লোকটা বলে চলে, “ধরেন আপনি একটা নিজস্ব ছন্দে চলেন। আপনি ভাবেন সেটাই ঠিক।আবার কোন কোন বিশেষ মুহুর্তে আপনার ভাবনাটা ভেঙে যায়। আপনি ভাবতে থাকেন আপনার সামনে বসা চাপ-দাড়িওয়ালা লোকটা আপনার চেয়ে বেশী বিচক্ষণ। আপনি একধ্রণের আলোর সন্ধানে তার দিকে চেয়ে থাকেন। এরপর সেই লোকটার একটা দলছুট বা অমনোযোগী বাক্যে আপনি তার উপর আস্থা হারান। ফিরে আসেন নিজের আব র্তে;সেই পুরণো ছন্দে। এরপর আবার দালানকোঠা ভাঙা। পরবর্তীতে আবার ব্রীজ-কালভার্ট গড়া। এভাবেই চলতে থাকে। এই করতে করতে দেখলেন জীবনের একটা বড় অংশ পেছনে চলে গেছে। আপনি এখনো কোন কোন বিষন্ন একাকী সন্ধ্যায় চাপদাড়িওয়ালা কাউকে খোঁজেন। কী, ব্যাপারটা এরকম না?”
প্রথম অবলোকনে লোকটার বাচনভঙ্গীটাকে বেশ “ফ্যাক্ট-টাইপ” মনে হয়। কিন্তু তার কথাগুলোকে খোলা আকাশ বা মোড়ের রেস্তোঁরার গ্রীল্ড মুরগীর যন্ত্রটাকে ব্যাকড্রপে রেখে পড়লে বা বলা যায় শুনলে অন্যরকম শোনায়। মনে হয় যেন জীবনের কোন গূঢ় সত্যকে সে বেশ নাটকীয় ভঙ্গীতে বলে যাচ্ছে- নিজের ঘোড়েল উপলব্ধিটাকে হাল্কাচালে ধোঁয়ার মত ছড়িয়ে দিচ্ছে চারপাশে। তারপর যখন হঠাৎই সড়সড় শব্দে চারপাশ ধোঁয়াশা করে বড় বড় ফোটায় ঝুপ ঝুপ করে বৃষ্টি নামে, তখন মনে হয় জীবন আসলে টক-ঝাল-মিষ্টি-স্বাদু-বিস্বাদ একটা বহুরুপী ঘোলাটে ব্যাপার। একে ঠিক এক প্যাঁচে ধরে ফেলার চেষ্টাটা বরাবরই একটা ভোকাট্টা ব্যাপার। তুমি পার আবার পার না। জান আবার জান না। আর বোঝার কথা না হয় ছেড়েই দিলাম।
-রাজীব মাহমুদ
মন্তব্য
মাথার উপর দিয়ে গেলো পুরোটা!! কিচ্ছু বুঝতে পারলাম না তিনবার পড়েও!! ঠিক যেন একটা ভোকাট্টা ব্যপার!!!
আমি আসলেই বোধহয় নাদান!!!!
____________________________
ব্যাপারটা আসলে জীবনের অন্তর্দ্বন্দ আর অননুমেয়তাকে নিয়ে। লেখাটাকে ৩ বার পড়ে আপনি এটার যতটুকু গুরুত্ব পাওয়ার কথা তার চেয়ে বেশী দিয়ে ফেলেছেন। ধন্যবাদ পড়ার জন্য। দুর্বোধ্যতার ব্যাপারটা নিতান্তই অনিচ্ছাকৃত। আর নিজেকে নাদান ভাবার কোন কারণ নেই। আপ নি যথেষ্ট বুদ্ধিমান। আপনার লেখা পড়েই বলছি।
-রাজীব মাহমুদ
হ। আপনার পোস্ট পড়ে সেটা বোঝার কথা ছেড়েই দিলাম।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
খুব কি কঠিন? দুর্বোধ্য করে লেখার ইচ্ছে ছিলনা একেবারেই।পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
রাজীব মাহমুদ
দুর্দান্ত! খুব ভালো লাগলো। মনে হচ্ছিলো এভাবে পাতার পর পাতা পড়তেও একঘেয়ে লাগবে না।
আরো লিখুন।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
অনেক ধন্যবাদ,স্পর্শ। আরো লেখার উৎসাহ পেলাম।
মাঝে মাঝে মনে হয় এতো জেনে কি হবে, সব শেষেতো শূণ্যতাকেই মেনে নিতে হবে।
জীবনকে আসলে এক প্যাঁচে ধরে ফেলা সম্ভব না, সেই চেষ্টা অবশ্য করি ও না। যাক না জীবন যেমন যাচ্ছে চলে হিসাব ছাড়া নিজেরি অগোচরে।
মাসুদ সজীব
সহমত
রাজীব মাহমুদ
পড়লাম। এবার বোঝার চেষ্টা করছি,এখন পর্যন্ত ভোকাট্টার মাঝেই আছি !!!!!!!!!!!!!
সবসময় মস্তিষ্কের বোঝাটা জরুরী নয়।ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
রাজীব মাহমুদ
ভাল্লাগছে কথাগুলা।
আমারো ভাল্লাগলো আপনার মন্তব্য।
রাজীব মাহমুদ
হ। সকলই গরল ভেল।
****************************************
নতুন মন্তব্য করুন