[লেখাটির কার্টেসী - Mymensingh City ফেইসবুক পেইজ]
৩০ জানুয়ারী, ২০১০ -- আনন্দমোহন কলেজের শতবর্ষপূর্তি উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে নারীদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করে ও শ্লীলতাহানির চেষ্টাও করে উচ্ছৃঙ্খল দর্শনার্থীরা।
১৯ জানুয়ারী, ২০১৩ -- বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে রাব্বি নামেরএক শিশু নিহত।
১ সেপ্টেম্বর, ২০১৩ -- আনন্দমোহন কলেজের বাংলা বিভাগের স্নাতকের (সম্মান) ছাত্রীকে ইট দিয়ে উপুর্যপুরি মাথায় ও মুখে আঘাত করে থেঁতলে দেন একাউন্টিং বিভাগের ৪র্থ বর্ষের ছাত্র সামাদ (মেয়েটির মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে)
উপরের তিনটি ঘটনার মধ্য মিল কোথায় জানেন ? প্রথম দুটি ধামাচাপা দেয়া হয়েছে আর শেষটিও হয়ত চাপা পরবে... আমরা ময়মনসিংহবাসী কি দিন দিন অমানুষে পরিনত হচ্ছি ? এত কিছু ঘটে গেলো কোন প্রতিবাদ নাই। শহর দিনে দিনে বখাটে লম্পটদের দখলে চলে যাচ্ছে আর আমরা চোখমুখ বন্ধ করে চুপচাপ সেসবের ধামাচাপা দেয়া সয্য করে যাচ্ছি !! প্রথম দুটা ঘটনার দিকে নাই গেলাম ...
১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যাল এলাকায় আনন্দমোহন কলেজের বাংলা বিভাগের স্নাতকের এক ছাত্রীকে ইট দিয়ে উপুর্যপুরি মাথায় ও মুখে আঘাত করে থেঁতলে দেন একাউন্টিং বিভাগের ৪র্থ বর্ষের ছাত্র সামাদ । তার অপরাধ সামাদের সাথে তার সম্পর্কে ভাঙ্গা !! আর মেয়েটি এখন ক্লিনিক্যালী ডেড ! কোন মামলা হয়নি...একটি জাতীয় দৈনিকে এসেছে কয়েক লাইন... টিভি চ্যানেলেতো নাই।
সবচেয় আশ্চর্যের বিষয় ময়মনসিংহে এর কোন প্রতিবাদ হয়নি... আনন্দমোহন কলেজের তার সহপাঠীরা কোন প্রতিবাদ করেনি। কেন করেনি ? জানিনা... জবাব আমার কাছে নেই ? আপনারা কি অপেক্ষায় আছেন কবে আপনার বোনকে বখাটেরর লাঞ্ছিত করবে...চরম আঘাত দিয়ে লাশ বানাবে সে দিনের অপেক্ষায় ?
বলে দিলাম কাউকে পাবেননা...
কিছু অনুরোধঃ
*মেয়ের পরিবারের প্রতিঃ অবিলম্বে মামলা দায়ের করুন।
*আনন্দমোহন কলেজের শিক্ষার্থীদের প্রতিঃ নিজের শহর ও কলেজের সুনাম রক্ষার জন্য হলেও প্রতিবাদ করুন। ধরিয়ে দিন বখাটে সামাদকে।
* ময়মনসিংহ প্রেস ক্লাব, টিভি ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিক ভাই বোনদের প্রতিঃ নিউজটা লাইটে আনুন দয়া করে। এ শহর রক্ষায় আপনাদের এগিয়ে আসতেই হবে। আপনারা পাশে দাড়ালেই মেয়েটির পরিবার বিচার পাবে।
*সামাদের ছবি চাই ( কেউ থাকলে পাঠান, আপনার পরিচয় প্রকাশ হবেনা)
*ছবি পোস্ট না করলে ঘটনার নির্মমতা বোঝা যেত না তাই পোস্ট করতে বাধ্য হলাম।
বিঃদ্রঃ কয়েকজনকে দেখা গেছে মেয়েটিকে সম্পর্ক ভাঙ্গার জন্য দোষারোপ করছেন সামাদকে নয়। যারা ভাবেন লম্পট,ধর্ষক আর নারী নির্যাতনকারী দেখতে কেমন হয় তারা এদের প্রোফাইল দেখে নিন। এরাই ভবিষ্যতের লম্পট। তাদের সাবধান করে দিতে চাই ব্যান করার আগে আপনাদের নাম আর ছবি পোস্ট করে দিবো লম্পট হিসেবে । ভালো হয়ে যান ।
মন্তব্য
প্রথম পাতা থেকে ছবিটি সরিয়ে একটি সতর্কীকরণ বার্তা জুড়ে দেয়া হয়েছে। আশা করি লেখক এতে আপত্তি করবেন না।
না কোনো আপত্তি নেই,ধন্যবাদ।
আঘাত করার জন্য সবথেকে ভালো টার্গেট হল নারী। শারীরিকভাবে আঘাত এবং ধর্ষন ছাড়াও অনাকাঙ্ক্ষিত স্পর্শ, আজেবাজে মন্তব্য, অশ্লীল কুৎসা রটনা, আড্ডায় মাল মশল্লা যোগ করার জন্য নারী দেহের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ নিয়ে রসালো মন্তব্য, নির্যাতিতা নারীকেই নির্যাতিত হওয়ার জন্য দায়ী করা, এ সব কিছুই নারী নির্যাতনের অংশ এবং বাংলাদেশের সমাজের প্রাত্যাহিক জীবনের স্বাভাবিক চিত্র।
এই নির্মম ঘটনার জন্য নির্যাতনকারীর সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।
আরেকটি জঘন্য ঘটনা!
জানোয়ারের অধম সামাদেরও ভয়ংকর শাস্তি দাবী করি।
ওই অমানুষের ছবি পেলে পত্রিকার প্রথম পাতায় ছেপে দেবার পয়সা দিতে রাজী আছি!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
ফেইসবুকে চেষ্টা করুন। সামাদের ছবি পেতেও পারেন।
শুয়োর সামাদকে গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনা হোক! কর্মসূচি দেন।
ধিক্কার জানানোর মত ভাষা জানা নেই আমার - এই নরকের কীটদের আর তাদের যারা বিনা শাস্তিতে ছেড়ে রাখে, তাদের।
- একলহমা
প্রতিবাদ না করলে একদিন সবাইকেই ভুগতে হবে।
যখন মমেক হাসপাতালে ছিলাম তখন আপনাদের আনন্দমোহনের ঘটনাটার রোগী সামলাতে আমাদের তিনটা সার্জারী ওয়ার্ড একই সাথে অ্যাডমিশন ডে হিসেবে রাখা হয়েছিলো। না হলে সাধারনত নিয়ম হচ্ছে রোটেশনালী অ্যাডমিশন ডে রাখা। তিনটা ওয়ার্ডের সমস্ত ডাক্তার একসাথে কাজ করেও ঘাড় ধাক্কা এবং জীবনের হুমকী থেকে রেহাই পাননি। ওসব আমাদের এখন গা সওয়া হয়ে গেছে। পাত্তা দিইনা। কিন্তু খুব অবাক হয়ে খেয়াল করলাম বিষয়টা নিয়ে কাউকে খুব একটা মাথা ঘামাতে দেখা যায়নি। আমি আপনাদের ময়মনসিংহ এর বিজ্ঞ এবং বিশিষ্ট নেতা এবং আনন্দমোহন কলেজের ছাত্রনেতাদের কথা ভাবলাম। ভেবে দেখলাম আসলে এখানে টাকার সুবাতাস নেই কিনা তাই বিজ্ঞজনেরা নিশ্চুপ। সেই দিনের ঘটনায় ছাত্রীদের উপরও নরপিশাচদের থাবা চলেছে। কেউ কোন টুঁ শব্দ করেনি। আমি জানিনা আমার এই বোনটার ব্যাপারে আরেক পিশাচ সামাদের কিছু হবে কি না? প্রার্থনা করি নরকের পশুটার যেন শাস্তি হয়।
প্রবল ঘৃনা আর ধিক্কার নরপশু সামাদকে। মেয়েটি সুস্থ হয়ে উঠুক, কায়মনো বাক্যে এই প্রার্থনা করি।
-নিয়াজ
http://www.abnews24.com/article.php?details=37321#.UioQolPC03w
উনি আর নেই,চলে গেছেন।
উনি নিশ্চিতভাবে-ই আমাদের আর্শীবাদ করবেন,আমাদের বিকারহীনতাকে অভিনন্দন জানাবেন।
আজ দুপুরের দিকে খবর পাই মেয়েটি মারা গেছেন।(দেরীতে জানানোর জন্য দুঃখিত)ঘটনার পর তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় কিন্তু ডাক্তাররা তাকে ঢাকায় পাঠিয়ে দেয়, ঐদিন রাতে ঢাকায় ইবনে সিনায় (কল্যাণপুর) নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু একদিন রেখেই আবার তাকে ফেরত পাঠায়।গত তিনদিন ধরে হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিলো তাকে।মৃত্যুর সাথে ছ'দিন লড়াই করে ময়মনসিংহ মেডিকেলেই মারা গেলেন আজ। যে সকল গণ মাধ্যম গুলো নিউজ টি কাভার করেছে সেগুলোর কিছু লিঙ্ক নিচে দেয়া হলোঃ
সময় টিভিঃ www.somoynews.tv/details.php?id=19317
সচলায়তনঃ www.sachalayatan.com/guest_writer/50128
প্রথম আলোঃ www.prothom-alo.com/national/article/44441/বখাটের_হামলায়_মেয়েটি_মৃত্যুর_মুখে
বাংলানিউজ২৪.কমঃwww.banglanews24.com/detailsnews.php?nssl=977b29fc7c631804a6c2db1337ff49...
বিডিনিউজ২৪.কমঃ http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article668410.bdnews
ভালুকানিউজ২৪.কমঃ www.bhalukanews24.com/details.php?id=3352
বিডিক্রনিকলঃ http://www.bdchronicle.com/detail/news/32/1405
ছেলেটি ও তার পরিবার বর্তমানে পলাতক আছে।
আমি নিজে ময়মনসিংহের মেয়ে,মেয়েটির বাসা আমার বাসার একেবারেই কাছে।আমি তাকে ব্যক্তিগত ভাবে চিনি না তবে তার পরিবারের সাথে আমার পরিবারের ভালো সম্পর্ক ।আমি প্রথম খবর পাই আমার ছোটো চাচার কাছে ... এরপর Mymensingh City পেইজ থেকে ঘটনার আপডেইট পেতে থাকি।তখন আমার কাছে মনে হয় এই ঘটনাটা ব্লগে প্রকাশ পেলে আরো বেশি মানুষের কানে পৌছাবে। ব্লগে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা রয়েছেন যারা এই ব্যাপারে দৃষ্টিপাত করতে পারবেন।
এটি একটি বড় ধরনের ঘটনা...কিন্তু লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে পুরুষের প্রতিশোধ স্পৃহার উদাহরণ ভুরি ভুরি।কোনো মেয়ে ব্রেক আপ করবে মারো এসিড, অথবা বদনামের হুমকি দিয়ে বেড়ানো নাহলে একেবারে ভিডিও ছেড়ে দিলো বাজারে।আর এখানে তো জানেই মেরে ফেললো।
এখন একজন মেয়ে হিসেবে আমি যা অনুভব করি তা হচ্ছে,অনেক কাল ধরেই পুরুষের মাথায়(সব পুরুষ নয়) এই ব্যাপারটা প্রবাহিত হচ্ছে যে সে শ্রেষ্ঠ,নারীর প্রভু সে।তাই নারীর রক্ষণ ও যাবতীয় দায়িত্ব তাদের হাতে ।তাই পুরুষ একছত্র ক্ষমতার ও মালিক।আর এটাকে পুরুষতান্ত্রিক সমাজে এতো প্রবলভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছে যে অধিকাংশ মেয়েরা তা মেনেও নিয়েছে স্বাভাবিক নিয়ম হিসেবেই।পুরুষ নিজেকে ভাবছে সুপিরিয়র।জ্ঞাণহীন পুরুষ নিজেকে ভাবছে আরো সুপিরিয়র। এই মানসিকতা নিয়ে সে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।একটা মেয়ের মতো ক্ষুদ্র প্রাণী তার সাথে ব্রেক আপ করবে তা হতেই পারে না।তাই সে মেয়েটির উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করছে......কারণ অত্যাচারের অধিকার সে পেয়ে বসে আছে ভাবছে, সে সুপিরিয়র তাই ।
কিন্ত এসব জ্ঞাণহীনদের বোঝানোর সময় এসেছে যে তুমি সুপিরিয়র না,তোমার ঐ গায়ের জোরটুকুই ... আর কিছুই নেই,একেবারেই কিস্যু না। আর মেয়েদের ও বোঝা উচিত যে তুমি তোমার বাবা,ভাই অথবা বয়ফ্রেন্ডের ছায়া নও।তুমি কোন পোশাকটা কিভাবে পড়বে,কিভাবে চলাফেরা করবে,কার কার সাথে মিশবে,মাথায় ঘোমটা দিয়ে চলবে নাকি না দিয়ে তা তোমার বয়ফ্রেন্ড ঠিক করে দিলে সেটা মোটেই খুব আহ্লাদের কথা না। এগুলোকে বাড়তে দেয়াটা শেষ পর্যন্ত অনেক বড় ভুল হতে পারে।(জানি না কথা গুলো প্রাসংগিক কিনা কিন্তু আমার কাছে মনে হয়েছে এসকল ঘটনার সাথে ব্যাপারগুলোর যোগাযোগ আছে।)
আর ছেলেটির(আসলে কুকুর) ব্যাপারে আমার খালি যা মনে হছে ওকেও একইভাবে ইট দিয়ে যদি থেতলে দেয়া যেতো...একইভাবে মাথা চোখ দাত মুখ কিছুই বাদ না দিয়ে....
সহমত আপনার (আপনি নামটি লেখেননি) সাথে।
এই থেতলে দেয়ার কাজটি করার জন্য যদি আমাকে দায়িত্ব দেয়া হয়, তাতেও রাজী।
----------------------------------
কামরুজ্জামান পলাশ
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
লিঙ্কঃহত্যাকারী রাজুর ফাঁসি ও ছাত্রত্ত বাতিলের দাবীতে আজ সকাল ১১ টায় আনন্দমোহন কলেজের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচী।
নতুন মন্তব্য করুন