নতুন মন্ত্রিসভা গঠনঃ অপেক্ষা করাই উচিত ছিল

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ১২/০১/২০১৪ - ৬:০৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বহুল আলোচিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রায় শেষ। গত বুধবার (৮ জানুয়ারি) ২৯০ টি সংসদীয় আসনের নব-নির্বাচিত সদস্যের বিষয়ে গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। ২৮৪ জন নব-নির্বাচিত সংসদ-সদস্য শপথ নিয়েছেন এর একদিন পরেই [১]। বাকিদের শপথ নেয়াও বর্তমানে সারা।

তফসিল ঘোষণার পরে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট প্রথমে তফসিল স্থগিতের দাবি তুলেছিল, পরে নির্বাচন প্রতিহত করার চেষ্টার নামে বহু মানুষ, বিদ্যালয় পুড়িয়ে দেয়া ইত্যাদি সাফল্যের সাথে করতে পারলেও নির্বাচনটি ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে। এ সব কারও না জানার কথা না। সপ্তার পর সপ্তা ধরে এসব নিয়েই আমরা বলছি, ভাবছি বা শুনছি।

হয়ত সবাই এটাও জানি যে, ২৪ শে জানুয়ারির পরই নব-নির্বাচিত সংসদ-সদস্যদের শপথ এবং পরবর্তী মন্ত্রিসভা গঠন করা হবে- নির্বাচনের পরেও আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত এমনই ছিল। পরে অতি দ্রুত তারা সিদ্ধান্ত পাল্টান। এরপর চায়ের কাপে নতুন ঝড় ওঠে। ২৪ শে জানুয়ারির আগে নব-নির্বাচিত সংসদ-সদস্যদের শপথ কি বৈধ হবে? এর কি আদৌ আইনি সুযোগ আছে? এখন নব-নির্বাচিত সংসদ-সদস্যদের নিয়ে মন্ত্রিসভা গঠন করা হলে সেটি কি বৈধ হবে? ইত্যাদি নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খেয়ে চলেছে টিভি টকশোগুলোতে, পত্রিকার সম্পাদকীয় পাতায়, চায়ের দোকানে।

নানাজন নানা কথা বললেও সরকারি মহল এ প্রশ্নগুলোর বিষয়ে প্রায় মৌনব্রত পালন করে আসছিলেন। গত ৮ জানুয়ারি বিবিসি প্রধানমন্ত্রীর একজন উপদেষ্টার সাথে কথা বলে। তিনি ৯ তারিখে নব-নির্বাচিত সংসদ-সদস্যদের শপথ ও দ্রুত নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের তথ্য দিতে পারলেও ঐ প্রশ্নগুলোর উত্তর তো দিতে পারেনইনি, উলটো বিস্তর তোতলিয়েছেন। গতরাতে গওহর রিজভীর লেখা [২] (ইংরেজির থেকে অনুবাদ অবশ্য)দেখে তাই নড়েচড়ে বসলাম। আমি নির্দিষ্টভাবে তার লেখায় ঐ প্রশ্নগুলোর উত্তর আশা করেছিলাম। তিনি অবশ্য পুরোপুরি হতাশ করেন নি।

বিস্তারিত আলোচনায় যাওয়ার আগে, সংবিধানের প্রাসঙ্গিক কয়েকটি অনুচ্ছেদ/দফা/উপ-দফা এখানে উল্লেখ করে নিতে চাইঃ

১২৩। [সূত্র ৩]

(৩) সংসদ-সদস্যদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে

(ক) মেয়াদ-অবসানের কারণে সংসদ ভাংগিয়া যাইবার ক্ষেত্রে ভাংগিয়া যাইবার পূর্ববর্তী নববই দিনের মধ্যে; এবং
(খ) মেয়াদ-অবসান ব্যতীত অন্য কোন কারণে সংসদ ভাংগিয়া যাইবার ক্ষেত্রে ভাংগিয়া যাইবার পরবর্তী নববই দিনের মধ্যে:

তবে শর্ত থাকে যে, এই দফার (ক) উপ-দফা অনুযায়ী অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে নির্বাচিত ব্যক্তিগণ, উক্ত উপ-দফায় উল্লিখিত মেয়াদ সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত, সংসদ সদস্যরুপে কার্যভার গ্রহণ করিবেন না।]

১৪৮। [সূত্র ৪]

(১) তৃতীয় তফসিলে উল্লিখিত যে কোন পদে নির্বাচিত বা নিযুক্ত ব্যক্তি কার্যভার গ্রহণের পূর্বে উক্ত তফসিল-অনুযায়ী শপথগ্রহণ বা ঘোষণা (এই অনুচ্ছেদে "শপথ" বলিয়া অভিহিত) করিবেন এবং অনুরূপ শপথপত্রে বা ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষরদান করিবেন।

(৩) এই সংবিধানের অধীন যে ক্ষেত্রে কোন ব্যক্তির পক্ষে কার্যভার গ্রহণের পূর্বে শপথগ্রহণ আবশ্যক, সেই ক্ষেত্রে শপথ গ্রহণের অব্যবহিত পর তিনি কার্যভার গ্রহণ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে।

আবার আলোচনায় আসি। নবম সংসদের মেয়াদপূর্তির আগেই দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত সংসদ-সদস্যদের শপথ নেয়ার একটা সুযোগ সংবিধানে আছে- এ ব্যাপারটা মিজানুর রহমান খানের মতো কৃতনাম সংবিধান-আলোচকদের চেপে যেতে [৫,৬]দেখে বিস্মিত হয়েছিলাম। মিঃ রিজভী দেখলাম এ ব্যাপারটা ভালোভাবেই তুলে ধরেছেন।

১৪৮ এর ১ ও ৩ দফা শপথ ও কর্তব্যভার(/কার্যভার)গ্রহণের মধ্যে ফারাক করে দিয়েছে। আবার, যদিও ১৪৮(৩) বলছে ‘এই সংবিধানের অধীন যে ক্ষেত্রে কোন ব্যক্তির পক্ষে কার্যভার গ্রহণের পূর্বে শপথগ্রহণ আবশ্যক, সেই ক্ষেত্রে শপথ গ্রহণের অব্যবহিত পর তিনি কার্যভার গ্রহণ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন’, কিন্তু ১২৩(৩) এর শর্তাংশ বলছে ‘তবে শর্ত থাকে যে, এই দফার (ক) উপ-দফা অনুযায়ী অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে নির্বাচিত ব্যক্তিগণ, উক্ত উপ-দফায় উল্লিখিত মেয়াদ সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত, সংসদ সদস্যরুপে কার্যভার গ্রহণ করিবেন না।’

তার মানে দাঁড়াচ্ছে, (যত আজবই লাগুক) নবম সংসদ থাকা অবস্থায় দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত সংসদ-সদস্যরা শপথ নিতে পারবেন, কিন্তু ‘সংসদ সদস্যরুপে কার্যভার গ্রহণ’ করতে পারবেন না। বাস্তবতা হচ্ছে, ১৪৮(৩) ও ১২৩(৩) বিষয়ে ভবিষ্যতে অধিকতর স্পষ্টীকরণ প্রয়োজনীয় হলেও নব-নির্বাচিত সংসদ-সদস্যদের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের গেজেট প্রকাশ, স্পিকার কর্তৃক সংসদ-সদস্যদের শপথপাঠ- এসবে সংবিধান লংঘন হওয়ার যে অভিযোগ কেউ কেউ [৫,৬] তুলছেন তা ধোপে টিকে না।

আচ্ছা, নব-নির্বাচিত সংসদ-সদস্যদের শপথ নেয়ার বৈধতার বিষয়টা নাহয় আমরা বুঝলাম। প্রয়োজনীয়তাটাও নাহয় বুঝে নিলাম এই ভেবে যে, গেজেট প্রকাশ না হলে নির্বাচন হওয়াটার আহামরি কোনো মূল্য নেই। অসাংবিধানিক কোনো শক্তি গায়ের জোরে গেজেট না করতে দিলে একেবারে চিত্তির। নির্বাচনটার কোনো মূল্যই আর থাকবে না। এদিক দিয়ে চিন্তা করে বলব, সংসদ-সদস্যদের শপথ বিষয়ে উদ্যোগী হয়ে মহাজোট সাবধানী আচরণই করেছে। এখন নতুন একটা সংসদ বসার সব আনুষ্ঠানিকতা সারা, শুধুই কয়েকটা দিনের অপেক্ষা। এতসব রাষ্ট্রীয় আনুষ্ঠানিকতাকে পাত্তা না দিয়ে অসাংবিধানিক কোনো শক্তি গায়ের জোর দেখাতে আসবে- এটা কষ্টকল্পনা।

কিন্তু যা বুঝতে পারছি না, তা হচ্ছে দশম সংসদের সদস্য দিয়ে এখনই নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের বিষয়টি। এ বিষয়টা যত্নের সাথে এড়িয়ে গিয়েছেন মিঃ রিজভী। ১২৩(৩) এর শর্তাংশ দশম সংসদের সদস্যদের বলছে নবম সংসদের ‘মেয়াদ সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত, সংসদ সদস্যরুপে কার্যভার গ্রহণ করিবেন না’। এখন, বৈঠকে বসে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা নির্বাচন, বিরোধীদলীয় নেতা নির্বাচন, সর্বশেষ আজ কয়েক ঘন্টা পরে বিকালে মন্ত্রিসভা গঠন- এ সবই তো ‘সংসদ সদস্যরুপে কার্যভার গ্রহণ’। সংবিধান মানা করেছে যা করতে তা করার আদৌ কি কোন প্রয়োজন ছিল? বৈধ একটা সরকার তো আমাদের আছেই। ‘নির্বাচনকালীন’ সরকারের সময় তো যৌথবাহিনী সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান করেছে। জামায়াতি সন্ত্রাস-সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস গুড়িয়ে দিতে বর্তমান সরকারই তো যথেষ্ট ছিল। এমনকি ২৪ জানুয়ারির পর নতুন সরকার গঠিত হওয়ার আগ পর্যন্তও । আর ঠেলাঠেলি বিষয়ে বলা যায়, এই সরকারকে ঠেলার দুঃসাহস যদি কেউ করেও, পরেরটাকে অন্তত ১ম ১২ দিন ঠেলার সাহস তার করতে পারার কথা। বুঝাই যাচ্ছে, ঠেলাঠেলিও কোনো কারণ হতে পারে না। তবু যেঁচে সংবিধান লংঘনের দায় আওয়ামীলীগ তথা মহাজোটের নিজের কাঁধে নিতে যাওয়ার কারণ কী? এটা ভবিষ্যতে ব্যাপক গালমন্দ, বিরুদ্ধ প্রচারণা ও শাসনতান্ত্রিক ঝুঁকি জন্ম দেবার সম্ভাবনা তৈরি করেছে বলে মনে করি।

রব

তথ্যসূত্রঃ

[১] শেখ হাসিনা আ.লীগের সংসদীয় দলের নেতা
[২] শপথ গ্রহণ নিয়ে সংশয়ের সুযোগ নেই
[৩] গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান (সপ্তম ভাগ- নির্বাচন)
[৪] গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান (একাদশ ভাগ- বিবিধ)
[৫] নবম বা দশম কোন সংসদ এখন বহাল?
[৬] ‘সংবিধান রক্ষায়’ সংবিধানবিচ্যুত শপথ


মন্তব্য

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

সংসদের মেয়াদ অবসানের ব্যাপারে সংবিধানে কোন সুস্পষ্ট বিধান আছে কি? মানে কোন তারিখে কিসের ভিত্তিতে সংসদের মেয়াদ শেষ হবে? সেটা কি শপথ নেয়ার পাঁচ বছর পূর্তিতে, নাকি সংসদের প্রথম অধিবেশনের পাঁচ বছর পূর্তিতে?

রব এর ছবি

সংসদের প্রথম অধিবেশনের পাঁচ বছর পূর্তিতে। ৭২(৩) বলছে, রাষ্ট্রপতি পূর্বে ভাঙ্গিয়া না দিয়া থাকিলে প্রথম বৈঠকের তারিখ হইতে পাঁচ বৎসর অতিবাহিত হইলে সংসদ ভাঙ্গিয়া যাইবে'

(দেরিতে প্রতিমন্তব্যের জন্য দুঃখিত)

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

তাহলে ব্যাপারটা একটু গোলমেলে হয়ে গেল না? যেহেতু মেয়াদ পুর্তির পূর্বতন নব্বই দিনের কোন এক সময় নির্বাচন হবে, সেটা যদি মেয়াদ পুর্তির দুই মাস আগে হয়, তাহলে সেই দুই মাস নব নির্বাচিত সাংসদরা শপথ না নিয়ে বসে থাকবে?

রব এর ছবি

গোলমাল তো অবশ্যই আছে। যদি দুমাস আগে নির্বাচন হয় তবে শপথ না নিয়ে বসে থাকা যাবে এবং সেটাই সাধারণ অবস্থায় বেটার। তবে, পোস্টে যেমনটা লিখেছি, কিছু ফাঁক কাজে লাগিয়ে শপথ নিয়ে ফেলা যাবে কিন্তু 'সংসদ-সদস্যরূপে কার্যভার গ্রহণ' করা যাবে না- যার স্পষ্ট ব্যতয় এবার- আমার মতে অকারণে- ঘটেছে।

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

১২৩। [সূত্র ৩]

(৩) সংসদ-সদস্যদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে

(ক) মেয়াদ-অবসানের কারণে সংসদ ভাংগিয়া যাইবার ক্ষেত্রে ভাংগিয়া যাইবার পূর্ববর্তী নববই দিনের মধ্যে; এবং
(খ) মেয়াদ-অবসান ব্যতীত অন্য কোন কারণে সংসদ ভাংগিয়া যাইবার ক্ষেত্রে ভাংগিয়া যাইবার পরবর্তী নববই দিনের মধ্যে:

তবে শর্ত থাকে যে, এই দফার (ক) উপ-দফা অনুযায়ী অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে নির্বাচিত ব্যক্তিগণ, উক্ত উপ-দফায় উল্লিখিত মেয়াদ সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত, সংসদ সদস্যরুপে কার্যভার গ্রহণ করিবেন না।]

১৪৮। [সূত্র ৪]

(১) তৃতীয় তফসিলে উল্লিখিত যে কোন পদে নির্বাচিত বা নিযুক্ত ব্যক্তি কার্যভার গ্রহণের পূর্বে উক্ত তফসিল-অনুযায়ী শপথগ্রহণ বা ঘোষণা (এই অনুচ্ছেদে "শপথ" বলিয়া অভিহিত) করিবেন এবং অনুরূপ শপথপত্রে বা ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষরদান করিবেন।

(৩) এই সংবিধানের অধীন যে ক্ষেত্রে কোন ব্যক্তির পক্ষে কার্যভার গ্রহণের পূর্বে শপথগ্রহণ আবশ্যক, সেই ক্ষেত্রে শপথ গ্রহণের অব্যবহিত পর তিনি কার্যভার গ্রহণ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে।

১২৩ ধারার শর্ত(বোল্ড করা অংশ) এবং ১৪৮ ধারার [b](৩) তো মনে হয় পরস্পরবিবোধী। এক্ষেত্রে যার যেমন সুবিধা, তেমনভাবেই তো ব্যাখ্যা দেয়া যায়।

অতিথি লেখক এর ছবি

আসলেই পরস্পর বিরোধী। আমি পোস্টে এ বিষয়ে লিখেছিলাম, '… ১৪৮(৩) ও ১২৩(৩) বিষয়ে ভবিষ্যতে অধিকতর স্পষ্টীকরণ প্রয়োজনীয় … '। অবশ্য, আমার সুরটা যথেষ্ট নরম ছিল।

এক্ষেত্রে যার যেমন সুবিধা, তেমনভাবেই তো ব্যাখ্যা দেয়া যায়।

এটাও সত্য। উদার ব্যাখ্যায় সংসদ-সদস্যদের শপথ নিতে বাধা নাই। তবে, সরকার গঠনে উদার ব্যাখ্যাতেও বাধা থাকবে। আর কঠোর ব্যাখ্যাতে কোনোটাই সম্ভব না (কারণ ৬৫ (২) সহ আরও অনেক কিছুও শপথের বিরুদ্ধে যায়) । তবে, আমার মনে হয় 'উক্ত উপ-দফায় উল্লিখিত মেয়াদ সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত, সংসদ সদস্যরুপে কার্যভার গ্রহণ করিবেন না' কথাটাকে ঢাল বানিয়ে সদস্যদের শপথ নেয়া অবৈধ হয় নি এটা দেখানো যাবে। কিন্তু ভবিষ্যতে এই মন্ত্রিসভা গঠন নিয়ে বিরাট সমস্যা হওয়ার একটা সম্ভাবনা থেকে যাবে। এটাকে অনায়াসে অসাংবিধানিক বলে দিতে পারবে আদালত। এই ঝুঁকিটা নেয়া আমার কাছে একদম অযৌক্তিক মনে হয়েছে।

‍রব

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।