সচলের লেখক/পাঠকরা তো ঘোরাঘুরি কম করেন না। আমাদের নেতা তারেক অণুর সুযোগ্য নেতৃত্বে ভূ-পর্যটক ও জল-পর্যটক সচলদের সাথে আমরা ঘুরে এসেছি আলাস্কা থেকে দক্ষিণ আমেরিকা, খেয়েছি গরুর ১নং চাপ, ইউরোপের গ্রামের পথ চষে বেড়িয়েছি, বরাফাচ্ছাদিত পর্বতশৃঙ্গ জয় করেছি, দেখেছি সোনালি ইলিশ। এককথায় দেখা বাকি আছে, করা বাকি আছে এরকম জিনিসের সংখ্যা এখন অনেক কমে এসেছে। আর যেগুলো বাকি আছে সেগুলো করাটাও তো সহজ সাধ্য না। যেমন, ধরুন এখন পর্যন্ত কোন সচলের কেউ মহাশূণ্যে ঘুরতে যেতে পারিনি। (উড়োজাহাজে চড়ে মহাশূণ্যের কাছাকাছি গিয়েছি অবশ্য সবাই।)
গম ভানতে হৃদয় খানের গান বাদ দিয়ে এবার আসল কথায় আসি। সচলে ভ্রমণ পোস্টের মান এতই ভালো যে সচলদের কোথাও ঘুরিয়ে আনতে আমন্ত্রণ জানাতেও অনেক ভয় হয়। কোথায় আলাস্কা, সোয়াচ আর কোথায় ঢাকা-বরিশাল-ঝালকাঠি লঞ্চযাত্রা । তবুও, সাহস করে গল্প বলে যাই। যারা কখনই লঞ্চে চড়েন নি, তারা কিছুটা মজা হয়ত পাবেন।
ঢাকার লঞ্চে বেশিরভাগেরই যাত্রা শুরু হয় সদরঘাট থেকে। সদরঘাটের মূল বিল্ডিংয়ের সাথে পন্টুন (যেটার সাথে লঞ্চ ভেড়ে) একটা ব্রিজ দিয়ে আটকানো থাকে। এতে করে পানি বেড়ে গেলে বা কমে গেলে পন্টুন আর মূলভূমির সংযোগ ঠিকই টিকে থাকে, কিন্তু সংযোগকারী ব্রিজ কখনও একদিকে ঢালু হয়, কখনও সমান্তরাল হয়ে যায়। লঞ্চে ওঠার পরপরই পাশে দেখতে পেলাম দীপরাজকে। দীপরাজ যতদূর শুনেছি বেশ পুরোনো এবং নামকরা লঞ্চ।
নদীতে অনেক নৌকাতেই সাজান থাকে নানান রকম পসরা। নোকাটা ভাসমান, তবে সে বাল্ব জ্বালানোর জন্য তার ঠিকই টেনে নিয়েছে ঘাট থেকে। জলের মানুষ, ডাঙার মানুষ - সবাই তার খদ্দের।
মানুষ ছুটে চলেছে তাকে গন্তব্যে নিয়ে যাবে এমন লঞ্চের সন্ধানে, যে যার মত। আর একটু খেয়াল করলেই দেখতে পাবেন পল্লীবন্ধু (!) এরশাদ সবাইকে সালাম দিচ্ছেন।
পাশেই একটা লঞ্চ পাওয়া গেল যেটার মালিকের ছোটবেলার বাসনা ছিল একটা উড়োজাহাজের মালিক হওয়া। সেই স্বপ্ন বাস্তব না হলেও লোকটা প্লেনের সাধ লঞ্চে মিটিয়ে নিয়েছে। অবশ্য লঞ্চের পাইলটকে বলতে ভুলে গিয়েছিল যে তার প্লেনের নাকের উপর যেন কাপড় না শুকানো হয়।
লঞ্চের পাশে লঞ্চ দাঁড়িয়ে থাকলে মনে হবে যেন গায়ে গায়ে লাগানো অনেকগুলো ৩-৪ তলা বিল্ডিং, সবার ছাদও পাশাপাশি।
লঞ্চ থেকে লঞ্চে যারা ফেরি করে জিনিসপত্র বিক্রি করে, তারা আক্ষরিক অর্থেই ঝুঁকি নিয়ে করে। আমার ধারণা ছিল যে, এরা এক লঞ্চ থেকে লঞ্চে যাবার জন্য নিচে নেমে আরেকটা লঞ্চে ওঠে। বাস্তবে, এরা এক লঞ্চের তিনতলা থেকে পাশের লঞ্চের তিনতলায় রেলিং ধরে চলে যায়। আবার, অনেক সময় লঞ্চের পাশে 'ধাক্কা লাগার' যে অংশটুকু থাকে সেটা ধরে হেঁটে চলে এরা।
লঞ্চই সম্ভবত একমাত্র বাহন, যেটার একটার সাথে আরেকটা ধাক্কাধাক্কি করা খুবই সাধারণ ঘটনা! আরেকটা আশ্চর্যের বিষয় হল, মাঝ নদীতে ধাক্কা লাগার আগে সাধারণত: দুই লঞ্চের যাত্রীদের মাঝে হৈ হৈ আওয়াজ শোনা যায়। এটা আতংক থেকে না, বরং "আরেকটা লঞ্চকে ধাক্কা দিয়ে দিলাম" এই জাতীয় আত্মতৃপ্তি(!) থেকে। এর কারণে দুর্ঘটনাও ঘটে অনেক সময়।
লঞ্চের পাটাতনে যার যার চাদর বিছিয়ে মানুষের ঘুমানোর ব্যবস্থা করে মানুষ। অন্য অনেক যানবাহনের (যেমন বাসের) মত লঞ্চেরও সামনে বা পেছনের দিকে 'আরামের' পার্থক্য আছে, সামনের দিকে এঞ্জিনের আওয়াজ কম হয়, এঞ্জিনের কাছকাছি পাটাতনের যাত্রীদের বেশ শব্দের মাঝেই ঘুমুতে হয়। একারণে লঞ্চের কর্মচারীরা লঞ্চে সামনের দিকে পাটাতনে চাদর ফেলে জায়গা দখল করে রাখে, পরে যাত্রীদের কাছে অল্প কিছু টাকার বিনিময়ে সে জায়গা ছেড়ে দেয়, তারপর আরেকটু পেছনে চাদর বিছিয়ে জায়গা দখল করে রাখে।
লঞ্চ ছেড়ে দেবার পর, বৃহত্তর ঢাকা পার হবার পর থেকে আস্তে আস্তে নদী তীরের আলো কমে আসতে থাকে, একসময় কেবল নদীতে থাকা মাছ ধরা নৌকার আলো দেখা যায়, আকাশের নক্ষত্ররা সামিয়ানা হয়ে থাকে, আর চাঁদ থাকলে তো কথাই নেই। এটা বর্ণনাতীত কিছু একটা!
গভীর রাতে নিঝুম ট্রেন স্টেশনে ট্রেন আসার পর যেমন একটা কর্মচাঞল্য তৈরি হয়, তেমন করেই মাঝখানের ছোট লঞ্চঘাটে লঞ্চ এসে ক্ষণিকের ব্যস্ততা তৈরি করে দিয়ে আবার চলে যায়।
বোনাস: সুন্দরবন না গিয়েও হরিণ দেখা হয়ে গেল। জনৈক হঠাৎ ধনী হয়ে যাওয়া ব্যক্তির বাসায় গিয়ে মিনি চিড়িয়াখানায় হরিণ আর পাখির দেখা মিলল।
জানা গেল যে, এই লোকটা নাকি ১৯৯৭-৯৮ এর দিকে চাকরির খোঁজে ঢাকায় আসে। এক দশক পরে তার অর্থবিত্ত এই আকার ধারণ করেছে। এটা তার অবকাশকালীন বাগান বাড়ি। নিন্দুকেরা অবশ্য বলে, লোকটা নাকি ঢাকায় বসে জাল টাকা ছাপায়!
যাই হোক, জালটাকা থেকে এবার জলে ফেরত আসি। ছোট লঞ্চঘাটগুলোতে মানুষ কম, তাতে করে মানুষগুলোকে আলাদা করে দেখা যায়। কেউ কেউ এসেছে আত্মীয় বন্ধুকে বিদায় দিতে। লঞ্চঘাটে ঢুকতে যদিও টিকিট কিনতে হয়, এসব ছোট লঞ্চঘাটগুলোতে যদি কেউ বলে "আমি যাত্রী না, আমি আরেকজনের জন্য এসেছি" তাহলে, বিনা টিকেটে ঢোকা যায়। (যেটা সদরঘাটে হবে না)। কেউ কেউ ঢাকা থেকে লঞ্চে করে মোটর সাইকেল নিয়ে যান, সেগুলোও ঢাকার ফিরতি লঞ্চে ওঠে। ঢাকায় পাঠানোর জন্য বস্তায় বস্তায় মালপত্রও ওঠে।
তবে, ঘাটে লঞ্চ ভেড়ার সাথে সাথে আগে আগে ওঠার জন্য একটা হুটোপুটি
বেঁধে যায়।
ভালই চলছিল সবকিছু, মাঝরাতে হঠাৎ ঘন্টা হইচই শুনে উঠে পড়লাম। প্রচন্ড কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা অনেক কমে এসেছে। নদীর বুকে কুয়াশার কারণে এক আধিভৈতিক পরিবেশ তৈরি হয়েছে, নদীর মাঝখানে কয়েকটা লঞ্চ নোঙর ফেলে একে অপরের সাথে দড়ি বেঁধে দাঁড়িয়ে থাকার সিদ্ধান্ত নিল। একে একে পাঁচটি লঞ্চের একটা ছোট গ্রাম তৈরি হয়ে গেল।
ভুতুড়ে কুয়াশা, শ'খানেক গজ দূরের লঞ্চটাও কেমন যেন অন্য কিছু মনে হয়।
মাঝনদীতে পাশে পাওয়া লঞের যাত্রীরা যেন হঠাৎ করেই যেন প্রতিবেশী হয়ে যায়। টুকটাক বাক্য বিনিময়ও চলে।
বাকি রাতে আর একচুলও নড়ার সম্ভাবনা থাকলো না। পরেরদিন সকালে উঠেো দেখি বেশ কুায়াশা, লঞ্চের সামনের জায়গায় কয়েকজনকে পাওয়া গেল যারা চাকরির পরীক্ষা দিতে ঢাকা যাচ্ছিলেন, হতচ্ছারা কুয়াশার কারণে যথাসময়ে পৌঁছানো নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তারা।
একটু পরে অবশ্য কুয়াশা কিছুটা কমে আসলো, নদীর বুকে পাঁচটি লঞ্চের সমন্বয়ে হঠাৎ তৈরি হওয়া ছোট জনপদ আবারো টুকরো টুকরো একে একে হয়ে ভেসে চলল।
এরমাঝে একটা নৌকা এল তীর থেকে পাউরুটি বিক্রি করার জন্য। লঞ্চ সকালেই ঢাকায় পৌঁছে যায়, তাই সাধারণত লঞ্চে নাস্তা করার প্রস্তুতি থাকে না কারো।
এই পাউরুটিওয়ালার ব্যবসায়িক বুদ্ধি প্রশংসা করার মত! সঠিক সময়ে সঠিক জায়গায় হাজির হওয়াটা একটা বড় গুণ।
এরপর অবশ্য কয়েকঘন্টা পরেই বাকিটা পথ পাড়ি দিয়ে ঢাকায় এসে পৌছে গেলাম।
কিছু টুকটাক (যারা লঞ্চে একেবারেই চড়েননি তাদের জন্য):
১। ঢাকা থেকে দক্ষিণে যেতে রাতে স্রোতের আনুকূল্য পাওয়া যায়। একারণে, ঢাকা থেকে যেতে যে সময় লাগে, ফিরে আসতে বেশ খানিকটা সময় বেশি লাগে।
২। বড় লঞ্চে নিরাপত্তার জন্য আনসার বাহিনীর সদস্যরা থাকেন। তাদের লঞ্চের সাথে সাথেই ঘুরে বেড়াতে হয়। লঞ্চে ডাকাতির ঘটনাও ঘটে, তবে সাম্প্রতিক বছরে এরকম ঘটনা সম্ভবত ঘটে নি।
কারো ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে মাঝনদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ার ঘটনাও ঘটে। এদের জন্য নাকি নির্ধারিত জায়গায় নৌকা অপেক্ষা করে!
৪। লঞ্চে সরকার নির্ধারিত ভাড়া লেখা থাকে। তবে, ঈদ ব্যতীত বাকি সময়গুলোতে এর চেয়ে কম ভাড়াতেই যাত্রী বহন করে লঞ্চগুলো!
(সময়কাল: ডিসেম্বরের শেষের দিকে)
[মেঘলা মানুষ]
আগের লেখা: নগরনামা
মন্তব্য
আমিও ঝালকাঠির। অনেকবার ই লন্চে যাওয়া হয়েছে। আপনার বর্ননা সুন্দর হয়েছে।
--তন্ময়---
ধন্যবাদ আপনাকে, তন্ময় -পড়ার জন্য এবং মন্তব্যের জন্য।
আপনার জন্য সম্ভবত কোন নতুনত্বই নেই লেখাটায়। যারা কখনই লঞ্চে চড়েন নি তাদের হয়ত কিছুটা নতুন কিছুর স্বাদ আছে। সত্যি বলতে কি
ভাল থাকুন, শুভেচ্ছা
গরুর এক নম্বর চাপ কোথায় পাওয়া যায় তা নিয়েদ্বিমত আছে।
লঞ্চযাত্রা নিয়ে আমার অনেক সুখস্মৃতি আছে। আপনার লেখা পড়ে আবেগে আপ্লুত হলাম।
ব্লগ প্রিভিউ দেখে নিলে পোষ্টটি আরেকটু সুন্দর ভাবে সাজিয়ে নিতে পারতেন। টেক্সট আর ছবি মিলেমিশে আগোছালো হয়ে গেছে।
......জিপসি
প্রিয় জিপসি,
আপনার লেখাটাও পড়া ছিল, ওটাও খুঁজেছিলাম। আপনার লেখায় ১২ নম্বর কমেন্টটা আমার ছিল।
গুগলে বাংলায় "গরুর ১নং চাপ" লিখে অনেকার চাপাচাপি করলাম, খুঁজে পেলাম না (আপনারটার শিরোনাম ছিল এরকম চাপ নাম্বার ওয়ানের )। পরে তারেক অণুর চাপ(!) টাকে আপাতত ওয়াকওভার দিয়ে লিংক দিয়ে দিয়েছিলাম। আমি মনে মনে অপেক্ষা করছিলাম যে, কখন সেই লেখক এসে উরুগুয়ের চাপের সন্ধান দিয়ে যান।
প্রায় ১০-১৫ বার প্রিভিউ দেখে, তারপর পোস্ট সাবমিট করেছি; সমস্যা কোথায় হচ্ছে বুঝতে পারছি না। আরও, একজন বললেন ছবি ঠিকমত আসছে না। আমি ক্রোম, এক্সপ্লোরার দুটো দিয়েই খুলে দেখলাম, আমার ক্ষেত্রে ঠিকই দেখাচ্ছে , ঘটনা রহস্যজনক
ভাল থাকুন, জিপসি।
শুভেচ্ছা
[মেঘলা মানুষ]
পুরা একটা দিন নস্টালজিয়ায় ডুবে রইলাম। কত মধুর লঞ্চ যাত্রার স্মৃতি উঁকি মারছে হৃদয়ে। আমার শহুরে দাদীমা বছরে একবার যেত বরিশালে জমি ইজারার টাকা বুঝে আনতে। তাঁর মুখে শুনতাম এম ভি সাগর লঞ্চের অতিরঞ্জিত বর্ণনা, বড় হয়ে তাঁকে সঙ্গে নিয়েই করেছি অনেকবার ষ্টীমার যাত্রা(বড় লঞ্চকে আমার দাদীমা ষ্টীমার বলত)। পাটাতনে চাদর বিছিয়ে রাত কেটেছে আমাদের, একটুও খারাপ লাগেনি।
ঢাকা-বরিশাল রুটে রকেট লঞ্চ বলেও এক নৌ-যান ছিল, দুটির নাম এখনও মনে আছে এম ভি টার্ন আর এম ভি মাসুদ।
মামা বাড়িতেও যেত হত লঞ্চে চেপে, কিন্তু সে আকারে অনেক ছোট। শুধু দিনের বেলা লঞ্চ ছাড়ত সেই ঢাকা-বান্দুরা রুটে। সবগুলি ঘাটের নাম এখনও মনে আছে। এখন আর সেই রুটে লঞ্চ চলে না, বাসে চেপে দুই ঘণ্টায় ঢাকা যাওয়া যায়। কালের গর্ভে বিলুপ্ত হয়ে গেছে আমার শৈশব স্মৃতি। আনাড়ি হাতে একবার কিছুমিছু লিখেও ফেলেছিলাম সেই মধুর স্মৃতি নিয়ে।
আপনাকে আবারও অনেক ধন্যবাদ, ভাল থাকবেন।
……জিপসি
আপনার লেখাটা পড়েছি। আপনার বর্ণনায় অনেক কিছু জীবন্ত হয়ে উঠে এসেছে। ছোট লঞ্চের যাত্রার ধরণটা আলাদা। ওয়ানডে ক্রিকেট যেমন টেস্ট ক্রিকেটের মেজাজ থেকে ভিন্ন -অনেকটা সেরকম
রকেট লঞ্চগুলো নাকি বিদেশে ফেরী ছিল, বাংলাদেশে এসে এগুলোর ভূমিকা বদলে যায়।
সবচেয়ে বিখ্যাত ছিল "গাজী স্টিমার"। সম্ভবত পত্রিকায় একবার পড়েছিলাম, 'গাজী' যদি সোজা পথে চলত, তাহলে নাকি সাতবার পৃথিবী চক্কর দেয়া হত। ওটা তৈরি হয়েছিল ত্রিশের দশকে!
ভালো থাকুন, শুভেচ্ছা
[মেঘলা মানুষ]
চমৎকার!
লঞ্চের ডেকে একবার মাঝদরিয়ায় এমন বাতাস দিলো যে কথা নাই বার্তা নাই আমার চোখ দিয়ে পানি ঝরা শুরু করে দিল, মুইছা কুল পাইনা এমনই চোখ জ্বলতেছিল
লঞ্চভ্রমণ ভালু পাই।
..................................................................
#Banshibir.
হুম , এরকম বাতাসের কথা শুনেছি।
পীর থাকলে টেনশন নাই
পীরসাবরে হাদিয়া আর শুভেচ্ছা
[মেঘলা মানুষ]
১। শিরোনাম লঞ্চনামা না হয়ে নদী নামা হলো কেনু?
২। লেখাতে পোষ্ট টা যতটা দুর্দান্ত হয়েছে ছবিতে ততটাই অগোছালো মনে হলো!
লেখা চলুক, শুভেচ্ছা।
মাসুদ সজীব
১। নামকরণের কোন স্বার্থকতাই নেই , আগেরটা নগরনামা ছিল, তখনই নাম ঠিক করে রেখেছিলাম এরপর নদীনামা। লঞ্চনামা বা ঘাটনামাও হতে পারত। অনেকটা, জামালের ছোটভাইয়ের নাম কামাল রাখার মত ব্যাপারটা।
২। ছবিগুলো খুবই সাধারণ মানের, কেবল লেখাকে সঙ্গদেবার জন্য দেয়া। সত্যি বলতে, ছবিগুলোতে আমি নিজেও সন্তুষ্ট না।
এটা ভ্রমণ + ছবি পোস্ট হয়নি, ছবিগুলো এনেছি কেবল 'বাড়তি' হিসেবে।
সবই তোলা হয়েছে কোডাকের লো-এন্ডের পয়েন্ট এন্ড শুট "ইজিশেয়ার" ক্যামেরায়। কাজেই, স্পিড, সেন্সেটিভিটির অভাবে অনেক কিছুই অধরা হয়ে গিয়েছিল। কিছু কিছু মোশন ব্লার অবশ্য ইচ্ছাকৃত।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ, মাসুদ সজীব।
শুভেচ্ছা
[মেঘলা মানুষ]
চাঁদপুরের মাইয়া হবার সুবাধে লঞ্চে চড়া হইছে ব্যাপক, তবে আপনার লেখা পইড়া সব হুড়মুড় কইরা চোখের সামনে চলে আসলো যেনো।লেখা ভালো লাগছে মেঘলা মানূষ, তবে ছবিগুলা আর ও ভালো হইলে আর ও ভালো লাগতো।
অনেক ধন্যাদ আপনাকে পড়ার জন্য। লঞ্চ আসলেই একটা মজার বাহন।
ছবির মান যে খুবই সাধারণ সেটা আমি নিজেই বুঝেছি পোাস্ট করার আগেই। ভাল ছবি দিতে পারলে লেখাটা আরও ভালো হত ছবিগুলো দিয়েছি কেবল লেখাকে সঙ্গ দেবার জন্য দেয়া। সত্যি বলতে, ছবিগুলোতে আমি নিজেও সন্তুষ্ট না।
আশা রাখছি পরের পোস্টে এই দুর্বলতা কাটিয়ে উঠব।
শুভেচ্ছা আপনাকে
[মেঘলা মানুষ]
আমি একবার বরিশাল গেছিলাম, জার্নিটা আসলেই অনেক সুন্দর ছিল।
আপনার লিখা সেই স্মৃতি মনে করিয়ে দিল।
ফেরার পথে সকালে লঞ্চের খিচুড়ি আর ইলিশ ভাজা খেয়েছিলাম, সেটাও মনে পড়ল। এই দুরদেশে এখন ইলিশ কোথায় পাই?
আশা করি পরের পোস্টে সুন্দর সব ছবিও দেখতে পাব।
শুভেচ্ছা নিবেন।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
নদীর বাতাস নাকি ক্ষুধা বর্ধক। নদীতে বসে আপনি যে স্বাদ পাবেন, সেটা ডাঙায় বসে পাবেন না।
শুভেচ্ছা
[মেঘলা মানুষ]
চমৎকার সুখপাঠ্য লেখা। খুব উপভোগ করেছি। আর তাকচাদা* ক্যামেরায় যে ছবিগুলি তুলেছেন, লেখার সঙ্গতকারী হিসেবে তাদের সাধ্যমত কাজ তারা ভালভাবেই সম্পন্ন করেছে। মনে থাকবে এ লেখা।
*তাকচাদা = তাক করো, চাবি দাবাও
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
তাকচাদা ?!? চমৎকার নাম দিয়েছেন তো পয়েন্ট অ্যান্ড শুট এর
আর, আপনি ডিএসএলআর কে কি বলে ডাকেন জানতে আগ্রহ হচ্ছে। ওটা কি তাকফোকঅ্যাশাচাদা* ?
*তাক করো, ফোকাস করো,অ্যাপারচার, শাটার (তারপর) চাবি দাবাও
লেখা উপভোগ করেছেন জেনে খুব আনন্দিত হলাম।
আপনাকে শুভেচ্ছা
[মেঘলা মানুষ]
ডিএসএলআর: সব নামকরণ তো আর এক ছন্দে কি এক ধরণে হবে না দাদা! তাকচাদা ক্যামেরায় বিশেষ কারিকুরীর সুযোগ নাই। বিপরীতে ডিএসএলআর-এ সুযোগ-ই সুযোগ। কিন্তু সব সুযোগ-ই দাম-নির্ভর। যেমন টাকা ঢালবেন তেমন তুলতে সুযোগ পাবেন। তাই ডিএসএলআর হচ্ছে 'যেদাতেতো' = যেমন দাম তেমন তোলো।
আর কি, এবার তবে একটা যেদাতেতো ক্যামেরা বাগিয়ে বেড়িয়ে পড়ুন
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
দাদাভাই, তুমি তো দেখি বস লুক।
হবে নাকি একটা অভিধাননামা?
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
লেখা ভালো লাগলো মেঘলা মানুষ। আরো লিখুন।
এক লহমার "তাকচাদা" আর "যেদাতেতো" জটিল লাগলো।
অট: যেদাতেতো কেন যেন আইভানহোর কথা মনে করিয়ে দিলো! দেসদিচাদোর জন্য কি? মানুষের মন বড়ই বিচিত্র!!
____________________________
অনেক ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
মানব মন বড়ই বিচিত্র!
শুভেচ্ছা
[মেঘলা মানুষ]
সর্তকীকরন বিজ্ঞপ্তি: ইহা একজন হিংসিত মানুষের আক্ষেপজনিত মন্তব্য। যে কখনো লঞ্চ/ইশ্টিমারে চড়েনাই এবং চাইলেই এখন আর দুম করে বাংলাএকাডেমি(সোহরাওয়ার্দী'র) বইমেলা যাইতে পারে না
বুঝি না আসলে লুকজনের ক্রিয়াকম্মো! আরে বাবা না হয় এট্টু লঞ্চে চড়িয়া ভ্রমণ করেছেন তাই বলে পুস্ট লিখে ফেলতে হবে?
লঞ্চ কোন চড়ার মত বস্তু হইল নাকি সচলের বেপারসেপার একটুও বুঝিনা বাপু! বইমেলা গেছি তো বগল বাজাতে বাজাতে
কী বই কিনলাম না কিনলাম, কার সাথে ধাক্কা খাইয়া জীবন ধন্য করলাম ইত্যাদি নিয়ে নানান কাহিনি! কাহাতক সহ্য হয় রে!
যত্তসব ফালতুকাজে সময় নষ্টের টেনিদা/বেনিদি একেকজন। লাইনে আসুন। দেশ ও জাতি নিয়ে চিন্তাশীল বেপারে আত্ম নিয়োগ করুন এবং লেখুন। এইটা যদি মেঘলা মানুষের প্রথম লেখা হয় তো তার জন্য অনেক শুভেচ্ছা। তবে লেখা পড়িয়া পিত্তি জ্বলিয়াছে খুশি হইনাই এট্টুও হিংসুকদের মুখে ছাই দিয়ে লিখতে থাকুন।
আপনার কমেন্ট পড়ে মজা পেলাম।
আসলে, আমরা কোথাও যাই না, শুধু দেখতে যাই, এখানে তাড়েকাণু এসে বসে আছে কিনা!
যাই, ছাই যোগাড় করে আনি (দুর্জনদের মুখে দেবার জন্য)
শুভেচ্ছা
[মেঘলা মানুষ]
লেখা ভাল হৈসে, আরো লেখো।
অফটপিক: তোমার আর রিসালাত বারীর আলাপ দেইখা মজা পাইসি। তোমরা দুই জন দুইজনরে চিন নাই নাকি?
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
নতুন মন্তব্য করুন