জাতীয় সঙ্গীত শুরু হলো, দাঁড়িয়ে এক হাত বুকে দিয়ে সম্মান প্রদর্শন করছি, আচমকা নারী কন্ঠের আর্তনাদ,
‘হেল্প...হেল্প...হেল্প...প্লিজ হেল্প...’
তব্দা খেয়ে গেলাম হঠাত। চারপাশে উকি দিলাম একবার।শিট, কোন ছেলে নিজের বুকে হাত রাখতে গিয়ে আবার কোন মেয়ের...?আসতাগফিরুল্লাহ।
নাহ্, ভুল ভাঙল স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে,সিনেমা শুরু হয়ে গেছে।শুরুতেই বখাটেরা এক চাইনীজকে দাবড়ানি দিচ্ছে। দর্শকরা উত্তেজিত,এমন ড্যাশিং ওপেনিং এই সিনেমা ছাড়া কেবল বাংলাদেশ এর খেলাতেই দেখে লোকজন।এখুনি ফষ্টিনষ্টি হবে হবে ভাব।দর্শকের দাঁতে দাঁত,হাতে হাত,কারো হাত আবার অন্যপথ খুঁজছে। কিন্তু বিধি বাম। মিলা গানে গানে বলেছিল আকাশ থেকে পরী নামে,কিন্তু অনন্ত যে একটা জ্বীন এবং সেও যে আকাশ থেকে নামতে পারে সেটা মিলা মিস করে গেছে।এইজন্যে অনন্তের কাছে মিলার ক্ষমা চাওয়া উচিত করজোড়ে।সুপারম্যান পর্দা আর প্যান্টের ওপর আন্ডারওয়্যার টা ছাড়া আর স্পাইড্যারম্যান দড়ি ছাড়া উড়তে পারে না,কিন্তু অনন্তের একটা ক্লাস আছে, সে বিজনেস ম্যান। তাই সে বাইক ছাড়া উড়তে পারে না। বিল্ডিং থেকে দড়ি ধরে বেয়ে বেয়ে নামতে হলেও বাইকে চড়ে সে দিব্যি কয়েকতলা উপরে উঠে যায় মধ্যাকর্ষণ শক্তিকে মিডল ফিঙ্গার দেখিয়ে... নিউটন মরে গিয়ে বেঁচে গেছে।হার্ডব্রেক করে অনন্ত ভাসতেসে আকাশে নীলগিরির মেঘের মতো। খেয়াল করে দেখলাম বাইকের চাকা ঘুরে না। জড়তা সূত্রের গোয়াটাও মাইরা দিলো। নিউটন বেঁচে থাকলে এই সিন দেখার পর মাস্ট জেল এ থাকতো। কিছু ডিসুম ডিসুম অতঃপর ঢাকার পুলারা ভেরি ভেরি স্মার্ট। দুই পা দুদিকে চ্যাগায়ে ম্যাগায়ে দেওয়া মুভ গুলো দেখে মনে হলো তার পাইলস এর প্রবলেম আছে।
গ্লামারগার্ল এর মুভি তে এন্ট্রি...রংওয়ে তে। দর্শক শিহরিত;যা ড্রেসাপ ছিলো তা দেখে মনে হলো তার বাপে শাকপাতা খাওয়ায়ে তার জিনস আর টপস কেনার ব্যাবস্থা করসে। দেশে এমন মাথা নষ্ট শৌখিন গরীব গুগলে সার্চ দিয়েও মিলবে না সিওর। অবশ্য মেঘলা যে গরীব সেটা অনন্তের অফিসে যাওয়ার পর বুঝা গেসে। কোন ফকিন্নির পুলাও এমনে এতোবার ওয়াও ওয়াও করবে না কারো অফিসে গিয়ে।অনন্তের সাথে দেখা মেঘলার, অনন্তের মোবাইলে হেল্পলাইনের চেয়েও বেশি কল আসে। কল সেন্টারে কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে বলতেসি, ইটস টু মাচ।আমি এক সপ্তাহেও এতো কল ধরিনাই। তার মাঝেও অনন্ত চুপ করে মেঘলার শাকপাতার গল্প শুনতেসে। বিশ্বাস করেন, অনন্ত যে কিছুক্ষণ চুপ ছিলো সেই কিছুক্ষণ ই ছিলো পুরা মুভির বেস্ট মোমেন্ট।
অনন্ত বিশাল এক বিজনেসম্যান কাম মডেল কাম হিরো কাম সমাজসেবক কাম প্রেমিক কাম।তার মারে বাপ...এই জন্যেই দেশে এতো এতো বেকার। সে একা এতো কিছু হয়ে গেলে বাকি ছেলেরা কি করবে? হতাশ হলাম নিজের কথা ভেবে। আর মেয়েরা তার জন্যে যা পাগলা এক্সপ্রেশন দিচ্ছিলো তাতে মেয়ে হয়ে জন্মাই নাই দেখে দুই রাকাত নফল মানায আর সাথে মেয়েদের জন্যে দুয়া করবো বলে ঠিক করলাম মন থেকে।
মেঘলা এজে এর সাথে কথা বলছে-ভাইয়া ভাইয়া করে ডাকতে ডাকতে অস্থির।রান্না করলো, নিজ হাতে খাওয়ায়ে দিলো।ঠিক আছে ভাই রে বোন খাওয়াই দিতেই পারে কিন্তু দুই মিনিট পর ই অনন্তের বুকে ইয়ে দিয়ে দিলো। কেমনে কি!! ভাই-বোন? ইয়ে...মানে, কেউ ভাইয়া ডাকলেও তো এখন ওই সিনটা... নাহ।আমি বাকরুদ্ধ, শরমে কেউ চোখরুদ্ধ,কারো আবার গলারুদ্ধ, পপকর্ন আটকে গেছে, কোক খাইয়া ছুটাইতেসে।
মুভিতে অনন্তের ড্রেসাপ চোখে পড়ার মত, মেয়েদের স্পর্শকাতর এলাকা কেনও দেখানো হয় তা কিছুটা বুঝতে পারলেও অনন্তের স্পর্শকাতর এলাকা দেখানোর উদ্দেশ্যটা ঠিক ক্লিয়ার না আমার কাছে। চেহারা ছাড়া গলা থেকে নিচের অংশ দেখলে স্বয়ং অনন্তও ভুল বুঝে বসে থাকবে। আর মাশাল্লাহ সে হাঁটার সময় তো যা মুভমেন্ট হয় তা দেখে স্বস্তির নিশ্বাস ফেললাম একবার। ভাগ্যিস টু ডি তে দেখতেসি, থ্রি ডি তে দেখলে কি না কি দেখতাম জামবুরা কদবেল... কে জানে।মুভির এই পর্যায়ে এসে ক্লিয়ার হলাম ময়ূরী কেন সিনেমা ছেড়ে বিএনপি তে যোগ দিসে। আসলে প্রতিদ্ধন্দী জিনিষটা সবাই ইজিলি নিতে পারে না।
মুভিতে মেঘলার ক্যারেক্টার নিয়ে বেশি কিছু বলার নেই। এমন হয় ই...অভাবে স্বভাব নষ্ট। অবশ্য অনন্তের মেঘলার জন্যে অনন্ত পেম দেখে চেয়ারের হাতলে কয়েকবার বারি দিলাম আফসোসে। আমাকে বর্ষা হিসেবে জন্ম না দেওয়াটা আমার বাবা মায়ের সবচেয়ে বড় ব্যার্থতা। আর বার বার অনন্তের ক্ষমা করাটা ভাল্লাগসে। জ্বলজ্যান্ত একটা ফাদার তেরেসা দেখাটা আমার সাত জনমের ভাগ্য।
মেডিকেল সায়েন্স নিয়ে জানিনা।অজ্ঞ বলেই হইতো খাবলায়া হার্ট বের করাটা তেমন বিশেষ কিছু মনে হয় নাই। ঢাকার পুলারা স্মার্ট আফটার অল। কিন্তু হার্ট এ ছুড়ি চালানো,গুলি মারা আর বোমা মারা দেইখা মনে হইলো ডাক্তারদের সাথে অনন্তের শত্রুতা আছে। ভাতে মারতে চায় নাইলে তার গার্মেন্টস এর কর্মী বানাইতে চায়।আর মেডিকেল সায়েন্স এর গোয়া মাইরা বেঁচে যাওয়াটাও তেমন কিছু না। অসম্ভবকে সম্ভব করাই অনন্তের কাছ। ইয়ে, শিরক হইয়া গেলো নাতো আবার? হেফাজত শুনলে খবর আছে।
জলিল ভাই,
পুনশ্চ ১: দুনিয়াতে এমন কোন বিজনেস ম্যান আছে কিনা জানিনা যেইটা আন্ডারটেকার এর বেল্ট পড়ে অফিস করে। একটু লজিক্যাল হোন বস। অফিসের বাইরে জাঙ্গিয়া পরলেও আপত্তি নাই।
পুনশ্চ ২: এজ এক্সপেকটেড, বাংলা সিনেমাতে ইংরেজী সংলাপ ঢুকানোটা ভাবয বাড়ানো কিছুনা।উলটা খ্যাঁত হয়ে যায়। জংলিশ ঢুকানোর চেয়ে শুধু বাংলা টা অনেক বেটার।
পুনশ্চ ৩: শার্ট পইড়েন বা টিশার্ট পরলে গলা ছোট রাইখেন, এইভাবে ক্লিভেজ দেখায় বি গ্রেড মুভির নায়িকারা। আর আপনার এই দুরাবস্থার একটা ব্যবস্থা করেন।দুষ্টু ছেলেরা বলে, আপনার চেষ্ট বিকামিং ব্রে...! থাক...
পুনশ্চ ৪: সাউন্ড কোয়ালিটি, স্ক্রিনক্যাপচার আর একশ্যান শট গুলো ইম্প্রেসিভ...বেশ ইম্প্রেসিভ।
পুনশ্চ ৫: মুভিতে কথার চেয়ে হাত নাড়ানাড়ি বেশি...বুঝলাম না। এটা কি স্রবণ প্রতিবন্ধীদের জন্যে?
পুনশ্চ ৬: এটলাস্ট,অভিনয়টা শিল্প, ঘাউড়ামির জায়গা না। মুভিতে আপনার কান্না দেইখা কেউ হাইসা দিলে সেই মুভির আর সার্থকতা থাকে না,ইউর একটিং ইজ ফাকড দ্যান। তা আপনে যতোই আর্ন করেন মুভি থেকে, যতই ব্যবসা করুক আপনার মুভি।
নিঃস্বার্থ ভালোবাসা দর্শন, জীবনের এক অন্যতম মাইলফলক স্পর্শ করলাম।
মন্তব্য
হা হা হা
ভাল লিখেছেন। আমি মুভিটা এখনো দেখি নাই, স্টার সিনেপ্লেক্সে টিকেট পাই না! এতো ক্রেজ! কারণ কি?
-নিয়াজ
আমিও তিনদিন যেয়ে পাই নাই। পরে বলাকাতে দেখছি।
এত ক্রেজ এর একমাত্র কারণ নির্মল বিনোদন। এ রকম সলিড বিনোদন উপভোগ করার খুব কম সুযোগ পাওয়া যায়। আমি জলিল এর মুভি দেখতে যাই এন্টারটেইনমেন্ট এর জন্য।
লেখক/লেখিকা,
চলচিত্রটির হাস্যকর ভুল-ভ্রান্তিগুলোর সমালোচনা করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন জায়গায় অপ্রয়োজনীয় ভাবেই বেশ কয়েকবার একাধিক কুৎসিত শব্দ এবং শব্দ-সমষ্টি ব্যবহার করেছেন। শব্দচয়নের ক্ষেত্রে আর একটু সতর্ক হলে লেখার উপভোগ্যতা বাড়ত বই কমত না। এছাড়া নিন্মোক্ত অংশের বাক্যচয়নে-
শ্রেণীবৈষম্যমূলক মানসিকতার প্রকাশ হয়েছে বলে মনে হয়েছে আমার কাছে।
সচলায়তন বাংলাদেশের আর দশটা ব্লগ প্ল্যাটফরম থেকে আলাদা। কারণ এটি শুধুমাত্র একটি ব্লগই নয়- বরং একটি- অনলাইন 'রাইটার্স' কম্যুনিটিও বটে। তাই এই সত্তাকে সম্মান করেই এর উপযুক্ত মান বজায় রেখে এখানে লেখা পোস্ট করা উচিত বলে আমার মনে হয়।
ভবিষ্যতে আপনার কাছ থেকে আরো উন্নত মানের লেখা আশা করছি। ধন্যবাদ।
---- মনজুর এলাহী ----
একমত। এমনিতে লেখার কয়েকটা জায়গা রম্য মেজাজ ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। শেষের পর্যবেক্ষনগুলোও মন্দ নয়।
কিন্তু খিস্তি-খেউর আর অশুদ্ধতায় লেখাটি নিজেই আক্রান্ত।
একটু যত্ন নিলে, লেখক তার মেধার প্রতি সুবিচার করতে সক্ষম হবেন বলেই আমার বিশ্বাস।
রাসিক রেজা নাহিয়েন
এইটা কী? মুভি রিভিউ? What a Crap!
স্যার, স্যটায়ার শুধু ট্যাগে লেখা থাকলেই স্যটায়ার হয় না। সিনেমার সমালোচনা করতে গিয়া ব্যক্তি অনন্তরে নিয়াই অবসেসড।
"কোন ফকিন্নির পোলাও এতবার ওয়াও ওয়াও করবে না।"
স্যার, আপনের ভাষা মারাত্নমক। আপনে আপনার রুচি অনুযায়ী লিখা ফালাইছেন। নো প্রব, কিন্তু এই লেখা মডারেশান ফাকি দিয়া সচলে আসলো ক্যামনে!
কোন দেশের জাতীয় সঙ্গীত ছিল?
বাংলাদেশের হয়ে থাকলে তো বুকে হাত দেবার কথা না, হাত দুপাশে থাকার কথা।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
দারুণ!!
কিন্তু লেখকের নাম কুতায়??
আপনি ঠিক কি আশা করে ছবিটা দেখতে গিয়েছিলেন, আর কেনই বা এই পরিমান হতাশ হলেন?
জানিনা এইটা কোন রিভিউ কিনা, শুধু মজা করার জন্য লিখলেও সচলের জন্য লেখাটা একটু বেশিই স্থূল হয়ে গেছে। কিছু অংশ পড়েই বাকিটুকু আর পড়তে ইচ্ছা করছিল না, আপনার কিছু শব্দচয়ন আর ব্যাখ্যা করার ভঙ্গি দেখে। লেখাটাকে কোনভাবেই সচলের জন্য মানানসই মনে হইনি। আশা করি একটু সতর্ক থাকবেন পরবর্তী সময়ে।
-কে'জামান-
অত্যন্ত কর্কশ সমালোচনা।
..................................................................
#Banshibir.
অনন্ত জলিল কে নিয়ে খুব অদ্ভুত একটা অবস্থা দেখছি অনেকদিন ধরে। একদল তাকে আকাশে উঠাচ্ছে সে বাংলা সিনেমাকে আকাশে উঠাচ্ছে দাবি করে, আরেকদল তাকে কথায় কথায় মাটিতে আছড়ে ফেলছে। দুটার কোনটাই ভাল লাগছে না। আপনার সমলচনা দেখে মনে হল আপনি রোম্যান পলনস্কির কোন সিনেমা দেখতে গিয়েছিলেন তাই প্রচন্ড হতাশ হয়ে কলম হাতে নিয়েছেন।
লেখকের নাম কোথায়?
১। করসে, ছুটাইতেসে, ভাল্লাগসে - ইত্যাদি (এবং আরো কিছু অমার্জিত) শব্দ ব্যবহার করায় রিভিউ এর মানের যথেষ্ট অবনতি ঘটেছে। বরং অনেকটা কাওরান বাজারীয় রম্য মনে হয়েছে।
২। মুভি রিভিউ এর ক্যাটাগরিতে স্যাটায়ার কেন বুঝলাম না।
৩। আপনার খোঁচা মারার স্টাইলে মজা পেলাম। ২য় প্যারাতে এটা বোঝা গেছে। আরো লিখুন, জায়গামত খোঁচা মারুন - আপনার গুনাবলীর সদ্ব্যবহার করুন।
৪। আপনার লেখার মধ্যে একটা গতি আছে। আশা করি পরবর্তী লেখাগুলোতে গতির সাথে কন্টেন্টের উপযুক্ত মিশেল থাকবে।
____________________________
টায়ার ফাটলে কি স্যাটায়ার হয়? তাহলে এটা স্যাটায়ার বৈকি!!
****************************************
মজা পাইলাম,জলিলের মুভির জলিলীয় রিভিউ বইলা মনে হইল।
মুভিটা দেখার সুযোগ পাইতাছি না, যতই শুনি আকর্ষন শুধু বাড়েই! নাহ সময় কইরা দেইখাই ফেলতে হবে একদিন।
জিউস।
অনন্ত জলিলের মুখে অশুদ্ধ বাংলা আর ইংরেজি শুনে আপনার যেমন হাসি পেয়েছে, আপনার এই মোহাম্মদ রাইসুদ্দীন ঢালী প্রবর্তিত ধুত্তোরাধুনিক বাংলা লেখা পড়ে আমাদেরও পাচ্ছে। অবশ্য লেখার অধিকার আপনার পুরোপুরি আছে, যেমন আমাদের অধিকার আছে আপনার এই লেখাকে তাচ্ছিল্য করার। অনন্ত জলিলকে নিয়ে ঠাট্টা করা আপনার উচিৎ নয়। খুবই নিম্নমানের লেখা। অসম্পুর্ণ বাক্য, বানান ভুল, বাংরেজির ব্যবহার ইত্যাদি, ইত্যাদি।
একটু পড়াশোনা করেন ভাই।
"ধুত্তোরাধুনিক বাংলা" কথাটা দারুণ লাগলো!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
বুকে হাত দিয়ে জাতীয় সঙ্গীতের সম্মান দেখানোর প্রয়োজন হল কেন বুঝি নাই। আপনি কি জিপি'র "দুনিয়া কাঁপানো ত্রিশ মিনিট"এর পর থেকে জাতীয় সঙ্গীতের প্রতি সম্মান দেখানো শুরু করেছেন? স্যাটায়ারে এক তারা দিলাম।
এই ব্যাপারটা নিয়ে আমারও খটকা লাগছে। স্কুলের অ্যাসেম্বলির সময়ে শপথ নেবার একটা ব্যাপার ছিলো যাতে বুকে হাত দিয়ে শপথ পড়তে হতো, কিন্তু জাতীয় সঙ্গীত গাইবার সময়ে বুকে হাত দিতে হয়েছে বলে মনে পড়ছে না। পাপী মনে একটা সন্দেহ জাগে- আমেরিকানদের প্লেজ অফ অ্যলেজেন্সের নেবার সময় বুকে হাত দেবার নিয়ম আছে। সেইটার অনুকরণ না তো?
অত্যন্ত কুরুচিপূর্ণ লেখা ছাড়া এটাকে আর কিছু বলা যাচ্ছে না। লেখক কি নিজের জীবন নিয়ে প্রচণ্ড অসুখী নাকি? বার বার অন্য মানুষ হয়ে জন্মানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
অনন্তর ছবিতে অনেক হাস্যকর দিক আছে সত্যি, কিন্তু এই লোকটা আসলেই নতুন কিছু করার চেষ্টা করছে। নতুন কিছু করতে গেলে সেখানে ভুল-ভ্রান্তি থাকা স্বাভাবিক, কিন্তু সেটার এরকম কুরুচিপূর্ণ সমালোচনা করার আগে নিজের যোগ্যতা সম্পর্কে চিন্তা করা উচিত।
-সুমন
অনেক সময় ব্যাটসম্যানের চমৎকার শট উড়ে উড়ে সীমানার কাছাকাছি যায়, তারপর ফিল্ডারের হাতে ধরা পড়ে 'কট'।
লেখাটা শুরুতে ভালোই লাগছিল, কিছু কিছু অংশ চমৎকার লেগেছে, আবার কিছু অংশ কিছুটা বেশি বেশি টাইপের লাগলো।
যাইহোক, আপনি যা লিখেছেন, আমি এরকমটাও লেখার সামর্থ্য রাখি না। কাজেই, সমালোচনা করছি না, খালি একটু গুছিয়ে লিখতে অনুরোধ করছি।
ছবিতে মেঘলা নামের একটা চরিত্র আছে শুনে মজা পেলাম।
শুভেচ্ছা
ভাল লাগেনি মোটেও।
প্রথমে আপনার লেখায়
এরপর কিছু জিজ্ঞাসা-
ফকিন্নির পুত কারা এবং তাদের কিভাবে চেনা যায়?
তারা কিভাবে ওয়াও ওয়াও করে?
আপনি কি আশা নিয়ে 'জলিল মুভি' দেখতে গিয়েছিলেন?
স্যাটায়ার নয়, আপনি একটা জলজ্যান্ত অনন্ত জলিল প্রসব করেছেন।
--মদন--
ভাই কি লিখে ফেঁসে গেলেন ? আমার কাছে লেখাটা unputdownable মনে হয়েছে, honestly. 'শিট'-এর 360 degree review কখনওই গাজরের হালুয়ার মত উচ্চাঙ্গের হবে না ! 'ফকিন্নির পোলা' শব্দটায় আমারও আপত্তি থাকতে পারে, বাট, লেখকের প্রতিটি শব্দের সাথে রাখি-বাঁধা রিলেশনের কোন প্রয়োজন আছে বলে আমার মনে হয় না !
To be fair to the people of the land, এই লেখা যদি এখান খুব বেশি বিবমিষার উদ্রেক করে থাকে তাহলে সম্ভবত লেখাটা এখানে দিয়ে আপনি লেখক হিসেবে আপনার প্রয়াসকে অসম্মান করেছেন। এই লেখা কারওয়ান বাজারে ছাপানোর মত - নিম্নরুচির ব্লগে ছাপার উপযোগী এসব যারা বলছেন তারা যদি সংখ্যাগরিষ্ঠ হন তাহলে সম্ভবত লেখাটা আপনার আসলেই এখান থেকে সরিয়ে নেয়া উচিৎ ! আমি শুধু একটা জিনিসই বলব, it is the content that shapes the platform, not the other way round. কালজয়ী লেখা আর বাজারের সস্তা রচনা নিয়ে হুমায়ূন আহমেদের একটা দারুণ anecdote আছে, বেশি মন খারাপ হলে ওটা পড়ে নেবেন । আবারও বলছি, নিঃস্বার্থ ভালোবাসা নিয়ে আমার পড়া এ পর্যন্ত সবচেয়ে ভালো লেখা এটাই (রিভিউ কারে কয়, আই ডন নো)!
সমালোচনা হতে হয় গঠনমূলক। এ লেখাটা তার থেকে মাইল মাইল দুরে। এরকম কুরুচিপূর্ণ লেখা সচলায়তন মাডারেশন পার হয় কিভাবে?
একটু পড়ালেখা করেন ভাই।
"অনন্তর ছবিতে অনেক হাস্যকর দিক আছে সত্যি, কিন্তু এই লোকটা আসলেই নতুন কিছু করার চেষ্টা করছে। নতুন কিছু করতে গেলে সেখানে ভুল-ভ্রান্তি থাকা স্বাভাবিক, কিন্তু সেটার এরকম কুরুচিপূর্ণ সমালোচনা করার আগে নিজের যোগ্যতা সম্পর্কে চিন্তা করা উচিত।" - কথাটির সাথে আমি একমত।
আসলে আমরা লো কোয়ালিটির ছবি দেখে অভ্যস্ত, তাই এই পরিবর্তনে অনন্তর ভুলটিকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছি। একজন ব্যক্তির মন্তব্য থেকে বোঝা যায় সে কোন লেভেল-এর মানুষ।
"Great people talk about ideas.
Average people talk about things.
Small people talk about other people. "
আর কিছু বলতে চাই না। নিন্দুকেরে বাসি আমি সবার চেয়ে ভালো .....
দারুন মজা মনে হচ্ছে। ছবিটা দেখতে হবে
আমি ছবিটি দেখেছি।
রিভিউতে অনেক গুলো বিকৃতি ও অর্ধসত্য আছে।
আর যার সামান্ন ঘিলুও আছে সে বুঝবে, নিম্মমানের ইন্টালেক্ট হোক, হার্ট বের করাটা মেটাফোর ছিলো, সত্যি সত্যি না।
অনন্তর অনেক খারাপ আছে, জানি। একটা লোক বাংলাদেশের হলে চলার সিনেমা বানাচ্ছে। ড্রয়িংরুমে ডিভিডি দেখে ফেসবুকে গ্যাজানোর জন্য না।
বাংলাদেশে বসে একজন খারাপ ইংলিশ বলে তাই তাকে জাংলিশ-টাংলিশ বলাযায়, কিন্তু যারা বাংলা বিকৃত বলে, যারা বাংলামিডিয়ামের ছেলেদের ”বাংগি” বলে গালি দেয়, তাদের কি বলা হবে কেউ তা বলে না।
একবারো কেউ বলেনা, এই শালা ইম্পোর্ট বা দালালী বা লোনের টাকা মেরে বা জমি দখল করে না... নিজে বড় হয়েছে ব্যবসা করে...
একটা অশিক্ষিত বাংগি খ্যাত হঠাৎ ডোন্টকেয়ার ভঙ্গিতে কথা বলবে , মানায় কেমন করে... হাউ কাম?
সাহস থাকলে রাজপুত্ররা যে ভুল উচ্চারণে বাংলা বলে, মিথ্যা বলে তাদের কিছু বইলেন।
শেষের কথাটা যথার্থ বলেছেন যোসেফ ভাই
ভাগ্যিস জলিল ভাই আছিল, নাইলে কারে পঁচাইয়া আমাগো "ক্লাস" জাহির করতাম কন??
ছাহ্রুখ খাঁর "হুচ-হুচ-কোঁতা-হ্যায়"-এ ৪০ বৎসরের প্রৌঢ়া যখন মিনি স্কার্ট পরে আমেরিকান টিন সেজে বাস্কেটবল গ্রাউন্ডে ন্যাকামী করে, কাউরে তো তখন স্যাটায়ার লিখতে দেখি না ভাই।
খামির খাঁর "ঘাজিনি"তে সেই প্রোটাগনিস্ট পুরা মুভির ৮০% সময়ই দেখি কোষ্ঠকাঠিন্যের রুগীর মত "কোঁথ" দিতে থাকে, তখনো কাউরে এই নিয়া কিছু কইতে দেখলাম না (যদিও মুভিটা "মেমেন্তো"র স্থূল এডাপটেশন ছিল)।
জলিলের উপ্রে সবার এত গোসসা ক্যান বুঝলাম না। বাংগালী বড়ই আজীব চীজ ভাই।
আমাদের রুগ্ন জনগোষ্ঠির দেশে, রুগ্ন সংস্কৃতিতে এমন রুগ্ন সিনেমা দেশে মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়বে, এ আর আজব কি? জলিলের উদ্যোগকে বাহবা দেয়ার মতো লোকের দেখি অভাব নাই। সে বলে হলে চলার মতো সিনেমা বানাচ্ছে। আশ্চর্য ! ভালো চলেছেও ! লোকে হাসি ঠা্ট্টা করার অজুহাতে হলে গিয়ে বিনোদিত হয়ে আসছে ! আমি জলিল সাহেবের আগের একটা ছবি দেখেছি, এখনকার ছবিটারও ট্রেলার দেখেছি। খারাপ। অশুভ লক্ষণ। এর চেয়ে ডিপজল, শাকিব খানের ছবি অনেক ভালো। তাতে একটা সম্পূর্ণতা থাকে। ভিজুয়াল, ডায়ালগ যা-ই হোক না কেন, আগা গোড়া একটা স্টাইল থাকে। আর অনন্ত সাহেবের ছবির তো কোনো আগামাথাই নাই। বুক থেকে হার্ট বের করে নায়িকাকে দেখানো -এ কি আজব মেটাফোর! তামিল টাইপের একটা অতিরঞ্জিত এন্টারটেইনমেন্ট করতে গিয়ে জিনিসটা কিছুই হয় নাই। আমাদের ফকিন্নির কালচারে একটা লোক কুৎসিত কিছু অ্যানিমেশন দেখালো বিদেশী অ্যাকশন ডিরেক্টর দিয়ে কিছু চেসিং সিন দেখালো- আর আমরা বাহবা দিতে লাগলাম! আমরা আসলে এটাই ডিজার্ভ করি। আমাদের দেশে আরো লক্ষ জলিল-জন্ম নিক অনন্তকাল ধরে। আমরা এমন অভুতপূর্ব বিনোদন দেখি যুগযুগ ধরে। আর যাই থাকুক লোকটার তো পয়সা আছে। আমাদের এমন কিছু সিনেমা আর্ট সে উপহার দিয়েছে যা আমরা আগে কখনো দেখি নাই। জলিলের মতো লক্ষ বেয়াদপ নির্লজ্জ লোক চারিদিকে রাজনীতি করছে, ব্যবসা করছে, ব্লগে লিখছে। তারা সবাই মিলে পচা মালরে আকাশে তুলুক, সিনেমার যেটুক আশা আছে তাকেও ধর্ষণ করুক। আমাদের কি !
( এখানে লেখে, মন্তব্য করে, এমন লোকেদের মধ্যে দেখি ভদ্রবেশী চুতিয়ার অভাব নাই।যারা অশালীন শব্দ শুনে অস্থির হওয়ার ভান ধরেন, অথচ আগাগোড়া অশ্লীল একটা কুসিনেমার পক্ষে কিবোর্ড ধরেন)
ভদ্রবেশি চুথিয়ার অভাব এইখানে ছিল। আপনি আসার পর আর নাই। আসেন বড় ভাই মাথা ঠানডা করি। ডিপজল ভাইয়ের একটা শ্লীল মেটাফরের সুসিনেমার গান শুনি।
জলিল ভাইয়ের সিনেমার এই গানটা আমার খুব পছন্দের।
বিটিডব্লিউ- এই নাইকাই কি বর্ষা?
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
এই গানে নায়িকাতো মনে হচ্ছে দুইজন! ৩ঃ৪৪ মিনিটের দিকের মেয়েটা প্রথমের মেয়েটা থেকে ভিন্ন।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
নতুন মন্তব্য করুন