ড্যুমা ডেবী ডে লা পাইল্লেতেরী; না কোন মিউজিয়ামের নাম বলছিনা, বলছি বিখ্যাত উপন্যাসিক আলেক্সান্ডার দ্যুমা-র নাম। যদিও ব্যক্তি জীবনে নামের মতোই চাঁছাছোলা গাম্ভীর্যের এই মানুষটার সাথে উপন্যাসিক আলেক্সান্ডার দ্যুমার মিল নিতান্তই সামান্য। দাদা ছিলেন ফ্রান্সের একজন সম্মানিত নাগরিক, হুট করে বিয়ে করে বসেন এক ক্রীতদাস কে আর জন্ম নেন দ্যুমার বাবা। লর্ড উপাধি পাওয়া পরিবারের উত্তরসূরি হিসেবে রাজকীয় আভিজাত্য যেমন থমাস আলেক্সান্ডারের রক্তে মিশে যায়, তেমনি মিশে যায় আফ্রিকান নিগ্রোদের মতো অপরিসীম ধৈর্য, সহনশীলতা, আর পরিশ্রম করার অমানুষিক ক্ষমতা; একি সাথে গায়ের রঙ টাও হয়ে উঠে ‘আরেকটু ফর্সা হইলে নিগ্রো বলা যাইতো’ এই রকম।
আধুনিক ছেলে; বাবার সাথে গণ্ডগোল করে বলে দিলো যাও এখন থেকে আমি আর তোমার নাম আমার নামের সাথে ব্যবহার করবো না, এখন থেকে আমি আমার ছেলের দাদীর নাম আমার নামের সাথে ব্যবহার করবো, ব্যাস থমাস আলেক্সান্ডার হয়ে গেলো আলেক্সান্ডার দ্যুমা। এই দ্যুমা কিন্তু আমাদের উপন্যাসিক দ্যুমা না, ইনি হচ্ছেন আমাদের উপন্যাসিক দ্যুমার বাপ; তখনকার ব্যাপার স্যাপার-ই ছিলো অন্যরকম, দ্যুমার বাপের নাম ও ছিল আলেক্সান্ডার দ্যুমা, পোলার নাম ও ছিলো আলেক্সান্ডার দ্যুমা; আর কি আচানক দ্যুমার নিজের নাম ও ছিলো আলেক্সান্ডার দ্যুমা।
তো এই বাবা দ্যুমা বিয়ে করেন এক হোটেল ব্যবসায়ীর মেয়েকে, আর পুত্র উপন্যাসিক দ্যুমার জন্মের মাত্র ৪ বছরের মাথায় পুত্রের মাকে বিধবা করে ওপাড়ে পাড়ি জমান আর দোষ দিয়ে যান ক্যান্সার নামক এক রোগের উপর। স্বামী হারিয়ে বেচারির তখন পান্তা আনতে নুন ফুরায় অবস্থা, সেখানে ছেলের পড়াশোনা খরচ কে দেবে? তাই অন্য অনেক বিখ্যাত লোকের মতো দ্যুমার ও স্কুলের পাট আর শেষ করা হয়নি। তবে উপন্যাসিক হয়ে উঠার বীজ বপন করে দিয়েছিল তার মা। মার কাছ থেকে প্রাথমিক শিক্ষা পাবার পর হাতের কাছে যাই পেতো তাই পড়তে পড়তে ছেলে বড় হতে থাকে। এ সময় ছেলের চিন্তাজগতে উলট পালট ঘটায় মার মুখ থেকে শোনা বাবার বীরত্বের কাহিনী।
দ্যুমার বাবা ছিলো ফ্রান্স মিলিটারির প্রথম কৃষ্ণ বর্ণের বিগ্রেডিয়ার জেনারেল, ডিভিশনাল জেনারেল এবং জেনারেল ইন চীফ। আর্মি অফ দ্য আল্পস নামে পরিচিত ৫৩ হাজার সদস্যের এক সেনাদলের নেতা হিসেবে আল্পস জয় করার পর অস্ট্রিয়ান বাহিনী তার নাম দিয়েছিলো কাইল্লা শয়তান, না হয় একটু কালো ই ছিলো তাই বলে এই নাম! ইতালিতে আইজ্যাক নদীর তীরে একাই এক বিশাল বাহিনীতে পরাজিত করার পর নেপোলিয়ন তাকে বীর যোদ্ধা হিসেবে ঘোষিত করেন। যুদ্ধবন্দী হয়ে দুবছর কাটান কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে। যারা থ্রি মাস্কেটিয়ার্স আর কাউন্ট অফ মন্টিক্রিস্টো পড়েছেন, তারা নিশ্চয়ই এতক্ষণে বুঝে গেছেন এই উপন্যাসের পিছনের অনুপ্রেরণা দ্যুমা কোথা থেকে পেয়েছিলেন।
ক্ষ্যাপাটে দ্যুমাকে একবার এক সাংবাদিক খুব প্যাঁচাতে লাগলেন তার পূর্বপুরুষদের নিয়ে। আপনার বাবা তো ছিলেন একজন সংকর, তাই না? রাগ চেপে রেখে দ্যুমা জবাব দিলেন, হ্যাঁ আমার বাবা সংকর ছিলেন। সাংবাদিকের পরের প্রশ্ন, আপনার দাদা তো ছিলেন একজন কৃষ্ণাঙ্গ তাই না? এবারো দাতে দাতে চিবিয়ে রাগ সংবরণ করলেন দ্যুমা। সাংবাদিকের পরের প্রশ্ন, আপনার প্রপিতামহ ছিলেন......... প্রশ্ন শেষ করার আগেই দ্যুমা জবাব দিলেন, “বেবুন, আমার প্রপিতামহ ছিলেন আপনার মতো একজন বেবুন, আপনার যেখানে শেষ, সেখান থেকেই আমার পূর্বপুরুষদের শুরু”।
দ্যুমা তার কর্মজীবন শুরু করেন পত্রিকার জন্য আর্টিকেল লিখার মধ্য দিয়ে। ভাগ্যিস বেশি দিন লিখেন নি, অল্পকিছু দিন পরেই শুরু করেন নাটক লিখতে আর সেই সব নাটক কে উপন্যাসে রূপ দিতে। উপন্যাস লিখতে শুরু করলেন, দু হাতে উপার্জন করতে লাগলেন আর খরচ করতে লাগলেন চার হাত পা দিয়ে। যত আয় করতেন তার চেয়ে বেশি খরচ করাতে দ্যুমার কখনোই অনীহা ছিলো না, প্যারিসের বাইরে এক বিশাল প্রসাদ ও সেই সময় তিনি গড়ে তোলেন আর নাম দেন মন্টি ক্রিস্টো। ছিলো তার ভ্রমণের ব্যাপক নেশা, তবে সেটা ভ্রমণের আনন্দের জন্য নয়, ভ্রমণের অভিজ্ঞতা কে পুঁজি করে সাহিত্য রচনার জন্য। তবে বিরুদ্ধ রাজনৈতিক মতবাদের কারণে ভ্রমণ ছেড়ে একবার তাকে দেশ ছেড়েই দৌড়াতে হয় যখন নেপোলিয়ন বোনাপোর্ট ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। নেপোলিয়নের বিরাগভাজন হয় প্রথমে আশ্রয় নেন বেলজিয়ামে, কিছুদিন সেখানে থেকে চলে যান রাশিয়াতে, তখন রাশিয়ার সেকেন্ড ল্যাংগুয়েজ ছিলো ফ্রেঞ্চ। সেখানে তার সাহিত্যগুলো বে-সম্ভব রকমের জনপ্রিয়তা পেলেও দুই বছরের মাথাতেই অস্থির দ্যুমা চলে আসেন ইতালিতে। ইতালিতে এসে লিখেন রাশিয়া ভ্রমণকে কেন্দ্র করে ভ্রমণ কাহিনী। পলায়নের ১৩ বছর পরে ফ্রান্সে প্রত্যাবর্তন করেই লিখেন ইতালি ভ্রমণ কাহিনী।
প্রেমিক পুরুষ দ্যুমার প্রেমিকা ছিলো মাত্র ৪০ জন, তবে সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে এই ৪০ জন হচ্ছেন তারা যাদের সাথে দ্যুমার সু-সম্পর্কের কথা লোকজন জানতে পেরেছিল, ধারনা করা হচ্ছে আরো অনেকেই ছিলেন যাদের সাথে হৃদয়ের লেনা দেনা থাকলেও তাদের পরিচয় দ্যুমা কাউকে জানান নি। এদের মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত ছিলেন আদাহ মেনকেন নামের এক চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। দু জনের বয়সের পার্থক্য অবশ্য খুব বেশি ছিলো না। কত হবে? এই ধরে নেন ৩৩ বছর, এ আর এমন কি?
১৮০২ সালের ২৪শে জুলাই জন্ম নেয়া দ্যুমা ইহ-ধাম ত্যাগ করেন ১৮৭০ সালের ডিসেম্বরের ৫ তারিখে। ফ্রান্সে প্রত্যাবর্তনের পর থেকেই দ্যুমা ছিলেন ঋণে জর্জরিত, এসময় এ বোঝা থেকে মুক্তির জন্য তাড়াহুড়ো করেই কিছু উপন্যাস ও লিখেন যেগুলো পাঠক মহলে খুব একটা সমাদৃত হয়নি। এই প্রতিভাবান কিন্তু ক্ষ্যাপাটে উপন্যাসিক মারা যাবার আগের দিনগুলো কাটান দারিদ্রের কঠিনতম কষাঘাতে।
দ্যুমা সম্পর্কে নাট্যকার ওয়াটস ফিলিপস একবার বলেছিলেন, দুনিয়ার সবচেয়ে মহানুভব এবং বিশাল হৃদয়ের মানুষ ছিলেন দ্যুমা। ছিলেন একি সাথে সবচেয়ে মজাদার এবং অহমিকায় পূর্ণ। তার জিব ছিলো উইন্ড-মিলের মতো, একবার চলতে শুরু করলে থামতেই চাইতো না, আর প্যাঁচালের বিষয়টা যদি হতো সে নিজে, তাহলে তো আর থামার প্রশ্নই আসে না।
দ্যুমা বিখ্যাত ছিলেন তার ইতিহাস নির্ভর উত্তেজনায় ঠাসা উপন্যাসগুলোর জন্য। তবে ইতিহাসকে আশ্রয় করে লিখা তার উপন্যাস গুলোকে নিয়ে সমালোচনা ছিলো যে দ্যুমা ইতিহাসকে অনেক বেশি বিকৃত করে ফেলছেন। বার বার একি অভিযোগ শুনতে শুনতে বিরক্ত দ্যুমা এর জবাব দিয়েছিল তার নিজের মতো করেই, “ইতিহাস কে আমি কখনোই বিকৃত করিনি, ইতিহাস কে আমি ধর্ষণ করেছি, ধর্ষণ। আর সেই ধর্ষণের ফলে তোমরা পেয়েছো অসাধারণ কিছু সাহিত্য কর্ম”।
ফ্রান্সের সবচেয়ে সফলতম এই উপন্যাসিকের সাহিত্যকর্ম অনুদিত হয়েছে প্রায় ১০০ র মতো ভাষায় আর তার রচনা বইয়ের পাতা থেকে রুপালী পর্দায় উঠে এসেছে মাত্র ২০০ বারের মতো। মারা যাবার আগে দ্যুমার অপ্রকাশিত দ্য লাস্ট ক্যাভালিয়ার ইংরেজিতে অনুদিত হয়ে প্রকাশিত হয় এইতো সেদিন, ২০০৬ সালে। আগের বছর ফ্রান্সে The Knight of Sainte-Hermine নামে প্রকাশিত হয়ে সেটা ছিল ২০০৫ এর ফ্রান্সের বেস্ট সেলার বই।
দ্যুমা তার 'কাউন্ট অব মন্টিক্রিস্টো' দিয়ে যখন দুনিয়া জয় করে গোঁফে তা দিতে ব্যস্ত, তখন ভিক্টর হুগো তাকে একটি চিঠি লিখেন দুজন মিলে একসাথে একটা বই লিখার আমন্ত্রণ জানিয়ে, কিন্তু দ্যুমা স্বভাব সুলভ দাম্ভিকতায় তার জবাব দেন, "হুগো সাহেব, ঘোড়া আর গাধা কখনো এক হতে পারে না!" মজার ব্যাপার হচ্ছে মারা যাবার পরে হুগো আর দ্যুমা ফ্রান্সের Panthéon এ এখন পাশাপাশি শায়িত।
দ্যুমার সাহিত্যের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিলো প্রত্যেকটা মুহূর্তের টান টান উত্তেজনা, সাবলীল সংলাপ আর গতিময় কাহিনী বিন্যাস। দ্যুমার বই পড়তে শুরু করে মাঝ পথে ফেলে রেখে চলে যাবেন? ক্ষ্যাপাটে বুড়ো সেই সুযোগ আপনাকে দেবে না। তার কালজয়ী অমর দুটি সাহিত্যকর্ম হচ্ছে কাউন্ট অব মন্টিক্রিস্টো আর থ্রি মাস্কেটিয়ার্স, তবে বাকি সাহিত্যগুলো ও একি রকমের উত্তেজনা আর নাটকীয়তায় ঠাসা।
সাহিত্যকর্ম:
• Othon l’archer
• Captain Pamphile
• The Fencing Master
• Castle Eppstein; The Specter Mother
• Georges
• The Conspirators
• Ascanio
• Louis XIV and His Century
• The Nutcracker
• The Three Musketeers
• Twenty Years After
• Ten Years Later (The Vicomte de Bragelonne, Louise de la Valliere, and The Man in the Iron Mask)
• The Corsican Brothers
• The Count of Monte Cristo
• The Regent's Daughter
• The Two Dianas
• The horoscope : a romance of the reign of François II
• La Reine Margot
• La Dame de Monsoreau
• The Forty-Five Guardsmen
• Joseph Balsamo
• The Queen's Necklace
• Storming the Bastille or Six Years Later
• The Mesmerist's Victim
• The Knight of the Red House
• The Black Tulip
• The New Troy
• Olympe de Cleves
• The Page of the Duke of Savoy
• The Mohicans of Paris
• The Wolf-Leader
• The Companions of Jehu
• The Whites and the Blues
• The Knight of Sainte-Hermine
• Pietro Monaco sua moglie Maria Oliverio e i loro complici
• Robin Hood
• The Count of Moret; The Red Sphin;
• The Women's War
দ্যুমার কিছু বিখ্যাত উক্তি:
• ছোট্ট বন্ধু, জীবন হলো একধরনের ঝড়। এই মুহূর্তে তুমি যদি সূর্যের উত্তাপ নিতে ব্যস্ত থাকো, পরের মুহূর্তেই তোমাকে লুকাতে হবে পাথরের আড়ালে, তবে তুমি সত্যিকারের পুরুষ কিনা সেটা বোঝা যাবে যখন ঝড়টা এসেই গেলো তখন তুমি কি করছো সেটা দেখে।
• মানুষ উপদেশ চায় সেটাকে অমান্য করার জন্য। তবে কেউ যদি তোমার দেয়া কোন উপদেশ মেনে চলে তাহলে বুঝতে হবে সে মেনে চলছে তোমার ঘাড়ে দোষ চাপানোর জন্য।
• সুখ হচ্ছে এক ধরনের রূপকথার রাজ্য, যার ফটক পাহারা দিচ্ছে ভয়ঙ্কর দর্শন এক ড্রাগন। যদি সেই রূপকথার রাজ্যে প্রবেশ করতে চাও, ড্রাগনের সাথে তো তাহলে একটু লড়াই করতেই হবে।
• দেখার দুটো উপায় আছে; চোখ দিয়ে আর মন দিয়ে। চোখের দেখাটা তুমি ভুলে যেতে পারো, মনের দেখাটা মনেই রয়ে যাবে।
• হৃদয় যা চিন্তা করে তার ঠিক উল্টোটা বলার অঙ্গের নাম হচ্ছে ঠোঁট।
• সকল মানবিক অনুভূতির মাঝে ভালবাসা হচ্ছে সবচেয়ে স্বার্থপর।
[ম্যালাকাইটের ঝাঁপি]
মন্তব্য
ঘরে দ্যুমার নামে চিটঠি আসলে খুলত কেডা?
লেখা ভালৈছে, দিতে থাকেন আরো।
..................................................................
#Banshibir.
বিশ্বাস করেন ভাই, আমি খুলতাম না। কসম কাইটা কইতাছি।
[ম্যালাকাইটের ঝাঁপি]
হযবরল মনে পড়ে যাচ্ছে - "আমার নাম হিজি বিজ্ বিজ্, আমার ভায়ের নাম হিজি বিজ্ বিজ্, আমার বাবার নাম হিজি বিজ্ বিজ্, আমার পিসের নাম হিজি বিজ্ বিজ্---''
____________________________
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
প্রোফেসর হিজবিজবিজের নাম তাহলে সেখান থেকে নেয়া। আমি অবশ্য ভেবেছিলাম আপনার নাম তকাই, আপনার মামার নাম তকাই, আপনার খুড়োর নাম তকাই, আপনার মেসোর নাম তকাই, আপনার শ্বশুড়ের নাম তকাই।
[ম্যালাকাইটের ঝাঁপি]
শ্বশুড়ের নাম বিস্কুট না
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
হ্যাঁ শ্বশুরের নাম বিস্কুট। আমার নামও আবার সকালে থাকে রামতাড়ু, বিকেল হলে হয়ে যায় আলু নারকোল!!
____________________________
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
অবাক হলাম আমিও বেটার বেশ কয়টা বই পড়ে ফেলেছি !!! আর বেটার 'কাউন্ট অফ মন্টেক্রিস্টো' আমর পড়া সবচেয়ে প্রিয় উপন্যাস, ২বার পড়তে বাধ্য হৈছিলাম। তবে চমকে গেছিলাম যখন জানলাম বেটা কালা ছিল।
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
'কাউন্ট অফ মন্টেক্রিস্টো' পড়েছিলাম সেবার অনুবাদ। কতবার যে পড়ছি, ইয়াদ নাই
বাপরে! দ্যুমার (নাকি কালাতো ভাইয়ের) কী গুণ!! সুজনদা' নিজের পোস্টের চেয়ে বড় সাইজের কমেন্ট করে ফেললেন!!!
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ষষ্ঠ পাণ্ডব'দা, কালাতো ভাই বলেই মনে হয়!
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
এঁর ভালো কিছু লিখা পড়েছি। কিন্তু ইতিহাস নিয়ে বলা কথাতে ব্যাপক গোস্বা হলু
ঝাঁপি খুলে লিখতে থাকুন।
ইতিহাস নিয়ে বলা কথাগুলো কিন্তু আমি বলিনি, দ্যুমা নিজেই বলেছেন
ঝাঁপি খুলে দেবার আশায় আমি ও আছি
[ম্যালাকাইটের ঝাঁপি]
এক কালে বুঁদ ছিলাম তার লেখায়, প্যানথেওনের কবরেও গেছি।
আপনার লেখা ঝরঝরে, সাথে আরও কিছু ঘটনা যোগ করলে বেশী ভাল লাগত
facebook
ধন্যবাদ অণু ভাই, চেষ্টা করবো, এরপরের লিখাগুলো আরো বড় করে দিতে।
[ম্যালাকাইটের ঝাঁপি]
ভাল লাগল। আরও লিখুন।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
ধন্যবাদ সাফিনাজ আরজু, চেষ্টা করবো।
[ম্যালাকাইটের ঝাঁপি]
ছোটবেলায় “সেবা প্রকাশনী”র প্রকাশিত “আলেকজান্ডার দ্যুমা”র সাথে পরিচয়, এরপর একে একে বেশকিছু লেখা পড়া হয়। ও আপনার নিক “ম্যালাইকাটের ঝাপি”র সাথেও ঐ একি সময় পরিচয়, ভাই বেশ ছেলেবেলায় আক্রান্ত হইলাম।
ভাল হইসে ভাই চালায় যান। (যদিও আমি আপনার মতই )
অভিমন্যু .
________________________
সেই চক্রবুহ্যে আজও বন্দী হয়ে আছি
আমার ও পরিচিয় সেবা প্রকাশনী থেকেই। আর ম্যালাকাইটের ঝাঁপি-র সাথে পরিচয় আরো অনেক পরে।
তবে এখন বড়বেলায় আক্রান্ত
[ম্যালাকাইটের ঝাঁপি]
আর দশটা বাংলাদেশী কিশোর/কিশোরীর মত আমারও দ্যুমার সাথে পরিচয় সেবা প্রকাশনীর মাধ্যমে। এরপর যে বই ই পড়েছি, ভালো লেগেছে।
লিখতে থাকুন মালাকাইটের ঝাঁপি - আপনার নিকের মিতা সেই বইটির মতই যেন ভরিয়ে রাখেন আমাদেরকে।
____________________________
দারুণ এতদিন পড়িনাই ক্যান? আরো লিখুন
আর, রুশ বইটার নাম বোধহয় "মালাকাইটের ঝাঁপি" ছিল, ওখান থেকেই নাম নিয়ে থাকলে য-ফলাটা বাদ দিন, আর তা না হয়ে থাকলে এই লাইনটা বাদ দিন
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
রুশ বইটার নাম মালাকাইটের ঝাঁপি, ওখান থেকেই নিক নেয়া। আমি অতিথি লেখক হিসেবে আছি। এখন কি নিক পরিবর্তন করা যাবে?
যাই হোক, লিখতে থাকি। ঠিক করা না গেলে, ভুল করেই না হয় ভুল নিকে লিখে গেলাম
[ম্যালাকাইটের ঝাঁপি]
লেখা মজারু হৈয়াছে
......জিপসি
ধইন্ন্যাপাতার সাথে শিউলি ফুল। তোমার জন্যই অপেক্ষা করছিলাম
[ম্যালাকাইটের ঝাঁপি]
কিডা?
......জিপসি
নতুন মন্তব্য করুন