মহাদেও,আসাম
১। ১৮/৪/১৯৭১
রেণু,
আমি ভালো আছি।আসামের একটা মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পের বাঙ্কারে বসে লিখছি। চিঠির সম্বোধনে রেণু না লিখে প্রিয়তমেষু লিখতে ইচ্ছে করছিল। কিন্তু আশেপাশের পরিবেশটাই এমন যে,চাইলেও একটা রোমান্টিক শব্দও কলমের ডগা দিয়ে আনা যাচ্ছে না।আমার পাশেই মজিদ (আমাদের গ্রুপের এক অতিসাহসী ছেলে,নীলফামারীতে একটা অপারেশনে গিয়ে ওর বা হাতটা উড়ে গিয়েছে।“হাত উড়ে গেছে” কথাটা খুব অবলীলায় বলে ফেললাম।জীবনটাই যেখানে নিরাপদ না,সেখানে হাত উড়া তো কিছুই না।) শুয়ে হা করে ঘুমুচ্ছে।তার মুখের উপর দিয়ে মাছি ভনভন করে উড়ছে।ক্যাম্পে খুব কষ্ট।খাওয়ার কষ্ট,থাকার কষ্ট-কষ্টের কোন সীমা নাই।তারপরও,একটা অপারেশন successfully শেষ করে আসার পর কেমন অদ্ভুত একটা আনন্দ যে হয়,তোমাকে বলে বোঝাতে পারবনা।
আচ্ছা,এখন যুদ্ধের কথা থাক।তুমি কেমন আছ?আজকে সারাদিন তোমার কথা খুব বেশি মনে পড়ছিল।মনে হচ্ছিল,তোমার মুখটা শুধু একবার দেখার জন্য,আমার শুধু একটা হাত না,পুরা জীবনটাই দিয়ে দিতে পারি।রাগ করছ খুব?আমি কিন্তু এখানে বসেও তোমার রাগে লাল হয়ে যাওয়া মুখটা মনে করতে পারছি।রাগ ভাঙানোর মত একটা খুশির খবরও অবশ্য আছে।এই মাসের শেষদিকে দিনাজপুরে আমাদের একটা অপারেশন আসতে হতে পারে।কমান্ডারকে বলে তোমাদের এসে একদিন দেখে যাব।
অপু কেমন আছে?ফোকলা দাঁতে আমার বাবাটাকে দেখতে কেমন লাগে এখন?সেদিন ক্যাম্পে অপুর বয়সী একটা ছেলে এসেছিল।মিলিটারী ক্যাম্পের খবর দিতে।প্রথমে দেখে আৎকে উঠেছিলাম।বাচ্চাটার বাবা মাকে পাকিস্তানিরা মেরে ফেলেছে।থাকার কোথাও যায়গা নেই।তাই আমাদের ক্যাম্পে এসে আশ্রয় নিয়েছে।টুকটাক খবর ও এনে দিচ্ছে।ছেলেটাকে দেখার পর থেকে বার বার অপুর কথা মনে পড়ছে।ওকে খুব সাবধানে রেখো।আমি খুব শিগগিরই আসব।তোমরা ভাল থেকো।আর তোমাদের জন্য সহস্র চুমো আর অ-নে-ক আদর।
ইতি
আনিস
প্রায় তিন সপ্তাহ আগে লেখা চিঠি।রেণু আজই পেল।হারিকেনের আলোয় বসে সন্ধ্যা থেকে এই একটা চিঠিই ঝাপসা চোখে সে পড়ে যাচ্ছে।প্রতিবারই নতুন মনে হচ্ছে।
আনিস যুদ্ধে গিয়েছে একমাসের মত হয়ে গেছে।যুদ্ধ শুরুর এক সপ্তাহের মধ্যেই বহুকষ্টে আনিস রেণু আর অপুকে নিয়ে দিনাজপুরের ছোট এই তালুটিলা গ্রামে তার এক দুরসম্পর্কের খালার কাছে রেখে যুদ্ধের ট্রেনিং নেবার জন্য ভারত চলে যায়।তারপর প্রায় একমাস আনিসের কোনো খোঁজ পায়নি রেণু।এই একটা মাস যে রেণু কিভাবে পার করেছে!পাকিস্তানি মিলিটারী যদিও এখনো এই গ্রামে এসে পৌছায়নি,কিন্তু বেশকিছুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছে আসবে। চরম আতঙ্ক আর দুশ্চিন্তায় রেণুর একেকটা দিন কাটছে। অপুকে নিয়ে হয়েছে আর এক যন্ত্রণা।দিনের বেলার একটা মুহুর্তও ছেলেটা ঘরে থাকে না। পাশের বাড়ির জয়ন্ত নামের একটা ছেলের সাথে দিন রাত টইটই করে ঘুরে বেড়ায়।অপুর আজ জন্মদিন ছিল।৭ বছরে পা দিল অপু। সারাদিন ঘুরে ঘুরে বিকেলে আজ অপু ঘরে আসার পর রেণু খাইয়ে দিতে দিতে অপুকে জিজ্ঞেস করেছিল, “বাবা, আজ যে একটা বিশেষ দিন, তোমার কি মনে আছে”? অপু উদাসীনভাবে মাথা নাড়লো।মনে থাকার অবশ্য কথাও না।
“আজকে তোমার জন্মদিন।এখন বল জন্মদিনে তুমি কি চাও? এখন তো কিনে দিতে পারব না।তোমার বাবা ফিরে আসলে আমরা তিনজন মিলে খুব মজা করব,কেমন”? বলতে বলতে রেণুর চোখ ঝাপসা হয়ে আসছিল।আনিস কি ফিরে আসবে কখনো আর?তারা তিনজন মিলে আবার কি কখনো একসাথে ঘুরতে যেতে পারবে?মাঝে মাঝে রেণুর এমন স্বার্থপর হয়ে যেতে ইচ্ছে হয়! স্বাধীনতা, দেশ, পতাকা-এসব গালভরা কথা তার একদমই শুনতে ইচ্ছা হয় না।তার এসব কিচ্ছু লাগবে না। শুধু আনিস যদি তার পাশে থাকত,তার সত্যিই কিচ্ছু লাগত না।
২।
রাত এখনও বেশি হয়নি।কিন্তু এই গ্রাম দেশে ৭টা বাজতে না বাজতেই সব নিশ্চুপ নিঝুম হয়ে যায়। থেকে থেকে শিয়ালের শব্দ শোনা যাচ্ছে।রেনু আনিসের চিঠিটা মুঠোয় শক্ত করে ধরে রেখে ঘুমিয়ে পড়েছিল।হঠাৎ কি কারণে জানি রেনু ধড়মড় করে উঠে বসলো। তার মনে হলো কেউ যেন তাকে ডাকছে। ডাকটা খুব পরিচিত। আনিসের। স্বপ্ন দেখছিল কি?
“রেনু, রেনু”।
রেনু এইবার খাট থেকে নেমে দাঁড়ালো।সে কাঁপছে থরথর করে।সত্যিই আনিস এসেছে? কাঁপা কাঁপা হাতে সে কাঠের দরজাটার পাল্লা খুললো।
মুখ ভর্তি দাড়ি গোফের জঙ্গল নিয়ে হাসিমুখে আনিস দরজায় দাঁড়িয়ে আছে।রেণু কিছুক্ষণ বিস্ফোরিত চোখে আনিসকে দেখলো।তারপর আনিসের বুকে ঝাপিয়ে পড়ে শক্ত করে জড়িয়ে ধরল। তার মনে হচ্ছে ছেড়ে দিলেই বুঝি আনিস কোথাও হারিয়ে যাবে।
“আরে করছো কি?চাদরের নিচে কিন্তু রাইফেল আছে।ফট করে গুলি বের হয়ে যাবে।আমার বউ এর চাঁদ মুখটা দেখার আগেই আমাকে ধরাধাম থেকে বিদায় নিতে হবে”। বলতে বলতে আনিসও রেণুকে জড়িয়ে ধরে। রেণুর কাছে মনে হল দেশটা বুঝি আজকেই স্বাধীন হয়ে গেছে।
৩।
সকালবেলা উঠে অপু একটা অদ্ভুত দৃশ্য দেখলো। তাদের বাড়ির দাওয়ায় বসে ডাকাতের মত দেখতে একটা লোক দাড়ি কামাচ্ছে আর ক্রমাগত কথা বলে যাচ্ছে। সামনে তার মা আয়না হাতে বসে খুব হাসছে। গ্রামে আসা অবধি অপু এই প্রথম মা এর মুখে হাসি দেখলো। সে লাফিয়ে বিছানা থেকে নেমে পড়লো। তার খুব ভয় হচ্ছে।এইটাই মিলিটারী? জয়ন্ত যেমন বর্ণনা দিয়েছিলো, তার সাথে অবশ্য মিলছে না। বরং লোকটার সাথে মুক্তিদের চেহারার মিল মনে হচ্ছে। মুক্তি হলেই বা কি? তার মায়ের সাথে এভাবে বসে গল্প করবে কেন? আর মা টাই বা এত বোকা কেন? অপু খুব বিরক্তি নিয়ে পা টিপে টিপে দরজার কাছে এসে দাঁড়ায়। আর সাথে সাথেই “বা—বা” বলে লাফ দিয়ে আনিসের বুকে ঝাপিয়ে পড়লো। অপুর চুল,মুখ সাবানের ফেনায় মাখামাখি হয়ে যায়। তারপরের একটা ঘন্টা কখনো অপু দুহাত ছড়িয়ে প্লেনের মত উঠানে ঘুরতে ঘুরতে “বাবা বাবা” বলে চেঁচাতে লাগলো, কখনো বাবার কাঁধে উঠে মাথার চুল ধরে টানতে লাগলো, কখনো বাবার লম্বা লম্বা পা ধরে ঝুলতে লাগলো।
বাবা আসার প্রাথমিক আনন্দটা কাটার পর অপুর হঠাৎ খুব ভয় ভয় লাগা শুরু হল। আজকে জয়ন্তর সাথে অপুর একটা গোপন জায়গায় যাওয়ার কথা। মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পে। গ্রামের শেষ মাথায় ব্রীজের ওই পাড়ে নাকি কিছু মুক্তি এসেছে। বাজারে জোর গুজব আজ সন্ধ্যায়ই মিলিটারীরা চলে আসবে। গ্রামের ইস্কুলটাতে ক্যাম্প বসাবে। মিলিটারীরা আসার আগেই ব্রীজ আর ইস্কুল ঘরটা উড়িয়ে দেবার পরিকল্পনা ওদের। ছোট বলে জয়ন্ত আর তার কিছু বন্ধুর উপর দায়িত্ব দেয়া হয়েছে আজ সন্ধ্যার আগেই কিছু প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ক্যাম্পে পৌছে দেয়ার। গ্রামের কিছু লোক মুক্তিযুদ্ধের এই সময়টাতে হঠাৎ তাদের ভোল পালটে মোল্লা বনে গেছে।গ্রামে গ্রামে নাকি শান্তি কমিটি ফমিটিও নাকি গঠন করা শুরু হয়েছে। তালুটিলা গ্রামটাও ব্যতিক্রম না। মানুষরূপী ওই বেঈমান পশুগুলার নজর এড়ানোর জন্যই জয়ন্তদের সহযোগিতা চেয়েছে মুক্তিযোদ্ধারা। জয়ন্ত বলার পর অপু উত্তেজনায় দুইদিন ঘুমাতেই পারে নাই।তার কাছে মনে হচ্ছিল হঠাৎ করেই বুঝি সে অনেক বড় হয়ে গেছে। সে মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পে যাবে?মুক্তিযোদ্ধারা দেখতে কেমন হয়? কতবড় বড় বোমা না জানি ওদের কাছে আছে!! ওরা দেখতে কি সিনেমার নায়কদের মত হয়? সেই যে বাবা মা এর সাথে বসে দেখা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সিনেমার নায়কগুলোর মত? কত হাজার প্রশ্ন যে অপুর ছোট্ট মনটাতে ভীড় করে!!
তবে আজ সকালে বাবাকে দেখার পর থেকে অপুর কেন জানি খুব কষ্ট হচ্ছে। বাবা,মার জন্য কষ্ট! গলার কাছে একটা কান্না দলা পাকিয়ে উঠছে। মাত্র তো ব্রীজটা পার হয়ে ওই পাড়ে যাওয়া! সেটাকেই অপুর কাছে যোজন যোজন দূর মনে হচ্ছে। অপুর মার কোলে মাথা রেখে রাজকুমারের গল্প শুনতে ইচ্ছে করছে। তার বাবার কাঁধে চড়ে ঘুরতে ইচ্ছে করছে। একই সাথে দেশকে স্বাধীন করার জন্য যুদ্ধে নামা নায়কগুলাকেও দেখতে ইচ্ছে করছে। অপু ঠিক করল জয়ন্তদের সাথে যাবে। ব্রীজ পার হয়ে ওই পাড় যেতে মাত্র দশ মিনিট লাগে। সে যাবে আর আসবে। এসেই বাবার সাথে খুব গল্প করবে। কত গল্প যে তার জমে আছে। গ্রামে আসার পর অপু কত নতুন নতুন জিনিস শিখেছে! কোকিলের ডাক নকল করতে পারে,ছিপ দিয়ে মাছও ধরতে পারে। ঘুড়িও উড়াতে পারে। আর সবচে আশ্চর্য্যের কথা হচ্ছে, এই অফুরন্ত ছুটিতে সে রবি ঠাকুরের গোটা একটা কবিতা মুখস্ত করে ফেলেছে।রবি ঠাকুর বাবার সবচে প্রিয়।বাবা কি অবাকই না হবে!অপুর আর তর সয় না। অপু জলদি জলদি রেডি হয়ে জয়ন্ত দের বাড়ির দিকে দৌড়ায়।
বাবার মুখে সে অনেক শুনেছে, প্রত্যেকটা মানুষের নাকি দুইটা মা থাকে। একজন জন্ম দেয় যিনি জননী, আর একটা হচ্ছে জন্মভুমি। এই জন্মভুমির জন্য কাজ করতে পারলে নিশ্চয়ই সে অনেক বড় হয়ে যেতে পারবে।অপুর অনেক বড় হয়ে যাবার শখ।ঠিক বাবার মত।বড় হলে কত মজা!রোজ নিয়ম করে দুধ খাওয়া লাগে না।ঠিক সন্ধ্যা নামলেই পড়তে বসা লাগে না। রাইফেল হাতে নিয়ে শত্রুসেনাদের ঘায়েল করা যায়। কত্ত স্বাধীনতা। অপুর বড় স্বাধীন হতে ইচ্ছে করে।
৩।
তালুটিলা গ্রামটা আনিস ভালো চেনে না। চেনার প্রয়োজনও নেই। তার এখন কেবল যেকোন উপায়ে ব্রীজটা পার হয়ে ওই পাড়ে যাওয়া লাগবে। সাথে আনিসদের দলটার হাবিব নামের আরেকটা ছেলেও আছে। দুপুরে খেতে বসার সাথে সাথে হাবিব দৌড়াতে দৌড়াতে এসে হাজির হয়েছিল। সন্ধ্যা হওয়ার আগেই নাকি মিলিটারীরা এই গ্রামে হামলা চালাতে পারে। আজ বিকেলেই একটা অপারেশন করতে হবে তাদের। মুক্তিযোদ্ধাদের আর একটা দল এসেছে। দুদিক থেকে আক্রমণ করে মিলিটারীদের কোণ্ঠাসা করে ফেলতে হবে। গ্রামে ঢোকার আগেই যতটা সম্ভব ওদের নিরস্ত্র করে ফেলার পরিকল্পনা। আনিস হাবিবকে নিয়ে জঙ্গল পেরিয়ে যেতে থাকে। তার হঠাৎ করে খুব দুর্বল লাগছে। আসার সময় রেণু কেমন ঠোঁট চেপে মাটির দিকে তাকিয়ে ছিল। একটা বারও মুখ তুলে তাকায়নি। আনিসের খুব ইচ্ছে করছিল রেণুর মুখটা তুলে ওর গভীর কালো চোখ দুটির দিকে তাকিয়ে বলে “ভালোবাসি” । বলা হল না। ছেলেটাও বাড়িতে ছিল না। ছেলেটার নরম গালেও একবার চুমু খাওয়া হল না।
দৌড়াতে দৌড়াতে আনিস প্রাণপনে মন থেকে রেণু আর অপুর মুখটা সরিয়ে দিতে চেষ্টা করে।তাকে এখন কিছুতেই দুর্বল হওয়া চলবে না। যে করেই হোক মিলিটারীদের হাত থেকে এই গ্রামটাকে বাঁচাতে হবে। পুরো দেশটা কেবল রেণু আর অপু হয়ে তার সামনে হাজির হয়েছে। তার পুরো একটা পৃথিবী সে এই দুটো মানুষের জন্য দিয়ে দিতে পারে।
কাছেই কোথাও গোলাগুলির শব্দ পেয়ে আনিসরা থমকে দাঁড়ায়। মিলিটারীরা কি চলেই এল? আনিসের বুকটা ধ্বক করে উঠলো। গাছপালার ফাঁক দিয়ে আনিস দেখতে পেল, ধান খেতের আল ধরে দুটো বাচ্চা ছেলে দৌড়ে যাচ্ছে।কাছেই কোথাও আবারও গুলির ঢা ঢা শব্দ শোনা গেল। আর বিস্ফোরিত চোখে আনিস দেখতে পেল নীল শার্ট পড়া বাচ্চা একটা ছেলে ধান ক্ষেতের আড়ালে পড়ে গেছে। এক নিমিষেই আনিসের পায়ের তলার মাটি কেঁপে উঠলো। গোলাগুলির শব্দ তখনও চলছে। আনিস কিছুই শুনতে পাচ্ছে না। সে কাঁপা কাঁপা পায়ে জঙ্গল ছেড়ে বেরিয়ে এসে ধান ক্ষেতের দিকে এগিয়ে যায়।
আনিসের কোলে নীল শার্ট পরা ছোট্ট দেহটা রক্তে ভেসে যাচ্ছে।পশ্চিম দিকে হেলতে থাকা লাল সূর্যটার নরম আলোকচ্ছটা অপুর অপার্থিব হাসিমাখা মুখটার উপর এসে পড়ে।সেই স্বর্গীয় হাসি অনুচ্চারে বলে যেতে থাকে, “মা,আজ আমি স্বাধীন হয়েছি”।
সাফফাত আরা সাঈদ
০৯০৪০৬৮
সিভিল ০৯
মন্তব্য
আমার ভেতরের কোমল আবেগগুলো নেই, লেখা নিয়ে কিছু বলতে পারলাম না। এমন করে আরো লিখুন বোনটি
----ইমরান ওয়াহিদ
ভাল লাগলো .. খুবই...ভাল লাগলো
ধন্যবাদ
ধন্যবাদ।
পাঁচতারা দিলাম। চমৎকার লাগলো গল্পটা। আরো লিখুন, এমন লেখা আরো পড়তে চাই। পড়ে চোখের কোলে জমা অশ্রুবিন্দু গোপনে মুছে নিতে চাই।
অট: নামটাই তো যথেষ্ট, এর পরে ডিপার্টমেন্ট বা রোল না দিলেই কি নয়?
____________________________
ধন্যবাদ।ডিপার্টমেন্টের ম্যাগাজিনে দেয়ার জন্য লিখেছিলাম।এডিট করার কথা একেবারেই মাথায় আসেনি।ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখেছেন আশা করি।
কি অসম্ভব কষ্ট করেই না এই দেশটা পেয়েছি আমরা.....................
অসাধারণ লেগেছে সাফফাত, লেখায় পাঁচ তারা।
আরও লিখুন প্লিজ।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
অনেক ধন্যবাদ।প্রথম লিখাতেই এত সাড়া!!আমি অভিভুত।
আরো এরকম লেখার প্রতীক্ষায় থাকলাম।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
It will be my pleasure if any of my writing awaits you.
বর্ণনা চমৎকার লেগেছে। এরকম লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রাণের বিনিময়েই এই দেশটা পেয়েছি আমরা।
নতুন মন্তব্য করুন