- মামা, আপনার একটা চিঠি আছে।
ধীরে ধীরে এই কয় বছরের হাসি কান্নার প্রিয় জায়গা খুলনা আর খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে ছেড়ে চলে যাচ্ছি ঢাকার উদ্দেশ্যে। নতুন জীবনের আশায়। মনের কোণে সুখ দুঃখের মিশ্র সব অনুভূতি নিয়ে যখন শেষবারের মত প্রিয় খান জাহান আলী হলের প্রধাণ কলাপসিবল গেটে দাঁড়ালাম তখনই দারোয়ান মামা চিঠিটা হাতে ধরিয়ে দিলেন। ভাবলাম ট্রেনে বসেই দেখবো। হয়তো শেষবারের মত খুলনা থেকে এই ট্রেনে যাত্রা। আর আসা হবেনা শত ইচ্ছা থাকলেও। সুন্দরবন একপ্রেস ধীরে ধীরে তার শরীর একেবেকে খুলনা ছেড়ে যাচ্ছে। শেষবারের মত জানালা দিয়ে মাথা গলিয়ে খুলনা শহরকে দেখতে চাইলাম । এক সময়ের হৃদয়ের বন্ধনের জায়গায় আর হয়তো ফিরে আসা হবেনা।
আমার বাসা থেকে কোন চিঠি আসেনা। আবার আমি এমন গুরুত্বপুর্ণ কেউনা যে আমাকে কেউ চিঠি লিখবে গোলাপের পাপড়ি শুকিয়ে। তাহলে কে লিখলো? খুলে দেখি ইতির জায়গায় খুব সুন্দর করে ‘তিথি’ লেখা। প্রায় দুই বছর আগে তিথিকে পড়ানো ছেড়েছি। সে আমাকে এখনও মনে রেখেছে? আমি নিজেই চুড়ান্তভাবে অবাক হলাম।
‘ভাইয়া,
আপনাকে কখনও স্যার ডাকতে মন চাইতো না। কখন আবার ধমক মেরে বসেন তাই ভয়ে ভয়ে ‘স্যার’ ডাকতাম। যদিও আপনি কেন যেন গুটিসুটি মেরে থাকতেন সব সময় তারপরেও আপনাকে দেখে খুব ভয় পেতাম । আর আপনি কখনও ‘অংক’ পারেন এই মিথ্যা কথাটা বলবেন না। আপনি মোটেও উচ্চতর গণিত পারেন না। বললে কষ্ট পাবেন তাই গাইড দেখে দেখে অংক করতাম। কতদিন মাঝখানে ইচ্ছা করে ভুল করে দেখতে চেয়েছি আপনি কী বলেন। আপনি বিজ্ঞের মত ‘রাইট’ চিহ্ন দিয়ে নিচে লেখতেন ভেরি গুড! আমার হাসি চেপে রাখতে খুব কষ্ট হতো।
আমি আসলেই অংকে খুব কাঁচা। এস এস সি পরীক্ষার সময় পাছার তলে উচ্চতর গণিত বইয়ের সমাধান নিয়ে বসেছিলাম। কুষ্টিয়া সরকারী বালিকা বিদ্যালয়ের শ্রদ্ধেয় ইদ্রিস আলী স্যার আবার আমার বড় আপার শিক্ষক। সেই সুত্রে তিনি আমাকে চেনেন। সমাধান বই দেখে বিস্ফোরিত চোখে জিজ্ঞাসা করলেন,
-তোর পাছার তলে কী?
-স্যার উচ্চতর গণিতের সমাধান বই।
-সর্বনাশ! সমাধান বই দিয়ে কী করবি?
-স্যার দেখে দেখে অংক করবো।
স্যার নোটগুলো নিয়ে গেলেন। আমি গুণে গুণে চল্লিশ পেয়েছিলাম। এক নম্বরও যোগ হয়নি। সেই আমি তিথিকে যখন প্রথম দিন পড়াতে গেলাম, সেদিন জানলাম তাকে উচ্চতর গণিত করাতে হবে। আসলে আমাকে যে কাজই দিক করতাম কারণ হলো আমার টাকা দরকার। বাসা থেকে টাকা আসা বন্ধ। তিথিকে মিথ্যা কথা বলতে হতো। এক সাথে কুঁড়ি পচিশটা অংক করতে দিতাম। একেকটা পাঁচবার। আমি তিথির নির্মম সত্য আবিস্কারের বুদ্ধি দেখে হেসে ফেললাম।
আপনি কি জানেন আপনাকে আমি কতটা পছন্দ করতাম? একদম অবাধ্য সে পছন্দ। মেয়েরা কাউকে ভালবাসলেই বড় হয়ে যায়। হয়ত বয়সে না। মনে বড় হয়। মানসিকতায় বড় হয়। আপনি যেদিন আমাকে আর পড়াবেননা বলে চলে গেলেন সে রাতে নিজেকে আবিস্কার করলাম অনেক বড় হয়ে গেছি ।আপনিতো খোঁজ নিলেন না। আমি মানসিকভাবে আর দশটা মেয়ের মত ছিলাম না। তোতলা ছিলাম তাই কথা বেঁধে যেত। আবার চেয়ারাও ভাল না। বীথি আপুর কত সুন্দর চেহারা। চুলগুলো কী সুন্দর! মা কত আদর করে। আমার চুলগুলো নাকি পাখির বাসার মত। কত চেয়েছি মা একটু চুল বেঁধে দিক। দিতোনা। মায়ের হাতের ছোঁয়া পেতে চাইতাম। অবহেলায় কত কেঁদেছি। জানেন ভাইয়া, আমার সব পুরাতন। সব বীথি আপুর ব্যবহার করা। আমি আঁকতে চাইলে অনেক বলার পরে বিথী আপুর অনেক পুরাতন রং পেন্সিল পেলাম। কেঁদে কেঁদে আপনার একটা ছবি একেছিলাম। অসুন্দর হাতের ভালবাসার একটা ছবি কতটা মায়ার আর সুন্দর হতে পারে সেটা আপনি বুঝবেন না।
নিজের ছাত্রী বলেই তিথির উপরে মায়াটা বেশি ছিলো। অনেক জ্বালাতন সহ্য করেও তাকে পড়ানোর ধৈর্য ধরে রাখতে হতো। তাকে পড়াচ্ছি হটাত সে বলে উঠলো,
-স্যার একটা কথা শুনবেন?
-হ্যাঁ বলো তিথি।
-আপনার চোখ দুইটা খুব সুন্দর!
এসব কথার কি উত্তর হতে পারে জানা নেই। তিথি একেবারেই বাচ্চা একটি মেয়ে। তার এইসব অত্যাচার আমি মাথা পেতে নিতাম। সমস্যা হলো পাশের কক্ষ থেকে আশি বছরের বৃদ্ধা দাদি মরিয়ম বেগম খুক খুক করে কেশে উঠতেন। তার খাটের পায়াতে ক্যাচ ক্যাচ শব্দ বেড়ে যেতো। বলা নেই কওয়া নেই কাজের মেয়েটি এসে পড়ার টেবিলের নিচে ঝাঁটা খুঁজতে ঢুকে যেতো। আর যাবার বেলায় তিথির গায়ে চিমটি কেটে ফিক করে একটা হাসি দিয়ে দৌড়ে পালাতো। সাথে সাথে তিথিও। এরপরেই পাশের কক্ষে কিশোরী দু’টি মেয়ের হাসিতে পুরো দালান প্রকম্পিত হতো।
ভাইয়া জানেন, আমি এখন নিজে নিজেই শাড়ি পড়তে পারি। আমার তো নিজের কোন শাড়ি নেই। ইচ্ছে ছিলো মা কে বলে একটা ঘিয়ে জমিনের নীল পাড়ের শাড়ি, আসমানী আর সিঁদুর রং এর চুড়ি কিনবো। আমার হাতের কোন চুড়িও নেই। মা কিনে দিলোনা। কুৎসিত মেয়েদের নাকি শাড়ি পড়তে নেই। তবে অনেক বলে মায়ের একটা পুরাতন শাড়ি নিয়েছি। আমার ধারণা আপনি একদিন আসবেন। মাঝেমাঝেই জোছনা রাতে মনেহয় আপনি আসবেন। আমার লাগানো হাসনাহেনা গাছের পাশে দাঁড়িয়ে ঠিক দুই বছর আগের মতই বলবেন,
-কেমন আছো আপু? অংক করেছো?
আমার গা জ্বলে যেতো ‘আপু’ ডাক শুনে। কতবার বলেছি তবুও ভুলে যেতেন কেনো?
তিথিকে নানা কারণেই আর পড়ানো হলোনা। তিথিকে বাঁচাতে নিজেই পালিয়ে গেলাম। এই দুই বছরে তিথিকে আর মনে রাখার প্রয়োজন অনুভব করিনি। অনেকদিন পরে নিজর ছাত্রী আমাকে এই আবেগ আপ্লুত চিঠি দিয়েছে। চিঠিটা পড়ে আসলে কী বলবো বুঝে উঠতে পারলাম না।
আপনি পড়ানো ছেড়ে দেবার ছয়মাস পরেই আমার জন্ডিস ধরা পড়লো। আমার কি দোষ ছিলোনা জানিনা। আমি জন্মেই অবহেলার মাঝে বড় হয়েছি। মরতেও বসেছি অবহেলাতে। আমার এই অসুখ থেকেও বীথি আপুর গায়ে হলুদ আর বিয়ে বড় হয়ে গেলো। কী আশ্চর্য না স্যার? যেখানে আমি হলুদ হয়ে যাচ্ছি মৃত্যুর প্রহর গুণতে গুণতে সেখানে আরেকটি মেয়ের গায়ে হলুদ হচ্ছে নতুন জীবনে প্রবেশের জন্য।ভাইয়া, আমি এখন সারাদিন ঘরে শুয়ে থাকি। উঠে দাঁড়াতে পারিনাতো তাই। আমার সব শক্তি জমিয়ে রেখেছিলাম। একদিন আপনাকে আমার এই লেখা চিঠি দিতে যেতেই হবে। জানিনা পারবো কিনা? আমার ঘরের জানালা দিয়ে সুর্যের আলো আসে। বিছানায় এসে আমার কোলের কাছে বসে থাকে। আমি হাত মুঠো করে ধরে রাখি। সেই আলো পালায়। উঠে বসে মুঠো পাকিয়ে ধরি তাও পালায়। সবাই শুধু পালায় জানেন?
আমার বাবা পালায়। রাতে এসে চোরের মত মাথায় হাত রেখে অপরাধীর মত জ্বর হলো কিনা দেখে যায়। মা পালায়। হাঁপিয়ে উঠেছে সবাই। সবাই যেন আমার চলে যাবার ক্ষণ গুণছে। শুধু আমার বেড়াল গুলো পালায় না। ওরা চুপটি করে আমার অন্ধকার ঘরের বিছানায় বসে থাকে। চাঁদের আলো আমার বিছানায় এসে পড়ে। আমি ওড়না দিয়ে আগলে রাখতে চাই। পালায়। একদিন পুরনো শাড়িটা পড়ে আঁচল দিয়ে আগলে রাখতে চেয়েছিলাম। জেগে দেখি আমার ঘর অন্ধকার।
ভাইয়া,সেদিন আয়নায় নিজের চেহারা দেখলাম। ঠিক কতটা সুন্দর হলে আপনি আমাকে আপনার ঐ সুন্দর চোখ দিয়ে দেখতেন? আপনার চোখ খুব সুন্দর। আপনি আমার দিকে তাকালেনই না কোনদিন। চেহারা খারাপ হলে কি তার মন থাকেনা?
আমার মাঝেমাঝে প্রচন্ড শরীর খারাপ করে। আমি কাঁপতে থাকি। মনের জোর এক করে উঠে বসে থাকি। আয়নায় দাঁড়িয়ে দেখি দিন দিন আমি হলুদ হয়ে যাচ্ছি। একটা মেয়ে জন্ম নিলো কম বুদ্ধি নিয়ে। মানুষ হলো অবহেলা নিয়ে। আর মরে যাবে অনাদারে। বিধাতার কি অনিয়ম তাই না?
ধরো খুব অসুস্থ তুমি
জ্বরে কপাল পুড়ে যায়, মুখে নেই রুচি, নেই কথা বলার অনুভূতি,
এমন সময় মাথায় পানি দিতে দিতে
তোমার মুখের দিকে তাকিয়ে যদি বলি-ভালবাস?না ভাইয়া, আপনি বলেননি সুনীলের মত করে। আপনি আসেননি। আমি তো ঝন্টুমন্টুর মায়ের মত অপুর্ব সুন্দরী নই। আপনি আসবেন কেনো?
ভাইয়া জানেন, সেদিন ঝুম বৃষ্টি নামলো। মন খারাপ করা বৃষ্টি। হটাত খুব কান্না পেলো। চুপিসারে পুরনো শাড়ি পড়ে বৃষ্টিতে ভিজেছি। সে কি বৃষ্টি ! মন ধুয়ে নিয়ে গেলো। হু হু করে কাঁদলাম। আমার কান্না আর বৃষ্টির শব্দ মিলে একাকার হয়ে গেলেও কাউকে বুঝতে দিলাম না। নিজের দুঃখ সবাইকে জানাতে নেই যে!
আমি জানি, মাত্রই কয়টা দিন বাঁচবো। এখানে থেকে কি সুন্দরবন এক্সপ্রেসের শব্দ পাওয়া যাবে? আমি কান খাড়া করে রাখবো। ঠিক রাত সাড়ে আটটার পরে আপনি চলে যাবেন। আপনি কিন্তু জানালার পাশে বসবেন। আমার খুব ট্রেনে চড়ার শখ ছিলো। বৃষ্টির দিনে ট্রেনের জানালা দিয়ে মাথা বের করে দেবার খুব শখ ছিলো। অথবা ভরা জোছনায়। হলোনা। মানুষের সব ইচ্ছা পুরণ হয়না।
আপনি আর একবার আমাদের বাসায় আসবেন। আমার হাসনাহেনা গাছের পাশে দাঁড়িয়ে অসহায়ের মত বলবেন,
-কেমন আছো আপু? অংক করেছো?
আমিতো গাছের পাতা হয়ে থাকব তাই তীব্র ঝাঁকুনি দিয়ে বলবো,
-বলেছিনা আপনাকে আমার নাম ধরে ডাকবেন। আমার নাম তিথি।আপনি আরও অসহায় হয়ে তাকাবেন। আমি হাসবো। নাহয় একবারই তিথি ভেবে পাতায় হাত বুলিয়ে একটু ভালবাসা দিলেন। আমি নাহয় আনন্দে কেঁদে বৃষ্টিধারা হয়ে আপনাকে ভিজিয়ে দিয়ে যাবো। আসবেনতো?
ইতি, ‘তিথি’’
উল্কার বেগে ছুটে চলেছে সুন্দরবন এক্সপ্রেস। জানালা দিয়ে বাইরে তাকাই। দুরের রাস্তায় সোডিয়াম বাতির আলো গুলো তীব্র বেগে পেছনে চলে যাচ্ছে। বাতির রং হলুদ!
যারা গৃহশিক্ষকের আগের পর্বগুলো পড়তে পারেননি নানা কারণে। তাদের জন্যে পর্ব-১, ২ এবং ৩ এর লিঙ্ক দিলাম।
গৃহশিক্ষক-১
গৃহশিক্ষক(২)
গৃহশিক্ষক(৩)
সচলায়তনকে একটা বড় করে ধন্যবাদ জানাতে চাই। এটি আমার প্রথম লেখা ছিলো। যারা কষ্ট করে পুর্বের পর্ব পড়ে আমাকে মন্তব্য দিয়েছেন, তাদের ভাল লাগা, খারাপ লাগা, কোন সাজেশন কিংবা কিভাবে লেখা আরও ভাল করা যায় জানিয়েছেন তাদেরকে অনেক ধন্যবাদ।
Shah Waez (শাহ্ ওয়ায়েজ।)
Facebook
..............................................................................................
কোথাও নেই ঝুমঝুম অন্ধকার
তক্ষক ডাকা নিশুতিতে
রূপকথা শুনে শিউরে উঠে না গা
স্বপ্নে আমার শরীরে কেউ ছড়ায় না শিউলি ফুল
আলোর আকাশ নুয়ে এসে ছোঁয় না কপাল
মন্তব্য
আপনার তিনটা লেখাই পড়লাম। ভাল লেগেছে। তবে এখানে "তিথি"র চিঠিটা হুবহু না দিলেই আরো ভাল লাগত। মনে হচ্ছে যেন কারো গোপন কথা বিনা অনুমতিতে প্রকাশ করে দিলেন, আর আমি পড়ে ফেললাম। আগের লেখাগুলোর ট্যাগে স্মৃতিচারণ দেখে ধরে নিয়েছি এগুলো বানানো বা কল্পনা নয়। এটা একান্তই আমার মতামত। লেখালেখি চলুক।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
কল্যাণ, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। লেখাটা স্মৃতিচারণই বটে। তবে একদম স্মৃতিচারণ করলে কাহিনীটার গতিকে ধরে রাখা যেতোনা। তাই একটু রং মিশিয়ে দিয়েছি। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনার মতামতের জন্যে। ভাল থাকবেন সব সময়
Shah Waez (শাহ্ ওয়ায়েজ।)
Facebook
..............................................................................................
কোথাও নেই ঝুমঝুম অন্ধকার
তক্ষক ডাকা নিশুতিতে
রূপকথা শুনে শিউরে উঠে না গা
স্বপ্নে আমার শরীরে কেউ ছড়ায় না শিউলি ফুল
আলোর আকাশ নুয়ে এসে ছোঁয় না কপাল
আপনার আগের লেখাগুলো পড়ে এলাম। আপনার লেখার হাত ভালো, সবগুলো লেখাতেই বলেছি।
আপনার গল্পের প্লট হূমায়নীয়। তবে সেইটা অপরাধ না। নতুন কিছু হলে আরো ভালো লাগত। কিন্তু আপনি কী লিখবেন সেটা আপনার ইচ্ছে।
মোদ্দা কথাটা হচ্ছে আপনার লেখার হাত ভালো। আরো ভালো হোক। কথাশিল্পী যতো বাড়ে তত ভালো।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
অনার্য সঙ্গীত, একটা বৃত্ত থেকে বের হয়ে আসার চেষ্টা চালাচ্ছি। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভাল থাকবেন
Shah Waez (শাহ্ ওয়ায়েজ।)
Facebook
..............................................................................................
কোথাও নেই ঝুমঝুম অন্ধকার
তক্ষক ডাকা নিশুতিতে
রূপকথা শুনে শিউরে উঠে না গা
স্বপ্নে আমার শরীরে কেউ ছড়ায় না শিউলি ফুল
আলোর আকাশ নুয়ে এসে ছোঁয় না কপাল
সবগুলা পর্ব পড়লাম। বেশ ঝরঝরে লেখার হাত তো আপনার। হুমায়ূন আহমেদের একটু প্রভাব আছে কিন্তু তাতে দোষের কিছু দেখি না। লিখতে লিখতে নিজের স্টাইল আরও স্বতন্ত্রভাবে দাড়িয়ে যাবে।
চরম উদাস, আপনার কাছ থেকে মন্তব্য প্রাপ্তি এই ভোর বেলা মনটা ভাল করে দেবার জন্যে যথেষ্ট। ধন্যবাদ ভাই। ভাল থাকবেন
Shah Waez (শাহ্ ওয়ায়েজ।)
Facebook
..............................................................................................
কোথাও নেই ঝুমঝুম অন্ধকার
তক্ষক ডাকা নিশুতিতে
রূপকথা শুনে শিউরে উঠে না গা
স্বপ্নে আমার শরীরে কেউ ছড়ায় না শিউলি ফুল
আলোর আকাশ নুয়ে এসে ছোঁয় না কপাল
আপনার আর ও গল্প পড়ার অপেক্ষায় থাকলাম।
বন্দনা, যদি আমার বন্দনা আপু হন তাহলে আবারও তুমি করে বলতে মনে করিয়ে দিতে চাই। ধন্যবাদ আপনাকে। ভাল থাকবেন
Shah Waez (শাহ্ ওয়ায়েজ।)
Facebook
..............................................................................................
কোথাও নেই ঝুমঝুম অন্ধকার
তক্ষক ডাকা নিশুতিতে
রূপকথা শুনে শিউরে উঠে না গা
স্বপ্নে আমার শরীরে কেউ ছড়ায় না শিউলি ফুল
আলোর আকাশ নুয়ে এসে ছোঁয় না কপাল
আমি ভীষণ আলসে, আপনার প্রতিটা পোস্ট তাই পড়লেও মন্তব্য করি নি। আজ সিরিজের শেষ পর্বে ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম শুধু। নতুন পোস্ট নিয়ে তাড়াতাড়ি আসুন।
___________________
রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি
টিউলিপ, ধন্যবাদ লেখাটি পড়ার জন্যে। দিনটি শুভ হোক আপনার। ভাল থাকবেন।
Shah Waez (শাহ্ ওয়ায়েজ।)
Facebook
..............................................................................................
কোথাও নেই ঝুমঝুম অন্ধকার
তক্ষক ডাকা নিশুতিতে
রূপকথা শুনে শিউরে উঠে না গা
স্বপ্নে আমার শরীরে কেউ ছড়ায় না শিউলি ফুল
আলোর আকাশ নুয়ে এসে ছোঁয় না কপাল
আপনার লেখার হাত ভালো সেটা অন্যদের মত আমিও বলি। সাথে প্রথম পর্ব থেকেই একটা কথা বলতে চাইছিলাম, আলসেমিতে বলা হয়নি। আপনার লেখায় লেখাটাকে ড্রামাটিক করে তোলার একটা সচেতন চেষ্টা থাকে যেটা প্রায়ই আরোপিত মনে হয়েছে আমার কাছে। এটা কোন ক্রাইম না, অল্পবিস্তর সবাইই করি, কিন্তু চোখে লাগলে পড়ার মজাটা হোঁচট খেয়ে যায়। যেমন ধরুন হাসনাহেনার উচ্চতা বা কুকুরের ছানা পায়ের কাছে লুটিয়ে পড়া বা ধরুন এই পর্বেও চিঠির ভাষা বা সিকোয়েন্সগুলোর সবটা বিশ্বাসযোগ্য মনে হচ্ছেনা আমার কাছে। যার কারনে লেখাটা প্রত্যাশিত উচ্চতায় পৌঁছচ্ছে না। এই ব্যাপারগুলো কাটিয়ে লেখাটাকে আরেকটু সহজ স্বাভাবিক করলে বেশি ভালো লাগত মনে হয়।
জ্ঞান দিতে বসিনি। নিতান্তই শুভাকাঙ্ক্ষী পাঠক হিসেবে নিজের মতামত দিলাম। আপনি ভালো লিখলে আখেরে আমাদেরি লাভ।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আশালতা, প্রথমে ধন্যবাদ জানাই। আপনি এত গভীরভাবে আমার লেখা খেয়াল করে দেখেছেন। আমার লেখার কিছু শিশুতোষ দুর্বলতা থাকে যা আমাকে আক্ষরিক অর্থেই লজ্জা দেয় কিংবা অন্যভাবে বলতে পারেন আরও ভাল লেখতে অনুপ্রেরণা যোগায়। আমি চেষ্টা করছি সেগুলো থেকে বের হয়ে আসতে। আশা করি সামনের কোন লেখায় এগুলো থেকে বের হয়ে আসব। ভাল থাকবেন
Shah Waez (শাহ্ ওয়ায়েজ।)
Facebook
..............................................................................................
কোথাও নেই ঝুমঝুম অন্ধকার
তক্ষক ডাকা নিশুতিতে
রূপকথা শুনে শিউরে উঠে না গা
স্বপ্নে আমার শরীরে কেউ ছড়ায় না শিউলি ফুল
আলোর আকাশ নুয়ে এসে ছোঁয় না কপাল
"বাতির রং হলুদ" - পাঞ্চ লাইনটা মন ছুঁয়ে গেলো।
আপনার লেখা যে দিন দিন কী পরিমাণ ইম্প্রুভ করেছে তার একটা প্রামাণ্য দলিল হয়ে থাকবে আপনার এই সিরিজ। কথাটা বোধহয় আগের পর্বের কোনটাতেও বলেছি। আর এক একটা পর্ব এনেছেন এক একটা ধারায় - যেমন ১ নম্বরটা ছিল হুমায়ূনীয়, ৩ নম্বরটা ছিল একটু রহস্য ধারায়, এটা আবার কেন যেন মইনুল আহসান সাবেরের কথা মনে করিয়ে দিল। ভালো লেগেছে এই ব্যপারটা।
তবে সবচেয়ে ভালো লেগেছে যে ব্যপারটা তা হলো আপনি আস্তে আস্তে নিজস্ব স্বকীয় ধারায় লেখা শুরু করেছেন। আরো লিখুন, লিখতে লিখতেই আপনার ভেতরের ব্যপারটা বের হয়ে আসবে। এমনিতেই আপনার বর্ণনা খুব সাবলীল, ভাষাও ঝরঝরে। ভবিষ্যতে আরো সুন্দর সুন্দর লেখার প্রত্যাশায় থাকলাম।
____________________________
প্রোফেসর হিজিবিজবিজ ,আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। প্রথমে থেকেই আপনি আমাকে উৎসাহ, কোন মতামত থাকলে তা নির্দ্বিধায় জানিয়েছেন। এটা আমার জন্যে অনেক বড় প্রাপ্তি। ভাল থাকবেন
Shah Waez (শাহ্ ওয়ায়েজ।)
Facebook
..............................................................................................
কোথাও নেই ঝুমঝুম অন্ধকার
তক্ষক ডাকা নিশুতিতে
রূপকথা শুনে শিউরে উঠে না গা
স্বপ্নে আমার শরীরে কেউ ছড়ায় না শিউলি ফুল
আলোর আকাশ নুয়ে এসে ছোঁয় না কপাল
ভালো একটি সিরিজ ছিলো নিঃসন্দেহে। আপনার গল্প বলার ভঙ্গি বেশ ভালো। গল্পকে চিত্তাকর্ষক করার জন্য কিংবা নিজেরই চারপাশের গল্প হিসেবে যাতে পাঠক দ্রুত গ্রহণ করে সেজন্য আমাদের অনেকেরই প্রিয় লেখক হুমায়ুন আহমেদ একদম র ল্যাঙ্গুয়েজ ঢুকিয়ে দিতেন গল্পে। আপনিও যেমনটি করেছেন কিছু সংলাপে। যেমন ৩য় পর্বে পুলিশের জেরার মুখে গল্পের মূল চরিত্র উত্তর দিয়েছে 'ড্রেনে খাড়াইয়া মুততেছিলাম'। আমার মনে হয় দরকার ছিলোনা। কেমন জানি কানে লেগেছে।
গতি, লেখনী, ভেতরের গল্প সবই চমৎকার।
-দেব প্রাসাদ দেবু
দেব প্রাসাদ দেবু, সবার জন্যেই একটু একটু রাখি আর কী ভাল থাকবেন। ধন্যবাদ
Shah Waez (শাহ্ ওয়ায়েজ।)
Facebook
..............................................................................................
কোথাও নেই ঝুমঝুম অন্ধকার
তক্ষক ডাকা নিশুতিতে
রূপকথা শুনে শিউরে উঠে না গা
স্বপ্নে আমার শরীরে কেউ ছড়ায় না শিউলি ফুল
আলোর আকাশ নুয়ে এসে ছোঁয় না কপাল
সবগুলো পর্বই পড়লাম। কোনো সিরিজ লেখার টাইটেলে ব্রাকেটে (শেষ পর্ব) দেখলে গোড়া থেকে পড়তে শুরু করি সাধারণত। আপনি লিখতে থাকুন দুহাত খুলে। ভালো হচ্ছে।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
স্পর্শ, অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন
Shah Waez (শাহ্ ওয়ায়েজ।)
Facebook
..............................................................................................
কোথাও নেই ঝুমঝুম অন্ধকার
তক্ষক ডাকা নিশুতিতে
রূপকথা শুনে শিউরে উঠে না গা
স্বপ্নে আমার শরীরে কেউ ছড়ায় না শিউলি ফুল
আলোর আকাশ নুয়ে এসে ছোঁয় না কপাল
লেখা চলুক। আগের গুলা্ও পড়েছি কমেন্ট করা হয়নি
এই লেখার কিংবা চিঠির এই প্রথম কোটেশনটা ফাটাফাটি
মাহবুব লীলেন, যাদের লেখা পড়ে একদিন সচলায়তনে লেখবো ভাবতাম তাদের একজন আপনি। অনেক ধন্যবাদ। অনেক ভাল থাকবেন
Shah Waez (শাহ্ ওয়ায়েজ।)
Facebook
..............................................................................................
কোথাও নেই ঝুমঝুম অন্ধকার
তক্ষক ডাকা নিশুতিতে
রূপকথা শুনে শিউরে উঠে না গা
স্বপ্নে আমার শরীরে কেউ ছড়ায় না শিউলি ফুল
আলোর আকাশ নুয়ে এসে ছোঁয় না কপাল
তিন পর্বই পড়ে ফেললাম, একে গোয়ালের গরু কিনা ভাই।
তিথিদের জন্য শেষ পর্যন্ত কিছুই করা যায় না!
শুভকামনা রইল।
তুহিন সরকার
তুহিন সরকার, ধন্যবাদ ভাই। ভাল থাকবেন
Shah Waez (শাহ্ ওয়ায়েজ।)
Facebook
..............................................................................................
কোথাও নেই ঝুমঝুম অন্ধকার
তক্ষক ডাকা নিশুতিতে
রূপকথা শুনে শিউরে উঠে না গা
স্বপ্নে আমার শরীরে কেউ ছড়ায় না শিউলি ফুল
আলোর আকাশ নুয়ে এসে ছোঁয় না কপাল
শেষ করে দিলেন ... ?
আপনার লেখা আসলেই দিন দিন আরও ভালো হচ্ছে।
নতুন লেখার অপেক্ষায় রইলাম।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
সাফিনাজ আরজু, শুরুতে একটা লম্বা করে ধন্যবাদ জানাতে চাই। সেই শুরু থেকেই আপনার সাজেশন মাথায় রেখেছি। আর হ্যাঁ, প্রত্যাশার চাপ যখন দেখলাম একটু একটু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে ঠিক তখনই মনেহলো এখানেই শেষ করে দেয়া ভাল। অনেক ভাল থাকবেন।
একটা কথা বলে রাখা উচিৎ। একই লেখা ফেসবুকে দিয়েছি। এখানে দিতে যেয়ে মনেহলো এই লেখা পড়ে আপনার ঝাড়ি খেতে হবে তাই আবার নতুন করে লেখলাম। ভাল থাকবেন।
Shah Waez (শাহ্ ওয়ায়েজ।)
Facebook
..............................................................................................
কোথাও নেই ঝুমঝুম অন্ধকার
তক্ষক ডাকা নিশুতিতে
রূপকথা শুনে শিউরে উঠে না গা
স্বপ্নে আমার শরীরে কেউ ছড়ায় না শিউলি ফুল
আলোর আকাশ নুয়ে এসে ছোঁয় না কপাল
আমি কি খালি ঝাড়ি দেই?
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
সাফিনাজ আরজু , আমি চাই আপনি আপনার মত করেই আমাকে পরামর্শ দেবেন আসলে ঝাড়িটা সেই অর্থে বলা
Shah Waez (শাহ্ ওয়ায়েজ।)
Facebook
..............................................................................................
কোথাও নেই ঝুমঝুম অন্ধকার
তক্ষক ডাকা নিশুতিতে
রূপকথা শুনে শিউরে উঠে না গা
স্বপ্নে আমার শরীরে কেউ ছড়ায় না শিউলি ফুল
আলোর আকাশ নুয়ে এসে ছোঁয় না কপাল
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
সাবেক গৃহশিক্ষক হিসেবে আরও পর্ব আশা করছিলাম
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
ভাই খুব ভালো লেখছেন।
আমি আমিই
আমি আমিই, ধন্যবাদ ভাই লেখাটি পড়ার জন্যে। ভাল থাকবেন।
Shah Waez (শাহ্ ওয়ায়েজ।)
Facebook
..............................................................................................
কোথাও নেই ঝুমঝুম অন্ধকার
তক্ষক ডাকা নিশুতিতে
রূপকথা শুনে শিউরে উঠে না গা
স্বপ্নে আমার শরীরে কেউ ছড়ায় না শিউলি ফুল
আলোর আকাশ নুয়ে এসে ছোঁয় না কপাল
লেখা ভালো হয়েছে। প্রথম পর্বে উঠে আসা হুমায়ুনিয় প্রভাব অনেকটাই কমেছে। সামনে সাতন্ত্র্যতা ভালোভাবেই ফুটে উঠবে বলে বিশ্বাস।
এবার একটু সমালোচনা করি, কেমন?
চিঠির মাঝখানে মাঝখানে গৃহশিক্ষকের নিজস্ব চিন্তাভাবনা, কথা, স্মৃতি ঢুকে পড়ায় হোঁচট খেতে হয়েছে বারবার। চিঠিতে বিষয়গুলো এমনিতেই উঠিয়ে আনা যেতো। অনেকগুলো বিষয়তো এমনিতেই উঠে এসেছে। সেই সাথে বর্তমানে থাকা শেষাংশটুকু থাকলেই সোনায় সোহাগা হয়ে যেত। (একান্ত ব্যক্তিগত পর্যালোচনা। মাইন্ড খাইবেন না। খবর্দার!)
---- মনজুর এলাহী ----
মনজুর এলাহী, ভাই মাইন্ড খাবেন না বলেই মাইন্ড খাইয়ে দিলেন
লেখাটার পেছনের ইতিহাস আপনি যেভাবে সাজেষ্ট করেছিলেন প্রথমে সেভাবেই ছিলো। পরে মনেহলো এক ঘেয়েমি হয়ে যাবে। কেউ একটা দীর্ঘ চিঠি পড়ে বিরক্ত হতে পারে। তাই মাঝেমাঝে স্মৃতিচারণ দিয়েছি।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে লেখাটি পড়ে মতামত দেবার জন্যে। ভাল থাকবেন
Shah Waez (শাহ্ ওয়ায়েজ।)
Facebook
..............................................................................................
কোথাও নেই ঝুমঝুম অন্ধকার
তক্ষক ডাকা নিশুতিতে
রূপকথা শুনে শিউরে উঠে না গা
স্বপ্নে আমার শরীরে কেউ ছড়ায় না শিউলি ফুল
আলোর আকাশ নুয়ে এসে ছোঁয় না কপাল
তিথিদের জন্য কিছুই করার থাকেনা আসলে । ট্রেনের হুইসেল আস্তে আস্তে হারিয়ে যায় লিলুয়া বাতাসে ,পেছনে অভিমানী অশ্রুজল ফেলে কষ্ট-কাদম্বরীর দল ।
রাজর্ষি
রাজর্ষি, আপনাকে ধন্যবাদ লেখাটি পড়ার জন্যে। ভাল থাকবেন
Shah Waez (শাহ্ ওয়ায়েজ।)
Facebook
..............................................................................................
কোথাও নেই ঝুমঝুম অন্ধকার
তক্ষক ডাকা নিশুতিতে
রূপকথা শুনে শিউরে উঠে না গা
স্বপ্নে আমার শরীরে কেউ ছড়ায় না শিউলি ফুল
আলোর আকাশ নুয়ে এসে ছোঁয় না কপাল
ভাল লেগেছে, মন টা হু হু করে উঠল তিথির জন্য!
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
মরুদ্যান, ধন্যবাদ লেখাটি পড়ার জন্যে। অনেক ভাল থাকবেন।
Shah Waez (শাহ্ ওয়ায়েজ।)
Facebook
..............................................................................................
কোথাও নেই ঝুমঝুম অন্ধকার
তক্ষক ডাকা নিশুতিতে
রূপকথা শুনে শিউরে উঠে না গা
স্বপ্নে আমার শরীরে কেউ ছড়ায় না শিউলি ফুল
আলোর আকাশ নুয়ে এসে ছোঁয় না কপাল
লেখাটা পড়ে খুব মন খারাপ হল (তিথির জন্য)। যখন পড়তে শুরু করেছিলাম তখন ভেবেছিলাম সত্যি। মাঝে এসে খুব আশা করতে থাকলাম যেন সত্যি না হয়। শেষ করার পর যখন দেখলাম গল্প, তখন একটু ভাল লাগল। আপনি অনেক সুন্দর লেখেন।
নীল, স্মৃতিচারণ এবং গল্প। শুধুই স্মৃতিচারণ হলে ম্যাড়মেড়ে হয়ে যেতো তাই সাথে একটু রস মিশিয়ে দিয়েছি। ধন্যবাদ আপনাকে। ভাল থাকবেন।
Shah Waez (শাহ্ ওয়ায়েজ।)
Facebook
..............................................................................................
কোথাও নেই ঝুমঝুম অন্ধকার
তক্ষক ডাকা নিশুতিতে
রূপকথা শুনে শিউরে উঠে না গা
স্বপ্নে আমার শরীরে কেউ ছড়ায় না শিউলি ফুল
আলোর আকাশ নুয়ে এসে ছোঁয় না কপাল
লেখার স্টাইল নিয়ে আমার কিছু বলার নেই, বিশেষ কিছু জানা নেই আমার সে বিষয়ে। পাঠক হিসেবে পুলিশের সাথে মোলাকাতের পর্বটি বেশী ভাল লেগেছিল। ঐ পর্বের লেখাটিতে যে সহজ স্বাভাবিকতার স্বাদ পেয়েছিলাম এবারে সেটির সন্ধান পাইনি। সেটা কি আসলে আমার-ই প্রত্যাশার ত্রুটি? হতেও পারে! পরের লেখার অপেক্ষার থাকলাম।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
এক লহমা, প্রত্যাশার চাপের কারণেই শেষ করে দিয়েছি। আসলে আমাকে আরও জানতে হবে। পড়তে হবে। সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত। ভাল থাকবেন। অনেক ধন্যবাদ লেখাটি পড়ার জন্যে।
Shah Waez (শাহ্ ওয়ায়েজ।)
Facebook
..............................................................................................
কোথাও নেই ঝুমঝুম অন্ধকার
তক্ষক ডাকা নিশুতিতে
রূপকথা শুনে শিউরে উঠে না গা
স্বপ্নে আমার শরীরে কেউ ছড়ায় না শিউলি ফুল
আলোর আকাশ নুয়ে এসে ছোঁয় না কপাল
এই পর্বটা দুর্দান্ত হয়েছে। শেষের অংশে আলোর রঙ হলুদ- একদম মন ছুয়ে গেছে।
কিছু ব্যপার আমার কাছে অড লেগেছে
১। নায়িকা জন্ডিসে অসুস্থ তাই ওঠে দাড়াতে পারে না আবার পরবর্তীতে নায়িকাকে বাইরে বৃষ্টিতে ভিজিয়েছেন। স্ব-বিরোধী কথাবার্তা হয়ে গেল না?
২। নায়িকার শিক্ষককে নায়িকা স্যার বলতে চাইতো না। অথচ নায়িকা তার চিঠিতে একই সাথে স্যার, এবং ভাইয়া বলছে।।।।
৩। আগের পর্বে দেখা গেছে পড়ানোর রুমের পাশের রুমে দাদি থাকে এবং দাদি তাদের পাহারা দেয়, তারা প্রেমালাপ করছে কিনা। দাদি এই রুমের খাটে থাকেন সবসময়। এখানে দেখিয়েছেন দুই তরুণী পাশের রুমে গিয়ে প্রবল হাসাহাসি করে। পুরুষ নিয়ে। দাদির রুমে তো এটা করানো যায় না। গল্পে অন্যভাবেও এই দুই জনের হাসাহাসি আনা যেত।
গল্প লিখতে থাকুন। আরও চাই। প্রসঙ্গক্রমে বলে রাখি আপনার পেশা এবং ছাত্রী ফ্যাক্ট এর অভিজ্ঞতা আমারও আছে। !!
সিরাজাম মুনির
সিরাজাম মুনির, প্রথমে ধন্যবাদ এত সুক্ষভাবে পড়ার জন্যে। আমি আপনাকে পয়েন্ট বাই পয়েন্ট জবাব দিতে চেষ্টা করি কেমন?
১। তিথিকে প্রথমত দেখানো হয়েছে ঠিক আর দশটা স্বাভাবিক মেয়ের মত মানসিক গঠনের নয়। তবে সে শারিরীকভাবে বেড়ে উঠে ঠিকই। আর জন্ডিসের মাঝেও বৃষ্টিতে ভেজা আসলে ভেতরের শক্তিকে এক করে উঠে দাড়ানোর প্রচেষ্টাকেই বুঝানো হয়েছে।
২। একই সাথে স্যার, ভাইয়া সমস্যাটা এসেছে আসলে আমার ভুলেই। প্রথমে স্যার লিখে দেখলাম ভাল্লাগেনা। পরে এডিট করলেও কোথাও কোথাও থেকে গেছে। এডিটের সুযোগ আমার নেই।
৩।তিথিদের বাসায় তিন চারটি রুম ছিলো। প্রথমে দাদীর খাটে ক্যাঁচক্যাঁচ শব্দ শুনে মনেহতে পারে তারা পরেরবার সেখানেই গিয়েছে। আসলে তারা অন্য রুমে গেছে।
ধন্যবাদ আপনাকে। ভাল থাকবেন।
Shah Waez (শাহ্ ওয়ায়েজ।)
Facebook
..............................................................................................
কোথাও নেই ঝুমঝুম অন্ধকার
তক্ষক ডাকা নিশুতিতে
রূপকথা শুনে শিউরে উঠে না গা
স্বপ্নে আমার শরীরে কেউ ছড়ায় না শিউলি ফুল
আলোর আকাশ নুয়ে এসে ছোঁয় না কপাল
আরেকটা কথা, গল্প লিখতে গেলে বৈজ্ঞানিক ব্যাপার স্যাপার ও দেখেশুনে চলতে হয়। এমন কিছু করা কাম্য নয় যাতে বৈজ্ঞানিক সূত্রের অবামাননা করা হয়। গল্পের শেষের দিকে বলেছেন
এটা কিভাবে হয়? আলো কিভাবে পিছিয়ে যায়? আলোর বাতি পেছাতে পারে। আলো নয়।
চালিয়ে যান। আপনার হবে। :দ (য়)
সিরাজাম মুনির
সিরাজাম মুনির, হাসতে যেয়ে পড়ার টেবিল নষ্ট করে ফেললাম ভাই! আমি সাইন্সের ছাত্র । তাই যখন লেখি মাথাতে রাখতেই হয়। সমস্যা হলো আপনি যখন ট্রেনে ভ্রমণ করবেন তখন সোডিয়াম বাতির আলোকে পেছনে ফেলেই সামনে যাবেন। সেই অর্থে আলো কীভাবে পেছায় না যা আমি বুঝলাম না আমি মোটেও বৈজ্ঞানিক সুত্রকে পায়ে ঠেলে লেখিনাই আর আমিতো সাইন্স ফিকশন লেখতে বসেছিলাম না। গল্পে যে রুপকতা থাকে তা হয়তো আপনার জানা ছিলোনা। তবুও মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।
Shah Waez (শাহ্ ওয়ায়েজ।)
Facebook
..............................................................................................
কোথাও নেই ঝুমঝুম অন্ধকার
তক্ষক ডাকা নিশুতিতে
রূপকথা শুনে শিউরে উঠে না গা
স্বপ্নে আমার শরীরে কেউ ছড়ায় না শিউলি ফুল
আলোর আকাশ নুয়ে এসে ছোঁয় না কপাল
চারটা পর্ব একসাথে শেষ করলাম, খুব ভালো লেগেছে। মজার মজার কথায় খুব হৃদয়গ্রাহী বিষয়ের উপস্থাপনাটা খুব ভালো লেগেছে। আবার ছোট গল্পের ন্যায় শেষে একটা অতৃপ্তি কাজ করছে পাঠক হিসেবে। পাঠক আমি এখন কল্পনা আর বাস্তবের মাঝে দোদুল্যমান। তবে এই দ্বিধাটা উপভোগ্য। আরো ভালো ভালো লেখা নিয়ে আসবেন এই প্রত্যাশা করছি ( চাপে ফেলে দিলাম না তো )
কুণ্ঠিত পান্থ
কুণ্ঠিত পান্থ, চাপ প্রত্যহ। চাপেই থাকি। না থাকলে ভাল লাগেনা আর হ্যাঁ আরো কিছু গল্প আগেও দিয়েছি। পড়বেন আশা করি। প্রেতাত্মা।(১) এবং প্রেতাত্মা।(২)
অনেক ধন্যবাদ আপনার এই সুন্দর মতামতের জন্যে। ভাল থাকবেন
Shah Waez (শাহ্ ওয়ায়েজ।)
Facebook
..............................................................................................
কোথাও নেই ঝুমঝুম অন্ধকার
তক্ষক ডাকা নিশুতিতে
রূপকথা শুনে শিউরে উঠে না গা
স্বপ্নে আমার শরীরে কেউ ছড়ায় না শিউলি ফুল
আলোর আকাশ নুয়ে এসে ছোঁয় না কপাল
নতুন মন্তব্য করুন