-স্যার, দেখেনতো আমাকে কেমন লাগছে?
তিথির কথা শুনে আমি মুখ তুলে তাকাই। তিথি (আমি হুমায়ূন পাগলা মানুষ। উনার লেখা আমি গিলি। পড়িনা। তাই ছাত্রীর আসল নাম উহ্য রেখে নাম দিলাম ‘তিথি’) আমার ছাত্রী। আজকে শুক্রবার তাই জুম্মার নামাজ পড়ে পাঞ্জাবী আর খুলি নাই। দু’টো ভাত মুখে দিয়েই চলে এসেছি পড়াতে। আমাকে দেখেই তিথির মুচকি হাসি।
- স্যার আপনি বসেন। আমি আসছি। দশ মিনিট।
দশ মিনিট পরেই তিথির আগমণ। সে এই দশ মিনিটেই তার আগের পোষাক পালটে শাড়ি পড়ে এসেছে। শাড়ি কেউ ঠিকভাবে পড়তে চাইলে দশমিনিট যথেষ্ট নয়; তাই তিথিকেও অবিন্যস্ত লাগছে।
- স্যার দেখেন তো কেমন লাগছে আমাকে? আজকে শাড়ি পড়েই আপনার কাছে পড়বো।
আমি মনেমনে খানিটটা ব্যাকফুটে চলে এলাম। তিথিকে প্রথম যেদিন পড়াতে যাই সেদিন খুব মায়া লেগেছিলো। মাত্রই ক্লাস নাইনে পড়া একটি মেয়ে। বিধাতা তাকে সব দিয়েছেন। বয়সের তুলনায় শরীরে দিয়েছেন বাড়তি গাঁথুনি। শুধু দেননি সেই তুলনায় বুদ্ধির বিকাশ। সে সৃষ্টি কর্তার অবহেলাকে তুড়ি মেরে একজন স্বাভাবিক মেয়ে সাঁজতে চায়। গোলমালটা শুরু হয় সেখানেই । তিথি আমাকে দেখেই বিশাল একটা হাসি দিয়ে একদম আমার পাশে বসে পড়লো। সে কথা পরিস্কার করে বলতে পারেনা। সে তার মত করেই আমার সাথে ভাব জমাতে চেষ্টা করলো।
-স্যার আসসালামুয়ালাইকুম। আমার নাম তি......থি। আমি ক্লাস না......ইনে পড়ি। আমার বি......ড়াল তিনটা। পুতুল পাঁচটা। কুকুরের বাচ্চাটা জানেন স্যার কে জানি চুরি করে নিয়ে গেছে।
তিথির চোখে পানি। আমি পরিবেশ পরিস্থিতিকে দ্রুতই কব্জায় নিয়ে নিলাম।
- আচ্ছা আমি কুকুরের বাচ্চা এনে দেবো। তুমি মন খারাপ করোনা।
- সত্যি স্যার? স্যার আপনি হ্যারিপটার পড়েছেন?
- না তো তিথি। পড়া হয়নি।
- খুব মজার স্যার। আমার বই আপনাকে দেবো। আপনি পড়বেন কিন্তু।
- আচ্ছা পড়বো।
পৃথিবীর সব সৃষ্টিই তার প্রতি অবহেলাকে প্রতিবাদের ভাষায় ফিরিয়ে দেয়। তিথি নানান কায়দায় আমাকে বোঝাকে চেষ্টা করলো তার প্রতি অবহেলার প্রতিবাদে সে আমাকে তার দলে নিতে চায়। তিথিকে যে রুমে আমি পড়াই তার পাশেই একটি বৈঠকখানা আর আরেকপাশে একটি বেডরুম। সেই দুটি রুম থেকে দুই জোড়া চোখ আমাদের উপরে গোয়েন্দাগীরি শুরু করে দিলো। হয়ত তিথি অংক কষছে আর আমি চুপচাপ অন্য কাজ দেখছি; বৈঠকখানা থেকে তিথির আশি বছরের বৃদ্ধা দাদী প্রতি দশ মিনিট পর পর কাশি দেবেন। তিথি ক্রমশই দাদির এই গোয়েন্দাগীরিতে বিরক্ত হয়ে উঠলো।
- দাদী তুমি বারবার কাশি দিবানা। আগের টীচারের বেলাতেও একই কাজ করছো। আমি কিন্তু পড়বো না বললাম।
ভেতর থেকে তিথির আম্মা হাউমাউ করে উঠলেন। দাদী গজগজ করতে করতে ভেতরের রুমে চলে গেলেন। তিথি অংক ফেলে ভেতরের রুমে যেয়ে মাকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কাঁন্না শুরু করে দিলো। আমি হতভম্ব। সেই তিথি আজকে শাড়ি পড়ে আমার সামনে।
- তিথি শাড়িতে তোমাকে সুন্দর লাগছে। এবার তুমি শাড়ি পালটে এসো লক্ষী আপু।
- স্যার আপনি আমাকে নাম ধরে ডাকবেন; আপু বলবেন না। আমি আপনার আপু নই।
- আচ্ছা তিথি যাও শাড়ি পালটে এসো।
- আপনি পাঞ্জাবী পড়ছেন তাই আমি শাড়ি পড়েই আজকে পড়বো।
আমি হাল ছেড়ে কাজে মন দিলাম। তিথিকে খুশি রাখা আমার অন্নসংস্থানের জন্যে অর্জিত অর্থের প্রধাণ শর্ত। রিয়া বারবার মিসকল দিচ্ছে। তাকে বলেছি এবারে একটি মেয়েকেও পড়াতে হবে । সে হিসাব কষে বের করে ফেলেছে তৃতীয় বর্ষের প্রথম সেমিষ্টারে পড়া আমার কাছে ক্লাস নাইনে পড়া তিথি কোনভাবেই নিরাপদ নয়। তিথি আমার এই মোবাইল দেখাটাকে ঠিকভাবে নিলোনা। ছোঁ মেরে মোবাইলটা নিয়ে দেখতে লাগলো। সে বানান করে পড়া শুরু করলো, ‘ফিফটিন মিস্কলড বাই ‘ঝন্টুমন্টুর মা’!
- স্যার এই ‘ঝন্টুমন্টুর’ মা টা কে?
- তিথি তুমি অংক করো। আজকে কিন্তু খুব বিরক্ত করছো। মোবাইল দাও।
আমার বিরক্তি দেখে তিথি ঘাবড়াল না। সে চট করে মোবাইল ফিরিয়ে দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়লো।
-স্যার, আমাকে পড়ানোর সময়ে কোন ঝন্টুমন্টুর মা’র কল আসা চলবেনা।
সে ভেতরে চলে গেলো। আমি জানি পরবর্তী দৃশ্য কি হবে। সে তার মাকে জড়িয়ে ধরে কিছুক্ষণ কাঁন্নাকাটি করবে। এরপর চোখের পানি মুছে আবার ফেরত আসবে। আজকে আমার ধারনা সত্যি হলোনা। তিথি ফিরে আসলো না। আমি এক ঘন্টা বসে থাকলাম। এই বাসাটা কেমন ভুতুড়ে টাইপের। লোকজনের সাড়াশব্দ পাওয়া যায়না। তিথির আম্মা এক ঘন্টা পড়ে ফিরে এসে জানালেন তিথির খুব জ্বর উঠেছে । সে মন খারাপ করলেই জ্বর আসে। আজকে সে আর পড়বেনা। আমি যেন অন্যদিন আসি ।
বাইরে বের হয়ে আসলাম। সদর দরজার কাছে একটি হাসনাহেনার গাছ। এটা নাকি তিথির লাগানো গাছ। সেই গাছে পাতার ফাঁক দিয়ে আজকে কোন জোছনার আলো আসছে না। রিকশার জন্যে দাঁড়িয়ে আছি অন্ধকারে। হঠাৎ পায়ে ঠান্ডা কিছুর ছোঁয়া পেয়ে নিচে তাকালাম। ফুটফুটে নাদুসনুদুস একটি কুকুর ছানা। খাবার নেই, থাকার জায়গা নেই আর নেই মায়ের নিরাপত্তা; তারপড়েও কিভাবে এত সুন্দর হয়?
- হেই স্মার্ট বয়। কি করিস তুই এখানে?
সে বসে পড়ে এক পা উপরে তুলে ফেললো। আমি চট করে তার সাথে হ্যান্ডশেক করলাম। এটা কি তিথির সেই কুকুরছানা?
Shah Waez (শাহ্ ওয়ায়েজ।)
Facebook
..............................................................................................
কোথাও নেই ঝুমঝুম অন্ধকার
তক্ষক ডাকা নিশুতিতে
রূপকথা শুনে শিউরে উঠে না গা
স্বপ্নে আমার শরীরে কেউ ছড়ায় না শিউলি ফুল
আলোর আকাশ নুয়ে এসে ছোঁয় না কপাল
চলবে।
মন্তব্য
ভাল লেগেছে।
বিশ্বস্ত সংলাপগুলি গল্পটিকে ভিন্ন মাত্রা যুগিয়েছে।
.............................
তুমি কষে ধর হাল
আমি তুলে বাঁধি পাল
দীনহিন ...ধন্যবাদ। অসংখ্য ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন
Shah Waez (শাহ্ ওয়ায়েজ।)
Facebook
..............................................................................................
কোথাও নেই ঝুমঝুম অন্ধকার
তক্ষক ডাকা নিশুতিতে
রূপকথা শুনে শিউরে উঠে না গা
স্বপ্নে আমার শরীরে কেউ ছড়ায় না শিউলি ফুল
আলোর আকাশ নুয়ে এসে ছোঁয় না কপাল
যাচ্চলে, জটিল তো। কি বিপরীত সুরের দুইটা পর্ব। স্যালুট মশাই।
----ইমরান ওয়াহিদ
ইমরান ওয়াহিদ...ধন্যবাদ ভাইয়া। ভাল থাকবেন
চলুক, পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
এক লহমা...শুভ সকাল। ধন্যবাদ আপনাকে। ভাল থাকবেন
Shah Waez (শাহ্ ওয়ায়েজ।)
Facebook
..............................................................................................
কোথাও নেই ঝুমঝুম অন্ধকার
তক্ষক ডাকা নিশুতিতে
রূপকথা শুনে শিউরে উঠে না গা
স্বপ্নে আমার শরীরে কেউ ছড়ায় না শিউলি ফুল
আলোর আকাশ নুয়ে এসে ছোঁয় না কপাল
ভাই, যদি কিছু মনে না করেন আমি আবার একটু নাক গলাই
কারো লেখা ভালো লাগা বা কাউকে অনুকরণ করা দোষের কিছু নয়, তবে লক্ষ্য রাখা উচিত ভালো লাগার কারো ছায়ায় যেন কোনভাবেই নিজে আড়াল না হয়ে যায়, নয় কি?
আপনার লেখা বেশ ঝরঝরে, এক টানে পড়া যায়, কিন্তু এই লেখাটায় আপনার মধ্যে কেমন জানি একটু হিমু ভাব চলে এসেছে...পরের লেখায় আপনাকেই পাব এই প্রত্যাশায় রইলাম।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
সাফিনাজ আরজু, অবশ্যই নাক গলাবেন। কেন নয়? আমি আপনার কাছ থেকে এই অল্প সময়ে অনেক কিছু শিখেছি। আরও শিখতে চাই। আর হ্যাঁ, আপনার কথা শতভাগ সত্য। হুমায়ূন স্যারকে এত ভাল লাগে যে ভেতর থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অনেক কিছুই তার মত হয়ে যায়। বের হয়ে আসতে চাচ্ছি। আশা করি আস্তে আস্তে বের হয়ে আসতে পারব। ভাল থাকবেন। আপনি আমার প্রতিটি লেখাই পড়েন এবং মতামত দেন। এটা আমার অনেক ভাল লাগার। ধন্যবাদ
Shah Waez (শাহ্ ওয়ায়েজ।)
Facebook
..............................................................................................
কোথাও নেই ঝুমঝুম অন্ধকার
তক্ষক ডাকা নিশুতিতে
রূপকথা শুনে শিউরে উঠে না গা
স্বপ্নে আমার শরীরে কেউ ছড়ায় না শিউলি ফুল
আলোর আকাশ নুয়ে এসে ছোঁয় না কপাল
লেখার ধরনটা ভাল লেগেছে, এই গল্পটা চলতে থাকবে?
টেকনিক্যাল বিষয়ে একটা প্রশ্ন- হাস্নাহেনা ফুলের গাছ কি এত বড় হয় যে তার মধ্য দিয়ে চাঁদের আলো দেখা যায়? আমার দেখা মতে এ গাছটা অত বড় হয় না।
আব্দুল্লাহ এ.এম. প্রথমে ধন্যবাদ লেখাটি পড়ার জন্যে। আসলে আমি মানুষটাই সাইজে ছোট। তাই হয়ত বেগুন তলায় হাট বসার মত হাসনা গাছের ফাঁক দিয়েও জোছনা দেখার দুরহ আশা করেছি ভাল থাকবেন ভাইয়া।
Shah Waez (শাহ্ ওয়ায়েজ।)
Facebook
..............................................................................................
কোথাও নেই ঝুমঝুম অন্ধকার
তক্ষক ডাকা নিশুতিতে
রূপকথা শুনে শিউরে উঠে না গা
স্বপ্নে আমার শরীরে কেউ ছড়ায় না শিউলি ফুল
আলোর আকাশ নুয়ে এসে ছোঁয় না কপাল
এই উক্তির মানে কী রে ভাই? 'তিথি' নামটা শুধুই তাঁর ব্যবহারের জন্য নাকি! ওটা বলেই ফেঁসে গেছেন কিন্তু।
প্রয়োজন ছিলনা লাইনগুলোর। এ পর্বে স্যারের ব্যবহার মোলায়েম মাখনের মত পেলেম যেন লিখতে থাকুন মন খুলে
আয়নামতি...সুযোগ পেয়ে স্যারকে একটু স্মরণ করে নিলাম ভাল থাকবেন। অনেক ধন্যবাদ লেখাটি পড়া এবং মন্তব্যের জন্যে
Shah Waez (শাহ্ ওয়ায়েজ।)
Facebook
..............................................................................................
কোথাও নেই ঝুমঝুম অন্ধকার
তক্ষক ডাকা নিশুতিতে
রূপকথা শুনে শিউরে উঠে না গা
স্বপ্নে আমার শরীরে কেউ ছড়ায় না শিউলি ফুল
আলোর আকাশ নুয়ে এসে ছোঁয় না কপাল
কিছু মনে করবেন না, আমি মোটেও হুমায়ূন আহমেদের ভক্ত নই, তাই হয়ত এ লেখাটা তেমন উপভোগ করতে পারলাম না।
নিজের মত করে লিখুন না, সেটা আগের গুলোর মতই ভাল আর উপভোগ্য হবে নিশ্চয়ই!
লেখা চলুক অবিরাম, শুভকামনা।
------------------------------------------
'আমি এখন উদয় এবং অস্তের মাঝামাঝি এক দিগন্তে।
হাতে রুপোলী ডট পেন
বুকে লেবুপাতার বাগান।' (পূর্ণেন্দু পত্রী)
গান্ধর্বী, ধন্যবাদ লেখাটি পড়ার জন্য। ভাল থাকবেন ।
Shah Waez (শাহ্ ওয়ায়েজ।)
Facebook
..............................................................................................
কোথাও নেই ঝুমঝুম অন্ধকার
তক্ষক ডাকা নিশুতিতে
রূপকথা শুনে শিউরে উঠে না গা
স্বপ্নে আমার শরীরে কেউ ছড়ায় না শিউলি ফুল
আলোর আকাশ নুয়ে এসে ছোঁয় না কপাল
তিথি নামকরণের ব্যাখ্যা না দিলেই কি চলছিল না? আমার মতে এটা গল্পের রস ক্ষুন্ন করেছে অনেকাংশে।
দ্বিতীয় ক্যাটেগরি (গৃহশিক্ষক ছাত্রজীবন প্রাইভেট টিউশনির বিড়ম্বনা মধ্যবিত্তদের ছাত্র জীবন) অনেক বড় হয়ে গেছে, বোধহয় কমা দিয়ে আলাদা করা হয়নি? আর এতগুলো ক্যাটেগরির দরকার ছিল না বলে মনে হয়।
ধারাবাহিক গল্পে আগের পর্বগুলির লিঙ্ক দিয়ে দেবেন, তাহলে পাঠকের জন্য সুবিধা হবে।
লেখা ভালো লেগেছে, চালিয়ে যান। গল্পের পরিনতি দেখার জন্য আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছি।
____________________________
প্রোফেসর হিজিবিজবিজ , অনেক ধন্যবাদ লেখাটি পড়ার জন্যে।
প্রথম প্রশ্নের উত্তরে বলি আসলে ব্যাখাটা একজন মানুষের প্রতি অন্ধ ভালবাসা আর শ্রদ্ধা থেকেই দেয়া।
দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তরে বলি আসলে কমার বিষয়টা জানা ছিলোনা। আর যেহেতু পুরোটা গল্প একজন মধ্যবিত্ত ছাত্রের ছাত্রজীবনে প্রাইভেট পড়াতে যেয়ে বিড়ম্বনা নিয়ে লেখা সুতরাং সেখান থেকে ক্যাটেগরি সেভাবে দেয়া।
তৃতীয় প্রশ্নের উত্তর হলো বেমালুম ভুলে গিয়েছিলাম। এরপরে দেবো।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আবারও ভাল থাকবেন।
Shah Waez (শাহ্ ওয়ায়েজ।)
Facebook
..............................................................................................
কোথাও নেই ঝুমঝুম অন্ধকার
তক্ষক ডাকা নিশুতিতে
রূপকথা শুনে শিউরে উঠে না গা
স্বপ্নে আমার শরীরে কেউ ছড়ায় না শিউলি ফুল
আলোর আকাশ নুয়ে এসে ছোঁয় না কপাল
'তিথি' নামের ব্যখ্যা না থাকলেও বলতাম- লেখার মধ্যে হুমায়ুনীয় ভাব প্রকট।
আপনার লেখার হাত এবং আইডিয়া দুটোই আছে। অন্য লেখকদের বই পড়তে থাকলে মনে হয় ধীরে ধীরে এ প্রভাব কাটিয়ে নিজস্ব স্টাইল গড়ে তুলতে পারবেন।
শুভ কামনা রইলো।
---- মনজুর এলাহী ----
মনজুর এলাহী, জ্বী ভাই আমার মধ্যে হুমায়ূন স্যারের প্রভাব প্রবল। একজন মানুষকে কেনো এত ভাললাগে তার ব্যাখা আমার কাছে নেই। আপনার কথা ঠিক আস্তে আস্তে বের হয়ে আসবো একদিন। আগেতো লেখাটা শিখে নিই
ভাল থাকবেন। ধন্যবাদ
Shah Waez (শাহ্ ওয়ায়েজ।)
Facebook
..............................................................................................
কোথাও নেই ঝুমঝুম অন্ধকার
তক্ষক ডাকা নিশুতিতে
রূপকথা শুনে শিউরে উঠে না গা
স্বপ্নে আমার শরীরে কেউ ছড়ায় না শিউলি ফুল
আলোর আকাশ নুয়ে এসে ছোঁয় না কপাল
মাস্টারের মতি গতি বুঝবার বাকী আছে মনে হচ্ছে, দেখা যাক পরের পর্বে।
-দেব প্রসাদ দেবু
দেব প্রসাদ দেবু, তৃতীয় পর্ব প্রকাশের অপেক্ষায়। সব ঠিক থাকলে হয়ত সকালেই পাব্লিশ হবে।
Shah Waez (শাহ্ ওয়ায়েজ।)
Facebook
..............................................................................................
কোথাও নেই ঝুমঝুম অন্ধকার
তক্ষক ডাকা নিশুতিতে
রূপকথা শুনে শিউরে উঠে না গা
স্বপ্নে আমার শরীরে কেউ ছড়ায় না শিউলি ফুল
আলোর আকাশ নুয়ে এসে ছোঁয় না কপাল
চমৎকার লেখনি।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
অনার্য সঙ্গীত, ধন্যবাদ আপনাকে লেখাটি পড়ার জন্যে। ভাল থাকবেন
Shah Waez (শাহ্ ওয়ায়েজ।)
Facebook
..............................................................................................
কোথাও নেই ঝুমঝুম অন্ধকার
তক্ষক ডাকা নিশুতিতে
রূপকথা শুনে শিউরে উঠে না গা
স্বপ্নে আমার শরীরে কেউ ছড়ায় না শিউলি ফুল
আলোর আকাশ নুয়ে এসে ছোঁয় না কপাল
আপনি তো দেখি সকলের উত্তরেই
লিখেন। আমার উত্তরেও না জানি এই কথাটাই লিখবেন! লেখা চালিয়ে যান। কার ছায়া পড়েছে না পড়েছে এসব দেখার দরকার নেই। প্রথম প্রথম লিখতে হলে কারো না কারো ছায়ায় থাকতেই হবে। পরে সেটা থেকে বের হওয়া না হওয়া দেখা যাবে।
সিরাজাম মুনির
shrabanmonir
সিরাজাম মুনির, যারা কষ্ট করে আমার এই অতি পচা লেখা পড়েছেন এবং মতামত দিয়েছেন তাদেরতো ধন্যবাদ অবশ্যই প্রাপ্য। ভাল থাকতে বলাটা আমার অভ্যাস। আশা করি এবং বলি। আপনিও ভাল থাকবেন।
Shah Waez (শাহ্ ওয়ায়েজ।)
Facebook
..............................................................................................
কোথাও নেই ঝুমঝুম অন্ধকার
তক্ষক ডাকা নিশুতিতে
রূপকথা শুনে শিউরে উঠে না গা
স্বপ্নে আমার শরীরে কেউ ছড়ায় না শিউলি ফুল
আলোর আকাশ নুয়ে এসে ছোঁয় না কপাল
নতুন মন্তব্য করুন