২০০১ সালের ০১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করার মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল ধর্মান্ধ-বাংলাস্তানী ‘বিএনপি-জামাত’ জোট সরকার।
ক্ষমতায় এসেই বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ও ভিন্নমতালম্বীদের উপর শুরু হয়েছিল ধর্মান্ধ-বাংলাস্তানীদের সুপরিকল্পিত রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস। বাংলাদেশকে ‘সংখ্যালঘু ও ভিন্নমতালম্বীশূণ্য' রাষ্ট্রে পরিণত করার সব রকম অপচেষ্টা করেছিল ‘একাত্তরের এদেশীয় ঘাতক-দালাল ও তাদের উত্তরসূরী এবং পৃষ্টপোষকদের’ দ্বারা গঠিত ওই সরকার।
২০০১ সালের অক্টোবর থেকে দেশী-বিদেশী সংবাদপত্রে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ও ভিন্নমতালম্বীদের নির্যাতনের ঘটনাগুলো যখন প্রাত্যাহিক বিষয়ে পরিণত হয়েছিল; তখন সরকার বলেছিল, বাংলাদেশের কোথাও সংখ্যালঘু ও ভিন্নমতালম্বীদের নির্যাতনের ঘটনা ঘটেনি, এইসব আওয়ামী প্রপোগান্ডা, ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।
ভারতের গুজরাটে সংখ্যালঘু মুসলমান নিধনের ঘটনাগুলোকে ভারতের মৌলবাদীরা পাকিস্তান ও আইএসআইয়ের অপপ্রচার হিসেবে আখ্যা দিয়েছিল। ঠিক তেমনি, ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে ‘সংখ্যালঘু ও ভিন্নমতালম্বীদের’ নিপীড়িত হবার ঘটনাগুলোকে ভারতের ‘র’-এর অপপ্রচার বলে আখ্যা দিয়েছিল বাংলাস্তানী ‘বিএনপি-জামাত’ সরকার।
সংখ্যালঘু ও ভিন্নমতালম্বী নির্যাতনের ঘটনাগুলো কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়; দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা ও প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে তাদের উপর এই ভয়াবহ আঘাত হানা হয়েছিল। নিপীড়করা ‘সংখ্যালঘু ও ভিন্নমতালম্বীদের’ একটি বিশেষ দলের ভোট ব্যাংক এবং তালেবান ঘরানার রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অন্তরায় হিসেবে বিবেচনা করে। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু ও ভিন্নমতালম্বী নির্যাতনের একেবারে প্রাথমিক কারণ হলো, ধর্মান্ধ-বাংলাস্তানীরা তাদের আকাঙ্খিত তালেবান ঘরানার রাষ্ট্রপ্রতিষ্ঠার পথে বিরোধীদের দমনের মনমানসিকতা। এই মনমানসিকতা থেকেই নিপীড়কদের নেতারা প্রচার করে হিন্দুরা ভারতে মুসলমানদের নিপীড়ণ করছে, বৌদ্ধরা মায়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের নিপীড়ণ করছে, খ্রীস্টানরা সারা পৃথিবীর মুসলমানদের নিপীড়ণ করছে, আহমাদিয়ারা মুরতাদ, মুক্তচিন্তার মানুষরা মুরতাদ, ভারত আওয়ামীলীগের মাধ্যমে বাংলাদেশকে তাদের তাঁবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করার কাজ করছে, ইসলাম ধর্মকে ধ্বংস করার পাঁয়তারা করছে; তাই, বাংলাদেশে ইসলাম ধর্মকে বাঁচাতে হবে, নিপীড়ত মুসলমানদের নিপীড়ণের শোধ নিতে হবে, ইসলাম ও মুসলমানদের শত্রুদের বিরুদ্ধে সসস্ত্র জিহাদ করতে হবে। বাংলাদেশের অধিকাংশ জনগণ সহজ-সরল, অর্ধশিক্ষিত, অশিক্ষিত, ধর্মভীরু; এদের এই ধর্মভীরুতাকে ধর্মান্ধ-বাংলাস্তানীরা সুকৌশলে নিজেদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য ধর্মান্ধতায় পরিণত করে। বাংলাদেশে ইসলামকে রক্ষা করতে, সারা পৃথিবীর নিপীড়িত মুসলমানদের প্রতিশোধ নিতে এই সাধারণ মানুষগুলো অলীক এক জিহাদে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
ধর্মান্ধরা ‘সংখ্যালঘু ও ভিন্নমতালম্বীদের’ ‘নারী ও সম্পত্তিকে’ নিজেদের অধিকারভুক্ত মনে করে। ‘সংখ্যালঘু ও ভিন্নমতালম্বীদের’ উচ্ছেদ করলে তাদের ভূমি-সম্পত্তি দখল করা যাবে; এই উদ্দেশ্যে নিপীড়করা ‘সংখ্যালঘু ও ভিন্নমতালম্বীদের’ বসতি, ব্যবসায়-প্রতিষ্ঠান, প্রার্থনাস্থানে হামলা চালায়, চলে লুটপাট, নারী নির্যাতন। এর পিছনে ইন্ধন হিসেবে কাজ করে ধর্ম ও মানুষের ধর্মীয় উন্মাদনা। তাই, এসব ইস্যুতে প্রত্যন্ত অঞ্চলে দলমত নির্বিশেষে বাঙালী মুসলমানদের একসাথে ‘সংখ্যালঘু ও ভিন্নমতালম্বীদের’ নির্যাতন করতে দেখা গেছে।
ধর্মান্ধ-বাংলাস্তানী ‘বিএনপি-জামাত’ জোট সরকারের মদদে সন্ত্রাসীরা ‘হত্যা, গুম, মারাত্মক আহত করা, চাঁদাবাজি, লুটপাট, ডাকাতি, নারীর শ্লীলতাহানি, অপহরণ, মুক্তিপণ আদায়, ধর্মান্তরকরণ’ -এই পদ্ধতিগুলোকে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ও ভিন্নমতালম্বীদের নিপীড়ণ করার জন্য ব্যবহার করেছিল। সংখ্যালঘুরা আইন ও প্রশাসনের আশ্রয় নিতে চাইলেই কোন ফল পায়নি বরং নিপীড়নের মাত্রা বেড়ে গিয়েছিল কয়েকগুন।
২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত জোট সরকারের সময় রাষ্ট্রীয় মদদে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও ভিন্নমতালম্বীদের উপর যে ভয়ংকর অত্যাচার চালানো হয়, তা শুধু আমাদের জন্য লজ্জা নয়, আমাদের অস্তিত্বের জন্য হুমকি, একাত্তরের চেতনার অবমাননা। হাজার বছরের অহিংস-অসাম্প্রদায়িক আবহমান বাঙলার যে সংস্কৃতি আমরা লালন করে এসেছি, বাংলাস্তানীরা তা চিরতরে বিলীন করে দিতে চেয়েছিল।
এই লেখায় ‘বিএনপি-জামাত’ জোট সরকারের সময় ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত সংখ্যালঘু ও ভিন্নমতালম্বীদের উপর রাষ্ট্রীয় মদদে যে ভয়ংকারভাবে নির্যাতন করা হয়েছে, তার একটি তালিকা দেয়া হলো। তথ্যসূত্র হিসেবে ব্যবহার করা হলো, সে সময়ের জাতীয় দৈনিকপত্রিকাসমূহ।
০১ অক্টোবর, ২০০১:
দৈনিক সংবাদ:
ক. নলছিটি গ্রামে ০৭ সংখ্যালঘুকে পিটিয়ে আহত।
খ. মুন্সীগঞ্জে সংখ্যালঘুদের উপর সন্ত্রাসী হামলা।
গ. কুমিল্লায় সংখ্যালঘুদের উপর হামলা: দুই সংখ্যালঘু নিহত।
ঘ. নরসিংদীতে সংখ্যালুঘদের উপর হামলা: ৫০টি বাড়ি ধ্বংস ও লুটপাট।
ঙ. ৩৩ জেলায় সংখ্যালঘুরা চাপের মুখে।
চ. চট্টগ্রামের রাউজানে সংখ্যালঘুদের উপর হামলা।
দৈনিক জনকন্ঠ:
ক. সংখ্যালঘুদের ভোটদানে বাঁধা।
খ. চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় সংখ্যালঘুদের ভোটাধিকার হরণ।
গ. কুমিল্লায় সংখ্যালঘুদের উপর বোমা হামলায় দুইজন নিহত।
ঘ. সেনা হেফাজতে আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু।
ঙ. অধ্যাপক সনৎ কুমারের প্রাণনাশের চেষ্টা।
দৈনিক প্রথম আলো:
ক. ভোলায় সংখ্যালঘুদের উপর চাপ বাড়ছে।
দৈনিক আজকের কাগজ:
ক. বানারীপাড়ার সংখ্যালঘুরা বিচ্ছু বাহিনীর হাতে জিম্মি।
০২ অক্টোবর, ২০০১:
দৈনিক ভোরের কাগজ:
ক. ফেনীতে ষাট হাজার সংখ্যালঘু ভোট দিতে পারেনি।
দৈনিক জনকন্ঠ:
ক. সিলেটে ১৫ টি সংখ্যালঘু পরিবারের ঘরে তালা।
০৩ অক্টোবর, ২০০১:
দৈনিক মুক্তকন্ঠ:
ক. খুলনায় জামায়াতের মিছিল থেকে মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুর।
খ. রাজধানীতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উপর জামাত-শিবিরের হামলা।
দৈনিক প্রথম আলো:
ক. ভোলায় সংখ্যালঘুদের উপর হামলা: আতঙ্কে কাটছে দিন-রাত্রি।
খ. সংখ্যালঘুদের ভোটদানে বাঁধা।
দৈনিক আজকের কাগজ:
ক. পিরোজপুরে সংখ্যালঘু ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উপর জামাত-শিবিরের হামলা।
দৈনিক জনকন্ঠ:
ক. পাইকগাছায় তিনটি মন্দিরে হামলা; প্রতিমা ভাঙচুর।
০৪ অক্টোবর, ২০০১:
দৈনিক ভোরের কাগজ:
ক. ভোলায় চারটি আসনের এক লক্ষ সংখ্যালঘু ভোটার ভোট দিতে পারেনি।
খ. নারায়ণগঞ্জে হিন্দু মন্দিরে হামলা।
গ. উখিয়ায় সংখ্যালঘুদের উপর হামলা।
দৈনিক আজকের কাগজ:
ক. বান্দরবানে বৌদ্ধ মন্দিরে হামলা।
খ. যশোরে সংখ্যালঘুদের উপর হামলা: আহত ০৮ জন।
গ. নরসিংদীতে সংখ্যালঘুদের উপর হামলা।
দৈনিক সংবাদ:
ক. রাষ্ট্রপতির কাছে জাতীয় হিন্দু পরিষদের আবেদন।
খ. মুন্সীগঞ্জ, বাগেরহাট, যশোর, সাতক্ষীরা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও গফরগাঁওয়ে সংখ্যালঘুদের উপর হামলা করা হয়েছে: আহত ৩৭১ জন।
দৈনিক জনকন্ঠ:
ক. বরিশালে সংখ্যালঘুদের উপর হামলা।
খ. বান্দরবানে উপজাতিদের উপর হামলা।
দৈনিক প্রথম আলো:
ক. নৌকায় ভোট দেয়ার কারণে সংখ্যালঘুদের উপর হামলা।
খ. কক্সবাজারে সংখ্যালঘুদের উপর হামলা।
দৈনিক ইত্তেফাক:
ক. সংখ্যালঘু ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের বাড়িতে হামলা।
দৈনিক মুক্তকন্ঠ:
ক. সংখ্যালঘুদের ভোটদানে বাঁধা দেয়া হয়েছে: ব্রতী’র রিপোর্ট।
০৫ অক্টোবর, ২০০১:
দৈনিক সংবাদ:
ক. সংখ্যালঘু ও অন্য দলের উপর হামলাকারীদের গ্রেফ্তার করুন: মান্নান ভূঁইয়া।
খ. নির্বাচনোত্তর সন্ত্রাসে সংখ্যালঘু নিহত ০৫, আহত কয়েক শত।
গ. বাগেরহাটে সংখ্যালঘু ও আওয়ামীলীগ কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলা। নিহত ০২, আহত ১০। আতংকিত মানুষ ঘর-বাড়ি ছেড়ে পালাচ্ছে।
ঘ. নাটোর ও নঁওগায় সংখ্যালঘু ও আওয়ামীলীগ কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলা। নিহত ০১, আহত ১০।
দৈনিক ইত্তেফাক:
ক. খুলনায় সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় মূর্তি ভাঙচুর ও নির্মাতাকে হুমকি প্রদান।
দৈনিক প্রথম আলো:
ক. ২০ জেলায় আওয়ামীলীগ ও সংখ্যালঘুদের উপর সন্ত্রাসী হামলা। নিহত: ০৯।
দৈনিক জনকন্ঠ:
ক. নারায়ণগঞ্জ, বরিশাল, কুমিল্লা, রাজশাহীতে সংখ্যালঘু ও আওয়ামীলীগ কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলা। আতংকিত মানুষ ঘর-বাড়ি ছেড়ে পালাচ্ছে।
০৬ অক্টোবর, ২০০১:
দৈনিক জনকন্ঠ:
ক. সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন বন্ধ করো: সর্বস্তরের মানুষের প্রতিবাদ।
খ. দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে সংখ্যালঘু ও আওয়ামীলীগ কর্মী-সমর্থকরা ঘর-বাড়ি ছেড়ে পালাচ্ছে। পুলিশের প্রত্যক্ষ সহযোগীতায় বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাসীরা হামলা করছে।
গ. উজিরপুরে সংখ্যালঘুদের উপর হামলা। গণধর্ষণের প্রচুর অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।
দৈনিক ভোরের কাগজ:
ক. সংখ্যালঘু নির্যাতন প্রসঙ্গে চট্টগ্রামের বিশিষ্ট নাগরিকদের ক্ষোভ প্রকাশ।
খ. গাজীপুর, ভোলা ও আশুগঞ্জে সংখ্যালঘুদের উপর হামলা, সর্বত্র আতঙ্ক বিরাজ করছে।
গ. সাতক্ষীরায় হিন্দু তরুণী ধর্ষিত।
ঘ. বাউফলে সংখ্যালঘুদের উপাসনালয়ে হামলা।
ঙ. বরিশাল ও স্বরূপকাঠিতে সংখ্যালঘু ও আওয়ামীলীগ কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলা।
দৈনিক সংবাদ:
ক. সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন বন্ধ করো: সর্বস্তরের মানুষের নিন্দা-প্রতিবাদ।
০৭ অক্টোবর, ২০০১:
দৈনিক ইত্তেফাক:
ক. চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া, সিরাজগঞ্জ, নাটোর, কালিয়াকৈর ও ঝিনাইদহে সংখ্যালঘু ও আওয়ামীলীগ কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলা; নিহত ০৪।
দৈনিক প্রথম আলো:
ক. সারাদেশে সংখ্যালঘু ও আওয়ামীলীগ কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলা করা হচ্ছে।
খ. সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন বন্ধ হোক।
গ. কুমিল্লায় সংখ্যালঘু ও আওয়ামীলীগ কর্মী-সমর্থকদের উপর ব্যাপক হামলা। কুমিল্লার গ্রামগুলো হিন্দুশূণ্য হয়ে যাচ্ছে।
দৈনিক আজকের কাগজ:
ক. ফরিদপুরে সংখ্যালঘু ও আওয়ামীলীগ কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলা।
দৈনিক যুগান্তর:
ক. সংখ্যালঘু ও আওয়ামীলীগ কর্মী-সমর্থকরা আতঙ্কে। ০৫ জেলায় নিহত ০৫।
দৈনিক জনকন্ঠ:
ক. সংখ্যালঘুদের উপর হামলা: নিহত আরো ০৮ জন।
খ. পিরোজপুর (সাঈদীর এলাকা) সংখ্যালঘু ও আওয়ামী সমর্থকদের জন্য মৃত্যুপুরী।
গ. রাজধানীর ঝোলাপট্টিতে ২০০ পরিবার উচ্ছেদ।
দৈনিক সংবাদ:
ক. পিরোজপুরে (সাঈদীর এলাকা) সংখ্যালঘু ও আওয়ামী সমর্থকরা এলাকা ছেড়ে পালাচ্ছে।
[চলবে]
সাব্বির হোসাইন
আহবায়ক সদস্য
একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি, চট্টগ্রাম।
মন্তব্য
গুরুত্বপূর্ন কাজ...
এই লিস্টে আরো দুটো নাম যোগ করিঃ
০১।
গনতদন্ত কমিশনের রিপোর্ট (এতে সব ঘটনাবলীর একটা গোছানো সংগ্রহ পাওয়া যাবে)
০২।
পাক সার জমিন সাদ বাদ/হুমায়ুন আজাদ (সম্ভবতঃ ওই দুঃসময়কে ধরে রাখার একমাত্র সাহিত্যিক প্রচেষ্টা)
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
গনতদন্ত কমিশনের রিপোর্ট- এটা কোথায় পাওয়া যায় @ সাক্ষী সত্যানন্দ।
অত্যন্ত জরুরী কাজ। সম্ভবত শাহরিয়ার কবিরের সম্পাদনায় সংখ্যালঘু নির্যাতনের উপর একটা শ্বেতপত্র বের হয়েছিল। সেখানে একটা পূর্ণাঙ্গ রুপ পাওয়া যাবে। আমার সংগ্রহে থাকার কথা।
বর্তমান সময়েও মূলতআক্রমন এবং অনিরাপত্তা সংকটে দেশের অমুসলিম অংশই সবচেয়ে বেশি পর্যুদস্ত। আর গোটা দেশ মুসলমানের দেশ হয়ে উঠেছে। বিকারহীন সবাই। সবার মুখৈ আততায়ীর মুখোশ।
স্বয়ম
তথ্যগুলো কিন্তু একেবারে মিথ্যে নয়; আর এও সত্য, এইসব তথ্যই সুকৌশলে কাজে লাগানো হয় জঙ্গি উৎপাদনে; কথা হচ্ছে, একজন বাংলাদেশী কেন একজন ভিনদেশী স্বধার্মিকের নির্যাতন-সংবাদে এতটাই বিচলিত হয় যে, এক পর্যায়ে প্রতিশোধপরায়ন হয়ে নিজ দেশের ভিন-ধার্মিককে আঘাত করতে শুরু করে? রিলিজন-কেন্দ্রিক উগ্র জাতীয়তাবাদই মনে হয় এর প্রধান কারণ, যার শেকড় আমাদের পরিবারগুলোর অনেক গভীরে প্রথিত।
.............................
তুমি কষে ধর হাল
আমি তুলে বাঁধি পাল
প্রয়োজনীয় কাজ।
সারা পৃথিবী জুড়ে সংখ্যালঘুরা অত্যাচারের শিকার হয়। এক সংখ্যালঘুর অত্যাচারিত হওয়ার ঘটনাকে অজুহাত করে আর এক সংখ্যালঘুকে শিকার করা হয়।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
নতুন মন্তব্য করুন