যশোরের মালোপাড়ার হিন্দুদের ওপর হামলার নেপথ্যের ঘটনা এবং একটি মিথ্যাচারের বিনীত জবাব

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৬/০১/২০১৪ - ১১:৪৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আজ সকালে ফিরলাম সাতক্ষীরা থেকে । দিনাজপুরে যাওয়া সম্ভব হয়নি । যাই হোক সাতক্ষীরাতে যে চিত্র দেখলাম তা হল ছোট বড় হামলার স্বীকার সাতাত্তরটি পরিবার তবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবাররে সংখ্যা উনিশটি । । এদের মধ্যে মুসলিম হিন্দু দুই পরিবারই রয়েছে । মন্দির ভাঙা, বাড়িঘর পোড়ানো হয়েছে ।সব চেয়ে ভয়ঙ্কর কথা ধর্ষিত হয়েছে বলে বলছে কেউ কেউ কিন্তু কোন প্রকার তথ্য তারা দেয়নি । মারা গেছে মোট দশজন । সরকারি ভাবে সাহায্য দেয়া হয়েছে তবে পরিমাণটা জানতে পারিনি । ব্যক্তিগত ভাবে এক জন ঐ পরিবারগুলোকে বিশ হাজার করে টাকা এবং কম্বল বিতরণ করেছে বলে জানালেন ওখানকার ডিসি । তিনি আরও জানালেন প্রধানমন্ত্রী যাচ্ছেন ২০ তারিখ পরিদর্শনে ।তাই আপাতত সাতক্ষীরাতে আর্থিক সাহায্যের প্রয়োজন নেই ।

খুব “খবর” টাইপের লেখা লিখলাম । ঠিক লেখা না তথ্যগুলো সংক্ষেপে দিলাম । এবার আসি আসল কথায় । সাতক্ষীরা, যশোর , ঠাকুরগাঁ, দিনাজপুর , বরিশাল সব যায়গার হামলার ঘটনার সূত্রপাত প্রায় একই । ভোটবাজি । কেউ ভোট পাবার জন্য, কেউ কেন ভোট দিল এই অপরাধে, কেউ ভোট যেন না দেয় এই জন্য । যশোরের পঁয়ত্রিশটি পরিবার এবং সাতক্ষীরাতে নয়টি পরিবারের সাথে কথা বললাম । এমনিতেই তারা প্রচণ্ড আতঙ্কে আছে তাই মুখ খোলে না সহজে তার পরেও যশোরে যা জানালো তা হলে , ভোটের আগে থেকেই তাদের নানাভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছিল যেন কোন ভাবেই তারা ভোট না দেয় । তারা বিষয়টি প্রশাসন কে জানায় প্রশাসন আশ্বাস দিলেও তারা কোন কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি । ভোটের দিন সকালে ভোট দিতে যাবার সময় রাস্তায় তাদের হুমকি দেয়া হয় এবং মারধোর করা হয় । ভোট দিয়ে ফেরার পরপরই প্রথমে জনা পঞ্চাশেক লোক তাদের আক্রমণ করে এর পরে বাইরে থেকে খবর দিয়ে তারা আরও দেড় দুইশ লোক নিয়ে হামলা চালায় । মালোপাড়ায় ঢুকতেই প্রথম বাড়ীটিতে আগুন ধড়িয়ে দেয় বাধা দিতে গেলে দু জনের মাথায় বাড়ি দেয় এবং একজনের পা রড দিয়ে পিটিয়ে ভেঙে দেয় । এর পরে একে একে দা , রড , লাঠি নিয়ে তারা ভাঙচুর এবং বাড়িঘর , ঠাকুর ঘর , সব কুপিয়ে পুড়িয়ে দেয় । এক মেয়ের সাথে কথা হল ও ক্লাস নাইনে পড়ে । ও এক ভয়াবহ তথ্য দিল “ দিদি ইজ্জৎ নিয়া বাচিছি” । আমি নির্বাক, মাথা নিচু করে ছিলাম খানিকটা সময় । ওর দিকে তাকাবার সাহস আমার হয়নি । এক দিদি বললেন ওরা 'মালাউন' বলে চিৎকার করে দা নিয়ে ওদের পেছনে ছুটেছে আর বলছে দাড়া তোদের ভোট দেয়া ছুটাচ্ছি ।

মহিলা, বৃদ্ধ , বাচ্চারা , আতঙ্কিত হয়ে নদীর পাঁড়ে চলে যায় ওখান থেকে নৌকা করে ঔ পাড়ে চেয়ারম্যান যিনি লীগ মনোনীত প্রার্থী তিনি তাদের আশ্রয় দেন এবং তার লোকজন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিহত করে । পরবর্তীতে সরকার কঠোর নির্দেশ দিলে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় ।

আমার প্রশ্নটা ছিল তাহলে আগে কেন চেয়ারম্যান , লীগের মনোনীত এমপি রণজিৎ বসু চুপ ছিলেন । ওখানকার ইউএনও নাম সিফাত বেগম । উনি এই প্রশ্নের উত্তর দিলেন যে ওনারা সঙ্গে সঙ্গে একশনে গেছেন । তবে যেহেতু এটি আইনি প্রক্রিয়া কিছুটা বিলম্ব হয়েছে । চার জন কে এরেস্ট করা হয়েছে আর বাকিদের বিরুদ্ধে দ্রুত একশন নেবার জন্য তার উপর প্রেশার আছে ।
সবার সাথে কথা বলে আমার যেটা মনে হয়েছে জামাত বিএনপি আক্রমণ করে আর প্রশাসন “আইনি জটিলতার” কারণ দেখিয়ে ঢিলামি করে এর ফল ভোগে ঐ সব নির্যাতিত মানুষ ।

অন্যকথা
কল্লোল মোস্তফা একটা রিপোর্ট করেছেন , যার শিরোনাম “যশোরের মালোপাড়ার হিন্দুরা: আ.লীগের হামলার অভিযোগ এবং একটি সরেজমিন তদন্ত”।
আমি উত্তরে লিখেছি , মিথ্যা বলার একটা সীমা থাকা উচিৎ , হেডলাইন দেখে প্রথম আলোর মিথ্যাচার এর কথা মনে পড়ে গেল । ঐ দিন ছিলাম আমি ওখানে, কল্লোল ভাই এর সাথে চোখাচোখি হয়েছে কয়েকবার । পঁয়ত্রিশ পরিবারের সাথে কথা বলেছি । আমার কাছে ভিডিও ফুটেজ আছে । তাদের নিরাপত্তার কথা ভেবে প্রকাশ করি নি । যাই হোক
আওমীলীগ হামলা করেছে এ কথা তারা কেউ বলেনি বরং ভোট দিতে যাবার অপরাধ ছিল তাদের । তারা সবাই বলেছে আওয়ামী বিরোধীরা হামলা করেছে । বর্তমানে তারা এও হুমকি দিচ্ছে “ বাপেরা ক্ষমতায় আর কয়দিন , এর পরে দেখি তোরা কই যাস" ।

প্রাথমিক ভাবে প্রশাসন নিশ্চুপ ছিল এটা সত্যি তবে বর্তমান পরিস্থিতি ভিন্ন । হামলা ঠেকাতে যে চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি নিজে লীগের যারা আহত হয়েছে তারাও লীগার । লীগের দোষ ধরুন ঠিক আছে কিন্তু দোষ না থাকলেও দোষ ধরা , কেমন যেন সতীনের প্রতি বিদ্বেষ টাইপ আচরন মনে হয় । আজকাল লীগের বিরুদ্ধে কিছু লিখলেই নিউজ হিট হয় , ভিউয়ার বাড়ে । কল্লোল মোস্তফা পন্ডিত জন । ওনার রিপোর্ট এর হেড লাইন ছিল , “ যশোরের মালোপাড়ার হিন্দুরা: আ.লীগের হামলার অভিযোগ এবং একটি সরেজমিন তদন্ত” - খুবই অযৌক্তিক । তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হল , উনি কেন লিখলেন না ঐ চেয়ারম্যান এর কথা ?

ওনার লেখাটা তিন বার পড়লাম এবং অবাক হলাম এই তথ্যগুলো ইচ্ছা করে দেননি । এগুলা কি ?

আমি ওখানে ঐ দিন না থাকলে হয়ত তার কথা বিশ্বাস করে লীগ কে চরম গালি দিতাম কিন্তু যেহেতু সত্যটা জানি তাই প্রতিবাদ করলাম । আমি একা না আমার সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের আরও চার জন , সাথে সুব্রত শুভ ছিল । আমি মিথ্যা বলতে পারি । ওরা ,আর আমার ক্যামেরা নিশ্চই মিথ্যা বলবে না । একটা ভিডিওর খানিকটা অডিও করে দিলাম। ইচ্ছা ছিল না কারন তাদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে । কিন্তু পণ্ডিত জন বলে কথা । তাই ঝুঁকিটা নিলাম তবে সতর্কতা রক্ষা করেই দিয়েছি ।

অডিও

ফড়িং ক্যামেলিয়া


মন্তব্য

তানিম এহসান এর ছবি

চলুক চলুক

হিমু এর ছবি

কলু মোস্তফার পেটব্যথা হলেও সে বলবে আওয়ামি ব্যাকটিরিয়ার আক্রমণে তার পেটে সমিস্যা।

ঈয়াসীন এর ছবি

চলুক

------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।

অতিথি লেখক এর ছবি

হাততালি চলুক

সুবোধ অবোধ

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক

রাসিক রেজা নাহিয়েন

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

চলুক
বদলে যাওয়ার ঠিকানা বাড়ছে দিন দিন।

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

কোন একটা কারণে এসব প্রসঙ্গে উনাদের মিথ্যাচার সাম্প্রতিককালে মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে পলিটিকাল রোল পালন করছেন- কিন্তু নেগেটিভ রোল।
-আমিনুল করিম মাসুম

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

চলুক চলুক
আরও কত কি যে দেখতে হবে, শুনতে হবে ভাবছি ...

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক

মিথ্যাচারের সব সীমা-পরিসীমা বোধহয় পেরিয়ে গেছে এখন বাংলাদেশে। আর সত্য মিথ্যে যাই হোক সব ক্ষেত্রেই আওয়ামিলীগের বিরুদ্ধে দুই-চারটি সমালোচনা না করলে এখন আর প্রগতিশীল এবং নিরপেক্ষতার সার্টিফিকেট পাওয়া যায় না। সুশীল সহ কমবেশি সবাই এখন প্রগতিশীল আর নিরপেক্ষ হওয়ার লাইনে দাঁড়িয়ে গেছে।

মাসুদ সজীব

স্যাম এর ছবি

সচলে স্বাগতম! আশা করি আরো লিখবেন।

শেহাব এর ছবি

সাধে কি আর আমি এই লেখাটি লিখেছি?

'রামপাল বুকলেট সিনড্রোম': হারিয়ে যাওয়া পাটিগণিত

স্যাম এর ছবি

চলুক চলুক

সাম্য এর ছবি

অডিও লিঙ্কটা কাজ করছে না

--------------------------------
বানান ভুল থাকলে ধরিয়ে দিন!

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

সবাই আছে তাদের নিজের ধান্ধায়। এরকম মুখোশ খুলে দেয়া লেখা আরও আসা দরকার।

অডিওটা শুনতে পাচ্ছি না কেন?

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

স্যাম এর ছবি

আমি পাচ্ছি - বা এটা চেষ্টা করে দেখতে পারেন কবি - http://tinyurl.com/otj3gmr

সাউন্ডক্লাউড সাময়িক ঝামেলা করছে মনে হয়।

চরম উদাস এর ছবি

দিনশেষে উপলব্ধি একটাই - রামছাগল আর বামছাগল এর মধ্যে পার্থক্য একটা ফুটার। প্রথমটার নিচে ফুটা আছে বলে যখন খুশী পুটুর পুটুর ল্যাদাইতে পারে। দ্বিতীয়টার নিচে ফুটা নাই বলে ল্যাদাইতে পারে না, ল্যাদা জমতে জমতে নিজেই পুরা ল্যাদা হয়ে যায় একসময়।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

হিমু এর ছবি

কলু কিছুদিন আগে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে সরকার ঘেরাওয়ের জন্য বিম্পিজামাতরে ডাকাডাকি করছিলো। এখন সে মালোপাড়ায় গিয়ে আবিষ্কার করেছে সব দোষ আম্লীগের।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

হো হো হো

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

তারেক অণু এর ছবি
সাফিনাজ আরজু এর ছবি

দেঁতো হাসি

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

আয়নামতি এর ছবি

চলুক

[quoteবদলে যাওয়ার ঠিকানা বাড়ছে দিন দিন।]

সহমত মন খারাপ

এক লহমা এর ছবি

চলুক অত্যন্ত জরুরী লেখা। সচলে স্বাগতম।
কল্লোল মোস্তফার রিপোর্ট-টা পড়ে এলাম। আপনার লেখাটি না পড়া থাকলে মনে হত জামাত শিবির বি এন পি-র সাথে নয়, আওয়ামী লীগ এর সাথেই এক মঞ্চে আছে। এই ধরণের প্রতিবেদনগুলির যে দুটো প্রধান উদ্দেশ্য -
(১) সত্যকে যদি ধামাচাপা না দিতে পারা যায় তবে তাকে গুলিয়ে দাও, যাতে প্রকৃত অপরাধী ক্রমাগত আড়ালে চলে যাওয়ার সুযোগ পায়।
(২) যে কোন জায়গায় যে কোন গন্ডগোল, সে যেই করুক, দোষী দাঁড় করাও আওয়ামী লীগকে।
এই দুটো উদ্দেশ্যই পূর্ণ করতে পুরোদমে লড়ে গেছেন ঐ প্রতিবেদক।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

ঘটনা যা-ই হোক না কেন, আওয়ামী লীগকে অপরাধী হিসেবে প্রচার করলে একটা সুবিধা পাওয়া যায়। তখন আলোচনার ফোকাস আসে আওয়ামী লীগের ওপর। আওয়ামী লীগ দোষী, না নির্দোষ - এটা নিয়ে ক্যাচাল লাগে কনফিউজড-সুশীল ভার্সেস কুশীলে। মাঝখান থেকে পার পেয়ে যাওয়া বিএনপি-জামায়াতের ছাগুরা মুচকি হাসে, আর তাদের ভাড়া খাটা শেয়ানা-শুশীলরা টেকাটুকা পকেটে পুরে নেক্সট প্রোজেক্টের খোঁজে নেমে পড়ে।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

এক লহমা এর ছবি

হ্যাঁ, সেইটাই।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

অতিথি লেখক এর ছবি

লীগের টুকু আর আব্দুল ওহাবের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ ওটাকে কিভাবে দেখবেন? আর নির্বাচনে যেহেতু ভোট গুলো লীগের পক্ষে যাচ্ছে তাদের এমনিতেই উচিত নয় কি যারাই ভোট দিচ্ছে তাদের সাহায্য করা।আপনি হয়তো ওখানে গেছেন। আক্রমণের সময় ও আগে বারবার প্রশাসনের সাহায্য চেয়েও সাহায্য পায় নি মানুষ। এটাকে কিভাবে ব্যখা করবেন।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

ফার্স্ট থিং ফার্স্ট।
বাংলাদেশে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা কেনো আক্রমনের শিকার হবে, আগে আপনে সেইটার ব্যাখ্যা দেন। প্রশাসন, টুকু-ওহাবের ব্যাপারে ব্যাখ্যা পরে চাইয়েন।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

লীগের টুকু আর আব্দুল ওহাবের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ ওটাকে কিভাবে দেখবেন?

বাঁশের কেল্লা ভিজিট কম করেন।

আর নির্বাচনে যেহেতু ভোট গুলো লীগের পক্ষে যাচ্ছে তাদের এমনিতেই উচিত নয় কি যারাই ভোট দিচ্ছে তাদের সাহায্য করা।

বিএনপির ভিডিও বিবৃতিগুলো মুখস্ত কম করেন।

আক্রমণের সময় ও আগে বারবার প্রশাসনের সাহায্য চেয়েও সাহায্য পায় নি মানুষ।

নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার স্বপ্নাচ্ছন্ন স্বর্গ থেকে বাস্তবের মর্ত্যে আসেন।

তাহলে,

এটাকে কিভাবে ব্যখা করবেন।

তাফসীর নিজেই করতে পারবেন।

যারা আওয়ামী লীগের ভোটব্যাঙ্ক, আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রীরা ভোটের দিনই তাদের ওপর গণ-আক্রমণ করে! শেখ হাসিনা নিজেই নিজের জনসভায় আর্জেস গ্রেনেড মারে! রাজাকার জোটের ডাকা হরতাল-অবরোধ সফল করতে আওয়ামী লীগই পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ পোঁড়ায়! বাংলাদেশে পুলিশের ব্যাপক ক্ষমতা - ছাগ-অধ্যুষিত এলাকায় তারা সারাদিনের নির্বাচনের ডিউটি শেষে 'কুন' বলার সাথে সাথেই সংঘবদ্ধ অ্যাটাক মোকাবেলা করে ফেলবে মিনিটের মধ্যেই! একজন মাত্র মানুষের নরওয়ের দেড়-দুই ঘন্টার কিলিং, ইংল্যান্ডের গ্যাং অ্যাটাকের চিত্র হাওয়ামে উড়তা যায়!

তবে চিত্তে প্রশান্তির জন্য অবশ্যই প্রথম আলো ভিজিট করবেন।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

এক লহমা এর ছবি

চলুক

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

হাসিব এর ছবি

আওয়ামী লীগের কোনপ্রকারে গালি দেবার সুযোগ পেলে বামাতিদের ঈদ লেগে যায়।

অতিথি লেখক এর ছবি

আরও কত কিসিমের হিপক্রেটের দেখা মিলবে কে জানে ! এইসব ল্যাদারুসের ঠ্যালায় জীবন অতিষ্ট রেগে টং

তাহসিন রেজা

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

বলেছেন বিনীত জবাব, কিন্তু আমার মতে আসলে এসব --দের গালে (এবং অন্যান্য কিছু বিশেষ জায়গায়) সপাটে চড় দিয়ে লাল করে দেয়া দরকার। সেজন্য এধরণের তথ্যসমৃদ্ধ লেখা বিশেষ জরূরী। আপনাকে অজস্র ধন্যবাদ।

____________________________

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক

কড়িকাঠুরে

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক চলুক চলুক
অভিমন্যু .
________________________
সেই চক্রবুহ্যে আজও বন্দী হয়ে আছি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।