বাংলা ভাষাতে একটি বহুল আলোচিত উক্তি হলো কাচায় না নোয়ালে বাঁশ পাকলে করে টাশ্ টাশ্। এর মানেটা হলো ছোট বেলা থেকেই যদি শিক্ষাটা সঠিকভাবে না দেয়া হয় তাহলে বুড়ো বয়সে যাই করেন তাতে কাজ হবেনা। আমরা ইদানিং অনেক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি। এগুলো সামনে আসছে আর আমরা সোচ্চার হচ্ছি। প্রতিবাদের ভাষাতে সেগুলো রুখে দিচ্ছি কিন্তু আসলেই কতটা উপকার এতে হচ্ছে? সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কারণে একটা ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠি তাও যারা কিনা শিক্ষিত তারাই এইসব বিষয়ে সচেতন হয়ে চেষ্টা চালাচ্ছেন অপরকে সচেতন করতে। এভাবে একটা নির্দিষ্ট অংশ বুঝলেও একটা বৃহৎ অংশ এই শিক্ষার আলোর বাইরেই থেকে যাচ্ছেন। শুধু ফেসবুক, ব্লগ দিয়ে আমরা নির্দিষ্ট একটা গোষ্টিকে আলোর নিচে আনতে পারলেও সবাইকে কিন্তু আনতে পারবোনা। দেশের সবাই এখনও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কাকে বলে জানেনা। এমন অনেকেই আছেন যারা ফেসবুকে বাংলা লেখা যায় বা পড়া যায় তাও জানেন না। সমস্যা হলো তারা আলোর বাইরেই থেকে যাচ্ছেন।
আমি আমার অভিজ্ঞতার আলোকে বিষয়গুলো আলোচনা করতে চাই। প্রথম যখন জার্মানী আসলাম তখন আমার বয়স ২৬ বছর। বিগত ২৬ বছরে পারিবারিক কিছু শিক্ষার বাইরে আমি মুলত আলাদা কোন শিক্ষা পাইনি। এমনকি যা পেয়েছি তাও সামান্য এবং পরিচর্যার অভাবে ভুলে গিয়েছিলাম। উদাহরণ দিলে পরিস্কার হবে,
১) রাস্তার কোন পাশ দিয়ে হাঁটতে হবে এখানে তা পরিস্কার করে লেখা। কোনটি সাইকেল চালনার জন্যে সংরক্ষিত তাও লেখা। আমি জানতাম না। জানার কথাও না। রাস্তা পার হবো জেব্রা ক্রসিং দিয়ে? সারা জীবন পার হলাম রোড ডিভাইডার ডিঙ্গিয়ে। কিন্তু আস্তে আস্তে শিখলাম। একদিন দেখি গোটা দশেক গাড়ি দাঁড়িয়ে। রবিবার সেদিন। প্রায় জনা পঞ্চাশেক বিভিন্ন বয়সের মানুষের সবার দৃষ্টি দেড় বছরের একটা বাচ্চার দিকে। সে সেদিন জেব্রা ক্রসিং পার হওয়া শিখছে। একবার অর্ধেক যেয়ে আবার বাবা-মায়ের কাছে ফিরে আসে। এভাবে সে পার হলো এলোমেলো পায়ে। সবাই হাততালি দিলো। কি ঘটছে আমাদের বেলায়?
২) আমি সাইকেল চালানো শিখেছি চুরি করে। হাত পা কেটে একাকার। দুই তিনবার গাড়ির তলে পড়তে পড়তে বেঁচে গেছি। কোন একদিন সকালে কাজে যাবো। দাঁড়িয়ে আছি বাস ষ্টপেজে। কিছুক্ষণ পরে দেখি সতেরোজন বিভিন্ন বয়সী বাচ্চার গায়ে নম্বর লাগানো জ্যাকেট। তাদের নেতৃত্বে একজন পুলিশ কর্মকর্তা। শেখানো হচ্ছে কীভাবে সাইকেল চালাবে। কেমন করে সিগন্যাল দেখবে। কখন রাস্তা পার হবে। কী ঘটছে আমাদের বাচ্চাদের বেলাতে?
৩) ফেসবুকে আমার আগমণ যখন আমি ব্যাচেলরে তৃতীয় বর্ষে। অবশ্য তখন ফেসবুক নতুন এসেছে। যাইহোক, আমার মামাতো ভাই পড়েন ক্লাস সেভেন। তিনি আমাকে এড করেছেন। অনেক ছোট বেলায় দেখেছি। ঠিকমত চেহারাও দেখিনি। একদিন সে আমাকে ফেসবুকে ভিডিও কল দিলো। রিসিভ করলাম। সে খানিকটা ভীত। বাচ্চা একটা ছেলে। অবশেষে টেবিলের তল থেকে মুখ বের করে বলে,
-সরি ভাইয়া! তোমাকে দেখতে ইচ্ছা হচ্ছিলো।
সে নিতান্তই একটি বাচ্চা ছেলে। খেলার মাঠ নেই। সারাদিন গৃহবন্দী। সে একটু বাঁচার জন্যে এই বিপজ্জনক মাধ্যমে কে খুঁজে নিয়েছে।
জার্মানীতে নির্দিষ্ট একটি বয়স পর্যন্ত বাচ্চাদের ছবিও তুলতে মানা করা হয়। তাদের অনুষ্ঠানে সবাই আমন্ত্রিত হননা। যত্রতত্র ছবি তোলা নিষিদ্ধ। অভিবাবককে না জিজ্ঞাসা করে কোন উপহার দেয়া, টাকা দেয়া সরাসরি চাইল্ড এবইউজের আওতায় পড়ে যায়। কথা হলো অনেকেই হয়ত বলবেন,
-এটা আমাদের সংস্কৃতি নয়।
সংস্কৃতি নয় আমি জানি তবে বাচ্চাদের এইসব বিপদ আর বিপত্তি থেকে কে রক্ষা করবে?
৪) স্কুল, কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় সব জায়গায়তেই হেড়ে গলায় গান গেয়ে কিংবা কথা বলে তাড়া খেয়েছি স্যারদের। বহুবার আমাকে হুমকি দেয়া হয়েছে পাশ করতে দেয়া হবেনা। আমি পাশ করেছি। কিন্তু যে শিক্ষাটি আমাকে দেয়া হয়নি তাহলো কেনো চিৎকার করে কথা বললে সমস্যা? কি শিখছে আমাদের বাচ্চারা?
৫) একবার স্থানীয় এক বাংলাদেশী বড় ভাইয়ের বাসাতে দাওয়াত ছিলো। খেয়ে উনার গাড়িতে ফিরছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে প্রায় চলে এসেছি। একটা অপ্রত্যাশিত ঘটনা আমাকে চমকে দিলো। নিতান্ত সহজ সরল একটি খরগোশ গাড়ির হেড লাইটের আলোয় দিক ভ্রান্ত হয়ে এদিক ওদিক ছোটাছুটি শুরু করে দিলো। ভাই গাড়ি থামিয়ে দিলেন। আমরা নেমে পড়লাম। উনি বললেন,
- এখানে মানবিকতার শিক্ষাটা আগে দেয়া হয়। এরপরে গাড়ির ষ্টিয়ারিং ঘুরানো।
আরেকবার লেকে মাছ ধরছি। আমি একটা বড় মাছ পেলাম। ঐটাকে ব্যাগে ভরে আরেকটা ধরার দিকে মনযোগ দিলাম। আমরা যা করি আর কী! আমার বন্ধু ডানিয়েল বললো,
-শাহ্, আগে ঐ মাছটাকে মেরে ফেলো। ও কষ্ট পাচ্ছে। তোমাকে নিঃশ্বাস বন্ধ করে ব্যাগে ভরে রাখলে কেমন লাগবে?
আমার দৃষ্টি খুলে গেলো। এরপরে এখন কিছু কাটতে গেলেও মায়া লাগে। পেঁয়াজের গাছ গজানো এখানে নিত্ত নৈমত্তিক ব্যাপার। ভুক্ত ভোগিরাই জানেন ব্যাপারটা। আমার ছোট ভাই একদিন প্রায় গোটা দশেক গাছ গজানো পেঁয়াজ এনে বলে,
- ভাই, তুমিই কাটো। আমি এই নির্মম কাজ করতে পারবোনা!
অগত্য বুনে দিলাম মাটিতে। প্রশ্ন হলো আমরা বাচ্চাদের এই মানবিক শিক্ষাগুলো দিচ্ছি কি? ড্রাইভিং যারা শিখছে তারা কি মানুষকে মানুষ নাকি হাঁস মুরগী ভাবছে?
৬) অফিসে, আড্ডায় অথবা যেখানেই হোক না কেনো আমরা কেউ কারো কথা শুনিনা। আমরা মনযোগী শ্রোতা থেকে বিধ্বংসী বক্তা হতে বেশি পছন্দ করি। একদিন চরম লজ্জা পেলাম। দুইজন ব্যাক্তি কথা বললে স্বাভাবিক নিয়ম হলো তারা শেষ করলে কথা শুরু করা। আমি তোয়াক্কা না করে তাদের অবাক দৃষ্টির শিকারে লজ্জিত হলাম। প্রশ্ন হলো ধমক না দিয়ে বাচ্চাদের এই সুক্ষ বিষয়গুলো কতজন শেখান?
৭) অনেক কথা বললাম। এবারে যে কারণে এই বিষয়গুলো লেখা তাতে আসি। ইদানিং পথে ঘাটে, অফিসে আদালতে, খেলার মাঠে সব জায়গায় জাতীয় পতাকা অবমাননা করা হচ্ছে। এশিয়া কাপ আসলেই আমরা সোচ্চার হলাম এবারে যেন কেউ অন্য দেশের জাতীয় পতাকা নিয়ে মাঠে না যায়। ফলাফল শুন্য। কেনো?
ক) বেশিরভাগ মানুষ তার শৈশবকাল থেকে জানেন না জাতীয় পতাকার সম্মান কতটা। কিভাবে এটিকে ব্যবহার করতে হবে। কখন করতে হবে। কেনো ব্যবহার করা বাধ্যতামুলক। আমাদের পাঠ্য পুস্তকেও সম্ভবত এগুলি নেই।
খ) এশিয়া কাপ গেলো। টী-২০ আসবে। এরপরে আবার আসবে বিশ্বকাপ ফুটবল। আমরা বেমালুম সব ভুলে আর্জেন্টিনা, ব্রাজিলের পতাকায় ছাদ, অফিস, মুখ আর মাথা ছেয়ে ফেলবো। আমার পরিস্কার মনে পড়ে অনেকদিন আগে ব্রাজিলের পতাকা মুখে আঁকা উন্মত্ত এক ফ্যান নিয়ে কোন এক চ্যানেলে সংবাদ হয়েছিলো। পতাকা পাকিস্থান হোক, ব্রাজিল হোক বা জার্মানী তা স্পষ্টই আমাদের আইনকে কাচ কলা দেখাচ্ছে সেটা আমাদের জ্ঞানে নেই। আমরা শিখি নাই ছোট বেলা থেকেই! কিভাবে বয়সকালে মানবো?
একটা হাস্যকর অথচ গুরুত্বপুর্ণ গল্প দিয়ে শেষ করি। আমার মেজো ভাই বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশনের চাকরী সুবাদে বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে তখন ট্রেনিং এ। ভাইয়ের পাশের কক্ষেই তার বন্ধু। বি সি এস মানেই হলো দেশের সেরা মেধাবীদের আস্তানা( ব্যাতিক্রম কোন উদাহরণ নয়)। যাইহোক ভাইয়ের সেই বন্ধু কোন এক সন্ধ্যায় মনের দুঃখে বোমা ফাটালেন। ভাইকে জানালেন তার রুমমেট ফরেন এফেয়ার্সের নব নিযুক্ত ক্যাডার অফিসার নাকি মুখ ধোয়ার বেসিনে প্রসাব করেন। বেসিন যে প্রসাবে জায়গা নয় সেটি উনি হয়ত তার সেই ২৭-২৮ বছর অবধি জানতেন না। কিভাবে জানবেন? কিভাবে এই মানুষটি বিদেশে গেলে আমাদের মান ইজ্জত রক্ষা করবেন?
সেই শুরুর কথাতেই ফিরে আসি। কাচায় না নোয়ালে বাঁশ পাকলে করে টাশ্ টাশ্। শিক্ষা দেন বাচ্চাদের। জীবন চলার শিক্ষা। বাস্তব শিক্ষা। আমি হলফ করে বলতে পারি আজ থেকে দশ বছর পরে কোন এশিয়া কাঁপে পাকিস্থান, শ্রীলিংকা অথবা যেকোন দেশের পতাকা হাতে কেউ যাবেনা। বাংলাদেশ থাকবে হৃদয়ে।
Shah waez (শাহ্ ওয়ায়েজ)
ইউনিভার্সিটি অব হোহেনহাইম।
ষ্টুটগার্ট। জার্মানী।
মন্তব্য
কিসের ভিত্তিতে এই ধারণাতে উপনীত হলেন??
সাইদ...সামান্য একটু ভুল আছে। কোঠার বিষয়টা বাদ দিলে মেধাবীদের আস্তানা সেটা অস্বীকার করার উপায় নেই ধন্যবাদ ভাই পড়ার জন্যে।
shah waez (শাহ ওয়ায়েজ)
Facebook
স্পর্শ, শিশুদের না শেখালে যতই চেষ্টা চালান তাতে কাজে দেবেনা। আমার একটা পরিস্কার ধারণা।
shah waez (শাহ্ ওয়ায়েজ।)
Facebook
..............................................................................................
কোথাও নেই ঝুমঝুম অন্ধকার
তক্ষক ডাকা নিশুতিতে
রূপকথা শুনে শিউরে উঠে না গা
স্বপ্নে আমার শরীরে কেউ ছড়ায় না শিউলি ফুল
আলোর আকাশ নুয়ে এসে ছোঁয় না কপাল
জর্মনরা এক কালে অনেক বড় বড় অমানবিকতা করেছে। আজকাল অবশ্য দেখে মনে হয়, সেইসব ভুল থেকে শিক্ষাও নিয়েছে তারা।
আমাদের দেশে এইসব সিস্টেম অন্তত এই সময়ে সরাসরি কাজে লাগবে না। নিজেদের মত করে ভেবে বের করতে হবে কিছু। কত কম জিনিস নিয়ে সবাই মিলেমিশে আছি। ইউরোপীয়রা, এরকম অবস্থায় কামড়াকামড়ি বাধিয়ে দিতো।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
shah waez (শাহ্ ওয়ায়েজ।)
Facebook
..............................................................................................
কোথাও নেই ঝুমঝুম অন্ধকার
তক্ষক ডাকা নিশুতিতে
রূপকথা শুনে শিউরে উঠে না গা
স্বপ্নে আমার শরীরে কেউ ছড়ায় না শিউলি ফুল
আলোর আকাশ নুয়ে এসে ছোঁয় না কপাল
"ব্যাকরণ চৈকিদার" (grammar police) হতে চাইছি না, তবে কাচা জিনিসটা কাঁচা হলে ভালো লাগত।
মানবিকতা শিক্ষার প্রসঙ্গ তুলেছেন (বিশেষ করে জার্মানদের সাথে তুলনা), কিন্তু সব মুদ্রারই দু'পিঠ আছে।
অনেক ভালো মানুষ জার্মান যেমন আছে, তেমনি প্রচণ্ড জাতীয়তাবোধে আক্রান্ত জার্মানও আছে, যারা আপনার দিকে তাকালেও বিরক্ত হয়ে মনে মনে ভাববে, "এহ, বিদেশি লোকজনে দেশটাই ভরে গেল"। আমি বলছি না সবাই খারাপ, কেবল বলতে চেয়েছি সবজায়গাতেই মানবিক/অমানবিক মানুষ আছে। বাংলাদেশেও অনেক চমৎকার মানুষ আছেন, তেমন চোর- ছ্যাচ্চোরও আছে।
আমাদের দেশেও এবিষয়ে কাজ করার প্রয়োজন আছে, মানছি।
তবে, সেটা করা প্রয়োজন আমাদের দেশের পরিপ্রেক্ষিতে, বিদেশের সাথে সরাসারি তুলনা করে এটা করা সম্ভব না।
বিদেশের অনেক 'সৌজন্য' প্রদর্শন রীতিই আমাদের এখানে খাটবে না।
আমাদের এখানে কাউকে ঈদে কদমবুসি করলে, সে বাচ্চার বাবা-মাকে জিজ্ঞেস করবে না, "আমি কি সালামি দেব?"
সম্ভবত, কোন এক ক্লাসে (পরিবেশ পরিচিতি) জাতীয় পতাকা সম্পর্কে ধারণা দেয়া হয়। নিশ্চিত নই।
শুভেচ্ছা
মেঘলা মানুষ, আমি বাংলা লেখালেখির জগতে একদমই নতুন। আবার যেহেতু এখনও অতিথি তাই একটা ভুল করে ফেললেও এখন উপায় নেই সংশোধন করার। আপনি যখনই দেখবেন ভুল ধরিয়ে দেবেন। আমি শিখতে চাই। শেখার কোন নির্দিষ্ট স্থান বা বয়স নেই।
জার্মানরা কেউ কেউ জাতীয়তাবোধে আক্রান্ত এটা মানছি। এটাকেও খারাপের দৃষ্টিতে দেখিনা। কারণ এদের মধ্যে আপনবোধটা মারাত্বক। রেসিজম দেখানোর আজকাল কোনই উপায় নেই। আইন খুব কড়া। শিক্ষার প্রসংগ এসে পড়ায় আমি বিষয়টা তুলেছি।
জাতীয় পতাকার ব্যবহার বিধি সম্পর্কে এই কারণেই বলেছি কারণ ঐ যে যেমন আপনি লেখেছেন সম্ভবত! বিষয়টা হওয়া উচিৎ ছিলো দেয়া আছে! কথাটা এই জন্যেই বললাম মুখস্ত বিদ্যার জায়গায় আমাদের এমন ভাবে আটকে ফেলা হয় যে আত্মার প্রয়োজনীয়তা আমরা ভুলে যাই কোন সময়।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাল থাকবেন
shah waez (শাহ্ ওয়ায়েজ।)
Facebook
..............................................................................................
কোথাও নেই ঝুমঝুম অন্ধকার
তক্ষক ডাকা নিশুতিতে
রূপকথা শুনে শিউরে উঠে না গা
স্বপ্নে আমার শরীরে কেউ ছড়ায় না শিউলি ফুল
আলোর আকাশ নুয়ে এসে ছোঁয় না কপাল
আমাদের
আপনি-আমি আমরা করবো। আমাদের জাতীর ইতিহাস কিন্তু জার্মান কিংবা অন্যদের মত অন্যকে মেরে ধরে তামা তামা করার ইতিহাস না। বরং মার খেয়ে দাম দিয়ে কেনা বাংলা-বাংলাদেশ আমাদের। তারা যদি পারে আমরা কেন পারবো না?
আয়নামতি, জ্বী অবশ্যই এটা আমাদেরই দায়িত্ব। ধন্যবাদ লেখাটি পড়ার জন্য।
Shah Waez (শাহ্ ওয়ায়েজ।)
Facebook
..............................................................................................
কোথাও নেই ঝুমঝুম অন্ধকার
তক্ষক ডাকা নিশুতিতে
রূপকথা শুনে শিউরে উঠে না গা
স্বপ্নে আমার শরীরে কেউ ছড়ায় না শিউলি ফুল
আলোর আকাশ নুয়ে এসে ছোঁয় না কপাল
ভাল ,ধন্যবাদ
অতিথি লেখক, ধন্যবাদ আপনাকেও।
Shah Waez (শাহ্ ওয়ায়েজ।)
Facebook
..............................................................................................
কোথাও নেই ঝুমঝুম অন্ধকার
তক্ষক ডাকা নিশুতিতে
রূপকথা শুনে শিউরে উঠে না গা
স্বপ্নে আমার শরীরে কেউ ছড়ায় না শিউলি ফুল
আলোর আকাশ নুয়ে এসে ছোঁয় না কপাল
ভয়ানক কথা শোনালেন! বেসিনে কি করতে হয় আর কমোডে কি করতে হয় এটা জানে না এমন লোক বিসিএস ক্যাডার, তাও ফরেন সার্ভিস। বিসিএস ক্যাডারে মেধাবী অমেধাবী সবরকম লোকই থাকতে পারে, কিন্তু এরকম আবাল থাকতে পারে কস্মিনকালেও চিন্তা করি নাই। বাথরুম ব্যবহারের জন্য আলাদা কোর্স করাতে হয় নাকি?
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
নীড় সন্ধানী , হ্যাঁ এটাই সত্য। আমার জানামতে ফরেন এফেয়ার্সে যারা চাকরী পান তাদের নিজেদের তো বটেই সাথে পরিবারকেও অনেকগুলি বেসিক বিষয় শিখতে হয়। যেমন বিদেশী অতিথিদের সাথে আহারে বসলে যে সকল নিয়ম কানুন মানতে হয়। কাটাচামচ, ছুড়ি সহযোগে খাবার খাওয়া। এগুলো বলার কারণ হলো আসলেই এই বৃদ্ধ বয়সে প্রশিক্ষণে তারা কতটা শিখেন? ঠিক কত সময় পরে সেগুলো রপ্ত করেন? বিষয় গুলো আসলে ছোটবেলা থেকেই শেখানো উচিৎ। ধন্যবাদ আপনাকে।
Shah Waez (শাহ্ ওয়ায়েজ।)
Facebook
..............................................................................................
কোথাও নেই ঝুমঝুম অন্ধকার
তক্ষক ডাকা নিশুতিতে
রূপকথা শুনে শিউরে উঠে না গা
স্বপ্নে আমার শরীরে কেউ ছড়ায় না শিউলি ফুল
আলোর আকাশ নুয়ে এসে ছোঁয় না কপাল
সরকারি কর্ম কমিশনে চাকুরি যারা করেন ওঁরা তো নন ক্যাডার পোস্টে। বিসিএস ক্যাডার সার্ভিস। লোক প্রশাসন কেন্দ্রের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণে নন ক্যাডার আর ক্যাডার সার্ভিসের আলাদা ট্রেনিং হয়। পিএসসিতে চাকরি করে ক্যাডার সার্ভিসের সাথে ট্রেনিং হওয়ার কথা নয়। বিশ্বস্ত সূত্র বা আত্মীয়ের সুবাদে কোন রেফারেন্স হতে পারে না। ব্যাপারটা ক্লিয়ার করবেন।
অতিথি লেখক, আমার তথ্যে ভুল আছে কিনা খোঁজ নিয়ে দেখবো। ধন্যবাদ।
Shah Waez (শাহ্ ওয়ায়েজ।)
Facebook
..............................................................................................
কোথাও নেই ঝুমঝুম অন্ধকার
তক্ষক ডাকা নিশুতিতে
রূপকথা শুনে শিউরে উঠে না গা
স্বপ্নে আমার শরীরে কেউ ছড়ায় না শিউলি ফুল
আলোর আকাশ নুয়ে এসে ছোঁয় না কপাল
নতুন মন্তব্য করুন