কার কপালে যে কি লেখা আছে তা কেউ বলতে পারে না, বুঝলে বাবা। দেখি হাতটা একটু টান টান করে ধরো তো। হুঁ! বিয়েটা সমস্যা করবে তোমার। তা তোমার তো বিয়ে হয়েছে। এই বলে ধব ধবে ফর্সা প্রভাস জ্যোতিষী চোখ ছোট করে, ভ্রূ-যুগল আকাশে তুলে চীনেম্যান সুলভ এক হাসিতে মুখ ভরিয়ে ফ্রিজ হয়ে গেলেন।
নবেন্দু মাথা নেড়ে সায় দিয়ে অপেক্ষা করতে লাগল পরবর্তী ব্যাখ্যার জন্য। লোকটা ঠিক ধরেছে তো!
তা বিবাহিত জীবন কেমন বুঝছ? মিল মিশ আছে? না ঝুট-ঝামেলা হচ্ছে?
আজ্ঞে ঐ জন্যেই তো আপনাকে ধরেছি। বড় অশান্তি হচ্ছে। বউ ঘন ঘন বাপের বাড়ী গিয়ে ঊঠছে। একবার গেলে সহজে আর এমুখো হতে চায় না। আমার ভাগ্যে ক’টা বিয়ে ঐটা একটু ভাল করে দেখুন না।
প্রভাস জ্যোতিষী এক ধাক্কায় নবেন্দুর হাত ঠেলে সরিয়ে খিল খিল করে হাসতে হাসতে সামনে ঝুঁকে পড়ে। নবেন্দু ঘাবড়ে গিয়ে একটু অপ্রস্তুত হয়ে পড়ে। কথাটা বলা কি ভুল হল!
শোন বাবা, সুখ দুঃখ সব কপালের ব্যাপার। আগে সেখানকার প্যাঁচগুলো সরল করতে হবে, সুখ আসার রাস্তার যত খানা খন্দর সব মেরামত করতে হবে। না হলে সুখ কি উড়োজাহাজে আসবে? এবং প্রভাস হঠাৎ গম্ভীর হয়ে আবার নবেন্দুর হাত ভাল করে নিরীক্ষণ করতে থাকে।
ফিস ফিস করে নবেন্দুর কানের কাছে মুখ নিয়ে বলে, শরীরে যদি কোন সমস্যা থাকে সেটাও খুলে বলতে পারো। খুব ভাল দৈব ওষুধ দিতে পারি। হাই ডোজ, সুপার অ্যাকশন! বউ তোমার কেনা গোলাম হয়ে থাকবে। এর বেশী আর ভেঙ্গে বলব না বলে আবার প্রভাস চিনে হাসি ঝরায়। নবেন্দু কি বলবে ঠিক বুঝে ঊঠতে পারে না। তা ছাড়া সে সবে যে কোন অসুবিধা আছে তা তো নয়। আসল ব্যাপার হচ্ছে তার বৌ উষ্ণ মাথার মেয়ে। বাবা মায়ের একমাত্র কন্যা হলে যা হয়! সে বাড়ীতে ও যা বলত সবাই তা মেনে নিত। এ বাড়ীতে তা কি করে হবে? তার মা আছে, বোন আছে, এক ভাই আছে- সবাইকে নিয়ে চলতে হবে। কিন্তু ওর কথা হচ্ছে ও কারো সুবিধা অসুবিধা বুঝবে না। ও যেটা ঠিক মনে করবে সেটাই শেষ কথা।
কি লজ্জা পাচ্ছ? সকলেই লজ্জা পায়। তবে কি জানো, ডাক্তার আর জ্যোতিষীর কাছে কিচ্ছু লুকোতে নেই; লুকোলে পস্তাবে। তোমার বৌ হচ্ছে হস্তিনী শ্রেণী, ওসব বৌ ধরে রাখতে গেলে ওষুধ পত্র ব্যবহার করতে হবে।
আজ্ঞে তাতে কি সত্যি কাজ হবে?
একশ বার হবে, হাজার বার হবে। কতজনের কত কাজ হল আর তোমার হবে না মানে? আমার নাম প্রভাস, বাপ বলাব আর হওয়াব। তবে হ্যাঁ, উপযুক্ত দক্ষিণা বাবা দিতে হবে কেননা এই টা আমার পেশা।
আজ্ঞে কত খরচ হবে?
অন্যজনের হলে তিন হাজার এক টাকার কমে কস্মিন কালে রাজী হতুম না কিন্তু তোমার কথা আলাদা। তুমি পড়েছো ভাগ্যের মারে। তুমি শঠ, প্রবঞ্চক তো নয়। তুমি শক্তি লাগাবে ভাল কাজে, মহৎ উদ্দেশ্যে। তা যাকগে! তোমার জন্য দর দিলুন ৫০১ টাকা। যাও তুমি এবার ভেবে দ্যাখো। আর হ্যাঁ, ওষুধ নেওয়া না নেওয়া তোমার ব্যাপার। জোর আমি কাউকে করিনা। এই হাত দেখার ফি দেবে ৩০ টাকা।
আর কি দেখলেন একটু বলুন। সে না হয় দিচ্ছি।
প্রভাস আর হাতের দিকে গুরুত্ব দিতে রাজী হল না। তোমার শুক্র, শনি, চন্দ্র, বৃহষ্পতি দূর্বল আছে। গ্রহশান্তি করতে হবে। দাম্পত্য সুখের জন্য যে দাওয়াই দেব সেটা নিয়মমত ব্যবহার করতে হবে।
গ্রহশান্তির কথা শুনে নবেন্দু চিন্তায় পড়ে। চার চারটে গ্রহ সব শালা যখন বেঁকে বসেছে তখন খরচা আরও বাড়বে সে তো বোঝাই যাচ্ছে।
না, না, না। ঐ এক খরচে সব করে দেব। আমার নাম প্রভাস, সব রাস্তা আমার জানা আছে। আর তুমি হচ্ছ গিয়ে একজন ভাল লোক। তোমার সঙ্গে আমার আলাদা হিসেব। এই বলে প্রভাস ডান হাত বাড়িয়ে সেই চিনেম্যান হাসিটা আবার ব্যবহার করে।
নবেন্দু ৩০ টাকা প্রভাসের হাতে দিয়ে বলে, খুড়ো, বাকি টাকা ওষুধ নেবার দিনে দেব। কবে আসব ওষুধ নিতে?
প্রভাস টাকাটা পকেটে রেখে বলে, কাল এমন সময়েই আসবে। তবে বাবা, কিছু অ্যাডভ্যান্স করতে হবে কারণ ওষুধ প্রস্তুতের খরচ আছে। নবেন্দু আরও একশ টাকা দিয়ে খুড়োর আশীর্বাদ নিয়ে ঊঠে পড়ে। মনে বেশ বল পাচ্ছে সে। প্রভাস অভিজ্ঞ জ্যোতিষী অন্ততঃ অনেকেই সেই কথা বলে। শুধু লোকটা একটু খামখেয়ালী এই যা দোষ!
নবেন্দুর বৌ হল টুম্পা। ২১ বছরের একটু ভারী গড়নের শ্যামবর্ণ, সুশ্রী তবে গম্ভীর টাইপের মেয়েছেলে। পড়াশুনায় ভাল না মন্দ তা বোঝবার কোন উপায় নেই কেননা বই, পুস্তক, ম্যাগাজিন এসবের সঙ্গে তার কোন সম্পর্ক নেই। ছোট ভাই ক্লাস নাইনে পড়ে, নতুন বৌদি গ্রাজুয়েট শুনে একটু সাহায্য নেবার জন্য ঘুর ঘুর করত তা একদিন তাকে কড়া ভাষায় বলা হল, দাদাকে বল প্রাইভেট টিউটর রেখে দিতে আমার তোমার পেছনে বক বক করার মত সময় নেই। অফিস থেকে বাড়ী ফেরার পর যথারীতি নবেন্দুর কাছে রিপোর্ট হল। কিন্তু নবেন্দুর কি করবার আছে! তার আবার লিকপিকে চেহারা, ওসব মাথা গরম মাল দুম করে হাত চালিয়ে দিলে তার আবার সি এল ড্যামেজ হবে। অথচ ঐ বৌদি আবার ক্রিকেট খেলার বল কেনার চাঁদা যোগাতে দরাজ হস্ত। আজ পঞ্চাশ দাও, কাল একশ দাও দাবীর অন্ত নেই। ভাইয়ের হাত খরচার বিষয়ে খবর নিয়ে জানা গেল বৌদি নাকি সেটা নিয়মিত দিয়ে থাকে। বোনের তরফ থেকেও টাকা পয়সা চাওয়া হয়না কারণ বৌদির কাছে চাইলে পাওয়া যায়। ফলে বৌদির বিরুদ্ধে তাদের কোন অভিযোগও নেই আর তাদের কাছ থেকে বিবাদ বিসংবাদে কোণ হেল্প ও পাওয়া যায়না। মায়ের ব্যাপার আরো রহস্যের। কখনও তিনি নবেন্দুর দিকে তো কখনও তিনি সরাসরি বৌমার পক্ষ নেন। খুব সম্ভবতঃ মহিলারা কোন নির্দিষ্ট স্ট্যান্ড কখনই নেন না। পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যাট করাই ওদের স্বভাব।
অফিস থেকে সোজা বাড়ীতে আসতে হবে। কারণ বাড়ী থাকতে কেন বাইরে আড্ডা দেবে তুমি? আর অত আড্ডাবাজ যখন বিয়ে করে একটা মেয়ের জীবন কেন নষ্ট করা হয়েছে? ফলে আগেকার যোগাযোগ সব মমি হতে বসেছে। আর বাড়ী এলেও কোন লাভ নেই। এককাপ চা ঠক করে বসিয়ে দিয়ে তিনি নানা কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়বেন আর নয়ত টিভি খুলে বসে থাকবেন। লোডশেডিং হলে মোবাইল টেপাটেপি চলবে। এবং ওর মোবাইলে হাত দেওয়া যাবে না। ওতে নাকি অনেক প্রাইভেট ব্যাপার আছে। বিয়ে করেছে বলেই সে কি দাসত্ব নিয়েছে? তার কি প্রাইভেট ব্যাপার থাকতে পারেনা। দূর শালার প্রাইভেট! নিকুচি করেছে তোর সন্ধ্যে বেলায় বাড়ী ঢোকা! এমনিতেই প্যাংলা লোকের রাগ বেশী হয়। তা নবেন্দু বৌ এর সঙ্গে সংঘাত এড়িয়ে চলে বলে তার যে রাগ নেই তা তো নয়। সে দস্তুরমত পুরুষ মানুষ। গায়ে গত্তি আজ নেই তো কাল হয়ে যাবে তখন সে শারীরিক বিবাদে যেতে দ্বিধা করবে না কিন্তু যতদিন তা না হচ্ছে ততদিন চলবে কৌশলী লড়াই। সেটা চালাতে গিয়েই সমস্যা শুরু হয়েছে। হঠাৎ বাপের বাড়ী যাবার তোড়জোড়। কেন? কি ব্যাপার? কি আবার তার কি মাকে, বাবাকে দেখার ইচ্ছা হতে পারে না। প্রথম দিকে দু চারদিনেই রাগ জুড়িয়ে যেত তারপর হুকুম হত কখন কটার সময় তাকে নিয়ে আসতে হবে। কিন্তু এবার প্রায় একমাস হল গিয়ে উঠেছে আর কোন উচ্চবাচ্চ নেই। মধ্যে একবার শ্বশুরবাড়ী গিয়ে বউয়ের আচরণে নবেন্দুর সরল মনে বড় আঘাত লেগেছে। আদরের পরিবর্তে জুটেছে অবহেলা। যে আশা নিয়ে বড়মুখ করে সে গিয়েছিল সে আশায় ছাই দেওয়া হল এবং শ্বশুর-শাশুড়ী এমন ভাব দেখালেন যে মেয়ে দু চারমাস বাপের বাড়ী থাকবে তা যেন অতি স্বাভাবিক।
কোথাও একটা কিন্তু রয়েছে। সেই কিন্তুটা নবেন্দু ধরতে পারছে না। তা এবার দেখা যাবে প্রভাসের টোটকায় ওর ঐ দেমাক ভেঙ্গে খান খান হয় কি না!
কালীবাড়ীর পাশেই প্রভাস একখানা ছোটঘর ভাড়া নিয়ে মানুষের হিতসাধন ব্রত উদযাপন করছে। আগে সে ফৌজদারী কোর্টের কাছে বসত। তবে এখানে তার কারবার ভাল চলছে। এ খুব জাগ্রত কালীবাড়ী। পুজো, মানসিক লেগেই থাকে। মানুষ খুব একটা ধৈর্য্যশীল প্রাণী নয়। তার চটজলদী সমাধান চাই। মায়ের কৃপা পেতে দেরী হলে লোক ভাগ্য ট্রাই করতে তার কাছে হাজির হয়। ভাগ্য জানা মানে তোমার জীবনে কি কি বাধা বিপত্তি আছে সেসব জানা। জেনে তো কোন লাভ নেই যদি না সেটা তুমি নিয়ন্ত্রণ করতে পারো। অতএব এক্সট্রা রোজগারের সুযোগ তৈরি করাই সাফল্যের মূল সূত্র। অ্যালোপ্যাথি, হোমিওপ্যাথি, যোগ, তন্ত্র, জড়ি বুটি এসব আসলে কি? এসব হচ্ছে মানুষের গবেষনার উত্তম ফসল। তা এসব প্রয়োজন মত মিক্সচার করে প্রয়োগ করাই হল সর্বোত্তম সাফল্যের চাবিকাঠি। সেই সাফল্যের দরজা প্রভাসের জন্য খুলতে শুরু করেছে।
আজ এসেছেন এক নব বিবাহিতা বধু। সঙ্গে বয়ষ্ক কাউকে না এনে একাই চলে এসেছে্ন।
প্রভাস গঙ্গাজলে আচমন করে সযতনে তার হস্তরেখা বিচারে অগ্রসর হয়েছে।
তা কি সমস্যা তোমার মা?
সমস্যা আমার বর।
বুঝলাম। তবে সমস্যাটা কি নিয়ে?
অবাধ্যতা নিয়ে। আমার বর আমি যা বলি তার উল্টোটা করে। কি করলে বরকে বশ মানানো যাবে তাই করুন।
প্রভাস চৈনিক হাসিতে মুখ উদ্ভাসিত করে বলে, মা, সে যে বশীকরণের ব্যাপার। তার খরচা আছে।
কত খরচা? মেয়েটি মুখ তুলে জিজ্ঞাসা করে।
তা বলে বেশী লোভ ভাল নয়। প্রভাস নিজেকে বোঝায়। কারণ কাজ হবে কি না হবে তা অনিশ্চিত। আবার খরিদ্দার ফস্কানোর সুযোগ দেওয়াও চলবে না।
তা ধর হাজার এক টাকার কমে তো বশীকরণ হয় না। ওটাই সর্বনিম্ন রেট।
বেশ তাই দেব। আপনি এমন করুন যেন আমার জীবনে শান্তি ফেরে। যে বর আগে আমার সব কথা শুনত সে যেন আবার আগের মত হয়ে যায়। পারবেন করতে?
পারব বই কি মা পারব বৈ কি! তবে আপনার বরের একটা ফটো চাই মা জননী।
মেয়েটি ধীরে ধীরে তার পার্স খুলে তার ভেতর থেকে একটি ছবি বার করে প্রভাসের হাতে তুলে দেয়।
হায়! হায়! দর বড্ড কম বলা হয়ে গেছে! আফশোসে বুক ফেটে যেতে চায় প্রভাসের। এ তো সেই সেদিনের সেই ছেলে নবেন্দুর ছবি!
মনোবর
মন্তব্য
গল্প এগিয়েছে চমৎকার, তরতর করে। অন্তিম পর্বে টুম্পা-প্রভাস অংশটা আগে থাকতেই বোঝা যাচ্ছিল। ঐরকম কোন ঘটনার জন্যই প্রত্যাশা তৈরী হয়ে গিয়েছিল। তার ফলে উপসংহারের জমাটি হয়ে ওঠাটা মার খেয়ে গেছে (আমার কাছে, অন্য পাঠকের কাছে সেটা নাও হয়ে থাকতে পারে)।
সব মিলিয়ে ভাল লেগেছে। পরের গল্পে আরো ভাল লাগবে, এই আশায় রইলাম।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
হ্যাঁ, ঠিকই বলেছেন।
চেষ্টা করব।
ধন্যবাদ!
মনোবর।
ভাল লাগল। তবে শেষ টা আর একটু ভাল করা যাইত।
সামুরাই
ভাল লাগার জন্য ধন্যবাদ!
চেষ্টা রাখব ভাল করবার।
ধন্যবাদ!
মনোবর
বড্ড বাঁচা বেঁচে গেলেন
এ বাক্যের আগে 'খুব সম্ভবত' শব্দের জন্য
যদিও সব পুরুষের হাসিই গমগমে কিনা জানা নেই, তবুও খিলখিলে হাসতে শুনি/পড়ি মেয়েদের ক্ষেত্রে; সেখানে প্রভাসের খিলখিল হাসিটা একটু কানে লাগলো যেন(এটা একান্তই আমার মত)! শেষটাতে মজা পেয়েছি কিন্তু
আপনার নামটা আরেকটু স্পেস রেখে দিন প্লিজ(নামের অর্থ কি 'যে মনে মনে বর? )
গল্পের শিরোনামে উত্তরাধুনিকতা আনুন একটু, মানে এমন নাম দিন পাঠক নামের মধুতে মৌমাছির মত গুনগুনিয়ে এসে ঢুকে পড়ে পোস্টে। সত্যি বলছি, আমি ভয়ে ভয়ে পোস্টে ঢুকেছিলাম যে এটা মা'কে নিয়ে কোন বিষন্ন ধরনের লেখা হবে। পটর পটর করলাম বলে বিরক্ত হবেন না প্লিজ। আরো লেখুন।
এটা আমিও বলতে চাইছিলাম, শিরোনামগুলো একটু অন্যরকম হলে পাঠক পড়ার আগ্রহ বেশি পায়।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
ঠিক ঠিক! শিরোনাম দেখেই প্রথম পড়ার আগ্রহ জন্মায়। কিন্তু যখন আপনি দেখলেন এটা বিষন্ন ধরনের লেখা নয় তখন আপনি প্রসন্ন হলেন কিনা তাড়াহুড়োর মাথায় সেটা লিখতে ভুলে গেছেন। ওটাও তো লিখবেন না কি!
ধন্যবাদ!
মনোবর।
পটর পটর? আমার তো মনে হচ্ছে নাইটিঙ্গেলের গান শুনছি। শোনাবেন, সময় করে শোনাবেন। এইসব শুনব বলেই তো লেখালিখি করি। প্রভাস আসলে একটু মেয়েলি ঢঙ্গেই হাসিটা দেয় তাই 'খিল খিল' করেছি। আর শিরোনামের বিষয়ে ভাল পরামর্শ দিয়েছেন। শিরোধার্য্য।
ধন্যবাদ!
মনোবর।
ও হো! আয়নামতি কে নামের ব্যাপারটা বলা হয়নি। মন রূপ বর, রূপক কর্মধারায় হিসেবে সামাস বদ্ধ পদ হিসেবে কি নামটা চালান যাবে? বর মানে এখানে boon বুঝতে হবে আর কি!
বাঁচা গেল বাবা! আমি তো ভয়ে ছিলাম মনোবর, আপনি না আবার সচল বরাবর আমার নামে অভিযোগ করে দেন
অহেতুক পটরপটরের জন্য আহা আপনার মত সব্বাই যদি বুঝতো আমি নাইটিঙ্গেলের মত গাইতে জানি
নামের অর্থটা দুষ্টুমি করে জানতে চেয়েছিলাম। অনেক ধন্যবাদ আমার কথা সহ্য করবার জন্য। নিয়মিত লিখুন
চীনেম্যান সুলভ হাসিটা কেমন? এর কি কোন বিশেষ অর্থ আছে?
টুম্পার বর্ণনা দেবার সময়ে "মেয়েছেলে" শব্দটা ব্যবহার না করলে চলতো না? এটাতো গল্পের কোন চরিত্রের মুখের ভাষা নয়, পাথকের সাথে টুম্পার পরিচয় করিয়ে দেয়া হচ্ছে। ঐ একটা শব্দ ব্যবহারে পুরো প্যারাটাই পড়তে খারাপ লাগছে। (অবশ্য এটা একান্তই আমার ব্যক্তিগত মতামত)।
" যে বর আগে আমার সব কথা শুনত" - গল্পের কোথাও কিন্তু বর আগে কথা শুনত, পরে কথা শোনা ছেড়ে দিয়েছে এমনটি পেলাম না। আমি কি কোন কিছু মিস করে গেলাম নাকি?
লেখা বরাবরের মত ভালো লেগেছে। লিখতে থাকুন।
____________________________
না, বিশেষ অর্থ নেই। লোকটা চীনেম্যানের মতই হাসে। যে ভাষায় নবেন্দু চিন্তা করেছে সেই ভাষাই ব্যবহার করেছি। মেয়েছেলে এই কারণে ব্যবহৃত। আগে বউয়ের কথামত তাড়াতাড়ি বাড়ী আসত সেই ইঙ্গিত গল্পে আছে।
তবে খুঁটিয়ে লক্ষ্য করার জন্য ধন্যবাদ!
মনোবর।
বাহ্! আপনি খাসা লেখেন তো!
চালিয়ে যান মশাই।
শুভকামনা
------------------------------------------
'আমি এখন উদয় এবং অস্তের মাঝামাঝি এক দিগন্তে।
হাতে রুপোলী ডট পেন
বুকে লেবুপাতার বাগান।' (পূর্ণেন্দু পত্রী)
হ্যাঁ, চালাব। আপনারা যখন উৎসাহিত করছেন তখন দু চারটে গল্প না হয় লিখেই ফেলি।
ধন্যবাদ!
মনোবর।
নতুন মন্তব্য করুন