শাহাদুজ্জামানের লেখার সাথে পরিচয় ছিল না। কয়দিন আগে বাংলাওয়েবপোর্টালে তার একটি স্বাক্ষাতকার দেখলাম। তিনি তার বইমেলায় প্রকাশিত বই এবং অন্যান্য কিছু বিষয় সম্পর্কে কথা বলেছেন। ঐটা দেখেই '' আধো ঘুমে ক্যাষ্ট্রোর সঙ্গে '' নামের ডকুফিকশন টা পড়ার ইচ্ছা হল। ডকুফিকশন নামটাও সেদিন নতুন শোনা।
রকমারীতে অর্ডার দেয়ার পর বই এল। আমার ক্যাষ্ট্রোর জীবন নিয়ে আগ্রহ ছিল। তারো চেয়ে বেশি আগ্রহ ছিল ডকুফিকশন জিনিসটা কি তা দেখার জন্য। বই খোললাম, পড়লাম এবং মুগ্ধ হলাম বলা যায়। মুগ্ধ হওয়ার কয়েকটি কারণ রয়েছে।
কারণ এক- বইটি অনেক সহজ এবং সুন্দর ভাষায় লেখা।
কারণ দুই- সাধারণ জীবনী যেরকম হয়, পড়তে পড়তে মাঝে মাঝে একঘেয়ে লাগে(সবার ক্ষেত্রে না অবশ্য) এরকম কিছু নয়।
কারণ তিন – প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে ক্যাস্ট্রোর জীবন সম্পর্কে অনেক অনেক তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
তাই ভালো লেগেছে পড়তে। আমার পড়া প্রথম ডকু ফিকশন।
এখানে লেখক তুলে ধরেছেন কিউবার বিপ্লবী ফিদেল ক্যাস্ট্রোর জীবনের নানা কথা। কিউবার বিপ্লব, বিপ্লব পূর্ব এবং পরের কিউবার রাজনৈতিক পরিস্থিতি, কিউবার মানুষের দেশপ্রেম ইত্যাদি বইয়ের বিভিন্ন অংশে বিভিন্ন ভাবে ফুটে উঠেছে। এখানে আমার মনে হয়েছে লেখক বাংলাদেশের সাথে বিপ্লব পূর্ব কিউবার পরিস্থিতির মিল দেখিয়ে দিতে চেয়েছেন।
তাই যুবকের কন্ঠে এক সময় শোনা যায়,
“প্রিয় ফিদেল, আমার দেশ ও এমন সাম্রাজ্যবাদী চক্রান্ত, এমনি স্বৈরশাসনের কবলের ভেতর দিয়ে দিন অতিবাহিত করেছে। আমি শুনতে চাই কীভাবে মোকাবেলা করলেন আপনি সেইসব বাস্তবতা......”
“আর বিপ্লব পূর্ব কিউবার পরিস্থিতির সঙ্গে তৃতীয় বিশ্বের অনেক দেশেরই তো প্রচুর মিল আছে।আমি আপনার কথা শুনতে শুনতে আমার নিজের দেশের ইতিহাসের সঙ্গে মেলাচ্ছি। জানতে চাই তারপর কী ঘটল?”
ক্যাস্ট্রোর ভাবনায় ডুবে থাকা এক যুবক হঠাৎ করে নিজেকে আবিস্কার করে ফিদেল ক্যাস্ট্রোর পড়ার ঘরে। তারপর তাদের মধ্যে চলতে থাকে কথোপকথন। এর মাধ্যমেই ডকুফিকশন এগিয়ে যায় ফিদেল ক্যাস্ট্রোর শৈশব, স্কুল জীবন, রাজনীতি, স্বশস্ত্র বিপ্লব, বাতিস্তাকে হটানো এবং নতুন কিউবার জন্ম দেয়া পর্যন্ত।
বইটি ছোট। পৃষ্ঠা সংখ্যা মাত্র ৭১। প্রকাশ করেছে ঐতিহ্য।
সংযুক্তিঃ
ইত্তেফাক সাময়িকী এই বইয়ের একটা অংশ তুলে দিয়েছে। দেখতে পারেন।
-
মুরাদুল ইসলাম
মন্তব্য
অগোছালো লাগল লেখাটা
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
অসম্পূর্ণ লেখা মনে হল। টাইটেল পড়ে মূল লেখা পড়তে ইচ্ছে করল, কিন্তু রিভিউটা সেই আগ্রহকে উস্কে দিল না।
আরও গুছিয়ে বিস্তারিত লিখুন
facebook
রিভিউ হলো না ভাই। ফেসবুকের স্ট্যাটাস হিসেবে কিংবা বইপড়ুয়া টাইপের গ্রুপেও এর চেয়ে ভালো রিভিউ লেখা হয়।
বই পড়ে মুগ্ধতাটা ছড়িয়ে দিতে চাওয়ার প্রচেষ্টাটা নি:সন্দেহে প্রশংসনীয়। কিন্তু আমরা আরো ভালো কিছু আশা করি একটা বইয়ের রিভিউ থেকে। যেমন কেন ভালো লাগলো, বইয়ের কোন অংশটা আলাদাভাবে টানে ইত্যাদি।
বলতে পারেন বই রিভিউ থেকে আশা করি বই পড়ে আপনার যে অনুভূতিটা হলো তার একটা বর্ণনা, সেই সাথে হয়তো কেন অনুভূতিটা হলো তার কারণ বিশ্লেষন থাকতেও পারে। এই বর্ণনা আর বিশ্লেষনই আমাদের আকৃষ্ট (অথবা বিকৃষ্ট(!)) করবে বইটার ব্যপারে। আর যদি তার সাথে জুড়ে দেন বইয়ের বিষয়বস্তুর একটা তুলনামূলক আলোচনা এবং বইয়ের কোন দিকগুলি আপনার কাছে শক্তিশালী মনে হয়েছে, দূর্বল দিকই বা কোনগুলো তবে তো কথাই নেই।
আপনার লেখাটা কিন্তু শুরু হয়েছিল বেশ প্রতিশ্রুতি নিয়ে, অথচ জাস্ট তারপরেই কেমন যেন খেই হারিয়ে ফেললো। যেমনটি বলেছেন থ্রিডি কবি আর তারেকাণু - অগোছাল, তাড়াহুড়ো করে লেখা মনে হয়েছে। আরেকটু সময় নিয়ে চিন্তা ভাবনা করে লিখে ফেলুন না আরেকটা রিভিউ!
____________________________
নতুন মন্তব্য করুন