"পেটচুক্তি বিয়ে"

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ০১/১০/২০১৩ - ১২:৩১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

স্কুলজীবনে ছাত্র ভালো না থাকার কারণে বরাবরই ব্যাকবেঞ্চার থাকার চেষ্টা করতাম। আর স্বভাবতই পরিচয় ঘটতে থাকে ক্লাসের সবচেয়ে পোংটা গ্রুপের সঙ্গে। দিনে দিনে উপভোগ করতে থাকি ওদের সঙ্গ, ওদের বন্ধুত্ব। একটা দিনের জন্যও কখনই অনুশোচনা হয়নি বরং তৃপ্তি সহকারে প্রতিনিয়ত ওদের আথিতেয়তা গ্রহন করেছি। আর বিনে পয়সায় উপভোগ করেছি ওদের বাক পটুতা, বিভিন্ন কার্যের কার্যপ্রণালী, সার্কাস আর খুনসুটি। কিছুদিন অতিবাহিত হওয়ার পর যেটা বুঝতে পারি সেটা হল একমাত্র আমি ছাড়া সবাই প্রতিদিন হোমওয়ার্কসহ অন্যান্য কার্যকলাপ যথাযথ সময়ে এবং যথাযথ নিয়মেই সম্পন্ন করে। কোন রকম উপায় উপান্তর না দেখে ওই পোংটা গ্রুপের দেখাদেখি আমিও জীবনের মহান ব্রত নিয়ে ঝাপ দিলাম বিদ্যা অর্জনে। কিন্তু ফলাফল ওই সেই ব্যাকবেঞ্চার।

ভুমিকাটা বোধহয় মিলবেনা আমার লেখার বিষয়বস্তুর সঙ্গে। তাও থাক। লেখাটা তো বড় হল দেঁতো হাসি পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা বিষ্টায় পরিপূর্ণ বাংলা রচনা লেখার অভ্যাসটা এখনও ছাড়তে পারিনি হয়ত। আসল কোথায় আসি। আজকের বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় দেখলাম কট্টরপন্থি, ইসলামের ধারক বাহক, পশ্চিমা জালেম সরকারের ঝান্ডা বাহক, বাংলাদেশের মুসলমানদের জন্য অনুকরনীয় আদর্শ মুসলিম রাষ্ট্র ইরানের বিজ্ঞ আদালত পালিত কন্যাকে বিয়ে করার আইন পাস করেছেন। প্রচন্ড হতাশ হবার আগেই মনে পড়ল পালিত ওই কন্যাদের কথা। আমার এই ছোট মাথা দিয়ে সত্যি এই ব্যাপারটা আমি কোনভাবেই মানতে পারছিনা। অনেকেই এখন আমাকে সূরা নিসা তর্জমাসহ পাঠ করে শোনাতে চেষ্টা করবেন। ওইখানেই থামুন। একটা মেয়ে এতদিন যাকে বাবা বলে জেনে এসেছে তাকে এখন থেকে শয্যাসঙ্গি হিসেবে মেনে নিতে হবে। মিউচুয়াল আন্ডারস্ট্যান্ডিঙ্গের প্রসঙ্গ টেনেও ঘাটে খুব একটা পানি পাওয়া যাবেনা। মধ্য প্রাচ্যের দেশ গুলোতে নারীদের অধিকার অথবা ইচ্ছার বহিঃপ্রকাশের অনেক নমুনা আমরা জানি। একজন ১৯ বছরের কিশোরী যাকে ৭ জন পুরুষ মিলে গণ ধর্ষণ করে এবং এর বিচার চাইতে সৌদি শরীয়া আদালতের শরণাপন্ন হলে আদালত উল্টো ধর্ষিতাকে ইসলামিক আইন অনুযায়ী ৯০ টা দোররা মারার নির্দেশ দেয়। এই হচ্ছে মুসলমানদের নেতৃস্থানীয় দেশ সৌদি আরবের অবস্থা। দুবাইতেও কিছুদিন আগে এক নরওয়েজিয়ান ইন্টেরিয়র ডিজাইনারকে ১৬ মাসের জেল দেয়া হয় ধর্ষনের অভিযোগ করার পর শরীয়া নিয়মে উপযুক্ত সংখ্যক স্বাক্ষী দ্বারা প্রমাণ করতে না পারার কারণে (ডিএনএ রিপোর্ট, মেডিকেল রিপোর্ট থাকা সত্ত্বেও)।

ফিরে আসি ইরানের মহৎ এই আইন পাস করার আর আমার অপ্রাসঙ্গিক ভুমিকার ব্যাপারে। কৈশোর জীবনের একটা কথা খুব করে মনে পড়ছে আজকে। আমার সেই পোংটা গ্রুপের বিজ্ঞ বন্ধুটার নাম বা চেহারা কোন কিছুই মনে করতে পারছিনা। কিন্তু বন্ধু তুমি আজ থেকে প্রায় ১৮ বছর আগে যে কথাটা বলে গেছ সেটা আজকে আমি চোখের সামনে ঘটতে দেখবো। "পেটচুক্তি বিয়ে"।

ইন্ট্যাক্ট মেয়ে খোঁজাটা আমাদের রক্তে মিশে গেছে। ভার্জিন না হলে খেলাটা ঠিক যেন জমেনা। পুরুষের ভার্জিনিটি নিয়ে কথা বলার দুঃসাহস অথবা জ্ঞান কোনটাই আমার নেই। আর দরকারই বা কিসের। আমি নিজেই পরে আবার কোন ঝামেলায় পড়ে যাই। "পেটচুক্তি বিয়ে" বিষয়টা বুঝিয়ে বলি। এই আধুনিক নারীবাদী সভ্যতার অগ্রসরতার কারণে ভার্জিন মেয়েদের নাকি বড়ই অভাব। ইকনোমিক্সের সাপ্লাই ডিমান্ড রুল অনুযায়ী যেসব প্রোডাক্টের সাপ্লাই কম সেসব প্রোডাক্টের দাম বরাবরই বেশি। এখানেও তার ব্যাতিক্রম হয়নি। প্রোডাক্ট কম বলে কি কনজাম্পশন কমে যাবে? উহু এতো অসম্ভব। তাহলে উপায়? উপায় হল এই "পেটচুক্তি বিয়ে"। বাজারে ভেজাল পন্যের সমারোহে আমরা যখন নাস্তানাবুদ তখন আমরা অনেকেই নিজ উদ্যোগে নিজের শ্বাক সবজি, মাছ, মরিচ আরও কিছু টুকটাক জিনিসপত্র নিজেই উৎপাদন করার উপায় খুঁজতে থাকি। ঠিক তেমনি একটা বিষয় এই "পেটচুক্তি বিয়ে"।

অনেকেই এই "পেটচুক্তি বিয়ে" টার ব্যাপারে এখনও ১০০% ক্লিয়ার হতে পারেননি। সত্যি বলছি সাসপেন্স দেঁতো হাসি বাড়ানোর কোন অপচেষ্টা করছিনা। আবার সরাসরি লিখে ফেলার সাহসও করতে পারছিনা যেটা করে দেখিয়েছে ইরানের আদালত। কিন্তু লিখতে যখন বসেছি লিখতে তখন হবেই। বলে ফেলি। আমার আর কি। হাগলে বেটির দোষ নাই, দেখলে বেটির দোষ। "পেটচুক্তি বিয়ে"টা হচ্ছে আপনি গর্ভবতী কোন মেয়ের সন্ধানে নেমে পড়ুন। চেহারা সুরুত, গতর গাতর মাশাল্লাহ ভালো হলে আলহামদুলিল্লাহ বলে কোমর বেঁধে নেমে পড়ুন। নিরাপদ দুরুত্ব বজায় রেখে নির্দ্বিধায় বলে ফেলুন। রাজি হলে আপনাকে আর পায় কে? তারপর থেকেই চোখে চোখে রাখবেন। ইচ্ছা হলে যত্ন আত্তিও নিতে পারেন। ফেভারটা আপনার ফেভারেই যাবে। তবে অবশ্যই যথাসময়ে থ্রিডি, ফোরডি আল্ট্রাসনোগ্রাম করে দেখে নিন ছেলে নাকি প্রোডাক্ট। ছেলে হলে নেক্সট প্রোজেক্টে হাত দিন। খামাকাই কাল ক্ষেপণ। প্রোডাক্ট ফিক্স হলে এরপর শুধু অপেক্ষার পালা। প্রহর গোনা শেষ হলে আসবে সেই শুভক্ষন। প্রথমেই চেখে দেখুন সরি নিজের চোখে দেখে নিন এত দিনের কষ্ট, শ্রম, মুল্যবান সময়, অর্থ বিত্ত সব কিছু ঠিক জায়গায় খরচ করেছেন কিনা।

এই যাত্রাটাই আসল যাত্রা। এবার প্রোডাক্টের জন্মদাত্রীকে নিশ্চিন্তে ভুলে যেতে পারেন। যতটা শ্রম, সময়, অর্থ দিয়েছেন জন্মদাত্রীর পেছনে তার চেয়েও শতগুন সময়, শ্রম আপনাকে দিতে হবে এখন থেকে। আর অবশ্যই খেয়াল রাখবেন আপনার আগে কেউ যেন এই প্রোডাক্টের টিকিও দেখতে না পারে। এবার সময় সুযোগ বুঝে শুভ কাজটা সেরে ফেলেন। প্রোডাক্টের গলায় মানি রিসিটটা ঝুলিয়ে বলে দিন আজকে থেকে তুমি আমার। এখন থেকে আমি যেখানে তোমাকে তুলে রাখবো, যেভাবে চলতে বলবো, যেভাবে আমার সেবা করতে বলবো, ঠিক সেইভাবেই চলতে হবে তোমাকে। এক সুতোও যেন এদিক ওদিক না হয়। সুযোগ বুঝে কিছু জাল হাদিসও জুড়ে দিতে পারেন। মাঝে মাঝেই নিজের পা এবং প্রোডাক্টের স্বর্গের দুরত্বটা বুঝিয়ে বলতে পারেন। ব্যাস এবার আপনি নিশ্চিন্ত(!)। হয়ে গেলো "পেটচুক্তি বিয়ে"। নিজেই পেলে পুশে এক্কেবারে খাঁটি ইন্ট্যাক্ট, ভেজাল বিহীন একটা পন্য বাজার থেকে দেখেশুনে আপনি ক্রয় করতে পেরেছেন। এখন থেকে সমাজে আপনি বুক, মুখ সব কিছু ফুলিয়ে ফাপিয়ে হাটতেই পারেন। পাহাড়সম সাধুবাদ আপনি এখন থেকে পেতেই পারেন। আরও কোন বিশেষণ যোগ করে "পেটচুক্তি বিয়ে" বিষয়টা বাড়ানোর কোন ইচ্ছাই আমার নাই। যথেষ্ট হয়েছে আর সর্বোপরি রচনার লেন্থ আর মার্কের প্রপোরশোনালিটি ব্যাপারটা এখানে মুখ্য না।

ওই পোংটা গ্রুপের কিছু পোলাপাইনের আরও কিছু কথা শেয়ার করি। লেখাটা রগরগে হয়ে গেলেও কিছুই করার নাই। ওই সময়েই শুনতাম আরবের শেখরা নাকি ব্যাংককে গিয়ে প্রমোদ তরী ভাড়া করে আর সেখানে থাকে শত শত হাজার হাজার সুন্দরী কিশোরী ললনারা। বয়স যত কম দাম নাকি ততই বেশী। জানিনা ইকনোমিক্সের ছায়াতলে এই রকম কোন সুত্র পরে নাকি? আরেকটা ব্যাপার শুনেছিলাম। প্রমোদতরীর প্রমোদবালাদের সঙ্গে শয্যাটা অবশ্যই নাকি সাদা রঙের বিছানায় হতে হবে। পেট্রো ডলারগুলোর রঙ যদি লাল না হয় তাহলে নাকি শেখরা মনে বেজায় কষ্ট পেতেন। নিজের কাছে অনেক ছোট হয়ে যেতেন। বাজার থেকে এক নাম্বার মনে করে কিনে এনে বাসায় এসে যদি দেখেন পছন্দের শার্টটার পিছনে ছেঁড়া, তখন আপনার কেমন লাগবে। পরবর্তী স্টেপ হবে আপনার হ্যাডম অনুযায়ী। তবে এখন পর্যন্ত এতুটুকু বোঝাতে বোধহয় সক্ষম হয়েছি, কোন লেভেলের পোংটা পোলাপাইনের সঙ্গে আমার ওঠাবসা ছিলো।

দেশে নারীদের সমঅধিকার নিয়ে আন্দোলন চলছে অনেক দিন ধরেই। কিন্তু যারা পরিকল্পনা ও মাঠ পর্যায়ের স্বক্রিয় আন্দোলনকারী তারা কতটুকু এই অধিকারের ব্যাপারে সচেতন সেইটা আমার মাঝে মধ্যেই জানতে ইচ্ছে হয়। নারীদের সমঅধিকার নিয়ে রাষ্ট্র পর্যায় থেকে শুরু করে ব্যাক্তি পর্যায় পর্যন্ত কোন জায়গাই বোধহয় বাকি নাই। আমি এমন কোন কুতুব না যে আজকে এখানে কিবোর্ড ফাটায়ে নতুন কিছু আবিষ্কার করে ফেলবো। তাই এখানে খ্যামা দিচ্ছি। আমি শুধু আমার দৃষ্টিভঙ্গিগুলোই বাইনারীতে কনভার্ট করবো। আর এই জন্যই এই লেখা।

এই একবিংশ শতাব্দীতে এসেও নারীদের সম্পর্কে কিছু কিছু মানুষের চিন্তা ধারনা, মন মানসিকতা দেখে আঁতকে উঠতে হয়। আমি ছোটবেলা থেকেই আমার মাকে দেখতাম ওই এক উনুনঘরে প্রতিদিন হাজিরা দিতে। সকালে ঘুম থেকে উঠে রাতে ক্লান্ত শরীরে ঘুমোতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত তাকে জীবনভর ওই একই সিলেবাস ফলো করতে হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে। একটা মুহূর্তের জন্যও তাকে বিরক্ত অথবা ধৈর্যহারা হতে দেখিনি। কি জানি হয়তবা অন্য কোন অপশন তার জন্য খোলা ছিলোনা। আমার বাবা যে ডমিনেটিং টাইপের মানুষ তা কিন্তু না। দিনের শেষে মা নারীবাদী হয়ে উঠলে বাবা যেতেন চুপসে। বোবার শত্রু নেই নীতিতে বিশ্বাসী ছিলেন হয়ত। কিন্তু আমাদের সমাজ ব্যবস্থাই আমাদের মা বোন, বউদেরকে বোধ হয় এমন করে রেখেছে। এইজন্যই হয়ত তখন থেকেই আমি নারীদের Wooden doll ছাড়া কিছুই মনে করতে পারিনি। ডমিনেটিং ব্যাপারটা কখনই আমার ঘাড়ে চেপে বসেনি সত্যি কিন্তু সবসময়ই একটা করুনা বোধ করতাম। আমাদের মত নারীবাদী পুরুষরাও যে খুব একটা ভালো সেইটাও দাবী করবোনা। আরেক বন্ধুর মুখে শোনা "নারীবাদী পুরুষরা কিন্তু সন্দেহজনক"। বয়স বাড়ার সাথে সাথে আশেপাশের অনেক চেনা অচেনা মানুষের সঙ্গে পরিচয়ের সুবাধে আমার এই হীন মানসিকতার(!) পরিবর্তন হতে শুরু করে। খানিকটা ভালো লাগা থেকে শুরু করে অনেক দূর পর্যন্ত হেটে চলে এসেছি হয়ত। এমনটাই মনে করতাম নিজেকে। পরিবর্তিত অধুনা সমাজ ব্যবস্থা যে বেশ ভালো গতিতে এগুচ্ছে এ ব্যাপারে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই। পথে ঘাটে, রিক্সা, বাসে, অফিস আদালতে, টিভি মিডিয়াতে সব জায়গায়তেই নারীরা তার তথাকথিত Wooden খোলস থেকে বেড়িয়ে আসতে পারছে। গা ঝাড়া দিয়ে তার সত্যিকারের মানব চামড়াটা অনেক বাধা বিপত্তি পেরিয়ে হলেও উনুনের তাপ থেকে সূর্যের তাপ পোহাতে পারছে। এতুটুকুতে থামলেই চলবেনা। সূর্যকে নিয়ে আসতে হবে নিজের হাতের মুঠোয়। এগুতে হবে আরও অনেক সামনে।

এগুলো বোধহয় সবই পেপার, পত্রিকা, বইয়ে লেখা সুশীল লেখা। বাস্তব চিত্রটা মোটেও সুখকর নহে। উপর দিয়ে অনেক কিছুই হয়ত পরিবর্তন হয়েছে ভেতরটা সেই আমার ছোটবেলার মতই রয়ে গেছে। মাঝখানে শুধু কিছু ভুল বোঝাবুঝি। এখনও দেশের অধিকাংশ মেয়েরা শুধুমাত্র সামাজিক নিরাপত্তার কারনেই বিয়ে করে থাকে। বহু উচ্চ শিক্ষিত, ধনীর দুলালি, সো কল্ড ইন্ডেপেন্ডেন্ট নারীরাও এই ঘেরাটোপ থেকে বের হয়ে আসতে পারেনি। পজিটিভ চিত্রও যে নাই সেটাও বলবোনা। আমাকে হয়ত অনেকেই পেসিমেস্টিক, নেগেটিভ, ভন্ড বলে অ্যাড্রেস করতে পারেন কিন্তু আমি নিজেকে রিয়েলিস্টিক বলেই জানি এবং সেটাই বিশ্বাস করি।

ছড়িয়ে ছিটিয়ে হলেও মোটামুটি স্কুল জীবন, ইরান, সৌদি আরব, পেটচুক্তি বিয়ে, নারীদের সমধিকার, Wooden doll মোটামুটি অনেক কিছুই কভার করা হয়েছে। শেষমেশ ইরান প্রসঙ্গে চলে আসি। পারস্যের মত বাংলাদেশেও যদি এই রকম একটা ব্যাপার খাতা কলমে চালু হয়ে যায়, তাহলে অনেক পরিবার, অনেক পুরুষের জন্য ব্যাপারটা ভয়াবহ ইরোটিকালি সুখকর হবে বলেই বোধ করি। অনেকেই তখন সমাজ পরিজনকে মাঝখানের আঙ্গুল প্রদর্শন করে ফিল্ডে নেমে যাবেন। তৃপ্তির ঢেকুরের স্মেলতো আমি এখন থেকেই পাচ্ছি।


মন্তব্য

হিমু এর ছবি

লেখকের নাম/নিক নেই কেন?

যাযাবর এর ছবি

বেইজ্জতের ভয়ে হয়ত দেয়নি। আমি দিয়ে দিলাম। "যাযাবর" হাসি

কাজি মামুন এর ছবি

লেখাটা খুব গোছানো নয়। প্রসঙ্গগুলো একটি বিষয়কে নিয়ে হলেও কেমন ছাড়া ছাড়া!

লেখক 'সরাসরি লিখে ফেলার সাহস' করেননি বলে দাবী করেছেন, তবে সাহস করে অনেক কথা বলেও ফেলেছে, আর সেই কথাগুলোই মনে হয় লেখাটাকে বাঁচিয়েছে। সৌদি বা নাইজেরিয়ার ঘটনা, সুযোগ বুঝে জাল হাদিস জুড়ে দেয়ার কথা, পেট্রোডলারের রং বা উডেন ডল - এমনি সব প্রসঙ্গ লেখাটিকে পাঠযোগ্য করেছে নিঃসন্দেহে!

আশ্চর্য হল, ষষ্ঠ পান্ডবদার অনুরোধ সত্বেও নামহীন একজন অতিথি লেখকের লেখা প্রকাশিত হয়েছে। লেখক নাম প্রকাশ করতে না চাইলে যেকোন একটি নিক ব্যবহার করে নিজের আলাদা সত্তাকে স্পষ্ট করে তুলতে পারেন।

যাযাবর এর ছবি

ঠিক এই রকমই একটা ফিডব্যাক চাচ্ছিলাম। এতসব দারুন দারুন লেখার মাঝে সচলে লেখার সাহস পাইনা। কিছুদিন ধরে ভাবছিলাম দিব নাকি। চিন্তা করলাম খামাকা পরিবেশ নষ্ট করে লাভ কি? আবার চিন্তা করলাম এভাবে পিছিয়ে যাওয়াটাও বোধহয় ঠিক না। সাহস করে দিয়ে দিলাম। বকা ঝকা খেয়ে যদি হাত আসে হাসি ধন্যবাদ। এই রকম গাইড লাইন পেলেই হয়ত সামনে এগুতে পারবো।

যাযাবর এর ছবি

নেক্সট লেখা থেকে যাযাবর নিকটা যাবে। ধন্যবাদ।

অতিথি লেখক এর ছবি

লিখাটা যাযাবরের মত হলেও একেবারে দিকহীন নয়। চালিয়ে যান ।

শাকিল অরিত

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

পেটচুক্তি বিয়ে"টা হচ্ছে আপনি গর্ভবতী কোন মেয়ের সন্ধানে নেমে পড়ুন। চেহারা সুরুত, গতর গাতর মাশাল্লাহ ভালো হলে আলহামদুলিল্লাহ বলে কোমর বেঁধে নেমে পড়ুন। নিরাপদ দুরুত্ব বজায় রেখে নির্দ্বিধায় বলে ফেলুন। রাজি হলে আপনাকে আর পায় কে? তারপর থেকেই চোখে চোখে রাখবেন।

ঠিক বুঝলাম না। ধরা যাক আমি পেটচুক্তি বিয়েতে আগ্রহী হলাম(নাউজুবিল্লাহ), তো আমাকে কি করতে হবে? একজন গর্ভবতী মহিলাকে বলতে হবে- আপনার গর্ভস্থ মেয়েটিকে আমি দত্তক নিতে চাই? আমি বল্লাম আর সেই মহিলা রাজী হয়ে গেল? আর আপনার এই পেটচুক্তি প্রজেক্ট কি বিবাহিত পুরুষ নাকি অবিবাহিত পুরুষের জন্য? যদি বিবাহিত পুরুষের জন্য হয়, তাহলে আতকা একটা শিশু সন্তানকে বাড়ীতে নিয়ে আসলে কে তাকে লালন পালন করবে কে?, বর্তমান স্ত্রী পুত্র কন্যারা? তাদের প্রতিক্রিয়াটাই বা সামাল দেয়া যাবে কিভাবে? ব্যাপারটা কি আদৌ প্রাকটিক্যাল?
যদি অবিবাহিত পুরুষের অবিবাহিত পুরুষের জন্য হয় প্রজেক্ট, তাহলে তো জটিলতা আরো বহুগুন বেশী। প্রথমতঃ একজন অবিবাহিত পুরুষ এই ধরনের দত্তকের প্রস্তাব করলে সন্দেহবশতঃ কিল একটাও মাটিতে পড়বে না। দ্বিতীয়তঃ কোনক্রমে যদি তেমন কিছু একটা ম্যানেজ করাও যায়, এত বছর ধরে সে কোথায় থাকবে? কে তার খাওয়া-দাওয়া, হাগু-মুতু, পরে লেখাপড়া এসবের দেখাশোনা করবে? পুরাই অপরিনত চিন্তা ভাবনা, খুবই হতাশ হলাম।

যাযাবর এর ছবি

ভাইজান, কৌনিক দৃষ্টিতে দেখবার চেষ্টা করেন হাসি

pritorius এর ছবি

" কৌনিক দৃষ্টি" টা কি "ভাইজান"? এটা কারে ক্য়? এটা আপনে নিজে বানাইলেন? নাকি উইকি তে পাওন যায়?
এটা কারে কয় কইয়া দেন, তারপর চোখে সেই দৃষ্টি ফিট কইরা দেখার চেষ্টা করি।
-মেফিস্টো

যাযাবর এর ছবি

ভাইরে, এইটাতো একটা মেটাফোর। এভাবে প্যাঁচানোর কি আছে? আমি সত্যি বুঝতে পারছিনা।

pritorius এর ছবি

তার মানে এই " কৌনিক দৃষ্টি" এর কোন ডেফিনিশান নাই? আপনে যা কইছেন তা আমরা মাইনা নিলেই আপনে খুশী? লেখক হিসাবে আপনের দায় হইতাছে একজন পাঠক তার বুঝ ক্লিয়ার করার লাইগা কিছু জিগাইলে তার জবাব দেয়া। আপনে এই দায় না মিটাইলে ক্যাম্নে কি? যাউক আমি প্যাচাইতে চাই না। দুক্খু পাইলে ছরি।
- মেফিস্টো

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

লেখার বিষয়বস্তু ভালো লাগলো। যদিও লেখা অনেক খাপছাড়া মনে হয়েছে, কিছুটা এলোমেলোও হয়েছে, কিন্তু অনেক দরকারী কথা এসেছে। এবিষয়গুলো এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে এরা প্রত্যেকে আলাদা আলাদা পোস্ট দাবী করে।

লেখা চালিয়ে যান - বাকী কথাগুলোও বলে ফেলুন।

____________________________

যাযাবর এর ছবি

ঠিক এই রকমই একটা ফিডব্যাক চাচ্ছিলাম। এতসব দারুন দারুন লেখার মাঝে সচলে লেখার সাহস পাইনা। কিছুদিন ধরে ভাবছিলাম দিব নাকি। চিন্তা করলাম খামাকা পরিবেশ নষ্ট করে লাভ কি? আবার চিন্তা করলাম এভাবে পিছিয়ে যাওয়াটাও বোধহয় ঠিক না। সাহস করে দিয়ে দিলাম। বকা ঝকা খেয়ে যদি হাত আসে হাসি ধন্যবাদ। এই রকম গাইড লাইন পেলেই হয়ত সামনে এগুতে পারবো।

অতিথি লেখক এর ছবি

আমার কাছে দারুন লেগেছে, আপনার বর্ণনা করার ক্ষমতা ভালো গুল্লি , রস একটু বেশি দিয়েছেন প্যাংটাদের সাথে থেকে এটা ভালোই শিখেছেন গড়াগড়ি দিয়া হাসি । চলুক সাহসী লিখা ।

মাসুদ সজীব

যাযাবর এর ছবি

ধন্যবাদ। প্রেরণা পেলে ভালো লাগে।

অতিথি লেখক এর ছবি

ইন্ট্যাক্ট মেয়ে খোঁজাটা আমাদের রক্তে মিশে গেছে। ভার্জিন না হলে খেলাটা ঠিক যেন জমেনা। পুরুষের ভার্জিনিটি নিয়ে কথা বলার দুঃসাহস অথবা জ্ঞান কোনটাই আমার নেই। আর দরকারই বা কিসের। আমি নিজেই পরে আবার কোন ঝামেলায় পড়ে যাই।

কল্যাণ এর ছবি

লেখাটা ভাল লাগেনি। এলোমেলো। সেইসাথে অযত্নের ছাপ।

ট্যাগ দিয়েছেন সববয়সী, কিন্তু লেখার সাথে কি সেটা যাচ্ছে?

লেখা চলুক।

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

যাযাবর এর ছবি

আমারও মনে হচ্ছিলো লেখাটা এলোমেলো হচ্ছে। আসলে অনেকগুলো টপিক নিয়ে খাপছাড়া লেখা হয়ে গেছে। যত্ন নিয়েছি ঠিকই কিন্তু যত্নের কোয়ালিটি ভালো হয়নি হাসি পরেরবার আরও যত্ন সহকারে লেখার চেষ্টা করবো। ধন্যবাদ।

কল্যাণ এর ছবি

যত্ন নিয়েছি ঠিকই কিন্তু যত্নের কোয়ালিটি ভালো হয়নি

হো হো হো

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

আমি জানি না এর ছবি

লেখা ভাল্লাগছে।

"চৌদি/মইদ্য প্রাইচ্য" রা কবে যে মানুষ (সভ্য) হইব, তা বেশ কয়েকটা পিএইচডি গবেষণার বিষয় হইতে পারে।

আমি জানি না

যাযাবর এর ছবি

ধন্যবাদ। প্রেরণা পেলে ভালো লাগে।
নবী রাসুল পাঠাইয়াও সভ্য করতে পারেনাই। আর আশা কইরা লাভ নাই।

অতিথি লেখক এর ছবি

কি বলব বুঝতেছি না।

যাযাবর এর ছবি

আমার মত সাহস কইরা বইলা ফালান হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখাটা হয়তোবা অগোছোলো, কিন্তু অনেক গুরুত্বপূর্ণ কথা চলে এসেছে।
প্রথমেই দত্তক কন্যার কথা বলি- ব্যাপারটি ঘটেছে যেহেতু ইরানে, এবং ইরান যেহেতু একটি মুসলিম রাষ্ট্র, তাই ইসলামে এই ব্যাপারে কি বলে সেটা দেখতে পারি।
ইসলামে পুত্র বা কন্যা দত্তক নেওয়াকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে এবং দত্তক পুত্র বা কন্যাকে বাবা/মায়ের নাম হিসেবে আসল বাবা/মায়ের নাম বলতে বলা হয়েছে। তাই যেখানে পিতার সাথে দত্তক কন্যার সাথে সম্পর্কটা বায়োলজিক্যাল নয়, সেখানে আইনত বিয়েতে বাধা নেই। প্রশ্ন হচ্ছে ব্যাপারটা ইথিকাল কি না। এক কথায় উত্তর, অবশ্যই ইথিকাল নয়। তারপরো কতজন মানুষ শুনে কথা? শুনলে তো দেশের স্বনামধন্য এক লেখক নিজের মেয়ের বান্ধবীকে বিয়ে করতে পারতেন না, তাই না?
'পেট চুক্তি বিয়ে'র মতো পোংটাকালে আমরা চিন্তা করেছিলাম- তবে আমাদের চিন্তাটা ভিন্ন ছিলো- আমরা ঠিক করেছিলাম নজর রাখতে হবে ক্লাস ফোর-ফাইভ থেকে, হা হা হা।
এমনিতে লেখাটা ভালো লেগেছে, আশাকরি, সামনে আরো গুছিয়ে লিখবেন।
ভালো থাকুন।

-এস এম নিয়াজ মাওলা

বান্ধবী এর ছবি

অপ্রিয় সত্য কথা একটু গুছিয়ে লিখলে, লেখার ভেতরের বার্তাটা সবার কাছে দ্রুত পৌঁছায়। লিখতে থাকুন - সামনে আরও অনেক অনেক সুন্দর লেখা পড়ার আশা থাকলো হাসি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।