গল্পঃ
গেরস্ত হাজী সাহেব হাটে গিয়েছেন পাট বিক্রি করতে। বড় বড় আঁটি করে ওজন মেপে রাখা পাট। গ্রামের-ই আরেক ক্রেতা এসেছেন পাট কিনতে। হাজীর কাছে এসে জিজ্ঞেস করলেন -"হাজী সাব, পাটের দাম কত?"
হাজী সাহেব হাসি মুখে বলেন -"৭০০ ট্যাকা মণ বাবাজী। ওজন করাই আছে।"
ক্রেতা আবার জিজ্ঞেস করেন -"ওজনে ঠিক আছে তো?"
হাজী সাহেব সরল মুখে বলেন -"রসুল জানে বাবাজী।"
ক্রেতা জিভ কাটেন নিজের দাঁতেই। মনে মনে ভাবেন-"ছি: ছি: ছি:, হাজী সাহেব পরহেজগার মানুষ। আর আমি সন্দেহ করি!!" আশ্বস্ত হন আরও এই ভেবে যে খোদার রসুলের নাম নিছেন, মিথ্যা কথা বলার প্রশ্নই আসে না। কয়েক আঁটি পাট কিনে খুশি মনে হাজী কে ধন্যবাদ দিয়ে বিদেয় হন ক্রেতা। বাড়িতে এসে কামলার কাছে পাট বুঝিয়ে দিয়ে বলেন ঠিকঠাকমত গুছিয়ে রাখতে। কামলা পাট মেপে ঘরে তোলার সময় দেখে প্রতি এক মণের আঁটিতে দুই এক কেজি করে কম ওজনে। সে তার গেরস্ত কে বলে -"চাচামিঞা, ওজনে দেহি কম ব্যাকটি (সবগুলো) আঁটিতই। মাইপা আনুইন নাই?"
শুনে গেরস্ত খেপে যায় হাজীর উপর। খোদা রাসুলের নাম নিয়ে এমন মিথ্যাচার!
হাটে গিয়ে একদম চিবি দিয়ে ধরেন হাজী কে -"আমনে হাজী মানুষ, তার মাইদ্যে খোদা রাসুলের নাম নিছুইন দেইখা বিশ্বাস করলাম আমনেরে! আর আমনে ওজনে কম দেইন!"
হাজী সাহেব কাচুমাচু মুখে বলেন -"আমার কি দোষ বাবাজী? আমি তো কইলামই আমনেরে যে রসুল জানে। রসুল আমার কামলার নাম। উইতি (সে) মাপছে পাট। আমি কেমনে জানমু?!"
ঘটনাঃ
চিপস আমার অতি পছন্দের স্ন্যাকস। আর সবচেয়ে পছন্দের চিপস হচ্ছে বোম্বে সুইটস এর পটেটো ক্র্যাকার্স। যত দামী যে চিপস-ই খাইনা কেন শেষমেষ বোম্বে সুইটস এর পটেটো ক্র্যাকার্স খেলেই তবে মনে হয় যে খাইলাম, আমি ইহাকে খাইলাম। সে যাইহোক, আসল ঘটনায় আসি।
বাড়িতে যাচ্ছিলাম বাসে করে। মাঝপথে যাত্রাবিরতি তে নেমে কোক, চিপস, ডাল ভাজা কিনলাম। বলাবাহুল্য চিপস কিনলাম পটেটো ক্র্যাকার্স এবং বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পটেটো ক্র্যাকার্স আছে বলে আমি লোগো দেখেই কিনলাম যে বোম্বে সুইটস এর কি না। প্যাকেটের পেছন দিকটায় তলোয়ার হাতে সৈনিক এবং দুইটা পিচ্চি পাশাপাশি সবই দেখে নিলাম। বাস চলা শুরুর কিছুক্ষণ পর ডাল ভাজা খেয়ে সুখী সুখী মনে চিপস এর প্যাকেট খুলে এক পিস মুখে দিতেই 'একি?!' ডাল মে তো কুছ কালা নেহি থা বাট চিপস মে বহুত ঝামেলা হ্যায়!! সন্দেহ হওয়ায় ভাল করে লোগোতে তাকিয়ে দেখি BS ঠিকই লেখা, তবে তার নিচে লেখা BISMILLA SWEETS. কি তামশা!!! চোর!! তবে ঈমানদার চোর!! হে হে হে! বোম্বে ভারতের অর্থাৎ হিন্দুস্তানের একটা শহরের নাম। ব্র্যান্ডের নামের মধ্যে একটা হিন্দু হিন্দু গন্ধ আছে। আর এটা দেখেন-পুরা মুসলমানি নাম। বিসমিল্লাহ্ সুইটস। নাহয় প্যাকেট পুকেট পুরাই নকল। তাতে কি?
উপরের গল্প এবং ঘটনার মত হাজারটা ঘটনা উল্লেখ করা যায়। অভাব হবে না। এসব নিয়ে পাতার পর পাতা লেখাও যায়। অত শত বিস্তারিত আলোচনায় আর গেলাম না। প্রশ্ন একটাই, ধর্ম কে ঢাল হিসেবে রেখে এইসব ভণ্ডামি আর কত??
--------------------------
সুবোধ অবোধ
মন্তব্য
বোম্বে সুইটস আইনী ব্যবস্থা নিতে পারবে না?
নিতে তো পারার কথা।
সুবোধ অবোধ
জানি না, শেষ কবে সচলের কোন গল্প পড়ে এত হেসেছি!!
লা জওয়াব, সুবোধ অবোধ!! (নামটিতেও টুইস্ট!! আপনার হবে রে, ভাই! )
.............................
তুমি কষে ধর হাল
আমি তুলে বাঁধি পাল
ধইন্যা ধইন্যা ...
আসলেই হবে?? বলছেন???
সুবোধ অবোধ
এই কম্পানির নাম দেখি "শাহী ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ" বোম্বে এলাকারই লোক মনে হয়।
কি জানি? হতে পারে...
ধন্যবাদ পড়ার এবং মন্তব্যের জন্য।
সুবোধ অবোধ
চলুক
(এডিটঃ লেখা চলুক বলতে চেয়েছিলাম। পরে মন্তব্য পড়ে মনে হল নকল চালাইতে বলতেছি না লেখালেখি সেইটা পরিস্কার কতা দরকার ছিল।)
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
ধন্যবাদ ভাইয়া...
সুবোধ অবোধ
পটেটো ক্র্যাকার্সের এই ঘটনাটি হামেশাই দেখা যায়। নীল রংটা যেন চিপসের একটা ক্লাসিক রঙ। নীল রঙ ছাড়া চিপসই হয় না!
পার্থক্য হল লোগো সহ নকল করা। প্যাকেটের কালার ফ্যাক্ট না এখানে। যেমন -মেরিডিয়ানেরও একই কালারের প্যাকেট (পটেটো ক্র্যাকার্স এর), কিন্তু ডিজাইন এবং লোগো ১০০% কপি না।
পড়া এবং মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
সুবোধ অবোধ
নীল পেলেন কোথায়? এটা তো সবুজ রঙের!
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আহা! অত রাগ করেন কেন! কত বুদ্ধি খাটিয়ে ব্যাবসা করতে হয়! ব্যবসার কাজে এদিক ওদিক হয়ে যায়, বোঝেনই ত। তখন ধর্ম ছুঁইয়ে তাকে কিঞ্চিৎ শুদ্ধ করে নিলে আর কোন দ্বিধা-দ্বন্দ্ব থাকে না, তাই না! যাকগে, রাগ যখন করেই ফেলেছেন, লেখায় ৫ তারা দিয়ে দিলাম।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
একটা ঘটনা মনে পড়ে গেল -
ছোটবেলায় শবেবরাত এর রাত মানেই ছিল রাতের বেলায় বাসা থেকে বের হওয়ার সুযোগ। মসজিদে নামাজ পড়তে যাচ্ছি বলে বাসা থেকে বের হয়ে আসলে বন্ধুরা মিলে এদিক সেদিক ঘোরাঘুরি করতাম। আমাদের বাসার অদূরেই ছিল হাফেজি মাদ্রাসা। এলাকার বেশ কয়েকজন সমবয়সী ছেলে ওখানে পড়ত। তো সেরকম-ই এক শবেবরাতের রাতে ঘোরাঘুরির এক পর্যায়ে ডাব চুরি করা হল। ডাব চুরিতে মাদ্রাসার একজন ছেলেও ছিল। আমার এক বেরসিক বন্ধু ডাব খাওয়া শেষ হলে তাকে জিজ্ঞেস করল -"ওই হুজুর (হুজুর বলেই ডাকতাম সমবয়সী হলেও), এই যে ডাব চুরি কইরা খাইলাম, পাপ হবো না? "
হাসতে হাসতে সে উত্তর দিল -"আরে ব্যাপার না, এখন গিয়া দুই রাকাত নফল নামাজ পইড়া নিমু। ডাব চুরি আর নামাজে কাটাকাটি, মাঝখান থিকা পানি ডা (ডাবের পানি ) লাভ!!! "
সুবোধ অবোধ
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
ভুলে গেলেন ১০০% হালাল সাবানের কাহিনী?
৯০% মুসলমানদের দেশে সবকিছু্কেই মুসলিম হতে হবে, এমনকি বই বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান কে নিজেদের মুসলমান প্রমাণ করতে হয় এবং সবাই খুব গর্বের সহিত সেই প্রমাণে জান প্রাণ দিয়ে নেমে পড়ে। তাই সময় থাকতে লাইনে আসুন, ৯০% মুসলমানের দেশে কোন চুদুর বুদুর চইল্যত ন।
মাসুদ সজীব
কারও ঝারি খেয়ে যখন কেউ নিজেকে 'বিশ্বাসী ' প্রমাণে উঠেপরে লাগে তখন তার বিশ্বাসও যে কি পরিমাণ ধান্দাবাজির, সেটা বোঝা যায়। হালাল সাবান? হা হা হা... সে কি ভোলা যায়??? কিছুদিনের মধ্যে বাজারের সব সাবান হালাল হয়ে গেল...
ঠিক। নো চুদুর বহুদুর...
সুবোধ অবোধ
শুধু "হালাল" শব্দ ব্যবহার করে এখন আর কাজ হচ্ছে না। সরাসরি "ইসলামী" শব্দটি ব্যবহার করা হচ্ছে।
ইসলামী ফোনের বিজ্ঞাপনে দেখুন।
সুবোধ অবোধ
এবার বইমেলায় (বাইরের ফুটপাথে-খালি ষাইট) "এছলামী জোকস সমগ্র" পেয়েছিলুম, কিনিনি বলে এখন আফসোস হচ্ছে
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
এ পৃথিবী একবার পায় তাকে, দ্বিতীয় বার দেখে নাকো:
কিনে ফেলা উচিত ছিল|
প্রথমতঃ একটি স্ববিরোধী উপদেশ। যে কোন চিপস খুব খারাপ জিনিস। এই ক্র্যাকার্সগুলো আরো খারাপ। এর নির্মান প্রক্রিয়া যদি একবার দেখতেন তাহলে জীবনেও খেতেন না। আমি নিজেও চিপসের ভক্ত, সহজে এড়াতে পারি না তারে, তাই একটু বেছে খাই।
এই নকল প্রবণতা বাংলাদেশে নতুন না। বোম্বে সুইটসের ওই সবুজ প্যাকেট নকল করে অন্তত ডজনখানেক চিপস কোম্পানী বাজারে চালাচ্ছে। বাংলাদেশে কোনরকম কপিরাইট আইন সক্রিয় না। বাজারে যে কোন কিছুই মোড়কে ঢুকিয়ে খাওয়ানো যায়।
নকল কোম্পানীগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবার পাশাপাশি আসলগুলোর বিরুদ্ধেও নেয়া উচিত। আসল কোম্পানীগুলো যে বাটপারি করে সেটা নজিরবিহীন। এই চিপসগুলোর (আনুমানিক) ৭০% বাতাস ৩০% চিপস। যেটা বিশ বছর আগে ছিল ৭০% চিপস ৩০% বাতাস। দফায় দফায় দাম বাড়িয়ে জিনিস কমিয়ে দেবার কোন শাস্তি আছে কিনা জানি না। LAYS নামের বিদেশী চিপসটা বাজারে খুব জনপ্রিয়। কিন্তু বিশ টাকা দামের একটা প্যাকেট কিনলে আপনি বড়জোর ১০টা চিপসের টুকরা পাবেন। এটার তো ৯০% ই বাতাস। এগুলারে চিপি দিয়ে ধরার কোন কতৃপক্ষ আছে? আমি দেখি নাই।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
আমিও দেখি নাই ভাইয়া ...
এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধইন্যা....
সুবোধ অবোধ
বেশ মজাদার! প্রশ্নটাও যথেষ্ট ভাবনার।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
সুবোধ অবোধ
হুমম... বিসমিল্লায় গলদ?
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
সুবোধ অবোধ
হেহে
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
হিহি
সুবোধ অবোধ
কপি রাইট আইনের চরম দশা বাংলাদেশে। যেমন ধরুন একটি স্টীল মিলের লোগো হচ্ছে 'মুরগি'। যেই দেখলো ঐ কোম্পানির পণ্য ভালো চলছে অন্য কোম্পানি রেজিস্ট্রেশন করলো 'মোরগ'! এক কোম্পানির লোগো 'রাণী' অন্য কোম্পানি বললো আমার লোগো 'মহারাণী'! ।
--------
সবকিছুতে ধর্ম জুড়ে নাদিলে যেনো সহি জীবনাচার হয়না! তাই চলে আসে হালাল, বিসমিল্লাহ্। বিসমিল্লাহ্ যে ব্যাংক কেলেঙ্কারি করলো তাতে না বাঁচল ধর্ম, না হল সাম্রাজ্য রক্ষা!
ভালো লেগেছে।
কথা সত্য।
ধন্যবাদ আপনাকে।
সুবোধ অবোধ
সুবোধ অবোধ, ইন্ডিয়াতে প্রচলিত একটি কথা আছে। ''গঙ্গা মা জানে''! দুধ বেচতে যারা গঙ্গা নদীর পার হতো তারা কলসীর অর্ধেক পানি ভরে নিতো। খদ্দের জিজ্ঞাসা করলে বলতো, ''গঙ্গা মা জানে''! আপনার লেখাটায় এমন সাদৃশ্য পাওয়া গেলো।
আমরা আসলে কী খাই এটা আর এখন ভাবার পর্যায়ে নেই। খেয়ে যে দিব্বি বেঁচে আছি এটাই আশ্চর্য বিষয়। শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন আব্দুল লতিফ হলের ক্যান্টিনে খোকন নামের একজন পরোটা বানাতো। একদিন সকালে এক টুকরা মুখে দিয়েছি। তিনদিন পেটের ব্যাথায় উঠতে পারিনি। অভিজ্ঞতাটা এমন ছিলো যে আমি ভেবেছিলাম আমাকে স্লো পয়জন দেয়া হয়েছে। সেই লোকই একদিন ধরা খেলো অন্য ছাত্রদের হাতে। ফলাফল শুন্য। বিচার করবে বলে যারা তাকে আড়াল করেছিলো আসলে তারা খোকনের কাছে বাকী খেতো। এবারে তাহলে সহযেই বুঝবেন বিচার আসলে কারা করবে?
Shah Waez (শাহ্ ওয়ায়েজ।)
Facebook
..............................................................................................
কোথাও নেই ঝুমঝুম অন্ধকার
তক্ষক ডাকা নিশুতিতে
রূপকথা শুনে শিউরে উঠে না গা
স্বপ্নে আমার শরীরে কেউ ছড়ায় না শিউলি ফুল
আলোর আকাশ নুয়ে এসে ছোঁয় না কপাল
মেডিসিনের নামেও এই ধরনের প্রতারণা দেখা যায়। দেখা যায় আরো অনেক ক্ষেত্রেও
------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
হু...
সুবোধ অবোধ
সুবোধ মানুষ কেন যে এমন পিঞ্চ কাটা লেখা দেয়! এখন হালাল নকল কোম্পানীদের কী হবে?
আপনি নামে অবোধ হলেও কামে (মানে লেখায় আর কি) তো দেখি পুরাই ---
বেশী বেশী করে লিখেন মিয়া।
____________________________
সবই আপনাদের দুয়া প্রফেসর সাব!!!
সুবোধ অবোধ
বোম্বে সুইটস বেশি চলে বলে নকলের কোপটাও ওদের উপরেই যায় বেশি। একবার খেয়ে দেখি আটা-আটা লাগে, তারপর খেয়াল করে বুঝলাম প্যাকেটের রঙ দেখে "রাজা সুইটস"-এর পটেটো ক্র্যাকার্স কিনে ফেলেছি।
যদিও ইসলামের নামে অনেক অনেক ভণ্ডামি চলে আমাদের দেশে মানুষের সরলতাকে আশ্রয় করে, কিন্তু এই "বিসমিল্লাহ সুইটস"-কে ঠিক ততোটা ধর্মের ঢালের আড়াল বলে আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে মনে হয় নি। মনে হচ্ছে ওরা B অক্ষরটার সুবিধা নিতে চেয়েছে।
হতে পারে। তবে নাম 'বিসমিল্লাহ' বলে নকল ধরা পরার পর গালি দিতে গিয়ে দুই একবার ভাববে, এমন লোকের সংখ্যাও আমাদের দেশে কম না।
ব্লগবাড়ি । ফেসবুক
এটা গল্প হয়নি প্রবন্ধ হইছে বোকা তুষার
নতুন মন্তব্য করুন