১.
ট্রেনে চড়লেই নিঝুমের ঘুম পায়; দেশে থাকতে এই অভ্যাসটা ছিল না, জার্মানিতেই এই নতুন অভ্যাসটা তৈরি হয়েছে। চার-পাঁচ জন মিলেও যদি ট্রেনে চড়ে, তবুও আশাপাশের গল্পকে পায়ে ঠেলে সে ঘুমিয়ে পড়ে; আর একা থাকলে তো কথাই নেই। তবে মাঝে মাঝে এর ব্যত্যয় ঘটে; আর তখন দড়জার দিকে তাকিয়ে যাত্রীদের উঠানামা দেখে কিংবা জানালার দিকে তাকিয়ে কখনো অতীত দেখে আর কখনোবা দেখে ভবিষ্যত।
এমনই একদিনের ঘটনা- নিঝুম দ্বিতল বগির উপরের প্রায় জনশূন্য কামরায় মাঝের দিকের একটা আসন দখল করে ঘুমের প্রস্তুতি নিল। যথারীতি ঘুম এসে হানা দিল চোখে কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই আবার বিদায় নিল। যখন শত চেষ্টা করেও আবার ঘুমে মনোনিবেশ করতে পারছিলো না, তখন শেষ চেষ্টা হিসেবে জার্মান শেখার খাতাটা খুলে বসল। ট্রেনটা তখন একটা স্টেশন এ এসে থামল; চোখ চলে গেল দরজার দিকে- তিনজন যাত্রীর বিপরীতে উঠল একজন মোটে যাত্রী। ছিপছিপে গড়নের এক স্বর্ণকেশী। হেলতে-দুলতে সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠে নিঝুমের আসন থেকে বেশ খানিকটা দূরে কিন্তু মুখোমুখি দিকেই বসলো। ব্যাগ থেকে ল্যাপটপ বের করার জন্য সামনের দিকে ঝুকতেই কানের পাশ থেকে একগোছা চুল এসে ডান চোখটা ডেকে দিল; একহাতে অবাধ্য চুলগুলোকে যথাস্থানে রাখলো আর অন্য হাতে ল্যাপটপটিকে দুই হাটুর ওপর রেখে তাতে মনোনিবেশ করলো, একবারের তরেও খেয়াল করল না যে কেউ একজন তার দিকে তাকিয়ে আছে। নিঝুমের অবশ্য তাতে কিছু যায়-আসে না, সে বাদামী ভ্রু-যুগলের দিকে তাকালো- শাখাগ্রের মতো নাকের গোড়া থেকে যেন দুটো পাতা সুন্দরভাবে বিন্যস্ত হয়ে গেছে দু’দিকে; মাঝে সরু-লম্বা টিপ পরলে কুঁড়িটাও খুঁজে পেত সে।
মাঝে মাঝেই বাম হাতের তর্জনি দিয়ে সরু লম্বা নাকের ডগা চুলকানো মনে হচ্ছে মেয়েটির একটা মুদ্রাদোষ। পরিষ্কার দু’টি নীল চোখের সাথে চোখাচোখি হতেই মেয়েটি স্মিত একটি হাসি দিয়ে আবার এলইডি পর্দায় মন দিল। ওই এক মূহুর্তের প্রতিক্রিয়ায় নিঝুম টের পেল নিজের মধ্যে একটা ভালোলাগা টের পেল। ভালো লাগার কারণ হল মেয়েটির বা’পাশের গালের হালকা টোলটি। চোখে ভেসে আসলো তার ছোট মামীর হাসিমাখা মুখটি- প্রথম দেখেছিল সে কবে ছোটবেলায়, সে তখন জানতোই না এটাকেই টোল পড়া বলে। ছোট মামা যখন জিজ্ঞেস করেছিল,
-কিরে মামীকে কেমন লাগে?
- ভালা, খুউব ভালা! কিন্তু মা’য় যে কয় সুন্দর না- হাসলে গালে গার্তা হয় আর বিলাই চোখা?
- হাহাহা! এইটারে কয় টোল পড়া, এর থেকে সুন্দর হাসি আর হয় না; ওইগুলা নীল চউখ, বড় হইলে বুঝবি নীল চউখ কত্ত সুন্দর!
মামার কথা ছোট নিঝুমের ভালো লেগেছিল বলেই হোক বা মা’র সাথে শত্রুতার কারণে তার বিরুদ্ধে যেতে হবে বলেই হোক- সৌন্দর্যের এ দু’টো সংজ্ঞা তার মাথায় গেথে গিয়েছিল। হ্যাঁ, মাকে তখন শত্রুই মনে হত- কঠোর অনুশাসন, উঠতে বসতে বকুনি, সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরতে বা পড়তে বসতে একটু দেরি হলেই চড়-থাপ্পর-বকুনি, ঝিমুনি আসলে ঘুমোতে না দিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখা কিংবা টেবিলে মাথা রেখে ঘুমিয়ে গেলে কান ধরে টেনে তোলা; এসব কারণে শত্রুই মনে হত। তবে সবচেয়ে নিষ্ঠুর মনে হত যখন তাকে দিয়ে বাজার থেকে বড় মাছ কিনিয়ে এনে, রান্না করা মাছের মাথাটা তার বড় ভাইয়ের পাতে তুলে দিত, বড় ভাই বাড়ি থেকে দূরে শহরে থাকত বলে। সেও এর শোধ নিত- ইচ্ছে করেই দেরিতে বাজারে যেত, বাজারের টাকা থেকে মিষ্টি আর পরোটা দিয়ে নাস্তা করে ছোট মাছ কিনে আনত আর মনে মনে হাসত মা’র বিরক্তি দেখে। এসব কথা ভাবলেই হাসি পায় এখন।
ইচ্ছে করে সেই শত্রুর সাথে ছেলেবেলার মতো আবার ঝগড়া করতে- এই মেয়েটিকে নিয়ে যেমন করেছিল ছোট মামীকে নিয়ে,
- তুমি সুন্দরের কচুডা বোঝ; ছোট মামা জানে, টোল পড়া হাসি সবচে সুন্দর।
- মহসীইন্যা (নিঝুমের ছোট মামা) জানে কচু, মাইয়া মানুষ দুইডা বুজুং-ভাজুং কথা কইছে আর অয় গইল্যা গেছে। নিজের মাথাডা তো গেছেই এহন দেহি তর মাথাও খাইছে।
- কইছে তোমারে মামা কিছু বুঝে না, জানে না- তুমিই সব জানো; এর লইগ্যায় নানা তারে ইনভার্সিটিতে ভর্তি করছে আর তোমারে নাইনে থাকতেই বিয়া দিয়া দিছে।.........
- বেয়াদপ পোলা, শরম নাই তর বিদেশি মাইয়া লইয়া মা’র লগে কাইজ্জা করস; ফিরিঙ্গীনি ধলা মাইয়া-বিলাই চোখা-পাঁচ হাত লম্বা নাক-বিছার লাহান ব্রু; সুন্দর হইলে না হয় কথা আছিল।
- আইছে আমার সুন্দর বিশারদ! নিজের চেহারা আয়নাত দেখ গিয়া.........
কিংবা সেইদিনটার মতো- মারামারি করে সমস্ত শরীর কাদা-গোবর মাখা করে সন্ধ্যায় যখন বাড়ি ফিরেছিল, তখন তাকে গোসলে বসিয়ে শরীর ডলে দিতে দিতে,
- এতগুলা পোলামাইয়া বড় করলাম, তোর মত কেউ জ্বালায়া মারে নাই; বদমাশ অইছস একটা, রইদের মইধ্যে সারাদিন ঘুইরা ঘুইরা শখ মিডে নাই মারামারি করন লাগব; শক্তি বেশি অইছে, মাইনষ্যারে দেহান লাগব।
- উহ্।
- কি অইছে?
- দ্যাইখ্যা ডলতে পারস না? এইখান দিয়া ছিইল্যা গেছে; কাশেম আলীর বৌয়ে তরে শিখায় নাই, ক্যামনে পোলারে গোসল করাইতে হয়?
- মারামারি করার সময় মনে আছিল না;
আর সাথে সাথে পড়ে পিঠের উপর কিছু চড়-থাপ্পর। তখন ব্যাথা লাগত কিন্তু এখন মনে হয় সেগুলো থাপ্পড় না- ভালোবাসা, আলতো ছোঁয়া। কাঁধে হালকা ঝাঁকুনি পেয়ে সম্বিৎ ফিরে পেয়ে দেখে টিকেট চেকার।
বাংলাদেশ থেকে বাইরে আসা কিছু ছেলেপেলের এই এক সমস্যা- কোন না কোন ভাবে চিন্তাভাবনা সেই একই বিষয়ে চলে যায়; সুযোগ পেলেই হয়ে পড়ে স্মৃতি কাতর; ঘুরে ফিরে প্রিয় মানুষগুলোর সাথের প্রিয়-অপ্রিয় মূহুর্ত নিয়ে ভাবতে শুরু করে। আর তাদের সাথে কথা বলার সময় ভাব নেয় কতই না সুখে আছে এখানে- এই বৈদেশে। অস্কার পাওয়া অভিনেতারাও এত ভালো অভিনয় করতে পারেনা।
২.
টিকেট চেকার চলে যাওয়ার পর জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখে গন্তব্যের কাছাকাছি চলে এসেছে। ব্যাগটা গুছিয়ে হাঁটা দিল দরাজার দিকে। যাওয়ার পথে মেয়েটার দিকে একবার তাকালো, উদ্দেশ্য চোখাচোখি হলে হসিটা ফেরত দেওয়া। কিন্তু চোখাচোখি হতেই মেয়েটির অদ্ভুত চাহনির মানে বুঝতে না পেরে চোখ নামিয়ে নিল। নিঝুম এই অদ্ভুত দৃষ্টির মানে ও কারণ কোনটাই বুঝতে পারল না।
ট্রেন থেকে নেমে প্লাটফর্মে হাঁটতে হাঁটতে সেই অদ্ভুত দৃষ্টির মানে ও কারণ কি হতে পারে ভাবছিল, হঠাৎ পিছন থেকে,
- এই, এই শুনছেন?
পিছনে ঘুরে দেখে সেই মেয়ে। এবার দৃষ্টিটা কিছুটা আক্রমনণাত্মক মনে হল। অবাক হয়ে ভাবল, কি এমন ঘটেছে! সে দাঁড়ালো। মেয়েটি কাছে এসে আক্রমণাত্মক দৃষ্টিটা বজায় রেখে নিঝুম কিছু বলার আগেই বলল,
- আমার দিকে ঐভাবে তাকিয়ে ছিলেন কেন?
নিঝুম সেই অদ্ভুত দৃষ্টির কারণ বুঝল, সে যখন আনমনে ভাবছিল তখনও মেয়েটির দিকেই তাকিয়ে ছিল যদিও তার দিকে খেয়াল ছিল না; এর স্থায়িত্বকাল ১০-১৫ মিনিটের কম হবে না এবং মেয়েটি এটা বেশ ভালোমতোই খেয়াল করেছে, নিঝুমকে অপ্রকৃতস্থও ভাবতে পারত; কিন্তু নামার সময় কিছু না বলে চোখ নামিয়ে ফেলাতে হয়তো ধারণা জন্মেছে সে হয়তো ইচ্ছে করেই এমন করেছে। আর এটাই তাকে এ পর্যন্ত নিয়ে এসেছে। অতএব, এখন বেফাঁস কিছু বলা যাবে না। যেখানে বাঘের ভয় সেখানেই রাত হয়- এই প্রবাদকে সত্য করে দিয়ে, মুখ ফসকে নিঝুম বলল,
- আপনার কি মনে হয়, আমি কেন তাকিয়েছিলাম?
আগ্নেয়গিরি ফেটে পড়ল। তার ভঙ্গুর জার্মান দিয়ে সে বুঝতে পারছে না মেয়েটি কি বলে যাচ্ছে। এখান থেকে পালাতে হলেও তাকে কিছু বলতে হবে। মেয়েটা একটুর জন্য থামতেই সে ইংরেজিতে বলল,
- আমার কথাটা একটু শুনুন (সে নিশ্চিত না মেয়েটি ইংরেজি বুঝে কিনা, কিন্তু সে আশ্বস্ত হল চাহনি দেখে)। দুঃখিত, আমার ভাঙা জার্মান দিয়ে আমি ব্যাপারটা বুঝিয়ে বলতে পারবনা, তাই ইংরেজিতে বলতে হচ্ছে।
- ঠিক আছে, বলুন।
- অনিচ্ছাকৃত এই অবস্থাটার জন্য দুঃখিত। আপনার মনে হতেই পারে যে আমি আপনার দিকে তাকিয়েছিলাম কিন্তু প্রকৃতপক্ষে আমি আপনাকে দেখছিলাম না। আপনি হয়তো খেয়াল করে থাকবেন, আমার কোলের উপর একটা খাতা ছিল আর হাত একটা কলম। আমি আসলে কিছু লেখার চেষ্টা করছিলাম; গল্প তৈরি করার চেষ্টা করছিলাম। ট্রেনে বসে এই কাজটা করার সময় আমি কখনো জানালার দিকে বা কোন একটা দিকে আনমনে চেয়ে থেকে নিজের মনে চিন্তা করতে থাকি। আমি হয়তো আপনার দিকে তাকিয়েছিলাম কিন্তু আমার চোখের সামনে আপনি ছিলেন না, ছিল একটা সাদা ক্যানভাস যে ক্যানভাসে আমি একটা গল্প আঁকতে চেয়েছিলাম।
- হুমম
মনে হচ্ছে পরিস্থিতি অনেকটা শান্ত হয়ে এসেছে। নিঝুম আবার বলল,
- কিন্তু আপনি আমাকে যে ভয় পাইয়ে দিয়েছেন, ছোটবেলায় ভুতের তাড়া খেয়েও এত ভয় পাইনি।
- হা হা! ভুতে বিশ্বাস করেন নাকি?
- বাড়ির সামনে বিশাল শিমুল গাছ ছিল আর তাকে ঘিরে ছিল অনেক ভয় জাগানিয়া গল্প, না বিশ্বাস করে উপায় ছিল না। এত ভয় পেতাম যে সন্ধ্যার দিকে ঐ গাছের আশপাশ মাড়াতাম না, যদি কখনো যেতে হত তবে দশ-বিশ গজ দূর থেকে চোখ বন্ধ করে দিতাম দৌড়!
- হাহাহা! বেশ ভীতু তো দেখি আপনি।
যে কোন প্রাণখোলা হাসিই দৃষ্টিনন্দন। এখন বোঝা যাচ্ছে গালের দু’পাশেই টোল পড়ে, তবে ডানপাশেরটা তুলনামূলক ছোট হওয়ায় স্মিত হাসিতে সেটা বোঝা যায়নি। নিঝুমের ইচ্ছে হল বলে, “আসলে আমি গল্পের কথা ভাবছিলাম না, আপনার টোল পড়া হাসি নিয়ে মা’র সাথে ঝগড়া করছিলাম!” সে কিছু বলার আগেই মেয়েটি জিজ্ঞেস করল,
- তা, গল্প কিছু পেলেন?
- আপনার সাথে কথা বলার পর মনে হচ্ছে শুরুটা পেয়ে গেছি।
- বেশ, বেশ, চালিয়ে যান; শুভ কামনা রইল। তবে একটা পরামর্শ দেই, পরেরবার গল্প নিয়ে চিন্তা করার সময় কোন দিকে তাকিয়ে আছেন সেটা একটু খেয়াল রাখবেন। বিদায়!
এই বলে মেয়েটি হাঁটা দিল। নিঝুম সেইদিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে রইল।
৩.
বাসায় ফিরছে নিঝুম আর তার ফ্ল্যাটমেট ডেভিড। টিকেট চেকার আসলে তাকে সেমিষ্টার আইডি (যা পুরো সেমিষ্টারজুড়ে বাস-ট্রেনের টিকেট হিসেবে চলে) কিন্তু পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য ছবিসহ পরিচয় পত্র দেখতে চাচ্ছে চেকার। তাই ব্যাগের উপরের পকেট থেকে পাসপোর্টটা বের করে দেখালো। এবার চেকার সন্তুষ্ট হয়ে পাসপোর্ট ও আইডি ফেরত দিয়ে চলে গেল। তখন ডেভিড বলল,
- পাসপোর্টটা দেখতে পারি?
- নিশ্চয়।
- এতগুলো পাতা কিসের জন্য?
- ওইপাতাগুলো ভিসার স্টিকার লাগানোর জন্য।
- হুমম, প্রায় সবইতো দেখি খালি।
- হুমম, তেমন একটা ঘুরাঘুরি করা হয় নাই তাই ভিসাও পড়ে নাই পাতাগুলিতে।
পাসপোর্টা ফেরত নিয়ে নিঝুম খালি পাতাগুলো উল্টাচ্ছে আর ভাবছে, জীবন গল্পের কত পাতা এরকম শূন্য পড়ে আছে!
কুণ্ঠিত পান্থ
মন্তব্য
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
.............................
তুমি কষে ধর হাল
আমি তুলে বাঁধি পাল
"পাসপোর্টা ফেরত নিয়ে নিঝুম খালি পাতাগুলো উল্টাচ্ছে আর ভাবছে, জীবন গল্পের কত পাতা এরকম শূন্য পড়ে আছে!" - সেটা খারাপ না, জীবন এগিয়ে চলবে, পাতারা আস্তে আস্তে ভরে উঠবে।
লেখালেখি চলুক, পরের গল্পের অপেক্ষায় রইলাম।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
কেমন জানি জমতে গিয়েও জমল না মনে হল। ট্যাগে গল্প লেখা কিন্তু আমার কাছে পড়তে কেমন স্মৃতিচারনের মত লাগল।
তবে --পাসপোর্টা ফেরত নিয়ে নিঝুম খালি পাতাগুলো উল্টাচ্ছে আর ভাবছে, জীবন গল্পের কত পাতা এরকম শূন্য পড়ে আছে--- এই কথাটা ভালো লেগেছে।
আরও লেখার অপেক্ষায় রইলাম।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
তাই ইচ্ছায় হোক বা অনিচ্ছায় হোক কিছু লিখতে গেলে কিছুটা স্মৃতিচারণ চলে আসে; এইখানে চেষ্টা করেছি ব্যাপারটা প্রাসঙ্গিক রাখতে; তবে এগুলো না থাকলে পুরো লেখাটা অন্য রকম হয়ে যেত কেননা এগুলো নিয়েই গল্পটা সাজাতে চেষ্টা করেছি...
মতামতের জন্য ধন্যবাদ @সাফিনাজ আরজু
কুণ্ঠিত পান্থ
১ আর ২ এর সাথে ৩ এর সম্পর্ক বুঝতে পারলাম না। তবে স্মৃতিচারণ স্টাইলে গল্পলেখাটা পড়ে ভালো লেগেছে। কিছু গভীর জীবনবোধ লিখেছেন নি:সঙ্কোচ সরল ভাষায় - চমৎকার লাগলো।
আরো লিখুন।
____________________________
নতুন মন্তব্য করুন