ছোটবেলা থেকেই ইচ্ছা ছিল চিকিৎসাবিজ্ঞানের একজন ছাত্র হবার। আমার মামা ডাক্তার। আমার খালা ডাক্তার। তাদেরকে মানুষ যেভাবে সম্মান করত একটা জিনিসই ভাবতাম সমাজে আর্থিক এবং সামাজিকভাবে সচ্ছল হতে গেলে চিকিৎসক হতে হবে। একজন চিকিৎসক সৎ ভাবে জীবন যাপন করেও সচ্ছল জীবনযাপন করতে পারেন। অবশ্য সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি যেভাবে প্রবেশ করেছে সে ক্ষেত্রে এই পেশার ভিতরেও প্রভাব পড়েছে। অস্বীকার করে উপায় নাই অনেকে দিনরাত চিকিৎসকদের সমালোচনা করলেও নিজের সন্তানকে সরকারী মেডিকেল কলেজ দরকার হলে লাখ লাখ টাকায় বেসরকারী মেডিকেল কলেজে ভর্তি করায় কেবলমাত্র এই আশায় পাস করার পর সেই টাকা সুদে আসলে কয়েকগুণ ফিরিয়ে আনা যাবে এই চিন্তা করে। যাই হোক বাস্তবতার সাথে সম্পর্কহীন চিন্তা অনেককে ঠেলে দেয় মানুষ নিংড়ে ফেলার এই যাঁতাকলে।
ছোটবেলা থেকে শুনতাম এখানে অনেক পড়া। কথাটা সত্য। ব্যাপারটা মেনেও নিতে হবে। কারণ আপনি এমন পেশায় প্রবেশ করছেন যেখানে সামান্য ভুল মান সারাজীবনের কান্না। এই জন্য বাইরে যে কোনো দেশে চিকিৎসকের বেতন অত্যন্ত বেশী। কিন্তু বাংলাদেশে জুনিয়র চিকিৎসকদের বেতন অত্যন্ত কম। সেই তুলনায় তাদের কর্মঘণ্টা অযৌক্তিকভাবে অনেক বেশী। অনেক দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যাক্তি প্রায়ই ইউরোপ-আমেরিকার কর্মঘণ্টার উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিকৃত তথ্য দিয়ে আমাদের পশুর মত খাটান। সরকারী খাতে এর কারণ জনস্বল্পতা, কখনো বা কর্তৃত্বপরায়ণতা। বেসরকারী খাতে এর কারণ কম ডাক্তার দিয়ে চালিয়ে বেশি মুনাফা। বস্তুত ইউরোপের সব দেশে রুটিন কর্মঘণ্টা সপ্তাহে ৩৫-৪০ ঘণ্টা এবং ৪০%ওভারটাইম দিয়ে সর্বোচ্চ ৪৮ ঘণ্টা। অথচ বাংলাদেশে সর্বনিম্ন ৪৮ ঘণ্টা করানো হয় বেসরকারী খাতে, যেটা আসলে শ্রমিকদের জন্য বাংলাদেশের শ্রম-আইনে নির্ধারিত কর্মঘণ্টা! আমেরিকায় রেসিডেন্সি সপ্তাহে ৮০ ঘণ্টা হলেও পরবর্তীতে চাকরীগুলো সবই ৪০ ঘণ্টার, এর বেশি হলে ওভারটাইম।
আরও শুনতাম এখানে ছুটি নেই। থাকলেও অন্য প্রতিষ্ঠানের চেয়ে কম। আসলে বছরে দুটো ঈদ, দুর্গাপূজা এবং সরকারী ছুটির দিনগুলো ছাড়া এখানে আর কোন ছুটি নেই। দেশের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আম কাঁঠালেরও ছুটি আছে। এখানে একেকটা পেশাগত পরীক্ষার পর ভাগ্য নেহায়েত ভালো না থাকলে এক দুই সপ্তাহের বেশি ছুটি পাওয়া যায় না। আজকে সে বিষয়েই দৃষ্টিপাত করতে এই লেখার অবতারণা।
বর্তমানে মেডিকেল কলেজগুলোতে রুটিন অনুযায়ী সপ্তাহে ছয়দিন ক্লাস করা লাগে। শুধু শুক্রবার বন্ধ। অন্যান্য মেডিকেল কলেজে কি হয় জানি না আমার ঢাকা মেডিকেল কলেজের রুটিনটা বলি। ফার্স্ট ইয়ার এবং সেকেন্ড ইয়ারে সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত টানা ক্লাস।
থার্ড থেকে ফিফথ ইয়ারে সকাল ৭ টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত টানা ক্লাস মাঝে ১১ টা থেকে ১১.৩০ পর্যন্ত গ্যাপ। এরপর সন্ধ্যায় ৭ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত ওয়ার্ড। এইভাবে চলে শনিবার থেকে বৃহস্পতিবার। শুক্রবার বন্ধ। অন্যান্য মেডিকেল কলেজগুলোতেও মোটামুটি একই রুটিন।
এই রুটিন অনুযায়ী একজন ছাত্রকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওয়ার্ড করে শুক্রবার পড়াশুনা করে শনিবার আইটেম দিতে হচ্ছে। এরপর শুরু হয় আবার ছয়দিনের চক্র।
১। এর ফলে কোন সৃজনশীল চর্চা না বুদ্ধিবৃত্তিক কাজে স্টুডেন্টরা সময় দিতে পারে না। ফলে নিভে যায় অনেক সম্ভাবনাময় প্রতিভা। জীবন্মৃতের মতো তাদের গা ভাসিয়ে দিতে হয় গড্ডলিকা প্রবাহে।
২। শুক্রবার কোন জরুরি কাজে বাসায় যেতে হলেও আঁটকে যায় তারা।
৩। দেখে যখন অন্য প্রতিষ্ঠানের বন্ধুরা দুইদিন ছুটি পেয়ে এখানে ওখানে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং তারপর ভালো সিজিপিএ পেয়ে বের হচ্ছে আর ভালো বেতনে চাকরি পাচ্ছে। পক্ষান্তরে টানা পড়াশুনা করে কারণে অকারণে ফেইল হয় আর বের হয়ে ড্রাইভারের চেয়েও কম বেতনের চাকরী পেয়ে শুরু হয় মানসিক সমস্যা।
৪। অনেকে মনে করেন মেডিকেল স্টুডেন্টরা সারাক্ষণ লেখাপড়া করবে। কিন্তু শুধু লেখাপড়ার ভিতরেই জীবন অতিক্রম করলে বিষয়টা যে একঘেয়ে এবং ভীতিকর হয়ে যায় তা বলাবাহুল্য। প্রফেশনে ভালো করতে হলে জ্ঞানের বিকল্প নেই। কিন্তু এই রুটিনে সেটা হয়ে যায় একঘেয়েমিপূর্ণ।
৫। অনেকে বলতে পারেন সিনিয়ররাও এইরকম রুটিন পার করে এসেছেন তাই জুনিয়রদেরকেও এই রুটিন ফলো করতে হবে। কিন্তু পরিবর্তন অগ্রজদেরকেই নিতে হবে।
৬। একইভাবে সপ্তাহে ছয়দিন কর্মদিবসও যুক্তিসঙ্গত তা ভেবে দেখতে হবে। ছয়দিন স্টেশনে থেকে পড়াশুনা করা কতটুকু সম্ভব তা ভেবে দেখা উচিৎ। কিন্তু ছাত্র হিসেবে আমার মনে হয় ছয়দিনের জায়গাতে পাঁচদিন একাডেমিক কাজে ব্যবহার হয় অনেক বাস্তবসম্মত। দরকার হলে প্রতিদিন এক ঘণ্টা বেশি ক্লাস হল। কিন্তু দুইদিন ছুটি পাওয়া দেহ এবং মনের জন্য অনেক জরুরি। যেমন বুয়েটেও সপ্তাহে ৫ দিন নয়টা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত ক্লাস হয়। তবে টানা ক্লাস হয় না। মাঝে বিরতি থাকে। এরপর তারা দুইদিন সতাহে ছুটি পায়। এর ভিতর তারা এক্সট্রা কারিকুলার কাজ, জিআরই প্রস্তুতি ইত্যাদি নিয়ে থাকে।
৭। এইভাবে ক্লাস যখন একঘেয়েমি পূর্ণ হয়ে যায় তখন শুরু হয় ক্লাস ফাঁকি দেওয়া। এরফলে সরাসরি ক্ষতি হয় ছাত্রের পরোক্ষ ক্ষতি হয় দেশের।
৮। অনেকে উন্নত দেশের উদাহরণ টানবেন। যে বিলেতের সাথে আমাদের মেডিকেল শিক্ষার কারিকুলামের মিল সেখানকার ইম্পেরিয়াল কলেজের রুটিনঃ
http://www3.imperial.ac.uk/ugprospectus/studentprofiles/mervyn/schedule
একটু দেখে নিন আর মিলিয়ে নিন আমাদের নিজেদের সাথে।
ভারত বাদে পৃথিবীর প্রায় কোন দেশেই মেডিকেল কলেজে ৬দিন কর্মদিবস নেই। আমেরিকায় সপ্তাহে ৫ দিন ক্লাস, ২ দিন ছুটি।
৯। জরুরী সার্ভিসের অংশ হিসেবে হাসপাতালের আউটডোরের মতো মেডিকেল কলেজ ছয়দিন খোলা রাখা অর্থহীন। কারণ সেখানে একাডেমিক কাজ হয়। বেশী দরকার মেডিকেল কলেজের প্যাথোলজি বিভাগ ছয়দিন খোলা রাখা। দরকার হলে দুই শিফটে কাজ দিয়ে প্যাথোলজি বিভাগ বৃহস্পতিবার রাত বারোটা পর্যন্ত খোলা রাখা যেতে পারে। প্রায়ই দেখা যায় দুপুর দুইটার পর অনেক জরুরী প্রয়োজনে রোগীরা প্যাথোলজি বিভাগে এসে ফিরে যায়। আউটডোর ৫ দিন ৯টা-৫টা পর্যন্ত খোলা রাখাই উন্নত দেশগুলোর রীতি। কিন্তু এটা করলে চেম্বারে রোগী কমে যাবে বলে হয়ত ডাক্তাররাই এ নিয়মে রাজি হবেন না। কিন্তু ধীরে ধীরে এই রীতি পাল্টানোর চেষ্টা করা উচিত। ইংল্যান্ডে ইমারজেন্সি বা ইনডোর ৭ দিনই খোলা থাকলেও ডাক্তারদের রুটিন কর্মঘণ্টা অধিকাংশ হাসপাতালেই ৪০-৪৮ ঘণ্টায় সীমাবদ্ধ রাখা হয়। ৯টা-৫টা সপ্তাহে ৫ দিন রুটিন, রোটেশন অনুযায়ী নাইট এবং উইকেন্ড ডিউটি- এই হচ্ছে সেখানকার প্যাটার্ন। এর মাঝে অবশ্যই আছে ওভারটাইম যার জন্য বেসিকের ৪০% হারে পে করা হয়।
১০। অনেক চিকিৎসক ( সবাই না ) নিজেদের দুর্ব্যবহারের কথা উঠলেই ছাত্রজীবনের প্রেশার, ছুটির অভাবের কথা বলে। এটা যেন তারা বলতে না পারে, সেজন্যে রাষ্ট্রের উচিত তাদের রুটিন কর্মঘণ্টা ও সাপ্তাহিক ছুটির পরিমাণ অন্য পেশা ও অন্য বিষয়ের ছাত্রদের অনুরূপ করা। ১ দিন ছুটি বাড়িয়ে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মত কর্মঘণ্টা করা হলে চিকিৎসকরা দুর্ব্যবহারের পেছনে এই যুক্তি আর দেখাতে পারবেন না।
১১। ইম্পেরিয়াল কলেজের রুটিনে দেখুন- রাতে ওয়ার্ড নেই। সকালেই শেষ। দুই বেলা ওয়ার্ড সময়ের অপচয়। ছোট ছোট গ্রুপে ভাগ করে সকালের ওয়ার্ডই যথেষ্ট।
১২। দুইদিন ছুটি দিলে সপ্তাহের শেষে স্টেশন লিভ করা যাবে, কাজেই ফাঁকি বা অঘোষিত ছুটির পরিমাণ কমবে। অফিস-টাইম ৮টা থেকে আড়াইটার পরিবর্তে ৮টা-৪টা করা উচিত।
১৩। অনেকেই কারিকুলাম শেষ না হবার অজুহাত দেবেন, সেটা অযৌক্তিক। কারণ এই সিস্টেমে কর্মঘণ্টা সপ্তাহে ১ ঘণ্টা বাড়ছে। কমছে না।
১৪। আমাদের দেশেই এখন NIPSOM, CME, IPH, DG Health, Divisional Director's Office সপ্তাহে ৬ দিন এর বদলে ৫ দিন ৯টা-৫টা চলছে। খুব ভালো ভাবেই কাজ চলছে। মেডিকেল কলেজ শাখাও ৫ দিন ৮টা-৪টা খোলা রাখাই যথেষ্ট।
তাই আমার প্রস্তাবনা মেডিকেল কলেজে সপ্তাহে দুইদিন ছুটি দেওয়া হোক। দরকার হলে সকাল আটটা থেকে চারটা পর্যন্ত ক্লাস নেওয়া যেতে পারে। তাহলে সৃজনশীল চেতনার বিকাশ ঘটানো সম্ভব। আর কেউ মানসিক রোগে আক্রান্ত হবে না। নিভে যাবে না সম্ভাবনার আলো। উইকেন্ডে চাইলে ঘুরে আসা যাবে লাউয়াছড়ার বন কিংবা বান্দরবানের পাহাড়। হলে মন না বসলে দুদিনের ছুটিতে ঘুরে আসা যাবে বাড়ি থেকে, দেখে আসা যাবে অসুস্থ মা-বাবাকে। বৃহস্পতিবার রাতের পরীক্ষার ক্লান্তি কাটিয়ে দেবে শুক্রবারের বিশ্রাম, মুভি, মিউজিক, বই- আবার শনিবারে ফ্রেশ মনে নেয়া যাবে রবিবার সকালের ৩-৪টে আইটেমের প্রস্তুতি। কেবল ঘরের লাঞ্চ আর চেম্বারের ধান্দায় ৮টা-আড়াইটা ৬ দিনের কর্মসপ্তাহ অর্থহীন, ক্লান্তিকর, ক্ষতিকর এবং ফাঁকির অন্যতম কারণ।
একাকী মানব
মন্তব্য
ভাই, ফাটফাটি লিখসেন। আরেকটা বিষয় হল ভাল লেকচারারের প্রচন্ড অভাব। ফলে লেকচার ক্লাস গুলা মাক্সিমাম কোনমতে পার করতে হয় নাইলে প্রক্সি।এত ক্লাস করে আল্টিমেটলি খুব বেশি লাভ হয় না।
আপনার কথা ঠিক। ভালো ছাত্র, ভালো ডাক্তার, ভালো শিক্ষক তিনটাই আলাদা জিনিস। আমাদের ভালো মেডিকেল শিক্ষক তৈরি করতে হবে। সেন্টার ফর মেডিকেল এডুকেশন এই নিয়ে কাজ করছে। দেখা যাক সামনে কি আসে।
ভালো লিখেছেন। যখন মেডিকেলের ছাত্র ছিলাম- আমারো তাই মনে হয়েছিলো। তবে কিছু ব্যাপারে একমত নই।
যার সৃজনশীল প্রতিভা আছে, যতই চাপ থাকুক- সেটা বেরিয়ে আসবেই। আর মেডিকেলে বিনোদনের একেবারেই কিছু নেই- এটা বোধহয় ঠিক নয়। আমার মনে হয় না, বন্ধের দিন যারা বাসায় যেতে চায়- আইটেমের কারণে তারা যেতে পারে না- এটি সঠিক নয়। আইটেম মেডিকেল কলেজ লাইফের একটা খুবই ছোট পরীক্ষা। আমাদেরতো প্রায় প্রতিদিনই আইটেম থাকতো, ভালোভাবেই আইটেমগুলো দিয়েছিলাম বলেই মনে পড়ছে। কই, সেজন্যতো বন্ধের দিনে বাসায় যাওয়া বাদ দিইনি! কার্ড ফাইনাল হলে অন্য কথা।
ডাক্তারদের পাস করার পর প্রাথমিক বেতনটা একটা সমস্যা বটে! আমার মনে আছে- আমি যখন ইন্টার্ণ ডাক্তার ছিলাম- একদিন একটি কাজে সিটিসেল অফিসে গিয়েছিলাম। কাজ শেষে ৫ টার দিকে সিটিসেল অফিস থেকে বেরিয়ে হলুদ টেম্পু খুঁজছিলাম, তখন আমার এক বন্ধু, যে কিনা সিটিসেলে এক্সিকিউটিভ হিসেবে তখন চাকরী করতো (স্কুলে আমার চেয়ে অনেক খারাপ ছাত্র ছিলো!), আমার সামনে দিয়ে প্রাইভেট কারে করে চলে গেলো- আমি চেয়ে চেয়ে দেখলাম- তখন ইন্টার্ণশীপ করে আমি মাসে পেতাম মাত্র ৫০০০ টাকা! আর এখন! আমি তারচেয়ে অনেক বেশি সালারী পাচ্ছি, মাসিক আয় হচ্ছে। ব্যাপারটা হচ্ছে- ডাক্তারদের প্রথমদিকে আয়টা হয়তো কম, কিন্তু পরবর্তীতে সেটা বাড়তেই থাকে, বাড়তেই থাকে। আমার সেই এক্সিকিউটিভ বন্ধু হয়তোবা প্রথমেই আমার চেয়ে বেশি সালারীর চাকরী পেয়েছিলো, তবে পরবর্তীতে খুব একটা বাড়েনি! ব্যতিক্রম আছে, সেটা স্বীকার করে নিচ্ছি।
সময়ের বন্টন নিয়ে যেগুলো বলেছেন- একমত। এরকম করতে পারলে ভালোই হয়।
সবশেষে একটা কথা বলতে চাই-- ডাক্তারদের দাবী দাওয়া নিয়ে যেভাবে আমরা লিখি- ডাক্তারদের দুর্নীতি নিয়ে আমরা ডাক্তাররা সেরকম সরব নই। সেগুলোও লেখা উচিত, তাই না?
-এস এম নিয়াজ মাওলা
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আমি একমত। কিন্তু সেই সৃজনশীল চেতনা চর্চা করার সময় মেডিকেল স্টুডেন্টরা অন্যদের তুলনায় কম পায়।
আইটেম ছোট পরীক্ষা কিন্তু জ্ঞানের সোপান সেটাই। আইটেমের সময় একটা টপিক যেভাবে পড়া হয় কার্ডের সময় কিন্তু সেভাবে পড়া হয় না। এখন অনেকে ৪/৫ টা আইটেম একসাথে পেন্ডিং দিয়ে পরীক্ষার আগে ক্লিয়ার করে। এটাই ঝামেলা। প্রাকৃতিক বা মানবসৃষ্ট দুর্যোগের সময় মেডিকেল কলেজের ক্লাস চলে। আপনার কি মনে হয় না একটু বিরতি দেওয়া উচিত।
পেশাজীবনের শুরুতে এই ধরণের তিক্ত অভিজ্ঞতাই অনেককে হতাশার সাগরে নিমজ্জিত করে।
অবশ্যই লেখা উচিত। কিন্তু কিছু মিডিয়া চিকিৎসার অবহেলা নাম দিয়ে টপিকগুলোকে হাস্যকর করে ফেলেছে।
আপনি আমার গুরুজন। আপনার অভিজ্ঞতা বেশী। আপনার লেখা আমি বিভিন্ন ব্লগে পড়ি।
একাকী মানব
আমার লেখার সাথে আপনি পরিচিত জেনে ভালো লাগছে। আপনিও ভালো থাকুন, সতত।
-এস এম নিয়াজ মাওলা
আমাদের সিলেট মেডিকেল কলেজে ১ম ও ২য় বর্ষের ক্লাস সকাল ৮টা থেকে টানা ২টা, ৩য় ও ৪র্থ বর্ষের সকাল ৭টা থেকে টানা ২টা, কোন ব্রেক নেই । ওয়ার্ডের আগে সকাল ৯টায় বেআইনী একটা ব্রেক নিয়ে আমরা নাস্তা করি !
বলা বাহুল্য শুক্রবার আমাদের ঈদের দিন । সপ্তাহে মঙ্গলবার আসলেই ঈদের দিন আসন্ন ভেবে খুশি খুশি লাগে ।
মেডিকেলের একমুখী, একঘেয়ে লেকচারগুলোতে আসলেই কোন উপকার হয়?
অনেক চেষ্টা করে দেখেছি লেকচার ক্লাসে সর্বোচ্চ ১০মিনিট মনোযোগ রাখতে পেরেছি ! অধিকাংশই দেখি লেকচার ক্লাসে ঘুমায় । অথচ লেকচার পার্সেন্টেজের উপরই প্রফ ক্লিয়ারেন্স দেয়া হয় !
জব্বার ফারুকী
মনের কথাটা বলেছেন ভাই।
একাকী মানব
গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু অবহেলিত বিষয়ে অসাধারণ একটি লেখা উপহার দেবার জন্য ধন্যবাদ।
কিছুদিন আগে "সেন্টার ফর মেডিকেল এজুকেশন" -এর একজন সহকারী অধ্যাপককে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করেছিলাম। উনি বলেছিলেন, "সপ্তাহে ৬ দিন আড়াইটা পর্যন্ত ক্লাসের অদ্ভুত নিয়ম পৃথিবীর কোথাওই প্রায় নেই। আমি স্কটল্যান্ডে ট্রেনিং করেছি- ওখানেও ৫ দিন। বাংলাদেশের মত এত কম ছুটি কোন উন্নত মেডিকেল শিক্ষা ব্যবস্থাতেই নেই। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে পলিসি-মেকাররা আমাদের কোন কথা শোনে না, কারো মাথাব্যথাও নেই।"
বাংলাদেশে যখন কর্মঘণ্টা পুনর্বিন্যস্ত হল, তখন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজগুলোকে "এসেনশিয়াল সার্ভিসের" আওতাভুক্ত করে সপ্তাহে ৬ দিন খোলা রাখার নির্দেশ দেয়া হয়। এখানে একটু কথা আছে, যেটা বোধ করি ইচ্ছে করেই শীর্ষস্থানীয় চিকিৎসকরা এড়িয়ে গেছেন। ৫ দিন অফিস-টাইম করতে গেলে চেম্বারের মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যাবে। যেহেতু বেতন অপর্যাপ্ত এবং চেম্বারের টাকাতেই চলতে হয়, কাজেই ক্লিনিক্যাল বিষয়ের বড় স্যারেরা ৬ দিন ৮টা-আড়াইটাই প্রেফার করবেন। তবে বেতন বাড়ালেও মনে হয় না শীর্ষ পর্যায়ের ডাক্তাররা এতে রাজী হবেন। কারণ সরকারী ব্যবস্থা খুব বেশি উঁচু মাপের হয়ে গেলে ব্যক্তিগত সম্পদ সঞ্চয়ের অফুরন্ত সুযোগ অনেকটাই কমে যাবে। যদিও এতে অজস্র তরুণ চিকিৎসক তাঁদের সেরা সেবাটা দেয়ার সুযোগ পাবে।
দ্বিতীয়ত, মেডিকেল কলেজ (মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নয়!) কোনভাবেই এসেনশিয়াল সার্ভিসের আওতায় পড়ে না। বুয়েট বা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মতই মেডিকেল কলেজগুলোও শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান। বুয়েট আজীবন সপ্তাহে ৫ দিন ৮টা-৫টা ক্লাস নিয়ে মানসম্পন্ন প্রকৌশলী উপহার দিতে পারলে মেডিকেল কলেজগুলো কেন পারবে না? আসল কথা হচ্ছে, এই কালচার স্কুল পর্যায় থেকে গড়ে তুলতে হবে। বাংলাদেশে সব সরকারী ও আধা-সরকারী স্কুল-কলেজ সপ্তাহে ৬ দিন খোলা থাকায় মানুষ এর বাইরের কিছু চিন্তাই করতে পারে না। ব্যতিক্রম শুধুমাত্র নটর ডেম কলেজ, যেটা ৫দিন খোলা থাকে। সেদিন এ বিষয়ে ডিপার্টমেন্টে কথা বলছিলাম। দেখলাম যে, কলিগদের মধ্যে যারা নটরডেমিয়ান তাদের এই প্রস্তাবে শক লাগছে না, বরং তারা এটাকেই স্বাভাবিক বলে ধরে নিচ্ছে। অন্য কলেজের কলিগরা প্রথমে শকড হচ্ছে, বলছে কোর্স কীভাবে শেষ হবে? তখন প্রতিদিন দুঘণ্টা ক্লাস বাড়ানোর কথা বলার পর তারা বুঝতে পারছে।
আসলে বিজ্ঞানসম্মত ব্যবস্থাগুলো গোটা পৃথিবীতেই একই রকম হওয়া বাঞ্ছনীয়। আমাদের চিকিৎসাশিক্ষায় যেভাবে অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতি এবং সিউডোসায়েন্সের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ চর্চা হয়- তারই কুপ্রভাবে এই সমস্যাগুলো তৈরি হয়। অনেক শীর্ষ অধ্যাপককে চিনি যারা এখন স্রেফ কর্পোরেট-ক্রীতদাস। তারা কেউ কেউ ইংলন্ড-আমেরিকার শিক্ষাপদ্ধতি ওকর্মঘণ্টার উদাহরণ বিকৃত করেন উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে। তাদের থেরাপিতে অনেককে এমনও ভাবতে দেখেছি যে, "উন্নত দেশে ডাক্তারদের কোন ছুটিই থাকে না।"- বলাই বাহুল্য এগুলো আসলে কম লোক দিয়ে কাজ সারবার ফন্দি। বাস্তব হচ্ছে আমেরিকা-ইয়োরোপের ছাত্রদের যদি বলা হয় উইকেন্ড একদিন কমিয়ে দেয়া হবে- অনেকেই আত্মহত্যা করবে!
অত চমকানোর কিছু নেই। এই বাংলাদেশেই বর্তমানে খোদ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়, আই,পি,এইচ, নিপসম, সি,এম,ই, বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) এর কার্যালয় ইত্যাদি অত্যন্ত সার্থকভাবেই রবি-বৃহস্পতিবার ৯টা-৫টা চলছে। মেডিকেল কলেজগুলোও এভাবে খোলা রাখাই বাঞ্ছনীয়। হাসপাতাল ৭দিনই খোলা থাকলেও ডাক্তারদের নিয়োগ এমনভাবে হওয়া উচিত যেন ৫ দিন এবং ৪০ ঘণ্টায় সাপ্তাহিক কর্মঘণ্টা সীমাবদ্ধ থাকে এবং তারপর ওভারটাইমের ব্যবস্থা। তবে সেটা হতে আরো সময় লাগবে অনেকটাই। কলেজ সেকশনে অবিলম্বে এটা বাস্তবায়ন করা সম্ভব। হাসপাতালের ক্ষেত্রে এন,এইচ,এস এর অনুকরণে এই মডেলের প্রয়োগ আমাদের দেশে এখনই সম্ভব নয়।
মন্তব্যে অনেক ভালো বিষয় উঠে এসেছে। সেগুলো নিয়ে আলোচনা হওয়া প্রয়োজন।
সিস্টেম হয়ে উঠুক বিশ্বমানের। বিজ্ঞানের রাজ্যে আঞ্চলিকতা বলে কিছু নেই।
নির্ঝর অলয় দা,
আপনার অসাধারণ কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ। বাংলাদেশের চিকিৎসকদের ভিতরে একটা শ্রেণীবৈষম্য তৈরি হয়ে গেছে।
ব্যাপার টা অনেকটা তেলা মাথায় তেল দেওয়ার মত। এখানে টাকা টাকা আনে আর জুনিয়র ডাক্তাররা পিষ্ট হচ্ছে শোষণ আর বঞ্চনায়।
একাকী মানব
লেখাটা অনেক চিন্তা উদ্রেককারি। আমি একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে একটা ব্যাপার জানতে চাইছি,যেহেতু চিকিৎসা সংক্রান্ত কোন বিষয়ে জড়িত নেই। আপনার লেখার পর আমি আমার বন্ধু স্থানীয় ডাক্তারদের (ইতোমধ্যেই প্রতিষ্ঠিত দেশে এবং দেশের বাইরে) এব্যাপারে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। বেশিরভাগেরই মনোভাব ৫ দিন করলে নাকি ৬ বছরে (৫ বছর শিক্ষা ১বছর শিক্ষানবিসি) এমবিবিএস শেষ করতে পারবে না। এজন্য নাকি পাশ্চাত্যের অনেক দেশের ৭-৮ বছরের বেশি লাগে এই কোর্স শেষ করতে। কেউ যদি একটু আলোকপাত করতেন?
সাইদ
সুন্দর প্রশ্ন। আপনি যাদের সাথে কথা বলেছেন তাঁরা আসলে বিষয়টি সম্পর্কে প্রচলিত ধারনাই ব্যক্ত করেছেন, ভেবে বলেন নি। লেখক যে হিসেব দেখিয়েছেন তাতে ক্লাস-আ'র কমছে না বরং সপ্তাহে ১ ঘণ্টা বাড়ছে। ৮টা-আড়াইটার বদলে ৮টা- চারটা।
'পাশ্চাত্যের অনেক দেশে" - কথাটা আসলে কিছুই বোঝায় না। এই উক্তি থেকেই বোঝা যায় যে, প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিরাও অনেক জরুরী বিষয় সম্পর্কেই উদাসীন।
এটা একেবারেই ভুল ধারণা। প্রথমত, পাশ্চাত্যের সব দেশের প্রোগ্রাম এবং কারিকুলাম এক নয়। আমাদের প্রোগ্রামের স্থায়িত্ব এবং কঙ্কাল ব্রিটিশ এম,বি,বি,এস এর অনুরূপ। ইংলন্ডে আমাদের মতই ৫ বছরের এম,বি,বি,এস। ইন্টার্নশিপ ওখানে ২ বছরের এবং টাকে বলে ফাউন্ডেশন ইয়ার ১ এবং ২। উল্লেখ্য সেই ফাউন্ডেশন ট্রেনিং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে গণ্য হয়, আমাদের মত স্রেফ পূর্ণ লাইসেন্স অর্জনেই তার ভূমিকা শেষ নয়। ইন্টার্নদের অনেকেই ছাত্র ভাবেন- সেটাও ভুল। ইন্টার্ন হচ্ছেন একটি মেডিকেল কলেজে কাজ করার জন্য সীমাবদ্ধ লাইসেন্স-প্রাপ্ত চিকিৎসক, ছাত্র নন।
আমেরিকায় গোটা প্রোগ্রামটাই অন্য রকম। সেখানে ৪ বছর প্রিমেডিকেল তারপর এম,ক্যাট, তারপর চারবছরের এম,ডি এবং ইউ,এস,এম,এল,ই স্টেপ ২ সি,কে পার করে বিষয় সাপেক্ষে ৩-৭ বছরের রেসিডেন্সি করে অতঃপর স্টেপ ৩ দিয়ে পূর্ণ লাইসেন্স। অর্থাৎ মোট ১১ থেকে ১৫ বছরের ধাক্কা। বাংলাদেশে জনসংখ্যা অনুপাতে ডাক্তার থাকা প্রয়োজন প্রতি ১০ হাজারে ২৫ জন। আমাদের ডাক্তারের সংখ্যা এখনো এতই কম যে, আগামী ৪০ বছরেও আমরা ইউ,এস মডেলে যেতে পারব না- কারণ তাতে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা পুরোপুরি ভেঙে যাবে।
কাজেই ৫ দিন ক্লাস করার জন্য "পাশ্চাত্যের অনেক দেশে ৭-৮ বছরের বেশি লাগে"- এই কথার তথ্যগত কোন মূল্যই আসলে নেই। কারণ গ্র্যাজুয়েট কারিকুলাম এমনিতেই আন্ডারগ্র্যাড কারিকুলামের চেয়ে অনেক বিস্তৃত। কাজেই আগে জানতে হবে আমাদের রেফারেন্স মডেল কোনটি। যেহেতু ব্রিটিশ মডেলটিই রেফারেন্স সেহেতু কারিকুলাম শেষ করতে তাদের চেয়ে বেশি সময় লাগা অস্বাভাবিক। তবে কি ধরে নিতে হবে আমরা কম মেধাবী? আমার তা মনে হয় না।
একটা মজার তথ্য দিই আপনাকে- চিকিৎসাশিক্ষা বিষয়ে অনেকদিনের কাজ ও পড়াশোনার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, আমাদের কারিকুলামে নির্দিষ্ট ক্লাস আওয়ার এর চেয়ে প্রায় দেড় থেকে দ্বিগুণ পরিমাণ বেশি ক্লাস নেয়া হয়। শুধু এনাটমিতেই নির্ধারিত সময়ের দ্বিগুণ পরিমাণ টিউটোরিয়াল ও লেকচার নেওয়া হয়। নতুন কারিকুলামে ইন্টিগ্রেটেড টিচিং ও কোরিলেশনের কথা এসেছে। ছাত্রজীবনে এটা চালু করতে গিয়ে আমি ডিনের বিহ্বল চাহনি দেখে বুঝতে পারি- ভালো কিছু বোধহয় এখানে সম্ভব নয়! আমাদের প্রচলিত ব্যবস্থায় প্রায় কোন কো-রিলেশন এবং ইন্টিগ্রেশনের ব্যবস্থা নেই। কারিকুলামে এসেছে, কিন্তু অধিকাংশ শিক্ষকই জানেন না- এটা কিভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। বিস্তৃত আলোচনা করা যায়। কিন্তু এসব আলোচনা লোকে পাগলের প্রলাপ ভাবে। খুবই বিরক্ত লাগে। তাই কিছুই লিখি না।
আশা করি লেখক আরো সুন্দর জবাব দেবেন।
নির্ঝর অলয়দা,
আমি কি বলবো আপনিই তো সব বলে দিয়েছেন।
একাকী মানব
পিএইচডি কারিকুলামের অংশ হিসেবে যখন অ্যানাটমি পড়তে হল, তখন সপ্তাহে ক্লাস করতাম ৩ থেকে ৪ দিন - প্রতিদিন ৪ ঘণ্টা করে (১ ঘণ্টা লেকচার + ৩ ঘণ্টা ডাইসেকসন)। তারপরেও কিন্তু ১৬ সপ্তাহের মধ্যেই ক্লাস শেষ হয়ে যেত। আমি যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছি, সেখানে সামার সেমিস্টারে অ্যানাটমি ক্লাস হত সপ্তাহে ৫ দিন - কোর্স শেষ হতো ১১ সপ্তাহে। আমি জানিনা বাংলাদেশে কতদিন লাগে অ্যানাটমি শেষ করতে, কিন্তু বর্ণনা শুনে মনে হচ্ছে আমাদের দেশের অন্যান্য শিক্ষার মতই মেডিক্যাল কলেজে শিক্ষাদান পদ্ধতিও বেশ ইনএফিসিয়েণ্ট।
Emran
চমৎকার বলেছেন নির্ঝর আলয়।
-এস এম নিয়াজ মাওলা
আসলে ভাই এরা বেশির ভাগই বুঝে নাই বিষয়টি। একদিনের ক্লাস কিন্তু পাঁচদিন এক বা দেড় ঘণ্টা বেশী ক্লাস নিয়ে পুষিয়ে ফেলা সম্ভব।
একাকী মানব
@নির্ঝর আলয়
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার মন্তব্য পড়ে একটা কথা মনে হল -সম্ভবত যারা সিস্টেমের মধ্যে বের হয়েছেন, তারা চাইছেনা সিস্টেমটা সুন্দর বা সহনীয় হোক।
সাইদ
লেখা ভালো লাগলো। মেডিক্যালে পড়ুয়া বন্ধুরা আসলেই কম ছুটি পায় বলে দেখি সব সময়।
আরেকটি তথ্য, বুয়েটে আসলে নয়টা-পাঁচটা শিডিউল না, বুয়েটের ক্লাস শুরু হয় সকাল আটটা থেকে। যদিও মাঝে রুটিন অনুযায়ী অনেক বিরতি থাকে। সকাল আটটা থেকে টানা বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত একজন ছাত্রকে ক্লাস করতে হয়, এরকম নজির খুব কম।
- সুচিন্তিত ভুল
মেডিকেল কলেজে এমন বহু আছে জীবনে কোনদিন ক্লাস করে নাই, পাস করে গিয়েছে লবিং আর মুখস্থের জোরে।
একাকী মানব
গতকাল একুশে টেলিভিশনের একুশে রাত অনুষ্ঠানে মেডিকেল শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেখানে ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিল ঢাকা মেডিকেল কলেজের কে ৬৬ ব্যাচের ছাত্র, প্রথম পেশাগত পরীক্ষায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চতুর্থ এবং দ্বিতীয় পেশাগত পরীক্ষায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম শরিফুল হালিম।
সেখানে সে কিছু কথা বলেছে যা সকল শিক্ষার্থীর মনের কথা।
অনুষ্ঠানটির লিংক এখানেঃ
http://www.youtube.com/watch?v=DlQ7B4NgH_Y
দেখার অনুরোধ রইল।
একাকী মানব
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।(নোমান২৯)
নতুন মন্তব্য করুন