‘আমি দর্শনে বিশ্বাস করি।’ – আগোরা
ব্যবহারিক দিক থেকে ধর্মগুলোতে মানবতার অবস্থান নিয়ে অনেক আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে, হয়তো আরো হবে। কিন্তু একটা বিষয়ে সম্ভবত অনেকেই একমত হবেন যে-প্রায় সব যুগের ধার্মিকদের কোন না কোন উপদলের মধ্যেই এমন কিছু লোক ছিল যারা মানবতা বিষয়টা সম্পর্কে তেমন কিছুই জানতেন না।
সাধারন ধার্মিক মানুষ মানেই কোন ধর্মগুরুর অনুসারী। এরাই সর্বদা মানবতা জ্ঞানশুন্য লোকেদের বলীর পাঠা হয়ে থাকে।
এসব ধর্মগুরু আর সাধারন ধার্মিক মানুষের উদাহরণ ইতিহাসে অনেক রয়েছে। এদের নিয়ে লেখা হয়েছে বই, তৈরি করা হয়েছে সিনেমা। এমনি একটি সিনেমার নাম-AGORA, যার মূখ্য চরিত্র হাইপেশিয়া নামের এক মহিয়শী নারী যিনি একইসাথে গণিতবিদ, দার্শনিক ও জ্যোতির্বিজ্ঞানী।
স্থান-রোমান সাম্রাজ্যের অধিনস্ত আলেকজান্দ্রিয়া(ইজিপ্টি-এর অন্তর্গত)।সময়টা ৪০০ খ্রীষ্টাব্দের কিছু আগে। থেঅন(Michael Lonsdale) ছিলেন লাইব্রেরী অফ আলেকজান্দ্রিয়ার পরিচালক। এটি তৎকালিন সময়ের সবচেয়ে সমৃদ্ধশালী লাইব্রেরীগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিলো। থেঅন ছিলেন একইসাথে গনিতবিদ, দার্শনিক ও জ্যোতির্বিদ। তার কন্যা হাইপেশিয়াকে(Rachel Weisz) ইতিমধ্যেই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে লাইব্রেরী অফ আলেকজান্দ্রিয়ার একজন লেকচারার হিসেবে। হাইপেশিয়া নিজেকে সমৃদ্ধ করেছেন গণিত, দর্শন ও জ্যোতির্বিধ্যায়। ধর্মের খুঁটিনাটি সম্পকেও পার জ্ঞন ছিলো। তবে তিনি সেসময় মূলত মেতে থাকতেন সৌরজগতের স্বরুপ, সূর্য্য ও নক্ষত্রের অবস্থান আবিষ্কার নিয়ে। যদিও প্রেম ভালবাসা নিয়ে কোন ভাবনাই ছিল না তার কিন্তু তার প্রেমে পড়ে যায় তারি ছাত্র অরেষ্টিস(Oscar Isaac) ও ক্রীতদাশ ডেভাস(Max Minghella)।
এখানে বলে রাখা ভালো যে লাইব্রেরী অফ অলেকজান্দ্রিয়া শুধু পাঠাগার বা বিশ্যবিদ্যালয়ই ছিল না এটি পেইগান ধর্মের প্রধান পরিচালনা কেন্দ্র হিসেবেও কাজ করতো। তা স্বত্তেও এখানে খ্রীষ্টানরা পড়তে আসতো কারন রোমান সাম্রাজ্য ইতিমধ্যেই বৈধ ঘোষনা করেছে খ্রীষ্টানদের।
লাইব্রেরীর ভেতরের পরিবেশ যেমন শান্ত ছিলো বাইরের পরিবেশ ছিলো ততটাই অশান্ত। খ্রীষ্ট ধর্ম প্রচারকারি একটি দল নিয়মিতভাবে অপমান করছিলো পেইগান দেব-দেবীদের আর অত্যাচার করছিলো পেইগান ধর্মিয় নেতাদের উপর। তাদের মূল শক্তি ছিলো হতদরীদ্র জনগনের সমর্থন যারা তাদের দান ও সেবা পেয়ে ধিরে ধিরে খ্রীষ্টানে রুপান্তরিত হয়েছিলো।
নিয়মিত অত্যাচার প্রতিহত করতে একদিন পেইগানদের প্রধান পুরোহীত লাইব্রেরী প্রধান থেঅনের অনুমতি নিয়ে শশস্ত্র প্রতিবাদের ঘোষনা দেয় খ্রীষ্টানদের বিরুদ্ধে। ঘোষনার পর পরই পেইগানরা অতর্কিতভাবে আক্রমন করে বসে খ্রীষ্টানদের উপর। অনেক খ্রীষ্টান মারা যায় অনেকে আহত হয়। তবে লাইব্রেরীতে পড়তে আসা খ্রীষ্টান ছাত্ররা বেঁচে যায় হাইপেশিয়া ও অরেষ্টিসের জন্যে। যাইহোক এই অক্রমনের জবাব দিতে খ্রীষ্টানরাও পিছপা হয়নি, হাজার হাজার খ্রীষ্টান দলে দলে ছুটে আসে প্রতিশোধ নিতে। যার ফলে পেইগানরা হয়ে পড়ে কোনঠাসা। লাইব্রেরী হয়ে যায় পেইগানদের আত্বরক্ষার দূর্গ, বাইরে থেকে তাদের ঘিরে ফেলে খ্রীষ্টানরা।
শেষপর্যন্ত সম্রাট ফ্লভিয়াস থিওডোসিয়ান অগাষ্টাসের হস্তক্ষেপে নামমাত্র সমাধানের ব্যবস্থা করা হয় দাঙ্গার। মুক্ত ঘোষনা করা হয় লাইব্রেরীতে বন্দি হয়ে পড়া পেইগানদের ও খ্রীষ্টানদের লাইব্রেরীতে প্রবেশ করতে দিতে বলা হয়। ঘোষনার পর পরই পেইগানরা বুঝতে পারে যে তাদের সময় শেষ। তাই তারা কিছু অতি প্রয়োগনীয় বই(পান্ডুলিপি) ও অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্র যা নেওয়া তখন সম্ভব ছিলো তাই নিয়ে পালিয়ে যায়। অপরদিকে খ্রীষ্টানরা লাইবেরীতে প্রবেশ করেই ধাবংস করতে থাকে পেইগান দেব-দেবীর মূর্তি ও সকল বই।
হাইপেশিয়া লাইব্রেরী ছেড়ে শেষপর্যন্ত অবস্থান নেয় তার এক সময়ের ছাত্র ও প্রেমিক অরেষ্টিসের বাসভবনে। অরেষ্টিস তথন আলেকজান্দ্রিয়ার গভর্নর। হাইপেশিয়া আর অরেষ্টিসের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্ক ভালো চোখে দেখলো না খ্রীষ্টানরা। এক পর্যায়ে হাইপেশিয়া সভাকক্ষে খ্রীষ্টিয় শাশকদের বলেই ফেলেন-তিনি শুধু দর্শনে বিশ্বাস করেন।
হাইপেশিয়ার স্পষ্ট বক্তব্যই তাকে তার শেষ পরিনতির দিকে টেনে নিয়ে যায়। আলেকজান্দ্রিয়ার দ্বায়অত্বশীল সকল উর্ধতন কর্মকর্তারাই ক্ষমতায় টিকি থাকতে খ্রীষ্টান হয়ে যান চাপে পড়ে। অরেষ্টিসকেও হতে হয় খ্রীষ্টান একসময়ের সহপাঠি খ্রীষ্টান বন্ধু সাইনেসেয়াসের(Rupert Evans) কাছে(সাইনিসিয়াস তখন ধর্মযাজক)।
হাইপেশিয়াকে ধরে নিয়ে যায় একদল খ্রীষ্টান উগ্রবাদিরা। তারা তাকে পাথর ছুড়ে মেরেফেলার পরিকল্পনা করে। তাদেরি দলের সদস্য ছিলো ক্রীতদাশ ডেভাস। ডেভাস যে হাইপেশিয়াকে তুলে দিতে চায়নি অন্য কারো হতে সে কি করে তাকে এভাবে মরতে দিতে পারে। তাই একজন প্রেমিক বা নিষ্ঠাবান ক্রীতদাশের মতই সে হাইপেশিয়ার প্রতি তার দায়ীত্ব পালন করে।
Alejandro Amenábar ও Mateo Gil-এর লেখা আর Alejandro Amenábar-এর পরিচালনায় চমৎকার এই সিনেমাটি রিলিজ হয় ২০০৯ সালে। IMDB রেটিং-7.1
ট্রেইলান দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
লেখাটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
- আরাফ করিম
মন্তব্য
অসাধারণ একটা মুভি কিন্তু এইভাবে পুরা মুভি বইলা দেবার মানে কী?
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
মুভিটা ভালো লেগেছে, আমি শুধু বর্ননা করেছি মাত্র। যার দেখার সে দেখবেই তা ঘটনা বলে দেওয়া হোক বা না হোক।
- আরাফ করিম
ছবির কাহিনীটা দারুন লাগলো।
- আরাফ করিম
চমৎকার!
নিজে আদি লাইব্রেরী অফ আলেক্সান্দ্রিয়ার স্মরণে ঐ জায়গাতেই নির্মিত আধুনিক লাইব্রেরী অফ আলেক্সান্দ্রি্যায় ঘুরে এসেছি বিধায় এই ছবিতে আদি লাইব্রেরীটাকে কিভাবে চিত্রায়িত করা হয়েছে তা দেখার জন্য খুব কৌতুহল রইল। এই নিয়ে আমার এই লেখাটাতে অতি সীমিত সোর্স ভিত্তিক কিছু জল্পনা-কল্পনা আর একটা কাল্পনিক ছবি ছিল। দেখতে ইচ্ছে করছে এই ছবির পরিচালকরা লাইব্রেরীটাকে কিভাবে কল্পনা ও উপস্থাপণ করেছেন!
হাইপেশিয়ার মৃত্যুটা ছিল আসলে সেই যুগেই ইহুদী-খৃষ্টান দাঙ্গার একটা বাই-প্রোডাক্ট বা পরোক্ষ ফল। সুনির্দিষ্টভাবে হাইপেশিয়ার হত্যার মধ্যে সরাসরি পেগান কোন প্রসঙ্গ নেই বোধহয়, যদিও অনেকে একে রেকর্ডেড ইতিহাসে ধর্মীয় মৌলবাদের হাতে প্রথম বুদ্ধিজীবী-হত্যা বলে গণ্য করেন।
এটা বুঝা গেল না। কি দায়িত্ব পালন করে? বাঁচায়? হাইপেশিয়াকে নৃশংস ভাবে হত্যাই তো করা হয়েছিল - কোনরকম দয়া-মায়া দেখানো হয়নি। এটাই ঐতিহাসিক সত্য। খৃষ্টান দাঙ্গাবাজরা তাঁকে বাড়ি ফেরার পথে ধরে, কোন-কোন মতে প্রকাশ্য রাজপথ দিয়ে হেঁচড়ে, নিয়ে যায় 'সিজারিয়াম' নামের চার্চে। ওখানে তাঁকে সম্পূর্ণ বিবস্ত্র করে কোন কোন বিবরণে গণধর্ষন করা হয়। এরপর হাইপেশিয়ার সমসাময়িক ঐতিহাসিক সক্রেটিস স্কলাস্টিকাসের বিবরণ অনুযায়ী (একমাত্র সমসাময়িক বিবরণ) -- ঝিনুকের খোল বা ঐ রকম ধারালো কিছু দিয়ে জীবন্ত অবস্থায় খুঁচিয়ে-খুঁচিয়ে বা খুদে-খুদে তাঁর সারা শরীরের মাংস তুলে ফেলা হয়। এভাবে তার শরীর সম্পূর্ণ বিকৃত ও ছিন্নভিন্ন করে শেষে আগুনে পুড়িয়ে মারা হয় তাঁকে (বা মেরে পোঁড়ানো হয়)। খৃষ্টীয় মৌলবাদীরা তাঁকে হত্যা করলেও মনে হয় না সেটা সরাসরি তাঁর পেগানিজম বা দর্শনে বিশ্বাসের কারনে। উনি আসলে আলেক্সান্দ্রিয়ার গভর্ণর আর বিশপের মধ্যে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের পাকেচক্রে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বলি হয়েছিলেন। বা আরেকটু বৃহত্তর পরিসরে দেখলে চার্চ ও স্টেটের মধ্যে ক্ষমতার লড়াইর মধ্যে সম্ভবত ভুল সন্দেহের শিকার। এটাই বোধহয় তাৎক্ষণিক কারন।
ইহুদী-খৃশটানদের মধ্যে একটা দাঙ্গা লাগে। প্রথমে ইহুদীরা প্রচুর খৃষ্টান মারে। পরে খৃষ্টান বিশপ সিরিলের আদেশে খৃষ্টানরা ইহুদীদের মেরেধরে সবাইকে নিঃস্ব কপর্দকশুন্য অবস্থায় শহর থেকে বের করে দেয় ও বাড়িঘর লুটপাট করে। এ ঘটনা শোনার পর এরকম বিখ্যাত একটা নগরীর এত বড় আস্ত একটা কম্যুনিটিকে শহর থেকে বিতাড়িত করায় গভর্ণর অরিস্টিস প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হন এবং সিরিলের সাথে তার শত্রুতা বেড়ে যায়। এরপর দুজনেই রোম-সম্রাটের কাছে পরষ্পরের বিরুদ্ধে নালিশ জানান। এক পর্যায়ে অবশ্য সিরিল শান্তিস্থাপন, মধ্যস্থতা - এসবের অনেক চেষ্টা করেন, কিন্তু অরিস্টিস সবকিছুতেই অনড় থাকায় সেসব ব্যর্থ হয়ে যায়।
গভর্ণর আর বিশপের মধ্যে বিবাদের কথা শুনে এইসময় নিত্রিয়ার পর্বত থেকে ৫০০ উগ্র খৃষ্টান সন্যাসীদের একটা দল বিশপের পক্ষে লড়াই করার উদ্দেশ্যে আলেক্সান্দ্রিয়ায় আবির্ভূত হয় সশস্ত্র অবস্থায়। এরা পথিমধ্যে গভর্ণরকে আক্রমণ করে এবং এদের একজন - এ্যামোনিয়াস - তার মাথায় ইটের বাড়ি মেরে ভয়ঙ্কর ভাবে রক্তাক্ত করে দেয় অরিস্টিসকে। অরিস্টিস অবশ্য বেঁচে যান এবং পরে এ্যমোনিয়াসকে শাস্তিস্বরূপ হত্যা করা হয়। কিন্ত এ্যামোনিয়াসের মৃত্যুতে বিশপ সিরিল তাকে খৃষ্টান 'শহীদ' হিসেবে ঘোষণা দেন।
এইরকম একটা পটভূমিতেই হাইপেশিয়াকে হত্যা করা হয়। সবাই জানত অরিস্টিস মাঝেমধ্যেই নানা বিষয়ে হাইপেশিয়ার পরামর্শ নেন। বর্তমানকালের অনেক ঐতিহাসিক অবশ্য এটাকে অরিস্টিসের একটা চালাকি বা রাজনৈতিক কৌশল মনে করেন, পেম-ভালবাসা বা ওরকম কিছু না। তাদের মতে অরিস্টিস হাইপেশিয়ার সাথে সুসম্পর্ক রাখতেন তাঁর মাধ্যমে পেগান সম্প্রদায়ের সাথে সুসম্পর্ক জোরদার করার জন্য, কারন পেগানদের কাছে হাইপেশিয়া অত্যন্ত শ্রদ্ধাভাজন ছিলেন। ঠিক যেমনি তিনি ইহুদীদের সাথেও একই ভাবে সম্পর্ক রক্ষা করে চলতেন। গভর্ণরের মত একজন রাজনৈতিক নেতা ও প্রধান প্রশাসক হিসেবে তাকে তৎকালীন আলেক্সান্দ্রিয়ার বহুজাতিক, বহুসাংস্কৃতিক ও বহুধর্মীয় একটা জটিল সমাজের সঙ্কটপূর্ণ ও সংঘাতগর্ভ রাজনৈতিক জীবন ও তার পরিবেশকে সামলে রাখার জন্য এটা করতেই হত।
কিন্তু অনেক খৃষ্টান মনে হয় মনে করত অরিস্টিসের উপর হাইপেশিয়ার প্রভাব অন্যায্যভাবে বেশি (যা হয়তো সত্যি ছিল না)। এই সময় আলেক্সান্দ্রিয়ার খৃষ্টান সম্প্রদায়ের মধ্যে একটা গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে - গভর্ণর অরিস্টিস বিশপ সিরিলের শান্তিপ্রস্তাব গ্রহণ করে তার সাথে বিরোধ মিটমাট করে না ফেলার পিছনে কলকাঠি নাড়া আসল নাটের গুরু হচ্ছেন - হাইপেশিয়া। তার পরামর্শেই বিশপের শান্তিপ্রস্তাব অরিস্টিস ফিরিয়ে দিয়েছেন। এই গুজবের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়াতেই পিটার নামের এক উগ্র খৃষ্টান যাজকের নেতৃত্বে একদল দাঙ্গাবাজ খৃষ্টান একত্রিত হয়ে হাইপেশিয়াকে বাড়ি ফেরার পথে অপহরণ করে সিজারিয়াম চার্চে নিয়ে যায় মারার জন্য। এখান থেকে আমি যা বুঝলাম, তা হল হাইপেশিয়াকে হত্যার অন্তত সরাসরি কারনটা হচ্ছে - রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের সাথে সহযোগিতা করার সন্দেহ । তাৎক্ষণিকভাবে অন্তত দর্শন-টর্শন না। তবে এমনিতে দর্শনের কারনে উনি অবশ্য খৃষ্টানদের কাছে অপ্রিয় হতেই পারেন। সেটার পরোক্ষ প্রভাব থাকলেও থাকতে পারে। তবে একমাত্র সমকালীণ সুত্র সক্রেটিস স্কলাস্টিকাসের (ইনি নিজেও খৃষ্টান, তবে এনার ভাষ্যই তুলণামূলক ভাবে সবচেয়ে ভারসাম্যপূর্ণ মনে করা হয়) ভাষায় - হাইপেশিয়া হচ্ছেন "victim to the political jealousy which at the time prevailed"।
(সূত্র- ১, ২)
যাইহোক, ছবিতে ক্রীতদাস ডেভাসকে কি দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায় একটু খুলে বলবেন?
****************************************
ক্রীতদাস ডেভাসের চরিত্র পুরোটাই কাল্পনিক। সিনেমাতে দেখা যায় ডেভাস হাইপেশিয়ার নৃসংশ মৃত্যু ঠেকাতে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে।
- আরাফ করিম
ডেভাস হাইপেশিয়াকে নৃসংশতার হাত থেকে বাচানোর কোন পথ না পেয়ে শ্বাস রোধ করেছিল।
আপনার লেখাটাও ভালো লেগেছে।
- আরাফ করিম
হাইপেশিয়াকে নৃসংশতার হাত থেকে বাঁচানোর কোন পথ না পেয়ে ডেভাস শ্বাস রোধ করেছিল।
আপনার লেখাটাও ভালো লেগেছে।
- আরাফ করিম
মুভিটা আগেই দেখা। তারপরও রিভিউটা ভালো লাগলো।
____________________________
অনেক ধন্যবাদ
- আরাফ করিম
নতুন মন্তব্য করুন