ঘরটা অন্ধকার। এর দেয়াল কাঁচের। এর ভিতর যে বসে আছে সে কিছু দেখছে না। কাঁচের অপর পাশে যারা বসে আছে তারা তাকে দেখছে। দেখছে ৩৫ বছর বয়সী এক লোক বসে রয়েছে কাঁচ ঘেরা ঘরের ভিতর। সুঠাম দেহ। চোখ দেখলে মনে হয় সেখানে রয়েছে এক অদ্ভুত শীতলতা। কোন দয়ামায়া নাই সেখানে। আসলেই তাই। এই লোকটা একটা ঠাণ্ডা মাথার খুনি। এ পর্যন্ত ৪৭ জনকে হত্যা করেছে সে। তার টার্গেট একাকী পথিক। রাস্তার পাশ থেকে তুলে নিয়ে তাদের তিল তিল করে নির্যাতন করে হত্যা করে এবং তাদের রান্না খেয়ে ফেলত।
তাকে যখন ধরা হয় তখন তার ফ্রিজে ৮ জন মানুষের দেহ পাওয়া যায় এবং তার বাসায় পাওয়া যায় বিভিন্ন নির্যাতনের যন্ত্রপাতি। এই লোকটাকে চিকিৎসকরা বলেছিলেন মানসিক ভাবে অসুস্থ। তার ভিতর বিভিন্ন পারভাসনের উপস্থিতি তারা পেয়েছিলেন। সেটা আদালতেও উত্থাপন করা হয়। কিন্তু বিচারক তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন। এমন নৃশংস খুনিকে এর থেকে বেশি কি শাস্তি দেওয়া যায় তা সভ্য দেশের আইন ঠিক করতে পারে নাই।
এই খুনিটার নাম আবদুল জব্বার আলী। কিন্তু এই খুনিটার থাকার কথা ছিল কারাগারের কনডেম সেলে। সে কিভাবে এই ঘরে রয়েছে? এবং এই মুহূর্তে তার পরনে কিছু নাই।
কাঁচের ঐপাশের ঘরে যারা বসে রয়েছেন তারা সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।
তারা নিজেদের ভিতর কথা বলছেন।
একজন আরেকজনকে বললেন, “লোকটা তাহলে রাজি হয়েছে?”
যাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল তিনি বোধহয় সচিব হবেন। তিনি বললেন, “না হয়ে যাবে কোথায়? যে অপরাধ করেছে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড ছাড়া আর কি হতে পারে? এর থেকে নতুন জীবন শুরু করার একটি উপায় এসেছে সেটা কাজে লাগাতে পারছে। এর থেকে বেশি আর কি আছে?”
“নতুন জীবনটা কি জানতে চাই নাই?”
“জেনেছে তো!! আর জেনেই সায় দিয়েছে।”
প্রথমজন আবার জিজ্ঞাসা করলেন, “তাহলে তো ভালোই হল। এইসব টপ সিক্রেট এক্সপেরিমেন্ট এর গিনিপিগ তো হয় এইসব অমানুষরা।”
দ্বিতীয়জন আবার বললেন, “তবে আমার একটা বিষয় নিয়ে চিন্তা হচ্ছে। আমরা যে ওকে শাস্তি দিচ্ছি না। মানে ফাঁসির আদেশ হবার পরও বেঁচে যাচ্ছে এটা মিডিয়া জানলে কিন্তু বিপদ হবে। ”
এবার তৃতীয়জন কথা বলে উঠলেন, ইনি মনে হয় মন্ত্রী হবেন, “সে চিন্তা করতে হবে না। আমরা সেই নাটক মঞ্চস্থ করার উদ্যোগ নিয়েছি। কাক পক্ষীও জানবে না। সবাই জানবে সাতচল্লিশ জন মানুষকে হত্যার অভিযোগে বাংলাদেশ দণ্ডবিধি ৩০২ ধারা মোতাবেক আবদুল জব্বার আলীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। ”
আর কিছু বলতে যাচ্ছিলেন। থেমে গেলেন। কারণ ঘরের ভিতর প্রবেশ করেছেন এক কাঁচাপাকা চুলের মধ্য বয়স্ক মানুষ। গায়ে এপ্রন পরা। বুঝা গেল তিনি বিজ্ঞানী হবেন।
তিনি কথা বলা শুরু করলেন, “লেডিস অ্যান্ড জেন্টলম্যান, আপনারা অধীর আগ্রহে বসে রয়েছেন অনেকক্ষণ ধরে। একটু পর আপনারা দেখবেন বিজ্ঞানের আরেক বিস্ময়। যে বিজ্ঞান শুরু হয়েছিল আগুন আবিষ্কারের মাধ্যমে তার সর্বশেষ বিস্ময় দেখবেন আজকে নিজের চোখে। আমার পরিচয় আশা করি আপনারা সবাই জানেন- আর বলা লাগবে না কষ্ট করে।”
একটু থামলেন তিনি। ঘরের ভিতর পিন ড্রপ সাইলেন্স। সবার মুখ স্ক্যান করলেন যেন। সবার মুখ থমথমে। চোখে মুখে কৌতূহল।
এবার আবার তিনি শুরু করলেন তিনি।
“আমাদের সামনে কাঁচের ওপাশে যিনি জন্মের পোশাক পড়ে বসে রয়েছেন তার নাম আবদুল জব্বার আলী। তিনি কি অপরাধ করেছেন তা আপনারা সবাই জানেন। এমন কি দেশবাসীর কেউ যে জানতে বাকি নেই তা তো আর না বললেই চলে। কিন্তু আমরা এখন যা দেখব তা আমাদের বাইরে আর কেউ জানবে না। এটা রাষ্ট্রের উচ্চপদস্থ কর্তাব্যক্তি ছাড়া আর কেউ জানবেন না। আর এটা ফাঁস হলে যে কি হবে তা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন। মানবাধিকার সংস্থা থেকে শুরু করে বিশ্বের সব গোয়েন্দা সংস্থাগুলো আমাদের পিছনে লাগবে।”
আবার কাঁচের ঐ পাশে তাকালেন তিনি। নির্লিপ্তভাবে বসে রয়েছে সেই লোক-সেই ঠাণ্ডা মাথার খুনি আবদুল জব্বার আলী।
আবার শুরু করলেন তিনি।
“অনেক দিন ধরেই আমি এবং আমার টীম এই গবেষণা করে যাচ্ছি।
ছোটবেলা থেকেই ভাবতাম মানুষ কেন বুড়ো হয়? সহজভাবে বুঝিয়ে বললে আমরা প্রতিদিন যা আহার করি ,তার কাজ হলো-প্রতিনিয়ত দেহে নতুন নতুন কোষ তৈরী করা এবং দেহের ক্ষয় পূরন করা ।
কিন্তু একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর দেহে কোষের সৃষ্টি বন্ধ হয়ে যায় ।তারপর ধীরে ধীরে কোষের সংখ্যা হ্রাস পেতে থাকে । এভাবেই মানুষ বুড়ো হয়ে যায় । ”
“বিজ্ঞানের ভাষায়, আমরা প্রতিনিয়ত যে খাদ্য গ্রহন করি তার বিপাক এবং শ্বষনের মাধ্যমেই আমরা বেচে থাকার শক্তি অর্জন করি।
আর এই পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হতে তৈরি হয় প্রচুর বিষাক্ত উপাদান, যাদের বলা হয় রিএকটিভ অক্সিজেন স্পিশিস যার সংক্ষিপ্ত ভিন্ন একটি নাম ‘ফ্রি র্যাডিকেল’ । তবে আনন্দের বিষয় এই যে আমাদের শরীরে এন্টি অক্সিডেন্ট নামক এমন কিছু উপাদান আছে যা সহজেই এইসব ফ্রি র্যাডিকেল কে নিষ্ক্রিয় করে দেয়। আর যখন এদের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায় এবং ফ্রি র্যাডিকেল প্রাধান্য বিস্তার করে তখন এরা আমাদের বিভিন্ন জিন তথা ডিএনএ কে ধ্বংস অথবা ক্ষতিগ্রস্ত করে তোলে। আরো মজার একটি ব্যপার হলো আমাদের শরীরে এমন কিছু জিন আছে যারা সেই ক্ষতিগ্রস্ত ডিএনএ গুলোকে সারিয়ে তুলতে পারে। ফ্রি র্যাডিকেল যখন সেইসব সারিয়ে তোলার মত জিনকেও ধবংস বা ক্ষতিগ্রস্ত করে তখন কিন্ত সত্যি সত্যিই আমাদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গগুলো ব্যাপকভাবে তাদের কর্মক্ষমতা হারাতে শুরু করে। মস্তিস্ক,হৃদপিন্ড,ফুসফুস,বৃক্ক,অগ্নাশয়,পেশী,ত্বক সহ সকল অঙ্গগুলো এমনিভাবে প্রতিকুলতার সাথে লড়াই করার শক্তি হারিয়ে ফেলে এবং সহজেই বার্ধক্য জনিত রোগে আক্রান্ত হতে শুরু করে। এভাবেই একটি মানুষ একসময় বার্ধক্যে উপনিত হয়।”
“আমার মাথায় তখন একটা প্রশ্ন আসত কোনোভাবেই কি বার্ধক্যকে ঠেকিয়ে রাখা যায় না? চির তারুণ্য কি লাভ করা যায় না? এই নিয়ে কাজ করতে করতে আবিষ্কার করলাম এক নতুন জিনিস- এক আশ্চর্য দাওয়াই। যা দিয়ে মানুষের বয়সকে কমিয়ে দেওয়া যায়। বার্ধক্য থেকে শৈশবে ফিরিয়ে আনা যায় আবার!!! অর্থাৎ একটা বুড়ো মানুষকে একটা নবজাত বাচ্চায় রূপান্তর করা যায়!!!”
এই কথার পরে পুরো ঘরে বিস্ময়ের ঝড় বয়ে গেল। কেউ যেন বিশ্বাস করতে পারছে না নিজের কান!!
“এখনই দেখবেন সেই রাসায়নিক এর কাজ নিজের চোখে।”
সবাই তাকিয়ে রইলেন সেই ঘরের ভিতর। একজন নার্স ঢুকলেন সেই ঘরে। তার দিকে তাকিয়ে জব্বার মুছকি হাসল। নার্সের হাতে একটা সিরিঞ্জ। তার ভিতর সবুজ রঙ্গের একটা দ্রবণ। নার্স সেটা জব্বারের ডানহাতে ইঞ্জেক্ট করলেন। এরপর ঘর থেকে বেরিয়ে এলেন।
সবার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে গেল যেন। এক দৃষ্টিতে সবাই তাকিয়ে রয়েছেন সেই কাঁচ ভেদ করে। সময় যেন থেমে গিয়েছে। কারও মুখে কোন কথা নেই। সবাই তাকিয়ে রয়েছে আবদুল জব্বার আলীর দিকে। এক মিনিট গেল............দুই মিনিট গেল.........কিছুই হল না।
হঠাৎ জব্বার আলীর শরীরে একটা পরিবর্তন দেখা দিল। সে যেন হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে গেল। তার হাত পা কাপতে শুরু করল। শরীরের রঙ লাল হয়ে গেল। এরপর সেটা পরিবর্তিত হতে লাগল। লাল...নীল...বেগুনী..কমলা রংধনুর সব রঙ- যেন এক বহুরূপী সে।
এরপর যা ঘটলো তা ছিল বিশ্বাসের বাইরে। জব্বার আলীর দেহখানা ধীরে পরিবর্তিত হতে লাগল। তার জুলফির দিকে ছিল কিছু পাকা চুল। সেটা প্রথমে বিলুপ্ত হয়ে গেল। তার মুখে ছিল বয়সের কিছু বলিরেখা। সেটাও উধাও হয়ে গেল। তার চামড়া মসৃণ হতে লাগল। এখন মনে হয় তার বয়স ২৫। মুখে নেই সেই রুক্ষতা।
পরিবর্তন কিন্তু চলছে। তার শরীরের আকার ধীরে ধীরে ছোট হতে লাগল। একি বিস্ময়!!! তার দাঁড়ি গোফ-পিউবিক হেয়ার সব মিশে যাচ্ছে। শেষ পর্যন্ত আর জব্বার আলীকে দেখা গেল না। কান্নার আওয়াজ পাওয়া গেল। সবাই ছুটে গেলেন ঐ ঘরে। কি আশ্চর্য জব্বার আলীকে আর দেখা যাচ্ছে না। তার বদলে সেই চেয়ারের উপর দেখা যাচ্ছে একটা ফুটফুটে বাচ্চাকে!!! সে কাঁদছে!!! নবজাত শিশুর মত।
মন্ত্রীই প্রথম মুখ খুললেন। সেই বিজ্ঞানীর হাত জড়িয়ে ধরে বললেন, “সেই খেল দেখালেন স্যার!!”
সচিব মহোদয় প্রশ্ন করলেন, “এইবার এই বাচ্চাটাকে কি করব স্যার?”
মন্ত্রী বললেন, “আমরা ঠিক করেছি এক নিঃসন্তান দম্পতির কাছে দত্তক দিব। ঠিক করাও রয়েছে। মিস্টার এবং মিসেস শামীম আহমেদ!! বিশাল শিল্পপতি। কিন্তু সন্তান নেই।”
“তারা কি জানেন বিষয়টা?” বিজ্ঞানীর প্রশ্ন।
মন্ত্রী মহোদয় বললেন, “না! না! মাথা খারাপ!! একটা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। তবে আমি ভাবছি আরেক কথা।”
“কোনটা স্যার?”
মন্ত্রী মহোদয় খুব গম্ভীরভাবে বললেন, “জব্বার আলী কে যে আমরা নতুন জীবন দিলাম, তার স্বভাব চরিত্র কি ঠিক হবে? না সে আবার আগের মত অন্যায় কাজ লিপ্ত হবে?”
বিজ্ঞানী বললেন, “তার তো স্মৃতি শক্তি চলে যাওয়ার কথা। আশা করি সে নিজের জীবন নতুন করে শুরু করবে।”
মন্ত্রী বললেন, “তবুও সেই পরিবারের উপর নিয়মিত নজর রাখতে পারলে ভালো হত। রক্তের দোষ বলে একটা কথা আছে না?”
৩২ বছর পর…………
দেশের সকল খবরের কাগজের প্রথম পাতায় শিরোনাম এল...
“স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে স্বামী গ্রেপ্তার”
নিচে বিশদ বর্ণনা এল ছবিসহ............
“আজ সকালে পুলিশ বারিধারার নিজের বাসা থেকে জনাব মর্তুজা আহমেদকে গ্রেপ্তার করেছে। তার বিরুদ্ধে তার স্ত্রী নেহা আহমেদকে হত্যার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। নেহা আহমেদ নিখোঁজ হন সাত দিন আগে। এরপর তার মৃতদেহ গাজীপুর জাতীয় উদ্যান থেকে আবিষ্কার করা হয়। মৃতদেহটি ছিল বিকৃত এবং টুকরো টুকরো অবস্থায় পাওয়া যায়। মৃতদেহের কাছে মর্তুজা আহমেদের একটি ঘড়ি পাওয়া যায়। সেই সূত্র ধরেই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। উল্লেখ্য মর্তুজা আহমেদ বিশিষ্ট শিল্পপতি শামীম আহমেদের একমাত্র ছেলে। ”
মন্তব্য
ছোট আকারের দারুন একটা গল্প। মূল থিমটাও চমৎকার লাগলো।
আরও লিখুন, শুভেচ্ছা
তবে,
১। লেখকের নাম/ নিক নেই। লেখায় দিতে ভুলে গেলে, মন্তব্যে উল্লেখ করে দিন।
২। ছবিটার সাথে লেখার যোগসূত্র কি?
৩। ছবিটার উৎস, শিল্পীর নাম উল্লেখ করা জরুরী ছিল।
আবারও শুভেচ্ছা
ধন্যবাদ লেখাটি আমার। আসলে আমি ভুল গিয়েছিলাম পোস্ট করতে নিজের নাম।
ছবি The Three Ages of Man। শিল্পী টাইটান। http://en.wikipedia.org/wiki/The_Three_Ages_of_Man_%28Titian%29
একাকী মানব
ট্যাগ সম্পর্কে সচেতন হওয়ার পরামর্শ রইল। এটি সম্ভবত জীববিজ্ঞান অথবা চিকিৎসাবিজ্ঞান বিষয়ক কোন লেখা নয়! গল্প হলে গল্পই ট্যাগ দিন। বিজ্ঞানের লেখা হলে বিজ্ঞান থাকুক ট্যাগে। তা নয়ত পাঠক বিভ্রান্ত হতে পারেন।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
পরামর্শ মাথায় রইল ভাই।
একাকী মানব
সহমত।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
আমি এটাই বলতে নিছিলাম
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
ডালপালা আরেকটু ছাঁটলে পারতেন বস, পড়তে পড়তে বুঝতে পারতেছিলাম কোনদিকে যাইতেছে.
দেখি আরেকটা ছাড়েন. এইবার নাম দিয়েন নিচে. আর ছবিটবির কোন দরকার নাই.
..................................................................
#Banshibir.
নাম দিতে মনে নাই।
একাকী মানব
আচ্ছা, এই কল্প-গল্পের মাধ্যমে আসলে দেখানো হলো, যে খারাপ সে ভালো পরিবেশেও খারাপ আচরণ করে। অথচ, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভাবা হয় মানুষের পরিবেশ পরিস্থিতি মানুষকে খারাপ বানায়।
এটা যদিও গল্প, বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ না, তাই এটা নিয়ে আলোচনা করার কিছু নেই। মনে আসলো, তাই বলে ফেললাম।
শুভেচ্ছা, আবারও
লেখকের নাম নেই কেন? নামবিহীন লেখা আসতে পারবে না এমন একটা নিয়ম হয়েছিল না?
লেখাটার থিমটা ভালো, কিন্তু লেখা অগোছাল মনে হয়েছে। ভাষার ব্যবহার সুন্দর করার অবকাশ রয়েছে।
লেখার সাথে ছবিটার কী সম্পর্ক বুঝতে পারলাম না।
আরো লিখুন।
____________________________
দ্যা কিউরিয়াস কেইস অব বেঞ্জামিন বাটন এর কথা মনে পড়ে গেল! দেখেছেন নাকি মুভিটা?
শেষ্টা খুবই অগোছাল ছিল, আগেভাগে বোঝা সম্ভব না হলেও পাঠকের জন্য তেমন সুখকর হয়নি তা।
তবে লেখা চলুক! ভাল থাকুন একাকী!
.............................
তুমি কষে ধর হাল
আমি তুলে বাঁধি পাল
না ভাই। দেখব।
একাকী মানব
নতুন মন্তব্য করুন