পৃথিবীটা মূর্খদের। মূর্খেরা বেঁচে থাকো
অনাদি যে কাল অনন্ত যে কাল আর অসম্ভব যে কাল সে কাল থেকে স্বপ্ন দেখছি জন্ম নেবো কারখানায়
তবু অনাদিকাল অনন্তকাল ধরে নোংরা বিন্দুগুলো মিলেমিশে ''আমি'' হয়ে উঠছি
তাই আমি এতো আঠালো (পুস্পি কে বোঝাতে পারিনি)
বেঁচে থাকো ঔরসের গৌরব বেঁচে থাকো স্নেহের কলরব
মামা খালা চাচা ফুপু পরম উল্লাসে পান চিবাও খুন চিবাও
বেঁচে থাকো
কালো কালো খেচররুপী নোংরা খচ্চরগুলো আমার গোধূলির বুক ছিঁড়ে ফুড়ে নির্বিবাদে ঢুকে যাও
অশ্লীল ক্রীড়নে আবর্তিত হও। মত্ত হও
চাঁদ তুমি পাংশুটে হও। বাঁচতে চাইলে পাংশুটে হও
সূর্য অন্ধকার হও। ভোর তুমি জীবনবতীর প্রপঞ্চে জীবনান্ত হও
দিনে দুপুরে দিঘী থেকে সবুজ জল শুষে নাও রাক্ষুসে মাছেরা
শুভ্র টুপি আর সাতফুটি শুভ্র দাড়ির মাঝে চিটচিটে কামুক চেহারা
বেঁচে থাকো
পৃথিবীটা মূর্খদের। মূর্খেরা বেঁচে থাকো
খসে যাও বিকেলের চায়ের কাপ
জোনাকির আলো অতীত হও। জোনাকিরা হয়ে ওঠো ফুলখেকো
সন্ধ্যার আগেই আমার বাগান উজাড় হোক। ঝিঝিরা বিলীন হোক
জোনাকিরা রাক্ষস হয়ে বেঁচে থাকো
কালো কালো খেচররুপী নোংরা খচ্চরগুলো আমার গোধূলির বুক ছিঁড়ে ফুড়ে নির্বিবাদে ঢুকে যাও
অশ্লীল ক্রীড়নে আবর্তিত হও। মত্ত হও
আমাদের আত্মজিজ্ঞাসা বিলীন হও। স্বচ্ছ জলে আমাদের ভাসমান ভাবনা বিলীন হও
হারিয়ে যাও সত্যিকারের জলরঙ জল। সারি সারি পিপড়া গুলো মরার মতো বাঁচো
উচ্চাকাঙ্ক্ষী মাতা বাঁচো। হার্টউইক পিতা বাঁচো
ঔরস আর স্নেহের ঋণ বাঁচো
খালা মামা চাচা ফুপু পরম সমারোহে পান চিবাও খুন চিবাও
বেঁচে থাকো
কবি তুমি শূন্য হয়ে যাও
কবি তুমি শূন্য হয়ে যাও
লাবিব ওয়াহিদ
মন্তব্য
মনে হচ্ছে সচলে আপনার প্রথম কবিতা এটি। কবিতায় দ্রোহ ভাল লাগে খুব যদিও তেমন কবিতার আকাল চারিদিকে। স্বাগতম আপনাকে, আশা করছি নিয়মিত আপনার কবিতা পড়তে পারবো।
এই লাইনটা দারুণ!! 'পান চিবাও' এর সাথে 'খুন চিবাও' দারুণ জুতসই হয়েছে! মামা খালা চাচা ফুপুরা আর কতকাল পান চিবোবেন? তারাই না তাদের সন্তানদের জন্য একটি নিরাপদ পৃথিবী চান সর্বান্তকরণে? পান চিবুতে চিবুতে তারা খেয়ালই করেন না, এগিয়ে আসছে রাক্ষসদের যুগ!! চাঁদের উপর হামলে পড়ছে শ্বেত-শুভ্র ছল ধরা কামুক রাক্ষস, তবু হুশ নেই আমাদের উচ্চাকাঙ্ক্ষী মাতা, হার্ট-উইক পিতা, মামা, খালা, চাচা, ফুফুদের!!
কবিতাটির গড়ন কিছুটা সরলরৈখিক। তবু এই কবিতায় যে সম্ভাবনার সাক্ষর রেখেছেন, তা ধরে রাখতে পারলে, ভবিষ্যতে উত্তম কবিতা পাঠের সুযোগ মিলবে পাঠকদের, সন্দেহ নেই।
ভালো, খুবই ভালো। বহুদিন পরে একটা কবিতা পড়ে, আবৃত্তি করে তৃপ্তি পেলাম। আরো লিখবেন এই আশা করি।
আবৃত্তি রেকর্ড করে আপলোড করে দেন মিয়া---
____________________________
"শুভ্র টুপি আর সাতফুটি শুভ্র দাড়ির মাঝে চিটচিটে কামুক চেহারা" - মজা পেয়েছি।
লেখা চলুক।
____________________________
কবি তুমি শূন্য হয়ে যাও, কবি তুমি শূন্য হয়ে যাও,
শূন্য হতে হতে তুমি পূর্ণ হয়ে যাও
....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !
ভাল লাগল
ইসরাত
সচলায়তনে স্বাগতম।
একমত নই। সাতশো কোটি মানুষের এই পৃথিবী মূর্খদের জন্য নয়। মূর্খরা বাঁচে, তবে গৌরবে নয়, হীনতায়।
পৃথিবী বলতে যদি শুধু বাংলাদেশ বুঝিয়ে থাকেন, তাহলে অবশ্য আলোচনার ব্যাপার আছে।
লিখা চলুক
একমত, পুরোপুরি।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
আসুক আরো কবিতা।
-নিয়াজ
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
কবিতার তীব্রতা ছুঁয়ে গেছে। আশা রাখি, ভবিষ্যতে আশার কবিতাও পাব।
সচলায়তনে কবিকে স্বাগতম।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
অনুভূতির মাঝে ক্ষোভ জমে জন্ম নিয়েছে বোধহয় এই কবিতা। কবিতায় যখন সমাজের অনিয়মের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ঝরে তখন কবিতাকে আমার প্রতিবাদের অন্যতম উপায় মনে হয়। আপনার কবিতা তাই দারুন লেগেছে।
মাসুদ সজীব
ভাল গালার পরশে হৃদয় সিক্ত।। তবু বলছি, কবিদের যাবে হওয়া শুন্য।।
কবি তুমি শূন্য হয়ে যাও
কবি তুমি শূন্য হয়ে যাও
ভালো লাগলো
অভিমান, ক্ষোভ, দ্রোহ।
ভাল্লাগসে।
ইউক্লিড
পুনশ্চঃ পিডিএফ বান্ধাইয়া ল্যাপ্টপে টাঙ্গাইয়া রাখিলুম।
ইউক্লিড
নতুন মন্তব্য করুন