• Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_clear_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_electoral_list_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_results_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_writeins_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).

গ্রীক মিথলজি ১১ (আফ্রোদিতির গল্পকথা- আফ্রোদিতি, হেফাস্টাস ও অ্যারিসের ত্রিমুখী প্রেম)

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ২৬/০৮/২০১৩ - ১০:৩৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গ্রীক মিথলজিতে জিউসের পর সবচেয়ে বর্নিল অলিম্পিয়ান হচ্ছেন আফ্রোদিতি। দেবতা থেকে শুরু করে মানুষ- সবাইকেই তিনি বিমোহিত করেছেন তার রহস্যময় চরিত্র দিয়ে। ভালোবাসার দেবী নিজেও অনেককে ভালোবেসেছেন, অনেকের ভালোবাসাও পেয়েছেন। আবার কখনো হয়েছেন ছলনাময়ী, প্রতিশোধপরায়না।

আফ্রোদিতির জন্মঃ

আফ্রোদিতির জন্ম নিয়ে বেশকিছু মিথ প্রচলিত। সবচেয়ে বেশি প্রচলিত মিথটি বলেছেন হেসিয়ড, তার থিওগোনীতে। সৃষ্টির প্রথম দিকে গায়ার প্ররোচনায় যখন ক্রোনাস অনমনীয় কাস্তে দিয়ে ইউরেনাসকে নপুংসক করেন, তখন ইউরেনাসের অন্ডকোষসহ জননাঙ্গটি সমুদ্রের যেখানে ফেলা হয়েছিলো, সেখানের ফেনা থেকে উত্থিত হয়েছিলেন দেবী আফ্রোদিতি, এজন্য আফ্রোদিতিকে বলা হয়ে থাকে “ফেনা থেকে উদ্ভূত”। এই সমুদ্র জন্মটি ঘটেছিলো সিথেরার অদূরে, সেখান থেকে ঝিনুকে করে আফ্রোদিতিকে ভাসিয়ে নেওয়া হয় সাইপ্রাসে। হেসিয়ডের এই বর্ণনা অনুযায়ী আফ্রোদিতি হচ্ছেন সবচেয়ে পুরানো অলিম্পিয়ান।


আফ্রোদিতির জন্ম (শিল্পী- সান্দ্রো বোট্টিচেলি)

হোমার অবশ্য অন্য কথা বলেছেন। তিনি তার ইলিয়াডে লিখেছেন, আফ্রোদিতি হচ্ছেন জিউস এবং ডিয়নের সন্তান। ডিয়নে কে ছিলেন সেটা অবশ্য পরিষ্কার নয়। এপোলোডোরাস এক জায়গায় বলেছেন, ডিয়নে হচ্ছেন ইউরেনাস এবং গায়ার সন্তান। আবার অন্য জায়গায় বলেছেন ডিয়নে হচ্ছেন একজন নেরেইড (সমুদ্র দেবতা নেরেউস এবং ওসেনিড ডরিসের সন্তানদের নেরেইড বলা হয়)। হেসিয়ড ডিয়নে-কে একজন ওসেনিড (টাইটান ওসেনাস এবং টেথিসের তিন হাজার সমুদ্র নিম্ফ) হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন।


আফ্রোদিতির জন্ম (শিল্পী- উইলিয়াম এডলফে বোগিউরিউ, ১৮৭৯ সাল)

সিরিয়ান মিথেও আফ্রোদিতের জন্মকাহিনী আছে। সেখানে অবশ্য আফ্রোদিতির জন্ম হয়েছে ডিম থেকে। ডিমটি ছিলো ইউফ্রেটিস নদীতে, মাছ সেটিকে তীরে নিয়ে আসে এবং পেঁচা সেই ডিমের উপর বসে গরম করলে সেখান থেকেই আফ্রোদিতির জন্ম হয়।

আফ্রোদিতি, অ্যারিস এবং হেফাস্টাসের ত্রিমুখী প্রেমঃ

এরোস- ভালোবাসার আদি দেবতা। অনেকেই এই এরোসের সাথে আফ্রোদিতির ছেলে এরোস বা কিউপিডকে মিশিয়ে ফেলেন। আবার অনেকেই বলেন দুই এরোসই একই ব্যক্তি, হয়তোবা আদি দেবতা, নতুবা আফ্রোদিতির ছেলে। সে যাই হোক, এই মিথ অনুযায়ী এরোস হচ্ছেন আদি দেবতা। আর অ্যারিস হচ্ছেন যুদ্ধ দেবতা- জিউস এবং হেরার সন্তান। হোমার লিখেছেন, পিতা-মাতা উভয়ই অ্যারিসকে ঘৃণা করতেন। অ্যারিস ছিলেন খুনী, রক্তপিপাসু এবং মানুষের জন্য অভিশাপ, ছিলেন অনেকটা কাপুরুষ চরিত্রের। সেই তিনি একদিন যুদ্ধক্ষেত্র থেকে এসে ভালোবাসার আদি দেবতা এরোসের যুদ্ধাস্ত্র নিয়ে উপহাস করতে লাগলেন। এরোস মনে মনে অন্য চিন্তা করে অ্যারিসের দিকে একটি জ্যাভলিন এগিয়ে ধরলেন। বললেন, “এটি খুব ভারী। চেষ্টা করো এটিকে ধরে রাখতে পারো কি না!” সেখানে ছিলেন আফ্রোদিতি, মুচকি হাসলেন তিনি। অ্যারিস জ্যাভলিন ধরতে গিয়ে বুঝতে পারলেন এটি কতো ভারী! তিনি অস্ফুট স্বরে বলে উঠলেন, “আহ! খুবই ভারী!” এরোস বললেন, “এটি রাখো, তোমার নিজের কাছে,” এবং সেই সময়েই আফ্রোদিতি এবং অ্যারিসকে পরস্পরের প্রেমাস্পদ করে দিলেন, একই সাথে ব্যবস্থা করলেন এমন এক ঘটনার যার জন্য একদিন সব দেবতাদের সামনে অ্যারিস উপহাসের পাত্র হবেন।

জিউস যখন নিজে নিজে এথেনাকে জন্ম দেন, সেটা দেখে ঈর্ষাকাতর হেরারও ইচ্ছা হয় কোনো পুরুষ দেবতা ছাড়া সন্তান জন্ম দেবার। তিনি এভাবে জন্ম দিলেন হেফাস্টাসের। কিন্তু সকল দেবতাদের মধ্যে একমাত্র তিনিই ছিলেন বিকলাঙ্গ এবং কুৎসিত, ছিলেন এক পা খোঁড়া। হেরা হেফাস্টাসের এই বিদ্ঘুটে রুপ দেখে অপমানে হতাশায় হেফাস্টাসকে স্বর্গ থেকে ছুড়ে ফেলে দিলেন। কেউ কেউ বলেন, হেরা নয়, জিউসই ছুড়ে ফেলেছিলেন। বীর একিলিসের মা থেটিস এবং ইউরিনোমে (থেটিসের আরেক বোন, যিনি কিনা জিউসের তৃতীয় স্ত্রী ছিলেন) হেফাস্টাসকে উদ্ধার করে ওকেনোস নদীর তীরে লেমনস দ্বীপের এক গুহাতে লালন-পালন করেন, সেখানে হেফাস্টাস কাজ শিখতে শিখতে হোন দক্ষ কামার, দেবতাকুলের একমাত্র কামার। মা হেরার আচরনে ক্ষুদ্ধ হেফাস্টাস অলিম্পিয়ানদের জন্য বিভিন্ন উপহার পাঠান, যেগুলোর মধ্যে ছিলো হেরার জন্য একটি সোনার সিংহাসন। সেই সিংহাসনে বসা মাত্রই হেরা একেবারে লেগে গেলেন, আর উঠতে পারছিলেন না। তখন জিউস হেরাকে সাহায্য করতে এগিয়ে এলেন। তিনি হেফাস্টাসকে বললেন, আফ্রোদিতির সাথে হেফাস্টাসের বিয়ে দিবেন, যাতে করে হেফাস্টাস আবার স্বর্গে আসতে পারেন। আফ্রোদিতি এই বিয়েতে প্রথমে রাজী হলেন না, বরঞ্চ তার প্রেমিক অ্যারিসকে বললেন যুদ্ধে হেফাস্টাসকে পরাজিত করে হেরাকে মন্ত্র পড়া সিংহাসন থেকে উদ্ধার করতে।

অ্যারিস ঝড়ের বেগে হেফাস্টাসের কাছে ছুটে গেলেন, কিন্তু জ্বলন্ত ধাতুর আঘাত সহ্য করতে না পেরে পালিয়ে গেলেন। দেবতা ডিওনিসুস তখন হেফাস্টাসের কাছে গিয়ে পরামর্শ দিলেন, হেফাস্টাস তখনই আফ্রোদিতিকে দাবি করতে পারবেন, যখন তিনি স্বেচ্ছায় হেরাকে সিংহাসন থেকে মুক্ত করবেন। হেফাস্টাস খুশি হয়ে ডিওনিসুসের পরামর্শ গ্রহন করলেন, তার সাথে স্বর্গে এলেন, হেরাকে সিংহাসন থেকে মুক্ত করলেন এবং অনিচ্ছুক ভালোবাসার দেবী আফ্রোদিতিকে বিয়ে করলেন। সুন্দরের সাথে অসুন্দরের মিলন ঘটলো এভাবেই।

কিন্তু ভালোবাসার দেবী আফ্রোদিতি নিজেই বোধহয় বিয়ের শপথ ঠিকমতো উচ্চারণ করেননি! তাই হেফাস্টাসের সাথে তার বিয়ে সুখের হলো না। বিয়ের পরও তিনি অ্যারিসের সাথে গোপনে সম্পর্ক বজায় রাখলেন। একদিন আফ্রোদিতি গোপন অভিসারে অ্যারিসের প্রাসাদে গেলেন। প্রেমে মশগুল আফ্রোদিতি খেয়ালই করেননি কখন যে রাত শেষ হয়ে ভোর হতে শুরু করেছে! সূর্য দেবতা হেলিওস ততক্ষনে তার চ্যারিয়টে করে প্রতিদিনের প্রাতভ্রমনে বের হয়েছেন। তিনি যখন আকাশে উঠলেন, দেখতে পেলেন দুই প্রেমিক-প্রেমিকাকে ভালোবাসায় মত্ত। অলিম্পাসের সবাই জানতো আফ্রোদিতি খুবই স্বামী অনুগতা। হেলিওস তাই খুব অবাকই হলেন, কিন্তু কালবিলম্ব না করে তিনি হেফাস্টাসের কাছে ছুটে গেলেন এবং যা যা দেখেছেন সবকিছু খুলে বললেন।


শিল্পীর তুলিতে আফ্রোদিতি এবং অ্যারিস

সবকিছু শুনে হেফাস্টাস প্রথমে খুব ব্যথিত হলেন। এরপর ক্ষুদ্ধ হয়ে তিনি একটি ব্রোঞ্জের জাল তৈরী করলেন এবং সেটিকে তাদের (হেফাস্টাস এবং আফ্রোদিতি) বাসর রাতের বিছানাতে গোপনে স্থাপন করলেন।

আফ্রোদিতি অ্যারিসের নিকট হতে এসে হেফাস্টাসকে বললেন তিনি অন্য একটা কাজে দূরে গিয়েছিলেন। আফ্রোদিতির কথা বিশ্বাস করলেন, এমন ভাব করে হেফাস্টাস বললেন, তিনিও অন্য একটি কাজে বেশ কিছুদিনের জন্য দূরে কোথাও যাবেন। হেফাস্টাস যখনই চলে গেলেন, তখনই আফ্রোদিতি অ্যারিসের কাছে খবর পাঠালেন। অ্যারিস সঙ্গে সঙ্গে এসে সেদিনের সন্ধ্যাটাকে রঙ্গীন করে তুলতে লাগলেন। তারা দুইজনই সুখীভাবে বিছানাতে গেলেন। কিন্তু হায়! সহসাই তারা আবিষ্কার করলেন, তারা ব্রোঞ্জের জালে আটকা পড়েছেন, কিছুতেই সেখান থেকে মুক্ত হতে পারছেন না। ঠিক এমন সময়ই হেফাস্টাস এলেন এবং দেখলেন তার পাতা ফাঁদে আটকা পড়েছেন আফ্রোদিতি এবং অ্যারিস- সম্পূর্ণ নগ্ন অবস্থায়।


কার্টুন- হেফাস্টাসের জালে বন্দী আফ্রোদিতি এবং অ্যারিস

এই প্রেমিক যুগলকে আরো অপমান, অপদস্ত করার জন্য হেফাস্টাস অন্যান্য দেবতাদের ডেকে আনলেন এবং সবাইকে দেখাতে লাগলেন নিষিদ্ধ প্রেমের দৃশ্য। সমস্ত দেবতারা তাড়িয়ে তাড়িয়ে আফ্রোদিতিকে দেখতে লাগলেন (এভাবেই আদি দেবতা এরোসের যুদ্ধাস্ত্র নিয়ে করা উপহাসের জবাব পেলেন অ্যারিস)। দেবতা এপোলো হার্মিসকে একান্তে বলতে লাগলেন, “আমি বাজি ধরতে পারি, তুমি যদি অ্যারিসের জায়গায় হতে, খুব একটা কিছু মনে করতে না!” হার্মিস মুচকি হেসে জবাব দিলেন, “বার বার যদি আফ্রোদিতির সাথে আমি এইভাবেই জালে আটকা পড়ি, আর সব দেবতা যদি দেখতেও থাকে, আমি কখনই কিছু মনে করবো না!” কিন্তু এই পুরো ব্যাপারটিতেই দেবরাজ জিউস কিছুটা বিরক্ত হলেন।


ব্রোঞ্জের জালে বন্দী আফ্রোদিতি এবং অ্যারিস, দেবতারা তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করছেন!

হেফাস্টাস বলতে লাগলেন যতক্ষণ না পর্যন্ত জিউস আফ্রোদিতিকে হেফাস্টাস বিয়ে উপলক্ষে যেসব উপহার দিয়েছিলেন, সেগুলো ফেরত না দিবেন, ততক্ষন পর্যন্ত জাল থেকে এই প্রেমিক যুগলকে মুক্ত করবেন না। প্রবীন এবং প্রাজ্ঞ জিউস এই পারিবারিক কোন্দলে নিজেকে জড়াতে চাইলেন না, কিন্তু একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপারকে সবার সামনে এইভাবে উন্মুক্ত করার জন্য হেফাস্টাসকে তিরস্কার করলেন।
সমুদ্র অধিপতি পসাইডন ততক্ষনে আফ্রোদিতির অপার সৌন্দর্যে সম্পূর্ণরুপে বিমোহিত। তিনি চিন্তা করলেন আফ্রোদিতির দৃষ্টি আকর্ষনের এই সুযোগ। হেফাস্টাসের পক্ষ নেবার ভান করে পসাইডন বললেন, “জিউস কেনো উপহারগুলো ফেরত দিবে? বরঞ্চ এই ন্যাক্কারজনক কাজের জন্য দায়ী অ্যারিসকেই উপহারগুলো ফেরত দিতে হবে”।

হেফাস্টাস শর্তাধীনে রাজি হলেন। তিনি বললেন, “যদি অ্যারিস উপহারগুলো ফেরত না দেয়, তাহলে পসাইডনকেই জালে বন্দী হয়ে থাকতে হবে”। তাড়াহুড়ো না করে ধীরে সুস্থে পসাইডন বললেন, “আমি বিশ্বাস করি, অ্যারিস সেরকম করবে না। কিন্তু যদি সামান্যতম সম্ভাবনাও থাকে, তাহলে আমি পসাইডন, সমুদ্র রাজ, প্রতিজ্ঞা করছি, আমিই আফ্রোদিতিকে বিয়ে করে উপহারগুলো হেফাস্টাসকে ফেরত দিবো”। পসাইডনের এই কথা শুনে এপোলো আর হার্মিস হো হো করে হেসে উঠলেন, তাদের আর পসাইডনের আসল উদ্দেশ্য বুঝতে বাকী রইলো না!

অ্যারিসকে মুক্তি দেওয়া হলো। আফ্রোদিতি পাফোস নামক এক জায়গায় গেলেন কিছু সামুদ্রিক রীতির মাধ্যমে নিজের সতীত্ব পুনরুদ্ধার করতে! কিন্তু মুক্তি পাওয়ার পর অ্যারিস উপহারগুলো দিতে অস্বীকার করলেন। এক পর্যায়ে হেফাস্টাস নিজেও সবকিছু ভুলে গেলেন, আফ্রোদিতিকে ক্ষমা করে দিলেন। কারণ, এই কুৎসিত অসুন্দর কিন্তু কর্মঠ কামার দেবতা সত্যিকার অর্থেই আফ্রোদিতিকে অসম্ভব ভালোবাসতেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শেষ রক্ষা হলো না!

হেফাস্টাসের সাথে আফ্রোদিতির বিচ্ছেদ হয়। সেই সময়েই হেফাস্টাস এক পর্যায়ে এথেনাকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেছিলেন। হার্মিস আফ্রোদিতির অপার সৌন্দর্যের প্রশংসা করেছিলেন বলে আফ্রোদিতি একরাত হার্মিসের সাথে কাটিয়েছিলেন। তাদের মিলনের ফলে জন্ম নিয়েছিলেন হার্মাফ্রোডাইটাস- অর্ধেক নারী, অর্ধেক পুরুষ (পৃথিবীর প্রথম হিজড়া?)। পসাইডনকেও বিমুখ করেননি আফ্রোদিতি। জালের বন্দীত্ব থেকে মুক্ত করার কৃতজ্ঞতাস্বরুপ আফ্রোদিতি পসাইডনের সাথেও একরাত থাকলেন। তাদের মিলনের ফলে জন্ম নিলেন দুইজন পুত্র সন্তান –রোডাস এবং হিরোফিলাস। মিথে দেখা যায়, ট্রয়ের যুদ্ধের সময় আফ্রোদিতি অ্যারিসের স্ত্রী ছিলেন। তাদের কয়েকজন সন্তানেরও জন্ম হয়, এদের মধ্যে একজন ছিলেন হারমোনিয়া। এই হারমোনিয়ার উপরেই হেফাস্টাস তার প্রতি আফ্রোদিতির অকৃতজ্ঞতার প্রতিশোধ নেন (হারমোনিয়ার কাহিনী বিস্তারিতভাবে পরে আছে)। তাদের আরেক সন্তান ছিলেন এরোস (অনেকে একে ভালোবাসার আদি দেবতা বলেন, কিন্তু রোমানরা বলেন কিউপিড, এরোসের কাহিনীও কিউপিড এবং সাইকী পর্বে বিস্তারিত থাকবে)।

এত ঘটনার পরও আফ্রোদিতি আবার একদিন এক গভীর প্রেমে পড়লেন, এবার এক অসম্ভব সুদর্শন মানবের- অ্যাডোনিস।

এই সিরিজের পূর্বের লেখাগুলোঃ

গ্রীক মিথলজি (১-৭) : সৃষ্টিতত্ত্ব (ক্যায়োস থেকে ডিওক্যালিয়নের প্লাবন পর্যন্ত)
গ্রীক মিথলজি ৮ : জিউস, মেটিস এবং এথেনার জন্ম
গ্রীক মিথলজি ৯: এথেনার গল্পকথা- প্রথম পর্ব
গ্রীক মিথলজি ১০: এথেনার গল্পকথা- দ্বিতীয় (শেষ) পর্ব

লেখকঃ

এস এম নিয়াজ মাওলা

ছবি সূত্রঃ ইন্টারনেট


মন্তব্য

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

এই জন্যই বলি কলা রাখতে হয় প্যাকেট করে :P

(পপ্পন)

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

বেচারাথেরিয়াম এর ছবি

=))

অতিথি লেখক এর ছবি

(Y)
- একলহমা

অতিথি লেখক এর ছবি

ভুল জায়গায় মন্তব্য পোস্টাইছিলাম। ঠিক জায়গায় বসায় দিলাম।
- একলহমা

অতিথি লেখক এর ছবি

নো প্রবলেম ভাইয়া!

-নিয়াজ

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

:))

____________________________

অতিথি লেখক এর ছবি

হা হা হা, হাসতে হাসতে গড়িয়ে গেলাম যে ভাই!

-নিয়াজ

বেচারাথেরিয়াম এর ছবি

আজকের পর্বটা চমৎকার হইছে। =DX

অতিথি লেখক এর ছবি

অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভালো থাকুন খুব।

-নিয়াজ

অতিথি লেখক এর ছবি

পুরা গ্রীক পুরাণ-ই মারপিট আর অইসব কামকাজের গল্পে ভরপুর।
তবে, এইসব পুরাণ-কাহিনী গুলো যেন দেশ-কাল নির্বিশেষে সমাজের নানারকম আয়না।
চমৎকার চলছে, নিয়াজ-ভাই।
- একলহমা
(মন্তব্য কোথায় বসাতে চাই, আর কোথায় চলে যায়!)

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার চমৎকার মন্তব্য আমাকে আরো অনুপ্রানিত করছে একলহমা ভাইয়া।
ভালো থাকুন খুব।

-নিয়াজ

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

আফ্রোদিতি তো দেখছি বারনারীর মত - সবার সাথেই রাত কাটিয়েছে!!!

____________________________

অতিথি লেখক এর ছবি

কথাটা একেবারে ভুল বলেন নাই প্রফেসর ভাইয়া! আফ্রোদিতি হচ্ছে মহিলা জিউস!

-নিয়াজ

অতিথি লেখক এর ছবি

দারুন, মিথলজি ভাল পাই (Y) (পপ্পন)
ইসরাত

অতিথি লেখক এর ছবি

অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ডাক্তার আপু।

-নিয়াজ

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

চলুক

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনাদের জন্যই চলছে কবি ভাইয়া। ভালো থাকুন খুব।

-নিয়াজ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।