১.
প্রথমে একটা ঘটনা বলি। খুব সম্ভবত ২০০৬ সালের প্রথম দিকের ঘটনা। ফিজিওথেরাপীতে গ্রাজুয়েশন ৩য় বর্ষের ছাত্র তখন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা অনুষদের অন্তর্ভূক্ত ৫ বছরের ফিজিওথেরাপী গ্রজুয়েশন কোর্সটিকে তৎকালীন বিএনপি-জামাত জোট সরকারের স্বাস্থ্য খাতের সর্বেসর্বা ডা. জাহিদের কাছে কোন গোষ্ঠীর প্রোরচনায় বা নিজেরই হঠাৎ করে ৩ বছরের ডিপ্লোমা কোর্সে অবনমন করার খায়েশ জাগল!! অথচ ওই সময় ফিজিওথেরাপীতে ভর্তির ন্যুনতম যোগ্যতা চিকিৎসা অনুষদের বাকি দু’টি কোর্সের ( এম.বি.বি.এস. এবং বি.ডি.এস ) এর চেয়ে কম ছিল না বরং বেশি ছিল ( এম.বি.বি.এস. এবং বি.ডি.এস. এর ক্ষেত্রে এস.এস.সি. এবং এইচ.এস.সি. তে মোট জিপিএ ৭ হলেই হত আলাদা করে ৩.৫ লাগত না বরং ৩ হলেই চলত আর ফিজিওথেরাপীতে যেটা আলাদা করে ৩.৫ লাগত)। যাই হোক, আন্দোলন চলছিল। ক্লাসরুম থেকে সোজা রাস্তায় নামতে হল। স্মারকলিপি, মানববন্ধন,বিক্ষোভ মিছিল, অবস্থান ধর্মঘট হেন তেন অনেক কিছুই। সেই সাথে মিডিয়া কাভারেজের জন্য সাংবাদিকদের পিছে ঘুরাঘুরি। এরা যে কি চীজ সেটা তখন বেশ জানা হয়ে গিয়েছিল। আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে রাস্তা অবরোধ করলে তারা কানের কাছে এসে ফিসফিস করে বুদ্ধি দেয় “ভাই, দুই চারটা গাড়ি না ভাঙলে কি আর নিউজ কাভার দেয়া যায়?” অবাক হয়ে তাকিয়ে তাদের বোঝানোর চেষ্টা করি যে ‘ভাঙ্গাভাঙ্গি’ করতে চাচ্ছি না। তারা বিরক্ত হয়। যাওয়ার আগে নির্লজ্জ ভাবে বলে “ভাই, যাওয়া আসার খরচ টা?” তারা টাকা নিয়ে চলে যায়, আমরা আশায় থাকি যে আগামীকাল হয়ত বেশ খবর ছাপা হবে। হয় না, যাও দু’একটাতে হয় তা সব এমন যায়গায় যে চোখেই পড়ে না। হতাশ হই।
ঠিক করলাম এভাবে হবে না। দু একজন ভাল কলামিস্ট কে দিয়ে যদি আমাদের স্বপক্ষে লেখাতে পারি উনাদের পুরো ব্যাপারটা বুঝিয়ে তাহলে হয়ত মিডিয়া সাপোর্ট টা বেশ ভাল পাওয়া যাবে। সেই উদ্দেশ্যে প্রথমেই আমরা যোগাযোগ করার চেষ্টা করলাম ড. জাফর ইকবাল স্যারের সাথে। উনি তখন ‘আলু’ পত্রিকায় নিয়মিত লিখতেন। ফোনে যোগাযোগ করার পর উনি উনার বাসায় যেতে বললেন নিজে থেকেই। আমি সহ আরো দুইজন গেলাম। অবাক হয়ে লক্ষ করলাম উনার বাসায় কোন সিক্যুরিটি নেই। অবাক হলাম এই কারণে যে জামাতী রা এর আগে বিভিন্ন সময়েই উনার মাথার দাম ঘোষণা করেছিল। বহু কাজে ব্যাস্ত থাকা এই অসাধারণ মানুষটি আমাদের প্রায় দেড় ঘণ্টা সময় দিলেন। মনযোগ দিয়ে আমাদের কথা শুনলেন। চলে আসার আগে বললেন-“ তোমাদের কথা তো শুনলাম, এবার তোমাদের বিরোধী পক্ষের লোকেদের কথাও শুনব তাদের কাছে। তারপর আমি যেটা বুঝব সেটাই লিখব।” উনি কথা রেখেছিলেন। কিছুদিন পর উনি লিখেছিলেন আমাদের সমস্যাগুলো নিয়ে। আমাদের পক্ষেই লিখেছিলেন।
এই কাজের ধারাবাহিকতায় আমাদের লিস্টে আনিসুল হক সাহেবও ছিলেন। জনপ্রিয় লেখক, কলামিস্ট আলু পত্রিকার উপসম্পাদক আনিসুল হক। উনার সাথে দেখা করার দিন আমি যেতে পারি নি। গিয়েছিলেন আমাদেরই একজন সিনিয়র ভাই। ফিরে এলেন প্রচন্ড মন খারাপ করে। জিজ্ঞেস করার পর উনি যা বললেন-
দরজা খুলেই আনিসুল হক উনাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন-“আচ্ছা, আমার ফোন নাম্বার তুমি কোথা থেকে পেয়েছ?” রেফারেন্স উল্লেখ করার পর উনার রিয়্যাকশন ছিল-“ ও! আমি তোমার ফোন পেয়ে ভেবেছিলাম ফোন নাম্বার চেঞ্জ করব!”
এই ছিল সব সময় ভাল মানুষ সেজে থাকা, মুখে নীতি কথার ফুল ঝরানো আনিসুল হকের সম্ভাষণের নমুনা। অবশ্য উনি ধৈর্য্য নিয়ে কথা শুনেছিলেন এবং চলে আসার সময় বলেছিলেন-“ আমি তো এখন এসব নিয়ে লিখতে টিখতে পারব না। অনেক ব্যাস্ত আছি। সামনে বইমেলা।” উনিও কথা রেখেছিলেন-কিছুই লিখেন নি আমাদের সমস্যা নিয়ে। উনার তখন অনেক কাজ। মিষ্টি মিষ্টি কথায় ভরপুর উপদেশ মাখা উপন্যাস, গল্প লিখতে হবে। টেকাটুকার ব্যাপার স্যাপার।
এই ঘটনা দুটো উল্লেখ করলাম এই কারণে যে শত ব্যাস্ততার মধ্যেও ড. জাফর ইকবাল স্যার সমস্যা আক্রান্ত আমাদের নিয়ে সময় নিয়ে কিছু জানার এবং লেখার প্রয়োজনিয়তা অনুধাবন করেছিলেন। উনি উনার বই এ আশার কথা লিখেন, ভাল ভাল কাজ করতে বলেন এবং উনি নিজেও ভাল কাজ করেন। উনি সত্য কথা স্পষ্ট করে বলেন ভয় পান না। পক্ষান্তরে আনিসুল হক সাহেব মুখে হাজারটা মধু কথা বললেও আদতে নিজে কি কিছু করেন? নাকি সব-ই লোক দেখানো?
২.
আজ দেখলাম জাফর ইকবাল স্যার বলেছেন – “ দেশের চলমান সহিংসতার সমাধান রয়েছে, জামাত কে বাদ দিয়ে সবাই এক হয়ে গেলেই সব কিছুর সমাধান হয়ে যাবে।” এমন সময়ে এই কথা বলার বড় প্রয়োজন ছিল। এমন কথা বলা মানুষের বড় প্রয়োজন ছিল। আমরা অবাক হয়ে লক্ষ করেছি এর উল্টা কথাই সবাই বলে চলেছেন। সুশীল সমাজ হিসেবে আমরা যাদের চিনি উনাদের যুক্তি আর কথা শুনলে মনে হয় নির্বাচন সুষ্ঠ প্রমান করার জন্য জামাতের উপস্থিতির কোন বিকল্প নেই। দুঃখিত বিএনপি নাম টা নিলাম না কারণ বিএনপি বলে কিছু আছে নাকি সেটা বোঝা যাচ্ছে না। যা হচ্ছে, বিএনপি যা করছে তা জামাতের ইচ্ছার প্রতিফলন বলেই মনে হয়। আন্দোলন আর বোমাবাজি, ককটেল ফাটানো, মানুষ পোড়ানোর মধ্যে যে অনেক পার্থক্য আছে সেটা মনে হয় আমাদের তথাকথিত ‘টকমারানি’ বুদ্ধিবেশ্যাগণ ভুলে গেছেন। তারা ইনিয়ে বিনিয়ে বিএনপি জামাতের সব সহিংসতা কে সরাকারের উপর দোষ চাপিয়ে জায়েজ করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। স্রোতের বিপরীতে দাড়িয়ে জাফর ইকবাল স্যার এইসব সুশীল হতেই বরং লজ্জা পাচ্ছেন-
বড় বড় সম্পাদকেদর সাথে দেখা হলে বলতাম, যখন একজন মানুষকে মারে, তখন জানতে হবে কেন মারছে। নির্বাচনের জন্য নাকি যুদ্ধাপরাধের বিচার বন্ধের দাবীতে। আমি এই ধরেনর সুশীল বুদ্ধিজীবী হতে চাই না। আমি লজ্জা পাই। ভাবি আমি এর মধ্যে পড়ে গেলাম কিনা
আপনাকে ধন্যবাদ স্যার এমন স্পষ্ট করে স্বাধীনতার স্বপক্ষের মানুষের মনের কথা কে বলার জন্য। আপনি হয়ত সুশীলতার ভেকধারীদের কাছে দলকানা ট্যাগ পেয়ে যাবেন (কিংবা পেয়ে গিয়েছেন) কিন্তু স্বাধীনতার স্বপক্ষের তরুণ প্রজন্মের কাছে আপনার যুদ্ধাপরাধের বিরুদ্ধে স্পষ্ট এবং জোড়ালো অবস্থানের জন্য আপনি বরাবরই আদর্শ হয়ে থাকবেন, অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবেন। আপনি শুধু মিষ্টি মিষ্টি কথাই বলেন না আপনি করতেও জানেন, করে দেখান। আপনি শাহবাগে এসে তরুণদের সাথে রাজাকারদের ফাঁসির দাবীতে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে গলা মেলাতে পারেন, একসাথে দাড়িয়ে জাতীয় সংগীত গাইতে পারেন। যুদ্ধাপরাধের বিপক্ষে স্পষ্ট করে কথা বলার জন্য আর কাউকে না পেলেও আপনাকে আমরা সব সময় পাশে পাই। আমাদের দেশে অনেক জ্ঞানী গুণী মানুষ আছেন, নোবেল বিজয়ী আছেন , সাদা মনের মানুষ আছেন। কিন্তু উনারা কখনো আমাদের তরুণ প্রজন্মের চাওয়া, ভাললাগা কে বুঝতে চান না। উনাদের স্বাধীনতার স্লোগান “জয়বাংলা’ বলতে অস্বস্তি লাগে, রাজাকারের বিচার চাইতে ভয় লাগে, আর জ্বালাও পোড়াও এর বিরোধীতা করতে নিরপেক্ষতায় টান লাগে। আপনি তাদের দলে নন। আপনি শত ব্যাস্ততার মাঝেও আমাদের পাশে হাটতে জানেন, আমাদের সাথে গলা মেলাতে জানেন, আমাদের সাথে গাইতে জানেন।
কিছুদিন আগে দেখেছিলাম আপনার তত্ত্বাবধানে অন্ধদের সহজে চলার জন্য একটি ডিভাইস তৈরি হয়েছে। গতকাল দেখলাম আপনার তত্ত্বাবধানে তৈরি হচ্ছে ড্রোন। "সাদা চামড়াদের থেকে বের হয়ে আসতে হবে" এমন সাহসী উচ্চারণ আপনার মুখেই শোভা পায়। আগের অন্যান্য কাজের কথা আর এখানে নাই বললাম। এত এত ব্যাস্ততার মাঝেও আপনি আমাদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে হাঁটতে সময় পান। আর আমাদের সাদা মনের মানুষরা, নোবেল বিজয়ী, টক শোর দেশ প্রেমী আর সর্বোচ্চ দেশপ্রেমিক কলামিস্টরা যুদ্ধাপরাধের বিপক্ষে একটা বিবৃতি দেয়ার সময় পান না। শত ব্যাস্ততার মাঝেও আপনি আমাদের পাশে দাড়িয়ে এই সাহস দিয়েছেন যে “আমরাও পারি।” ধন্যবাদ স্যার। আপনি সব সময় এমনই ন্যায় এর পক্ষে অবিচল থাকুন। চশমার ফাঁকে প্রশ্রয়ভারা দৃষ্টিতে হেসে তরুণ প্রজন্ম কে সাহস দিয়ে বলুন-“ তোমরা চাইলে সব হবে।”
-----------------------
সুবোধ অবোধ
মন্তব্য
স্যালুট স্যারকে, স্যালুট আপনাকেও
শুভেচ্ছা নিরন্তর----
ধন্যবাদ দাদা। নতুন গান কই?
সুবোধ অবোধ
জানেন না বুঝি উনাকে ইতিমধ্যে সুশীল ভেকধারী মানুষজন মাস্ক পলিটিসিয়ান ডাকা শুরু করেছে।
ঠিক তাই। উনি আমাদের সাথেই ছিলেন, আছেন, বিশ্বাস রাখি থাকবেন ও।
ঠাণ্ডা রক্তের প্রাণী কিনা।
মন প্রান দিয়ে বিশ্বাস করি উনি সবসময় পাশেই থাকবেন।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ লেখাটার জন্য।
স্যালুট স্যারকে, উনার জন্য শ্রদ্ধা, ভাল থাকবেন স্যার।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
ধন্যবাদ ভাইয়া, এত বিস্তারিত মন্তব্যের জন্য।
হুম।
সুবোধ অবোধ
দারুণ, সুবোধ ভাই... লিখতে থাকুন ... স্যারের পাশে থাকতে হবে আমাদেরই... ভদ্রলোক একাই অনেক করে ফেলেছেন... ভাল থাকুন, স্যার
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
ধন্যবাদ ভাইয়া।
সুবোধ অবোধ
ধন্যবাদ ভাইয়া।
ঠিক।
খুঁজে পাচ্ছি না।
সুবোধ অবোধ
চমৎকার লেখা। জাফর ইকবাল স্যারের এ ব্যাপারটিই সবথেকে ভালো, তিনি শুধু কথা বলেননা একাই একশজনের সমান কাজ করেন। আনিসুল হক প্রসঙ্গ যখন আসলোই, কেও কি বলতে পারেন এই লোকটা কলামে বড় বড় কথা বলা ছাড়া আর কি কি কাজ করেছে দেশের বা মানুষের জন্য?
আপনেরে দেওয়া জবাবটা উপরে চলে গেছে।
সুবোধ অবোধ
বিদেশে বিভুইয়ে বসে যেমন পরিবারের সবার জন্য দুশ্চিন্তা হয় , তেমনি দুশ্চিন্তা হয় এই মানুষটার জন্য, কখন না এরা একে মেরে ফেলার প্লান করে । তুচ্ছ আমি কিছুই পারি নি, তবু আমার মতো হাজারো ছেলে, সাহসী ছেলে আপনার পাশে থাকুক স্যার । সায়ীদ, মতি, আনিসুলদের দেশেও সত্যটা কে বুকে আগলে রেখে নরম পলি মাটিতে অনেক বছর বাঁচুন স্যার ।
রাজর্ষি
খুব দুশ্চিন্তা হয়। এই বিরাট মানুষটি যে কত শয়তানের চক্ষুশূল!
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
সুবোধ অবোধ
ঘোর অমানিশার মধ্যে আমাদের জন্য আলোকবর্তিকা হয়ে উনিই আছেন।
____________________________
হু
সুবোধ অবোধ
"অনেক জ্ঞানী গুণী মানুষ আছেন, নোবেল বিজয়ী আছেন , সাদা মনের মানুষ আছেন। কিন্তু উনারা কখনো আমাদের তরুণ প্রজন্মের চাওয়া, ভাললাগা কে বুঝতে চান না। উনাদের স্বাধীনতার স্লোগান “জয়বাংলা’ বলতে অস্বস্তি লাগে, রাজাকারের বিচার চাইতে ভয় লাগে, আর জ্বালাও পোড়াও এর বিরোধীতা করতে নিরপেক্ষতায় টান লাগে। আপনি তাদের দলে নন।"
জরুরী লেখা।
লেখা ভাল লেগেছে।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
ধন্যবাদ ভাইয়া।
সুবোধ অবোধ
সহজ কথা কিভাবে সহজ করে বলতে হয় এটা এই লোকের কাছে শিখি প্রতিদিন।
হু, ঠিক কইছেন।
সুবোধ অবোধ
আমিষূল হক কালকে তার গুরু শান্তিবাণী প্রচারকারী আল্লামা আবু সায়ীদের কাছে শিখে এসেছেন যার যা কাজ তাই করাই হলো দেশপ্রেম। উনি কলামিষ্ট, কলাম লিখে দেশের সাথে চুটিয়ে প্রেম করে যাবেন। প্রেম স্বর্গীয়, তাই আল্লাহপাক তাহদিগকে স্বর্গে রাখবেন নিশ্চয়! উনারা স্বর্গে গিয়ে দেখবেন আমরা কত তুচ্ছ কারনে (স্বাধীনতার জন্যে যুদ্ধ করা, অসম্প্রদায়িক এক বাংলাদেশের জন্যে সংগ্রাম করা, রাজাকার আর জঙ্গিদের নির্মূল করা) ঝগড়া বিবাদ করছি
সময় এসেছে ভদ্রতার ভন্ড মুখোশ খুলে দেওয়ার, ।
মাসুদ সজীব
সময় এসেছে ভদ্রতার ভন্ড মুখোশ খুলে দেওয়ার
সুবোধ অবোধ
ভিডিও লিঙ্ক।
জামাতের বিরুদ্ধে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্কে কথা বলার মতো সৎ-সাহস বাংলাদেশে খুব কম লোকেরই আছে।
https://www.facebook.com/photo.php?v=572086386213126
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ধন্যবাদ ভাইয়া।
জামাতের বিরুদ্ধে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্কে কথা বলার মতো সৎ-সাহস বাংলাদেশে খুব কম লোকেরই আছে।
কথা সত্য।
সুবোধ অবোধ
জাফর ইকবাল স্যার একজনই। আমাদের পরম সৌভাগ্য আমরা তাঁর সময়ে জন্ম নিয়েছি।
----------------------------
নয় মাসে হলো তিরিশ লক্ষ খুন
এরপরও তুমি বোঝাও কি ধুন-ফুন
ঠিক। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে সত্যি কথা রাখঢাক না করেই বলে দেন।
সুবোধ অবোধ
অসাধারণ লিখেছেন ভাই
সুবোধ অবোধ
ভাই একেবারেই যথার্থ লিখেছেন । দেশটাতে যখন দেখি যে, কেউ মুক্তিযুদ্ধের কথা বললে কিংবা রাজাকারের কথা বললে তাকে লীগের দালাল বলে ট্যাগ দেয়া হয়; তখন মনে হয় আমরা কি এই বাংলাদেশ চেয়েছিলাম?
আজকাল সুশীলের ছদ্মবেশে রাজাকারপন্থীরা সরব হয়ে উঠে আর আমাদেরকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে, তখন জাফর ইকবাল স্যারের মতো অকুতোভয়ী মানুষই আমাদের অনুপ্রেরনা যোগায় ।
তবে এদেশে জাফর ইকবালদের বড়ই অভাব, আরো কয়েকজন জাফর ইকবাল আমাদের প্রয়োজন ।
ভাই একেবারেই যথার্থ লিখেছেন । দেশটাতে যখন দেখি যে, কেউ মুক্তিযুদ্ধের কথা বললে কিংবা রাজাকারের কথা বললে তাকে লীগের দালাল বলে ট্যাগ দেয়া হয়; তখন মনে হয় আমরা কি এই বাংলাদেশ চেয়েছিলাম?
আজকাল সুশীলের ছদ্মবেশে রাজাকারপন্থীরা সরব হয়ে উঠে আর আমাদেরকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে, তখন জাফর ইকবাল স্যারের মতো অকুতোভয়ী মানুষই আমাদের অনুপ্রেরনা যোগায় ।
তবে এদেশে জাফর ইকবালদের বড়ই অভাব, আরো কয়েকজন জাফর ইকবাল আমাদের প্রয়োজন ।
সুবোধ অবোধ
নতুন মন্তব্য করুন