ইদানীং ঢাকা শহরে চলাফেরা করা শুধু সময়সাপেক্ষ ব্যাপার নয়, একটা ধৈর্য্যেরও বিষয় বটে। সন্ধ্যা সাতটার দিকে প্রায় একই জায়গায় আধা ঘন্টা ধরে বাসটি নিশ্চল দাঁড়িয়ে আছে, জানালার পাশে বসে উদাস দৃষ্টিতে বাইরে তাকিয়ে থাকা দিপুকে দেখে অবশ্য মনে হচ্ছিলো না হাসপাতালে পৌঁছাতে তার কোনো তাড়া আছে অথবা ক্রমশ ভিতরে ভিতরে অসহিষ্ণু হয়ে উঠছে। দেশের একটি বড় নামকরা হাসপাতালে মেডিকেল অফিসার হিসেবে কাজ করে সে। খুব বেশিদিন হয় নি নামের আগে ডাক্তার শব্দ বসিয়েছে। ইনফ্যাক্ট এক বছরের ইন্টার্ণশীপ শেষ করে এই রকম একটি বড় হাসপাতালে চাকরী পেয়ে যাবে, সেটা সহজে ভাবেওনি দিপু। এই অর্জনের পিছনে দিপুর জাঁদরেল বাবার, যিনি কিনা সরকারের একজন হাই অফিসিয়াল, ভুমিকা অবশ্য কম নয়!
ক্যারিয়ারের শুরুতেই এতো বড় হাসপাতালে কাজ করতে পেরে দিপু খুব উচ্ছ্বসিত। আরো উচ্ছ্বসিত এখানকার কাজের ধারা দেখে। সবকিছুতেই আন্তর্জাতিক মানের ছাপ রাখার প্রচেষ্টা আছে। এই তো, কয়েকদিন আগে একটি নিয়ম ঘোষণা করা হয়েছে- কোনো রোগী আইসিইউ ছাড়া অন্য কোনো ওয়ার্ড বা কেবিনে মারা যাবে না! প্রথমটায় দিপু খুব অবাক হয়েছিলো। পরে বুঝতে পারলো, রোগীর অবস্থা খারাপ হয়ে গেলে যেনো দ্রুত আইসিইউতে নিয়ে গিয়ে সর্বশেষ চিকিৎসা দেওয়া যায়, যাতে কোনো রকম সিদ্ধান্তহীনতার কারণে রোগীর জীবন প্রদীপ নিভে না যায় সেজন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দিপুর এই নিয়মটা খুব পছন্দ হয়েছে। এই নিয়মের জন্য কোন রোগীর ক্ষেত্রে অরেঞ্জ কোড ডাকতে হবে আর কোন রোগীর ক্ষেত্রে ব্লু কোড ডাকতে হবে- সেটা নিয়ে আর ঝামেলা পোহাতে হয় না।
অবশেষে হাসপাতালের কাছে এসে বাস থেকে নামতে পারলো দিপু। বাস স্টপ থেকে হাসপাতালে রিকশায় যেতে পাঁচ মিনিটের মতো লাগে, হেঁটে গেলে আরেকটু বেশি। দিপু সাধারণত রিকশাতেই যায়। কিন্তু আজকের রাতটা পূর্ণিমা মনে হচ্ছে, মৃদু মন্দ হাওয়াও বইছে। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলো রাত আটটা বেজে গেছে। রাতের ডিউটি আওয়ার শুরু হয়ে গিয়েছে। তবুও রিকশায় না উঠে দিপু হাঁটা শুরু করলো। ভালোই লাগছিলো আনমনে হেঁটে যেতে। এই সময়টাতে অনেককিছুই চিন্তা করা যায় আর প্রকৃতির নির্মল হাওয়াও উপভোগ করা যায়।
প্রকৃতির নির্মল হাওয়া যে সবসময় উপভোগ করা ভালো নয়, সেটা দিপু বুঝতে পারলো ইভিনিং ডিউটির ডাক্তারের কাছ হতে দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার সময়। নির্ধারিত সময় থেকে দশ মিনিট দেরী হবার জন্য প্রথমেই কিছুক্ষণ কথা শুনতে হলো। অথচ দিপুর মনে আছে, গত সপ্তাহে এই ডাক্তার যখন রাতের ডিউটিতে প্রায় আধা ঘন্টা দেরী করে এসেছিলো, তার কথায় মনে হয়েছিলো এটি একটি স্বাভাবিক ব্যাপার। আজ গনেশ উল্টে গেলো! তাই যখন দায়িত্ব বুঝে নিচ্ছিলো, অভিমানে যেনো কানে কোনো কিছুই ঢুকছিলো না! হঠাৎ করেই যেনো শুনতে পেলো, ইভিনিং ডাক্তার বলছে, “২০৫ নম্বর কেবিনে ভিআইপি রোগী আছে। সবার আগে উনাকে ফলোআপ দিবে। আর ২০৬ নম্বর কেবিনের রোগীটা সন্ধ্যা থেকেই ঘুমিয়ে আছে, তাই আমি সন্ধ্যার ফলোআপ দিই নি। তুমি এই রোগীটাও আগে আগে দেখে নিও”।
দায়িত্ব বুঝে নিয়ে দিপু প্রথমেই চিন্তা করলো ২০৬ নম্বর কেবিনে যাবে। বৃদ্ধ মানুষ! দুই দিন ধরে আছে- এওরটিক এনিউরিজমের রোগী। দুই একদিনের ভিতরেই বোধহয় অপারেশন হবে। মানুষটিকে দেখতে আসা লোকের সংখ্যা নেই বললেই চলে। গত দুই দিনে তেমন কাউকে আসতে দেখেনি দিপু। ওরই বয়সী এক মেয়ে সবসময় থাকে। আলাপ করে জানতে পেরেছিলো মেয়েটি হচ্ছে বৃদ্ধ মানুষটির নাতনী। তার একমাত্র ছেলে দেশের বাইরে থাকেন, আরো সুস্পষ্ট করে বললে আমেরিকায় থাকেন, নাতনী দেশে ছুটি কাটাতে এসেছে। কয়েকদিন পর চলে যাবে, তার আগেই দাদার শরীর খারাপ! দেশে তেমন কাউকে সে চিনে না, খবরও দিতে পারে নি, অবশ্য নবনীতার দাদাও চায়নি কাউকে খবর দিতে। হ্যাঁ, মেয়েটির নাম নবনীতা। গতকালকে দিপুকে জানিয়েছিলো- ওর বাবা দুই-এক দিনের মধ্যেই দেশে চলে আসবেন, এরপর দাদার অপারেশন শেষ করেই একসাথে বাবা আর মেয়ে আমেরিকায় ফিরে যাবে।
নবনীতাকে দিপুর খুব ভালো লাগে। আরো ভালো লাগে ওর সাথে কথা বলতে। গত দুই দিনে ইভিনিং ডিউটি থাকাতে যদিও খুব একটা কথা বলা যায় নি, কিন্তু আজ রাতের ডিউটি! সময় আছে অনেক, গল্পও করা যাবে অনেক! একজন নার্সকে নিয়ে ২০৬ নম্বর কেবিনে ঢুকে দিপু দেখলো – রোগী এখনো ঘুমুচ্ছেন। নবনীতাও নেই। দিপু রোগীকে আর জাগাতে চাইলো না, ঠিক করলো সবগুলো কেবিনের ফলোআপ দিয়ে আবার এই কেবিনে আসবে। ততক্ষণে হয়তোবা নবনীতাও বাইরে কোথাও গিয়ে থাকলে, চলে আসবে।
প্রায় ঘন্টা খানেকের মতো লাগলো সব রোগী ফলোআপ দিতে। নার্সকে জিজ্ঞেস করলো, ২০৬ নম্বরের রোগীর এটেন্ডেন্ট এসেছে কি না। ঠিক এই সময়েই দিপুর মোবাইল ফোন বেজে উঠলো। স্ক্রীনে তাকিয়ে দেখলো নবনীতা! গতকালকেই নবনীতা দিপুর নম্বর নিয়েছিলো। কেনো জানি ওর ধারণা হয়েছে, এখানে ডাক্তাররা রোগী সম্পর্কে সব কথা খুলে বলে না। তাই ওর যখনই প্রয়োজন হবে, দিপুকে ফোন দিবে এবং দিপুও রোগী সম্পর্কে যতটুকু জানে সব বলবে, কিছু গোপন করবে না!
“হাই দিপু! কেমন আছো তুমি?” ফোনের অপরপ্রান্তে নবনীতার মিষ্টি রিনরিনে কন্ঠস্বর শুনে দিপুর খুব ভালোই লাগলো। এক ঘন্টা যাবত রোগী দেখার ক্লান্তি নিমিষেই যেনো উবে গেলো। “ভালো, তুমি কি কেবিনে আছ? আমি আসছি এখনই,” দিপুর যেনো এখন একমাত্র কাজ ২০৬ নম্বর কেবিনের রোগী দেখা!
- না, আমি কেবিনে নেই। গত দুইদিন ধরে হাসপাতালে আছি বলে বিকেলের দিকে দাদা জোর করে বাসায় পাঠিয়ে দিলেন। বললেন, এখানে নার্স, ডাক্তার – সবাই আছেন, কোনো সমস্যা হবে না। আমি তাই চলে এলাম, আগামীকাল সকালে আবার আসবো। আমার মনে আছে, তুমি গতকাল বলেছিলে, আজ তুমি রাতে থাকবে। দাদাকে দেখেছ?
- তোমার দাদা ঘুমুচ্ছেন। তাই আমি আর ডিস্টার্ব করিনি। তবে এখন যেহেতু সব রোগী দেখা শেষ, এবার ঘুমুলেও আর রেহাই নেই! ঘুম ভাঙ্গিয়ে দেখবো! সমস্যা নেই, তুমি চিন্তা করো না। আগামীকালও আমার রাতের ডিউটি- দেখা হবে নিশ্চয়ই।
দিপু আজ নবনীতাকে দেখতে না পেয়ে অনেকখানি হতাশ হলো। ২০৬ নম্বর কেবিনের দিকে এগোতে গিয়ে হেসে উঠলো দিপু। ডাক্তারের সাথে রোগীর নাতনীর প্রেম!
বৃদ্ধ মানুষটি এখনো ঘুমিয়ে আছেন! দিপু কাছে গিয়ে মৃদুভাবে ডাকলো। মানুষটি এখনো ঘুমিয়ে আছেন! শরীরের উপর দেওয়া চাদরটি সরিয়ে হাত দিতেই চমকে উঠলো দিপু। শরীর ঠান্ডা হয়ে আছে! রাইগর মর্টিস শুরু হয়ে গেছে! হতভম্বের মতো কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলো দিপু। সম্বিত ফিরে পেতেই কেবিনের বাইরে এসে দ্রুত ইভিনিং ডাক্তারকে ফোন করলো, “ভাইয়া, আপনি ২০৬ নম্বর কেবিনের রোগীকে শেষ কখন দেখেছেন?” “বিকাল পাঁচটার দিকে উনার নাতনী যখন চলে যায়, তখন শেষবার দেখেছিলাম। ছয়টার সময় ফলোআপে গিয়ে দেখি ঘুমুচ্ছেন, তাই উনাকে আর জাগাই নি। এরপর আর সময় পাইনি। কেনো, কি হয়েছে?” “কিছু না!” অস্ফুট স্বরে বলে ফোন রেখে দিলো দিপু। কেবিনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নার্সকে ডেকে জিজ্ঞেস করলো নাইট ডিউটিতে আসার পর ২০৬ এর রোগীকে দেখা হয়েছে কি না।
“আমি তিনটি কেবিনের দায়িত্বে। রাত আটটায় এসে উনার কেবিনে গিয়ে দেখি ঘুমুচ্ছেন। উনি রাতে কোনো ঔষুধও পান না। তাই আর ডিস্টার্ব করিনি, ভেবেছিলাম আপনি যখন দেখবেন- তখন আমিও আমার ফলোআপ দিবো”, আমতা আমতা করে জবাব দিলো নার্স। “তারমানে আপনি ডিউটিতে আসার পর এই দুই ঘন্টায় উনাকে একবারো দেখেন নি!”, চিৎকার করে উঠলো দিপু।
“আপনিও দেখেননি!” নার্সের কথায় যেনো পরক্ষণেই চুপসে গেলো দিপু। ধাতস্থ হয়ে ইভিনিং নার্সকে ফোন করে জানতে চাইলো রোগীর সাথে কখন শেষ কথা হয়েছে। ইভিনিং নার্সও ইভিনিং ডাক্তারের মতো একই জবাব দিলেন। বিকাল পাঁচটার সময় নবনীতা হাসপাতাল ছেড়ে যাওয়ার সময়ই বৃদ্ধ মানুষটিকে দেখেছিলেন নার্স। এরপর আরো দুইবার কেবিনে এসেছিলেন, ঘুমাচ্ছে দেখে একবারো জাগান নি! দিপু হিসেব করে দেখলো প্রায় চার- পাঁচ ঘন্টার কোনো ফলোআপ নেই। এতো বড় এক হাসপাতালের এই অবস্থা দেখে হতভম্ব হয়ে গেলো দিপু। আবার দৌড়ে কেবিনে ঢুকে বৃদ্ধ মানুষটিকে দেখলো। শান্ত সৌম্য চেহারা নিয়ে শুয়ে আছেন তিনি, ঘুমের মধ্যেই মারা গেছেন। রাইগর মর্টিস দেখে মনে হচ্ছে চার- পাঁচ ঘন্টা হবেই, নার্স এবং ইভিনিং ডাক্তারের সাথে কথা বলেও মনে হচ্ছে তাই।
দিপু প্রফেসরকে ফোন দিলো।
- স্যার, ২০৬ নম্বর কেবিনের রোগী মারা গেছেন! দেখে মনে হচ্ছে চার পাঁচ ঘন্টা আগেই মারা গেছেন!
- কি বলছ তুমি? উনি মারা যেতেই পারেন, এওরটিক এনিউরিজম সম্ভবত রাপচার হয়ে ব্লিডিং হয়েছিলো। কিন্তু এতো দেরীতে ব্যাপারটা ধরা পরলো কেনো?
- স্যার, পাঁচটার পর থেকে উনি ঘুমুচ্ছিলেন বলে কেউ আর উনাকে ডিস্টার্ব করেন নি। আমি এখন ফলোআপ দিতে গিয়ে এই অবস্থা দেখি।
- এখনতো রাত দশটার উপরে বাজে। তোমার ডিউটিতো শুরু রাত আটটায়। ফলোআপ দিতে এতো দেরী হলো কেনো?
- আমিও উনি ঘুমুচ্ছিলেন দেখে প্রথমবার দিইনি।
- ঠিক আছে। এখন কিছুই করার নেই। রোগীর এটেন্ডেন্টও টের পায় নি?
- স্যার, পাঁচটা থেকে রোগীর এটেন্ডেন্ট হাসপাতালে নেই, আজ বাসায় চলে গিয়েছেন। এখনও রোগীর সাথে কেউ নেই।
- তাই! তুমি এক কাজ করো- দ্রুত আইসিইউ এর ডাক্তারের সাথে কথা বলে রোগীকে আইসিইউতে ট্রান্সফার করো, রোগীর ফাইলে বিকাল পাঁচটার পর আরো দুইটি ফলোআপ দিয়ে দাও আর রোগীর এটেন্ডেন্টকে ফোন করে জানিয়ে দাও রোগীর অবস্থা খুব খারাপ, আমরা আইসিইউতে ট্রান্সফার করছি। কোনো অবস্থাতেই যেনো সে জানতে না পারে, রোগী পাঁচ ঘন্টা আগেই মারা গেছে।
- স্যার, এ আপনি কি বলছেন? মৃত ব্যক্তিকে কিভাবে আইসিইউতে ট্রান্সফার করবো? আর তাছাড়া আইসিইউ-এর ডাক্তারই বা কেনো মৃত রোগী গ্রহন করবে? আর রোগীর ফাইলে অতিরিক্ত ফলোআপ কিভাবে লিখব?
- মাত্র পাশ করেছ? রোগীর ফাইলে অতিরিক্ত ফলোআপ লিখবে, কারণ তা না হলে তোমারই সমস্যা হবে। ডিউটিতে আসার পর দুই ঘন্টা পার হয়ে গেছে- এখনো ফলোআপ দাওনি কেনো- এ প্রশ্নের কি জবাব দিবে? আর হাসপাতালের নিয়ম জানো না? কোনো রোগীর ডেথ ডিক্লেয়ার আইসিইউ ছাড়া অন্য কোথাও হবে না! যেভাবে বলছি সেভাবে কাজ কর।
রুক্ষ স্বরে কথাটা বলেই প্রফেসর ফোনের লাইন কেটে দিলেন। দিপু ঘোরের মধ্যে আইসিইউ-এর মেডিকেল অফিসারকে ফোন করে সব কথা জানিয়ে ডেথ বডি নিয়ে আইসিইউ-এর উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলো। যাওয়ার আগে নার্সকে বলে গেলো রোগীর এটেনডেন্টকে ফোন করে যেনো জানিয়ে দেয় রোগীর অবস্থা হঠাৎ করেই খুব খারাপ হয়ে গেছে, তাই আইসিইউ-তে ট্রান্সফার করা হয়েছে। দিপুর নিজের সাহস হলো না নবনীতার সাথে কথা বলার!
আইসিইউতে নিয়ে যাওয়ার পর একপাশে সরে গিয়ে দিপু আইসিইউ-এর ডাক্তারদের কাজ দেখতে লাগলো। মৃত ব্যক্তিকে ভেন্টিলেটরের সাথে সংযোগ করে দেওয়া হলো। দেওয়া হলো সিভি লাইন। তারপর চাদর দিয়ে ঢেকে রাখা হলো পুরো শরীর, শুধুমাত্র গ্রীবা থেকে মাথা পর্যন্ত উন্মুক্ত। দিপু এগুলো দেখতে দেখতে যেনো অসুস্থ হয়ে পড়ছিলো। মনে পড়ে গেলো মেডিকেলে ভর্তির প্রথম দিনের শপথ নেওয়ার কথা। মনে পড়ে গেলো লেকচার ক্লাসে প্রফেসরদের বাহারী নীতি কথা। মনে পড়ে গেলো সেইসব রোগীদের কথা যারা চিকিৎসা নিতে এসে ইশ্বরের পর ডাক্তারদেরকেই দ্বিতীয় ইশ্বর মনে করে! এমন সময় ফোনের রিং টোনের শব্দে বাস্তবে ফিরে এলো দিপু। স্ক্রীনের দিকে তাকিয়ে দেখে নবনীতা নামটি উঠানামা করছে। ফোনের সংযোগ কেটে মোবাইল সুইচড অফ করে দিয়ে এক দীর্ঘশ্বাস ছাড়ল দিপু! নার্সেস স্টেশনে বসে নবনীতার দাদার ফাইলে দুটি অতিরিক্ত ফলোআপ লিখতে বসলো।
নার্সেস স্টেশনের একটি চেয়ারে চুপচাপ বসে আছে দিপু। পাশে আইসিইউ-এর ডাক্তাররা গল্প করছে। শুনছে, একজন ডাক্তার অন্য একজনকে বলছে, রোগীর এটেন্ডেন্ট আসলে প্রথমে বলতে হবে- অবস্থা খুব ক্রিটিক্যাল। এখন দেখা যাবে না। রোগীকে কৃত্রিম শ্বাস প্রশ্বাস যন্ত্রের সাথে সংযুক্ত করা হয়েছে। রোগীকে বাঁচানোর জন্য খুব চেষ্টা করা হচ্ছে, কিন্তু আশা না করাই ভালো! এরপর সিদ্ধান্ত হলো, প্রথমবার কথা বলার আধা ঘন্টা পরেই ডেথ ডিক্লেয়ার দেওয়া হবে। কথা বলবে না বলবে না করেও দিপু জানতে চাইলো, “এইসব এক্টিভিটির কি বিল ধরা হবে?” “কেনো নয়? রোগীর জন্য অক্সিজেন খরচ হচ্ছে না? মেশিন ব্যবহার করা হচ্ছে না? আইসিইউ-এর একটি বেড ব্যবহার করা হচ্ছে না?” অবাক হয়ে আইসিইউ-এর সবচেয়ে বয়স্ক ডাক্তারটি পাল্টা প্রশ্ন করলেন দিপুকে! দিপু কোনো উত্তর দিতে না পেরে নিচের দিকে তাকিয়ে অনবরত হাতের নখ খুঁটতে লাগলো।
একসময় খবর এলো রোগীর এটেন্ডেন্ট এসেছে। আইসিইউ থেকে একজন ডাক্তার বের হয়ে কিছু সময় পর আবার ভিতরে এলেন। হাসতে হাসতে অন্য ডাক্তারদের বলতে লাগলেন, “দেশী মেয়ে, আমেরিকা প্রবাসী। দেখতেও সুন্দর! বুঝিয়ে এসেছি। আধা ঘন্টা পরে গিয়ে আবার দেখা করে আসবো!”
দিপুর আর কিছু ভালো লাগছিলো না। দম বন্ধ অবস্থায় আইসিইউ থেকে বের হয়ে এলো। বের হয়েই নবনীতার মুখোমুখি!
“আমি তোমাকে ফোন দিতে দিতে অস্থির হয়ে গেছি! তোমার মোবাইল সুইচড অফ কেনো? আমার দাদা কেমন আছেন?” উদ্বিগ্ন কন্ঠে জানতে চাইলো নবনীতা। নবনীতার দিকে তাকিয়ে এক কাষ্ঠ হাসি দিলো দিপু। অতি কষ্টে বলতে পারলো, “তোমাকে একটু আগে আইসিইউ-এর ডাক্তার সবকিছু বলে গেছেন। আমারো সেই একই কথা। তুমি বরঞ্চ ইশ্বরের কাছে প্রার্থনা করো তোমার দাদাকে যেনো তিনি আর বেশীক্ষন কষ্টে না রাখেন!” কথাটা শেষ করেই দিপু আর একমুহূর্ত দাঁড়ালো না। দ্রুত সেখানে থেকে চলে আসার চেষ্টা করতে লাগলো, চোখ কেনো যেনো আদ্র হয়ে উঠলো। একটিবার তখন পিছনে ফিরে তাকালে দেখতে পেতো, ওর দিকে তাকিয়ে থাকা নবনীতার হতভম্ব চাহনি!
টীকাঃ
রাইগর মর্টিস- মৃত্যুর পর শরীর শক্ত হয়ে আসা। সাধারণত মৃত্যুর চার থেকে পাঁচ ঘন্টার পর থেকেই রাইগর মর্টিস শুরু হয়ে যায়।
ভেন্টিলেটর মেশিন- কৃত্রিম শ্বাস প্রশ্বাস যন্ত্র
সিভি লাইন- এক ধরনের ক্যাথেটার যা গ্রীবার বড় শিরার সাথে বা বুকের সাথে বা কুঁচকির সাথে সংযুক্ত করা হয়, যার সাহায্যে ঔষুধ বা খাদ্য বা পানীয় রোগীর শরীরে দেওয়া হয়।
দিপুকে নিয়ে আগের লেখাগুলোঃ
ক্যাডাভার
জীবন যেখানে যেমন
দিপুর গল্প
গ্রীক মিথলজি সিরিজঃ
গ্রীক মিথলজি পর্ব ১ থেকে ২৯
লেখকঃ
এস এম নিয়াজ মাওলা
মন্তব্য
আমি নিজে ডাক্তার নই, কিন্তু চিকিৎসা সংক্রান্ত গল্পগুলো (বা অভিজ্ঞতা) পড়তে আমার ভালো লাগে।
মডারেটরদের কাছে বায়না: এস এম নিয়াজ মাওলা ভাইয়ের মনে হয় সচলায়তনে ৩৩ টা লেখা প্রকাশ হয়ে গিয়েছে।
শুধু সংখ্যায় নয়, ওঁর গ্রিক মিথলজি সিরিজটা বেশ সুলিখিত এবং পরিশ্রম করে লেখা বলেই মনে হয়েছে।
ওঁকে হাচল করে নেয়া যায় না? মডারেটরদের উদ্দেশ্যে সনির্বন্ধ অনুরোধ থাকল।
শুভেচ্ছা
"ওঁকে হাচল করে নেয়া যায় না? মডারেটরদের উদ্দেশ্যে সনির্বন্ধ অনুরোধ থাকল।" - আমারও অনুরোধ রইল।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
আপনাদের এই ভালোবাসা আমাকে খুব আপ্লুত করে ফেলেছে। ভালো থাকুন খুব, সব সময়ের জন্য।
-------------------------------------------
এমনভাবে হারিয়ে যাওয়া সহজ নাকি
ভিড়ের মধ্যে ভিখারী হয়ে মিশে যাওয়া?
এমনভাবে ঘুরতে ঘুরতে স্বর্গ থেকে ধুলোর মর্ত্যে
মানুষ সেজে এক জীবন মানুষ নামে বেঁচে থাকা?
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মেঘলা মানুষ,আমি আজকেই হাচল হয়েছি/ সচলায়তনকে অনেক অনেক ধন্যবাদ/
-------------------------------------------
এমনভাবে হারিয়ে যাওয়া সহজ নাকি
ভিড়ের মধ্যে ভিখারী হয়ে মিশে যাওয়া?
এমনভাবে ঘুরতে ঘুরতে স্বর্গ থেকে ধুলোর মর্ত্যে
মানুষ সেজে এক জীবন মানুষ নামে বেঁচে থাকা?
দেখছেন ফুউউউ দিলাম কি দিলাম না আর আপ্নে হাচল! কত্ত পাউয়ার ফুল দেখছন্নি
একবার একজনের জন্য অনুরোধ করে ওয়ার্নিং খাওয়ার পর এখন ফুউউ তেই আছি
অনেক ধন্যবাদ আপু- আসলেই আপনার ফুউউ-এর অনেক পাওয়ার!
ভালো থাকুন আপু, অবিরত।
-------------------------------------------
এমনভাবে হারিয়ে যাওয়া সহজ নাকি
ভিড়ের মধ্যে ভিখারী হয়ে মিশে যাওয়া?
এমনভাবে ঘুরতে ঘুরতে স্বর্গ থেকে ধুলোর মর্ত্যে
মানুষ সেজে এক জীবন মানুষ নামে বেঁচে থাকা?
বাহ ! আমিও খুব খুশি হলাম। মন্তব্যে আমার ছবিখানা জুড়ে দিতে পারছি না, না হলে দেখতেন খুশিতে হেসে ফেলেছি।
শুভেচ্ছা
আমি কিন্তু এমনিতেও আপনার খুশিমুখ দেখতে পাচ্ছি, মেঘলা মানুষ
ভালো থাকুন, সবসময়ের জন্য।
-------------------------------------------
এমনভাবে হারিয়ে যাওয়া সহজ নাকি
ভিড়ের মধ্যে ভিখারী হয়ে মিশে যাওয়া?
এমনভাবে ঘুরতে ঘুরতে স্বর্গ থেকে ধুলোর মর্ত্যে
মানুষ সেজে এক জীবন মানুষ নামে বেঁচে থাকা?
ণাম বদলের জন্য মডারেটরদের ইমেইল করুন।
আপনার সাক্ষরের ওপরের দিকটায় ------ দিয়ে নিন, তা নাহলে কোনটা লেখা আর কোনটা সাক্ষর বুঝতে পারছি না।
যেমন,
থেকে
শুভেচ্ছা রইল আবারও
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আপাতত দুটো সমস্যারই সমাধান হয়েছে। ভালো থাকুন অবিরত।
-------------------------------------------
এমনভাবে হারিয়ে যাওয়া সহজ নাকি
ভিড়ের মধ্যে ভিখারী হয়ে মিশে যাওয়া?
এমনভাবে ঘুরতে ঘুরতে স্বর্গ থেকে ধুলোর মর্ত্যে
মানুষ সেজে এক জীবন মানুষ নামে বেঁচে থাকা?
ইশ্বর> ঈশ্বর
হিমু ভায়া,ভুলটা ধরিয়ে দেবার জন্য অনেক ধন্যবাদ, কারেকশন করা যাবে কি?
-------------------------------------------
এমনভাবে হারিয়ে যাওয়া সহজ নাকি
ভিড়ের মধ্যে ভিখারী হয়ে মিশে যাওয়া?
এমনভাবে ঘুরতে ঘুরতে স্বর্গ থেকে ধুলোর মর্ত্যে
মানুষ সেজে এক জীবন মানুষ নামে বেঁচে থাকা?
আরেকটা ব্যাপার হিমু ভাইয়া, আমি ঠিক জানি না কোথায় ব্যাপারটা তুল্বো, তাই এখানেই লিখছি। আমার একাউন্টটিতে ডাক্তারের রোজনামচা নামটি এসেছে, যেটা দিয়ে আমি নিবন্ধন করেছিলাম। কোনোভাবে কি এটা পরিবর্তন করে 'এস এম নিয়াজ মাওলা'- এটাতে পরিবর্তন করা যায়?
-------------------------------------------
এমনভাবে হারিয়ে যাওয়া সহজ নাকি
ভিড়ের মধ্যে ভিখারী হয়ে মিশে যাওয়া?
এমনভাবে ঘুরতে ঘুরতে স্বর্গ থেকে ধুলোর মর্ত্যে
মানুষ সেজে এক জীবন মানুষ নামে বেঁচে থাকা?
আর কিছু বলার নেই
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
ভাইয়া, অনেক অনেক অনেক ভালো থাকুন।
-------------------------------------------
এমনভাবে হারিয়ে যাওয়া সহজ নাকি
ভিড়ের মধ্যে ভিখারী হয়ে মিশে যাওয়া?
এমনভাবে ঘুরতে ঘুরতে স্বর্গ থেকে ধুলোর মর্ত্যে
মানুষ সেজে এক জীবন মানুষ নামে বেঁচে থাকা?
লিখুন নিয়াজ।
লেখা ভালো লেগেছে
যখন ছোট ছিলাম তখন আমিও ডাক্তারদের ঈশ্বর জাতীয় কিছু ভাবতাম। এখন সে ভাবনাটা নেই।
তারাও আমাদের মতই মানুষ; শুধু শরীরবিদ্যাটা রপ্ত আছে তাদের আমার নেই, এই যা পার্থক্য।
ফুউউ দিয়ে দিলাম ভাইয়া। শুভকামনা।
শিরোনামের বানানটি শুদ্ধ করতে পারছি না! বড্ড দৃষ্টিকটু লাগছে!
আমিও আপনার মতো ছোটবেলায় ডাক্তারদের ঈশ্বর ভাবতাম- আর এখন নিজে ডাক্তার হয়ে বুঝি- আমরা কি!
ভালো থাকুন খুব।
-------------------------------------------
এমনভাবে হারিয়ে যাওয়া সহজ নাকি
ভিড়ের মধ্যে ভিখারী হয়ে মিশে যাওয়া?
এমনভাবে ঘুরতে ঘুরতে স্বর্গ থেকে ধুলোর মর্ত্যে
মানুষ সেজে এক জীবন মানুষ নামে বেঁচে থাকা?
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, মরুদ্যান।
-------------------------------------------
এমনভাবে হারিয়ে যাওয়া সহজ নাকি
ভিড়ের মধ্যে ভিখারী হয়ে মিশে যাওয়া?
এমনভাবে ঘুরতে ঘুরতে স্বর্গ থেকে ধুলোর মর্ত্যে
মানুষ সেজে এক জীবন মানুষ নামে বেঁচে থাকা?
হাচলাভিনন্দন, ডাক্তার! (আজকের থেকে এই নামেই তোমায় ডাকব, আর আপনিও বাদ!)
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
উফ ভাইয়া! আপনি যে আমাকে ডাক্তার ডাকবেন আর আপনি বাদ দিচ্ছেন- অসাধারণ লাগছে আমার কাছে। হাচলত্বের দিনে আপনার এই উপহার আমি মাথা পেতে নিলাম।
ভালো থাকুন ভাইয়া, অবিরত।
-------------------------------------------
এমনভাবে হারিয়ে যাওয়া সহজ নাকি
ভিড়ের মধ্যে ভিখারী হয়ে মিশে যাওয়া?
এমনভাবে ঘুরতে ঘুরতে স্বর্গ থেকে ধুলোর মর্ত্যে
মানুষ সেজে এক জীবন মানুষ নামে বেঁচে থাকা?
হাচলাভিনন্দন।
লেখা ভালো লেগেছে।
____________________________
অয়ন ভাইয়া! আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন, অবিরাম।
-------------------------------------------
এমনভাবে হারিয়ে যাওয়া সহজ নাকি
ভিড়ের মধ্যে ভিখারী হয়ে মিশে যাওয়া?
এমনভাবে ঘুরতে ঘুরতে স্বর্গ থেকে ধুলোর মর্ত্যে
মানুষ সেজে এক জীবন মানুষ নামে বেঁচে থাকা?
হাচলাভিনন্দন ডাক্তার সাব...
ব্লগবাড়ি । ফেসবুক
আপনাকেও অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ, সুবোধ অবোধ ভাইয়া!
-------------------------------------------
এমনভাবে হারিয়ে যাওয়া সহজ নাকি
ভিড়ের মধ্যে ভিখারী হয়ে মিশে যাওয়া?
এমনভাবে ঘুরতে ঘুরতে স্বর্গ থেকে ধুলোর মর্ত্যে
মানুষ সেজে এক জীবন মানুষ নামে বেঁচে থাকা?
হাচলাভিনন্দন।
লেখা খুব ভালো লেগেছে।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------
“We sit in the mud, my friend, and reach for the stars.”
অলীক জানালা _________
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকেও, তাহসিন রেজা ভাইয়া!
-------------------------------------------
এমনভাবে হারিয়ে যাওয়া সহজ নাকি
ভিড়ের মধ্যে ভিখারী হয়ে মিশে যাওয়া?
এমনভাবে ঘুরতে ঘুরতে স্বর্গ থেকে ধুলোর মর্ত্যে
মানুষ সেজে এক জীবন মানুষ নামে বেঁচে থাকা?
দুর্দান্ত! নিজ প্রফেশনের কালো দিকটা এভাবে কেউ তুলে আনতে চায়না। আপনি চেয়েছেন। অভিনন্দন আপনাকে।
-দেব প্রসাদ দেবু
আমি আসলে একজন মানুষ হিসেবে যা দেখেছি, তাই লেখনীতে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।
ভালো থাকুন আপনি, দেব প্রসাদ দেবু! (আপনিও কিন্তু চমৎকার লিখেন।)
-------------------------------------------
এমনভাবে হারিয়ে যাওয়া সহজ নাকি
ভিড়ের মধ্যে ভিখারী হয়ে মিশে যাওয়া?
এমনভাবে ঘুরতে ঘুরতে স্বর্গ থেকে ধুলোর মর্ত্যে
মানুষ সেজে এক জীবন মানুষ নামে বেঁচে থাকা?
হাচলাভিনন্দন।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
অনেক অনেক অ-নে-ক ধন্যবাদ আপনাকেও, তিথীডোর আপু।
ভালো থাকুন, সবসময়ের জন্য।
-------------------------------------------
এমনভাবে হারিয়ে যাওয়া সহজ নাকি
ভিড়ের মধ্যে ভিখারী হয়ে মিশে যাওয়া?
এমনভাবে ঘুরতে ঘুরতে স্বর্গ থেকে ধুলোর মর্ত্যে
মানুষ সেজে এক জীবন মানুষ নামে বেঁচে থাকা?
নিয়াজ ভাই আপনি নিজেও কিন্তু ডিউটি তে সময় মত আসেন নি, রোগী কে সময় মত ফলআপ ও করেন নি।
আপনি তখন কোন প্রতিবাদ না করে, এর পর ও কিন্তু অনেক দিন সেই হাসপাতাল ছিলেন তাই না??
হা হা হা
গল্পে দেখতে পাচ্ছি- দিপু ডিউটিতে ১০ মিনিট দেরী করে এসেছে, ২০৬ নং কেবিনের রোগীকে সব রোগী দেখার পর সবশেষে ফলোআপ দিতে গিয়েছে- সময়মত ফলোআপ দিপু দিতে পারে নি বলে আমার বিশ্বাস হয় না!
গল্পের শেষে দেখলাম দিপু কোনো প্রতিবাদ করেনি- একজন সদ্য পাশ করা ডাক্তার হিসেবে এটা আমার কাছে খুব একটা অস্বাভাবিক মনে হয় না! আর সেই হাসপাতালে অনেকদিন ছিলো কি না সেটা তো গল্পে দেখে নি!
শেষ কথা, গল্পটি দিপুর। আপনি আমার সাথে মিলিয়ে ফেলছেন কেনো? আমি তো দর্শকও হতে পারি, তাই না? বা শোনা গল্প?
ভালো থাকুন, অবিরত।
-------------------------------------------
এমনভাবে হারিয়ে যাওয়া সহজ নাকি
ভিড়ের মধ্যে ভিখারী হয়ে মিশে যাওয়া?
এমনভাবে ঘুরতে ঘুরতে স্বর্গ থেকে ধুলোর মর্ত্যে
মানুষ সেজে এক জীবন মানুষ নামে বেঁচে থাকা?
@rubai : চরম উদাস বলেছেন, "লেখার সাথে লেখক মেশাবেন না"
-------------------------------------------
এমনভাবে হারিয়ে যাওয়া সহজ নাকি
ভিড়ের মধ্যে ভিখারী হয়ে মিশে যাওয়া?
এমনভাবে ঘুরতে ঘুরতে স্বর্গ থেকে ধুলোর মর্ত্যে
মানুষ সেজে এক জীবন মানুষ নামে বেঁচে থাকা?
অসাধারণ। সত্য ভাষণ!!
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। কিন্তু আপনার নাম জানা হলো না!
-------------------------------------------
এমনভাবে হারিয়ে যাওয়া সহজ নাকি
ভিড়ের মধ্যে ভিখারী হয়ে মিশে যাওয়া?
এমনভাবে ঘুরতে ঘুরতে স্বর্গ থেকে ধুলোর মর্ত্যে
মানুষ সেজে এক জীবন মানুষ নামে বেঁচে থাকা?
অভিনন্দন ভাই। শুভ হোক এই পথচলা
পার্থ, তোমার কমেন্ট পেয়ে ভালো লাগলো খুব।
ভালো থেকো অবিরত।
-------------------------------------------
এমনভাবে হারিয়ে যাওয়া সহজ নাকি
ভিড়ের মধ্যে ভিখারী হয়ে মিশে যাওয়া?
এমনভাবে ঘুরতে ঘুরতে স্বর্গ থেকে ধুলোর মর্ত্যে
মানুষ সেজে এক জীবন মানুষ নামে বেঁচে থাকা?
হাচলাভিনন্দন, হে পৌরাণিক ডাকতর
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
নতুন মন্তব্য করুন