প্রাক-কথনঃ লেখার ঘটনাকাল অক্টোবর ১১ থেকে অক্টোবর ১৮। দেশের অস্থির এক সময়ে লিখছি এই লেখা। সামনের দিনগুলো যে আরও অস্থির যাবে তা বলার জন্য খুব একটা মাথা খাটাতে হয় না।
---------------------------------------------------------------------------------------------------------------
সবকিছুর শুরু একটা ফেইসবুক স্ট্যাটাস থেকে।
সবেমাত্রই প্রথমবারের মত ঘুরে এসেছি বান্দরবান। প্রথমবার বান্দরবান গেলে মানুষ সাধারণত যেসব জায়গায় যায় - নীলগিরি, নীলাচল, স্বর্ণ মন্দির, চিম্বুক, শৈলপ্রপাত, মেঘলা, নির্মিতব্য রাম জাদী ইত্যাদি ইত্যাদি গাড়ি করে ঘুরে এসেছি আয়েশি ট্যুরিস্টদের মত। নৌকা করে সাঙ্গু নদী ধরে গেছি বেশ কিছুদূর। বহুবার বহুজনের মুখে শুনেছি নীলগিরি যাবার পাহড়ি পথটা নাকি একদম মেঘের ভেতর ঢুকে যাওয়া, আশপাশ দিয়ে ভেসে যাওয়া মেঘ ছুঁয়ে দিয়ে যায়! প্রথমবারের সেটাই চাক্ষুষ করার অনুভূতি বলে বোঝানো সম্ভব নয় কোনোভাবেই। মেঘে ঢাকা পাহাড় থেকে নিচের দুনিয়ার অপার্থিব দর্শন যিনি লাভ করেছেন, একমাত্র তিনিই জানেন তার মাহাত্ম্য।
ফেরার সময় বারবার ভাবছিলাম যদি থেকে যাওয়া যেত! কিন্তু যত যাই হোক, ফিরে তো আসতেই হবে জীবিকার টানে। ঠিক করেছিলাম সুযোগ পেলেই আবার আসব, ঘুরে বেড়াব যেখানে পারি যদ্দূর সম্ভব।
ঢাকায় ফিরে আবার ব্যস্ত হয়ে গেলাম জীবনযুদ্ধে। অফিসের যাঁতাকলে পিষ্ট হয়ে হাঁপিয়ে উঠছিলাম দিনকে দিন। সুযোগ পেলেই বান্দরবানের ছবিগুলো দেখি আর নস্টালজিয়ায় ডুবে যাই। এমনই কোনো একদিন এটা সেটা ভাবতে ভাবতে ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিলাম, আসছে শীতে পাহাড়ে যেতে চাই, সঙ্গী-সাথী দরকার! বন্ধু আনাস সেটা দেখে নক করল; জানতে পারলাম কোরবানি ঈদের ছুটিতে তারা ট্রেকিংয়ে যাচ্ছে সাকা হাফং, মোদক মোয়াল কিংবা দুমেলাং-এর দিকে, গন্তব্য তখনও ঠিক নয়। আমাকেও আমন্ত্রণ জানানো হল। সেটাই শুরু।
পুরো পার্বত্য চট্টগ্রামজুড়েই ঘোরার জন্য হাজারটা জায়গা আছে যদি আপনি নিতান্তই ‘আয়েশি’ ট্যুরিস্ট মানসিকতাসম্পন্ন না হয়ে থাকেন। একটু কষ্ট করার ইচ্ছা, সামর্থ্য আর কিছুটা সাহস থাকলেই ওইসব পাহাড়ি এলাকায় অকল্পনীয় রোমাঞ্চ অপেক্ষা করে আছে আপনার জন্য, সমমনা বন্ধুবান্ধব সাথে থাকলে তো আর কথাই নেই।
তো যাই হোক, চলছে আমার অফিস। জানা গেল, ঢাকা থেকে রওনা দেয়া হবে ১১ অক্টোবর রাতে। এদিকে আমার ঈদের ছুটি শুরু হবে ১৩ তারিখ থেকে। ছুটি নেয়া যেতেই পারে কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, ঈদের আগে প্রচুর ডেডলাইন থাকে। সুতরাং, যাবার ষোল আনা ইচ্ছা থাকবার পরেও নিশ্চিত করে কিছুই বলতে পারলাম না। কাজ করে যাচ্ছি রোবটের মত, যেভাবেই হোক আগেভাগে শেষ করতে হবে, তবেই ছুটির কথা বসকে বলা যাবে। এখানে বলে রাখি, কর্মসূত্রে আমি বস্ত্রশিল্পের সাথে জড়িত; একটা ট্রেডিং অফিসে কাজ করে খাই। এখানে কাজের ধরণটাই এমন যে, শেষমেশ আপনাকে অনেক মানুষ আর পারিপার্শ্বিক অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করতেই হবে। তারা যদি সময়মত না শেষ করতে পারে, আমারও আর যাওয়া হবে না।
চলে যাচ্ছে এক একটা দিন। এল অক্টোবরের ৯ তারিখ। তখন মোটামুটি নিশ্চিত যে, সেদিন কাজ শেষ না হলেও পরদিন ১০ তারিখ ঠিকই কাজ শেষ হয়ে যাবে। অফিস থেকে বের হয়েছি সন্ধ্যায়, এমন সময় আনাসের ফোন। টিকেট পাওয়া যায়নি ১১ তারিখের, ট্রেনের টিকেট পাওয়া গেছে ১০ তারিখ দুপুরে। আমি কি যাব? কি ভেবে যেন বলে দিলাম যাব যদিও সেদিন রাতেই কাজ শেষ হবার নিশ্চয়তা নেই তখনও!
তখনই ছুটলাম আশুলিয়ায় ফ্যাক্টরিতে, কাজ শেষ করতে হবেই আজকে। শিপমেন্ট পাঠাতেই হবে যেভাবেই হোক! জ্যাম ঠেলে রাত আটটার দিকে পৌঁছলাম ফ্যক্টরিতে। নিজে তদারক করে শেষ কাজগুলো মোটামুটি গুছিয়ে সেই রাতেই যাবার মত নিশ্চিত ব্যবস্থা করে তবেই বের হলাম। বসকে জানালাম, বস খুশি। এইবার সুযোগ বুঝে একদম ভালোমানুষের মত অগ্রীম ছুটির কথাটা তুললাম। শেষ সময়ে আরও কিছু কাজ গুছিয়ে নেবার ছিল তবুও কিছুটা গাইগুই করে বসও রাজি হয়ে গেলেন। অবশেষে মিলল কাঙ্ক্ষিত ছুটি!
বাসায় ফিরতে ফিরতে রাত প্রায় বারোটা বেজে গেল। খেয়েদেয়ে ঘুম দিলাম। পরদিন দুপুর দু’টোয় ট্রেন। সকালে উঠতে একটু দেরি হয়ে গেল। অফিসে একবার ঢুঁ মারতে হবে। ওদিকে আনাস ব্যাগ কিনে রেখেছে আমার জন্যে, সেটা নিতে হবে অফিসে ঢোকার আগেই। আনাসের কাছ থেকে ব্যাগ নিয়ে ঘুরপথে অফিস গেলাম। নতুন জয়েন করা টিমমেটকে সব বুঝিয়ে দিয়ে বের হতে কিছুটা দেরি হয়ে গেল।
বাসায় ফিরে দ্রুত ব্যাগ ঘুছিয়ে নিলাম। যতটা কম জিনিসপত্র নেয়া যাবে, পাহাড়ে ততই আরামে ওঠা যাবে - ব্যাপারটা অনেক আগে থেকেই জানা ছিল তিন গোয়েন্দা আর মাসুদ রানার কল্যাণে; সেভাবেই ব্যাগ গোছালাম। তিনটা ফুলস্লিভ টিশার্ট নিলাম। একটা পরে হাঁটব, আরেকটা পরে রাতে ঘুমাব। আর শেষেরটা ব্যাকআপ, বৃষ্টিতে বা ঝর্ণায় সব ভিজে গেলে ওটা কাজে আসবে। ট্রেকিংয়ে ফুলস্লিভ পরার উপকারিতা আছে বেশ কিছু – রোদ থেকে যেমন কিছুটা বাঁচা যায়, তেমনি জঙ্গল, ঝোপঝাড়, কাঁটা, পোকামাকড় ইত্যাদি থেকেও কিছুটা নিরাপদে থাকা যায়। জিন্সের প্যান্ট পরলাম একটা, একটা ট্রাউজার রাতে ঘুমানোর জন্য নিলাম। আমরা সেদিকে যাব, সেসব পথে অনেক ঝর্ণা/ঝিরিপথ পাড়ি দিতে হবে। সেসব জায়গায় জিন্সের প্যান্ট পরাটা বোকামি। কারণ জিন্সের প্যান্ট ভিজে গেলে বেশ ভারী হয়ে যায় আর সহজে শুকোতেও চায় না। হাল্কা কোনো ট্রাউজার আমার ছিল না, ঠিক করলাম চট্টগ্রাম থেকে কিনে নেব। মোজা নিলাম কয়েক জোড়া।
বের হতে হতে প্রায় একটা বেজে গেছে। কোনো সিএনজি পেলাম না। অগত্যা বাসে উঠতে হল, বিআরটিসির দ্বোতলা বাস। ইদের আগে শেষ বৃহস্পতিবার সেদিন, প্রচণ্ড জ্যামে স্থবির হয়ে আছে রাস্তা। বাস এগোচ্ছে খুবই আস্তে। দ্বোতলার জানালা থেকে মাথা বের করে দেখলাম, যতদূর চোখ যায় ততদূর শুধু গাড়ি আর গাড়ি - সব নিশ্চল। এদিকে আনাসের ফোন, সব শুনে হতাশ কন্ঠে বলল, “দেরি করে ফেলেছ, আসলে! পারলে বাস থেকে নেমে জ্যামটুকু হেঁটে পার হয়ে সিএনজি নাও।’’
তড়িঘড়ি করে নামলাম বাস থেকে, জায়গাটা বিজয় সরণির মোড়। সোজা হাঁটা দিলাম খামারবাড়ির দিকে। কোনো সিএনজি নেই, যে দু’তিনটা পেলাম তারা কমলাপুর শুনে যেতে রাজি হল না। প্রখর রোদে হেঁটে যাচ্ছি, পিঠে ট্রেকিং ব্যাগ, পায়ে মানানসই জুতা – শহুরে পরিবেশে বেমানান। মানুষজন ঘুরে ঘুরে দেখছে আমাকে। খামারবাড়ি মোড়ের কাছে এসে একটা সিএনজি পেলাম। ড্রাইভারকে বললাম দুটোয় ট্রেন। তখন বাজে একটা বিশ-এর মত। ছুটল সিএনজি। আনাসকে মেসেজ দিলাম “সিএনজি নিয়েছি’’। দিতে না দিতেই সিএনজি ফার্মগেটের সিগন্যালে এসে আটকে গেল। সামনের রাস্তা দিয়ে সব গাড়ি চলে যাচ্ছে সাঁ সাঁ করে, এপারে হাজার গাড়ির ভেতর থেমে আছে আমার সিএনজিটাও।
এক-দুই করে প্রায় মিনিট পনেরো মত চলে গেল, সিগন্যাল আর ছাড়ে না! অথচ চাইলেই ছাড়তে পারত বলে মনে হল কয়েকবার! ঘড়ির কাঁটা একটা চল্লিশ ছুঁই ছুঁই। ট্রাফিক পুলিশের চৌদ্দ গুষ্টি উদ্ধার করছি মনে মনে। ফোন বের করে দেখি আনাসের মেসেজ, “যেভাবেই পারো চলে এসো!” এতকিছুর ভেতরেও হাসি পেল আমার।
অবশেষে আরও কয়েক মিনিট পরে সিগন্যাল ছাড়ল। সিএনজি ড্রাইভার খুবই দারুণভাবে চালিয়ে নিয়ে গেলেন। আর অবিশ্বাস্যভাবে এরপর আর কোথাও তেমন আটকেও পড়তে হল না। প্রায় একটা পঞ্চান্নর দিকে কমলাপুরের কাছাকাছি এসে জ্যামে আটকালাম, দেখা যাচ্ছে দালানটা। ভাড়া মিটিয়ে সিএনজি ড্রাইভারকে ধন্যবাদ দিয়েই দৌড় দিলাম ভিড়ভাট্টার ভেতর কয়েকজনকে ধাক্কাও দিয়ে ফেললাম... কমলাপুর!
প্ল্যাটফর্মে ঢোকার গেটের মুখে আবার উটকো আপদ আনসার - টিকেট ছাড়া নাকি ঢোকা যাবে না! বেশ কিছু মানুষ আটকে আছে সেখানে, ভালো হাইকাউ। আমার টিকেট আনাসের কাছে। ফোন করলাম সাথে সাথেই কিন্তু হট্টগোলে কথা বোঝা যাচ্ছে না। কোনোমতে বোঝাতে পারলাম আমার অবস্থাটা। দুইমিনিট কেটে যাবার পরেও আনাসের দেখা নেই। আবার ফোন দিলাম, ও নাকি গেটের সামনেই কিন্তু আমাকে খুঁজে পাচ্ছে না! এত কিছু পার করে এখানে এসে আটকে যাব! মাথাটা গরম হয়ে গেল একদম, সব ঠেলে ঢুকে গেলাম এক ধাক্কায়। এক আনসার ছাড়বে না আমাকে কিছুতেই। কিছু একটা করতে যাচ্ছিলাম কিন্তু হঠাৎ-ই দেখলাম আনাসকে, পাশের গেট থেকে এদিকে আসছে। অবশেষে ছাড়া পেলাম।
প্ল্যাটফর্ম ধরে ছুটলাম আমরা, হুইসেল দিচ্ছে ট্রেন। বগিগুলোর দরজাও দেখি এক এক করে লাগিয়ে দেয়া হচ্ছে। সব বগির দরজার কাছেই জটলা, আমাদের বগিতেও তাই। অনেক অনুরোধ উপরোধ সত্ত্বেও টিকেট ছাড়া উঠতে দেয়া হচ্ছে না কাউকেই। টিকেট উঁচিয়ে জটলা ঠেলে উঠে পড়লাম আমরা দু’জন। ক্লাস নাইনে বারবার ফিজিক্সে ফেল মারতে গিয়েও যেভাবে কোনোমতে উতরে যেতাম, ঠিক তেমন অনুভূতিটাই বহুদিন পর হুবহু অনুভব করছিলাম তখন আবার।
সিট খুঁজে বসে পড়লাম আমরা। পাশাপাশি সিট ছিল না আমাদের, পাশের ভদ্রলোককে অনুরোধ করে পাশাপাশি করে নিলাম। ট্রেন ছেড়ে দিয়েছে ততক্ষণে, প্রথম গন্তব্য চট্টগ্রাম...
ছবিটা আখাউড়ার কাছাকাছি এসে তোলা।
চলবে... (সন্দেহ আছে নিজেরই!)
- মিলু -
---------------------------------------------------------------------------------------------------------
ডিসক্লেইমারঃ আমার লেখালেখির অভ্যাস নেই। লেখাটা ভালো হচ্ছে না মোটেই, সেটাও জানি। তবুও লিখতে বসেছি মূলত আমার ক্ষুদ্র জীবনের একটা অভূতপূর্ব ঘটনা ধরে রাখতে। এই লেখা শুরু করার অন্যতম কারণ – সচল, ম্যাডাম সুরঞ্জনা; যার সাথে পরিচয়ের শুরু এই সচল থেকেই। ওনার না লিখলে খবর আছে টাইপ চোখ রাঙানি থেকে রেহাই পাবার ইচ্ছাও এই লেখার অন্যতম প্রভাবক। ধন্যবাদ দিতে চাই আমাদের সবার প্রিয় সচল, পরিব্রাজক তারেক অণু-কে। উনি সম্ভবত আমাকে চেনেনও না ঠিকমত। তার সাথে অতি সামান্য জানাশোনার যোগসূত্র বলতে এই সচলায়তন আর ফেবু-ই। আসলে তারেক অণুর মত টো টো করার ইচ্ছা কমবেশি আমাদের সবারই থাকে। কিন্তু সামর্থ্য, সুযোগ আর পারিপার্শ্বিক চাপে তা হয়ে ওঠে খুব সামান্যই। ঠিক এই কারণেই সবাই ‘তারেক অণু’ হতে পারে না। তারেক অণুর ঘোরাঘুরি আর লেখা আমার সেই হারিয়ে যেতে বসা ইচ্ছাগুলোকেই নতুন করে উস্কে দিয়েছে দিনের পর দিন একটু একটু করে।
মন্তব্য
লেখা চলুক, চলুক ঘোরা ঘুরি।
বর্ণনা প্রথম দিকে একটু বেশী হয়ে গেছে, পরের বার মেদ ঝেড়ে ফেলেন,
লেখার শেষে নিজের নাম দেখে একটু , বুঝেইন তো
facebook
প্রথমেই আপনার মন্তব্য পেয়ে আসলেই টাশকি খাইলাম!
লেখায় মেদ আসলেই বেশি হয়েছে, পরেরবার ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা করব। অনেক ধন্যবাদ।
কিন্তু আখাউড়ায় তোলা ছবিটা কই?
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
ছবিটা ফ্লিকারে আপ করে তারপর এখানে এম্বেড করেছিলাম, তবুও তো আসল না! মডুরা কেউ একটু দেখবেন কি?
যাত্রা কাহিনী চাপা পড়ুক পাহারের সেই দুঃসাহসিক অভিযান কাহিনীতে!
অতি দ্রুত মোদকে পৌঁছুতে চাই!
আসবে!
আমার খারাপ লাগেনি আপনার শুরুটা। অনুর কথামত যদি মেদ ঝরান তবে অনেকেই 'তারেক অনুর মতো' গন্ধ পাবে।
লিজেন্ড এর কাছ থেকে টিপ্স নিতে বাধা নেই। তবে তাঁর কথা শুনতেই হবে এমন কথা অনু আপনাকে বলেনি।
মনে হচ্ছিলো আপনি ট্রেন মিস করে সায়েদাবাদ দৌড়ুবেন বাস ধরার জন্য। তা হয়নি জ্যামের ধর্মের কারণে।
তবে বিজয় সরণী থেকে ট্রেন ধরতে কমলাপুর যাওয়ার চেয়ে এয়ারপোর্ট ষ্টেশন চলে যাওয়া সুবিধার হতো। স্কুটার না পেলে মটরবাইক এর কাছে লিফট্ চেয়ে নিতেন!
অপেক্ষায় থাকলাম, পরের পর্বের।
ভালো থাকবেন মিলু, শুভকামনা।
-----------------------------
কামরুজ্জামান পলাশ
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ, পলাশ ভাই! পরেরটায় চেষ্টা থাকবে গুছিয়ে লেখার।
কীভাবে যে কমলাপুর পৌঁছেছিলাম, এখনও অবাক লাগে! আর আসলে টিকেটটা আরেকজনের কাছ থেকে নেবার জন্য কমলাপুর যেতেই হয়েছিল আমার বন্ধু আনাসকে, অন্য উপায় তাই ছিল না।
ভালৈছে।
ধইন্যা
অনেক ভাল লাগল, চলুক
-------------------
ঈমান নূর
অনেক ধইন্যা আপনাকে।
এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেললাম! পরের পর্বের সাগ্রহ অপেক্ষায় আছি!
গান্ধর্বী
ধন্যবাদ, গান্ধর্বী।
লেখা অতি উত্তুম হইছে! লেখতে লেখতেই চউদা আর ঘুর্তে ঘুর্তে তার্কানু! বাকি দিনগুলাও তাড়াতাড়ি পড়তে চাই।
আপনারেও অতি উত্তম জাতের ধইন্যা
এক তারেকাণুর জ্বালায়ই বাঁচিনা... এখন দেখি অণু ভাইঙ্গা পরমাণু, পরমাণু ভাইঙ্গা কোয়ার্ক, কোয়ার্ক ভাইঙ্গা স্ট্রিং হইতে আছে তো হইতেই আছে...
আমরার আর কি করনের আছে? আপাতত বাজাই
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
দেখলেন তো আপনারেও এইখানে ক্যাম্নে কোয়ান্টামের কিছু থিওরি ঝাড়ার মওকা দিয়া দিলাম!
চান্সে কইয়া রাখি, আপ্নের লেখার কিন্তু আমি মনযোগী পাঠক, মন্তব্য করি বা না করি।
ভালো থাকবেন।
প্রারম্ভিক আলোচনাতেই গল্পের প্রথম পার্ট শেষ? মেদ কমানোর পাশাপাশি আত্নকথনটা বেশি হয়ে গেছে, আগামি পর্বে আশা করি সেটা মাথায় রাখবেন। একটা আকর্ষন আপনি রেখে দিয়েছেন সেটা পড়ার আকাঙ্খা থেকেই যাবে পাঠকদের। প্রথম লেখায় অভিনন্দন, আশা করি পরের লেখায় সব কাটিয়ে উঠবেন।
মাসুদ সজীব
মাসুদ ভাই, আত্মকথনের ব্যাপারে আপনার কথাটা একদম ঠিক। আসলে নিজের দৃষ্টিকোণ থেকে কিছু লেখা বেশ কঠিন, আর তার ওপরে আমার আবার লেখার অভ্যেস নেই। পরের লেখায় এসব মাথায় থাকবে অবশ্যই।
অনেক ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন।
আমি ভালই উপভোগ করেছি। থামাটাও বেশ জায়গামতনই হয়েছে। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
উৎসাহ দেবার জন্য অনেক ধন্যবাদ, এক লহমা!
পরের পর্ব কবে আসবে জানি না, চেষ্টা করব তাড়াতাড়ি দেবার।
বেশ টান টান উত্তেজনা ছড়িয়ে দিলেন। আমরা হোস্টেলের কয়েক বান্ধবী মিলে একবার সিলেট ট্যুর দেয়ার সময় পারাবত ছেড়েই দিয়েছিলো, ৯টা মেয়ে ব্যাগ,লাগেজ নিয়ে দৌড়াচ্ছি, আর একজন জোরে চিল্লাচ্ছে ঐ পারাবত থামেন,থামেন।একটু দূরে গিয়ে অবশ্য থেমেছিল, পরে এয়ারপোর্ট স্টেশনে বগি পরিবর্তন করে নিয়েছিলাম।আপনার লেখাটা পড়ে সেই দিনের কথা মনে পড়ে গেলো।
পড়তে গিয়ে কল্পনা করে হাসি পেল খুব!
অনেক ধন্যবাদ।
পারাবত দেখি কথা শুনছে!!!!
হেব্বি তো!!!
ফ্রেশ ধইন্যা
লেখা চলুক, চলতে চলতে চাল্লু হয়ে যাবেন ইনশাল্লাহ!
আখাউড়ার ছবিটা এখানে দেয়ার চেষ্টা করলাম, দেখা যাক।
উৎসাহের জন্য অনেক ধন্যবাদ, ভাই।
ছবিটা তবুও আসছে না। সমস্যাটা বের করা দরকার, কেউ একটু সাহায্য করবেন কি?
মেদ বাদে চেহারা খ্যাংরাকাঠির মত হোক অন্তত আমি চাইনা, আরও মেদবহুল হোক, জয় মেদ এর জয়...............
কি বিপদ! কোনদিকে যাই, ভাই!
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
টানটান উত্তেজনায় ভরা ইংরেজী ধারাবাহিকগুলো আছে না? শেষ করেছেন অনেকটা সেভাবে। যাত্রাশুরুর কথাটা আমার কাছে কিন্তু খারাপ লাগে নি! বেশ একটা উপন্যাস উপন্যাস ভাব নিয়েছে লেখাটা এই কারণে।
ছবি দেখতে পাচ্ছি না এখনো।
লিখতে থাকুন। সবাই তারেক অণু না, আবার সবাই মিলুও না। সুতরাং মিলু মিলুর মত লিখুক।
____________________________
অসংখ্য ধন্যবাদ প্রফেসর সাহেব। আপনার ভালো লেগেছে জেনে সত্যি খুব ভালো লাগল।
লিখতেই লিখতেই নিজের মনের মতো মানে পৌছে যাবেন আশা করি, লেখা চলুক।
শব্দ পথিক
নভেম্বর ১১, ২০১৩
অনেক অনেক ধন্যবাদ। চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি লেখার।
নতুন মন্তব্য করুন