টি টুয়েন্টি বিশ্বকাপ ও কিছু প্রাসঙ্গিক ভাবনা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ০৪/০২/২০১৪ - ১:০৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আসছে টি টুয়েন্টি বিশ্বকাপে গত ক্রিকেট বিশ্বকাপের মত বাংলাদেশে প্রচুর বিদেশী আসবে। ঢাকা শহর কখনই বিদেশী বা পর্যটক বান্ধব শহর না। ক্রিকেট বিশ্বকাপে এসেছিল এমন ২জন বিদেশী বন্ধু কাম পর্যটকের সাথে কথা বলে জেনেছি বাংলাভাষা বিষয়ক জটিলতার কারণে এখানে চলা বেশ কষ্ঠকর।
বিশেষ করে ঢাকা শহরের বাসগুলো, যেখানে সব বাসের গন্তব্যস্থলগুলো খাঁটি বাংলা আবার কখনও ভুল বাংলাতে লেখা থাকে।
১.
বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে এয়ারপোর্ট থেকে শাহবাগ এবং শাহবাগ থেকে মিরপুর স্টেডিয়াম, গুলশান থেকে মিরপুর, গুলশান থেকে এয়ারপোর্ট যাওয়া বিভিন্ন বাসে বাংলার পাশাপাশি গুরুত্ব দিয়ে পাবলিক বাসে ইংরেজিতে বিভিন্ন স্থানের নাম লেখা উচিত। যদিও পর্যটকদের বিশাল একটা অংশ ব্যক্তিগতভাবে ট্যাক্সিক্যাব ব্যবহার করে, কিন্তু টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপে বিদেশী দর্শকদের সংখ্যা বৃদ্ধিপাবে, যা ট্যাক্সিক্যাব বা সিএনজিতে মেটানো সম্ভব নয়।

২.
এয়ারপোর্ট থেকে শাহবাগ এবং শাহবাগ থেকে মিরপুর স্টেডিয়াম, গুলশান থেকে মিরপুর, গুলশান থেকে এয়ারপোর্টের রাস্তার চারপাশের দোকানগুলোতে বাধ্যতামূলকভাবে বাংলা ও ইংরেজিতে সড়কের নাম লেখার নিদের্শ দেয়া উচিত। আমার নিজের দুবারের ভারত ভ্রমণ থেকে বলতে পারি দিল্লীতে যখন পশ্চিম বিহার অঞ্চলে কোন ঠিকানা খুঁজে পাই নি তখন হিন্দির পাশে লেখা ইংরেজি ভাষা বুঝে খুঁজে পেয়েছিলাম আর্জেন্টিনা ও কলম্বিয়ার দূতাবাস।

৩.
বাংলাদেশে বিদেশীদের প্রতারণার করার সংবাদ তেমন না পাওয়া গেলেও সর্তকতা গ্রহন করা উচিত। এয়ারপোর্ট থেকে শাহবাগ এবং শাহবাগ থেকে মিরপুর স্টেডিয়াম, গুলশান থেকে মিরপুর, গুলশান থেকে এয়ারপোর্টের রাস্তার নির্দিস্ট দূরত্ব পর পর আর্মি চেকপোস্ট বসিয়ে বিশেস তথ্যসেল করার চেষ্টা নেয়া যেতে পারে। সুদান, সিয়েরা লিওনে শান্তিরক্ষী হিসেবে কাজ করা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী একাজটা সফলতার সাথেই করতে পারে।

৪.
বেনাপোল দিয়ে অনেক বিদেশী বাংলাদেশে প্রবেশ করে। আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে দেখা আরিচা ঘাট পর্যন্ত কোথাও কোন স্থান নির্দেশক ইংরেজিতে লেখা ছিল না, যা দেখে বুঝবে জাপানিজ তরুণ-তরুণী দুইটা বাংলাদেশে আসছে। স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের পর থেকে কোথাও কোন ইংরেজিতে স্থান নিদের্শনা না থাকাটা আমাদের বাংলাভাষা প্রেমকে প্রকাশ করে না, অসচেতনাকেই প্রকাশ করে।

৫.
টি টুয়েন্টি বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে এরই মধ্যে মিরপুরের রাস্তাগুলো আর্মি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ২নং ব্যাটেলিয়ন দিয়ে সংস্কার করা হচ্ছে। রাস্তা সংস্কারের পাশাপাশি বাংলাভাষা ও ইংরেজিভাষাতে স্থান ও দিকনির্দেশক ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে লাগানো হউক।

ছবি: 
24/08/2007 - 2:03পূর্বাহ্ন

মন্তব্য

সাফি এর ছবি

পুলিশের কাজ আর্মি চেকপোস্ট বসিয়ে কেন?

বাংলা ইংরেজী মিলিয়ে সাইন বানানো যেতে পারে, কিন্তু তার চেয়ে মনে হয় সহজ হবে বিভিন্ন এলাকার ম্যাপ নিয়ে পুস্তিকা বানিয়ে সেটা বিতরণ করলে। বা এরকম তথ্য সহযোগে ওয়েবসাইট বানালে। আজকাল সবারই স্মার্ট ফোন। এমন একটা এপ বানিয়ে ফেললে জিপিএস সুবিধেও কাজে লাগানো যাবে।

অতিথি লেখক এর ছবি

সেনাবাহিনীর চেক পোস্ট বসিয়ে তথ্যসেল করার চেয়েও আরও ভালো কিছু করা যায়।

আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ লেভেলের ছাত্ররা দেশের জন্য এটুকু করতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস।

চারপাশের দোকানে বাধ‌্যতামূলকভাবে ইংরেজিতে নাম লিখতে বাধ্য করাটা একটু বেশি বেশি মনে হচ্ছে। তার চেয়ে বরং প্রয়োজনীয় পয়েন্টগুলোতে ব্যানার লাগানো যায়। You are here চিহ্ণযুক্ত ম্যাপ লাগানো যায়।

প্রয়োজনে মোবাইল থেকে ডায়াল করলে পাওয়া যায় এমন হটলাইনের (ইংরেজিতে) ব্যবস্থা করা যায়।

লেখকের জন্য:
১। অতিথি লেখকের নাম/ নিক দিন।
২। ফার্মগেট মোড়ের ছবিটা কি অর্থে দিয়েছেন সেটা ঠিক বোঝা গেল না। এখানে ফার্মগেট শব্দটা লেখা নেই তা বোঝাতে চাচ্ছিলেন কি?

আমার মতে, এই জায়গার নাম ফার্মগেট সেটা লিখে বোঝানো আনন্দ সিনেমা হল, বা বাংলালিংক ব্যানারের না।
সিনেমা হলটা আগামি কয়েক বছরের মধ্যে বহুতল ভবনে পরিণত হতে পারে, ব্যানারের জায়গাটা অন্য কোম্পানি ভাড়া নিতে পারে। তখন কে নেবে এই দায়িত্ব?
বরং, এটা যে ফার্মগেট সেটা সিটিকরপোরেশন চাইলেই ওভারব্রিজের গায়ে লিখে দিতে পারে, সড়ক দ্বীপে খুঁটি বসিয়ে লিখে দিত পারে।

শুভেচ্ছা হাসি

[মেঘলা মানুষ]

অতিথি লেখক এর ছবি

গত রাতে লেখাটা তাড়াহুড়ো করে লেখি। কিন্তু সচলে কিভাবে অতিথি লেখকের নাম বা ছবি যোগ করে তা বুঝে উঠতে পারি নাই।
অনেকক্ষন চেস্টা করছি, কিন্তু কিছুই পেলাম না।
১.
বিএনসিসি বা স্কাউটের শিক্ষার্থীদের বিশ্বকাপের ১৫/২০দিন একাজে নিয়মিত ব্যবহার করা যেতে পারে।
২.
ওভারব্রিজ বা বিভিন্ন স্থানে ইউ আর হেয়ার টাইপের ম্যাপ রাখা যেতে পারে।
৩.
বিভিন্ন জায়গা ইনফরমেশন কিয়োস্ক বসানো যেতে পারে।

[আশা]

অতিথি লেখক এর ছবি

সচলে নাম দেবার জন্য বিশেষ কিছু করার দরকার নেই।

লেখার নিচে ছোট্ট করে নাম/নিক লিখে দিলেই হয় (যেমনটা আপনি বা আমি করছি)।

আরেকটু বড় পরিসরে দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য আপনার সাজেশনগুলো পত্রিকার চিঠিপত্র কলামে পাঠান।
এতে হয়ত সংশ্লিষ্ট লোকদের নজরে পড়বে।

শুভেচ্ছা হাসি
[মেঘলা মানুষ]

অতিথি লেখক এর ছবি

চিন্তিত

ইউক্লিড

সত্যপীর এর ছবি

যা দেখে বুঝবে জাপানিজ তরুণ-তরুণী দুইটা বাংলাদেশে আসছে। স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের পর থেকে কোথাও কোন ইংরেজিতে স্থান নিদের্শনা না থাকাটা আমাদের বাংলাভাষা প্রেমকে প্রকাশ করে না, অসচেতনাকেই প্রকাশ করে।

জাপানের রাস্তায় কি ইংরেজি সাইন থাকে? জাপানিজ তরুণ-তরুণী দুইজন বাংলাদেশে ইংরেজি সাইন আশা করে থাকলে মুশকিল। আর জাপানের রাস্তাঘাটে তারা যা ইংরেজি বলতে পারে ঢাকার রাস্তায় তার চেয়ে ঢের ভালো ইংরেজি বলনেওলা লোক পাওয়া যায়।

..................................................................
#Banshibir.

ধুসর গোধূলি এর ছবি

আপনার ভাবনা ভালো লাগলো। যাইহোক, টেনশনের কিছু নাই। ৯৮ সালে বাংলাদেশে/ঢাকায় একটা মিনি বিশ্বকাপ হইছিলো সেসময়ের সবগুলো টেস্টখেলুড়ে দেশের অংশগ্রহণে। এবং বাংলাদেশ বেশ ভালোভাবেই সেটা আয়োজন/ব্যবস্থাপনা করেছিলো। এর সাথে গত ওয়ানডে বিশ্বকাপের অভিজ্ঞতা তো আছেই। এবারের টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজনও খুব সুন্দর করে বাংলাদেশ সম্পন্ন করবে।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।