• Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_clear_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_electoral_list_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_results_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_writeins_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).

একটা মিউজিক ইসস্টিটিউট হতে পারতো! সঙ্গীতের একটা আর্কাইভ হতে পারতো! বাংলা সঙ্গীতের একটা রিসার্চ সেন্টার হতে পারতো! - কিছুই হয়নি!!

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৫/১২/২০১৩ - ১০:৪৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

একটু আগে এক বন্ধুবরের কমেন্টে জানতে পারলাম শাফিন আহমেদ পারমানেন্টলি ইউ.এস.এ-তে শিফট্‌ করেছেন। তথ্যটি যাচাই করার সুযোগ পাইনি বা যাচাই করিনি। সত্য হতে পারেও আবার মিথ্যেও হতে পারে। যদি সত্যি হয়ে থাকে তাহলে ব্যাপারটা আমাদের জন্য দুঃখজনক ও লজ্জার!

কয়েকযুগ ধরে তিলে তিলে গড়া সঙ্গীতাঙ্গনে অনেকেরই হয়ত চাওয়া পাওয়া ফুরিয়ে গিয়েছে। এটা আমাদের জন্য লজ্জার এবং হতাশার। উনাদের জন্য যে স্থান তৈরী থাকার কথা ছিল তাতো নেই-ই বরং উলটো অনেকেরই স্ট্যাটাস নিয়ে টিকে থাকাটাই কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা আমাদের গুণী শিল্পীদের মূল্যায়ন করতে পারিনি।

আমাদের মিডিয়া-ই আমাদের শত্রু। সবচেয়ে বড় কালপ্রিট। তারা পড়শীকে সুপারস্টার বানায়। আরেফিন রুমী - হৃদয় খানের মত হাবিজাবি শিল্পীকে মিড়িয়ার ভাড়াটে শিল্পী বানিয়ে চারিদিক সয়লাব করে তুলে! উপস্থাপনা করে কিছু গন্ডমূর্খের দল। যাদের মিউজিক সেন্সতো দূরের কথা, অনেক ক্ষেত্রে কাকে কিভাবে ট্রিট করতে হয়, কার সাথে কিভাবে কথা বলতে হয় তা-ই জানেনা।

আর আমাদের গুণী- শিল্পীদের জন্যও ধিক্কার। নিজের মনের বিরুদ্ধে, নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জেনেও বিচারকের আসীনে বসে থেকে ট্যালেন্ট হান্ট করে আমরা কী বের করতে পেরেছি? ভাইকিংস-কে পেয়েছিলাম হারিয়ে গেলো। সপ্তক পেয়েছিলাম, হারিয়ে গেলো। সাবকনসাস পেয়েছিলাম, হারিয়ে গেলো। পূর্ব পশ্চিমের মত ব্যান্ড পেয়েছিলাম, তাও হারিয়ে গেলো। আতাহার টিটো, সানবীম, আরিফ সবাই হারিয়ে গেলো . . . কেন গেল?

ক্লোজআপ-ওয়ান ---- গাও বাংলাদেশ গাও। নোলক, বিউটির মত ক্ষ্যাত-মেরিটলেস পাবলিকদের ধরে এনে জোড় করে শিল্পী বানালাম। সালমাকে শিল্পী বানালাম। ইভা রহমান হয়ে উঠেন বিখ্যাত গায়িকা। এবি দ্যা বস --- ইভা রহমানের অ্যালবাম করেন! কী আজব এই দেশ! কী হাস্যকর এদের কান্ডকারখানা!

রিক্সা চালক আকবর এখানে শিল্পী হয়ে যায়। পড়শী এখানে বিখ্যাত গায়িকা হয়ে উঠে। ক্ষুদে গানরাজ প্রতিযোগীতার আড়ালে চলে ব্যবসার ধান্ধা। তিন চাকা নাকি দশ চাকার পরিশ্রমী মানুষগুলোকেও আমরা জোর করে শিল্পী বানাই।

গায়িকা কণা কয়েক লক্ষ টাকায় মিউজিক ভিডিও বানায়। কিভাবে যেন একদিন একটা মিউজিক ভিডিও আমার সামনে এসে পড়ে। লক্ষ টাকার ভিডিও বলেই দেখার স্বাদ হলো। হায় হায় . . . শারীরিক কী এক অঙ্গভঙ্গি! কাদের জন্য এই মিউজিক ভিডিও? কোন শ্রেণীর দর্শকদের জন্য বানানো হয়েছে এই ভিডিও আমার খুব জানতে ইচ্ছে হয়।

কিছু দিন আগে 'বাংলাদেশী আইডল'-এর একটা ইপিসোডের একটা অংশ দেখলাম। অনন্ত জলিল ও বর্ষাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। অনন্ত ভাই গীটার হাতে নিয়ে যা দেখালো, তাতে মনে হলো এমন টাইপের বাংলাদেশী আইডলই খোজা হচ্ছে! বিচারক সারিতে এবি দ্যা বস, ফেরদোসী রহমান, এন্ড্রু কিশোর। আর এদের পাশে শিল্পী মেহরীন(!!!) বিচারকের আসনে সমাসীন! এবি দ্যা বস অনন্ত জলিলের নাচা, গীটার বাদ্য বাজনা ও ফ্রী নাচ দেখতে দেখতে বিরক্ত মুখে বসে আছেন দেখে মায়া লাগলো। কিছুই বলার নেই।

অনন্ত গাইলেন 'হোয়াট এজ লাভ, হোয়াট ইজ লাভ' . . . .! উপস্থাপিকা এসে হাততালি দিলেন। উপস্থিত বিচারক মণ্ডলীরাও হাত তালি হাত তালি বাউন্ডারি বাউন্ডারি আর ছক্কা ছক্কা বলে বাহবা দিলেন। রুচিবোধ, সৃজনশীলতা, নান্দনিকতা, মেধা ও মননশীলতা বলে কিছু ব্যাপার আছে। শিল্পের মাঝেই এই শব্দগুলোর গূঢ়ার্থ কিংবা মহাত্ত্ব খুঁজে পাওয়া যায়। উপলব্ধি করা যায়। এখন আমরা শুধু শিল্পীর তোষামুদি করি - - - আর ঐ দিকে অবহেলায় পড়ে থাকে শিল্পীর প্রাণ বা শিল্প।

কিসের পেছনে ছুটছি আমরা? দীর্ঘ ৪০ বছর পরেও কী আমরা আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গীত বাংলাদেশ থেকে সৃষ্টি করতে পারছি? এটা সত্য যে, এখন না পারলেও অতীতে পেরেছি। বিশ্ব সঙ্গীতের ছায়া আমি দেখেছি এই বাংলার ব্যান্ড সঙ্গীতে। সেও এখন এক অতিত। আমাদের জ্বালাময়ী স্মৃতি! স্মৃতির দেয়াল!

এবি, ফোয়াদ নাসের বাবু, মাকসুদুল হক, লাবু রহমান, নকীব খান, লাকী আখন্দ, আশিকুজ্জামান টুলু, লতিফুল ইসলাম শিবলী, পিয়ারু খান, পিলু খান, হামিন আহমেদ, শাফিন আহমেদ, মানাম আহমেদ, প্রিন্স মাহমুদ, তরুণ মুন্সী, আসিফ ইকবাল, কাওসার আহমেদ চৌধুরী, কমল, টিপু, চন্দন, পার্থ বড়ুয়া, শহিদ মাহমুদ জঙ্গি (সহ নতুন, পুরাতন আরো অনেকেই যাদের নাম এই মুহুর্তে মনে পড়ছেনা) ---- উনাদের মত জ্ঞানীগুণী মিউজিশিয়ান থাকতেও আমাদের সঙ্গীতাঙ্গন আজ অস্থিরতায় ভুগছে।

কিন্তু প্রশ্ন হলো কেন?

কেন! এই প্রশ্নের উত্তর আমার মত নাদান মানুষের কাছ থেকে এলে সেটা গ্রহণযোগ্যতা পাবেনা। শুধু বলি, আপনাদেরকে সংঘবদ্ধ ভাবে নতুন প্রজন্মের জন্য চিন্তা করতে হবে। নতুন প্রজন্মের মাঝেই আপনারা আলোকিত হবেন স্ব-স্ব-মহিমায়! আলোকিত একটি অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি হয়েছিল আরেকটি আলোকিত অধ্যায়ের জন্যই।

আমরা সেই আলোকিত অধ্যায়ের জন্যই অপেক্ষায় আছি। অপেক্ষায় ছিলাম . . . অপেক্ষায় থাকবো! কিন্তু কথা হলো, আর কতদিন সেই আলোর জন্য অপেক্ষা করতে হবে?

আধুনিক কিংবা বিকল্পধারার ভারতীয় সঙ্গীত আমাদের দেশের তরুণ প্রজন্মের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এই খবর বোধকরি আপনারা রাখেন না। আপনারা বিশ্বাস করেন আর না-ই করেন, বাংলাদেশি নতুন শ্রোতাদের একটি অংশ এখন আপনাদের গান রেখে কলকাতার সুমন, অঞ্জন, নচিকেতার অনুজ ফসিলস্‌ কিংবা রুপম, মাহীনের ঘোড়াগুলি, অনুপম রায় সহ বেশ কিছু মিউজিশিয়ানদের খোঁজ নিয়মিত রাখেন, যেখানে আপনাদের স্থান থাকার কথা ছিল সেই জায়গাটুকু দখল করে নিচ্ছে কলকাতা। কারণটাও স্পষ্ট, কলকাতার চলচ্চিত্রে কিংবা অ্যালবামে যে ধারার গান হয়, কথা ও সুরে বিষয়ভিত্তিক যে বৈচিত্র্যতা খুঁজে পাওয়া যায় তা বোধকরি সহজেই ভালো লাগার মত।

গত পাচ-ছ' বছরের একটা খসড়া করা যেতে পারে। এল.আর.বি - - - ২০০৫ এর পরে গত আট বছরে এল.আর.বি-র প্রকাশ করেছে স্পর্শ ও যুদ্ধ নামে দুটি অ্যালবাম। অতীতের অ্যালবামগুলোর মত এই অ্যালবামগুলো হৃদয়ে দাগ কেটে যেতে পারেনি খুব একটা। মাইলস - - - সর্বশেষ অ্যালবাম বের করেছিল ২০০৬ সালে। এরপর প্রতিচ্ছবি নামে একটি অ্যালবাম তৈরী করে রাখলেও তা সিডি আকারে আজও আলোর মুখ দেখেনি। রেনেসা - - - ২০০৪ সালে প্রকাশ করেছিল ব্যান্ডের চতুর্থ অ্যালবাম 'একুশ শতকে রেনেসাঁ'। দীর্ঘ প্রায় এক যুগ হতে চললো - - - কোন অ্যালবাম নেই ব্যান্ডটির। ফিডব্যাক - - - ০২ এর পরেও এই ব্যান্ডের কোন অ্যালবাম এসেছে কিনা আমার জানা নেই। মাকসুদ ও ঢাকা - - - ১৯৯৯ প্রকাশ পেয়েছিল এই ব্যান্ডটির লাস্ট অ্যালবাম, ফার্স্ট এভার জ্যাজ-রক-ফিউশন ইন বাংলাদেশ। অনেক প্রত্যাশা ও সম্ভবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছিল এই অ্যালবামের মধ্য দিয়ে। হায় . . . মাকসুদ ও ঢাকা ১ যুগেরও বেশী সময় ধরে অনুপস্থিত। শুধু সোলস্‌ আর ওয়ারফেজই - - - নিয়মিতই অ্যালবাম প্রকাশ করে যাচ্ছে।

ওয়ারফেজ --- পথ চলা (সেলেকটেড সং) এর পর মৌলিক অ্যালবাম 'সত্য' নামে অ্যালবাম প্রকাশ করে। যদিও আমি শুনে দেখিনি অ্যালবামটি আজও। লোকমুখে দুই রকমের কথাই শুনতে পেয়েছি ওয়ারফেইজের ভক্তদের কাছে। কারও ভালো লেগেছে, কারও লাগেনি। যা ওয়ারফেজেই অতীতের অ্যালবাম সম্পর্কে এমন মন্তব্য খুব একটা ছিল না।

চাইম --- নেই! হারিয়ে গেছে! ২০০২ সালের দিকে আশিকুর রহমান সান্টুকে নিয়ে 'জন্ম' নামে একটি অ্যালবাম প্রকাশ করেছিল। তারপর প্রথম অ্যালবামের কিছু গান সাথে আরও কিছু মৌলিক গান নিয়ে বের করে কীর্তনখোলা, তাও প্রায় এক যুগের কাছাকাছি। অবস্‌কিওর --- নিয়মিতই অ্যালবাম করছে। তবে 'ফেরা' অ্যালবামের মধ্য দিয়ে সত্যিকার অর্থেই ফিরেছেন। এর আগের অ্যালবাম 'অপেক্ষায় থেকো' --- অবস্‌কিওর নামের সাথে যায় নি খুব একটা। উইনিং ---- আমরা যে এই ব্যান্ডের নাম আজও ভুলে যাইনি এ-ই আমাদের সৌভাগ্য। আর্ক - - - হাসান আর পঞ্চম ছেড়ে চলে যাবার পর ২০০২/২০০৩ সালের দিকে মুন নামের এক শিল্পীকে নিয়ে আশিকুজ্জামান টুলু বের করেন 'হারানো মাঝি'। সত্যি বলতে কী এটা দারুণ একটা অ্যালবাম। তবে কোনো মানদন্ডেই আর্কের সাথে যায় না। কোন ভাবেই নয়। ফিলিংস হারিয়ে গেছে ১৯৯৯-এ। রয়ে গেল নগর বাউল আর জেমস! বলার মত কিছুই নেই নগর বাউলের! দুষ্টু ছেলের দল! নাম মাত্র একটা অ্যালবাম। আর জেমস্‌ --- দেশে এখন পোষায় না!!!

নোভা - - - রাজাকারের তালিকা চাই, আহ্বান, স্কুল পলাতক মেয়ে, ভাইসো অ্যালবামগুলো যাদের হাতে তৈরী তারাও নেই। প্রমিথিউস --- দুর্দান্ত এই ব্যান্ডটি দুষ্টু রাখালের মতই দুষ্টুমি করে সঙ্গীতাঙ্গনকে কুলষিত করেছে। মেইনস্ট্রীম ব্যান্ডের অনেকের কথাই আর তুলে আনলাম না আলাদা করে। দীর্ঘ ১ যুগের চিত্র এটি! কী ভয়ানক একটি ব্যাপার। আর ব্যান্ড মিক্সড অ্যালবাম - - - সেতো এন্ডেমিক শব্দের মতই লাগে।

লাকী আখন্দ নেই, কাওসার আহমেদ চৌধুরী নেই, . . . না! উনারা হারিয়ে যাননি। আপনার আমার শহরেই নিভৃতে পড়ে আছেন। খোঁজ নেবার কেউ নেই।

একটা মিউজিক ইসস্টিটিউট হতে পারতো সরকারী কিংবা বেসরকারী অর্থায়নে। এবি, ফোয়াদ নাসের বাবু, মাকসুদুল হক, লাবু রহমান, নকীব খান, লাকী আখন্দ, আশিকুজ্জামান টুলু, লতিফুল ইসলাম শিবলী, পিয়ারু খান, পিলু খান, হামিন আহমেদ, শাফিন আহমেদ, মানাম আহমেদ, প্রিন্স মাহমুদ, তরুণ মুন্সী, আসিফ ইকবাল, কাওসার আহমেদ চৌধুরী, কমল, টিপু, চন্দন, পার্থ বড়ুয়া, শহিদ মাহমুদ জঙ্গি - সহ আরও অনেক জ্ঞানী গুণী শিল্পীদের দিয়ে মিউজিকে প্রাতিষ্ঠানিক তালিম দেবার ব্যবস্থা হতে পারতো। সঙ্গীতের একটা আর্কাইভ হতে পারতো। বাংলা সঙ্গীতের একটা রিসার্চ সেন্টার হতে পারতো।

কিছুই হয়নি। দেশটা চোর বাটপারে ছেয়ে গেছে। এটাই আমাদের প্রাপ্তি!

বি.দ্রঃ বেশ কয়েকমাস আগে লিখেছিলাম। ফেসবুকে স্ট্যাটাসের মাধ্যমে শেয়ার করেছিলাম চারপাশের মানুষগুলোর সাথে। সচলায়তন আমার প্রিয়ব্লগ। ভাবলাম প্রিয় মানুষগুলোর সাথে আমার ভাবনাগুলো শেয়ার করি। সচলায়ত কর্তৃপক্ষ যদি মনে করেন লেখাটি প্রকাশ হতে পারে তবে কৃতজ্ঞতা জানবেন।

----------------------------
মোখলেছুর রহমান সজল


মন্তব্য

সত্যপীর এর ছবি

রিক্সা চালক আকবর এখানে শিল্পী হয়ে যায়।

অসুবিধা কী?

..................................................................
#Banshibir.

মোখলেছুর রহমান সজল  এর ছবি

শিল্প শিল্পই। সে কোন প্রফেশন থেকে এসেছে সেটা বড় নয়। রিক্সাচলক বলে আমি অবজ্ঞা করিনি। কথা হলো শিল্প হচ্ছে কিনা?

সত্যপীর এর ছবি

১। রিক্সা চালক কথাটা উল্লেখ করার মানে কি তাহলে?

২.১। শিল্প আপনি বিচার করছেন কিসের মানদণ্ডে? বিশদ খুলে বলুন।

২.২। শিল্পগুণ বিচারে আপনার যোগ্যতা কী?

..................................................................
#Banshibir.

মোখলেছুর রহমান সজল  এর ছবি

১। রিক্সাচালক আকবর শিল্পী হবার পেছনে মিডিয়াই দায়ী। হানিফ সংকেত ইত্যাদিতে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন এই আকবরকে। না, এরপর আকবর তালিম দেয়ার কোন তোয়াক্কা না করেই প্রথম অ্যালবাম 'একদিন পাখি উড়ে' প্রকাশ করে। এবং প্রথম অ্যালবাম প্রকাশের মাস তিনেকের মধ্যেই প্রকাশ পায় দ্বিতীয় সলো 'হাত পাখার বাতাসে'। মিডিয়া তাকে নিয়ে খেলেছে মাত্র। মিডিয়া চেয়েছে রিক্সাচালক আকবর শিল্পী হবে, হয়েছে।

২.১। মানদণ্ডের প্রশ্নে গেলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই একমত হওয়াটা কঠিন। সঞ্জীবদা যখন গায় 'আমি তোমাকেই বলে দেব কি যে একা দীর্ঘ রাত, আমি হেঁটে গেছি বিরান পথে!' তখন যে অনুভূতি হয়। গানের কথামালায় যে মুগ্ধতা তৈরী হয়, সঙ্গীতের উপস্থাপনে যে দাগের সৃষ্টি হয়, কণ্ঠের মাদকতায় যে ঘোরের তৈরী হয় সেটা উপলব্ধি করা যায়। ঠিক একই ভাবে যখন কোন শিল্পী গায় 'এক আকাশের তারা তুই একা গুনিসনে, গুনতে দিস তুই কিছু মোরে' তখন এই দুই গানের যে ভিন্ন অনুভূতি থাকে থেকে মানদণ্ড ঠিক করা না গেলেও ভালো মন্দতো বুঝা যায়।

২.২। শিল্পগুণ বিচারে আমি আমার যোগ্যতা প্রমাণে আসিনি। আমি নিয়মিত গান শুনি। প্রচুর শুনি। গানের লিরিকের গভীরতা উপলব্ধির চেষ্টা করি। সুরের বৈচিত্রতা ও সঙ্গীত এবং কণ্ঠের উপস্থাপনে দর্শন খুঁজে ফিরি। এটা আমার কোন যোগ্যতা না।

সত্যপীর এর ছবি

শেষ লাইন ঠিক আছে।

..................................................................
#Banshibir.

pritorius এর ছবি

রিকশাওয়ালা গান গাইলে কোন অসুবিধা নাই। একজন শিল্পী তার দায়ব্দ্ধতা পূরণ না করলে সময়ই তাকে ডাস্টবিন এ ফেলে দিবে, আর যদি পূরণ হ্য় তাহলে সে টিকে থাকবে ( যেকারনে আজ প্রায় ৬০ বছর পরও পথের পাঁচালি মানুষজন ভালোবাসা নিয়ে দেখে )। কিন্তু অরুচিকর গানের ধাক্কায় ভালো শিল্পীরা যদি হারিয়ে যেতে শুরু করেছে বলে কেউ মনে করে তাহলে সেটা প্রকাশে বাধা কি?

-মেফিস্টো

ফাহিম হাসান এর ছবি

নোলক, বিউটির মত ক্ষ্যাত-মেরিটলেস পাবলিকদের ধরে এনে জোড় করে শিল্পী বানালাম।

রিক্সা চালক আকবর এখানে শিল্পী হয়ে যায়।

:O :O :O

অতিথি লেখক এর ছবি

বাংলাদেশে অনেক ভালো ভালো মিউজিসিয়ান আছেন, কিন্তু সস্তা রেকর্ড কোম্পানী আর পাইরেটেড সিডির কারনে মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি দাঁড়াতে পারছে না।

পথের দাবি

মন মাঝি এর ছবি

(N)

****************************************

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার লেখা পড়ে দীর্ঘ একখান কমেন্ট করে বসলাম, আসলে আমরা যারা বাংলাগানের স্বর্নযুগের সময়টাতে বেড়ে উঠেছি তারা এমন বিষয় নিয়ে লেখতে গেলে সেটা অনেক বড় হয়ে যায়। কত স্মৃতি মিশে আছে সেই নামগুলোর সাথে।

যেদেশে চানাচুর মার্কা উপন্যাসিক এর বই বিক্রি হয় মুড়ির মতো, সেখানে যন্ত্রগায়ক দের ও জয়উৎসব চলবে সেটাই স্বাভাবিক। তবে আরেকটা বিষয় আছে যেটাকে আমার সবসময় সত্য মনে হয়, সবকিছুকে বর্তমানে দাঁড়িয়ে বোধহয় বিচার করা যায়না। বিশেষ করে সংগীত আর সাহিত্য। যেমন কে জানত ৯০ এর দশকের ব্যান্ডের গানগুলো এখন এসে এত বাস্তব আর ভালোলাগায় ভরে থাকবে? তবে আমাদের সংগীত এখন তার ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে এটা বলা যায়। প্রশ্ন হলো কখন থেকে এই অধঃপতনের পথে আমাদের যাত্রা শুরু হলো। আমার মনে হয় ২০০১ -০২ এর পর থেকে বাংলা গানের মান পড়া শুরু হয়েছে। বিশেষ করে যখন থেকে রিমিক্স গান আর রিয়েলিটি শোর নামে সংগীত শিল্পী খোঁজার নোংরা ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতা শুরু হলো। মনে হলো শিল্পী উৎপাদনযোগ্য একটি খামার, অর্থ লগ্নি করলেই শিল্পী পাওয়া যাবে হাটে মাঠে। সবাই নামলো সেই ব্যবসায়, শুরু হলো নষ্টামির পথে পথচলা। কাকে দোষ দিবেন, যারা সংগীতের কিংবদন্তী তারাইতো সেই নষ্টামির মিছিলে যোগ দিয়ে সেটাকে ত্বরানিত করেছিলো।

২০০০ সালের পর থেকে ব্যান্ড থেকে সলো কাজ বেড়ে গেল, সবাই এককে ক্যারিয়ার নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লো। এলআরবি, মাইলস, সোলস, রেনেঁসা, ওয়ারফেজ, নোভা, ডিফারেন্টটাচ, ফিলিংস, ফিডব্যাক, আর্ক, অবসকিউর, দলছুট, দিন দিন আড়ালে চলে যেতে থাকলো যখন দল থেকে ব্যাক্তি বড় হতে শুরু করলো। শুরু হলো হাবিব আর বালামের যন্ত্রগায়ক হয়ে ওঠা, তাদেরি দেখানো পথ ধরে চলতে শুরু করলো আরেফিন রুমী, হৃদয়খান, আরো কতো গন্ডমুর্খ। সংগীতের পরিবার, শিক্ষা, পরিবেশ এই তিনটাই খুব গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আমরা সেটা ভুলে গিয়েছিলাম তাই পড়শী, নোলক, সালমারা বড় শিল্পী হয়ে যায় লাকী আখন্দ, সামনিা, ফাহমিদা, সাবিনা রা থাকতে।তাদের পরিবার, শিক্ষার সাথে এদেরকে তুলনা করলেই পার্থক্য টা বুঝা যায়। কিন্তু সেই সামিনা ফাহমিদারাই এই নষ্টের মিছিলে যোগ দিয়েছিলো। টাকার কাছে বোধহয় এইখানে সবি বিক্রি হয়ে যায়।

তাই এখন বসে বসে পুরানো গান ই শুনা হয় বেশি, বালাম-হৃদয়খানের গান কোনদিন শুনতে ইচ্ছে হয়নি, ওগুলো শুনার চেয়ে ৯০ এর দশকের চির আধুনিক গানগুলোই বেশি শুনছি এখন। মাঝে মাঝে মনে হয় কেন প্রিন্স মাহমুদ আর জুয়েলবাবুর মতো কেউ নেই এখন যারা একের পর এক ভালোলাগা অ্যালবাম দিয়ে যাবে অমাদের। কেন ব্যান্ড গানে উঠে আসছে না সমসাময়িক রাজনীতি, মৌলবাদ এর কথা। অথচ নোভার রাজাকারের তালিকা চাই, মাকসুদের গনতন্ত্র, আবারো যুদ্ধে যেতে হবে, প্রমিথিউস এর কৃষকের দাবি, ডিফারেন্ট টাচের হাল জমনার রাজনীতি গানগুলো শুনে আমরা বড় হয়েছি, আমাদের ভিতর প্রতিবাদ কে জাগিয়ে তুলেছিলো। তখনকার প্রেমের গানেও কাব্যের ছোঁয়া ছিলো, যেমন শ্রাবনের মেঘগুলো, দূর পাহাড়ের ধারে, যেখানে সীমান্ত তোমার, মন শুধু মন ছুঁয়েছে প্রভৃতি। কিন্তু এখন তেমন গান নেই, এখন চলছে তোমায় ছেড়ে যাবো কতদূরে কিংবা এরচেয়ে বেশি ভালোবাস যায়না মার্কা লুতুরপুতুর মার্কা কথার গান।

মাসুদ সজীব

মোখলেছুর রহমান সজল  এর ছবি

ধন্যবাদ আপনার চমৎকার মন্তব্যের জন্য।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

বক্তব্য বোঝা গেল না কিছুই, কার ওপর রাগ ঝেড়েছেন, কেন ঝেড়েছেন সেটাও ঠিক ধরতে পারলাম না।

আর কলকাতার গান শুনলে সমস্যা কোথায়?

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

মোখলেছুর রহমান সজল  এর ছবি

বাংলাদেশের সঙ্গীতাঙ্গনের বর্তমান অবস্থার দিকে তাকালেই বক্তব্যটা স্পষ্ট হয়ে যেত।

না, কলকাতার গান শুনলে কোন সমস্যা নেই। শিল্পী সাহিত্যের কোন নির্দিষ্ট সীমানা নেই। যদি কেউ দাবি করে বলে যে 'আপনারা কলকাতার (কিংবা বিদেশী) গান শুনতে পারবেন না তবে তার মানসিক সমস্যা আছে ধরেই নিতে হবে'।

আগেও মানুষ কলকাতার গান শুনেছে, এখনও শুনছে। এদেশের শ্রোতারা শুধু কলকাতা কেন, বিশ্বসঙ্গীতের সাথে আষ্টেপৃষ্টেই জড়িয়ে আছে, ছিল এবং থাকবে। পার্থক্য শুধু এখন বাংলাদেশের গানের চেয়ে কলকাতার গানের প্রতি শ্রোতাদের মুগ্ধতা বেশ লক্ষনীয়।

এক যুগ আগেও তরুণ শ্রোতারা বাংলা ব্যান্ড মিউজিকে বিভোর থাকতো। দুর্দান্ত সব সঙ্গীত দৃষ্টি হয়েছিল সে সময়। ছিল চমৎকার গানের ছড়াছড়ি। কিন্তু সেই সুদিন আজ নেই। হাতে গোনা কিছু অ্যালবাম তৈরী হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়।

কলকাতায় এখন যে ধরণের গান সৃষ্টি হয় এবং গানের কথা ও সুরের যে নান্দনিক উপস্থাপন তা সহজেই ভালো লাগার মত। আর আমাদের দেশের অনাসৃষ্টির যে আকাল শুরু হয়েছে তাতে আমরা পিছিয়েই পড়ছি দিনকে দিন। লিজেন্ডরা আছে বলেই আজও বগল বাজাতে পারছি। কিছুদিন পরেই বাঙালি টের পেতে শুরু করবে, আমরা কী করলাম, কী হারালাম!

অতিথি লেখক এর ছবি

(Y)
সহমত।

শিশিরকণা এর ছবি

গান বিষয়ে কোন জ্ঞান নাই, শুনতে ভাল লাগে কি না, বার বার শুনতে ইচ্ছা করে কি না এই ভাবেই বিচার করি। ট্যালেন্ট হান্ট অনুষ্ঠান গুলোতে অনেক ভালো শিল্পীর দেখা মিলে, কিন্তু সাধারণত কোন এলাকার শিল্পী ভোট প্রচারনা চালানোর ক্ষমতা কেমন তার উপর নির্ভর করে সহানুভূতির বিচারে বিজয়ী নির্ণয় হয়, আর ভালো রা আগেই ঝরে পড়ে।
ক্লোজ আপ থেকে ভালো শিল্পী হিসেবে মাহদী, অপূর্ব, লিজা, সোনিয়া, ঋতুরাজ বিজয়ীদের থেকে প্রতিভাবান শিল্পী।
আর যেটা বিরক্তিকর লাগে, এক ধরনের গান জনপ্রিয় হলেই, লাইন লেগে যায়, সবাই ঠিক সেই ধাঁচের শত শত অ্যালবাম আসতে থাকে অনেকেওটা হুজুগে মেতে। নিজস্বতার চর্চা খুব কম।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

মোখলেছুর রহমান সজল  এর ছবি

নিঃসন্দেহে ভালো কিছু শিল্পী এসেছে। এদেরকে এভাবে ধরে না আনলেও কোন না কোনদিন হয়ত তারা নিজ যোগ্যতায় আত্মপ্রকাশ করতো।

ক্লোজ-আপ ওয়ান (২০০৫)-এর সেরা তিন-এ ছিল নোলক, বিউটি ও রাজীব। মাহাদী ছিল ৬/৭ নম্বরে (পারফেক্টলি মনে নেই)। মাহাদী কিংবা মেহরাবের যে মেধা তার ধারে কাছেও প্রথম সারির কেউ নেই। তার মানে কি আমাদের বিচারকরা সঠিক মূল্যায়ন করতে পারেননি? বিচারকরা ও বাংলার দর্শকশ্রোতারা মিলে আবেগ দিয়ে কিছু মেরিটলেস পাবলিকরে ধরে ফার্স্ট সেকেন্ড বানিয়ে দিয়েছে । আসলে সবই ব্যবসা।

pritorius এর ছবি

আমার মনে হয় একজন শিল্পী ভালো শিল্পী কিনা সেটার একটা মাপকাঠি হতে পারে সেই শিল্পী তার শিল্পী জীবনের কতটা ভাগ জুড়ে যা প্রোডিউস (ভাল বাংলা পাচ্ছি না) করেন তা মানুষের কাছে ভাল লাগে কিনা। শুধু পথের পাচাঁলি এর জন্য নিশ্চয়ই সত্যজিত টিকে থাকেন নি। যারা দীর্ঘ সময় ধরে কনসিস্টেন্ট ভাবে ভালো মানের শিল্পের জন্ম দিতে পারেন না তারা টিকবেন না। এখন অবস্থা যদি এমন হ্য় যে কেঊ দুএকটা ভালো গান গাইলেই তাকে নিয়ে নাচানাচি - দুদিন পরে সে শেষ, আরেকজন কে নিয়ে নাচানাচি শুরু হচ্চে, এবং এই ধান্ধায় যারা দীর্ঘ সময় ভালো জিনিষ উপহার দিয়েছেন তাদের কে ভুলতে শুরু করে মানুষ, তখন আমাদের জন্যই খারাপ নয় কি?

অনেক বানান ভুলের জন্য দুঃখিত। আমার অফিসের পিসি তে অভ্র নাই।

-মেফিস্টো

মোখলেছুর রহমান সজল  এর ছবি

ধন্যবাদ মেফিস্টো।
বাংলা সঙ্গীতে আমাদের সামনে ভয়ংকর খরা অপেক্ষা করছে। যদিও আরও অনেক আগেই শুরু হয়ে গেছে। তবুও লিজেন্ডরা যতদিন বেঁচে থাকবেন ততদিন হয়ত আমরা তা উপলব্ধি করতে পারবোনা। তবে করতে হবেই।

আমরাই আমাদের সম্ভাবনাময় সঙ্গীতাঙ্গনকে ধ্বংস করেছি। কিছু কুরুচিপূর্ণ শিল্পীদের লুতুরপুতুর গান এবং কিছু নাচনকুদুন টাইপের শ্রোতারা এতে প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে।

মেঘলা মানুষ এর ছবি

পুরোনো দিনের গানগুলো এখনও খুব মন পড়ে।

মাঝে মাঝে ভাবি, আর্ক না ভাঙলে আরও কত গান পেতাম, মকসুদ যদি ফিডব্যাকেই থাকতো, মাইলস যদি 'প্র' অদ্দাক্ষরে আরও কয়েকটা অ্যালবাম বের করত। ইস!

এখনকার সময়ের মধ্যে আর্টসেল, শিরোনামহীন, সুমন এঁরা ভালো করছেন।
তবে, সলো ক্যারিয়ারের উত্থানে, ব‌্যান্ডের পতণ এখানে না, পুরো বিশ্বেই ঘটে চলেছে।

এখন, আর কেউ ড্রাম শিখে ব্যান্ডে যোগ দেবার স্বপ্ন দেখে না, বরং গান গেয়ে একটা অ্যালবাম বাজারে আনাই সবার লক্ষ্য।

শুভেচ্ছা আপনাকে :)

অতিথি লেখক এর ছবি

সহমত।

মাসুদ সজীব

মোখলেছুর রহমান সজল  এর ছবি

ধন্যবাদ মেঘলা মানুষ।

আমার জানামতে একমাত্র সোলসের পার্থ বড়ুয়া'ই একমাত্র শিল্পী যিনি সলো বের করেননি। মূল ধারার ব্যান্ডগুলোর লীড ভোকালিস্টের প্রায় সবাই সলো প্রকাশ করেছে। যদিও বেশ কিছু দুর্দান্ত সলো আমরা পেয়েছি তবুও এটা পরোক্ষভাবে ব্যান্ড বা সংঘবদ্ধ প্রচেষ্টাকে কিছুটা মৃয়মান করেছে।

আর্টসেল, শিরোনামহীন এরা নতুনদের মাঝেও অনেক পুরোনো। সুমন ভাইয়ের সঙ্গীতের ক্যারিয়ারই মনে হয় ৩০-বছরের মত। ফিলিংস, ওয়ারফেজ, এসেজ সহ আরও অনেক ব্যান্ডের সাথেই সম্পৃক্ত ছিলেন এই শিল্পী।

পৌঢ় পথিক এর ছবি

এককালে ঢাকার বাংলা সিনেমা নিয়ে এরকম অনেক দুঃখগাতা শুনেছি। নির্মাতারা বলতেন ‘যা পাবলিক চায়, তাই দিচ্ছি’। মনে হয় না এখন পাবলিক চায় বলে আবার ভাল ছবি নির্মাণ শুরু হয়েছে। গানের ব্যাপারে তাই হবে। ভাল, পচাঁ আসবে যাবে। সময়ের চিহ্নরে ভাই। শ্রোতারা রাগ করলেই উন্নত শিল্প তৈরী হয় না। সময়ের নিয়মেই পরিবর্তন আসলো বলে। দূঃখ দেখাতে গিয়ে গাঁইয়াদের বা নিম্ন মজুরীর পেশাজীবিদের ঠেলা না দিলেই ভাল। অনেকে বলেন ‘ পৃথিবীতে উন্নত রস তৈরী করেছেন গাঁইয়ারা বা নিম্ন মজুরীর পেশাজীবিরা’। কমেন্ট্গুলো থেকে দেশের গাইয়েদের ইতিহাস জানা গেলো।

নওশীন এর ছবি

:(

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার কি মনে হয়? ভাল গান তৈরি হচ্ছে না, নাকি ভাল গান বাজারে আসছে না? আমাদের লিজেন্ডদের যা করার ছিল সেই দায়িত্ব কি তারা ঠিকঠাক পালন করেছেন?? বা করছেন?
আপনি প্রিন্স মাহমুদের কথা বললেন, আবার ব্যান্ডের ভোকালদের সলো অ্যালবামের ব্যাপারেও আপত্তি করলেন। স্ববিরোধীতা হয়ে গেল না?
নতুন ভাল ব্যান্ড আত্মপ্রকাশ না করার পেছনে মিউজিক ইন্সটিটিউটের চেয়ে আমরা শ্রোতারাই বেশি দায়ী বলে আমার মনে হয়।

অফটপিকঃ 'সহজিয়া' ব্যান্ডের 'রঙমিস্ত্রী' অ্যালবাম টা শুনেছেন কি?? কিছুদিন আগে রিলিজড হয়েছে।

সুবোধ অবোধ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।