গ্রীক মিথলজি ১৩ (আফ্রোদিতি গল্পকথা- এনকেসিসের সাথে দূরন্ত প্রেম)

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ০৪/০৯/২০১৩ - ১:২০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রেমের দেবী আফ্রোদিতি দেবতা থেকে শুরু করে মরণশীল মানব, এমনকি পশুপাখি- সকলের মনেই ভালোবাসার ফোয়ারা বইয়ে দিতে পেরেছেন, শুধুমাত্র তিনজন দেবী ছাড়া। দেবী এথেনা, দেবী আর্টেমিস এবং দেবী হেস্টিয়া। আফ্রোদিতির কারণেই অনেক দেবতা ভালোবেসেছেন মরণশীলকে, আবার অনেক মরণশীল হয়েছেন দেবীদের ভালোবাসার অলংকার। আফ্রোদিতি যাতে এই ব্যাপারটি নিয়ে অন্যান্য দেবতা বা দেবীকে ঠাট্টা না করতে পারেন, সেজন্য দেবরাজ জিউস এক কাজ করলেন। দেবী আফ্রোদিতিকে এক মরণশীলের প্রেমে মশগুল করে দিলেন- আর সেই মরণশীল হলেন এনকেসিস।

এনকেসিস, যার একজন দেবীর ভালোবাসা পাওয়ার সৌভাগ্য বা দুর্ভাগ্য হয়েছিল, তিনি এসেছিলেন ট্রয় নগরীর নিকটবর্তী দার্দানিয়া থেকে। দার্দানিয়া নামটি এসেছে জিউস এবং ইলেক্ট্রার (টাইটান এটলাসের কন্যা) সন্তান দার্দানুস থেকে। এই দার্দানুসের প্র-পৌত্র ছিলেন ট্রস, ট্রসের ছিলো তিন সন্তান। ইলাস, ট্রয় নগরীর প্রতিষ্ঠাতা, গাইনেমেডে, যাকে জিউস অপহরণ করে অমরত্ব প্রদান করেছিলেন এবং এসসারাকাস, যিনি ছিলেন দার্দানিয়ার রাজা। এনকেসিস ছিলেন এসসারাকাসের পৌত্র এবং ট্রোজান যুদ্ধের শেষেও এনকেসিস জীবিত ছিলেন। এই ট্রোজান যুদ্ধেই এনকেসিস এবং আফ্রোদিতির সন্তান অংশগ্রহন করেছিলেন একজন ট্রোজান রাজকুমার হিসেবেই, সে হিসেবে বলা চলে আফ্রোদিতি ট্রোজান যুদ্ধের আগেই এনকেসিসের প্রেমে পড়েছিলেন।

একদিন ইডা পাহাড়ের পাদদেশে এনকেসিস গরুর পাল চড়াচ্ছিলেন (রাজকুমার, কিন্তু রাখালের কাজ করছিলেন!) এনকেসিস দেখতে ছিলেন একজন দেবতার মতোই সুন্দর, অন্ততপক্ষে জিউসের কারসাজিতে সেই সময়ে এমনই দেখাচ্ছিল। আফ্রোদিতি কোথায় যেনো যাচ্ছিলেন, কিন্তু তার দৃষ্টি আটকে গেলো এনকেসিসকে দেখে। তিনি থমকে গেলেন এবং সাথে সাথে এনকেসিসের প্রেমে পড়ে গেলেন। আফ্রোদিতি সাইপ্রাসের পাফোস নগরীতে গেলেন, সেখানে চ্যারিটিজ দেবীরা তাকে গোসল করিয়ে দিলেন, সমস্ত শরীর এমব্রোসিয়া তেল দিয়ে ধুয়ে দিলেন, যা শুধু স্বর্গের দেব-দেবীরাই ব্যবহার করেন। তিনি এমন সুগন্ধী ব্যবহার করলেন, যা মানুষকে মাতাল করে তুলে। মোহনীয় আফ্রোদিতিকে এরপর অসাধারণ পোশাক এবং স্বর্নালংকার পরিয়ে দিয়ে আরো মোহনীয় করা হলো। তিনি যখন মেঘে ভেসে ইডা পাহাড়ে ফিরে আসছিলেন, সেই এলাকার যত পশু আছে, সব যেনো ভীড় করলো তার পাশে, যেনো হয়ে রইলো তার সেবানুদাস। আফ্রোদিতি খুশি হলেন দেখে, এবং প্রতিটি পশুকে জোড়ায় জোড়ায় মিলিয়ে দিলেন। সবশেষে এনকেসিসের সামনে এসে উপস্থিত হলেন।

মোহনীয় রুপে আফ্রোদিতিকে দেখে এনকেসিস যেনো বিস্ময়াভূত হয়ে গেলেন। দেবীকে বলে উঠলেন, “স্বাগত জানাই আপনাকে, হে মহান নারী! আপনি যেই হোন না কেনো, দেবী আর্টেমিস অথবা লেটো অথবা সোনালী আফ্রোদিতি কিংবা থেমিস বা উজ্জ্বল চোখের এথেনা অথবা গ্রেস দেবীদের একজন যারা দেবতাদের সাথী এবং অমর অথবা নিম্ফদের একজন, যারা সুন্দর ঝর্না বা পাহাড়ে বাস করছেন- আপনি যেই হোন না কেনো, আমার এই স্থানে আপনাকে স্বাগতম। আমি আপনার জন্য উঁচুতে বেদী তৈরী করবো, প্রতি ঋতুতে আপনার উদ্দেশ্যে সুন্দর সুন্দর জিনিস উৎসর্গ করবো! আমার প্রতি দয়াপরবশ হোন, হে দেবী, ট্রোজানদের সেরা বীরদের একজনে আমাকে পরিণত করুন আর আমার বংশধরকে সময়ের সাথে সাথে বিখ্যাত করুন”।

আফ্রোদিতি তার মিষ্টি রিনরিনে কন্ঠে বললেন, “এনকেসিস, পৃথিবীর সবচেয়ে বিখ্যাত মরণশীল! আমি তোমাকে বলছি, আমি কোনো দেবী নই, কেনো তুমি আমাকে দেবীদের সাথে তুলনা করছো? আমি একজন মরণশীল, যেমন মরণশীল ছিলেন আমার মা! আমার বাবা অট্রিয়াস, তিনিও খুব বিখ্যাত মানুষ, যিনি ফ্রিজিয়া শাসন করছেন, সম্ভবত তুমি তার নাম শুনে থাকবে। আমি তোমার ভাষা গ্রীক জানি, কারণ এক ট্রোজান সেবিকা আমাকে ফ্রিজিয়াতে লালন পালন করেছেন। সে আমার অনেক অল্প বয়সেই আমার মায়ের কাছ থেকে নিয়ে আমাকে দেখা শোনা করেছেন, আর তাই আমি তোমার ভাষা বুঝতে পারছি। দেবী আর্টেমিসের উদ্দেশ্যে ফ্রিজিয়ার আমরা সবাই নাচের উৎসব করছিলাম, সেখান থেকে দেবতা হার্মিস আমাকে উঠিয়ে নিয়ে এসেছেন এবং বিভিন্ন জায়গার উপর দিয়ে উড়িয়ে এনেছেন। আমি দেখেছি কৃষি জমি যেখানে চাষ হচ্ছে, আমি দেখেছি অনেক জঙ্গল, আমি দেখেছি অনেক মাংশাসী পশু। দেখতে দেখতে ভেবেছিলাম, বোধহয় মাটিতে পা রাখার সুযোগ আর পাবো না! কিন্তু হার্মিস আমাকে এখানে নামিয়ে দিয়ে বললেন, আমি যাতে তোমার বিছানার পাশে এসে তোমাকে ডেকে বলি, আমি তোমার স্ত্রী এবং তোমাকে অনেক বিখ্যাত সন্তানের বাবা করবো। এবং এরপর দেবতা হার্মিস দেবতাদের মাঝে চলে গেলেন। কিন্তু আমি তোমার কাছে এসেছি, এবং এটা নিয়তি নির্ধারিত। আমি জিউসের নামে আর তোমার বাবা-মার নামে অনুরোধ করছি, আমাকে তুমি গ্রহন করো (কারণ আমি পবিত্র এবং কুমারী!), তোমার পরিবারের কাছে নিয়ে চলো। আমি তোমাকে তাদের সম্মুখে ছোট করবো না, বরঞ্চ তারা আমাকে দেখে বলবে আমি তোমার যোগ্য। আর ফ্রিজিয়াতে একজন বার্তাবাহক খুব দ্রুত পাঠাও, যাতে আমার বাবা- মা দুশ্চিন্তামুক্ত হতে পারেন। তারা তোমাকে অনেক সোনা এবং আসবাবপত্র পাঠাবেন আমার বিয়ের যৌতুক হিসেবে। এই কাজগুলি করো এবং বিয়ের প্রস্তুতি নাও। মরণশীল এবং অমর- উভয়ই যেনো এই বিয়ের প্রশংসা যুগ যুগ ধরে করে!”

এক নিশ্বাসে কথাগুলো বলে যেনো থামলেন আফ্রোদিতি। প্রেমের জন্য তিনি মরণশীল মানবীর ভান করলেন, প্রেমের জন্য প্রেমের দেবী মিথ্যা কথা বললেন! (আর তাইতো প্রেমে এবং যুদ্ধে মিথ্যা কথা বলাসহ সবকিছু জায়েজ!)

এনকেসিস যেনো নিশ্চল হয়ে গেলেন। তিনি আনন্দের আতিশয্যে চিৎকার করে বলতে লাগলেন, “যদি, তুমি বলো, তুমি মরণশীল এবং একজন মরণশীল মহিলা তোমার মা, ও অট্রিয়াস তোমার বাবা, এবং তুমি এখানে এসেছ দেবতা হার্মিসের মাধ্যমে, তাহলে কোনো দেবতা বা মানুষ এখন এবং এখান থেকে আমার ভালোবাসার বন্ধন ছিন্ন করে তোমায় নিয়ে যেতে পারবে না, এমনকি দেবতা এপোলো যদি আমাকে উদ্দেশ্য করে তার তীরও নিক্ষেপ করেন!” আনন্দের আতিশয্যে এনকেসিস আরো বললেন, “হে নারী, যদিও তুমি দেখতে দেবীর মতো, তোমার সাথে থাকার জন্য আমি পাতালপুরীতেও যেতে রাজী আছি!”

এনকেসিসের কথা শেষ হতে না হতেই দেবী আফ্রোদিতি লাজুক দৃষ্টিতে বিছানার দিকে তাকালেন, ঋজু ভঙ্গিতে সেখানে গিয়ে বসলেন। এনকেসিস ধীরে ধীরে প্রথমে তার অলংকার খুললেন, এরপর পোশাক। তারপরে দেবতা জিউস এবং নিয়তির খেয়ালে মরণশীল মানবের সাথে অমর দেবীর মিলন হোল।


শিল্পীর তুলিতে আফ্রোদিতি এবং এনকেসিস

মিলনের পরেই আফ্রোদিতি এনকেসিসের চোখে ঘুম নামিয়ে দিলেন এবং তিনি পোশাক পরলেন। এরপর বিছানার পাশে দাঁড়িয়ে এনকেসিসকে ঘুম থেকে জাগালেন, ততক্ষনে আফ্রোদিতির মাথা ছাঁদ ছুয়েছে, কন্ঠস্বরেও পরিবর্তন এসেছে। এনকেসিসকে জাগিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, “উঠো, দার্দানুসের পুত্র! কেনো এতো গভীরভাবে ঘুমাও? উঠো, এবং প্রথমবার আমাকে দেখে যা মনে হয়েছিলো, সেটা চিন্তা করে আমার দিকে তাকাও”।

আফ্রোদিতির ডাকে এনকেসিসের ঘুম ভেঙ্গে গেলো এবং মুহূর্তের মধ্যে বুঝতে পারলেন কী ঘটেছে। তিনি বুঝতে পারলেন তিনি দেবী আফ্রোদিতির সাথে মিলিত হয়েছিলেন। ভয় পেয়ে গেলেন এনকেসিস। মাথা নিচু করে কম্পিত কন্ঠে বললেন, “যখনই আমি আপনাকে প্রথম দেখেছি, তখনই বুঝতে পেরেছিলাম, হে দেবী, আপনি স্বর্গীয় এবং আমাকে সত্য কথা বলেন নি! আমি আপনার কাছে জিউসের নামে অনুরোধ করছি, আমাকে এই মরণশীলদের মাঝে আর রাখিয়েন না, যদিও আমি বেঁচে থাকবো, কিন্তু খুব দুর্বলভাবে! কারণ, কোনো মরণশীল কোনো দেবীর সাথে মিলিত হলে কখনই তার পূর্ণ শক্তি থাকে না!”

এনকেসিসের কথা শুনে আফ্রোদিতি হেসে উঠলেন, “এনকেসিস, মরণশীলদের মধ্যে বিখ্যাত তুমি, সাহস রাখ এবং ভয় পাওয়ার কিছু নেই। তুমি ভয় পেয়ো না, কারণ আমার বা অন্যান্য দেবতাদের কাছ থেকে তোমার শাস্তি পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। বরঞ্চ তুমি দেবতাদের ভালোবাসা পাবে। এবং আমি তোমাকে এমন এক সন্তান দিবো, যে বড় ট্রোজান বীর হবে, যার বংশধররা এক বিশাল সাম্রাজ্যের ভিত্তি স্থাপন করবে। সেই সন্তানের নাম হবে ঈনিয়াস”। এতোকিছু বলার পরও আফ্রোদিতি খুব দুখী ছিলেন। তিনি বললেন, “তুমি কখনো বলো না, তোমার সাথে আমার মিলন হয়েছে। ঈনিয়াসকে এক নিম্ফের কাছে দিবে, সবাইকে বলবে- এই নিম্ফই ঈনিয়াসের মা! তোমার বয়স যদি সব সময় একই থাকতো, তাহলে আমার কতো আনন্দই না হতো! কিন্তু তোমাদের সময় গড়িয়ে যায়, তোমরা বুড়িয়ে যাও। আর কাউকেও আমাদের কথা বলো না, কারণ তাহলে অন্য দেবতারাও বলবে- আফ্রোদিতিও মরণশীলের সাথে প্রেম করেছে!”

প্রেমের দেবী আফ্রোদিতি মানবের সাথে প্রেম করেও বিপদে পড়েছে! কাউকেই বলতে চাচ্ছে না এই কথা- পাছে অন্য দেবতা কিছু বলে!
কিন্তু এনকেসিস প্রেমের মর্যাদা রাখতে পারলেন না। একদিন মাতাল হয়ে তিনি বলতে লাগলেন, তার সাথে আফ্রোদিতির সম্পর্কের কথা, ঈনিয়াসের জন্ম কথা। সুন্দরী দেবী আফ্রোদিতির অবমাননা মনে হয় দেবরাজ জিউস সহ্য করতে পারলেন না। তাই বজ্র নিক্ষেপ করে এনকেসিসকে পঙ্গু করে ফেললেন।

আফ্রোদিতি আর এনকেসিসের সন্তান ঈনিয়াস ঠিকই খুব বড় ট্রোজান বীর ছিলেন। ট্রয়ের ধ্বংসের পর যে অল্প কয়জন ট্রোজান বীর বেঁচে থাকতে পেরেছিলেন, তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন ঈনিয়াস। যুদ্ধ শেষে তার পঙ্গু বাবাকে কাঁধে করে বয়ে বেড়াচ্ছেন ঈনিয়াস- এই দৃশ্য গ্রীক মিথলজির খুব জনপ্রিয় দৃশ্যগুলোর একটি। ঈনিয়াসের বংশধর রোমাস এবং রেমুলাস রোম নগরীর পত্তন করেন। আর রোমান মহাকবি ভার্জিল ট্রয়ের যুদ্ধ পরবর্তী ঈনিয়াসের অভিযান নিয়েই লিখেছিলেন ‘ঈনিয়াড’।


ঈনিয়াস বাবাকে কাঁধে নিয়ে ট্রয় থেকে পালাচ্ছেন (শিল্পী- চার্লস অ্যান্ড্রে ভান লো, ১৭২৯ সাল)

দেবী আফ্রোদিতি এভাবেই প্রেমের বন্ধনে দেবতা থেকে শুরু করে মানব- সবাইকেই জড়িয়েছেন। এমনকি জিউসও একবার আফ্রোদিতির জন্য উতলা হয়ে উঠলেন। আফ্রোদিতি যখন সাইপ্রাস দ্বীপে এক কাজে গিয়েছিলেন, তখন জিউস আফ্রোদিতির শ্লীলতাহানি করতে চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু আফ্রোদিতি সুকৌশলে পালিয়ে যান। ফলে জিউসের স্খলিত বীর্য পৃথিবী বা গায়ার উপরে পড়ে। সেখান থেকে জন্ম নেয় সাইপ্রাস দ্বীপের সেন্ট্যুর। আফ্রোদিতির সাথে দেবতা ডায়ানিসাসেরও অল্প সময়ের জন্য প্রেম হয়েছিলো। কেউ কেউ বলেন, প্রিয়াপোস হচ্ছেন আফ্রোদিতি এবং ডায়ানিসাসের সন্তান, আবার আবার কেউ কেউ বলেন প্রিয়াপোস হচ্ছেন আফ্রোদিতি এবং জিউসের সন্তান।

(আফ্রোদিতি শুধু নিজেই প্রেমে পড়েননি, অনেকের প্রেমে সাহায্যও করেছেন। তাই প্রেমের দেবী, ভালোবাসার দেবী আফ্রোদিতিকে উৎসর্গ করেই আগামী কয়েকটি পর্ব হবে গ্রীক মিথলজির প্রেমের গল্পকথা।)

এই সিরিজের আগের লেখাগুলোঃ

সৃষ্টিতত্ত্বঃ
পর্ব-১: বিশ্ব-ব্রক্ষ্মান্ডের সৃষ্টি এবং ইউরেনাসের পতন
পর্ব-২: টাইটান যুগের সূচনা এবং অলিম্পিয়ানদের জন্ম
পর্ব-৩: প্রথম টাইটান যুদ্ধ এবং জিউসের উত্থান
পর্ব-৪: মানবজাতির সৃষ্টি, প্রমিথিউস এবং পান্ডোরা উপাখ্যান
পর্ব-৫: প্রমিথিউসের শাস্তি এবং আইও
পর্ব-৬: আবার যুদ্ধ- জায়ান্ট এবং টাইফোয়িয়াস
পর্ব-৭: ডিওক্যালিয়নের প্লাবন

দেবতাদের গল্পঃ এথেনা এবং আফ্রোদিতি
পর্ব-৮: জিউস, মেটিস এবং এথেনার জন্ম
পর্ব-৯: এথেনার গল্পকথা-প্রথম পর্ব
পর্ব-১০: এথেনার গল্পকথা- দ্বিতীয় (শেষ) পর্ব
পর্ব-১১: আফ্রোদিতির গল্পকথাঃ আফ্রোদিতি, হেফাস্টাস এবং অ্যারিসের ত্রিমুখী প্রেমকাহিনি
পর্ব-১২: আফ্রোদিতির গল্পকথাঃ অ্যাডোনিসের সাথে অমর প্রেমকাহিনী

লেখকঃ

এস এম নিয়াজ মাওলা

ছবি সূত্রঃ ইন্টারনেট


মন্তব্য

তুলিরেখা এর ছবি

এই ভদ্রলোককে আমি কইতাম অঞ্চিসেস। হাসি
দেখুন তো ভদ্রলোক কেমন ভালো, দেবী তো ছেলেরে থুইয়া উইড়া গেলেন গা, এই ছেলেরে ছেলের বাবা একা একাই মানুষ করলেন! ভদ্রলোক খুব জ্ঞানীও ছিলেন, ঈনিয়াস তো পাতালে এঁরই আত্মার সঙ্গে সাক্ষাত করতে যান ভবিষ্যৎ জানার জন্য। ঈনিয়াস তো মায়ের কাছেই জিগাইয়া জাইন্যা লইতে পারতো, কিন্তু তা না কইরা বাবার কাছেই যে গেল সব জানতে, তার কারণটা কী? মা হয়তো কইয়া দিছে, আমার সময় নাই, সাজগোজ নাচগান প্রেমপীরিত এত সামাল দিয়া আবার কিনা তরে কমু ভবিষ্যৎ? আর, কওনের নিয়মও নাই আমাগো। প্রাইম ডিরেকটিভ অনুসারে এইসব কওন নিষেধ। হাসি

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

অতিথি লেখক এর ছবি

হা হা হা
ভালোই বলেছেন আপু। তবে আমিও কিন্তু এনকেসিসকে অতো সাধু ভাবি না। কারণ ঈনিয়াসকে পালন করেছেন আসলে এক নিম্ফ। আর এনকেসিসতো পঙ্গু হয়ে গিয়েছিলেন। পাতালপুরীর কাহিনীটি ঈনিয়াসের কাহিনীতে বিস্তারিত আসবে। ভালো থাকুন, খুব।

-নিয়াজ

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

যাউক, কঞ্চিশেষ কন নাই ভাগ্যিস হাসি

ইয়ে... মানে... এই ভদ্রলোক কি পরে লেজেহোমো নামে পুনর্জন্ম লাভ করেন? চিন্তিত

লেখা চলুক

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

হো হো হো হো হো হো হো হো হো

-নিয়াজ

অতিথি লেখক এর ছবি

আফ্রোদিতি ঠাকমার তুলনা নাই। এই সিরিজের-ও তুলনা নাই হাসি
- একলহমা

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক অনেক ধন্যবাদ একলহমা ভাইয়া।
ভালো থাকুন খুব।

-নিয়াজ

অতিথি লেখক এর ছবি

আফ্রোদিতি তো মহান মহিলা, এত এনার্জিটিক খাইছে । লেখা লেখা -গুড়- হয়েছে

ইসরাত

অতিথি লেখক এর ছবি

ঠিক বলেছেন- আফ্রোদিতি খুবই এনার্জেটিক মহিলা, যেমন ভালোবাসায়, তেমনি শাস্তি দেওয়াতেও। শাস্তির নমুনা পরে দেখবেন।

-নিয়াজ

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

আপনার এই সিরিজটা দারুণ হচ্ছে। যদিও সবকটি পড়া হয়নি আর যে কটি পড়া হয়েছে তাতে মন্তব্য করা হয়নি, দুঃখিত। চলুক

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। সাথে থাকলেই আমি খুশি। ভালো থাকুন অবিরত।

-নিয়াজ

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

আগ্রহ নিয়ে পড়ে যাচ্ছি। সব পর্বে মন্তব্য করিনি যদিও, তবু ধরে নেবেন অত্যন্ত উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে আপনার এই সিরিজের প্রতিটি লেখা পড়ে যাচ্ছি।

অট: সিরিজ শেষ হবার পর বই আকারে বের করার কোন চিন্তা কি করেছেন? এই বইমেলায় অয়ন প্রকাশনীর "গ্রীক পুরাণ" বইটা আগ্রহ নিয়ে কিনেছিলাম। কয়েক পৃষ্ঠা পড়ে ফেলে রেখেছি। ছুঁয়ে দেখতেও ইচ্ছে করে না - এতই অখাদ্য লেখা। জনৈক সচিব মহোদয় সম্ভবত বইটার লেখক - ফ্ল্যাপে লেখা। তো, সেটা যদি বই হতে পারে, আপনার এত চমৎকার লেখাগুলো সংকলন করে বই হতে পারে না?

____________________________

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে প্রফেসর ভাইয়া। সাথে থাকলেই আমার পরিশ্রম সার্থক।

অটঃ আপনি আমার মনের সুপ্ত ইচ্ছেটিকে জাগিয়ে তুলছেন। কিন্তু বুঝতে পারছি না নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে লেখাটা শেষ করতে পারবো কি না। এমনিতেই প্রফেশনালি আমি ডাক্তার, সময় খুব একটা পাই না। যেই সময়টুকু পাই লিখে যাচ্ছি, এজন্য গিন্নির কাছেও কথা শুনতে হচ্ছে। দোয়া করবেন ভাইয়া। দেখা যাক কী হয়!

-নিয়াজ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।