শুয়ে-বসে যখনই ভাবি ওই বিশাল মহাশূন্যের কথা বা গভীর রাতে যখনই দাঁড়াই গিয়ে ছাদে, তারায় ভরা ওই আকাশের অতলান্তিক রহস্যময়তার নীচে, মনে হয় এর কাছে কি তুচ্ছই না আমরা...তবু আমাদের অহংকারের সীমা নেই, নিজেকে বড় ভাবায় দ্বিধা নেই এতটুকু...অথচ ওই মহাশূন্যের যত্রতত্র ছড়িয়ে রয়েছে যে দানবীয় মহাশক্তিরা, কি অপরিসীম-ই না তাদের ক্ষমতা; তাদের যেকোনো একজনের ভুলবশত সামান্য এক আচরেও সম্পূর্ণ বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারি আমরা। তাই আজ চলুন একবার দেখে নেওয়া যাক মহাবিশ্বের এমন কিছু বাসিন্দার ঠিকুজি-কুলুজি...
প্রাকৃতিক মহাশক্তিদের চিনতে বেরিয়ে প্রথমেই যার কথা ওঠে তার নাম নিউক্লীয় বিভাজন(Nuclear fission)। এইটি অনেকের কাছেই বেশ ভালরকম পরিচিত। সত্যানন্দদাদার লেখা থেকেও পড়ে থাকবেন এর কথা। কী হয় এতে? হয় এই যে এ প্রক্রিয়ায় শুরুতেই একখানি একরত্তি নিউট্রন(neutron) দুলকিচালে বেশ খানিকটা দৌড়িয়ে গিয়ে দুম করে ধাক্কা দিয়ে বসে একটা ধুমসো গোছের মোটাসোটা ইউরেনিয়াম-২৩৫ নিউক্লিয়াস(পরমাণুকেন্দ্র)-র গায়ে। ফলে সেটা যায় টুকরো হয়ে আর জন্ম দেয় বেরিয়াম আর ক্রিপটন নামের অন্য দুই নিউক্লিয়াসের, তার সাথে বেরিয়ে আসে আরো তিনটি নিউট্রন-ও। জন্ম-চঞ্চল সেই তিন দস্যি, কথা নেই বার্তা নেই আবার গিয়ে ধাক্কা লাগায় আর তিনখানি ইউরেনিয়াম-২৩৫ এর গায়ে। আবার সেগুলো বরবাদ হয় আর আবার তিনটির থেকে তিনটি করে জন্ম হয় মোট ন’খানি নিউট্রন শিশুর আর আবারও পুরনো বদভ্যাসে তারা সটান গিয়ে ঢুঁ লাগায় আরও ন’টি ইউরেনিয়ামের গায়ে, বেরিয়ে আসে সেখান থেকে সাতাশখানা নিউট্রন। এইভাবে এক...তিন...নয়...সাতাশ...একাশি...দুশ’ তেতাল্লিশ...ক্রমাগত এক শৃঙ্খল বিক্রিয়া(chain reaction)-য় বাড়তে বাড়তে চলতে থাকে বিভাজন আর প্রতি ধাপে সামান্য ভর ভোল পালটিয়ে আইনস্টাইন-এর E=mc2 সমীকরণ মেনে সৃষ্টি করে বসে অনেক পরিমাণ শক্তি। সমস্ত ব্যাপারটা যখন খুব কম সময়ের মধ্যে অল্প জায়গায় হয়ে যায়, তখনই ঘটে যায়- ‘বুম!’...আর এই ঘটনাটাকেই যখন ব্যবহার করে বানানো হয় অতীব শক্তিশালী বোমা, তাকেই বলা হয় পরমাণু বোমা। তবে মানুষ এই অস্থির ব্যাপারটাকে নিয়ন্ত্রণেও এনে ফেলতে পেরেছে যাতে তিনটির বদলে ধাক্কা লাগায় দুইটি নিউট্রন আর অন্যটাকে বৈজ্ঞানিক চালাকির দ্বারা দেওয়া হয় আটক করে, ফলে পদ্ধতিটা লাগামছাড়াভাবে আর বাড়তে পারেনা; ফলে বিস্ফোরণ-ও ঘটেনা আর তা থেকে তৈরি হয় পারমাণবিক বিদ্যুৎ।
এবার আমরা হাঁটা লাগাই দ্বিতীয় দৈত্যের খোঁজে...
হাঁটতে হাঁটতে দেখা হয় আরেক ‘ভদ্র’লোকের সঙ্গে। এনার নাম নিউক্লীয় সংযোজন (fusion)।
ইনি আগেরজনের বড়দাদা। মেজাজটাও আর খানিকটা চড়া। পরিচয় জানতে পারি। জানাই আপনাদেরও। এনার চরিত্রের বিশেষ এক দিক হল মাথা গরম করে দিলে তবে ইনি কাজ করতে শুরু করেন; অর্থাৎ কিনা প্রবল তাপের পরিবেশে এই বিক্রিয়া শুরু হয়। দাদার মাথা গরম করেন ভাই মানে আগের বিভাজন বিক্রিয়া; অর্থাৎ একখানি পরমাণু বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এই উত্তাপের জোগান দিলে হাইড্রোজেনযুক্ত পরিবেশে শুরু হয়ে যায় এই বিক্রিয়া আর তাতে দুইখানি হাইড্রোজেন নিউক্লিয়াস জোরবেগে ছুটে এসে (তাপ বাড়ানোর উদ্দেশ্যই হল এই বেগ বাড়ানো যেহেতু আমরা জানি তাপশক্তি কণিকার গতিশক্তিতে বদলে যায়) নিজেদের মধ্যে অন্ধের মত লাগায় ধাক্কা। কিন্তু তারপর কোথায় লাগাবে ক্যাচাল,তা না, বেশ সুন্দর হাতধরাধরি করে জুড়ে গিয়ে হয়ে যায় একখানি হিলিয়াম নিউক্লিয়াস আর আগেকার মোট ভরের খানিকটা লোপাট করে জন্ম দেয় বিপুল পরিমাণ শক্তির। যখন অনেকটা পরিমাণ হাইড্রোজেনের মধ্যে থাকা বহুসংখ্যক নিউক্লিয়াস দুখানি দুখানি করে জুড়তে আর শক্তিসৃষ্টি করতে শুরু করে একইসময়ে তখন ঘটে যায় সাঙ্ঘাতিক এক বিস্ফোরণ। এই পদ্ধতি-ই হল আকাশভরা সূর্য-তারার অনন্ত শক্তির উৎস একটু বাদেই যার কথায় আসব আবার আমরা। একে ব্যবহার করে বানানো হয় মহাশক্তিশালী ‘হাইড্রোজেন বোমা’ যার শক্তি হয় পরমাণুবোমার চেয়েও বহুগুণে বেশি। কিন্তু একে আজও সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণে এনে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়নি।
নিউক্লীয় সংযোজন বিক্রিয়া
মানুষের হাত পড়েছে এমন দুই শক্তির কথা জানলাম। এইবারে চোখ ফেরাই অনন্ত মহাশূন্যে- এর চেয়েও বড় শক্তিমানদের দিকে। এরা হল অতিনোভা(supernova) ও অতি-অতিনোভা(hypernova), গামারশ্মি বিস্ফোরণ(gamma ray burst), কৃষ্ণগহ্বর বিস্ফোরণ(blackhole explosion), আর কোয়াসার(quaser)। এদের একেকটির অপরিসীম শক্তির সাথে বিশ্বের আর কোনও শক্তির কোন তুলনাই করা যায়না...
এদের কথা জানতে গিয়ে আমরা শুনব তারাদের সংক্ষিপ্ত জীবন-কাহিনী। সেই কাহিনীতেই একে একে মঞ্চে আবির্ভূত হয় সেইসব আশ্চর্য মহাশক্তিরা...
একটি তারার ভ্রূণাবস্থা বলা যেতে পারে বিশালমাপের চরকি খাওয়া গ্যাসীয় মেঘকে যার বেশিরভাগটাই হল হাইড্রোজেন। এই গ্যাসের মেঘের কলেবরটি হয় রীতিমত বড়, আমাদের সৌরজগতও মাপে তার চেয়ে ছোটই হবে। এই মেঘ ঘুরতে থাকে তার ঘন কেন্দ্রটিকে ঘিরে, কিসের আনন্দে সেই জানে। না, আমরাও জানি; গ্যাসীয় মেঘের নিজেরই কেন্দ্রের ঘন অংশের মহাকর্ষের টান হাত ধরে বলড্যান্সের মত ঘোরাতে থাকে চারপাশের গ্যাসকে। ঘুরতে ঘুরতে এই মহাকর্ষের টানেই তার মাঝখানটি হতে থাকে ঘন থেকে ঘনতর আর একইসাথে বাড়তে থাকে সেখানকার উষ্ণতাও যেমনটা হয় পাম্পার দিয়ে হাওয়াকে চেপে পাম্প করলে। বাড়তে বাড়তে একসময় এটা যথেষ্ট গরম হয়ে বসে আর অমনি দুম করে তার তাপ-পারমানবিক নিউক্লীয় সংযোজন চুল্লীটা জ্বলে ওঠে একদিন। জন্ম হয় একটা নতুন তারার। কিন্তু মহাকর্ষের পীড়ন তাতে বন্ধ হয়না, ভেতরের দিকে ক্রমেই চাপতে থাকে সে; কিন্তু উলটোদিকের নিউক্লীয় বিক্রিয়ার তাপের চাপ মাথা নোয়ায় না তার কাছে; গোঁয়ারের মত দাবিয়ে রাখে সে মহাকর্ষের পেষণকে আর এভাবেই এই মহাজাগতিক দড়ি-টানাটানি খেলায় দুইদিকের দুই মহাশক্তিমান খেলোয়াড় সমান শক্তিতে ‘ব্যালান্স’ করে রাখে ব্যাপারটাকে বহুকোটি বছর। এটাই হয় একটি তারার জীবনের সবচেয়ে শান্ত আর স্থায়ী অবস্থা। আমাদের সূর্য আছে এখন এই মূল পর্যায়েই।
বিশাল মেঘপুঞ্জ থেকে তারা ও গ্রহজগতের জন্ম
এই মূল পর্যায়ের পরই তারার জীবনে অশান্তির দিন ঘনিয়ে আসে। জ্বলতে জ্বলতে তারার হাইড্রোজেনরূপী জ্বালানী শেষ হয়ে আসে একদিন- তারার ঘরে দেখা দেয় তাপশক্তির বাড়ন্ত। তার আর ক্ষমতা থাকেনা মহাকর্ষের চাপকে ঠেলে ধরে রাখার। ফলে হঠাৎ করেই তারার বিশাল দেহটা চুপসে যেতে শুরু করে ভীষণভাবে। সূর্যের মাপের তারার ক্ষেত্রে ভেতরের দিকে এই হঠাৎ সংকোচনের ফলে বাইরের দিকেও একটা প্রবল আঘাত আসে যার ফলে তারার বাইরের গ্যাসের আবরণটা ভয়ানক ফুলে ওঠে আর তারার চেহারাটা হয়ে দাঁড়ায় আগের চেয়ে বহুগুণে বিশাল আর তার রঙ হয়ে যায় টকটকে লাল- একে বলা হয় লোহিতদানব তারা। আজ থেকে বহুকাল পর সূর্যের অবস্থাটা হবে এমনি একটি ‘লোহিতদানব তারা’ যার বিশাল দেহ গ্রাস করবে পৃথিবীসহ প্রথম চারটি গ্রহকে, শস্যশ্যামলা পৃথিবীর অবস্থা হবে সুধুমাত্র একটি জলন্ত কাঠকয়লার মত বীভৎস। আমাদের পিতাই হবে আমাদের নিষ্ঠুর হত্যাকারী। তবে এই নিশ্চিত ভয়ংকর ভবিষ্যৎ-এর কথা ভেবে আজ থেকেই কেউ যেন কমদামে শেয়ার বেচে না দেন কারণ এটি ঘটবে আজ থেকে প্রায় কয়েকশো কোটি বছর পরে।
বিশাল লোহিতদানব সূর্যের কবলে জ্বলন্ত পৃথিবী(৭০০ কোটি বছর পরে)
(মায়া সভ্যতার ভাস্কর্য যেন এই করুণ পরিণতির শেষ চিহ্ন বহন করছে)
তবে এই বিশাল লোহিতদানব তারাও একদিন আবার সমস্ত গ্যাস মহাশূন্যে ছড়িয়ে দিয়ে পৃথিবীর মত আকারের ছোট্ট একটা তারায় পরিণত হয়। এর নাম শ্বেতবামন তারা। এর মধ্যে নতুন করে আর তাপ সৃষ্টির উপাদান বাকী থাকেনা ঠিকই কিন্তু হাতের পাঁচ থেকে যাওয়া মারাত্মক গরমে তখনও যে তার মধ্যে কি কাণ্ডকারখানা চলতে থাকে, সে আর বলার নয়। এমনকি নতুন ধরণের নিউক্লীয় সংযোজনের তাপশক্তি আর মহাকর্ষের চাপে ঠাসাঠাসি হয়ে আসা পরমাণুদের ইলেকট্রনগুলির এক উলটো চাপে আবার বাধা দিয়ে বসে দস্যু মহাকর্ষকেও। কিন্তু অবশেষে একদিন খরুচে বেকার শ্বেতবামন তারার শেষ তাপের সম্বলটুকুও ফুরিয়ে আসে আর তারার জ্বলন্ত দেহখানি সকল তেজ হারিয়ে বসে ‘কৃষ্ণবামন’ রূপে চাঁদের মত ঠাণ্ডা পাথুরে একটা টুকরোর মত পরে থাকে আকাশের কোণে। সমস্ত ঘটনাটা যেন শেক্সপীয়ারের ট্র্যাজেডিক নাটকের শেষ পরিণতির কথাই মনে পড়িয়ে দেয়।
শ্বেতবামন ক্ষীণকায় সূর্য(সামনে পৃথিবী অন্তিম রূপে)
কিন্তু যদি তারার মাপ হয় সূর্যের চেয়েও অনেক বড় তবে তার জীবন হয়ে ওঠে আরওই বেশি নাটকীয় আর অশান্ত। সে হয়ে ওঠে বিশ্বের একের পর এক মহাশক্তির আশ্চর্য আঁতুড়ঘর।
এমন বিরাট মাপের একখানি তারা যখন মূল পর্যায় থেকে এসে পৌঁছায় নিউক্লীয় চুল্লীর শেষ অবস্থায়, মহাকর্ষের প্রচণ্ড পেষণে তারার কেন্দ্র আরও আরও বেশি চুপসে গিয়ে ঘন হতে থাকে। তারকাকেন্দ্রের দুর্দান্ত চাপের চোটে একসময় তারার বাইরের বিশাল পরিমাণ অংশ এক সাংঘাতিক বিস্ফোরণে ফেটে পড়ে একেবারে তছনছ হয়ে যায় আর এতখানি ভর ঝরিয়ে ফেলে সেটা সূর্যের মত একটি তারায় পরিণত হয় আর মহাকর্ষের অত্যাচার থেকে রক্ষা পায়। এই বিস্ফোরণকেই বলা হয় সুপারনোভা। এই বিস্ফোরণ এতটাই শক্তি ধরে যে অল্পসময়ের জন্য আকাশের সমস্ত তারার আলো এর শক্তির কাছে ম্লান হয়ে যায়। সৌরজগতের কাছাকাছি এমন একখানি ঘটে যদি যায়, অকল্পনীয় ক্ষতি হবে পৃথিবীর। আর তাতে সমস্ত জীবজগত লুপ্ত হয়ে যেতে পারে।
একহাজার বছর আগের সুপারনোভা বিস্ফোরণে সৃষ্ট ক্রমবর্ধমান ক্র্যাব নেবুলা
এই তো গেল সুপারনোভা। এবার তারার চেহারা যদি বড় হয় আরও তবে মূল পর্যায়ের পর সুপারনোভা বিস্ফোরণ ঘটে গেলেও পড়ে থাকা অবশিষ্ট দেহটাও হয়ে দাঁড়ায় সূর্যের চেয়ে বড়। ইলেকট্রনদের উলটো চাপও আর থামাতে পারেনা মহাকর্ষকে আর এর অসম্ভব পীড়নে এবার পরমানুগুলিও হারাতে শুরু করে নিজেদের স্বরূপ। ইলেকট্রন আর নিউক্লিয়াসেরা একেবারে অন্ধকূপ হত্যার মত ঠাসাঠাসি অবস্থায় চলে গিয়ে তৈরি করে বসে শুধু নিউট্রন আর তাতে সম্পূর্ণ তারাটাই নিমেষের মধ্যে শুধু নিউট্রন দিয়ে তৈরি মাত্র একটা শহরের মত ছোট এক ‘নিউট্রন তারা’-র জন্ম দেয়। শেষপর্যন্ত নিউট্রনদের এক উলটো চাপ মহাকর্ষের শাসন থেকে একে রক্ষা করে।
কিন্তু এবার এমন তারা যদি থাকে যেটার চেহারাটা হয় আরও, আরও বড়? হ্যাঁ, তেমন তারাও থাকে আর তারা জন্ম দেয় আরও বড় শক্তির। এই সবচেয়ে বড়মাপের তারার নিউক্লীয় জ্বালানী যখন শেষ হয়ে আসে, বিশাল ভরের তীব্র মহাকর্ষ তারার কেন্দ্রকে অসম্ভব শক্তিতে চুপসে দিতে শুরু করে যথারীতি। সূর্যের চেয়ে কোটি কোটি গুণ বড় এই তারার চেহারাই হল এদের অভিশাপ। অমন ভয়ানক সুপারনোভা বিস্ফোরণও পরিমাণমত ভর কমিয়ে দিয়ে সূর্যের চেহারায় নিয়ে যেতে পারেনা তাদের। এমনকি ইলেকট্রন আর নিউট্রনদের উলটো চাপও এই প্রচণ্ড মহাকর্ষীয় সংকোচনকে রুখে রাখতে ব্যর্থ হয় আর দুরন্ত মহাকর্ষ সমস্ত পথের কাঁটা সরিয়ে দিয়ে বাধাহীনভাবে সংকোচন শুরু করে। অবশেষে তারার দেহ চুপসাতে চুপসাতে মুহূর্তের মধ্যে এক সীমাহীন ঘন বিন্দুতে পরিণত হয়ে যায়। বিশ্বের সবচেয়ে বড় দৌড়বীর যে আলো- সেও এর প্রায় অসীম মহাকর্ষের হাত থেকে পালিয়ে আসতে পারেনা। তাই এ হয়ে দাঁড়ায় সম্পূর্ণ অন্ধকার। আর আলোই যখন পারেনা বেরোতে, তখন পারেনা কেউই। এই অদ্ভুত অন্ধকার রহস্যময় বস্তুকে বলা হয় কৃষ্ণগহ্বর বা ব্ল্যাকহোল।
তারার কেন্দ্রস্থলটি তো চুপসে গিয়ে সৃষ্টি করে ব্ল্যাকহোলের আর তার চারপাশের বিশাল পরিমাণ গ্যাসকে এবার এই ব্ল্যাকহোল ক্ষুধার্ত রাক্ষসের মত মহাকর্ষের টানে গিলতে শুরু করে। কিন্তু এই বিরাট ভরের গ্যাস যখন তার পক্ষেও একসাথে গেলা সম্ভব হয়না তখন অতিরিক্ত ভরকে বিশাল পরিমাণ শক্তির আকারে উগরে দেয় ব্ল্যাকহোল। এই শক্তি দুইদিকে দুই রশ্মির আকারে অসাধারণ শক্তির সাথে তারার দেহ ভেদ করে বেরিয়ে আসে বাইরে। একে বলা হয় গামা-রে বিস্ফোরণ। এর পরই অতবড় তারার বিশাল দেহটা এক ভয়ংকর বিস্ফোরণে ফেটে গিয়ে একেবারে ধ্বংস হয়ে যায় আর থেকে যায় শুধু অল্প কয়েক কিলোমিটার ব্যাসের ব্ল্যাকহোলটি। এই ভয়াবহ বিস্ফোরণকে বলা হয় হাইপারনোভা। এর অকল্পনীয় শক্তির পরিমাণ বোঝাতে একটি তুলনা দেয়া যেতে পারে। যদি আমাদের সূর্য হয় একটি ছোট্ট এল.ই.ডি লাইট, তবে হাইপারনোভা বিস্ফোরণের শক্তি দাঁড়ায় কয়েক’শ কোটি সার্চলাইটের(হ্যাঁ, ঠিকই পড়ছেন) মিলিত আলোর সাথেই কিছুটা তুলনীয়! মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে এর থেকে নির্গত শক্তির পরিমাণ দাঁড়ায় সূর্যের কোটি কোটি বছরের সুদীর্ঘ জীবনকালের উৎপন্ন করা সমস্ত শক্তির মিলিত পরিমানের একশো গুণের চেয়েও বেশি! আর যে গামা-রে বিস্ফোরণ, তার শক্তির কথা আর না বলাই ভাল। এটাকেই মহাবিস্ফোরণের পর বিশ্বের সবথেকে বড় শক্তি মনে বলে করা হয় যাদের ক্রিয়াপদ্ধতি মানুষ বুঝে উঠতে পেরেছে। এমন একটা শক্তির আঘাত যদি পৃথিবীর ওপর পড়ে তবে এই সম্পূর্ণ গ্রহটা আক্ষরিকভাবেই একেবারে বাষ্পের মত উবে যাবে শূন্যে!...
যে ব্ল্যাকহোল জন্ম দেয় এমন অকল্পনীয় ধরণের বিস্ফোরণের, সে নিজেও বিশেষ জটিল প্রক্রিয়ায়(এর কথা অন্য একদিন বলব) বিকিরণের মাধ্যমে ধীরে ধীরে নিজের ভর হারিয়ে শেষপর্যন্ত রূপ নিতে পারে আরেক মহাশক্তিধর বিস্ফোরণের। এর নাম ব্ল্যাকহোল বিস্ফোরণ আর সেই বিকিরণের নাম আবিষ্কর্তা স্টিফেন হকিং-এর নামানুসারে হকিং বিকিরণ। এই বিস্ফোরণের সাথে বহু কোটি হাইড্রোজেন বোমার মিলিত বিস্ফোরণের শক্তির সামান্য কিছুটা মিল পাওয়া যেতে পারে!
মহাশূন্যে কৃষ্ণগহ্বর বা ব্ল্যাকহোল
কিন্তু এতকিছুর পরেও শেষ আরেকটির কথা বাকি থেকে যায়। এর নাম ‘কোয়াসার’। দৃষ্টিগোচর মহাবিশ্বের শেষ প্রান্তে দেখা মেলে এই রহস্যময় বস্তুর। সে দুরত্ব ছেলেখেলা নয় মোটেই...আলোরই সেখান থেকে এসে পৌঁছাতে সময় লাগে প্রায় ৮০০-১০০০ কোটি বছর আর এই বিশাল দুরত্ব পেরিয়ে এসেও আমাদের দুরবীনের চোখে ধরা দেয় তা। কি অনন্ত পরিমাণ শক্তি যে ওইখানে সৃষ্টি হয়ে চলেছে তার কোন সীমাই বুঝি নেই... মনে করা হয় অতিভর ব্ল্যাকহোল-সম্পর্কিত কোনও উৎস থেকেই এক অসম্ভব শক্তিসৃষ্টির পদ্ধতি কাজ করে চলেছে ওখানে। কারণ এই বিশাল দুরত্ব পেরিয়ে এসেও তার আলো চোখে ধরা দিতে গেলে একটি কোয়াসারের ছড়ানো উচিত একত্রে প্রায় শতশত তারাজগতের(galaxy) সমপরিমাণ আলো যার প্রত্যেকটাতে আছে আবার প্রায় কয়েকশো হাজার কোটি তারা!...এ যে কি পরিমাণ শক্তি তার কোন ধারণাই আমরা করে উঠতে পারিনা।
দুরবীনের চোখে বহুদূরবর্তী কোয়াসার
পরিশেষঃ
আমাদের এই মহাবিশ্ব কত সুন্দর, কত রূপে-রঙে ভরা, কত বৈচিত্র্য এর বুকে। আর এই মহাশক্তিরাই হল মহাবিশ্বের এই বিশাল রঙ্গমঞ্চের অভিনেতা, লেখক, সুরস্রষ্টা। এরা একদিকে ধংসের প্রতীক, রুদ্রতার পদচিহ্ন, অপরদিকে এরাই সৃষ্টিকর্তা, মহাবিশ্বের চালিকাশক্তি। এদের ভাঙ্গা পথের রাঙ্গা ধুলোয় সৃষ্টি হয় নতুন নক্ষত্র, গ্রহ...প্রাণ। বিশ্ব ভরে ওঠে তার সন্তানের গানের সুরে...‘বিস্ময়ে তাই জাগে আমার গান’...
হে মহাসৃষ্টি, তোমায় প্রণাম করি...
#তীর্থ চক্রবর্তী
মন্তব্য
১। সাব্বাস, অভিনন্দন,
২। ফিউশন নিয়া আগেই লিখা ফালাইলেন ( )
৩। আব্দুল্লাহ আল মুতী সুপারনোভা আর হাইপারনোভার পরিভাষা নবতারা আর অতিনবতারা করেছিলেন, আমার কাছে এইটাই ভাল লাগে।
৪। আমি "আকাশ ভরা সুর্য তারা" নামে নতুন সিরিজের খসড়া করতেছিলাম... দিলেন তো উষ্টা (কাজ কমছে আমার, চালায়া যান)
৫। বিজ্ঞানের আলো, ঘরে ঘরে জ্বালো... আলোর জগতে স্বাগতম... খবর্দার থামবেন না
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
৪। আরে, আমিও তো জ্যোতির্বিজ্ঞান নিয়ে একটা সিরিজ শুরু করবো বলে কাজ শুরু করেছিলাম। যাক, আপনি যখন হাত দিয়েছেন তখন আমার আর তেমন কিছু করা লাগবে বলে মনে হ্য় না।
____________________________
দয়া করে লিখুন। ভালো জিনিষ যতো বেশী আসে ততো ভালো। কমন পড়লেও সমস্যা নাই।
ব্লগার-ব্লগার পিসতুতো ভাই লিখে ফেলেন
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
কাজ ক্যান কমবে? এই জিনিসের তো শেষ নাই। লিখেন। আমি ওয়েট করতেসি।
হ্যাঁ ওই পরিভাষাগুলি বেশ সুন্দর। তবে supernova আর hypernova বলতে নতুন তারাটিকে নয়, তারার বিস্ফোরণটিকেই তো বোঝানো হয়ে থাকে। তাই ওই শব্দটাকে ‘নোভা’-ই রেখেছিলাম।
প্রথম লেখায় এইরকম উৎসাহের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
বলার মতো ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না।ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার পড়লাম,অনেক নতুন কিছু জানা হলো, অবশ্য অনেক কিছুই ঠিক মতো বুঝে উঠতে পারিনি এই ক্লাসে নতুন বলে। তবে যেটুকু বুঝেছি তাতেই মুগ্ধ।
এখানে এসে বুঝিনি। আলো কি অসীম মহার্কর্ষ থেকে পালিয়ে ওই বিন্দুতে আসতে পারে না? তার কারনেই কি অন্ধকার ওই বিন্দু কে বলা হয় কৃষ্ণগহ্বর?
মাসুদ সজীব
ওই অসীম ঘনবিন্দুতে নয়, অসীম মহাকর্ষের হাত ছাড়িয়ে আলো ওই অঞ্চল থেকে বাইরে বেরিয়ে পর্যবেক্ষকের কাছে এসে পৌঁছাতে পারেনা। তাই তাকে কৃষ্ণ দেখায়।
ওই অসীম ঘন বিন্দুটি ব্ল্যাকহোল এর কেন্দ্রে থাকে। একে অনন্যতা বিন্দু (singularity) বলে। আর এই বিন্দুর চারপাশের যে অঞ্চল থেকে আলো বাইরে মহাশূন্যে বেরোতে পারেনা সেটি-ই হল ব্ল্যাকহোল।
অসংখ্য সহজ করে বলার জন্যে। আশা করি আপনার আরো অনেক লেখা পাবো। সেগুলো পড়ার অপেক্ষায় থাকলাম।
মাসুদ সজীব
একটানে পড়ে ফেললাম।
বিজ্ঞান নিয়ে সরল ভাষায় লেখা অনেক কঠিন কাজ, পরের পর্বটা লিখে ফেলুন।
অনেকেই পরের পর্বের লোভ দেখিয়ে বাকিটা আর দেয় নি।
আশা রাখছি, আপনি নিরাশ করবেন না।
আপনাকে শুভেচ্ছা
চমৎকার লিখেছেন। সচলায়তনে কী এটাই প্রথম লেখা আপনার? অভিনন্দন। আশা করছি সত্যানন্দ দাদার পরে আরেকজন দুর্দান্ত বিজ্ঞান লিখিয়ে পাচ্ছি আমরা।
তবে কিছু কিছু জায়গায় মনে হয় আরেকটু ডিটেইলিং থাকলে ভালো হতো। যেমন কোন তারা লাল বামন হবে, কোনটা পালসার হবে, কোনটা কৃষ্ণ গহবর হবে, তা নির্ভর করে তাদের ভর কত তার উপরে এই তথ্যটা খুব সুন্দরভাবে দিয়েছেন। যদি সাথে একটা তুলনা দিয়ে দিতেন (সূর্য -> লাল দানব -> শ্বেত বামন; সূর্যের চেয়ে দেড়গুন বেশী ভরের তারা -> পালসার -> নিউট্রন তারা; সূর্যের চেয়ে তিন/চারগুন বেশী ভরের তারা -> নিউট্রন তারা -> কৃষ্ণ গহবর) তবে ভালো লাগতো। তবে এটা একান্তই আমার ব্যক্তিগত মতামত।
সাক্ষী দাদার মন্তব্যের সাথে একমত। সাথে যোগ করি - লোহিতদানবের বদলে ড: আবদুল্লাহ আল মূতীর বইয়ে পড়া লাল দানব পরিভাষাটাও আমার কাছে বেশী ভালো লেগেছে।
লেখা চলুক। পরের পর্বের আশায় থাকলাম। (আছে তো, নাকি?)
____________________________
অসাধারণ, তথ্য গুলো মোটামুটি জানা ছিল কিন্তু এমন গুছিয়ে নয়। আপনার উপস্থাপন যেমন গোছানো তেমনি মজার।
হ্যাঁ বিজ্ঞানে এটাই প্রথম। এর আগে একটা কবিতা ছিল-‘ফ্ল্যাশব্যাক’।
আসলে কিছু সাংখ্যিক তথ্য যেমন ওই মাত্রাগুলো, বিভিন্ন তারার ঘনত্ব ইত্যাদি ইচ্ছে করেই এড়িয়ে গিয়েছিলাম। এখানে একটি জায়গায় দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইঃ “ সূর্যের চেয়ে দেড়গুন বেশী ভরের তারা -> পালসার -> নিউট্রন তারা;”
আসলে পালসার নিউট্রন তারার আগের অবস্থা নয় বরং নিউট্রন তারার-ই একটি বিশেষ রূপ (type) যখন এটি নির্দিষ্ট সময় অন্তর ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক স্পন্দন (pulse) তৈরি করে।
হ্যাঁ ওই পরিভাষাগুলি বেশ সুন্দর। তবে এগুলি বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্নরকম দেখেছি।
আরও লিখবার ইচ্ছে রইল। সচলে আপনার জ্যোতির্বিজ্ঞান সিরিজ দেখবার টিকিট কেটে ফেললাম আজই।
খুব ভাল লেগেছে। পরের লেখার অপেক্ষায় রইলাম।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
খুব ভাল লেগেছে লেখাটা, পরবর্তী লেখার জন্য অপেক্ষায় থাকবো।
ভালো লাগলো অনেক। এ রকম লেখা আরও চাই।
সত্যানন্দ দা'র মত ফাঁকি দিবেন না যেন
-ছায়াবৃত্ত
আসলে আমার আবার আইলসামিতে পি এইচ.ডি...
তীর্থ চক্রবর্তী
আপনাকে প্রথমেই বলে রাখি, যত্ন করে মন্তব্য করা হয় সেই লেখাতেই যেটা আমার পছন্দ হয়। পছন্দ হয় বলেই খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে লেখার কোন অংশটা খানিক কম পছন্দ হয়েছে সেটা বের করার ইচ্ছে জাগে। তাতে পরের লেখাগুলো আরো মনমত হওয়ার সম্ভাবণা খানিকটা বাড়ে।
লেখার একেবারে পথম প্যারাটা বিরক্তিকর যদি না বলি, তাহলে হাস্যকর। ক্লিশে। নিজের মতো করে লিখুন। যা বলতে চান সেটা আপনি বলুন "আপনার' মতো করে। যে কুমিরের ছানা লক্ষবার দেখানো হয়েছে সেটাকে কেউ খুব আবেগি হয়ে দেখাতে চাইলে ভালো লাগেনা।
পরের প্যারাগুলো খুব আনন্দ নিয়ে পড়ছিলাম। শেষের দিকে খানিকটা "কম ভালো' লেগেছে। মনে হয়েছে লেখক যাদেরকে কথাগুলো বলছেন তারা অনেক কিছু আগে থেকেই জানে। বাস্তবে অনেকেই জানেন। কিন্তু সবাই জানেন না। সেজন্য যে বিষয়গুলো লেখকের নিজের কাছে খুব সহজ/সাধারণ একটা টার্ম, সেটা সব পাঠকের কাছে আটপৌরে নাও হতে পারে। এই কথাটা একটু মনে রাখলে ভালো। দুয়েকজায়গায় মনে হয়েছে দৌড়ে লেখা শেষ করতে চেষ্টা করছেন লেখক। খানিকটা গতি কমালে কিছু পাঠকের সুবিধা হতে পারে।
ছবি কোনকোনটির ক্যাপশন খানিকটা বিস্তারিত হওয়া প্রয়োজন। যেমন, কোন ছবিটা বাস্তব। আর কোন ছবিটা সম্ভাব্য পরিণতি সেটা স্পষ্ট করে বলা প্রয়োজন। নয়তো ছাগলের তো অভাব নেই দুনিয়ায়, কীসের কী মানে করে বিজ্ঞানের চামড়া তুলে ফেলতে চাইবে তা এরাই জানে!
কোন কোন কথা অপ্রয়োজনীয়। ক্ষেত্রবিশেষে বিরক্তিকর। যেমন: "মায়া সভ্যতার ভাস্কর্য যেন এই করুণ পরিণতির শেষ চিহ্ন বহন করছে'! এর মানে কী? অনেকে হয়তো আন্দাজ করতে পারেন আপনি কী বলতে চেয়েছিলেন। অাপনি হয়তো খানিকটা ব্যাখ্যা করে বোঝাতে পারতেন। কিন্তু কেন? কী দরকার?!
লেখার ট্যাগ একটু বাড়িয়ে দিন। তাতে লেখার ভেতরে কী আছে বুঝতে সুবিধা হয়। প্রথম পাতায় আপনার লেখাটার প্রথম অংশ দেখে আর খুলে পড়তে ইচ্ছে হয়নি। তারপর কী মনে করে ভেতরে ঢুকে পছন্দ হল।
লেখা চলুক। আগ্রহ নিয়ে পড়ব।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
প্রথম লেখায় প্রয়োজনীয় সমালোচনার জন্য বিশেষভাবে ধন্যবাদ।
সত্যি কথা বলতে প্রথম প্যারায় নিজের সত্যিকারের অনুভূতির কথাই লিখতে চেয়েছিলাম, খুব পুরনো কাসুন্দি হয়ে যাচ্ছে জেনেও।
শেষের দিকের দুএকটি বিষয় যেমন ব্ল্যাকহোল বিস্ফোরণ, কোয়াসার- এইগুলিকে ইচ্ছে করেই কিছুটা সংক্ষিপ্ত করতে চেয়েছি বলে গতি কিছুটা বেড়ে গেছে। নাহলে এগুলির ব্যাখ্যায় আরও অনেক কিছুই বলা যেতে পারে, তাতে লেখার পরিসর অনেকটা বেড়ে যেত।
এছাড়াও অন্যান্য বিষয়গুলি নিয়ে পরবর্তীতে আরও সচেতন থাকতে চেষ্টা করব। নাহলে তো আপনারা থাকলেনই ধরিয়ে দেবার জন্য।
লিখতে থাকুন দুহাত খুলে।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
মহাকাশ- আহা, সবচেয়ে বড় প্রেম আমার।
লেখা চলুক, আরেকটু যত্ন নিয়েন কয়েক জায়গায়, নিজের মত করেই লিখুন, এমন ভাবে যাতে যারা নতুন জানছেন তারা যেন ফিরে ফিরে আসে ভাষার টানে, জানার টানে।
facebook
প্রিয় অভিযাত্রী কে নিজের প্রথম লেখায় দেখে অত্যন্ত আনন্দিত ও উৎসাহিত হলাম। মহাকাশ না হোক, গ্রহটির সকল প্রান্তে পা রাখতেই বা কজন পারে...মতামতের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
# তীর্থ চক্রবর্তী
ভালো লেখা, চালিয়ে যান, পরের লেখার অপেক্ষায় থাকলাম।
নতুন মন্তব্য করুন