‘এইটা আপ্নের কেমুন বিবেচনা চেয়ারমেন সাব’?
‘এইখানে আমার নিজ বিবেচনা বলে কিছু নাই ফজলু মিয়া। আল্লাহ্ বাব্বুল আল্ আমিন পাক কুরানে বিধান রেখেছেন যেমুন, ইমাম সাব সেই মতে সিদ্ধান্ত দিছে। আমি নাখান্দা নালায়েক মানুষ, কুরানের বিশেষ জানিনা, জায়গা সম্পত্তির ব্যাপার আলাদা, সেরুম হইলে ইমাম সাবরে ডাকাইতাম-না। নিজের বিবেচনা দিতাম’। বলেই আশপাশের উপস্থিত জনতার দিকে তাকান সালিশি বৈঠকের নিশ্চিত সমর্থন যাচাই করার জন্য। উপস্থিত জনতা মাথা নেড়ে সমর্থন জানায়। কেউবা একটু সরস। ‘হক কথা’।
শিলকুপ গ্রামে সালিশি বসেছে রিজিয়ার। রিজিয়া খাতুন, বয়স ১৯, ঢাকায় গার্মেন্টসে কাজ করে। গ্রামে এসেছিলো আব্বা আম্মার সাথে দেখা করতে। এসেই পড়েছে বিপদে। মুখোমুখি হতে হচ্ছে এই সালিশির। অপরাধ বেশরিয়া জীবনাচার। ইসলামের অবমাননাকারীদের সাথে যোগাযোগ। কোরানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
রিজিয়া গ্রামের স্কুল থেকে এসএসসিটা টেনেটুনে পাশের পরও চেয়েছিলো কলেজে পড়তে। কিন্তু দিনমজুর ফজলু মিয়ার সাধ্যে কুলায়নি। শেষে গ্রামের ফরিদা খালার হাত ধরে গাজীপুরে গার্মেন্টসে যোগ দেয়। সারাদিন অমানবিক পরিশ্রম, সেই সকাল আটটায় ডিউটি শুরু, ওভারটাইমসহ কাজ শেষ করে বাসায় ফেরা রাত নয়টায়। বাসা বলতে একরুমের একটি দোচালা সেমি পাকা ঘর। চারজন একসাথে গাদাগাদি করে কোনমতে বেঁচে থাকা। রান্নাবাটি সেরে খেয়ে এগারোটার মধ্যেই শুয়ে পড়ে সবাই। ভোর পাঁচটায় আবার শুরু। একই ছকে বাঁধা দিন। কোন ব্যতিক্রম নেই। কোন চাওয়া পাওয়াও নেই। শুধুই জীবনটাকে টেনে নেয়া। ফ্যাক্টরিতে বেতন নিয়ে গণ্ডগোলের কারণে দুইদিন ছুটি ঘোষণা করেছে মালিক-পক্ষ। সেইদিনই রাতের বাস ধরে গ্রামে চলে এসেছে রিজিয়া। আর আসার পরদিনই পড়েছে ফ্যাসাদে।
‘শোন ফজলু মিয়া’, গলা খাকড়ি দিয়ে কথা বলে উঠে মাওলানা সানাউল্লাহ করিম। স্থানীয় মসজিদের ইমাম। ‘পাক কোরআনে মহিলাদের পর্দা করতে বলা হইছে, হিজাবের পষ্ট বিধান। তুমার মাইয়া মেট্রিক পাশ দিছে, ভালো পুলা দেইখ্যা বিবাহ দিবার পরামর্শ আমরা হগলেই তুমারে দিছিলাম’।
‘ইমাম সাব-ই তো করবার রাজী হছিল, দ্যামাগ বাড়ছে’। পাশে থেকে ফোড়ন কাটে মজিদ।
‘আহ্! কথার বিছখানে কথা কইবার না করছি’। চেয়ারম্যান ধমক দেয় মজিদকে।
‘হ্, যা কইতে আছিলাম, তুমি মাইয়ারে গারমেন্টসে পাঠাইছো। আপত্তি নাই। মাইয়ার হারাম ইনকাম খাইবার লাগছ, আল্লাহ পাক বিবেচনা করবেন। কিন্তু চোখের সামনে অনাচারতো আমরা বরদাশত কইরতে পারিনা, নাকি’?
‘কি করছে আমার মাইয়া? আপ্নেগো বাড়া ভাতে ছাই দিছে? গেরামের কয়টা পুলা বাপ মা’রে ট্যাকা দেয়? আমার মাইয়া কেষ্ট কইরা কাম করে আমাগো ট্যাকা দেয়, বছরে দুই ঈদে ঘরে আইয়ে। কারো নগেতো কথা কইবারই টাইম পায়না। দুইদিন পরেই ফেকটরিতে চইল্লা যায়। হের হিজাব নইয়া গেরামে এমন কি কারবার নাগছে হের সালিশ বহান নাগব’?
‘গলা নামাই কথা ক’ ফজলু। আমরা মুরুব্বীরা বইছি, নয়নের মাথা খাইছস’?
‘নয়নের মাথা তো খাইছেই চেয়ারম্যান সাব’। সানাউল্লাহ ইমাম আবার শুরু করেন বয়ান। ‘অশিক্ষিৎ ফজলুরে ক্যাম্নে বুঝাই কনতো? কথা হইল গিয়া তোমার মাইয়া রিজিয়া জোয়ান হইছে মাশাল্লাহ, হের হিজাব করনের কথা। গেরামে চলছে- কিছু কইনাই, সবাই বাপ- চাচা, ভাই -বেরাদারের মত। ফেকটরিতে কি করতাছে হেইডাও আমাগো জানার কথানা। হের নিজ বিবেচনা। কিন্তু বাজারের পুলাপাইনগো হাতে তুমার মাইয়ার ফটু যায় ক্যামনে’?
‘ক্যামনে? এইডা কথা হইল? গেরামের ইজ্জত নাই, বেদআত কাম কাইজ’? সমবেত অনেকেই সায় দেয়।
ফজলু মিয়া ঠিক বুঝতে পারেনা। তারও মনে হয়, এটা কেমন কথা? মাইয়া মাইনসের ছবি পরপুরুষের হাতে যাবে কেন? এটা রিজিয়া ঠিক করেনাই। কিন্তু সেতো গ্রামে আসেনা। কারো সাথে যোগাযোগ আছে বলে রিজিয়ার মা’ও কিছু জানেনা। ঘটনা কি? সে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে ইমামের দিকে।
আল্লাহ পাক মাফ দিবেন আমারে, বলে আবার শুরু করে ইমাম। ‘হুদা মুখ হইলে কথা আছিলনা। অনেকেই আইজকাল মুখ ঢাকেনা। বিষয় না। আল্লাহ পাক নিজ গুনে ক্ষমা দিবেন। কিন্তু মিয়া তুমার মাইয়া নাকি মুক বুক সব দিয়া ছবি দিছে’?
ফজলু মিয়ার মাথা ঝিম ঝিম করে, একটু করে টলেও যায় যেনো। কেমন বমি বমি পায়। মনের অজান্তেই মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসে নাউজুবিল্লাহ্!মৃদু সোরগোল চারিদিক। ভৎসনা। একটা ছি ছি আওয়াজ।
‘কী কন ইমাম সাব’? ফজলু নিজেকে সামলিয়ে প্রশ্ন করে?
‘হ্যাঁয়, এতক্ষনে হুস হইছে তুমার’।
‘দেন দুই ঘা ইমাম সাব’ পাশে থেকে কে যেন বলে উঠে। ‘মাইয়ারে শিক্ষা দাও নাই মিয়া? খালি স্কুল পাশ দিলেই হইব’? আরো যোগ করে কেউ।
‘খামোশ’! ইমাম হুংকার ছাড়ে। ‘দোষ ফজলু করে নাই’। সানাউল্লাহ করিম আবার শুরু করে- ‘তুমি অশিক্ষিৎ মানুষ, জীবনে শুনও নাই কিছু, দেখও নাই কিছু। দ্যাশ বহুত আগাই গ্যাছে। আমরা কি করি? মুবাইলে খালি কথা কই, নাকি? কিন্তু তুমার মাইয়া ফেইস বুক করে। বুঝ মিয়া ফেইস বুক কি’?
‘কি’? নিজের অজান্তেই প্রশ্ন করে ফজলু মিয়া।
‘ফেইস মানি হইল গিয়া মুখ, পরেরটা কইলে ওজু হালকা হইয়ে যাইব। আগেতো কইছি। কি কইছিনা’?
‘হ, হ, কইছেন। বুক মানি সিনা’। সমবেত কেউ কেউ জবাব দেয়।
ফজলু মিয়ার মাথা ভোঁ ভোঁ করে। বমি ভাবটা বেড়ে যায়। কি কয় এইগুলা? মুখ সিনা। নাউজুবিল্লাহ! আস্তাগাফিরুল্লাহ।
‘এই ফেইস বুক লইয়া তুমার মাইয়া বেশরিয়ার কাম করছে। হ্যাতে নাকি পোলাগোরে লাইক মারে’।
‘নাউজুবিল্লাহ’। এবার ইমামের সাথে বাকিরাও বলে।
‘এই পুলাপাইন কারা জানো নি? নাস্তিক, বুলগার। আল্লাহ্রে লইয়া, নবীরে লইয়া মস্করা করে। হেই পুলাপাইনগোরে তুমার মাইয়া লাইক মারে। আল্লাহ্র রহমত, বাজারের পুলারা ফেইস বুকে তুমার মাইয়ারে পাইয়া আমারে রিপুট করছে’।
‘ইমাম সাব হেরাওকি মুখ বুক করে নাকি? হেরাও নাস্তিক বুলগারগোরে লাইক মারে’? কে জানি ভিড়ের মাঝে বেয়াড়া প্রশ্ন করে বসে।
ইমাম ওদিকে পাত্তা নাদিয়ে পুরনো ক্ষোভ ঝাড়ে রিজিয়াকে নিয়ে। ‘পাক কুরানের বিধানে এইটা শিরিক। তুমরা মুরুক্ক লোক, পত্রিকা পড়বার পারনা। ক’দিন আগে আরব দেশ সিরিয়ায় এক ছেমড়িরে গলা পর্যন্ত মাটিতে পুইতে পাথর ছুইড়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করছে, আলহামদুল্লিলাহ। কারবার একই, ফেইস বুক। এই ফেইস বুকে পাইবার কারণে পাক কুরানের বিধান অনুসারে শাস্তি দিছে। এখান তুমিই কও ঐ আরবের দেশ কি শরিয়া জানেনা? নাবুঝেই বিবেচনা দিছে? কুরানের উপর আমার হাত নাই, খোদার বিধান। এইসব বিদআত কামের বিধান পষ্ট। আমার আর কিছু কইবার নাই চেয়ারম্যান সাব। এইবার আপ্নের বিবেচনা’।
ফজলু মিয়া ।হাউমাউ করে উঠে। চেয়ারম্যান সাব আমি আপ্নের পায়ে পড়ি, মাইয়া না বুইঝা ভুল কইরছে। আপনি ব্যবস্থা নেন। না খাইয়া মরি যামু, মাইয়ারে একখান সুযোগ দ্যান। ভালা হইবার পারে। আমি দেখমু চেয়ারম্যান সাব’।
চেয়ারম্যান নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে বলেন ‘আল্লাহ্র বিধান, আমি নিরুপায়। কিছুই করবার নাই।আরব দেশে যদি এই বিধান কার্যকর হয়, আমিতো নাখান্দা, নালায়েক। অতি নগণ্য বান্দা’।
ফজলু খালি বলে যায়- এইটা ক্যামুন বিবেচনা, এইটা আপ্নের ক্যামুন বিবেচনা...............
।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।
সচলায়তনে নিবন্ধিত নামঃ দেব প্রসাদ দেবু
মন্তব্য
আমার আগের মন্তব্যখানা মডু ছাড়লোনা। গল্পটা চমতকার হয়েছে, কিন্তু আরেকটু বাড়তে পারতো। ভাষাটা কথ্য প্রমিত মিশেল হয়ে গেছে, আবার কথ্যটাও দুইরকম। একটু খিয়াল কইরা।
----ইমরান ওয়াহিদ
@ইমরান ওয়াহিদ, অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। খিয়াল আসলেই করতে হবে বৈকি! গল্প বলার মতো জটিল এবং দূর্ভোধ্য কর্মটি যে খিয়াল করেই করতে হয় সেটি আরো স্পষ্টভাবে অনুভূত হচ্ছে এখন। চেষ্টা করবো ভবিষতে। আবারো ধন্যবাদ।
- দেব প্রসাদ দেবু
গল্পটা দুর্বল মনে হল।
গ্রামের মানুষের মাঝেও অনেক মোবাইল ব্যবহারকারী আছে। এই সময়ে একটা গ্রামে ফেসবুক নিয়ে সালিস বসে অথচ সেই গ্রামের কেউ ফেসবুকের মানে বোঝে না এটা একটু অদ্ভুত।
ঐ এলাকার কেউই বিষয়টা পরিষ্কার করল না, এটা স্বাভাবিক না।
সালিসে অনেক অন্যায় বিচার হয় এটা ঠিক কিন্তু এটার পটভূমি বাস্তবতার ধারেকাছেও না।
বরং, অন্যায় সালিসের সিদ্ধান্তে হিল্লা বিয়ের ঘটনাটা অনেক বড় সামাজিক সমস্যা। সিরিয়া-আফগানিস্তানে যা হয় সব বাংলাদেশে হয় না।
লেখক কিন্তু দেখাচ্ছেন, ইমাম গ্রামের ফেসবুক ব্যাবহারকারীদের রেফারেন্সেই বিচার করতে বসেছে। তার উপর ইমাম বিয়ে করতে চেয়ে রিজেক্ট। শফি মিয়া গার্মেন্টস শ্রমিকদের নিয়ে যা বলেছে তারপর কিন্তু এরকম শালিস এবং ফাতোয়াবাজী ঘটতেই পারে। গল্পের থিম আমার কাছে দুর্বল মনে হয়নি। গল্পগঠন একটু দুর্বল আছে, সে ঠিক হয়ে যাবে।
----ইমরান ওয়াহিদ
@ ইমরান ওয়াহিদ, ভাষারীতি এবং গ্লপগঠন নিয়ে মনোযোগী হতে আপনার মতামত আমাকে সহায়তা করবে নিঃসন্দেহে। ধন্যবাদ।
- দেব প্রসাদ দেবু
@ অথিতি লেখক, গল্পটা দুর্বল মনে হওয়াটা বিচিত্র নয়, আমি নিজেও মনে করি এটি সবল নয়, সমালোচনার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ, এটি আমাকে ভবিষতে যত্নবান হতে সহায়তা করবে।
পটভূমির বাস্তবতা আসলে অনেক সময় আমাদের ধারনাকেও ছাড়িয়ে যায়। চাঁদে সাঈদী মোল্লাকে দেখার জন্য যখন ঝাঁকে ঝাঁকে লোক রাস্তায় নেমে আসে তখন কিন্তু ঐসব গ্রামে বা এলাকায় কেউ পরিষ্কার করার জন্য এগিয়ে আসেনা। চার ব্লগার আটকের পর বাংলাদেশের মানুষের বড় অংশই ব্লগার মানে নাস্তিক এটি বিশ্বাস করে নিজের অজান্তে সেইসব ব্লগারের শাস্তি চেয়েছে, মনে আছে নিশ্চয়ই? গ্রামের দিকে খোঁজ নিলে বুঝতে পারবেন ব্লগারকে মানুষ কোন চোখে দেখে।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, ভবিষতে দুর্বল দিকগুলো কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করব।
- দেব প্রসাদ দেবু
কচু গাছ কাইট্যা কাইট্যা ডাকাইত হওন গেলে আপনি ক্যান গপ্পোবাজ হইতে পারবেন না? বোলগ দিয়া ইন্টারনেট চালানি চালাইয়া যান।
'হৃদয়ের কথা' বলিতে 'সুধা' লাগে, রবীবাবু ইহাই আমাদিগকে শিখাইয়াছেন।
সুধা না আসিলে আমি কি করিতে পারি অর্বাচীন? গপ্পোবাজ হইতে গেলে সুধা দরকার, কে দিবে আশা, কে দিবে ভরসা? কে মোরে দেখাইবে পথ- সুধা আনিবারে?
দেখা যাক গপ্পোবাজিটা টানিয়া লইয়া যায় কিনা।
গল্প লেখার ঢংটা ভালো লেগেছে। কাহিনির গাঁথুনি একটু দূর্বল, তারপরও লেখার টানে পড়া গেছে সুন্দর। দুই কথার কৌতুককে চমৎকার টেনে বাড়িয়ে সমাজের একটা কুৎসিৎ অন্ধকার দিককে টেনে বের করা হয়েছে - এটা ভালো লাগলো।
একটা পরামর্শ: প্যারাগুলোর মাঝে এবং সংলাপগুলোর মাঝেও একটা করে লাইন গ্যাপ দিবেন। পড়তে আরাম হবে।
আরো লিখুন।
____________________________
@ প্রোফেসর হিজিবিজবিজ, আসলে সিরিয়ার ঘটনাটা অনলাইনে পড়ার পর এটি লেখা, সাথে চার ব্লগারকে নিয়ে যে নাটক রাষ্ট্র করেছিলো সেটিও মাথায় এসেছে। তেতুল হুজুরের সাঙ্গপাঙ্গরা কোনসময় সিরিয়ার মতো ঘটনা জন্মদেয় সেটি কল্পনা করে হিবিজিবি এই সালিশ লিখা। আপনার পরামর্শ মনে থাকবে। ধন্যবাদ আপনাকে।
-দেব প্রসাদ দেবু
ভালো লেগেছে।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
@এক লহমা,
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
প্রথম দিকে কথ্য ভাষার প্রয়োগ খুবই চিত্তাকর্ষক হয়েও শেষের দিকে ভারসাম্য ক্ষুন্ন হয়েছে।
তবুও এই গল্পটির রচনাকারকে প্রশংসা করছি এজন্য যে তার গল্প বলার স্টাইল খুবই আকর্ষনীয়। এই ধরণের গল্পের বাস্তবতা আছে। সামান্য ত্রূটি বিচ্যুতি ধর্তব্য নয়। গঠনগত দুর্বলতা আছে এ বিষয়ে একমত নই। বরং বলব চমৎকার উপস্থাপনা। শুধু কথ্য ভাষার ভারসাম্যটা আগাগোড়া বজায় রাখতে পারলে অনবদ্য গল্প হত।
@অতিথি লেখক,
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
-দেব প্রসাদ দেবু
নতুন মন্তব্য করুন