• Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_clear_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_electoral_list_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_results_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_writeins_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).

পাগল মন !!

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ০৮/১০/২০১৩ - ১:১০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

‘প্রাণের ছবি, গানের ছবি
মন মাতানো প্রেমের ছবি
পাগল মন পাগল মন পাগল মন’

...হাঁ ভাই, আসিতেছে আসিতেছে, দর্শন সিনেমা হলের রুপালি পর্দায়, আগামি শুক্রবার থেকে, তোজাম্মেল হক বকুল পরিচালিত, পাগল মন, পাগল মন, পাগল মন...ও পাগল মন, মন রে, মন কেন এতো কথা বলে...ও পাগল মন, মন রে, মন কেন এতো কথা বলেএ এ এ এ এ এ...!!

সারাদিন টইটই করে ঘুরে রাজ্যের বাঁদরামি করা আমি হঠাৎ করে মাইকের এই শব্দ শুনে দিক্বিদিক হয়ে ছুট লাগালাম বড় রাস্তার দিকে, রাস্তায় উঠে অবাক চোখে দেখলাম একটা ভ্যানগাড়ির চারিদিকে রঙ বেরঙের পোস্টার লাগিয়ে একজন লোক এই সিনেমার মাইকিং করে বেড়াচ্ছে। বড়ই উত্তেজনাকর আর নতুন একটা ব্যাপার আমার কাছে।

আমাদের গ্রাম শহর থেকে বেশ দূরে হওয়াই সিনেমার এই ধরনের মাইকিং আগে দেখেছি বলে মনে পড়ছে না। আর আমাদের বড় রাস্তা বছরের বড় একটা সময় কাদায় পরিপূর্ণ থাকে, এতটাই কুখ্যাত আমাদের গ্রামের কাদা যে ইয়া তাগড়া তাগড়া মোষও গাড়ি নিয়ে পার হতে গিয়ে চোখে শর্ষে ফুল, গেন্দা ফুল সব দেখে ফেলে, সেইখানে রিকশা ভ্যান তো কোন ছার!! যদিও এখন শীতকাল, তারপরেও আমাদের গ্রামের রাস্তায় সিনেমা হলের মাইকিং আমাদের মত ছোট পুলাপাইনের কাছে অতি আশ্চর্যের একটা বিষয়ই বটে। তাই সব বিচ্ছুর দল ভ্যানগাড়ির পিছন পিছন দৌড়াতে থাকলাম যতদুর যাওয়া যায়। বাসায় ফেরার পথে বিষণ্ণ মুখে চিন্তা করতে লাগলাম, ইশ এই সিনেমাটা যদি সিনেমা হলে গিয়ে দেখতে পারতাম! কে জানতো এই স্বপ্ন শীঘ্রই পূরণ হতে চলেছে!

বাসায় আসার পর আমার বোন আর তার বান্ধবীদের বলাবলি করতে শুনলাম আমাদের গ্রাম থেকে ৮-১০ মাইল দূরে যে শহর, সেইখানে নতুন একটা সিনেমা হল হয়েছে, আর সেই সিনেমা হলটা চালু হবে এই পাগল মন সিনেমা দিয়ে। কিন্তু আমি তখন এতই ছোট যে সিনেমা হলে গিয়ে সিনেমা দেখার কোন সুযোগ নাই, তাও আবার এতো দূরে!! ওই সময় আমাদের সিনেমা বলতে ছিল বিটিভি থেকে প্রচারিত বাংলা সিনেমা, রবি অথবা সম্ভবত সোমবার কোলকাতা ডিডি ৭ এর বাংলা সিনেমা, আর না হয় স্কুলের বড় মাঠে যখন সার্কাস পার্টি আসে, তখন বেড়ার ফাঁক দিয়ে দেখা অস্পষ্ট কিছু সিনেমার ডায়লগ।

কিন্তু প্রায় প্রতিদিনই রেডিওতে নানারকম বাংলা সিনেমার বিজ্ঞাপন শুনতাম। বাণিজ্যিক কার্যক্রম কথাটা তখন তো আর ঠিক বুজতাম না, খালি মনে হত ‘বানি জিক্কার জক্কম’, আর এইটার ফাঁকে ফাঁকেই সেই ভরাটকণ্ঠের আকর্ষণীয় করে বলা প্রেম যমুনা, অনন্ত প্রেম, নাগ নাগিনির প্রেম এইরকম অসংখ্য ছবির ধারাবিবরণী। “আসিতেছে আসিতেছে গহর বাদশাহ বানেছা পরি...ওদিকে পরির বাবা ভেঙ্গে দিয়েছে পরির ডানা, কিভাবে এখন পরি গহর বাদশাহ’র কাছে আসবে?...গহর বাদশাহ কি পারবে সবকিছু ছেড়েছুড়ে পরির কাছে ফিরে যেতে?...আর এইসব প্রশ্নের উত্তর জানতে অপেক্ষা করুন...’!!......’আমার লাইন হয়ে যায় আঁকা বাঁকা, ভালোনা হাতের ল্যাখা, আসো যদি বাঁশবাগানে, আসো যদি বাঁশবাগানে, আবার হবে দেখা বন্ধু আবার হবে দ্যাখা’, এইসব শুনতে শুনতে সারাক্ষণই কল্পনা করতাম, ইশ কবে যে বড় হব আর সিনেমা হলে গিয়ে সিনেমা দেখবো!!

কিন্তু আমার আব্বা ছিলেন হাইস্কুলের রাগি শিক্ষক, উনার হাতের ডাস্টারের বাড়ি খেয়ে কতজনের মাথা যে আলু হয়েছে তার কোন ইয়ত্তা নেই। তার ছেলে হয়ে সিনেমা দেখার কথা বলবো সেইটা আমি কল্পনাও করতে পারতাম না। তবুও এই পাগল মন দেখার জন্য মার কাছে গিয়ে আবদার করলাম, মা ভাবলেশহীন চোখে বলল আমার আব্বাকে বলতে, আর আমার পাগল মন দেখার ওইখানেই সমাপ্তি!!

কয়েকদিন পর হঠাৎ করেই আমার ক্লাস ফাইভের বৃত্তি পরীক্ষার রেজাল্ট দিলো, আব্বা জানালো আমি বৃত্তি পেয়েছি আর তিনি তো বেজায় খুশি, আমি যদিও এইটা পেয়ে কি লাভ হল কিছুই বুঝলাম না, তবে এই সুযোগে আমি আব্বাকে পাশের শহরের চিনির কল দেখতে যাওয়ার কথা বললাম(অন্য ইচ্ছাটা গোপনই থাকল)!! আব্বা খুশিমনেই মাথা নাড়লেন এবং যথারীতি এই দায়িত্ব পড়ল আমার ছোট চাচার উপরে যে ওই শহরে কলেজে পড়ে। আমি তো বেজায় খুশি চাচাকে পাওয়াই, সাথে সাথে আমার সিনেমা দেখার ইচ্ছার কথাও চাচাকে বলে ফেললাম। কেও দেখে ফেলে আব্বাকে বলে দিলে জানে মেরে ফেলবে বলে প্রথমে ভয় পেলেও চাচা কিভাবে যেন আমার মাকে কনভিন্স করে ফেললো। আহ আমার স্বপ্ন পূরণ হতে আর বেশি দেরি নেই তাহলে।

যাই হোক নির্দিষ্ট দিনে বেশ ভালো একটা সাজগোজ করে চাচার সাথে রওয়ানা দিলাম দর্শনার উদ্দেশ্যে। কোন রকমে চিনির কল দেখেই চাচা দৌড় দিলো সিনেমা হলের দিকে। আমার উত্তেজনা তখন তুঙ্গে। সিনেমা হলের সামনে লোকজনের ম্যালা ভিড়, তবে চাচার বয়েসি সুন্দর সুন্দর কিছু মেয়েই চোখে পড়ল বেশি!! সিনেমা হলে ঢুকেই সুন্দরীদের ভিড় যেখানে একটু বেশি ওইরকম দুইটা সিট দেখে চাচা বসে পড়লেন এবং বেশ আয়েশ করে ভাব মারতে লাগলেন। ছবি শুরু হতেই আমার উত্তেজনা আর দেখে কে, বিশাল এক পর্দাজুড়ে জ্বলজ্বলে রঙ্গিন ছবি, আর আমি ঘাড় উঁচু করে দেখতে থাকলাম সবকিছু।

আসল কাহিনী শুরু হল এরপর। ছবিটা যেহেতু প্রেমের সেইখানে অনেক কান্না আর বিচ্ছেদের দৃশ্য থাকবে এইটাই স্বাভাবিক। আর সেইখানেই আমার যত সমস্যা। পর্দায় নায়ক নায়িকার কষ্ট দেখে আমার কলজে ফেটে কান্না বের হয়ে আসার মত অবস্থা। একটা দৃশ্য আসলো এমন, নায়িকার বাবা নায়িকার পায়ের তলা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় যাতে নায়িকা বাইরে বের হয়ে নায়কের সাথে দেখা করতে না পারে, আর ওইদিকে নায়ক কিছুদিন নায়িকাকে না পেয়ে সামনে যাকে পায় তাকেই কাঁদতে কাঁদতে বলতে থাকে, ‘তোমরা আমার জান কে দেখেছ? তোমরা আমার জান কে এনে দাও, তোমরা আমার জান কে এনে দাও’...সাথে কান্না আর বিলাপ!! আর তার ওই ‘জান কে দেখেছ, জান কে এনে দাও’ বিলাপ করা দেখে আমি আর সইতে পারলাম না, এতক্ষণ না হয় চোখ দিয়ে দুই এক ফোঁটা পানি পড়ছিল, এইবার ডুকরে কেঁদে উঠলাম। ফুঁফিয়ে ফুঁফিয়ে বলতে থাকলাম, কেন ওরা জান’কে আটকে রেখেছে, কেন ওকে ছাড়ছে না !!

আমার এই অবস্থা দেখে চাচার প্রেস্টিজ তো পুরাই পাংচার হওয়ার অবস্থা, এম্নেই সুন্দর সুন্দর সব মেয়ে আছে এমন জায়গায় বসেছে, সেই জায়গায় যদি এইরকম ভেউভেউ করে কাঁদি তার কি আর ইজ্জত থাকে!? চাচা আমাকে বুঝানোর চেষ্টা করলেন যে এইটা ছবি, একটু পরে সব ঠিক হয়ে যাবে, কিন্তু কে শুনে কার কথা, আমার কান্না আর থামেনা নায়কের বুক চাপড়ানো আর নায়িকার কান্না দেখে। চাচা আর সহ্য করতে পারলেন না, গজগজ করতে করতে আমাকে নিয়ে সোজা বের হয়ে আসলেন সিনেমা হল থেকে। আর বাসায় আসার পর মাকে বলে দিলেন আমাকে নিয়ে সিনেমা হলে যাওয়ার ওইখানেই সমাপ্তি এই জীবনে!!

অবশ্য এরপর আর চাচার সাথে কোনদিন ছবি দেখতে যাওয়া হয়নি, জেলা শহরের নামকরা একটা স্কুলে ভর্তি হওয়ার সুযোগে গ্রাম ছাড়তে হয়েছিল। আর তখন কেবল সালমান শাহ যুগ শুরু হয়েছে, সিনেমা হলে গিয়ে সিনেমা দেখা একেবারেই ডালভাত আর কি। তবে হাঁ...কান্না কিন্তু আমার এরপরও থামেনি!!

-নিহাদ-


মন্তব্য

Joltorongo এর ছবি

:D

অতিথি লেখক এর ছবি

:D

-নিহাদ

হাসান এর ছবি

হা হা। ভালো লেগেছে লেখাটা।
দুঃখের বিষয়, আমার শৈশব আর কৈশোর কেটেছে স্টার মুভিজে ইংরেজি সিনামা দেখে দেখে। এখন বুঝি, কতো ফালতু ছিলো ওইগুলো। এরচেয়ে হলে গিয়ে বাংলা সিনেমা দেখলেও কাজে দিতো।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ আপনাকে। আমার আবার স্টার মুভিজে ছবি দেখার সুযোগ কম ছিল, তাই সিনেমা হলই ভরসা তখন। যেসব সিনেমা দেখেছি তার সবই এখন মধুর স্মৃতি।

-নিহাদ

মহামান্য শয়তান এর ছবি

বাহ্ ভালো লাগলো আপনার প্রথম সিনেমা দর্শনের ঘটনা , তো ভাইজান কি চুয়াডাঙ্গা ভি,জে স্কুলের ছাত্র ছিলেন ?

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ ভাই। হুম, ভি, জে স্কুলের ছাত্র ছিলাম, তাও সে ম্যালা বছর হয়ে গেল। :)

-নিহাদ

অতিথি লেখক এর ছবি

কান্না কিন্তু আমার এরপরও থামেনি!

কান্না কি এখনো চোখের মনিতে ভাসে নাকি হৃদয়ের দীর্ঘশ্বাসে ঢেউ খেলে??
ক্লাস ফাইভে থাকতেই সুন্দরী মেয়ে চিনে গিয়েছিলেন? =))
স্মৃতিচারণ ভালোই লেগেছে (Y)

মাসুদ সজীব

অতিথি লেখক এর ছবি

না কান্নার রকম আর ধরন পাল্টেছে খালি। ওই সময়ের কান্না ছিল একদম নির্ভেজাল, নায়ক নায়িকার কষ্ট দেখে উঠে আসা, কিন্তু এখনকারগুলোর সাথে পারিপার্শ্বিক অনেক কিছু ঢুকে গেছে। আশা করি সেগুলোও লিখতে পারব ভবিষ্যতে।

আরেনা, ওই সময়ের সুন্দর ব্যাপারটা চাচার চোখ দিয়ে দেখা। আর এখন লেখার সময় বড় বয়সের প্রাপ্ত ধারণাটা খালি যোগ করে দিয়েছি ছোটবেলার চোখে। ;)

(ধইন্যা)

-নিহাদ

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

লেখা মজার হয়েছে। আরো লিখতে থাকুন।

আপনার ভাষা ভালো লেগেছে। কিন্তু "পুলাপাইন" শব্দটা ভালো লাগছে না। পুরো লেখার সাথে এই শব্দটা যায় না, কেমন যেন তাল কেটে যাচ্ছে ঐ যায়গাটা পড়তে গিয়ে। পরের লেখাগুলোর সময়ে লেখা শেষ হবার পরে একটু বিরতি দিয়ে গোটা লেখাটা একবার পড়ে নিন - সংশোধনীগুলো আপনা থেকেই চলে আসবে (সাজেশন কৃতজ্ঞতা: ষষ্ঠ পাণ্ডব)।

____________________________

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ উৎসাহের জন্য। (ধইন্যা)

বেশ সতর্ক ছিলাম বানান আর ভাষার ব্যাপারে, তারপরও পুরোটা পারিনি বোঝাই যাচ্ছে। লেখার সময় ২-১ বার পড়ার পর ‘পুলাপাইন’ স্বাভাবিক মনে হলেও এখন আর হচ্ছেনা। এডিট করারও আর সুযোগ নাই। তবে এইটাই যখন শুরু, পরের লেখাগুলোতে অবশ্যই আরো সতর্ক থাকবো। আবারো ধন্যবাদ এই ছোট ছোট ব্যাপারগুলো ধরিয়ে দেয়ার জন্য, সাজেশনের জন্য ষষ্ঠ পাণ্ডব’দা কেও। :)

-নিহাদ

বেচারাথেরিয়াম এর ছবি

এতো দেখি হার্ট ব্রেকিং ব্লোর মত কান্নাকাটি

অতিথি লেখক এর ছবি

পুরাই হার্ট ব্রেকিং ব্লো, ভেজালবিহিন। :D

-নিহাদ

এক লহমা এর ছবি

প্রথম লেখা এখানে? অভিনন্দন।
খুব ভাল লেগেছে। পরের লেখার অপেক্ষায় থাকলাম।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

অতিথি লেখক এর ছবি

হুম, এইটাই প্রথম।

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। সিনেমা দেখা নিয়ে আরও বেশ কিছু মজার স্মৃতি আছে আমার। কোন একদিন লিখে ফেলব।

-নিহাদ

ব্যাঙের ছাতা এর ছবি

লেখা ভাল লেগেছে।
আরো লিখুন।

প্রতি মাসের শেষ শুক্রবারে বাংলা সিনেমা দেখাত বিটিভি। শাবানার কান্না দেখে, কষ্ট দেখে কান্না করতাম। তখন বাসার সবাই বোঝাত যে এটা সিনেমা। অভিনয়। গ্লিসারিন দিয়ে চোখে পানি আনে।
কিন্তু এখন ও মাঝে মাঝে সিনেমা দেখে কান্না করি তবে প্রেক্ষাপট ভিন্ন।

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। :)

হুম, ঠিক তাই। আর শাবানাকেও পরিচালকরা এমন কষ্টের মধ্যে রাখত যে বেচারিকে চোখে সবসময় চৌবাচ্চা নিয়ে ঘোরা লাগতো। আর ওইটা দেখে সবখানেই পারিবারিক কান্নার কথা আর নাই বা বললাম। :D

-নিহাদ

শাব্দিক এর ছবি

বেচারিকে চোখে সবসময় চৌবাচ্চা নিয়ে ঘোরা লাগতো।

:))

প্রথম লেখা হিসেবে আপনার লেখাটা চমৎকার হয়েছে।
লিখতে থাকুন হাত খুলে, মন খুলে, আমরা পড়তে থাকি।

---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। :)

লেখার চেয়ে পড়াই বেশি হয়, কিন্তু হঠাৎ করেই লিখে ফেললাম এত এত লেখা দেখে। সিনেমা নিয়ে আরও বেশ কিছু মজার কাহিনী আছে আমার, ওইগুলোই লিখে ফেলবো। আর স্মৃতিকথা লেখা যেহেতু বেশ সহজ, তাই এইটা দিয়েই শুরু করলাম।

-নিহাদ

অতিথি লেখক এর ছবি

লাইফ ইজ বিউটিফুল- এই ছবিটার শেষে এসে আমি খুব কেদেছিলাম- বাবার কথা হয়তোবা মনে পড়েছিলো। আর কোনো ছবি আমাকে কাঁদাতে পারে নি।
ভালো থাকুন আপনি। ঈদের শুভেচ্ছা রইলো।

- এস এম নিয়াজ মাওলা

অতিথি লেখক এর ছবি

:(

আর ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার জন্যও রইল শুভকামনা। ভালো থাকবেন। :)

-নিহাদ

অতিথি লেখক এর ছবি

বাংলা ছবি দেখার অভিজ্ঞতার পুরা দায়ভার বাংলাদেশ টেলিভিশন কে দিব।শুক্রবার ছবি দেখার জন্য সে কি উত্তেজনা! এক ছবিতে রাজিব নায়িকা কে বলল অই সুন্দরি তোর রুপে আগুন আছে, অই আগুনে আমারে পুড়া, নইলে জ়াপ দিমু।আগুন কই আর কোথায় ঝাপের কথা বলছে তখন বুঝি নাই। এখন আমি যা বুঝেছি রাজিব কি তাই বুঝাতে চেয়েছিল?

-শাকিব

অতিথি লেখক এর ছবি

হুম এটা ঠিক যে বাংলা ছবি বিটিভি থেকেই দেখা হতো, তবে আমাদের গ্রামের বাড়ি সীমান্তের কাছাকাছি হওয়াই ছবি খুব ভালো আসতো না, তার চেয়ে ইন্ডিয়ান চ্যানেলগুলোই ভালো দেখা যেত।

জি হাঁ, আপনি এখন যা বুজছেন রাজিব ঠিক তাই বোঝাতে চেয়েছিল!! :p

-নিহাদ

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখাটা ভালো লাগল।

--
কচু পাতা

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। (ধইন্যা)

-নিহাদ

অতিথি লেখক এর ছবি

আমার মনে আছে আমি আর আমার বোন পালা করে কেদেছিলাম জাফর ইকবাল এর একটা সিনেমা দেখে। বিটিভি তে প্রচারিত সিনেমাটার নাম সম্ভবত নয়নের আলো। তারো আগে কি আমি আর আমার ভাই দুরদেশ ছবিটি দেখে খুব কেদেছিলাম। ওই সিনেমাটা তে ছোটো বেলায় ভাই বোন এর ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়. যেটা দেখে খুব কষ্ট পেয়েছিলাম। সেসব এখন কেবল এ স্মৃতি। তবে এখনো যে কোনো কোনো সিনেমা দেখে মন খারপ হয় না তা নয়।

অতিথি লেখক এর ছবি

দূরদেশ এর কথা মনে করতে পারছিনা, তবে নয়নের আলো দেখেছিলাম। ওইটাও অনেক মন খারাপ করা ছবি ছিল। আর ছোট বেলায় মন খারাপের ছবি মানেই অটোম্যাটিক সবার মন খারাপ। এইগুলো এখন কেবলই স্মৃতি।

-নিহাদ

অতিথি লেখক এর ছবি

দারুণ! -মোঃ জাকির হোসেন

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।