১।
এই নিজে সম্পূর্ণ অচেনা। কে এ? কস্মিন কালেও এত আদুরে মনে হয় নি চুলগুলো। অভীপ্সার জোর-জার করে লাগিয়ে দেওয়া মেরুন লিপষ্টিক। মুখের ওপর অভীপ্সা কৃত বিভিন্ন কসমেটিক-কলা। মা-র আলমারি থেকে প্রায় হাইজ্যাক করে আনা আসাম সিল্ক আর জর্জেটের অনভ্যস্ত ব্লাউজে বিভাজিকার লাজুক আভাস। আর ছিল শেষ বিকেলের রোদের যোগ্য সঙ্গত। অভীপ্সাদের ছাদে এইচ ডি স্ক্রীন সেভারের মত রোদ মেখে দাড়িয়ে ছিল ও। বিভিন্ন ভঙ্গীতে। সদ্য কেনে ডি-এস এল আরের পেছনে দাঁড়িয়ে থাকা রোগা পটকা ছেলেটা খালি বলছিল, ‘চুলটা সরানা, হাতটা কোমরে রাখ... একটু বেঁকে দাঁড়া না, আর একটু... হ্যা।’ একটার পর একটা মন ভালো করা ‘খটাশ’ শব্দ বেরিয়ে এলো ক্যামেরা থেকে। ক্যামেরার দিকে ধেয়ে গিয়েও লাভ হল না। এক গোঁ ছেলেটার। আগে ফটোশুট শেষ হবে, তারপর। শেষ বললেই কি শেষ হয়? বসে, দাঁড়িয়ে, কুঁজো হয়ে, গালে হাত দিয়ে, মন উদাস করা সাইড ভিউ, আচল ছড়িয়ে পাকা গিন্নি স্টাইলে মাটিতে রেখে, গোধুলির চুইয়ে পরা লো-লাইট শোভিত হয়ে একটার পর একটা খটাশ। ক্লান্তিহীন। আর আবহ সঙ্গীত হিসেবে অভীপ্সার অন্তহীন ‘ওয়াও’, ‘বিউটি’, ‘দুশো লাইক, বুঝলি?’ ধোনী-ক্রিস গেইলদের মত ক্যামেরা হাতে ছেলেটাকে ছক্কা হাঁকাতে প্রলুব্ধ করল।
ছক্কা? না। পিংপং বলের ঝোড়ো ইনিংস নয়। টেষ্ট ম্যাচ। তাও একখানা টেষ্ট নয়। পুরো সিরিজ। তা-নাহলে ফেসবুকের প্রোফাইল ছবি পালটাতেই হপ্তা-খানেক পরেও লাইক-কমেন্টের বন্যা গ্যালারি থেকে উড়ে আসা থামতে না চাওয়া হাততালি- হর্ষধ্বনির মত। কিছুতেই মাঠ থেকে বেরোবে না। আর ফলাফল কিংবা আফটার এফেক্ট?
বি এস সি সেকেন্ড ইয়ার। উড়ে বেড়াবার বয়স হলেও কেউ কেউ শেকল চায়। শেকল ছাড়া হাশফাস করে, দমবন্ধ লাগে ভীষন। কিকরে যেন কোন ছোটবেলায় গায়ের সাথে লেপ্টে গেছিল ভালো মেয়ের চাদর। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আরো আঁকড়ে ধরেছে চাদরটা। ‘ও চিত্তদার মেয়ে? এই বাজারে, বুঝলে, হীরে হীরে।দেখতে? দেবী দেবী। আর কেউ হলে? আর ও? মাটির দিকে চেয়ে হাটে’। এটুকুতেই খুশী বাবা-মা। আর বাবা-মা খুশী মানেই নিজের খুশী। এই প্রবল সংযম বোধ হয় মায়ের থেকেই পাওয়া। নিজের ইচ্ছে গুলোকে কী অবলীলায় গলা টিপে মেরেছে ছোটবেলা থেকে, হিসেব করলে এক্সেল শীটের দফারফা। এভাবেও ভালো থাকা যায়। খুশী থাকা যায়। অথবা খুশী থাকার ভান করা যায়। আরও মজার ব্যাপার, ভানটা কেউ ধরতে পারে না। প্রবল ভালো মনুষী বলে ভুল করে লোকে। সেসব ভেবেই মনে মনে হাসে ও। নিজের সাথে প্রতারনার বিনিময়ে গোটা বাড়ীতে সুখী সুখী খুশী খুশী রুম ফ্রেশনার ছড়িয়ে দিতে মন্দ লাগে না।
২।
- কিরে আয়। কতক্ষণে ভাত বেড়েছি। আয় আয়।
- এইত্তো, আসছি। আর একটু।
- সাড়ে দশটা বাজে। তোর বাবাও কিন্তু খায় নি। বসে আছে।
- হম। আসছি। এইত্তো আর একটু।
- খালি খুটুর খুটুর। কি আছে রে মোবাইলে। ক’দিন ধরেই তো দেখছি সবসময় মোবাইল খুটছিস। কি যে করিস ছাতামাথা? ভাল্লাগে না। আয় তো, আয়।
- আসছি মা।
বাইশ খানা ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট। সামাজিক যোগাযোগের অন্তরর্জাল ওয়েবসাইটটা গলায় পেঁচিয়ে আছে সাপের মত। যেন নিশির ডাকের। এই ডাক উপেক্ষা করার সাহস কিংবা সংযম কোনোটাই নেই ওর। থাকার কথাও নয়। ‘মাটির দিকে তাকিয়ে হাঁটা’ মেয়েটি যদি হঠাত করে ফুল পাখির ছবি ছেড়ে অভীপ্সাদের বাড়ীর ছাদে তোলা সেই ছবি গুলো আপলোড করে পটাপট, বন্ধু তো হতেই চাইবে সবাই। আর এই দায়হীন নির্ভেজাল বন্ধুত্যেরো একটা নিশির ডাক আছে। সে ডাক মায়ের খেতে দাকার ডাককেও ছাপিয়ে যায় কোন কোন সময়। খেতে খেতে, আঙুল দিয়ে মাংসের ঝোল মাখতে মাখতে মন পরে থাকে ছবির কমেন্ট গুলোতে। ‘লুকিং সোওওওও কিউট’, ‘দিপিকা টু’, অথবা কাছের বন্ধুদের পাঠানো দুষ্টুমি মাখানো ফটো কমেন্ট গুলো। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকা লাইকের সাথে ফাউ হিসেবে পাওয়া প্রশস্তি-বার্তা একটা রিনরিনে আবেশ তৈরী করে। ভেতরটা কেমন চিনচিন করে, করতেই থাকে। বার্তা প্রেরকের ছবি-পরিচয় জেনেও তাচ্ছিল্য মাখানো অবজ্ঞা ছুড়ে দেয়। বা ছুড়ে দেওয়ার ভান করে ও।
খেলাটা শুধু চেনা-অচেনা বন্ধুদের সাথে না, নিজের সাথেও। কিশোরী বেলার বারবার আয়না দেখার অভ্যেস বদলে গেল একটু অন্যভাবে। আগে মা শোবার ঘরে নেই, টুক করে আয়নার সামনে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে নিজেকে দেখা এবং দেখতেই থাকা কিভাবে বদলে গেল কয়েকদিনেই। এখন সময় পেলে, কিংবা না পেলেও জন্মদিনে পাওয়া থ্রী-জি মোবাইলটায় আলত আঙুলের ছোয়া। ব্যাস, এক স্বর্গীয় ইউটোপিয়া। ‘আজ একটাও নতুন কমেন্ট নেই, ধুত,’ বা ‘বিপ্লব ক্রেজি। কে? ফেক মনে হচ্ছে। ঘণ্টায় ঘণ্টায় পিং করছে’ – একান্ত অবসরে নিজের সাথেই বাৎচিত। মুঠোর মধ্যে থাকা পুচকে যন্ত্রটা না থাকলে...
৩।
নিজের হাতের দিকে তাকাচ্ছে বারবার। ঘামে, উত্তেজনার-ভয়ের-শোকের ঘামে ভিজে উঠছে আঙুলের ডগা। চোখ থেকে শৈলৎক্ষেপ বৃষ্টিটাকে অনেক কষ্টে আটকে রেখেছে। ভেতরের ঘূর্ণবাত আছড়ে পরল বলে। মা পাশের ঘরে টিভিতে সিরিয়াল দেখছে। না। দেখার ভান করছে। ‘মাটির দিকে তাকিয়ে হাঁটা’ মেয়ে একটু আগে মোবাইলটা মেঝেতে আছড়ে...
মা-মেয়েতে ঝগড়া? মনকষাকষি? নির্ভেজাল বকাঝকা, যেটা না করলে মায়েদের পেটের ভাত হজম হয় না? না। সেরকম কিছু নয়। শুধু ‘কিরে আর কুড়িদিন আছে না পরীক্ষার? দেখে তো মনে হচ্ছে ড্রপ দিবি এইবার? নাকি অন্য ধান্দা? বাথরুমে গেলেও তো মনে হয় মোবাইল নিয়ে যাস’। উলটো দিক থেকে কোনো কাউন্টার অ্যাটাক নয়। শুধু একটা ঠক করে শব্দ। ব্যাস।
ওটা ওভাবেই পরে আছে। মেঝেতে। ব্যাটারিটা ছিটকে পরেছে কোথাও। সম্ভবত খাটের নিচে। খুজতে ইচ্ছে করছে না ওর। বদলে যাওয়া নিজেকে দেখে বড্ড অসহায় মনে হচ্ছে। খালি মনে হচ্ছে এটা কোন আমি? যাকে বন্ধুরা খ্যাপাতো ‘ঠান্ডা ঠান্ডা কুল কুল?’ সেই মেয়েটা যে কখনো রাগত না? পেছন বেঞ্চ থেকে রামচিমটি খেয়েও স্থিতধী? সেই মেয়েটা?
মোবাইলটা তুলতে গিয়েও তুলল না। গুটি গুটি পায়ে বসার ঘরে গেল। কোন শব্দ না করে মায়ের পাশে গিয়ে বসল। টের পেয়েও মা জোর করে চোখ দুটোকে আটকে রাখল টিভির পর্দায়। সিরিয়ালের ফাকে বিজ্ঞাপন বিরতি। একটা নবজাতক শিশু সদ্য জন্মে তার ক্ষুদে হাত দিয়ে মোবাইল ফোন নিয়ে কী সব আজগুবি কান্ড ঘটিয়ে যাচ্ছে একের পর এক। অন্যদিন হলে দুজনেই হাসত। আজ চোখে জল। দুজনেরি।
৪।
সেকেন্ড পেপারের মেটাফিজিক্যাল পোয়েট্রির নোটটায় আলতো চোখ বোলানোর চেষ্টা করছে ও। এবারে আসার সম্ভনা আছে আসার। আর কয়েকটা দিন। ফার্ষ্ট ক্লাস না হলেও কাছাকাছি যেতে না পারলে দুঃখ আছে কপালে। সবই জানে। কিন্তু বারবার হাতটা কি যেন খুজে চলেছে নিজের অজান্তে। যেটা খুজছে সেটা টেবিলের ওপর পরে আছে। কোমা ষ্টেজ। ডিসপ্লে ভোগে। ফোন আসলে ধরা যাচ্ছে ঠিকি কিন্তু স্ক্রীন পুরো কালো। সিড়ির ঘরের এককোণে পরে থাকা বাতিল ল্যান্ডফোনটার মত লাগছে। কে ফোন করল বোঝার উপায় নেই। গ্লার স্বর শুনে আন্দাজ করার চেষ্টা চালিয়েও লাভ হয়না কোন কোন সময়। ‘হ্যালো’ বলার মধ্যে একটা প্রশ্নচিহ্ন থাকে যেটা ফোনের ওপারে থাকা মানুষটিকে বিব্রত করে, বলাই বাহুল্য। কাছের লোক যে সব সময় ‘হ্যা বলরে’ শুনে শুনে অভ্যস্ত, সে যদি শোনে ‘কে?’ বিরক্ত লাগারি কথা। সেসব না হয় ভুজুং ভাজাং দিয়ে ম্যানেজ করা গেল। কিন্তু...
বার বার মনে পরে যাচ্ছে পাসওয়ার্ডটা কথা। অনেক প্রথমে ছিল গতানুগতিক সংখ্যা। জন্মের তারিখ, সন এদিক ওদিক করে বানানো। একটা টিন এজ পত্রিকায় পাসোয়ার্ডের ব্যাপারে পড়ে অনেক মাথা খাটিয়ে বের করেছিল পাসওয়ার্ডটা। ‘বি লোনলি বি অ্যালোন’। ‘মাটির দিকে তাকিয়ে হাঁটা মেয়েটা’র সঙ্গে বেশ মানানসই। সত্যি একা লাগছে। ভীষন একা। ক’দিন পরপর প্রোফাইল ছবি পালটে ‘লাইক’ ‘কমেন্ট’এর হাজার ওয়াটের মায়াবী আলোয় ভাসতে ভাসতে হঠাৎ করে নিজেকে খুব ফেকলু ফেকলু লাগছে। অনেক্ষন এইচ ডি ছবি দেখে দুম করে আদ্দিকালের ধ্যাধধ্যারে সাদাকালো সিনেমায় একটা চোখ কোচকানো অনুভূতি হয় না, অনেকটা সেরকম। একবার ভেবেছে, আরেকটা মোবাইল চাইবে। কিন্তু সে মুখ আছে? জন্মদিনে বাবার দেওয়া জেলিবিন আছড়ে ভেঙে আরেকটা? না। না। না।
হঠাৎ কিচির মিচির।
- হ্যালো?
ওপারে অভিপ্সা। বলা হয় নি ট্র্যাজিডির কেচ্ছা।
- কিরে, ব্যাপারটা কি রে? অনলাইন হচ্ছিস না ক্যান রে?
- নেট প্যাক শেষ। তার ওপর এবারে ফেল করব নির্ঘাৎ।
- করে দেখা। চ্যালেজ্ঞ। কত টাকা, বল। আচ্ছা বাদ দে, ফেল করলে আমি পড়া ছেড়ে দেব। ফালতু কথা বলছিস ক্যানো রে? সত্যি কথা বল। ডপ সবাই মারতে পারে না বুঝলি? কোন কেস টেস ঘটিয়েছিস নাকি? সত্যি কথা বল।
কেটে দিল ফোনটা। ইচ্ছে করেই।
৫।
ঠাকুরঘর থেকে শাঁখ বাজার আওয়াজ পেল ও। মা সন্ধে দিচ্ছে। বিকেল-সন্ধে কিচ্ছু বোঝার উপায় নেই। সমসময় আলো জ্বালতে হয় ঘরে। অবশ্য এই সময় ঘরে থাকেনা বললেই চলে। টিউশন থাকে। নাহলে এখানে-ওখানে-বাজার টুকিটাকি। পরীক্ষার আগে পড়তে যাওয়ার ব্যাপার নেই। তাই বেরোয় নি। বিরক্ত লাগছে। চৈত্র সংক্রান্তির দিন সকালে নাক টিপে তেতো খাওয়ার মত সকাল থেকে গাতিয়ে গেছে স্যারের দেওয়া নোট-পত্তর। আর ভাল্লাগছে না।
একটু বেরোনো দরকার। আর পারছে না। কি বলবে মাকে? মিথ্যে কথা? সত্যি কথা বলার এলেম আছে? কী বলবে? ‘একটু সাইবার ক্যাফে যাচ্ছি। মোডেম, ব্রডব্যান্ড কিছুই তো দিলে না। অবশ্য চাইনি সেভাবে। প্লিজ মা, একটু যাই...’ টিভির আওয়াজ আসল বসার ঘর থেকে। ছটার সিরিয়াল এই শুরু হল বলে। এই প্রথম একটা নির্ভেজাল মিথ্যে কথা বলার সঙ্কল্প নিল ও। অভিব্যাক্তি যতটা সম্ভব স্বাভাবিক রেখে।
এই সময়টা বড্ড ভীর রাস্তায়। বাইকে-রিক্সায়-প্রবল তাড়াহুড়ো করা মানুষে ঘোঁট পাকিয়ে গেছে রাস্তা। সাইবার ক্যাফেটার গলির মুখে একটা ফাষ্ট ফুডের দোকান। চাউমিন তৈরী করার ছ্যাঁকছ্যাঁক শব্দে জিভে জল এসে গেল। হাতের ব্যাগটা খুলে একটু হিসেব করল ও। আধ ঘণ্টা। মানে দশ টাকা। আর হাফ মিস্কড চাউ মানে...
- দাদা একটা মিক্সড চাউ। ঝাল বেশী দিয়ে।
দাড়ালো একটু। ঘড়ি দেখল। ক্যাফেতে যদি ভীর বেশী থাকে? মুশকিল হবে। দূর থেকে দেখল একটা মিছিল আসছে। তবে মিছিল যেমন হয় তীব্র স্লোগান, প্রায় হুংকার তেমনটা মনে হচ্ছে না। আরো সামনে এলো মিছিলটা। ওমা, সবাই মেয়ে। শাড়ী, সালোয়ার, জিন্স টপ, দেশী-ওয়েষ্টার্ণ শোভিত প্রমীলা বাহিনী। হাতে মোমবাতি। সবার হাতের পোষ্টারে লেখা ‘ছিঃ’। ও মনে পড়েছে। চা-বাগানের এক কলেজ ছাত্রীকে গণধর্ষণ করে খুন করেছে কেউ বা কারা। বাবা শুনছিল সকালে। কানে আসছিল।
- দিদি তোমার চাউ।
প্লেট থেকে ধোয়া বেরোচ্ছে। মিছিল দোকানটাকে অতিক্রম করল। মেয়েটাও সেকেন্ড ইয়ার ছিল। মনে পরে গেল। বাবা বলছিল খাওয়ার সময় মাকে। প্লেটের দিকে হাত বাড়িয়েও বাড়ালো না ও।
***************************
#দীপালোক
#ই-মেলঃ
***************************
মন্তব্য
কিছু জায়গা একটু অস্পষ্ট মনে হলেও আপনার লেখার হাত ভালো।
আরো লিখুন দীপালোক।
হ্যা, অস্পষ্টতা আছে কিছু যায়গায়, অস্বীকার করার উপায় নেই। আসলে আইলসা লেখক, 'রিরাইট'এর ধার-পাশ দিয়ে যাইনা কখনো।
মন্তব্যে উৎসাহিত হলাম।
গল্পের বক্তব্য বুঝিনাই। পাঞ্চলাইনটাও ধরতে পারলাম না
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
সেটা গল্পকারের ব্যার্থতা।
একটু চেষ্টা করছি, মানি আমি নিজে যতটা বুঝেছি আরকিঃ একটা কলেজে পড়া 'ভালো' 'বাধ্য' মেয়ে ফেসবুকের ঘুর্নীতে আটকা পরে। প্রোফাইল পিক, লাইক, কমেন্ট দিয়ে তৈরী নিজের নিজের একান্ত চরাভূমি। বদলে যায় একটু একটু করে। পারবে ফিরতে ডাঙায়?
- দীপালোক
শেষটায় কি ধোঁয়াশা রেখে দিলেন ইচ্ছে করেই? মেয়েটি কি গেলো মিছিলে?
ছোট ছোট ঘটনার টুকরো টুকরো ছবি এঁকে পুরো গল্প বলার ধরনটা চমৎকার। কিন্তু এ ক্ষেত্রে একটা দৃশ্য থেকে অন্য দৃশ্যে পট পরিবর্তন খুব "স্মুদলি" হওয়া দরকার। এই বিষয়টা খেয়াল রাখলে খুব ভালো হবে। আর কয়েকটা শব্দের ব্যবহার কানে লেগেছে। যেমন ফেকলু - ওখানে পুরো প্যারাটা যেভাবে লেখা তার সাথে এই শব্দটা খুব বিসদৃশ মনে হলো।
আপনার নাটকীয়তা জমানোর মুনশীয়ানায় মুগ্ধ হয়েছে। আরো লিখুন।
কয়েকটা টাইপো ছিল- সদ্য কেনে - সদ্য কেনা, হাশফাস -> হাঁসফাঁস, হাটে-> হাঁটে, মনুষী -> মানুষী
____________________________
এজন্যই সচলে লিখতে ইচ্ছে করে বারবার।
আবারো ধন্যবাদ ছোটখাটো ব্যাপারগুলোকে ছোট না ভাবার জন্য।
- দীপালোক
যা বলব ভেবেছিলাম, সেটা অনেকেই বলে দিয়েছেন।
আমি কেবল শুভেচ্ছা জানিয়ে গেলাম
সচলে স্বাগতম
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
নতুন মন্তব্য করুন