di ledro)। আশেপাশের জনপদগুলি স্বাভাবিক নিয়মেই গড়ে উঠেছে এই মিষ্টি পানির হ্রদের উপকূল ঘেঁসে।
প্রশ্ন উঠতে পারে কেন আমি গারদা লেক ছেড়ে লেদ্রো নিয়ে ফালাফালি করছি? আরে ভাই গারদা ইতালির সবচেয়ে বড় লেক হতে পারে কিন্তু উচ্চতায় তো লেদ্রোর সামনে নস্যিমাত্র! সমুদ্রপৃষ্ট থেকে মাত্র ৬৫ মিটার উঁচু গারদা হ্রদ ডিঙ্গিয়ে ৬৫৫ মিটার উঁচুতে অবস্থিত লেদ্রো হ্রদ যেতেই মনটা টানে বেশি। হাইকিং করার নেশা নিয়ে তো আগের কিছু কিস্তি সচলে লিখেছি ১ম পর্ব ২য় পর্ব। ইতালির যে প্রদেশে থাকি সেখানে ট্র্যাকিং করতে হয় সংরক্ষিত ন্যাচারাল পার্কে, আমার কুকুর DIANA বেচারির সেখানে যাওয়া মানা। ত্রেনতো প্রদেশের আইনকানুন বেশ কুকুরবান্ধব। লেদ্রো উপত্যকা তো আরেক কাঠি সরস, লেকের একটি বীচ সংরক্ষিত মানুষের আদি অকৃত্রিম বন্ধু এই চতুষ্পদী প্রাণীর জন্য। সকালের জগিংয়ে দিয়ানাকে নিয়ে পুরা লেকটাকে এক চক্কর দিলেই তো ১২ কিলোমিটার হাঁটা হয়ে যায়!
বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে ছুটি কাটানোর উত্তম স্থান লেদ্রো উপত্যকা। পিক টুরিস্ট সিজনের সন্ধ্যাগুলিও অনেক সুনসান, ডিস্কোফিস্কোর উটকো ঝামেলা নেই এখানে। সন্ধেবেলার ঝিঁঝিঁ পোকার কনসার্ট আর সাথে জোনাকির আলোর বিচ্ছুরণে লেকের জলে পাতিহাঁসের অবাধ বিচরণ প্রকৃতির এক অনন্য উপহার। ছবিও তুলেছিলাম, প্রিভিউ দেখে ক্যামেরা ভেঙ্গে ফেলতে ইচ্ছে হয়েছিল! কবে যে একটা ভাল ক্যামেরা কিনতে পারব?
ইতিহাসের পাতায় অবশ্য এই ভ্যালির নাম বেশ জ্বলজ্বলে অক্ষরে লিখা। ইতালির স্বাধীনতার প্রবাদপুরুষ জুসেপ্পে গারিবালদি(Giuseppe Garibaldi) এই হ্রদের পাড়েই ১৮৬৬ সালের ২১শে জুলাই উচ্চারণ করেছিলেন সেই বিখ্যাত উক্তি ‘ওব্বেদিসকো(obbedisco)’ যার মানে ‘মেনে নিলাম’। ইতালির রাজা ভিত্তরিও ইমানুয়েলের যুদ্ধ থামাবার সেই আদেশ যদি গারিবালদি উপেক্ষা করতেন তবে অস্ট্রিয়া আর ইতালির ম্যাপ বিশ্বমানচিত্রে ভিন্নভাবে আঁকা হতো! গারিবালদি যোদ্ধাদের দুর্গ এক দর্শনীয় টুরিস্টস্পট।
৪০০০ বছর পূর্বেকার ব্রোঞ্জযুগ আমলের কিছু প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন পাওয়া যায় লেদ্রো লেকে ৭০এর দশকে। একে ভিত্তি করেই লেকের তীরে গড়ে উঠেছে এক জাদুঘর যেখানে কৃত্রিম ভাবে সাজানো হয়েছে সেই আমলের মানুষদের কল্পিত গ্রাম আর ঘরবাড়ি। লেকের তলদেশ থেকে উদ্ধারকৃত বাসনকোসন আর অন্যান্য দ্রব্যাদি সাজিয়ে রাখা হয়েছে সেই ঘরগুলিতে। আমি যাইনি তবে দেখেছি অনেক টুরিস্ট লাইন ধরে টিকিট কাটছে। ভিড়ভাট্টা আর লাইন এড়াতেই তো আমি গিয়েছি লেদ্রো লেকে!
লেদ্রো লেকের হিম পানির রঙ সবুজাভ মনে হতো পাহাড়ের উপরে থাকা এপার্টমেন্টের বারান্দা থেকে। পানিতে সাঁতার কাটার শখ হলে ইতালিয়ানরা গাড়ি চালিয়ে পাশের গারদা লেকেই যাবে, আমি যে কয়টি আদম সন্তানকে ওই ঠাণ্ডা পানিতে জলকেলি করতে দেখেছি তারা সব হল্যান্ডের টুরিস্ট। আমার পাশের এপার্টমেন্টের পোলিশ পরিবার আর উপরের তলার স্বর্ণকেশী ডাচ মেয়েটিকেও দেখতাম ক্যানয়া বয়ে নিয়ে এসেছে জিপের ছাদে বেঁধে। সারাদিন লেকের জলে সেই ক্যানয়া বেয়ে আর বীচে রোদ গায়ে মেখে ফিরে আসত পড়ন্ত বিকেলে। তারপর শুরু হতো জলকেলি রিসোর্টের সুইমিং পুলে। সাঁতার না শেখাটা জীবনের এক বড় ভুল হয়ে থাকবে চিরকাল! আফসুস শুধুই আফসুস!
তবে ওই স্বর্ণকেশীর পুঁচকে কুকুর কি কখনো পারবে আমার দিয়ানার সাথে পাল্লা দিয়ে হাজার মিটার উঁচু পাহাড় ডিঙোতে? তিন মাস বয়স থাকতেই তো দিয়ানাকে নিয়ে প্রথমবার হাইকিঙে গিয়েছি আমি আর এখন ৭ বছরের পূর্ণবয়স্ক কুকুর। লেদ্রো লেকটা চারপাশ দিয়ে ঘিরে রেখেছে প্রায় দুই হাজার মিটার উঁচু পর্বতশৃঙ্গগুলি। হাইকিঙের উত্তম পরিবেশ আর আইনের বিধিনিষেধ না থাকাটা উপভোগ করেছি অনেক। দিয়ানা তো আশা করি অনেকদিন মনে রাখবে লেদ্রো হ্রদে যাপিত ছুটিটা।
মাউন্টেন বাইক প্রেমীদের অভয়ারণ্য হিসেবে এই উপত্যকা বেশ বিখ্যাত। রিসোর্টের সেক্রেটারি মিকেলা নিজেও এই লাইনের মানুষ। সাইকেলে চেপে পাহাড়ের চুড়ায় দলবেঁধে যাবার অনেক গল্প করেছে আমার কাছে। আমি চুপ করে থাকি, দ্বিচক্রযান চালানো শিখতেই আমি কাটিয়ে দিয়েছি ১৬টি বসন্ত! মাউন্টেন বাইক ছুঁয়ে দেখতেও আমার ভয় লাগে। ফটোগ্রাফির শখও আছে মিকেলার। বন্ধুবৎসল এই রমণী ফেসবুকের বন্ধুতালিকায় আমাকে রেখে নিজেও ধন্য হয়েছে আমাকেও ধন্য করেছে! (প্রায় হাজার ছুঁইছুঁই ওর বহুদেশি বন্ধুতালিকায় আমিই একমাত্র বঙ্গসন্তান, আমিও ওর অনুমতি নিয়ে ওর ক্যামেরায় তোলা কিছু ভাল ছবি সচলে ছেপে দিতে পারলাম)।
…… জিপসি
মন্তব্য
এক, দশ আর একুশ নম্বর ছবি তিনটি খুব সুন্দর!
......জিপসি
কি যে সুন্দর।
ওয়াও......................
বয়সটা বেড়ে যাচ্ছে। কতোকিছুই তো দেখা হলো না
বয়সতো আমারও থেমে থাকছে না.... দেখার ইচ্ছেটাও দিনদিন বাড়িয়ে দিচ্ছে অণুর মত সহ-ব্লগাররা!
হাইকিং চালিয়ে যাবো পাদুকার তলি অক্ষত থাকে যতক্ষণ!
......জিপসি
শেষ ভালো যার, সব ভালো তার।সবকটা ছবিই ভালো তবে শেষের ছবিটা একটু বেশি ভালো।লেখা মোটামুটি।
'লেখা মোটামুটি' এটা আমার অনেক বড় অর্জন! সারাজীবন মুখস্থ বিদ্যার জোরে বাংলা রচনা লিখেছি...... গাইড বই ছাড়া সচলে লিখতে গিয়ে আসলেই হিমসিম খাই!
......জিপসি
এত সুন্দর জায়গা, ছবি দেখে মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। প্রথম ছবিটায় চেয়ারটা দেখেই মনে হচ্ছে গিয়ে বসে থাকি গ্যাট হয়ে। শেষের ছবিটায় কি আপনার সাথে আপনার দিয়ানা নাকি?
দিয়ানার সাথে লেখক, একটি অতিপ্রিয় মুহুর্তের ছবি!
.....জিপসি
জায়গাটা খুব সুন্দর বোঝাই যাচ্ছে ছবি থেকে। শেষ থেকে দ্বিতীয় ছবিটা অন্যরকম সুন্দর।
অনেক ছবি আর কিছু কথার বদলে, বেশ অনেক ছবি আর বেশ কিছু কথা থাকলে পড়তে আরো ভালো লাগে।
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
ছয় প্যারা বাংলা লিখতেই হাঁপিয়ে উঠি আমি.... বয়স বাড়ছে, আলসেমিটাও বাড়ছে সমান তালে.....
.....জিপসি
বেশ ভালো লাগলো, লিখতে থাকুন।
ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .
লিখব.... পরের কিস্তি লিখছি মনে মনে.... ছুটি শেষ হয়ে আসছে, তাড়াতাড়ি করতে হবে!
.....জিপসি
শেষ থেকে দ্বিতীয় ছবি টি অসাধারণ!!!!!
গিন্নীর হাতে ক্যামেরা তুলে দিয়ে তো দেখি ভুল করিনি
.....জিপসি
প্রথম ছবির বেঞ্চে একটা বিকাল বসে থাকার লোভ হচ্ছে খুব
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
আমি বসে থাকব সারা সকাল আর আপনি সারা বিকেল বেলা! চলবে?
.....জিপসি
ছবি দেখে মন যেনো স্বপ্নাচ্ছন্ন হয়ে উঠলো! খুব হিংসে হচ্ছে!
-নিয়াজ
আমিতো শুধু ছুটিতে যাই ওখানে, সারাবছর ওই শান্ত লেকের জলে যে হাসগুলি জলকেলি করে বেড়ায় ওদের দেখলে আমারও হিংসে হয় বৈকি !
....জিপসি
শেষের আগের ছবিটা তুলনাহীণ!
****************************************
প্রথম ছবিটা অসাধারাণ, টিজারে ওটা দেখেই ঢুকলাম। এসে বোনাস হিসেবে শেষের আর তার আগের ছবিটাও পেলাম। অসাধারণ। লেখাটা সময় করে পড়ব।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
আপনার পছন্দের তিনটি ছবির একটাও আমার তোলা না, প্রথমটি আমার ফেবু বন্ধু মিকেলার আর শেষের দুটি আমার গিন্নীর হাতের কারিশমা!
মনে হচ্ছে ফটোগ্রাফি বাদ দিয়ে খাতুনগঞ্জে গিয়ে চালের ব্যবসা শুরু করাই উচিত হবে আমার!!!
......জিপসি
হেহে সেটাই, বাকি ছবিগুলার সাথে এই কয়েকটা ছবির পার্থক্য সুস্পষ্ট। আপনার বেটার হাফের ছবির হাত বেশ চমৎকার মনে হচ্ছে। ওনার তোলা ছবি নিয়ে একটা পোস্ট দিতে বলেন না! আর আপনেও আশা হারাইয়েন না, হাতের কাছে মাস্টার ফটোগ্রাফার আছে, শিখতে কয়দিন!
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
আমিতো শিইক্ষা যামু ফটুগ্রাফি, আমার গিন্নীরে অ-আ-ক-খ শিখাইবো কেডা?
......জিপসি
ফটোগ্রাফির অ-আ-ক-খ? নাকি বাংলা? উনি যদি বাংলা না জানেন, সচলে তো ইঞ্জিরি সেকশানও আছে
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
সচলায়তনে ইতালিয়ান বা স্প্যানিশ সেকশন খুলবে কবে? গিন্নীর নামে অ্যাডভান্স বুকিং করে রাখতাম !
.....জিপসি
সবার প্রথম ছবিটা আপনার তোলা?
বাপস, অবিশ্বাস্য সুন্দর!!!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আমার তোলা না, রিসোর্টের সেক্রেটারি মিকেলার ফেবু থেকে ধার করা! উনি প্রতিমাসে এইসব ছবি রিসোর্টের ওয়েবপেজে আপলোড করে টুরিস্ট ডেকে আনেন লেদ্রো ভ্যালিতে! বরফঢাকা লেদ্রো লেকের ছবি দেখে ঠিক করেছি আবার যাব
......জিপসি
সুন্দর লেখা আর অনেকগুলো ভালো ছবি। প্রথম ছবিটা খুব সুন্দর কিন্তু জিপসি-দিয়ানা জুটির দু'টি ছবিই বিশেষ ভালো লাগল।
- একলহমা
জিপসি দিয়ানা জুটির আরো কিছু সচিত্র গল্প হয়ত লিখব ভবিস্যতে
......জিপসি
মাঝে মাঝে দু:খ জাগে কতশত সুন্দর দৃশ্য নিজচোখে দেখা হবে না বলে! আপনার পোস্ট না দেখা তালিকায় একটা নতুন এন্ট্রি মাত্র!
ভালো লাগলো!
তালিকা বানিয়ে লাভ নেই, হতাশা বাড়বে বৈ কমবে না!
পৃথিবীর প্রতিটি কোনায় প্রকৃতি তার অপার সোন্দর্যের নিদর্শন সাজিয়ে রেখেছে..... একটু মনের চোখ মেলে দেখুন!
......জিপসি
প্রথম ছবিটা পোষ্টার বাধানোর মতো! ঘোরাঘুরির লোভ জাগিয়ে দিলেন।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
ছবির পুরা কৃতিত্ব মিকেলা আপার! তাকে আন্তরিক ধন্যবাদ ফেসবুকের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হয়েছে!
.....জিপসি
কী সুন্দর!
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
......জিপসি
হিট
facebook
তাই নাকি?
....জিপসি
জিপসি হতে মন চায় - ইয়ে, মানে, সত্যিকারের জিপসি ! যেসব মনকাড়া ছবি দিয়ে যাচ্ছেন অণু, রাজু ভাই আর আপনি মিলে তাতে করে ঘরে বসে থাকা দুস্কর হয়ে যাচ্ছে!
____________________________
ঘরে আপনাকে বেধে রেখেছে কে? (নাকি কিছু কথা থাক না গুপন? )
....জিপসি
হু, তারেকাণু'দার পাপের ভাগা একটু কমল... অভিশাপ যা দিমু ২ জনে ভাগ-জোগ করে খায়েন...
[শেষের ছবিটার আগের ছবিটায় ]
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
তারেক অণুরে ভালা পাই.... হেরে ওস্তাদ মানি,পুরা ভাগ তার!
আমি সাগরেদ,হুদাই বাজাই সারিন্দা!
....জিপসি
মানুষ যে কেনো এত টই টই করে! আমাদের বুঝি মন খারাপ হয় না?
যাকগে, পাহাড়ের ওপর মেঘের সব ছবিই ভালু পাইলাম। উইপিং উইলো গাছটাও আমার প্রাণের গাছ। ডায়ানাও খুব সুন্দরী
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
গাছটাতো দেখি ঠিকই চিনেছেন! ইতালির সব লেকের পাড়েই এই উইলো গাছের এক পিস ঠায় দাড়িয়ে আছে...... যেন গরীব ফটোগ্রাফারের বিনে পয়সার মডেল!!!!
সুন্দরী দিয়ানাকে ধন্যবাদ জানিয়ে কাল ডিনারে আধখানা পিজ্জা সার্ভ করা হয়েছে!
......জিপসি
ইস কি সুন্দর , মন খারাপ হয় যায় এইসব ছবি দেখলে , এই জীবনে এত সুন্দর সুন্দর জায়গা দেখা হবে না( দীর্ঘশ্বাসের ইমো ), আমাদের মত অভাগাদের জন্য আপনারাই ভরসা (আবার দীর্ঘশ্বাস)
ইসরাত
যেদিন থেকে সচলায়তনে ঘোরাঘুরি শুরু করেছি মনের চোখটাও যেন আস্তে আস্তে খুলতে শুরু করেছে, আশেপাশের অতি সামান্য দৃশ্যও ভালবাসতে শিখেছি!
আমি এখন বিশ্বাস করি প্রকৃতি এক অপার বিশ্বয়, আমাকে আপনাকে শুধু তা অবলোকন করতে হবে হৃদয়ের দৃষ্টি দিয়ে !
.....জিপসি
নতুন মন্তব্য করুন