আজ, আজ না গতকাল ২০ তারিখ বই মেলায় বিভিন্য স্টলে ঘুরতে ঘুরতে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে একটি স্টলের সামনে দাঁড়ালাম। সবই বঙ্গবন্ধু বিষয়ক বই। এরমধ্যে একটা দেখলাম বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে তাঁর জীবনের বিভিন্য সময়ের ওপর আঁকা বিভিন্য শিল্পীদের আঁকা কিছু ছবি যা ছোটদের জন্যে প্রকাশিত হয়েছে। ছোট বোনের জন্যে কিনবো কি কিনবো না ভাবতে ভাবতেই ভেবে দেখলাম আমি নিজেও তো ছোট। এই ছবিগুলা কিনলে ছোট বোনের সাথে আমার চাহিদাও পুরন হয়ে যাবে। ভাবনাটা শেষ হওয়ার আগেই কিনে ফেললাম ছবিগুলো। এখানে তাঁর মধ্যে নয়টা ছবি শেয়ার করা হল। বাকিগুলোও আস্তে ধীরে শেয়ার করা হবে।
১) শিল্পীঃ সামিনা নাফিজ
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যার আরেকটি ছোট নাম খোকা। শৈশব থেকেই খোকা দুঃখী ও গরীব মানুষের প্রতি দরদী।
২) শিল্পীঃ ফরিদা জামান
খোকা টুঙ্গিপাড়া গ্রাম ছেড়ে বাবার কার্যালয় গোপালগঞ্জে চলে যাচ্ছে। সেখানে ভালো স্কুলে ভর্তি হবে। মা, ছোট ভাই-বোন ও গ্রামের বন্ধুদের ছেড়ে যেতে খুব খারাপ লাগছে তার।
৩) শিল্পীঃ বিশ্বজিৎ গোস্বামী
খোকা ফুটবল খেলা ভালোবাসতো। ফুটবল ছিলো তার প্রিয় খেলা।
৪) শিল্পীঃ কামালুদ্দিন
গ্রামের মানুষের নানা সমস্যার সমাধানেও সব সময় সাহসের সঙ্গে এগিয়ে যেতেন খোকা। একবার একটি ঘটনা নিয়ে হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। দাঙ্গা হাঙ্গামা ও মারামারি থামাতে কিশোর শেখ মুজিব তার ফুটবল দলের বন্ধুদের নিয়ে ছুটে দুই ধর্মের মানুষের মাঝখানে দাঁড়ান। তারপর সাহসের সঙ্গে দুই দলকে বুঝিয়ে দাঙ্গা থামিয়ে দেন।
৫) শিল্পীঃ আতিয়া ইসলাম এ্যানি
স্কুলের এক শিক্ষকের সাংঘাতিক রকমের বসন্ত রোগ হওয়ায় তাঁর আপনজনেরাও তাকে সেবা করতে খুব ভয় পান। সে সময় কলেরা ও বসন্ত রোগ হলে মানুষ ভয় পেয়ে যেতো। ছোঁয়াচে রোগ হওয়ায় সেবাকারীরাও অনেক সময় আক্রান্ত হয়ে মারা যেতো। কিন্তু সব ভয় ও ভাবনাকে পেছনে ফেলে নিজের শিক্ষককে দিন-রাত সেবা-যত্ন করে সুস্থ করে তোলেন কিশোর শেখ মুজিব।
৬) শিল্পীঃ সুশান্ত অধিকারী
এনট্রান্স পরিক্ষা উত্তির্ন হবার পর শেখ মুজিব কলকাতার ইসলামিয়া কলেজে ভর্তি হন উচ্চ শিক্ষার জন্য। সেই সময় সারা ভারতে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন চলছিলো। কংগ্রেস ও মুসলিম লীগ দীর্ঘদিন ধরে এই সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। নিজের জন্মস্থান গোপালগঞ্জে মুসলিম লীগের শাখা সংগঠন গড়ে তোলেন তরুন ছাত্রনেতা শেখ মুজিবুর রহমান।
৭) শিল্পীঃ রবিউল ইসলাম
তরুন নেতা শেখ মুজিব জনদরদি হিসেবে সর্বত্র পরিচিত। একবার রাজনৈতিক কাজে গভির রাতে নৌকাযোগে রওনা দিয়েছেন। সেই সময় নদীতে প্রায়ই ডাকাতি ও লুটতরাজ হত। নদীপথে কিছুদূর যাওয়ার পর ডাকাত দল তাঁর নোউকার পিছু নেয় এবং হুংকার দিয়ে নৌকা থামাতে বলে। মাঝি ভয়ে কাতর হয়ে জিজ্ঞাসা করল – হুজুর কি করবো? শেখ মুজিব নির্ভয়ে বললেন – তুই ওদের কথায় কান না দিয়ে জোরে জোরে চালিয়ে যা। নৌকা না থামায় ডাকাতরা খুব খেপে গেলো। অনেকক্ষন নৌকা বেয়ে ডাকাতরা সহেখ মুজিবের নৌকার কাছে এসে পড়লে, শেখ মুজিব মাঝিকে বললেন - এবার বল এটা শেখ মুজিবের নৌকা। সঙ্গে সঙ্গে ডাকাতদের হুংকার ও হম্বি তম্বি বন্ধ হয়ে গেলো। নরম সুরে বলল – সে কথা আগে বলবি তো।
৮) শিল্পীঃ আব্দুল মোমেন মিল্টন
দুটি সময়ের বিষয় দেখানো হয়েছে এই ছবিতে। শেখ মুজিবকে ভালবাসতেন জনদরদি নেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী। শেখ মুজিবও মাওলানা ভাসানীকে অনেক শ্রদ্ধা করতেন। ১৯৫৩ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি দুজন একসঙ্গে খালি পায়ে প্রভাতফেরি করে শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছিলেন। তবে ১৯৫৩ সালে এই শহীদ মিনারটি ছিলো না। এটি তৈরি হয় ১৯৫৬ সালে। ১৯৫৩ সালে ছিলো চারকোনা স্তম্ভ।
৯) শিল্পীঃ রণজিৎ দাস
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দি ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনীতির গুরু। ১৯৫৩ ও ১৯৫৪ সালে সোহরাওয়ারদী শেখ মুজিবকে সঙ্গে নিয়ে তৎকালীন পুর্ব-পাকিস্তানের সর্বত্র ঘুরে বেরিয়েছেন-সাধারন মানুষকে জাগিয়ে তুলেছেন। নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্যে সচেতন হতে হবে, দাবী আদায়ের জন্যে সংগ্রাম করতে হবে- এসব কথা বুঝিয়েছেন।
============
সলিটারি সাইলেন্স
মন্তব্য
গল্পের সাথে ছবি ভালো লাগলো।
আপনি লিখেছেন:
"সবই বঙ্গবন্ধু বিষয়ক বই। এরমধ্যে একটা দেখলাম বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে তাঁর জীবনের বিভিন্য সময়ের ওপর আঁকা বিভিন্য শিল্পীদের আঁকা কিছু ছবি যা ছোটদের জন্যে প্রকাশিত হয়েছে।"
আপনি শিল্পীদের নাম দিলেও, এই সব ছবিগুলো কি আলাদা আলাদাভাবে কেনা নাকি কোন একটি বই থেকে নেয়া কিনা সেটা বুঝতে পারছি না।(বা বইয়ের নামটি দেননি। বইয়ের সম্পাদক বা প্রকাশক কারো কথা উল্লেখও করেননি।)
প্রতিটি ছবির নিচে যে লেখা বর্ণনাগুলো আছে, সেগুলোও খুব চমৎকার আর সহজ ভাষায় লেখা।
(এটা আপনার লেখা না, নাকি কোন সূত্র থেকে লিখেছেন সেটাও বোঝা যাচ্ছে না।)
আশা রাখছি আমার কথায় আহত হননি, আপনি ছবিগুলো শেয়ার করে চমৎকার একটা কাজ করেছেন।
আমি কেবল বলতে চাইছিলাম, এখানে এই পোস্টে কোন অংশ আপনার লেখা না হলে সেটা স্পষ্টভাষায় উল্লেখ করুন।
শুভেচ্ছা
[মেঘলা মানুষ]
খুব খুব সুন্দর
_____________________
Give Her Freedom!
ধইন্য
-------------------
সলিটারি সাইলেন্স
ধইন্য
-------------------
সলিটারি সাইলেন্স
চমৎকার!
------------------------------------------
'আমি এখন উদয় এবং অস্তের মাঝামাঝি এক দিগন্তে।
হাতে রুপোলী ডট পেন
বুকে লেবুপাতার বাগান।' (পূর্ণেন্দু পত্রী)
দারুন লাগল ছবিসহ বর্ণনা পড়ে। আমার মনে হচ্ছে প্রতিটা ছবির নিচে যে বর্ণনা দেওয়া তা বইটি থেকে নেওয়া, ঠিক বললাম কি?
বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ছোটদের জন্য খুব চমৎকার একটি বই মনে হচ্ছে। বইয়ের নাম, প্রকাশক এবং স্টলের নাম্বার উল্লেখ করলে আমার মত আরও অনেকেই বইমেলা থেকে বইটি কিনতে আগ্রহী হবেন।
মন্তব্যের ঘরে বইটির নাম, প্রকাশক আর স্টলের নাম্বার দেবার কথা ভেবে দেখবেন কি ভাই?
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
বাংলাদেশ শিশু একাডেমী কর্তৃক প্রকাশিত, সম্পাদনাঃ হাশেম খান। অত্যন্ত আনন্দের সাথে দুঃখের কথা জানাচ্ছি যে স্টল নাম্বার মনে নাই।
-------------------
সলিটারি সাইলেন্স
এইটা আবার কেমনতরো শব্দপ্রয়োগ? ব্যাখ্যা করবেন সামান্য ?
.............................
তুমি কষে ধর হাল
আমি তুলে বাঁধি পাল
দাদা, অনেক কষ্টে বাংলায় এ গ্রেড পাইছিলাম, আর পরিক্ষা টরিক্ষা নিয়েন না
--------------------
সলিটারি সাইলেন্স
ছবি ও সঙ্গের বর্ণনাগুলো চমৎকার হয়েছে।
আপনি শুধু বই কেনেননি, বইয়ের ছবি ও লেখাগুলি দারুণভাবে আত্মস্থ করেছেন এবং একই সঙ্গে এগুলো সচলের পাঠকদের সাথে শেয়ার করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছেন, এজন্য অনেক ধন্যবাদ আপনার পাওনা।
তবে তথ্যসূত্রে বইটি ও তার লেখকের নাম না উল্লেখ করে, তাদের প্রতি কিন্তু অবিচার করেছেন। তথ্যসূত্রে উল্লেখ থাকলে আমরা ছবি আঁকিয়ে ও বই লেখককে অন্তত ধন্যবাদ জানাতে পারতাম।
.............................
তুমি কষে ধর হাল
আমি তুলে বাঁধি পাল
ওপরে দেখেন দাদা
-------------------
সলিটারি সাইলেন্স
ওপরে কই দেখব, সাইলেন্সদা? মন্তব্যের ঘরে নাকি মূল লেখায়? আপনার যদি মনে হয় মূল লেখায় আসা উচিত, তাহলে মডারেটরদের মেইল করে রিকোয়েস্ট করতে পারেন, সাইলেন্সদা!
.............................
তুমি কষে ধর হাল
আমি তুলে বাঁধি পাল
ভাইরে, যেই বই থেইকা এই ছবি নিছেন, সেইটার কি স্বত্ত সংরক্ষিত না? আপনে এমন মনের সুখে অনলাইনে দিয়া দিলে প্রকাশক, লেখক কি কইরা খাবে? বই কিনছেন ভালো কথা, কিন্তু এরপরে চুরিদারি শুরু করলে তো মুশকিল।
ভাইজান, ২৬ টা ছবির মধ্যে ৯ টা দিছি, আশা করি আমার ৯ টা ছবির জন্যে শিশু একাডেমী পথে বসবো না।
--------------------
সলিটারি সাইলেন্স
এইখানে চুরির কি দেখলেন? এটাতে রিভিউর মতো হয়েছে, যাতে সবাই বইটি সম্পর্কে জানতে পারে। উনি উনার ভালোলাগা টা শেয়ার করেছেন, উনিতো পুরো বইটি এখানে তুলে দেননি তবে হ্যাঁ উনি লেখকের নাম, বইয়ের নাম উল্লেখ করতে পরতেন। সেটা করা অবশ্যই উচিত ছিলো।
মাসুদ সজীব
কমেন্টে উল্লেখ করে দিছি দাদা
---------------------
সলিটারি সাইলেন্স
লেখার শুরুটা পড়তে খটকা লাগলো, ”আজ, আজ না কাল” এমন খামখেয়ালি দিয়ে লেখা শুরু করলে লেখক সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা সৃষ্টি হতে পারে, ভবিষতে লেখার সময় এটি মাথায় রাখবেন।
ছবির নিচের বর্ণনা কি আপনার নাকি বইয়ের লেখকের? লেখকের হলে তা অবশ্যই উল্লেখ করা উচিত ছিলো। আশা করি পরের পর্বগুলোতে এ বিষয়গুলো মাথায় রাখবেন। শুভেচ্ছা।
মাসুদ সজীব
facebook
-------------------
সলিটারি সাইলেন্স
নতুন মন্তব্য করুন