(এই মিথটিও শুধুমাত্র রোমান মিথলজিতে পাওয়া যাওয়ায় সবজায়গায় রোমান নাম ব্যবহার করা হয়েছে, তাই দেবী আফ্রোদিতি এখানে দেবী ভেনাস।)
সব গ্রীক মিথলজির গল্পের মতো এটাও অনেক অনেক বছর আগের কাহিনী। কিন্তু পার্থক্য একটি আছে! গ্রীক মিথলজির কাহিনীগুলো সাধারণত গ্রীসের নগররাস্ট্রে বা ইতালীর পেনিনসুলাতে, নিদেনপক্ষে ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের অন্তর্গত হলেও পিরামাস এবং থিসবির কাহিনীটি বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন সভ্যতা ব্যাবিলনীয় অঞ্চলের, সেখানে তখন শাসন করছিলেন রানী সেমিরামিস। এই সেই রানী সেমিরামিস, যিনি ব্যাবিলনের মিথিক্যাল রাজা এবং ব্যাবিলনের রাজধানী নিনেভেহ-এর প্রতিষ্ঠাতা নিনাসের স্ত্রী ছিলেন (এবং সেমিরামিস নিনাসকেই হত্যা করে ব্যাবিলনের শাসন ক্ষমতা হাতে নেন)।
সে যাই হোক, সেই অনেক বছর আগে ব্যাবিলনের এক শহরে পাশাপাশি বাস করতো দুই পরিবার। কেনো, কবে থেকে এই দুই পরিবারের মধ্যে সম্পর্ক মধুর নেই, সেটা জানা না গেলেও তাদের দুই সন্তানের নাম জানা যায়। পিরামাস ছিলেন খুবই সুদর্শন এক যুবক এবং থিসবিকে বলা হয়ে থাকে প্রাচ্যের সবচেয়ে সুন্দরী নারী। পাশাপাশি থাকার ফলে দুই পরিবারের মধ্যে চরম বৈরিতা সত্ত্বেও এই দুই যুবক-যুবতী কখন কীভাবে পরস্পরকে ভালোবেসে ফেললেন সেটা হয়তোবা তারাও বুঝতে পারেন নি, কিন্তু এটা বোঝা গেলো এই ভালোবাসার পিছনে ছিলেন ভালোবাসার দেবী ভেনাস, তাই পিরামাস এবং থিসবির এই ভালোবাসার গল্পকে বলা হয় ভেনাস চক্রের গল্প। কিন্তু হায়! তাদের এই পবিত্র ভালোবাসায় বাধা হয়ে দাঁড়ালো দুই পরিবারের রেষারেষির কারণে দুই বাড়ির মাঝ বরাবর তৈরী করা একটি দেয়াল!
প্রেম যদি খাঁটি হয়, ভালোবাসা যদি দূরন্ত আর পবিত্র হয়, তাহলে কোনো বাধাই বাধা হয়ে থাকতে পারে না, কোনো না কোনো উপায় সামনে চলে আসে। তেমনি যে দেয়ালকে তারা তাদের ভালোবাসার বাধা হিসেবে দেখেছিলেন, সেখানেই দেখতে পেলেন এর মুক্তির পথ। সেই দেয়ালে একটি ফুটো পাওয়া গেলো, যা অন্য কারো চোখে পড়ে নি। সেই ফুটো থেকেই তারা একে অপরের সাথে ফিসফিস করে কথা বলতেন। যে দেয়াল বানানো হয়েছিলো তাদের ভালোবাসা পৃথক করার জন্য, সেই দেয়ালই হয়ে উঠলো তাদের মধ্যকার একমাত্র সেতুবন্ধন। তারা দেয়ালকে উদ্দেশ্য করে বলতেন, “তুমি না থাকলে আমরা পরস্পরকে দেখতে পারতাম, স্পর্শ করতে পারতাম, এমনকি চুমুও খেতে পারতাম। তবে তুমি আমাদের কথা বলার সুযোগ করে দিয়েছ, সেই জন্য তোমাকে অনেক ধন্যবাদ। আর জেনে রাখো, আমরা অকৃতজ্ঞ নই”। তারা এভাবেই কথা বলতো, পরিবারের সদস্যদের নজর এড়িয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত। এরপর দেয়ালের দুধারে চুমু দিয়ে দুইজন দুদিকে বিদায় নিতেন।
দেয়ালের ফুটোর মাধ্যমে থিসবি পিরামাসের সাথে কথা বলছে (শিল্পী- জন উইলিয়াম ওয়াটারহাউজ, ১৯০৯ সাল)
তাদের এই গোপন অভিসার শুরু হতো প্রতিদিন সূর্য যখন পূব আকাশে উঠতো তখন থেকেই। তবুও এভাবে প্রেম করতে করতে তারা দুইজনই একসময় হাপিয়ে উঠলেন। দম বন্ধ করা এক পরিস্থিতির উদ্ভব হলো। একে অপরকে ছুঁতে পারছেন না, একসাথে বসে ভালোবাসার কথা বলতে পারছেন না! বিদ্রোহী হয়ে উঠলো পিরামাস এবং থিসবির মন। তারা ঠিক করলেন, তারা পালিয়ে যাবেন। খোলা আকাশের নীচে মুক্ত স্বাধীনভাবে তারা একে অপরকে ভালোবাসবেন। তারা সিদ্ধান্ত নিলেন, রাজা নিনাসের সমাধি মন্দিরের পাশে দেখা করবেন, যেখানে আছে একটি লম্বা মালবেরি গাছ, যার ফলগুলো বরফের মতো সাদা, তার পাশেই একটি শীতল জলের ঝর্না। পরিকল্পনামতো তারা রাতের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলেন। অপেক্ষার প্রহর যেনো আর শেষ হয় না!
বিকাল ঘনিয়ে সন্ধ্যা নামলো, এলো রাত। চুপি চুপি থিসবি ঘর থেকে বেরিয়ে এলেন। খুশিতে প্রাণবন্ত থিসবি পিরামাসের আগেই পৌঁছে গেলেন রাজা নিনাসের সমাধি মন্দিরে, অপেক্ষা করতে লাগলেন প্রিয়তম পিরামাসের জন্য। হঠাৎ করে এক হিংস্র সিংহী সেখানে এলো, মুখে সদ্য শিকারের রক্ত। সিংহীটি ধীর পদক্ষেপে এগিয়ে যাচ্ছিলো ঝর্নার দিকে, পানি পান করার জন্য। থিসবি সিংহী দেখে ভয় পেয়ে গেলেন। চিৎকার দিয়েই দৌড়ে পাশের বনে পালিয়ে গেলেন। পালিয়ে যাবার সময় তার ওড়না গাছের ডালে আটকে মাটিতে পড়ে গেলো। সিংহীটিও চিৎকার শুনে ভয় পেয়ে চলে যাওয়ার সময় ওড়নার সাথে পা আটকে গেলে, মুখ দিয়ে ওড়নাটি এফোড়-ওফোড় করে অদৃশ্য হয়ে গেলো বনের মধ্যে।
ঠিক সেই সময়ে পিরামাস প্রায় কাছেই ছিলেন। তিনি দূর থেকেই থিসবির চিৎকার শুনতে পেয়েছিলেন। দ্রুত সমাধি মন্দিরে এসে কাউকে দেখতে পেলেন না, শুধু থিসবির রক্তমাখা ওড়নার টুকরো ছাড়া, আর চাঁদের আলোয় পাশে দেখতে পেলেন সিংহীর পায়ের ছাপ। পিরামাস ধরে নিলেন থিসবিকে সিংহী খেয়ে ফেলেছে। হতাশায় মুষড়ে পড়লেন পিরামাস। ওড়নাটিতে বার বার চুমু দিয়ে হাহাকার করতে লাগলেন আর বলতে লাগলেন, “থিসবির মৃত্যুর জন্য আমিই দায়ী। আমার জন্যই থিসবী এই বিপদসংকুল জায়গায় এসেছিলো। আমিই থিসবিকে খুন করেছি”। থিসবিকে হারিয়ে বেঁচে থাকাটা অর্থহীন মনে হলো পিরামাসের কাছে। মালবেরি গাছের পাশে গিয়ে সাথে থাকা তলোয়ার দিয়ে আত্মহত্যা করলেন পিরামাস, লাল রক্ত ফিনকি দিয়ে সাদা মালবেরি ফলকে লাল করে ফেললো।
অন্যদিকে থিসবি ভয় পেয়ে বনে পালিয়ে গেলেও বেশি দূর গেলেন না। তিনি চিন্তা করলেন পিরামাস তার জন্য আসবেন। তাই সাহস সঞ্চয় করে কিছুক্ষন পরে থিসবি মালবেরি গাছের নিকটে আসলেন। কিন্তু কোথায় সেই মালবেরি গাছ! মালবেরির সাদা ফলও দেখা যাচ্ছে না! সেখানে লাল রঙ্গের নতুন মালবেরি! থিসবি খুব অবাক হলেন। ভালোভাবে লক্ষ্য করতেই দেখতে পেলেন পায়ের কাছে কী যেনো নড়ে উঠলো। ঝুঁকে দেখলেন থিসবি। অন্ধকারের মধ্যেই পরিষ্কার দেখতে পেলেন পিরামাস শুয়ে আছেন। মুমূর্ষু, সারা শরীর রক্তে মাখামাখি। থিসবি ঝাঁপিয়ে পড়লেন পিরামিসের বুকে, জড়িয়ে ধরে আর ঠোঁটে চুমু খেতে খেতে বলতে লাগলেন , “পিরামাস! এই দেখ আমি এসেছি। আমি থিসবি, তোমার প্রিয়তমা”। থিসবির নাম শুনে পিরামাস মুহূর্তের জন্য চোখ খুললেন এবং এরপরেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন।
থিসবি দেখলো, পিরামাসের মুঠো থেকে একটি তলোয়ার আলগা হলো। পাশেই তার রক্তমাখা ওড়না। সবকিছুই যেনো বুঝতে পারলেন থিসবি। “তুমি আমার জন্যই আত্মহত্যা করেছ। ভেবেছিলে আমি মারা গেছি। আমিও তোমার মতো সাহসী হবো। আমিও দেখাবো, আমিও তোমার মতো ভালোবাসতে পারি। তুমি ছাড়া আমারও যে বেঁচে থাকা অর্থহীন”, আর্তনাদের মতো করে থিসবি আরো বলতে লাগলেন, “হে আমার এবং পিরামাসের হতভাগ্য বাবা-মা, তোমরা আমাদের ভালোবাসা এবং মৃত্যুকে মেনে নাও, আমাদের একই কবরে শায়িত করো। আর হে মালবেরি গাছ, তুমি এখন একজনের রক্তে রঞ্জিত, কিন্তু কিছুক্ষনের মধ্যেই আরেকজনের লাল রক্তে রঞ্জিত হবে, আমাদের দুইজনের ভালোবাসার মৃত্যুকে স্মরন করে তুমি গভীর লাল বর্ণের ফল দিও”। এরপর থিসবি পিরামাসের রক্তে রঞ্জিত তলোয়ারটি নিজের বুকে বিদ্ধ করলেন।
পিরামাস এবং থিসবি (শিল্পী- গ্রেগরিও পাগানি, ১৫৫৮-১৬০৫ সাল)
সেই থেকে মালবেরি গাছের ফলের রং গভীর লাল বর্নের। তাদের পিতা-মাতাও তাদেরকে একই কবরে শায়িত করেন। মৃত্যুও যেনো এভাবেই পিরামাস এবং থিসবিকে মরনের পরও পৃথক করতে পারলো না!
এই সিরিজের আগের লেখাগুলোঃ
সৃষ্টিতত্ত্বঃ
পর্ব-১: বিশ্ব-ব্রক্ষ্মান্ডের সৃষ্টি এবং ইউরেনাসের পতন
পর্ব-২: টাইটান যুগের সূচনা এবং অলিম্পিয়ানদের জন্ম
পর্ব-৩: প্রথম টাইটান যুদ্ধ এবং জিউসের উত্থান
পর্ব-৪: মানবজাতির সৃষ্টি, প্রমিথিউস এবং পান্ডোরা উপাখ্যান
পর্ব-৫: প্রমিথিউসের শাস্তি এবং আইও
পর্ব-৬: আবার যুদ্ধ- জায়ান্ট এবং টাইফোয়িয়াস
পর্ব-৭: ডিওক্যালিয়নের প্লাবন
দেবতাদের গল্পঃ এথেনা এবং আফ্রোদিতি
পর্ব-৮: জিউস, মেটিস এবং এথেনার জন্ম
পর্ব-৯: এথেনার গল্পকথা-প্রথম পর্ব
পর্ব-১০: এথেনার গল্পকথা- দ্বিতীয় (শেষ) পর্ব
পর্ব-১১: আফ্রোদিতির গল্পকথাঃ হেফাস্টাস এবং অ্যারিসের সাথে ত্রিমুখী প্রেমকাহিনি
পর্ব-১২: আফ্রোদিতির গল্পকথাঃ অ্যাডোনিসের সাথে অমর প্রেমকাহিনী
পর্ব-১৩: আফ্রোদিতির গল্পকথাঃ এনকেসিসের সাথে দূরন্ত প্রেম
ভালোবাসার গল্পঃ
পর্ব-১৪: পিগম্যালিয়ন এবং গ্যালাতিয়া
লেখকঃ
এস এম নিয়াজ মাওলা
ছবি সূত্রঃ ইন্টারনেট
মন্তব্য
রাসিক রেজা নাহিয়েন
ধন্যবাদ।
-নিয়াজ
রোমিও-জুলিয়েটের মত লাগে ক্যান? কপিপেস্ট মারল ক্যাডায়? শেক্সপিয়র? না গ্রীকরা??
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
রোমিও জুলিয়েটের মতো লাগে কারণ, সেক্সপিয়ার মিথ থেকে কপি করেছেন (সেটা কিন্তু উনি স্বীকারও করেছেন)।
ভালো থাকু ভাইয়া্ খুব।
-নিয়াজ
চলুক। আগেও বলেছি, আবারও বলছি।
আপনাদের ইচ্ছাতেই এই সিরিজ চলছে।
ধন্যবাদ আপনাকে।
-নিয়াজ
লেখা যেমন হয় আপনার, চমৎকার!
কিছুদিন আগে এখানকার শেক্সপীয়ের-এর নাটক করিয়ের দল "এ মিড সামার নাইট'স ড্রীম'' নামাল। নাটকের মধ্যে নাটক হিসেবে পিরামাস আর থিসবীর অংশটা ছিল, বাদল-দার থার্ড থিয়েটার-এর মত করে। ভাল লেগেছিল খুব। সেটা দেখা থাকার ফলে আপনার আজকের পর্বটা পড়তে আরো ভাল লাগল।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
খুব ভালো লাগলো জেনে যে, এই পর্বটি অনেক ভালো লেগেছে আপনার। তবে প্রথমেই আপনাকে হাচলত্বের অভিনন্দন।
ভালো থাকুন খুব, ভাইয়া।
-নিয়াজ
ধন্যবাদ, নিয়াজ-ভাই।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
-নিয়াজ
ভাল লাগলো , আর সাক্ষী সত্যানন্দ দাদা/বউদির মত আমার মনে হইল রোমিও-জুলিয়েটের কাহিনী পড়লাম যদিও রোমিও-জুলিয়েটে ক্যারেক্টার অনেক বেশি ছিল।
ইসরাত
ধন্যবাদ আপনাকেও। ডাক্তারী কেমন চলছে আপনার?
-নিয়াজ
প্রেমে পড়লে পুরুষেরা যে বোকা হয়ে যায় পিরামাস তার প্রমান সেই কত আগেই রেখে গেছে। বোকা না হলে সে প্রথমেই ধরে নিত না যে থিসবি মরে গেছে, বড় জোর ভাবতো তাকে সিংহ ধরে নিয়ে গেছে, সুতরাং উদ্ধারের জন্য ছুটতো। আর যদি সত্যি সত্য থিসবি মরেও গিয়ে থাকতো, তাহলেও আত্মহত্যা করার কি দরকার?
আব্দুল্লাহ এ এম
হা হা হা
ভালো বলেছেন আপনি!
-নিয়াজ
এটা বোধহয় আগে কোথাও পড়েছিলাম। লেখা চলুক।
ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি কি এই লেখাটাই পড়েছেন, না কি এই কাহিনীটা জানতেন- ঠিক বুঝতে পারলাম না!
সে যাই হোক, ভালো থাকুন খুব।
-নিয়াজ
এই থিসবি পিরামাস এর মূল কাহিনী থেকেই সম্ভবত শেক্সপীয়ার রোমিও-জুলিয়েট লেখার "অনুপ্রেরণা" পেয়েছিলেন। ওদের ঘটনাকেই নতুন কালে নতুন দেশে নতুন পরিস্থিতিতে গুছিয়ে বাড়িয়ে রঙ ঢেলে লিখেছেন।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
ঠিক বলেছেন তুলিরেখা আপু। থিসবি পিরামাসই ছিলো সেক্সপীয়ারের রোমিও জুলিয়েট লেখার অনুপ্রেরণা।
ভালো থাকুন খুব।
-নিয়াজ
ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি কি এই লেখাটাই পড়েছেন, না কি এই কাহিনীটা জানতেন- ঠিক বুঝতে পারলাম না!
সে যাই হোক, ভালো থাকুন খুব।
-নিয়াজ
কোথাকার কমেন্ট, কোথা এলো!
-নিয়াজ
বন্দনা, এই কাহিনীটা আগে উপকথা হিসাবে সচলে দিয়েছিলাম, এখানে, , তখন হয়তো আপনি পড়েছিলেন, এরকম হতে পারে কি?
নিয়াজ, এই কাহিনী একটু ভিন্নরকমভাবে আগে পরিবেশন করেছিলাম সচলে।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আপু, আপনার লেখাটা পড়লাম। আমার চেয়েও চিত্তাকর্ষক লিখেছে আপনি। আমি কিন্তু আপনার গুণমুগ্ধ হয়ে গেলাম।
-নিয়াজ
হুম এই লেখাটাই পড়েছি আগে।
আমি চিন্তা করছি, কোনো লেখা লেখার আগে নেটে সার্চ দিয়ে দেখবো- এটা আগেই কেউ লিখেছে কি না, লিখলেও কিছু করার নেই- আমি আসলে মিথলজির উপরে সম্পূর্ণ একটা সিরিজ লিখতে চাচ্ছি। যা হোক, আপনারা সাথে থাকাতেই ভরসা পাচ্ছি শেষ করার। আর হ্যাঁ, আপনার গ্রানাডা ভ্রমনের অপেক্ষায় আছি কিন্তু!
-নিয়াজ
নতুন মন্তব্য করুন