• Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_clear_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_electoral_list_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_results_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_writeins_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).

নীল তিমি - সর্বকালের সর্ববৃহৎ প্রানী

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৪/১০/২০১৩ - ১০:২৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এক সময় সাগরে নীল তিমির পরিমান ছিল এখনকার চেয়ে অনেক অনেক বেশী। আমরা মানুষেরা বিগত বছরে এত বেশী নীল তিমি মেরেছি যে বর্তমানে আনুমানিক ১০০০০ নীল তিমির অস্তিত্ব পাওয়া যায়। নীল তিমি এখন আন্তর্জাতিকভাবে সংরক্ষন করা হচ্ছে এবং শিকার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তাই কিছু কিছু জায়গাতে এদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যদিও খুব নগন্যহারে। কেউ যদি সারা বছর ধরেও সাগর চষে বেড়ায়, তারপরেও একটা নীল তিমির দেখা নাও পেতে পারে।

নীল তিমি আসলে অনেক অনেক বড়। হাতির চেয়ে বড়, সব প্রকার তিমির চেয়ে বড়, এমনকি প্রাগৈতিহাসিক যুগের ডাইনোসরের চেয়েও বড়। এই পৃথিবীতে এযাবত কাল পর্যন্ত যত প্রানী ছিল বা আছে, তার ভিতর নীল তিমি সবচেয়ে বড়।

নীল তিমি ২৫ হতে ৩২ মিটার (৮২-১০৫ ফুট) পর্যন্ত লম্বা হয়, এবং ওজনে হয় ১৪০ টন, যা সবচেয়ে বড় ২৫ টা হাতির সমান বা ১১৫ টা জিরাফের সমান। অনেক নীল তিমি ২০০ টন পর্যন্তও ওজন হতে পারে। জ‍হ‍িবার ওজনই হয় একটা হাতির ওজনের সমান। পুরুষ নীল তিমির চেয়ে স্ত্রী নীল তিমি কিছুটা লম্বা হয়। এরা ৭০ থেকে ৯০ বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে

নীল তিমি কি দেখতে নীল? পানির নীচে এটিকে আসলেই নীল লাগে, কিন্তু পানির উপরে যখন ভেসে উঠে তখন এর শরীরে বরং বিবর্ণ নীল রং এর ছোপ দেখা যায়। এরা ঘন্টায় ৫ মাইলের বেশী বেগে সাঁতার কাটতে পারে, কিন্তু অনেক সময় এরা ঘন্টায় ২০ মেইল বেগেও সাঁতার কাটে। এর চামড়া পূর্ণ-সিদ্ধ ডিমের মতো মসৃন এবং কিছুটা স্থিতিস্থাপক (চাপ দিলে আবার আগের জায়গাতে চলে আসে), এবং ভেজা সাবানের মতো পিচ্ছিল।

এর চোখ চায়েরকাপের মতো বড় ও গভীর সাগরের মতো অন্ধকার। চোখের ঠিক পিছনেই একটা গর্ত আছে, সেটার আয়তন পেন্সিলের ঠিক পিছনদিকের মতো হবে, এই গর্ত হলো নীল তিমির কান। দুই চোখের পিছনেই দুইটা কান আছে। সাতারের সময় পথ চলতে এই কানের প্রয়োজন হয়।
গভীর সাগরের নীচে পর্যাপ্ত আলো নেই ,তাই সেখানে কোন কিছু দেখতে পারা খুবই কঠিন। সেখানে পথ চলার জন্য নীল তিমি তাদের শ্রবন ও স্পর্শ ইন্দ্রিয় ব্যবহার করে।

নীল তিমি তার জীবনের পুরো সময় সাগরেই কাটিয়ে দেয়। কিন্তু সে মানুষের মতোই স্তন্যপায়ী প্রানী, তাই তাকে বাতাসেই শ্বাস নিতে হয়, পানিতে নয়। কিছুক্ষন পরপর সে পানির উপরে উঠে আসে এবং তার মাথার উপরের ছিদ্র দিয়ে নিঃশ্বাস টেনে নেয়। একটা নীল তিমি উপরে উঠে নিঃশ্বাস টেনে নিয়ে পানির নীচে প্রায় ৩০ মিনিট একটানা থাকতে পারে। কিন্তু সে যখন দীর্ঘ যাত্রা করে, তখন ২ থেকে ৫ মিনিট পর পরেই নিঃশ্বাস নেয়ার জন্য পানির উপরে উঠে আসে।

যখন সে নিঃশ্বাস ছাড়ে, তখন মাথার উপরের দুই ছিদ্র দিয়ে পানি উপরের দিকে ফোয়ারার মতো ছুড়ে দেয়, যা প্রায় ৯ মিটার (৩০ ফুট) পর্যন্ত উপরে উঠে। এটা অনেক দূর থেকেও দেখা যায়, পানি বের করার শব্দও শুনা যায়। কাছে গেলে তার নিঃশ্বাসের গন্ধও পাওয়া যায়, যে গন্ধ অনেকটা মাছের মতো ।

ভয় পাওয়ার কিছু নেই। নীল তিমি মানুষ খায়না। এর কোন দাঁতই নেই, বরং এর আছে শত শত ব্যালিন, মুখের ভিতরের উপরের চোয়াল হতে নীচের দিকে ঝুলে থাকে।

মুখের ভিতরের উপরের চোয়ালে ৭৯০ টার মতো ব্যালিন (অনেকটা ঝালরের মতো) লাগানো থাকে, একেকটা ব্যালিন ৫০ সেন্টিমিটার হতে ৯ মিটার (দেড় ফুট হতে ৩০ ফুট) পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। আমাদের আঙ্গুলের নখ অনেক লম্বা হলে যেরকম শক্ত আর বাঁকানো হয়, এই ব্যালিনগুলো ঠিক সেই রকম।

কামড়ানো বা চিবানোর জন্য এর দাঁতের দরকার পড়ে না, কারন এর খাবার অতিক্ষুদ্র এক প্রানী।
নীল তিমির খাবার ক্রীল। ক্রীল চিংড়ির মতো একপ্রকার মাছ, এর রং অনেকটা বিবর্ন-গোলাপী , আর আকারে আমাদের হাতের ছোট আঙ্গুলের সমান।

উত্তর এবং দক্ষিন মেরু অঞ্চলের ঠান্ডা সাগরে হাজার হাজার কোটি ক্রীল বাস করে। গ্রীষ্মকালে এত বেশী ক্রীল থাকে যে তখন পানির রং গোলাপী দেখায়। তাই গ্রীষ্মকালে খাবারের সন্ধানে নীল তিমি মেরু সাগরে আসে। একটা নীল তিমির ক্ষুদা নিবারনের জন্য অসংখ্য পরিমান ক্রীল দরকার পড়ে। কিন্তু নীল তিমি একটা একটা করে ধরে না। সে প্রথমে বড় একঝাক ক্রীল সহ সাগরের নোনা পানি মুখের ভিতর টেনে নেয়। সে যখন মুখ হাঁ করে, তার গলার ভিতরের সব ভাঁজ খুলে যেয়ে মুখের ভিতর বিশাল জায়গা তৈরী হয়, ঠিক বৃহৎ আকারের বেলুনের মত।

একটা নীল তিমির গলার চামড়াতে আনুমানিক ৮৮ টা ভাঁজ থাকে। একটা নীল তিমি দিনে প্রায় ৩০ মিলিয়ন (৩ কোটি) ক্রীল খেতে পারে, যা রাখার জন্য তিনটা বড় ট্রাক লাগবে!

তারপর সে তার জিহ্বা দিয়ে ঠেলে সব নোনা পানি ব্যালিনের ভিতর দিয়ে বের করে দেয়। পানি বের হয়ে যায়, কিন্তু ক্রীলগুলো ব্যালিনের কারনে মুখের ভিতর আটকা পড়ে , ঠিক যেমন মটরদানা বা চাল ছাকনীতে আটকে থাকে। ক্রীলগুলো আটকে পড়ার পরে সে তাদেরকে গিলে ফেলে।

গ্রীষ্মকাল ধরে নীল তিমির সারা শরীরে চর্বির পুরু আস্তরন জমে, তাকে ব্লাবার বলা হয়। এভাবেই তারা শরীরে শীতকালের জন্য খাদ্য সংরক্ষন করে থাকে, কারন শীতকালে তারা খুবই কম খায়। সারা গ্রীষ্মকাল ধরেই ক্রীল খায় আর শরীরে চর্বি জমে জমে মোটা হয়- এভাবেই নীল তিমি গ্রীষ্মকাল কাটিয়ে দেয়।

কিন্তু শরৎকাল শুরু হলে শীতের আগে থেকেই মেরু সাগর ঠান্ডায় জমাট বাঁধা শুরু করে। ক্রীলগুলো তখন বরফের নীচে চলে যায়, সেখানে নীল তিমি তাদের নাগাল পায় না। তাই শীতকালের বরফ শীতল পানি আর ঝড়ের প্রকোপ হতে দূরে থাকার জন্য তারা তাদের বাসস্থান ছেড়ে চলে যায়। দিনের পর দিন তারা ধীরে ধীরে সাঁতার কেটে নতুন বাসস্থানের খোঁজে চলতে থাকে। তার বিশালাকৃতির লেজ উপর নীচ করে ধাক্কা দিয়ে চলে, আর পাখনা দিয়ে ডান আর বাঁ দিকে চালাতে থাকে, ঠিক নৌকার বৈঠা বাওয়ার মতো।

দুই মাসেরও বেশী সময় ধরে এরা সাঁতার কেটে যেতে থাকে, যতক্ষন না এরা বিষুব রেখার কাছের উষ্ণ সাগরে পৌঁছায়। মেরু অঞ্চলে যখন শীত থাকে, সেই পুরো শীতকালটাই তারা এই উষ্ণ সাগর অঞ্চলে কাটিয়ে দেয়।

উত্তর মেরুতে যখন শীতকাল, দক্ষিন মেরুতে তখন গ্রীষ্মকাল


কিছু নীল তিমি গ্রীষ্মকালটা দক্ষিনমেরু অঞ্চলের আশে পাশে কাটিয়ে দেয়। যখন শীত আসে, তখন তারা সাঁতার কেটে উত্তরের দিকে বিষুব রেখার কাছাকাছি সাগর অঞ্চলে চলে যায়। আবার কিছু নীল তিমি গ্রীষ্মকালটা উত্তরমেরু অঞ্চলের আশে পাশে কাটিয়ে দেয়। যখন শীত আসে, তখন তারা সাঁতার কেটে দক্ষিনের দিকে বিষুব রেখার কাছাকাছি সাগর অঞ্চলে চলে যায়।

তাই, এই দুই অঞ্চলের নীল তিমিদের কখনই পরস্পরের সাথে সাক্ষাত হয় না

৫ হতে ১৫ বছর বয়সে একটা নীল তিমি যৌন প্রজনন করার সক্ষমতা অর্জন করে। শীতকালে তারা যখন গরম অঞ্চলের সাগরে থাকে, তখন পুরুষ ও স্ত্রী নীল তিমি মিলিত হয়, এরপরে তারা আলাদা হয়ে যায়। মিলিত হওয়ার প্রায় এক বছর পরে এই গরম অঞ্চলের সাগরে স্ত্রী নীল তিমি বাচ্চা প্রসব করে। বাচ্চা শরীরের ভিতর হতে খুবই মসৃনভাবে বের হয়, প্রথমে তার লেজ বের হয়, তারপর শরীর।

হালকা ঢাক্কা দিয়ে সে পানির উপরে উঠে প্রথম নিঃশ্বাস নেয়। তারপর সে ডুব দিয়ে তার মায়ের নীচে চলে যায় দুধ খাওয়ার জন্য।

একটা বাচ্চা জন্মের সময়ে প্রায় ৭ মিটার (২২ ফুট) লম্বা হয়। সে দিনে প্রায় ৬০০ লিটার দুধ পান করে। মা তিমির পেটের সাথে লাগানো স্তন হতে সে দুধ পান করে।

পুরো শীতকাল ধরেই মা নীল তিমি তার বাচ্চাকে সবসময় কাছে রাখে। ঘন দুধ পান করে করে বাচ্চা খুব দ্রুত বড় হতে থাকে।

যখন বসন্তকাল (স্প্রীং) চলে আসে, তখন মা ও বাচ্চা একসাথে মেরু সাগরে ফিরে যাওয়া শুরু করে ক্রীল খাওয়ার জন্য। তারা যখন মেরু সাগরে ফিরে আসে, তখন সেখানে গ্রীষ্মকাল শুরু হয়ে যায়। মা ও বাচ্চা একসাথে মহোৎসবে ক্রীল খেতে থাকে। কিন্তু শরৎকাল আসার আগেই বাচ্চা নিজে চলার মতো বড় হয়ে যায়, তখন মা ও বাচ্চা আলাদা হয়ে যায়। শরৎকালে আবার তারা বিষুব রেখার কাছে সাগর অঞ্চলে যাওয়ার জন্য দীর্ঘ যাত্রা শুরু করে। একটা নীল তিমি তার জীবদ্দশায় প্রতি বছরেই মেরু সাগর অঞ্চল থেকে বিষুব রেখার কাছে চলে যায়, আবার ফিরে আসে। মাঝে মাঝে এরা দল বেঁধে চলে, কিন্তু বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই এরা একাই চলাফেরা করে।

আপাতদৃষ্টিতে এরা নিঃসঙ্গ নয়। কারন মাঝে মাঝেই এরা এক ধরনের শব্দ করে থাকে (অনেকটা জোর গলায় মমমমমম করে শব্দ করার মতো) যা হাজার মাইল পর্যন্ত প্রবাহিত হয়ে অন্য নীল তিমির কাছে চলে যেতে পারে।

সাগর অঞ্চল এত বিশাল যে, সেখানে একে অন্যের সাথে নিয়মিত দেখা হওয়া খুবই কঠিন ব্যাপার। তাই তারা হয়তো এভাবেই একে অন্যের সাথে যোগাযোগ করে।

(মূল সূত্রঃ ১। Nicola Davies রচিত Big Blue Whale , ২। National Geographic
ছবিঃ ১। Nicola Davies রচিত Big Blue Whale, ২। ইন্টারনেট)

দেশ বন্ধু (desh_bondhu)


মন্তব্য

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

(Y)
ছবি আর লেখায় কথাগুলো পুনরাবৃত্তি না করলেও হত বোধ হয় :)

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

প্রথমে পুনরাবৃত্তি করতে চাইছিলাম না, শুধু ছবিতেই রাখতে চেয়েছিলাম যাতে করে শুধু ছবি দেখেই সব কিছু বুঝা যায়। কিন্তু ছবি পোষ্ট করার পরে প্রিভিউ তে দেখি ছবিই আসে না, পরে রেজুলেশন কমানোর পরে স্পষ্ট হয় নাই, তাই লেখার ভিতরেও পুনরাবৃত্তি করতে হলো।

দেশ বন্ধু

চরম উদাস এর ছবি

(Y) মজা পেলাম পড়ে

অতিথি লেখক এর ছবি

(ধইন্যা)
দেশ বন্ধু

তারেক অণু এর ছবি

অসাধারণ

অতিথি লেখক এর ছবি

(ধইন্যা)
দেশ বন্ধু

 মেঘলা মানুষ এর ছবি

ছোটবেলায় বিটিভিতে দেখা ফেরদৌসী রহমান খালামণির গাল মনে পড়ল:

তিমি মাছের নামতো জানো,
জানো কি তার পরিচয়?
নামটা তিমি মাছ হলেও
আসলে সে মাছ ন. . . . . য়

 মেঘলা মানুষ এর ছবি

খালামণির গাল না, গান হবে $)

অতিথি লেখক এর ছবি

অসাধারন, বিষয়ের ভিন্নতা মুগ্ধ করেছে। ^:)^

চলুক সমুদ্রের প্রাণিদের নিয়ে এমন আরো লেখা। (Y)

মাসুদ সজীব

অতিথি লেখক এর ছবি

(ধইন্যা)
চেষ্টা করবো এই ধরনের আরো লেখা।

দেশ বন্ধু

আশরাফ ফারুক পলাশ এর ছবি

অসাধারণ (Y) (Y) (Y)

অতিথি লেখক এর ছবি

(তালগাছ)
দেশ বন্ধু

dohon bela এর ছবি

ভালো লাগলো।

প্রশ্ন এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ অসাধারণ একটা লেখার জন্য। লেখাসহ ছবিগুলাও খুব ভালো লাগলো।

এ্যাটেনবড়োর The life of mammals-এর জলজ স্তন্যপায়ীদের নিয়ে একটা পর্ব আছে। সেই পর্বে এ্যাটেনবড়ো যে এক্সাইটমেন্ট নিয়ে নীল তিমিকে দেখায়, সেইটা ভোলার মতো না। নীলতিমি নিয়ে কয়েকটা মজার তথ্য সেইখানে জানানো হয়। যেমন, নীল তিমির হৃদপিন্ডটা ছোটখাটো একটা গাড়ির সমান। তার বড়ো বড়ো রক্তনালী দিয়ে আপনি সাঁতার কাটতে পারবেন ( রেড ব্লাড সেলদের ধাক্কা সামলানোর দায়িত্ব আপনার। )

হাম্পব্যাকদের নিয়ে আরেকটা পোস্ট দিতে পারেন। আমার কাছে তিমিদের মধ্যে সবচাইতে ফ্যাসিনেটিং লাগে এই হাম্পব্যাকদের। নীল সমুদ্রের মধ্যে হাম্পব্যাকদের তাদের শাবকসহ সাঁতরায়া যাওয়ার দৃশ্যটা দেখার মতো। এ্যাটেনবড়োর ধারাভাষ্যে আরেকটা ডকুমেন্টারি আছেঃ Nature's great events. এইটার শেষ পর্বে হাম্পব্যাকদের নিয়ে একটা অসাধারণ পর্ব আছে। ডকুমেন্টারির সবগুলা পর্বই দেখতে পারেন, যদি না দেখা হয়ে থাকে। HD যুগের ( পোস্ট-প্লানেট আর্থ যুগ ) ওয়াইল্ডলাইফ ডকুমেন্টারিগুলার মধ্যে আমার দেখা সবচেয়ে ভালো ফোটোগ্রাফি আর গল্প এই সিরিজটার।

আশা করি এমন আরো অসাধারণ সব লেখা দেবেন। অনেক ধন্যবাদ আবারো।

স্বপ্নচোরা এর ছবি

লেখাটা যথেষ্ট রোমাঞ্চকর এবং তথ্যবহুল...........মনে হল সাগরের গভীরে তিমির রাজ্যে একটা সফর করে আসলাম :)

তবে লেখার পুনরাবৃত্তির বিষয়টা আমারও ভালো লাগেনি.....রেজুলেশন যথেষ্ট ভালই ছিল.....প্রিভিউটা বোধহয় সমস্যা করেছিল।

সাইদ এর ছবি

(Y)

ইয়াসির আরাফাত এর ছবি

বেশ লাগলো (Y)

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

ভাল লাগলো। (Y)

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

তিমির প্রেম পড়ার পর থেকেই এই প্রাণিটার প্রতি আমার একটা অন্যরকম মমত্ববোধ আছে। লেখা খুব ভালো লাগলো।

____________________________

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

স্কুলে থাকতে রকিব হাসানের 'তিমির প্রেম' নামে একটা বই পড়ে ব্যাপক মুগ্ধ হয়েছিলাম... সেই বইটা এখন আবার পড়তে ইচ্ছে করছে

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

এখন আর পাওয়া যায়না :( ভলিউমেও পাইনাই এখন পর্যন্ত

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আমিও অনেক খুঁজেছি, পাই নাই

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনারা দেখি রকিব হাসানের 'তিমির প্রেম' বইটার কথা মনে করিইয়ে দিলেন! নষ্টালজিক হয়ে গেলাম, সেই ছোট বেলায় পড়েছিলাম (ধইন্যা)

দেশ বন্ধু

লালকমল  এর ছবি

(জাঝা)

এক লহমা এর ছবি

ভাল লেগেছে।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

(Y)

তরতর করে পড়ে গেলাম। ঝরঝরে প্রাণবন্ত বর্ণনার সাথে ছবিগুলো ছিল উপরি পাওনা। এমন বেশ কিছু তথ্য জানলাম যা আগে জানা ছিল না। খুবই ভালো লাগলো লেখাটা পড়ে। এরকম আরো লেখা পড়ার ইচ্ছে রইলো।

অতিথি লেখক এর ছবি

এই ধরনের লেখা আরো আসবে।।।।।

দেশ বন্ধু

সুবোধ অবোধ এর ছবি

ভাল্লাগছে খুব।
=DX

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।