প্রেতাত্মা।(২)

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ০৮/০৩/২০১৪ - ৩:২৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মিঃ গোয়েব্লারের বয়স চল্লিশের মত। জার্মান জাতীর মধ্যে যেহেতু গোসল করার স্বভাবজাত প্রবণতা কম তাই উনার চর্বি জমে যাওয়া বিশ্রী ঘাড়ের ভাঁজে জমে থাকা ময়লাকে আগ্রহে নিলাম না। চল্লিশ বছরের শরীরে ইতিমধ্যেই বিয়ার বাউ( বিয়ার পান করলে ভুড়ি হয়। এটার আঞ্চলিক নাম বিয়ার বাউ) হয়েছে। ভুড়ির ভারে উনি হাঁসফাঁস করছেন। আমুদে লোক মনে হলো। উনি এসে বিছানায় বসতেই ক্যাচ করে শব্দ হলো। সিঙ্গেল বিছানা আমার। অনেকটাই পুরাতন। বিয়ার পান করতে অফার করা এখানে স্বাভাবিক ভদ্রতা। আমি অফার করলাম,

- একটা বিয়ার হয়ে যাক কি বলেন?
-হ্যাঁ, মন্দ হয়না। যা বিশ্রী আবহাওয়া। সাইজে! ( ইংরেজিতে শিট=ডয়েচে বলে সাইজে)
- হ্যাঁ, শীতের কোন লক্ষনই নেই। রাথহাউস পিলস চলবে? আমি এটাই খাই।
- ডাঙ্কে ব্রুডার(ধন্যবাদ ভাই)। চলবে।

দাঁতের কামড়ে বিয়ারের শক্ত মুখ তিনি খুলে ফেললেন নিমিষেই। এরপরে এক চুমুকেই শেষ করে ফেললেন। আমি মনেমনে প্রমাদ গুণলাম। আমার চেহারা দেখে উনি হেসে ফেললেন।

-বুঝলেন। এক সময় এক মিনিটি দুই বোতল বিয়ার শেষ করেছি। হা হা হা!
-অপুর্ব। আপনার বিয়ার বাউই তার প্রমাণ।
- হা হা হা! তা যা বলেছেন।
- তা আপনি আমার নাম জানলেন কিভাবে? আমিতো এখানে নতুন। আজকেই তো উঠেছি।
- আমি স্থানীয় গোয়েন্দা সংস্থায় আছি। আর একটু ব্লাক আর্ট করি। একটু সাবধানে থাকবেন বুঝলেন। এই বাসাটাতে কোন একটা সমস্যা আছে।

মোমবাতি জ্বালিয়ে রাখা এখানে সবার একটি অভ্যাসের মত। প্রায় প্রতিটি বাড়িতে মোমবাতি জ্বালাতে দেখা যায়। আমারও ভালো লাগে। আমি এক সাথে তিন রং এর তিনটি মোমবাতি জানালার রকে জ্বালিয়ে রাখি। আর আমার টেবিলে ল্যাপ্টপের পাশেই থাকে দুটি বড় আকারের মোমবাতি। এগুলো খুব শক্তিশালী। ঝড়োবাতাসেও নিভেনা। হটাত মনেহলো আমার কানের পাশ দিয়ে কেউ সেই মোমে ফু দিচ্ছে। আগুণ হেলে পড়ছে সামনে। আমি ভয়ার্ত চোখে মিঃ গোয়েব্লারের দিকে তাকালাম। উনি প্রায় লাফ দিয়ে চিৎকার করে উঠলেন,

- সাইজে ইয়ুঙ্গে! ভাস মাখস দু হিয়ার? ( শিট ইয়ং কি করছিস এখানে?)
- আমি চমকে বললাম কে? কে আছে এখানে?
- আর বলবেন না। আপনার মাথার পেছনেই ছিলো। দুষ্টু মনে হচ্ছে। আমাকে দেখেই এসেছে মনেহচ্ছে।
- কি বলেন এসব? আমিতো কাউকে দেখলাম না।
-আল্টার!(ডূড) ভয় পাবেন না। আমি দেখবো বিষয়টা। আজকে উঠি।

মিঃ গোয়েব্লার চলে গেলেন। ঘড়িতে দেখলাম রাত দুইটা মত বাজে। আজকে আর বাস নেই। তারমানে যাওয়ার উপায়ও নেই। খুব ভয় করছে। এই লোকটা কে তাও জানিনা।
চুপচাপ বসে ভাবছি কি করবো। হটাত দরজাতে ভারি কিছু পড়লো। প্রচন্ড ভয়ের ফলশ্রুতিতে কাঁপুনি শুরু হয়েছে। আমি তাড়াতাড়ি বিছানায় শুয়ে পড়লাম। কম্বল মুড়ি দিয়ে ভয়ঙ্কর সব মুহুর্ত মাথায় চলে আসতে লাগলো। জীবনে এত ভয় পাইনি। বিভিন্ন ভাবনাতে নিজেকে ডুবিয়ে নিতে নিতে এক সময় ভাবলাম,
-ধুর শুধু শুধু ভাবছি এগুলো মনের ভয়।

রাত যেখানে গভীর আর ভয়ঙ্কর; প্রকৃতির ডাক সেখানে অনিবার্য। আমারও ব্যাতিক্রম হলোনা। এর নাম বিদেশ। চাইলেই আমি অনেক কিছু করতে পারিনা। রুমগুলো এমনভাবে তৈরি যে সামান্য গন্ধ রুমে হলেই টেকা দায়। আমাকে আপাততো কোকের বোতলে অকাজটা সারা মাথা থেকে বিদায় করতে হবে। খুব সাহস নিয়ে বাথরুমে যেতেই হচ্ছে। তার আগে করিডোরের লাইট জ্বালাতে হবে। হাতে নোকিয়ার মোবাইলটা নিলাম। মোমবাতি নিয়ে পারতাম কিন্তু জানে ভয় ঢুকে গেছে। খুব আস্তে করে দরজা খুলে দেখি নাহ্‌! কেউ নেই। তাড়াতাড়ি করিডোরের লাইট জ্বালাতেই সামনে একদম মরা বাড়ির মত শুনশান নিরবতা।

বাথরুমের লাইট জ্বালিয়ে বসে পড়ে মনেমনে ভাবছি,

-বাছা, তাড়াতাড়ি বের হও। দেরী করাইয়োনা।

আমাকে আশ্বস্ত এবং অবাক করে দুইটি কর্মই শুরু হলো। আসলে ভয় পেলে হার্টে চাপ দেয়। ফলাফল যা তাই আমার ক্ষেত্রে ঘটছে। চুপচাপ বসে আছি। ভাবছি কালকেই একটা বিহিত ব্যবস্থা করতে হবে। যখনি এই ভাবনার জগতে ডুবে গিয়েছি হটাত লাইট নিভে গেলো। তাড়াতাড়ি মোবাইলের আলো জ্বালাতেই আবার লাইট জ্বলে উঠলো। কী আশ্চর্য! আমি স্রেফ মারা যাবো। দরদর করে ঘাম ছুটছে। হাতে টিস্যু নিতেই আবার লাইট নিভে গেলো এবং দম বন্ধ হয়ে যাবার আগেই লাইট জ্বলে উঠলো।

তাড়াতাড়ি পরিস্কার হয়েই দরজা খুলে বাইরে বের হতে হবে। হাত ধুয়েই দরজার হ্যান্ডেল ডানে মোচড় দেই আর আমাকে অবাক করে দিয়ে হ্যান্ডেল বামে ঘুরে যায়। সর্বনাশ! এ কী? আমি আবার চেষ্টা করলাম। ফলাফল একই। দরজা খুলেনা। হাতে যে মোবাইল তাতে সিম কার্ড বাংলাদেশের। আমি যেটা এদেশে ব্যবহার করি সেটা সাথে আনিনাই। সুতরাং চাইলেও ইমার্জেন্সিতে কল দেয়া সম্ভব না। চিৎকার দিয়েও লাভ নেই। মনের জানালার মতই এদের ঘরের জানালাও এয়ার টাইট। একটা শব্দও যাবেনা। কি করবো যখন ভাবছি ঠাশ করে টয়লেটের একমাত্র লাইট খুলে বেসিনের উপরে ভেঙ্গে পড়লো। এক সেকেন্ড সারা শরীরে অনুভুতি পেলাম না। তন্দ্রাচ্ছন্নের মত টয়লেটের প্যানে বসে পড়লাম।

আমার মাথায় কিছুই কাজ করছেনা। দরজা ভেঙ্গে ফেলার কোন উপায় নেই। ভেঙ্গে ফেলেই বা কি হবে? বিপদ তো বাইরেই! চুপচাপ দোয়া দরুদ পড়া শুরু করে দিলেম। দরজায় পরিস্কার আচড়ের শব্দ। ঠিক উপর থেকে নিচে নেমে আসছে। আবার নীচ থেকে উপরে উঠছে। গা হাত পা যতটা সম্ভব গরম রাখার চেষ্টা করছি। দুই হাতের তালু ঘষে গরম করার ফাঁকে হিটার অন করে দিলাম। খানিকটা উষ্ণতা দরকার। ঠিক এই সময় মাথার উপরের স্কাই লাইটটা আমার উপরে ভেঙ্গে পড়লো।

না নড়া মানেই নিজের অস্তিত্বকে জানান না দেয়া। আমি আঘাত পেয়েও চুপচাপ বসে থাকলাম। বাইরে একটানা খুদে শেয়ালের কান্না শুরু হলো। এই রাত কিভাবে যাবে মাথায় ঢুকছেনা। দিনের আলো বড় বেশি দরকার। এই যখন ভাবছি আবার দরজার হ্যান্ডেল ডানে ঘোরা শুরু হলো। ক্যাচক্যচে ভয় জাগানিয়া সেই শব্দ। ওহ্‌ মাই গড! দরজা খুলে যাচ্ছেতো। আমার জ্ঞান হারাবার প্রবণতা আছে। আস্তে আস্তে হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসছে। কিছুতেই নিজেকে বসিয়ে রাখতে পারছিনা। ধীরে ধীরে দরজা খুলে যেয়ে করিডোরের আলো পরিস্কার হচ্ছে।

ভীষণ শরীর খারাপ আর তীব্র বমি বমি ভাব শুরু হলো। ঘেমে যাওয়া শরীর নিয়ে মেঝেতে শুয়ে পড়লাম। দরজার ফাঁক দিয়ে আস্তে আস্তে আলো বড় হচ্ছে! আমি হড়হড় করে ফ্লোরে বমি করে দিলাম। শেষবারের মত জ্ঞান থাকার আগে দরজা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে আবছা দৃষ্টিতে দেখি সেখানে একটি বাচ্চা মেয়ে। চোখের দৃষ্টির উচ্ছ্বাস, আনন্দ, ভালবাসা অথবা স্নেহ বহু আগে মরে গিয়ে সেখানে একটা মৃত্যুর হিমশীতলতা। তার মুখ সেলাই করা। একদম নিষ্ঠুর এবং নিখুঁত ভাবে এই মাথা থেকে ঐ মাথা পর্যন্ত মুখটা সেলাই করা। ফুলের মত জার্মান একটি বাচ্চা মরে গিয়ে তাকে আরো বেশি মায়াবী লাগছে। কোলের পুতুলটাতে একটা বড় ছুরি বুকে এপাশ থেকে ওপাশ পর্যন্ত গাঁথা!
চলবে!!!

প্রেতাত্মা-১

shah waez


মন্তব্য

এক লহমা এর ছবি

স্-স্-স্-স্ চুপ! কোন কথা নয়! (ভীষণ ভয়ের ইমো)

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

অতিথি লেখক এর ছবি

এক লহমা শ্রদ্ধা

Shah waez (শাহ্‌ ওয়ায়েজ)

অতিথি লেখক এর ছবি

এই পর্বে জমেছে ...

সুবোধ অবোধ

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ। হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

দীনহিন...প্রথমেই ধন্যবাদ লেখাটি পড়ার জন্য। এই লেখাটার পরিবেশগুলো চিন্তা করলে দেখবেন সবই বাইরের।সমস্যা হলো প্রথম পর্ব থেকেই এটা মাথায় নিয়ে লেখা। এরপরে লিখে দেখলাম হরর মুভির আবহাওয়া চলে আসে। আবার আমি চাইলেও জার্মানীতে বাঁশঝাড় নিয়ে আসতে পারছিনা দেঁতো হাসি সুতরাং অনেক ভেবে চিন্তে এগোচ্ছি।

আর হ্যাঁ, লেখাটা আমি ভাবছি এই ঢং এ লেখা। ভাল থাকবেন হাসি

দীনহিন এর ছবি

না নড়া মানেই নিজের অস্তিত্বকে জানান না দেয়া।

আমারও এমন হয়, ছোটবেলায় খুব হত, এখনো হয়!
আপনার লেখাটা কিছুটা স্মৃতিচারণের ঢংয়ে লেখা, মাঝে মাঝেই ভ্রম হচ্ছিল, স্মৃতিকথা নয়তো ? তবে একে লেখার ভ্রম বলা যাবে কিনা, নিশ্চিত নই, কারণ একটি গল্পকে স্মৃতিকথার মত করে লিখে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে পেরেছেন- এভাবেও বলা যায়।

যাইহোক, আগামী পর্ব পড়ার আগ্রহ কিন্তু জিইয়ে আছে, যদিও হরর মুভিগুলোর মত হয়ে যাবে, এই শঙ্কাও আছে!

তারপরও চলুক।

.............................
তুমি কষে ধর হাল
আমি তুলে বাঁধি পাল

আয়নামতি এর ছবি

কিছু একটা মিসিং যেন। কিন্তু সেটা ঠিক কী বুঝলাম না। পরের পর্ব আসুক।

অতিথি লেখক এর ছবি

আয়নামতি...কিছুটা রহস্যময়তা রাখছি আর কী দেঁতো হাসি । ধন্যবাদ গল্পটি পড়ার জন্য।

shah waez(শাহ্‌ ওয়ায়েজ)

বন্দনা এর ছবি

একটু একটু ভয় পাইছি।

অতিথি লেখক এর ছবি

বন্দনা শ্রদ্ধা

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

হঠাৎ করে মিঃ গোয়েব্লারের আগমন কেন? মানে, উনি কড়া নাড়েন নি বা এমন কিছু করেন নি বলে মনে হলো। আর উনার আগমনের হেতু কি? পরের পর্বে পরিষ্কার হবে? কিন্তু সে ক্ষেত্রেও উনার নিজে থেকে আগমনের কোন ব্যাখ‌্যা থাকা দরকার ছিলো। আর উনি চট করে এসে চট করে চলে গেলেন - এতেই রাত দুটো বেজে গেলো? জিনিসটা খাপছাড়া মনে হলো।

এবারের ভৌতিক আবহটা ফুটেছে তুলনামূলকভাবে অনেক ভালো। পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।

____________________________

অতিথি লেখক এর ছবি

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ ধন্যবাদ পড়ার জন্যে। আপনি হয়ত পর্ব একে একটা অংশ মিস করেছেন। সেখানে বলা আছে ভৌতিক বিষয়গুলো জন্যে আমি বন্ধুর বাসায় চলে যাচ্ছিলাম। রাত বারটার মত তখন সময়। দরজা খুলতে মিঃ গোয়েব্লারের দেখা পাই। এভাবেই প্রথম পর্ব শেষ করা আছে হাসি

আর আমাকে একটু জানাবেন কিভাবে অতিথি লেখক হয়েও নামটা দেয়া যায়? যেমন আপনি দিয়েছেন। আপনি আগে বললেও আমি করতে পারছিনা। একটু ডিটেইল জানালে বুঝতে পারবো। ভাল থাকবেন হাসি

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

আর আমাকে একটু জানাবেন কিভাবে অতিথি লেখক হয়েও নামটা দেয়া যায়? যেমন আপনি দিয়েছেন।

আপনি প্রথমে এই লিংক টি পড়ে দেখুন, আশা করি অনেক কিছু পরিস্কার হয়ে যাবে। হাসি
সচলে লিখতে হলে সবাইকে প্রথমে আপনার মত অতিথি অ্যাকাউন্ট থেকে লিখতে হয়। ধীরে ধীরে লিখে এবং শুধু নিজের লেখায় নয় অন্য সবার লেখায় মন্তব্য করতে থাকলে এবং সচলায়তনের মডারেটরবৃন্দ আপনাকে যোগ্য মনে করলে আপনি নিজের নামে অ্যাকাউন্ট পাবেন। সেক্ষেত্রে শুরুতেই আপনি পূর্ণ সদস্য পদ পাবেন না, আপনি সচলের সদস্য থাকবেন ঠিকই কিন্তু অতিথি হিসাবে তাই নিজের নামে অ্যাকাউন্ট থাকলেও নামের শেষে অতিথি লেখা থাকবে। এক্ষেত্রে সুবিধা হল আপনার সকল লেখা আপনার সচলায়তনে নিবন্ধিত নামেই প্রকাশিত হবে যেমন আপনি আমার ক্ষেত্রে বা প্রোফেসর হিজবিজবিজ এর ক্ষেত্রে দেখতে পাচ্ছেন।

পরবর্তীতে আপনার লেখার গুনগত মান যাচাই শেষে সচলায়তনের মডারেটরবৃন্দ আপনাকে পূর্ণ সদস্য পদ দিতে পারেন। পূর্ণ সদস্যদের নামের শেষে আর অতিথি লেখা থাকেনা। পূর্ণ সচলদের লেখা বা মন্তব্য কোনটাই সরাসরি মডারেশনের আউতায় পড়েনা। লিংক গুলো পড়লে পুরো বিষয়টা আপনার কাছে আরও পরিস্কার হবে।

আপনি যদি সচলে নিবন্ধন না করে থাকেন তাহলে আজই করে ফেলুন তারপর শুরুতে অতিথি লেখক হিসেবেই লিখতে থাকুন আর অন্য সবার লেখা পড়তে থাকুন দেখবেন খুব দ্রুত নিজের নামে অ্যাকাউন্ট পেয়ে যাবেন। হাসি
আর হ্যাঁ সচলের নীতিমালা পড়ে নিতে ভুলেন না কিন্তু। সচলায়তন একটি পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়ার ক্ষেত্র, এটি কিন্তু সাধারন কোন ব্লগ না, অনলাইন রাইটার্স কমিউনিটি।
সকল সচল, হাফ সচল, অতিথি লেখক, পাঠক সবাইকে নিয়ে সচলায়তন একটি চমৎকার পরিবার।

লেখা পড়ছি, চলুক।
শুভকামনা ।

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

অতিথি লেখক এর ছবি

সাফিনাজ আরজু, আপনাকে অনেকগুলো ধন্যবাদ জানানোর সুযোগটা আজকে হারাতে চাইনা।
আপনি সেই প্রথম থেকেই আমাকে অনেক সুন্দর গাইড লাইন দিয়েছেন। কোন একটি লেখায় বলেছিলেন একটি লেখা দুইবার করে পড়তে। আমি পড়ে দেখেছি কতটা পরিবর্তন আসে। একজন নবীন লেখককে এভাবে উৎসাহ দেবার দায়িত্ববোধ এবং রীতি আমি মনেকরি সচলায়তনেই একমাত্র সম্ভব।

সচলায়তনে লেখা আমার জন্যে স্বপ্নের মত ব্যাপার। কোন একটি লেখা প্রকাশ পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকি তীর্থের কাকের মত কখন সেটি প্রকাশ পাবে। পেলে নিজেকে অনেক ধন্য মনেহয়।

সচলায়তন খুব সাভাবিক ভাবেই অনেক রুচিশীল এবং সাবধানী লেখা প্রকাশ করে। শুধু মাত্র ভাষাগত ত্রুটির কারণে আমার গৃহশিক্ষক-১ লেখাটি পাঁচবার সরিয়ে নেয়া হয়। তারপরে আমি বুঝতে পারি সমস্যাটা কোথায়?

আপনি যেভাবে এত কষ্ট করে আমাকে জানালেন তাতেই আমি উৎসাহ পেলাম হাজার গুণে। ভাল থাকবেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আবারও হাসি
shah waez

পুতুল এর ছবি

বিয়ার বাউ হবে বিয়ার বাউখ। শব্দটা বাউ নয়, বাউখ। সচলায়তনে স্বাগতম। সাইজের বাংলা বানানো ভীষণ কঠিন, কিন্তু অন্য যে সব জায়গায় জার্মানের অনুবাদে ইংরেজী লিখেছেন সে গুলো বাংলা বাক্যে লেখার চেষ্টা করা ভাল। লিখতে থাকুন হাতখুলে।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

অতিথি লেখক এর ছবি

পুতুল, অনেক ধন্যবাদ। আসলে প্রায় আড়াই বছর হলো জার্মানীতে আছি। ডয়েচ বলতে পারি ৫০%, লেখতে পারি ২৫% আর বুঝি তার থেকেও কম। এই অল্প বুঝা থেকেই বিয়ার বাউখ হয়ে গেছে বিয়ার বাও দেঁতো হাসি
আর ভালবাসা থেকেই ডয়েচের একটু ছোঁয়া দেয়ার চেষ্টা করেছি। বাংলায় উচ্চারণে যেন সবাই ডয়েচের উপর ভয়টা কমিয়ে ফেলে। ডাংকে শোয়েন হাসি

shah waez

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।