অনেক অনেক দিন আগে গ্রীস দেশের পাফোস নগরীতে এক রাজা ছিলেন। কেউ কেউ বলেন, তিনি ছিলেন সিনাইরাস, আবার কেউ কেউ বলেন তিনি ছিলেন থিয়াস। এখানে আমরা সিনাইরাসই বলবো। সময়টা তখন ট্রোজান যুদ্ধের আশেপাশে। রাজা সিনাইরাস প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যুদ্ধে পঞ্চাশটি যুদ্ধ জাহাজ পাঠাবেন, কিন্তু প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করে পাঠালেন মাত্র একটি। সে যাই হোক, স্মার্না নামে তার একজন খুব সুন্দরী কন্যা ছিলেন। এতোই সুন্দরী ছিলেন যে, আশে পাশে তার নাম ছড়িয়ে পড়েছিলো। স্মার্নার মা, সেই দেশের রানী, একদিন গর্ব করে বলেই ফেললেন, “আমার মেয়ে স্মার্না দেবী আফ্রোদিতির চেয়েও সুন্দর!” আফ্রোদিতি এই কথা শুনলেন, এবং স্বাভাবিকভাবে মোটেই খুশি হলেন না। নিজেকে অপমানিত বোধ করলেন। ঠিক করলেন এই কথার প্রতিশোধ নিবেন।
প্রতিশোধ নিতে গিয়ে আফ্রোদিতি এক অদ্ভুত উপায় বের করলেন। স্মার্না নিজের বাবা রাজা সিনাইরাসের প্রেমে পড়লেন এবং অপরাধবোধে বিদ্ধ হতে লাগলেন। একসময় এই মানসিক টানাপোড়ন সহ্য করতে না পেরে স্মার্না আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিলেন। দেবী দিমিতারের শস্য উৎসবে যখন সবাই ব্যস্ত ছিলেন, সেই সময়ে স্মার্না আত্মহত্যা করতে যাচ্ছিলেন, ঠিক তখনই রাজা সিনাইরাসের এক সেবিকা হিপ্পোলিটা এসে পড়ায় আর আত্মহত্যা করতে পারলেন না। হিপ্পোলিটা মমতা মাখানো কন্ঠে বললেন, “কি তোমার কষ্ট? আমায় বলো। আমি তোমায় কথা দিচ্ছি, তোমায় আমি সাহায্য করবো”।
হিপ্পোলিটার কাছে হুড়মুড় করে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়লেন স্মার্না। গড় গড় করে বলে দিলেন নিজ পিতার প্রতি নিষিদ্ধ আসক্তির কথা। আর বললেন সেই অমর উক্তি- “মানব সভ্যতা বিদ্বেষপূর্ণ বিধান রচনা করেছে। প্রকৃতি যা অনুমোদন করে, ঈর্ষান্বিত বিধান তা নিষেধ করে”। হিপ্পোলিটা স্মার্নার কথা শুনে চমকে উঠলেন। কিন্তু তিনি যেহেতু প্রতিজ্ঞা করেছেন, তাই স্মার্নাকে বললেন, “চিন্তা করো না। একটা ব্যবস্থা করছি”।
একদিন রাতে রাজা সিনাইরাস মাতাল হয়ে আছেন। হিপ্পোলিটা বললেন, “প্রভু, আপনার জন্য একজন দাসী আকুল হয়ে আছেন। তিনি আপনার জন্য আপনার বিছানাতে অপেক্ষা করে আছেন”। সিনাইরাস আমোদিত হয়ে উত্তেজিত ভঙ্গিতে বিছানার দিকে এগিয়ে গেলেন। আধো অন্ধকারে নিজের মেয়ের সাথে মিলিত হলেন, অথচ চিনতে পারলেন না।
সিনাইরাসের বিছানাতে স্মার্নাকে নিয়ে যাচ্ছে হিপ্পোলিটা (শিল্পী- ভার্জিল সোলিস)
এভাবে বারো রাত পেরিয়ে যাবার পর সিনাইরাসের একবার ইচ্ছে হলো- যার সাথে তিনি বিছানাতে ঘুমাচ্ছেন তাকে দেখার। সেই রাতে সিনাইরাস বিছানাতে এসে স্মার্নাকে বুঝতে না দিয়েই কুপিতে আগুন জ্বালালেন এবং দেখতে পেলেন স্মার্নাকে- নিজেরই কন্যা সন্তান! রাগে, ক্ষোভে, অপমানে তিনি স্মার্নাকে তরবারী হাতে ধাওয়া করলেন। স্মার্নাও পালিয়ে গেলেন বনের দিকে। পালাতে পালাতে দেবতাদের কাছে প্রার্থনা করলেন এই বিপদ থেকে রক্ষা করতে। দেবতারা দয়াপরবশ হলেন স্মার্নার উপর। বর্তমান যুগের সিরিয়া- লেবাননের কোথাও দেবতারা স্মার্নাকে একটি গাছে পরিণত করেন, সেই গাছটির নামও হয় স্মার্না গাছ।
স্মার্নার তার পিতার নিকট হতে পালিয়ে বনে বাদাড়ে দৌড়ানোর সম্ভাব্য পথপরিক্রমা
(ঐতিহাসিকভাবে এটি যে সময়ের ঘটনা, দেখা যায়, সেই সময়ে রাজারা কোনো পুত্র সন্তান না থাকলে, রাজদন্ড নিজের রক্তের মধ্যে রাখার জন্য নিজের কন্যা সন্তানকেই বিয়ে করেন। কোনো কোনো ঐতিহাসিক বলেন, রাজা সিনাইরাসের ক্ষেত্রেও এই রকম ঘটনা ঘটেছিলো। তিনি নিজেই স্বেচ্ছায় মন্দিরের সবচেয়ে কমবয়সী পুরোহিতানীকে, যিনি কি না তারই কন্যা ছিলেন, বিয়ে করেন।)
নরকে স্মার্না (শিল্পী- গুস্তাভ ডোরে, ১৮৮৩ সাল)
স্মার্না যখন গাছে পরিণত হোন, ততদিনে তিনি গর্ভবতী, তার গর্ভে ছিলো তখন তারই পিতা সিনাইরাসের সন্তান। তাই গাছে পরিণত হওয়ার নয় মাস পর, স্মার্না গাছটি একদিন ফেটে যায় এবং সেখান থেকে বের হয় এক অনিন্দ্য সুন্দর শিশু- পরবর্তীতে এই শিশুটিই পরিচিত হোন অ্যাডোনিস নামে। তখন সেই পথ দিয়েই কোথাও যাচ্ছিলেন প্রেমের দেবী আফ্রোদিতি। তিনি শিশুটিকে দেখলেন, কি হলো তার আমরা কেউ জানি না, আফ্রোদিতি একটি সিন্দুকের ভিতরে শিশুটিকে লুকিয়ে রাখলেন এবং সেই সিন্দুকটি রাখতে দিলেন পাতালপুরীর রানী পার্সিফোনের কাছে।
অ্যাডোনিসের জন্ম (শিল্পী- মারকান্টোনিও ফ্রাঞ্চেসচিনি, ১৬৮৫ থেকে ১৬৯০ সালের ভিতরে অঙ্কিত)
পার্সিফোন অদম্য কৌতুহল নিয়ে সিন্দুকটি খুলে দেখেন এবং অসম্ভব সুন্দর শিশুটিকে দেখে তাকে লালন পালন করতে থাকেন। অ্যাডোনিস যখন যুবকে পরিণত হোন, সুন্দরের সংজ্ঞাই যেনো তখন অ্যাডোনিস। অ্যাডোনিসকে দেখে দেবী আফ্রোদিতি নিশ্চল হয়ে গেলেন, বললেন, “এতো আমারই!” পার্সিফোনের কাছে দাবী করলেন অ্যাডোনিসকে ফিরিয়ে দিতে। কিন্তু ততদিনে পার্সিফোনও অ্যাডোনিসে মুগ্ধ, তিনি অ্যাডোনিসকে ফিরিয়ে দিতে অস্বীকার করলেন।
শিল্পীর তুলিতে যুবক অ্যাডোনিস
ব্যাপারটি জিউসের কাছে পর্যন্ত চলে গেলো। জিউস সমস্যাটির সমাধানের জন্য মিউজ ক্যাললিওপিকে দায়িত্ব দিলেন। ক্যাললিওপি তখন বছরের অর্ধেক সময় পার্সিফোনের কাছে এবং বাকী অর্ধেক সময় আফ্রোদিতির কাছে অ্যাডোনিসকে থাকার আদেশ দিলেন, ঠিক যেভাবে পার্সিফোন নিজেই বছরের ছয় মাস থাকতেন পাতালপুরীতে হেডিসের সাথে, বাকী ছয়মাস থাকতেন পৃথিবীতে মা দিমিতারের সাথে। কিন্তু এই রায়ের ফলে আফ্রোদিতি ক্রোধে উন্মত্ত হয়ে গেলেন। ক্যাললিওপির পুত্র অর্ফিউস তখন ছিলেন থ্রাসে। থ্রাসের নারীদের প্রতি আবার আফ্রোদিতির ছিলো দারুণ প্রভাব। আফ্রোদিতির প্রভাবের কারণেই থ্রাসের নারীরা সবাই অর্ফিউসের প্রেমে পড়ে গেলেন এবং ভালোবাসা ভাগ করে নেওয়ার মতো অর্ফিউসের অঙ্গ প্রত্যঙ্গও ছিন্নভিন্ন করে নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিলেন। এভাবেই যেনো আফ্রোদিতি ক্যাললিওপিকে বুঝিয়ে দিলেন ভালোবাসার মানুষকে কখনই কারো সাথে সমান অংশীদার করা যায় না! কিন্তু এতেও পরিস্থিতির খুব একটা বদল হলো না। জিউস নিজেই বিচারের দায়িত্ব নিলেন এবং এবার বছরকে সমান তিন ভাগে ভাগ করে দিলেন। একভাগ পার্সিফোনের, একভাগ আফ্রোদিতির এবং একভাগ অ্যাডোনিসের নিজের। আফ্রোদিতি জিউসের সিদ্ধান্ত অমান্য করতে পারলেন না, কিন্তু কীভাবে যেনো অ্যাডোনিসের নিজের সময়টা আফ্রোদিতি পেয়ে গেলেন! প্রকৃতপক্ষে অ্যাডোনিসেরও আফ্রোদিতির সাথে সময় কাটাতেই যেনো ভালো লাগতো।
আফ্রোদিতি এবং অ্যাডোনিস ভালোবাসায় মত্ত (শিল্পী-টিজিয়ানো ভেসেল্লিও, পঞ্চদশ শতকের দিকে)
বহু বছর আফ্রোদিতি এবং অ্যাডোনিস একসাথে স্বামী –স্ত্রীর মতোই সময় কাটালেন। তারা একসাথে শিকারে যেতেন, গল্প করতেন- কত কী! কিন্তু সুখতো চিরস্থায়ী নয়! একদিন এলো সেই ভয়ংকর দিন। আফ্রোদিতি কোনো একটি কাজে দূরে কোথাও গিয়েছিলেন। যাওয়ার আগে অ্যাডোনিসকে বন্য হিংস্র জন্তু শিকার করতে নিষেধ করে গিয়েছিলেন। কিছু একটা তিনি সন্দেহ করেছিলেন বটে! ঘটনার এই পর্যায়ে আবার পার্সিফোনের ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। অ্যাডোনিস তার নিজের সময় আফ্রোদিতিকে দিয়েছিলেন, ব্যাপারটি কখনই পার্সিফোন মেনে নিতে পারেননি। তিনি আফ্রোদিতির আরেক প্রেমিক যুদ্ধবাজ দেবতা অ্যারিসকে বললেন, “অ্যারিস, তোমার আফ্রোদিতি আর তোমার নেই! সে এখন এক মরণশীলের কব্জায়”। রাগে, ক্ষোভে, ঈর্ষায় অ্যারিস এক ভয়ংকর সুন্দর বন্য শুকরের ছদ্মবেশে অ্যাডোনিসের সামনে এলেন। এই ভয়ংকর সুন্দর বন্য শুকরটিকে দেখে অ্যাডোনিস আফ্রোদিতির নিষেধ বাণী ভুলে গেলেন। তিনি বন্য শুকরটি শিকারে মত্ত হয়ে গেলেন।
অ্যাডোনিস তার সাথে থাকা শিকারী কুকুরদের সহায়তায় কোনঠাসা করে ফেললেন সেই অ্যারিসরুপী বন্য শুকরটিকে। ছুড়ে মারলেন তার বর্শা, কিন্তু খুব সামান্যই আহত হলো শুকরটি। এবার পাল্টা আক্রমন করলো শুকরটি, তেড়ে এলো অ্যাডোনিসের দিকে এবং ধারালো দাঁত দিয়ে ক্ষত বিক্ষত করে ফেললো অ্যাডোনিসকে। অ্যাডোনিস আর্তনাদ করে উঠলেন। সেই সময়ে আকাশপথে আফ্রোদিতি তার কাজ শেষ করে অ্যাডোনিসের দিকেই আসছিলেন। তিনি দূর থেকেই শুনলেন অ্যাডোনিসের করুণ আর্তনাদ, আফ্রোদিতি ঝড়ের গতিতে এলেন অ্যাডোনিসের কাছে।
অ্যাডোনিসের তখন শেষ সময়, তার শরীর থেকে তখন প্রবল ধারায় লাল রক্ত ঝরছে, চোখ দুটি হয়ে উঠেছে ভারী এবং অন্ধকার। দেবী চুমু দিলেন অ্যাডোনিসের তুষার শুভ্র কপালে, চুমু দিলেন ঠোঁটে, কিন্তু মৃত্যুপথযাত্রী অ্যাডোনিস তা বুঝতেও পারলেন না। আফ্রোদিতিও যেনো দুমড়ে মুচড়ে শেষ হয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি অ্যাডোনিসের কানে কানে বলতে লাগলেন, “তুমি চলে যাচ্ছো, হে প্রিয়তমা! আর আমার স্বপ্নও যেনো সুদূরে হারিয়ে যাচ্ছে। আমার ভালোবাসাও চলে যাচ্ছে তোমার সাথে, কিন্তু আমি বেঁচে থাকবো অনন্তকাল তোমার ভালোবাসা নিয়ে, আমি যে দেবী! আমি যে অমর! আমি তোমাকে আরেকবার চুমু দিতে চাই, দীর্ঘ চুমু, যাতে তোমার সমস্ত ভালোবাসা পান করতে পারি এই ঠোঁটে”।
অ্যাডোনিস মারা যাচ্ছেন, আফ্রোদিতি কানে কানে ভালোবাসার কথা ফিস ফিস করে বলছেন
অ্যাডোনিসের মৃত্যুতে বিধ্বস্ত আফ্রোদিতি (শিল্পী- জোসে দ্য রিবেরা, ১৬৩৭ সাল)
(অ্যাডোনিসের কাহিনী গ্রীক মিথের অংশ হলেও এর উদ্ভব সিরিয়া-লেবাননের দিকে। অ্যাডোনিসকে সাধারণত তুলনা করা হয়ে থাকে সিরিয়ান ডেমি-গড তামুজের সাথে। তামুজও অ্যাডোনিসের মতোই বন্য শুকরের আক্রমনে মারা যান। অনেকেই বলে থাকেন, অ্যারিস নয়, অ্যাডোনিসের মৃত্যুর জন্য দেবী আর্টেমিস দায়ী, যার দায়িত্ব ছিলো বন্য পশু-পাখীদেরকে রক্ষা করা। )
আফ্রোদিতি এবং অ্যাডোনিসের মিলনে এক কন্যা সন্তান জন্মগ্রহন করেছিলেন, নাম ছিলো বিরৌ। এই বিরৌর নামেই লেবাননের বর্তমান রাজধানী বৈরুতের নামকরণ করা হয়। সমুদ্র রাজ পসাইডন এবং দেবতা ডায়ানিসাস বিরৌর প্রেমে পড়েছিলেন। তাদের আরেকটি পুত্র সন্তানও জন্মগ্রহন করে- গলগোস। গলগোস ছিলেন সাইপ্রিয়ান নগরী গলগির প্রতিষ্ঠাতা।
বুটেস নামের এক মরণশীল জেসনের সাথে স্বর্ণ মেষের চামড়া উদ্ধারের অভিযানে গিয়েছিলেন। সেখানে তারা যখন সাইরেনদের অতিক্রম করছিলেন (জেসন এবং আর্গোনটদের সোনালী মেষের চামড়া উদ্ধারের অভিযানে বিস্তারিত থাকবে), তখন সাইরেনদের বাজনা এবং এর জবাবে অর্ফিয়ুসের বাজনা শুনে সহ্য করতে না পেরে বুটেস পানিতে ঝাঁপ দিয়েছিলেন। সেই সময়ে আফ্রোদিতি কোনো কারণে অ্যাডোনিসের হৃদয়ে ঈর্ষা জাগ্রত করতে চাচ্ছিলেন। তাই তিনি তখন বুটেসকে উদ্ধার করে সিসিলির নিকটে লিলাইবিয়ামে নিয়ে যান এবং কয়েকরাত বুটেসের সাথে কাটান। কেউ কেউ বলেন, তাদের মিলনের ফলে এরিক্স নামে এক পুত্র সন্তান জন্মগ্রহন করেন, তিনি (এরিক্স) পরে সিসিলির রাজা হোন, কিন্তু হারকিউলিসের সাথে এক মল্লযুদ্ধে নিহত হোন।
প্রেমের দেবী আফ্রোদিতি অ্যাডোনিসের মৃত্যুতে যতই কষ্ট পান না কেনো, তিনি তো প্রেমের দেবী, ভালোবাসার দেবী! তাই আফ্রোদিতির ভালোবাসা যেন অফুরন্ত। সেই ভালোবাসার ভাগীদার হলেন এবার এনকেসিস, ট্রয় নগরীর নিকটে অবস্থিত দার্দানিয়ার রাজকুমার। পরবর্তী পর্বে আসছি এনকেসিসের সাথে আফ্রোদিতির দুরন্ত প্রেমকাহিনী নিয়ে।
এই সিরিজের পূর্বের লেখাগুলোঃ
গ্রীক মিথলজি (১-৭) : সৃষ্টিতত্ত্ব (ক্যায়োস থেকে ডিওক্যালিয়নের প্লাবন পর্যন্ত)
গ্রীক মিথলজি ৮ : জিউস, মেটিস এবং এথেনার জন্ম
গ্রীক মিথলজি ৯: এথেনার গল্পকথা- প্রথম পর্ব
গ্রীক মিথলজি ১০: এথেনার গল্পকথা- দ্বিতীয় (শেষ) পর্ব
গ্রীক মিথলজি ১১: আফ্রোদিতির গল্পকথা (আফ্রোদিতি, হেফাস্টাস এবং অ্যারিসের ত্রিমুখী প্রেম)
লেখকঃ
এস এম নিয়াজ মাওলা
ছবি সূত্রঃ ইন্টারনেট
মন্তব্য
মরণশীল মানুষদের সাথে প্রেম করার মজাই আলাদা!
লেখা বেশ তরতর করে এগিয়েছে। ভাল লাগছে, চালিয়ে যান নিয়াজ-ভাই।
- একলহমা
অনেক অনেক ধন্যবাদ একলহমা ভাইয়া। ভালো থাকুন খুব।
-নিয়াজ
এতজনের সাথে প্রেম করল আফ্রোদিতি আর এই যুগে প্রেমিকার এত অভাব।
ভাল্লাগছে
প্রেমিকা খুঁজছেন না কি? সাবধানে খুজেন, তা নাহলে জিউস চলে আসবে!
-নিয়াজ
বাবারে এতবার ভালবাসে কেম্নে, টায়ার্ড হয়না এই মহিলা ।
সিরিজ চলুক।
না, এই মহিলাতো অমর, এতোদিন কি একা একা থাকবে না কি!
ধন্যবাদ আপনাকে।
-নিয়াজ
অ বুচ্চি, (আল্লামা) দেলাওয়ার হোছাইন ছাঈদী বুঝি রাজা সিনাইরাসের বংশধর??
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
-নিয়াজ
ভালো লাগলো।
ভালো থাকবেন।
--------------------------------
কামরুজ্জামান পলাশ
ধন্যবাদ আপনাকে।
-নিয়াজ
এই কাহিনিগুলো যখন পড়ি বেশ মজা লাগে।
ভালো থাকবেন।
রাসিক রেজা নাহিয়েন
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
-নিয়াজ
বাপরে আফ্রোদিতি তো প্রেমের বন্যা বইয়ে দিয়েছিল
ইসরাত
বিশাল বন্যা! আমি তো অনেক কাটছাট করছি, তাতেই এই অবস্থা। সে হচ্ছে মহিলা জিউস।
-নিয়াজ
আফ্রোদিতি আপা এখন কুথায়?? দিখবার মুন্চায়
আপা এখন ---আমারো খুঁজতে হবে- দেখি কোথায় আছে?
-নিয়াজ
আপা এখন কুথায়?? দিখবার মুন্চায়
নিল আকাশ আর কালো মেঘ
আপনার নিক-টি কিন্তু খুব সুন্দর।
-নিয়াজ
পেম করা ভালু না!
হ, পেম করা ভালু না!
-নিয়াজ
নতুন মন্তব্য করুন