• Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_clear_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_electoral_list_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_results_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_writeins_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).

গ্রীক মিথলজি ২২ (আর্টেমিসের গল্পকথাঃ একটাওনের মন্দভাগ্য)

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ২৩/১০/২০১৩ - ২:৫৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আর্টেমিস হচ্ছেন জিউস এবং লেটোর কন্যা, এপোলোর যমজ, অবশ্য বয়সে সামান্য বড়। এপোলো যেভাবে টাইটান হেলিওসের কাছ থেকে সূর্যদেবতার দায়িত্ব নিয়েছিলেন, একইভাবে আর্টেমিসও চন্দ্রদেবী সেলেনার কাছে থেকে দায়িত্ব নিয়েছিলেন। যদিও সাধারণভাবে আর্টেমিস শিকারী দেবী হিসেবেই বেশি পরিচিত, একইসাথে বন্যপ্রাণীর ও পর্বতগাত্রে বন্য পশুর পশ্চাদ্ধাবনের দেবী। শিশুদের চিকিৎসক দেবী হিসেবেও আর্টেমিসের খ্যাতি আছে। আর্টেমিসের আরেকটি বড় পরিচয় হচ্ছে স্বর্গের তিন কুমারী দেবীর একজন হচ্ছেন তিনি। ভালোবাসার দেবী আফ্রোদিতির কোনো প্রভাবই ছিলো না আর্টেমিসের উপর। আর্টেমিস ভালোবাসা থেকে সবসময় দূরে থাকতেন, আবার মায়েদের বাচ্চা প্রসবের সময় যাতে ব্যথাহীনভাবে প্রসব করতে পারেন, সেই কাজেও আর্টেমিস সাহায্য করতেন। কখনো কখনো আর্টেমিসকে একাত্ম ভাবা হয় দেবী হেকাটের সাথে। হেকাটে হলেন অমাবস্যার দেবী, যখন কালো রাতে আকাশের চাঁদ থাকে ঢাকা। হেকাটে গোলকধাঁধাঁরও দেবী, যে গোলকধাঁধাঁ অশুভ যাদুবিদ্যার ভুতুড়ে স্থান। নারী এবং শিশুদের হঠাৎ মৃত্যুর জন্যও দায়ী করা হয়ে থাকে দেবী আর্টেমিসকে, এমনকি প্লেগের বিস্তারের জন্য বলা হয়ে থাকে আর্টেমিসের ভূমিকা আছে।

দেবী আর্টেমিসের জন্ম হয়েছিলো ওরটাইগিয়া দ্বীপে। জন্মের পর আর্টেমিস দেবরাজ জিউসের কাছে দাবী করেছিলেন, “হে পিতা! আমাকে আমার কুমারীত্ব বজায় রাখার অধিকার দাও এবং আমাকে অনেক নাম দাও, যাতে এপোলো আমার সাথে পাল্লা দিতে না পারে! আমাকে সাইক্লোপদের দ্বারা বিশেষভাবে তৈরী তীর এবং ধনুক দাও, যাতে আমি সহজে বন্য পশুদের হত্যা করতে পারি। আমাকে সব সময় গান শোনানোর জন্য টাইটান ওসেনাসের ষাটটি কন্যাকে দাও, যাদের প্রত্যেকের বয়স নয় বছর, আমাকে আরো দাও ক্রীটের এমনিসোস নদীর বিশজন নিম্ফকে, যারা আমি যখন পশু শিকার করবো না, তখন আমার শিকারী কুকুরগুলোকে দেখভাল করবে, অন্যথায় আমার পাদুকা দেখাশোনা করবে। আমাকে সেই ক্ষমতা দাও, হে পিতা, যখন কোনো মায়ের সন্তান প্রসবে অসম্ভব ব্যথা হবে, আমাকে স্মরণ করলে যেনো তার প্রসব বেদনা থেমে যায়!” পিতা জিউস আর্টেমিসের সবগুলো প্রার্থনাই মঞ্জুর করেছিলেন।

অন্যান্য দেবীর মতো আর্টেমিসেরও প্রবল প্রতিহিংসা ছিলো। তার প্রতিহিংসার অন্যতম শিকার ছিলেন একটাওন। একটাওন ছিলেন এক অসাধারণ শিকারী, যে বিদ্যা তিনি শিখেছিলেন মহৎ সেন্ট্যুর চীরণের কাছ থেকে। একটাওনের পিতামহ ছিলেন থেবসের বিখ্যাত রাজা ক্যাডমাস।

একদিন শিকার করতে করতে ক্লান্ত হয়ে গিয়ে তার সঙ্গী সাথীদের পিছনে ফেলে বনের ভিতরে অলসভাবে ঘুরছিলেন। সেই বনের নিকটেই গারগাফিয়ার উপত্যকা, যেখানে ছিলো দেবী আর্টেমিসের গোপন গুহা। সেখানকার পার্থেনিয়াস ঝরনার পানিতে আর্টেমিস তার সঙ্গীদের নিয়ে স্নান করতেন। একটাওনের এটি জানা ছিলো না। একটি ক্ষুদ্র নদীর পাড় ধরে হাঁটতে হাঁটতে তিনি পৌঁছে গেলেন সেই ঝরনার নিকটে। সেখানকার বাতাস ছিলো বিস্ময়করভাবে পরিষ্কার এবং মিষ্টি গন্ধযুক্ত। সুন্দর বৃক্ষরাজির শাখা প্রশাখাগুলো জায়গাটিকে করে রেখেছিলো অদ্ভুত সুন্দর। ঠিক সেই সময়ে আর্টেমিস তার সাথী নিম্ফদের নিয়ে স্নান করছিলেন। একটাওন বিহ্ববল বিস্ময়ে সেদিকে তাকিয়ে রইলেন।


১৫৫০ সালে ফ্রাঙ্কোস ক্লোয়েট-এর আঁকা- আর্টেমিসের স্নান। পিছনে ঘোড়ায় চড়ে একটাওন দেখছেন

নিম্ফরা হঠাৎ করেই একটাওনকে দেখতে পেয়ে চিৎকার দিয়ে উঠে আর্টেমিসকে ঘিরে দাঁড়ালেন, নিজেদের লজ্জা দিয়ে আর্টেমিসের লজ্জা ঢাকলেন। কিন্তু সবার উঁচুতে দাঁড়িয়ে আর্টেমিস ঝরনা থেকে পানি তুলে একটাওনের মুখে নিক্ষেপ করে বলে উঠলেন, “এখন তুমি সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে সবাইকে বলে বেড়াতে পারবে যে, তুমি আমাদের সকলকে নগ্ন দেখেছ!”


১৫৫৬ থেকে ১৫৫৯ সাল পর্যন্ত আঁকা, টিটিয়ানের চিত্রকর্ম- আর্টেমিসের স্নানদৃশ্যে একটাওন

ঘটনার আকস্মিকতায় হতভম্ব একটাওন পিছনে ফিরে আসতে চাইলেন। কিন্তু কী যে হলো! হতবুদ্ধ একটাওন কিছু বলতে চাইলেন, কিন্তু মুখ থেকে কোনো কথা বেরুলো না। মাথায় হাত দিয়ে দেখলেন সেখানে দুটি শিং গজিয়েছে। তার হাত দুর্বল হয়ে গেলো, তিনি দাঁড়িয়ে থাকতে পারলেন না। চারপেয়ে জীবের মতো দৌড়াতে দৌড়াতে ক্ষুদ্র নদীর দিকে তাকিয়ে দেখলেন, তিনি সেই আগের মানুষ নেই! হরিণে পরিণত হয়েছেন! নদী থেকে যখন পানি খাচ্ছিলেন, মনে হচ্ছিলো যে হরিণকে তিনি শিকার করতে এসেছিলেন, সেই হরিণেই তিনি রুপান্তর হলেন। প্রচন্ড ভয় পেয়ে তিনি দৌড়াতে লাগলেন, ঝোপ ঝাড়ের কাঁটায় ক্ষত বিক্ষত হচ্ছিলেন।

হঠাৎ করেই তিনি শিঙ্গার আওয়াজ শুনতে পেলেন। তার সাথীরা তাকে দেখতে পেয়ে হরিণ মনে করে, একটাওনেরই শিকারী কুকুরগুলিকে লেলিয়ে দিলেন। যে শিকারী কুকুরগুলিকে নিয়ে তিনি অন্যান্য হরিণকে ধাওয়া করেছিলেন, এবার সেই কুকুরগুলিই তাকে ধাওয়া করছে! বোয়েটিয়া এবং এটিকার মধ্যবর্তী সিথায়েরোন পাহাড় জুড়ে একটাওনকে ধাওয়া করে অবশেষে কুকুরগুলো ধরে ফেলেছিলো তাকে। সুতীক্ষ্ণ নখর দিয়ে আঁচড়াতে লাগলো ততক্ষন পর্যন্ত, যতক্ষন পর্যন্ত একটাওনের শরীরে আঘাত করার জন্য আর কোনো অক্ষত স্থান থাকলো না।


দেবী আর্টেমিস একটাওনকে হরিণে পরিণত করেছেন (শিল্পী- টিটিয়ান, পেইন্টিং-এর সময়কাল- ১৫৫৯ থেকে ১৫৭৫ সাল পর্যন্ত)

(রোমান মিথ লেখক ওভিদসহ আরো কয়েকজন আমাদেরকে এই শিকারী কুকুরগুলোরও নাম বলেছেন। ওভিদ তার মেটামরফোসিস-এ এল্লো, আগ্রে, আল্কে, আর্গিওডাস, সাইপ্রিয়াস, থেরন, থুস, টাইগ্রিস প্রভৃতিসহ ছত্রিশটি শিকারী কুকুরের নাম বলেছেন। এপোলোডোরাস সেখানে মাত্র সাতটি কুকুরের নাম উল্লেখ করেছেন, অন্যদিকে হাইজিনাস তার ফেবুলা-তে বিরাশিটি কুকুরের নাম লিখেছেন।)


দক্ষিন ইটালীর ক্যাসেরটার রাজকীয় প্রাসাদে তৈরী করা ভাষ্কর্য- শিকারী কুকুরগুলো হরিণরুপী একটাওনকে আক্রমন করছে

যদিও এখানে একটাওন ছিলেন সম্পূর্ণ নির্দোষ, বিনা কারণে আর্টেমিসের প্রতিহিংসার শিকার হলেন, তবুও কেউ কেউ বলে থাকেন, একটাওন নিজেকে আর্টেমিসের চেয়ে বড় শিকারী মনে করতেন, তাই আর্টেমিস এই শাস্তি দিয়েছেন। আবার কেউ বলেন, একটাওন ঝরনার পাড়ে আর্টেমিসকে স্নান করতে দেখে শ্লীলতাহানি করতে চেয়েছিলেন, তাই এই শাস্তি পেয়েছিলেন। আরেক মিথ লেখক বলেছেন, বনের ফলগুলিকে আর্টেমিসকে উৎসর্গ করে একটাওন আর্টেমিসকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। অন্যরা বলে থাকেন, একটাওনের শেষ পরিণতি যা ঘটেছিলো, সেই চিত্রনাট্য ঠিক করেছেন জিউস স্বয়ং। কারণ একটাওন দেবতা ডায়োনিসাসের মা সেমেলে-কে ভালোবাসতেন (যাকে জিউস নিজেও ভালোবাসতেন), জিউসের অনুরোধে আর্টেমিস একটাওনকে হরিণে পরিণত করেন, যাতে শিকারী কুকুরগুলো তাকে হত্যা করতে পারে, আর এইভাবেই সেমেলে-কে একটাওন বিয়ে করতে পারলেন না।

যে কারণেই হোক, একটাওন তার নিজের শিকারী কুকুরগুলো দ্বারা খুন হলেন, কিন্তু এরপরেই কুকুরগুলো বুঝতে পারলো, তাদের মনিবকে পাওয়া যাচ্ছে না! মর্মযন্ত্রনায় কুকুরগুলো আর্তনাদ করতে লাগলো। কথিত আছে, কুকুরগুলো তাদের মনিব একটাওনকে খুঁজতে খুঁজতে সেন্ট্যুর চীরণের গুহায় চলে গিয়েছিলো। চীরণ কুকুরগুলোকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য একটাওনের একটা ভাষ্কর্য তৈরী করে দিয়েছিলেন। একটাওনের মৃত্যুতে তার বাবা- মা খুব শোকার্ত হয়ে পড়েছিলেন। দুঃখে, শোকে তার বাবা এরিস্টায়েউস থেবস পরিত্যাগ করে সারদিনিয়াতে এবং মা ওটোনোয়ে মেগারার কাছাকাছি একটি জায়গায় বাকী জীবন একাকী কাটানোর জন্য চলে গিয়েছিলেন। এরিস্টায়েউসকে বলা হয়ে থাকে মৌমাছি পালনের আবিষ্কারক হিসেবে। অনেকে বলেন, একটাওনের মা ওটোনোয়ে মেগারার কাছাকাছি একটি জায়গায় যাওয়ার আগে বনে- জঙ্গলে ঘুরে একটাওনের সব হাড়-অস্থিগুলো খুঁজে বের করেছিলেন শেষকৃত্যের জন্য।

{গ্রীসের করিন্থ নগরীর মিথ অনুযায়ী একটাওনের ঘটনার সাথে আর্টেমিসের কোনো সম্পর্ক নেই। এখানে একটাওনের বাবার নাম ছিলো মেলিসসাস। মেনিয়াড (দেবতা ডায়োনিসাসের ভক্ত নারীকূল) আরকিয়াস একটাওনের প্রেমে পড়েন। আরকিয়াস যখন একটাওনকে অপহরণ করার চেষ্টা করছিলেন, মেলিসসাস বাধা দিচ্ছিলেন। সেই সময়েই একটাওনকে ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিলো। ইসথমিয়ান খেলার (অলিম্পিক খেলার মতো) সময় মেলিসসাস একটাওন হত্যার বিচার চাইলেন। কিন্তু যখন দেখলেন, এই হত্যার বিচার করা হলো না, ক্ষোভে দুঃখে মেলিসসাস পাহাড় থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করলেন এবং আত্মহত্যা করার সময় দেবতাদের কাছে আহবান করলেন করিন্থ শহরের অধিবাসীদের শাস্তি দিতে। দেবতারা যখন করিন্থ শহরে দুর্ভিক্ষ এবং প্লেগ ছড়িয়ে দিলেন, তখন পসাইডন (ইসথমিয়ান খেলার পৃষ্ঠপোষক দেবতা) অন্য দেবতাদের শান্ত করলেন এবং সমস্ত মেনিয়াডদের করিন্থ থেকে বহিষ্কার করেন, আর আরকিয়াস সিসিলিতে চলে যান, সেখানে সিরাকুস নগরীর পত্তন করেন।}

ঠিক প্রায় একইরকম ঘটনা ঘটে সিপ্রিওটেসের ভাগ্যে। সিপ্রিওটেস ছিলেন বালক, একটাওনের মতো তিনিও অনিচ্ছাকৃতভাবে আর্টেমিসকে স্নানরত অবস্থায় দেখে ফেলেছিলেন। বালকদের প্রতি সহানুভূতি থাকায় কোনো কঠিন শাস্তি না দিয়ে আর্টেমিস তাকে বালিকাতে পরিণত করেছিলেন। কেউ কেউ বলেন, এই ঘটনা আর্টেমিসের সাথে হয় নি, হয়েছিলো দেবী এথেনার সাথে।

নিজের কুমারীত্ব রক্ষার জন্য দেবী আর্টেমিস আরো অনেককেই কঠোর শাস্তি দিয়েছিলেন। বুউফাগোস ছিলেন টাইটান ইয়াপেতুসের পুত্র। তিনি একবার একাকী আর্টেমিসকে দেখেছিলেন এবং দেখামাত্রই আর্টেমিসকে শ্লীলতাহানি করার ইচ্ছা জাগে। কিন্তু আর্টেমিস বুউফাগোসের অসৎ উদ্দেশ্য বুঝে ফেলেছিলেন এবং তাকে ফোলোয়ে পাহাড়ে ছুড়ে মেরেছিলেন।

তবে নিজের সতীত্ব রক্ষার জন্য প্রতিহিংসার চেয়ে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছিলেন যে ঘটনায় সেটা ছিলো ওটাস এবং এফিয়ালটেস নামে দুই জময ভাইয়ের সাথে। পরবর্তী পর্বে থাকবে সেই কাহিনী।

এই সিরিজের আগের লেখাগুলোঃ

সৃষ্টিতত্ত্বঃ
পর্ব-১: বিশ্ব-ব্রক্ষ্মান্ডের সৃষ্টি এবং ইউরেনাসের পতন
পর্ব-২: টাইটান যুগের সূচনা এবং অলিম্পিয়ানদের জন্ম
পর্ব-৩: প্রথম টাইটান যুদ্ধ এবং জিউসের উত্থান
পর্ব-৪: মানবজাতির সৃষ্টি, প্রমিথিউস এবং পান্ডোরা উপাখ্যান
পর্ব-৫: প্রমিথিউসের শাস্তি এবং আইও
পর্ব-৬: আবার যুদ্ধ- জায়ান্ট এবং টাইফোয়িয়াস
পর্ব-৭: ডিওক্যালিয়নের প্লাবন

দেবতাদের গল্পঃ
পর্ব-৮: জিউস, মেটিস এবং এথেনার জন্ম
পর্ব-৯: এথেনার গল্পকথা-প্রথম পর্ব
পর্ব-১০: এথেনার গল্পকথা- দ্বিতীয় (শেষ) পর্ব
পর্ব-১১: আফ্রোদিতির গল্পকথাঃ আফ্রোদিতি, হেফাস্টাস এবং অ্যারিসের ত্রিমুখী প্রেমকাহিনি
পর্ব-১২: আফ্রোদিতির গল্পকথাঃ অ্যাডোনিসের সাথে অমর প্রেমকাহিনী
পর্ব-১৩: আফ্রোদিতির গল্পকথাঃ এনকেসিসের সাথে দূরন্ত প্রেম
পর্ব-২০: আফ্রোদিতির গল্পকথাঃ লেমনসের নারী এবং অন্যান্য
পর্ব-২১: লেটোঃ এপোলো এবং আর্টেমিসের মায়ের কাহিনী

ভালোবাসার গল্পঃ
পর্ব-১৪: পিগম্যালিয়ন এবং গ্যালাতিয়া
পর্ব-১৫: পিরামাস এবং থিসবি
পর্ব-১৬: হিরো এবং লিয়েন্ডার
পর্ব-১৭: বোসিস এবং ফিলোমোন
পর্ব-১৮: কিউপিড এবং সাইকী- প্রথম পর্ব
পর্ব-১৯: কিউপিড এবং সাইকী- শেষ পর্ব

লেখকঃ

এস এম নিয়াজ মাওলা

ছবি সূত্রঃ ইন্টারনেট


মন্তব্য

মেঘলা মানুষ এর ছবি

জিউসের ছেলেমেয়ের হিসাব প্রায়ই আমার এলোমেলো লাগে। জিউসের সন্তান সংখ্যা কিছু কম হলে হয়ত বহু মিথ তৈরিই হত না।

একটাওনের জন্য খারাপ লাগল, বেচারা ভুল সময়ে ভুল জায়গায় পৌঁছে ক্রসফায়ারে পড়ল।

সাবলীল গল্পের জন্য অনেক শুভেচ্ছা :)

অতিথি লেখক এর ছবি

হা হা হা
ভালো বলেছেন- ক্রসফায়ার!

আসলে জিউস না থাকলে হয়তোবা গ্রীক মিথই হতো না!

ভালো থাকুন খুব, অবিরত।

-নিয়াজ

ঈয়াসীন এর ছবি

(পপ্পন)

------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ ভাইয়া।
ভালো থাকুন খুব।

-নিয়াজ

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

হুম, আলীম মিয়ারে আর্টেমিসের গোসলখানায় পাঠায় দিতে পারলে বেশ হত

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

:)) :)) :))

ভালো থাকুন ভাইয়া, খুব।

-নিয়াজ

খেকশিয়াল এর ছবি

ভাই, আপনি কিন্তু থামবেন না, ভাল একটা কাজ হচ্ছে। লিখতে থাকুন (Y)

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনাদের অনুপ্রেরনার জন্যই থামতে পারছি না! লিখে যাচ্ছি অবিরত।
ভালো থাকুন খুব।

-নিয়াজ

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

বেচারা একটাওন!! এই দেবীরা নিজেরা কোন সুরক্ষিত জায়গায় গোসল করতে পারে না? কেন শুধুশুধু এমন জায়গায় যায় যেখানে সব সময় কেউ না কেউ আসে? আর দেব-দেবীদের ক্রোধের শিকার হয় সাধারণ মানুষ!!

একটাওস আর আর্টেমিস দুজনেই শিকারী বলে কিনা জানি না, একলব্যের গল্পের কথা মনে পড়ে গেল।

____________________________

অতিথি লেখক এর ছবি

অয়ন ভাইয়া, অনেক দেরীতে মন্তব্যগুলোর জবাব দিচ্ছি!
আমার খুব সুপ্ত একটা ইচ্ছে আছে- গ্রীক মিথলজি শেষ হলে মহাভারত নিয়ে বসবো- সহজ এবং সাবলীল ভাষায় লেখা যায় কি না, চিন্তা করছি!

ভালো থাকুন ভাইয়া, খুব।

-নিয়াজ

এক লহমা এর ছবি

"অন্যান্য দেবীর মতো আর্টেমিসেরও প্রবল প্রতিহিংসা ছিলো।"
উঁহু, বলেন - অন্যান্য দেব-দেবীর মত :)
লেখা চলছে ঝমঝমিয়ে; চমৎকার হচ্ছে নিয়াজ-ভাই! (Y)

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক, অনেক, অনেক ধন্যবাদ একলহমা ভাইয়া।
ভালো থাকুন, সব সময়ের জন্য।

-নিয়াজ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।