বাংলাদেশের স্বর্গস্থান বান্দরবানের নানান বাঁকে (শেষ পর্ব)

মাসুদ সজীব এর ছবি
লিখেছেন মাসুদ সজীব (তারিখ: রবি, ২০/০৪/২০১৪ - ৪:১৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রখর রোদের মাঝে হেঁটে যখন আমরা সবাই ক্লান্ত প্রাণ তখনি বনলতার মতো শুধু দু-দন্ড শান্তি নয়, আমাদের কে স্বর্গ সুখের অনুভূতি দিয়ে ছিলো বেলাকুম আর নাইক্ষ্যংকুম। নিথর স্নিগ্ধ জলরাশি আর দুপাশে শতবছরের নি:সঙ্গ পাথরের আকাশ ছুঁয়ে ফেলা পাহাড়, যে অপার্থিব সৌন্দর্য্য চিত্র অঙ্কন করেছে নাইক্ষ্যংকুমে, তাকে কোন ভাষা দিয়ে বর্ণনা করে ফুটিয়ে তোলা সম্ভব নয়। বাংলাদেশের পাহাড়ী অঞ্চলের কোন এক অজানা গহীনে এত অপূর্ব নৈসর্গিক সৌন্দর্য্য লুকিয়ে থাকতে পারে সেটি আমার ধারণায় ছিলো না। অথচ দিনের শুরুটাও ছিলো তার উল্টো। গতরাতের বিধ্বস্ত শরীর আর মন নিয়ে ঘুম দেওয়ার পর, সকালে শারীরিক ক্লান্তি অনেকটাই প্রশমিত হয়ে গেছে। কিন্তু সাত সকালেই দেখা দিলো বিরোধ। ছয় জনের মাঝে সবচেয়ে ফিট দুজন বললো যেই পথ দিয়ে এসেছি সেই পথ দিয়ে ফিরে যাবো। কোন দরকার নেই অচেনা পথ ধরে যাওয়ার। অচেনা পথ বলতে আজ আমরা যে পথ দিয়ে যেতে চাইছি সেইপথে আমাদের প্রথম বাঙালি গাইড কখনো যায়নি, আর নতুন আদিবাসী গাইডটি ও ঠিক বাংলা বুঝেনা বলে সমস্যা। তার উপর বুলং পাড়ার কেউ-ই সঠিক তথ্য দিতে পারছিলো না আমাদের পরবর্তী গন্তব্য সম্পর্কে। আমাদের পরবর্তী গন্তব্য ছিলো জিন্নাহ পাড়া। বেশিভাগ মানুষ তা চিনছে না, কেউ বলছে দুই দিন লাগবে, কেউ বলছে তিনদিন লাগবে! অথচ অমারা আজকেই জিন্নাহ পাড়া পৌছাবো! এমন অনিশ্চিত হলে মনোবল ভেঙ্গে যায়, দলের প্রধান ও বললো পথ না জেনে অকারণে পাঁচ-সাতদিন পাহাড়ে ঘুরার কোন দরকার নেই। আমরা যেইপথে এসেছি সেই পথেই ফিরবো। আর কিছু দেখারও দরকার নেই! আমরা গতকাল নতুন গাইডের কথা মতো আমাদের পথ পরিবর্তন করেই ভুলটা করেছি।

কিন্তু আমি রাজি ছিলাম না, যেই পথে এসেছি এতদূর সেই একি পথ আবার ফিরে যাওয়ার কোন মানে হয়না। আমার সাথে শারীরিক ভাবে দুর্বল হয়ে যাওয়া সাব্বির ও বললো ফিরে যাবো না। আমি তার মনোবল দেখে মুগ্ধ হলাম, আমাদের সাথে যোগ দিলো বাবলু। গাইড ও বললো সমস্যা হবে না । ফলে দৃঢ় মনোবলের জয় হলো। শুরু হলো ঝিরি পথ ধরে অজনা পথে পথ চলা।

ঝিরি আর পাথরের পথ

মনে মনে একটু ভয়ও ছিলো যদি সত্যি সত্যি পথ হারাই! তখনতো বাকীদের বকা শুনতে হবে, এদিকে পরিবারও চিন্তা করা শুরু করবে। মাথার ভিতর কিছুটা সংশয় কাজ করলে কোন কিছুই তেমন ভাবে ছুঁয়ে যায় না। তাই পথের সৌন্দর্য্য খুব বেশি ছুঁযে যাচ্ছিলো না। যে পথ ধরে যাচ্ছি সেই পথগুলো সত্যি ভয়ংকর ছিলো কিছু কিছু জায়গায়। মানুষ চলাচল করলে পথ তৈরী হয়, কিন্তু যে পথে মানুষ যায়না সেই পথ পাড়ি দেওয়া বেশ কষ্ট সাধ্য। তেমনি একটি স্থান ছিলো পাথরের পাহাড়, সেই পাহাড়ের পাশ দিয়ে যেতে হবে। সেই পথটা এত সুরু ছিলো যে দুটো পা একসাথে রাখার জায়গা নেই, ফলে শরীর আর দু-হাত প্রসারিত করে পাহাড়কে বুকে ধরে পথটা পাড়ি দিতে হয়েছে, যার দুইশ ফুট নিচে ছোট বড় অসংখ্য পাথর, একটু এদিক সেদিক হলেই নিচে পড়ে যাওয়া আর মৃত্যু অবধারিত।

বেলাকুমে যাওয়ার সেই ভয়ংকর স্থান-১

বেলাকুমে যাওয়ার পথে সেই ভয়ংকর স্থান-২

এমন করে পথ চলতে চলতে হঠাৎ বিস্ময়ে দেখলাম সামনে অপার সৌন্দর্য্য নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে খাজেঁখাঁজে বিভক্ত ছোট পাথর আর মাঝখানে স্থির হয়ে থাকা স্বচ্ছ জলরাশি।এর নাম বেলাকুম জানালো আদিবাসী গাইড, আমাদের বাঙালি গাইডও এখানে কখনো আসেনি। স্থানটিকে আমার ঠিক বাংলাদেশ বলে মনে হচ্ছিলো না, হলিউড ছবিতে এমন স্থানগুলো দেখা যায়, বাংলাদেশে আমি কোথাও এমন স্থান দেখিনি। তাই বিস্ময়ের ঘোর কাটছিলো না কিছুতেই। বেলাকুমে খুব বেশি পর্যটক যায়নি সেটা বুঝতে পারলাম, কারণ আমাদের ভ্রমন পিপাসু মানুষগুলো যেখানে যায় সেখানেই তাদের অসেচতনতার কিছু নিদর্শন রেখে যায়। প্লাষ্টিকের বোতল, নোংরা ময়লা প্রভৃতি। এই বিস্ময়ে ঘেরা ভালোলাগা কে চিরস্থায়ী করার লক্ষ্যে ছবি তোলা শুরু করলাম সবাই। এই প্রথম কোন জায়গায় এসে সবার ক্যামেরা একসাথে জেগে ওঠলো। সাধারণত চার্জ চলে যাওয়ার ভয়ে একটার পর একটা ক্যামেরা ব্যবহার নীতিতে অটল ছিলাম, কিন্তু এই অনন্য বেলাকুমে এসে তা সম্ভব হয়নি।

অনন্য বেলাকুম

আধাঘন্টা থাকার পর আবার সামনের দিকে পথ চলা শুরু করলাম। পথ চলার মিনিট ত্রিশ পর পৌছে গেলাম স্বর্গীয় সুন্দর নাইক্ষ্যংকুম। এর চেয়ে অনন্য, এরচেয়ে নিসর্গ আর কোন স্থান আমি দেখিনি বাংলাদেশে। ছোট বড় পাথরের সারির পর হঠাৎ দুটো পাহাড়ের মাঝে লেকের মতো জলরাশি।

পাথর যেখানে বিস্ময় নিয়ে জেগে থাকে

নাইক্ষ্যংকুম জলপ্রপাত-১

নাইক্ষ্যংকুম জলপ্রপাত-২

বাঁশের তৈরি ভেলা এবং আমাদের আদিবাসী গাইড

নাইক্ষ্যংকুমে ৫৭ ধারায় গ্রেফতারকৃত মৎস এবং মৎস শিকারী

সামনে হেঁটে যাওয়ার আর কোন পথ নেই। সবাই স্বীকার করে নিলো এমন অনন্য রুপে ভরা, নিস্তবদতায় ঢুবে থাকা আর কোন স্থানে তারা যায়নি এবং এই পথে না আসলে তাদের সমস্ত ভ্রমন ই বৃথা হয়ে যেত। নাইক্ষ্যংকুম দেখে মনে হলো আমি নতুন করে জন্মালাম নতুন এক পৃথিবীতে। প্রসারিত আকাশ, সুউচ্চ পর্বত আর স্থির জলরাশিকে নিজের অস্তিত্বের একটা অংশ মনে হতে থাকলো। যা কিছু দেখছি এই নির্জনতায় তার সবকিছুই আমার ভিতর এক নব আলোড়ন সৃষ্টি করে যাচ্ছে, আমি এদের সত্তার সাথে মিশে গেলাম। একটা ঘোর লাগা সময়ের মাঝ দিয়ে যাচ্ছি সেটা বুঝতে পারছিলাম। সেই নির্জনে আর্শীবাদ স্বরুপ দেখাপেলাম এক আদিবাসীকে, যার নাম পুং। সে এসেছে আমাদের পূর্বনির্ধারিত জিন্নাহ পাাড়ার পাশের পাড়া থেকে। এবং সে জানালো এখান থেকে ঘন্টা ৩-৪ এর মাঝেই জিন্নাহ পাড়া পৌছাতে পারবো। নাইক্ষ্যংকুমে মাছ ধরার লক্ষ্যে সে এসেছে, এবং একদিন-একরাত সে এখানে মাছ ধরবে। দেখলাম কিছু মাছ ধরেছে ও। একবার ভাবলাম পুড়িয়ে মাছ খাবো কিন্তু জলের সেই পথটুকু কি করে পার হবো, এবং এইটুকু পথ পার হতে যে বেশ সময় লেগে যাবে সেটা বুঝে মাছ পুড়িয়ে খাওয়া থেক বিরত থাকলাম। সেই আদিবাসীর বাঁশের তৈরি একটি ভেলা ছিলো যা দিয়ে এই স্বর্গীয় লেকটুকু পার হওয়া যাবে। যদি সেই ভেলা না থাকতো তবে পাহাড় থেকে বাঁশ কেটে ভেলা বানিয়ে তারপর কুম পাড়ি দিতে হতো। যা অনেক সময় ও পরিশ্রম সাপেক্ষ ছিলো। এই ভেলায় একজন একজন করে যেতে হবে। আমাদের ছয়জনের দলে তিনজন আবার সাঁতার জানে না। কিন্তু বিস্ময়কর হলেও সত্য তাদের মাঝে কোন ভয় নেই। তারপর একজন একজন করে করে পার হতে শুরু করলাম পৃথিবীর সবচেয়ে নীরব কুমটুকু। বর্ষাকালে নাকি এই কুমে ভেলা নামানো যায় না, কারণ তখন পানির স্রোতে থাকে নিম্নমুখী।

স্বর্গীয় কুম পাড়ি দেওয়া

এভাবে একজন একজন করে এই পথটুকু শেষ করতে ঘন্টা দুয়েক লেগে গেল। তারপর মিনিট দশ হাঁটলাম আর চলে আসলাম আমিয়াকুম। অনেকদূর থেকে কুমের উপর থেকে জল পড়ার শব্দ আসছিলো কর্ণকুটিরে। শুষ্ক মৌসুমে যেমন জলের তীব্রতা দেখলাম তাতে ঘোর বর্ষায় সেটি কি রুপ হবে তা ভেবে কিছুটা দীর্ঘশ্বাসে পুড়লাম, এবং সিদ্ধান্ত নিলাম বর্ষায় একবার অবশ্যই আসবো এই জলপ্রপাত দেখতে।

আমিয়াকুম জলপ্রপাত(১)

আমিয়াকুম জলপ্রপাত (২)

একদিনে এত বিস্ময়, এত সৌন্দর্য্য দেখতে পাবো কখনো ভাবিনি। সেই আদিবাসী মানুষটি জানালো সামনে আছে সাতভাই কুম/পাথর। আসলে এই নামটি নিয়ে অনেক সংশয় আছে। কেউ বলে সাতভাই পাথর আর কেউ বলে সাত ভাইকুম। যাইহোক, আমিয়াকুম দিয়ে নিচে নামলাম। যাওয়ার পথ নেই। তাই আবারো সেই বাঁশের ভেলা। বললাম কতসময় লাগবে? নিদিষ্ট সময় বলতে পারে না, আর এখানে ও তার দুইটি ভেলা আছে, সেই ভেলা দুটো এককরে নিলাম। দেখা গেল চারজনের বেশি যাওয়া যায় না। আমি, সেলিম, আর নয়ন উঠে পড়লাম সাতভাইকুম দেখতে। দুপাশে বহুপুরাতন পাহাড়ের মাঝ দিয়ে বয়ে চলা স্রোতহীন এই জলে কি জানি এক মন্ত্রমুগদ্ধতা আছে। তাই বিশ মিনিট পেরিয়ে গেলেও সাতভাইকুমের দেখা না পেয়েও হতাশ লাগছিলো না। আমার বার বার মনে হচ্ছিলো বুঝি স্বপ্নের মাঝে ভেলায় চড়েছি, বৈঠা বাইছি! সেই স্বপ্নের পথ ধরে চলতে চলতে আরো মিনিট দশ-পনের পরে পৌছালাম সাতভাইকুমে। এতবড় বড় পাথর আমরা কেউ দেখিনি প্রথম দেখায় স্বীকার করে নিলাম। কিন্তু সাতটা বড় পাথর দেখলাম না, গুনে দেখলাম পাঁচটি প্রায় সম আকৃতির পাথর আছে। আদিবাসীকে জিজ্ঞেস করলাম সে কি বললো কিছুই বুঝতে পারলাম না। যখনি ছবি তুলতে গেলাম সেই বিখ্যাত পাথরগুলোর ওমনি ক্যামেরার চার্জ শেষ! অর্ধডুবা হয়ে ভেলায় চড়তে হয় বলে একটা মাত্র ক্যামেরা নিয়ে এসেছি এখানে, আর যার ক্যামেরা সে যাওয়ার পথটুকুর সৌন্দর্য্যতে এত বেশি মুগ্ধ হয়েছে যে ছবি তুলতে তুলতে মূল জায়গার ছবি তোলার মতো চার্জ রাখেনি।

সাত ভাই কুমে যাওয়ার সেই পথ--১

সাতভাইকুমের প্রবেশস্থল-২

সাতভাইকুম থেকে ফিরে এসে রওয়ানা করবো যখন, ঠিক তখনি ভ্রমণসঙ্গী একজন জানালো সে অসুস্থবোধ করছে। তাই একটু সময় নিয়ে আমিয়াকুমের উপর যে সু-উচ্চ পাহাড়টি আছে তা উঠতে শুরু করলাম। এবং এই পর্যন্ত বান্দরবানে যতগুলো পাহাড়ে উঠেছি তার মাঝে এটি সবচেয়ে ভয়ংকর, পাথরের পাহাড়, ফলে পা পিছলে যায় বেশি। আর এটি তালগাছের মতই শুধু বেড়ে উঠেছে আকাশ ছুঁয়ে বলে। এরমাঝে অসুস্থ হয়ে যাওয়া সঙ্গীর জন্যে বার বার অপেক্ষা করতে করতে সময় বেশ চলে যাচ্ছিলো। তবু ঘন্টা দেড়েক পর চূড়ায় উঠলাম, এবার শুধু নিচের দিকে নামতে থাকো। এখান থেকে ঘন্টা দেড়েক লাগবে জানালো। এদিকে ব্যাগে কোন খাওয়া নেই অথচ সুকান্তের কবিতার মতো পেট তখন গদ্যময় হয়ে জ্বলছে। তিনটার আগে পৌছাতে হবে জিন্নাহ পাড়া, তাই চলতে শুরু করলাম। যখন জিন্নাহ পাড়া পৌছলাম তখন প্রায় তিনটে বাজে। একটা ঘরের বাইরে বাশের পাটাতনে শুয়ে পড়লাম, একটু পানি চেয়ে নিলাম। এসে বিশ্রাম নিলাম ঘন্টা দুয়েক কিন্তু বাকী সদস্যদের কোন খোঁজ নেই। বুঝে গেলাম আজ রাত এখানে থেকে যেতে হবে। তারও ঘন্টা খানিক পর প্রায় বিধস্ত হয়ে ফিরলো দুর্বল আর অসুস্থ হয়ে যাওয়া দুজন সহ আমাদের প্রথম গাইড। অসুস্থ রানার পেটে ব্যাথা তখন ও কমেনি, ছয়জন সঙ্গীর একজন ডাক্তার, তাই তার কাছে সব ঔষুধ ছিলো প্রর্যাপ্ত পরিমানে। দোকান পেলাম এই পাড়ায়, সেখান থেকে বিস্কুট, চানাচুর কিনে দুপুরের খাওয়া খেয়ে নিলাম। গাছ থেকে বেল পেড়ে নিয়ে খেলাম। অসুস্থজন কেও খাওয়ালাম যাতে বাথরুম টা হয়ে যায়। বাথরুম হয়ে গেলেই পেটে ব্যাথা কমে যাবে। এরপর গোসল শেষে কারবারীর ঘরে উঠে পড়লাম। এ ঘরটি অতি অত্যাধুনিক, অটোবির একখান আলমারি দেখে টাস্কি খেয়ে গেলাম। এই দুর্গম গ্রামটি তে কিভাবে এটি আসলো? ধারণা করে নিলাম যেহেতু পাশেই রয়েছে বিজিবির ক্যাম্প সেখানে কারো কাছ থেকে হয়তে সংগ্রহ করেছে। যাইহোক এই গ্রামে এসে মাছ পেলাম, আসলে সেই মাছ যা দেখে এসেছি নাইক্ষ্যংকুমে। মাছগুলো কিনে নিলাম রাতের আহারের জন্যে। আহা! কতদিন পর মাছ খাবো! রাতে তাই খাওয়াটা হলো অনেক বেশি। খেয়ে প্ল্যান করা হয়ে গেলো কাল রাতের মাঝেই চট্রগ্রাম পৌছাতে হবে। পরিকল্পনা ছিলো এমন সকাল ৫.৩০-৭.৩০ আমিয়াকুম, ৮.০০ থেকে ৯.৩০ রিমাক্রি বাজার, ১০.০০ টা থেকে দুপুর ১২.৩০ টার মাঝে নৌকা করে থানচি। থানছি থেকে দুপুরের খাবার খেয়ে ১.০০টার গাড়িতে করে বান্দরবান. সন্ধ্যার গাড়িতে করে চট্রগ্রাম।

ঠিক সময়ে রওয়ানা দিয়ে সাড়ে সাতটার কিছু আগেই চলে আসলাম আমিয়াকুম। আমিয়াকুম ও অসাধারন সুন্দর, বেশ বড় কুম। তবে বর্ষাকালে এর জলথাকে অনেক বেশি তার প্রমাণ পাওয়া যায় পাথরের শরীরে জলের বয়ে চলার চিন্থ দেখে, ছোট বড় অনেকগুলো গর্ত সৃষ্টি করেই পাহাড় থেকে গড়িয়ে আসা জল স্রোত হয়ে নিচে গড়ায় আমিয়াকুমের জলপ্রপাতে।

আমিয়াকুম জলপ্রপাত-১

আমিয়াকুম জলপ্রপাত-২

বেশি সময় ব্যয় না করে আবার রওয়ানা দিলাম রিমাক্রি বাজারের উদ্দেশ্যে। এবং এবারো নিদিষ্ট সময়ের আগেই পৌছে গেলাম। সকালের নাস্তা সেরে নৌকা ঠিক করে ফেললাম। ঠিক দশটার দিকেই নৌকা ভ্রমণ শুরু হলো। কিন্তু রিমাক্রি খালে জল এত কম যে নৌকা চলার কোন উপায় নেই। এক হাঁটু পানি নেই যেই খালে সেখানে কি করে নৌকা চলে তা ভেবে বিস্মিত হলাম। ফলাফল একটু নৌকা চলে আর একটু সবাইকে জলে নেমে নৌকা ধাক্কায় হাত লাগাতে হয়। এভাবে চলতে চলতে একসময় এলাম তিন্দু, অসংখ্য পাথরের মাঝে যেখানে রাজা পাথর ও রাণী পাথর নামে দুটি বিখ্যাত পাথর রয়েছে।

তিন্দু, রিমাক্রি

রাজা পাথর, যেখানে বৌদ্ধ রাজার পায়ের ছাপ রয়েছে

বৌদ্ধ ধর্মে বিশ্বাসীদের জন্যে এ দুটি পাথর ভীষন পবিত্র। রাজা পাথরেই বসে বোদ্ধ রাজা, ধর্ম প্রচার করতেন। আসলে রিমাক্রিকে খাল না বলে একে পাথরের জলপথ বলা যায়। এতএত পাথরের ফাঁক গলেই নৌকা চলতে হয়। বর্ষাকালে যখন স্রোত থাকে তখন নৌকাগুলো একবার এই পাথরে তো আরেকবার এই পাথরের সাথে সংঘর্ষ ঘটে, এবং অনেক সময় নৌকাগুলো উল্টোও যায়। এই হাটু পানির পাথরে ভর্তি খাল যেন শেষ ই হয়না। এ দিকে মাথার উপর সূর্য তার পুরোটা তেজ ঢেলে দিচ্ছে। ফলে গতচারদিনে যে পরিমান রোদে কালো হয়েছি তারচেয়েও বেশি কালো হয়ে গেলাম, এমনকি নাকের চামড়া উঠা শুরু করেছে। আমরা যখন থানচি পৌছালাম তখন দুপুর তিনটে! থানচি থেকে শেষ গাড়ি ছেড়ে গেছে বান্দরবানের উদ্দেশ্যে আড়াইটায়। রাতের আধাঁরে এই দুর্গম পথে গাড়ি চলার অনুমতি নেই। ফলে একরাশ হতাশা ঘিরে ধরলো, এ দিকে আজকের মাঝেই চট্রগ্রাম যাবে এমন বিশ্বাস থেকে কেউ সরে আসলো না। থানচিতে অকারণে একরাত থাকবে, তাও একজন অসুস্থ। তাই সিদ্ধান্ত হলো বান্দরবান থেকে রিজার্ভ করা জিপ আনা হবে ফোন করে, যেই কথা সেই কাজ। সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে বান্দরবান শহর থেকে জিপ আনা হলো। গাড়ি আসলো দিনের আলো বিদায় নেওয়ার ঠিক আগ মুহুর্তে। খোলা জিপে চেপে বসলাম সবাই, রাতের আধাঁরে আমার ভয় করছিলো ভীষন। একেতো অন্ধকার তার উপর আঁকাবাকা রাস্তা। আর ড্রাইভারও গাড়ি টানছে বাতাসের গতিতে, কারন সে জানে এখন এই পথে কোন গাড়ি নেই। এই প্রথম আমার ভয় পাওয়া শুরু হলো, যদি গাড়ি পড়ে যায় তাহলে তো সবাই মারা যাবো! না, উচিত হয়নি এই রাতের বেলায় এই পথে রওয়ানা দেওয়া। মিনিট বিশ পরেই বিজিবির চেকপোষ্টে আসা মাত্রই গাড়ি আটকে দিলো, বললো আপনাদেরকে কে অনুমতি দিলো এই রাতে যাওয়ার? এখন যাওয়া সম্ভব না, আমাদের পক্ষে আপনাদেরকে যেতে দেওয়া সম্ভব না। আমরা বললাম দুজন অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় রাতেই রওয়ানা দিয়েছি। তারপর দলের প্রধানকে ডেকে নিয়ে গেল এবং অনেক অনুরোধে মোটামুটি বন্ড সই সহ নাম ঠিকানা, বাবা-মায়ের ফোন নাম্বার সহ টুকে নিয়ে অনুমতি দিলো। বুঝতে পারলাম ভীষন ভুল হয়ে গেছে, ভয়ে ভয়ে রাত আটটার কিছু পরে পৌছালাম বান্দরবান, এবং শপথ নিলাম আর কোনদিনও রাতের আধাঁরে এই পথে গাড়ি চড়বো না। ভয়, উৎকন্ঠা, আর অপার বিস্ময়ে ভরা একটি অনন্য অসাধারণ ভ্রমন শেষ করে ফিরে আসলাম চট্রগ্রামে, আবার সেই ব্যস্ততায় ভরা কোলাহলের জীবনে। সাথে নিয়ে এলাম অজস্র স্বর্গীয় সুখ স্মৃতি, যে স্মৃতি আজীবন ভালোলাগার সু-বাতাস ছড়িয়ে যাবে।

বেলাকুম-২

তপ্ত গরমে রিমাক্রিতে জলের আদরে

স্বর্গস্থানের ছবি যে নেট থেকে ডাউনলোড কিংবা ফটোশপ নয় ইহার প্রমাণস্বরুপ পোষ্টদাতার ছবি

মাসুদ সজীব


মন্তব্য

তাহসিন রেজা এর ছবি

লেখা= সুন্দর
ছবি= দূর্দান্ত
পোস্টদাতার ছবি= কিউট
সব শেষ কথা= ঘুর ঘুরান্তি আরো চলুক এবং এমন সুন্দর সব পোস্ট আসুক

------------------------------------------------------------------------------------------------------------
“We sit in the mud, my friend, and reach for the stars.”

অলীক জানালা _________

অতিথি লেখক এর ছবি

এটা কি হইলো! আমিতো প্রমাণ করতে দিয়েছি আমি সেই লোক খাইছে
ঘুরাঘুরি বন্ধ নেই, সামনে ভ্রমন নিয়ে আরো কিছু ভালোলাগা লেখা আসছে। আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

মাসুদ সজীব

অতিথি লেখক এর ছবি

দেশে এখন সবকিছুতেই মাখামাখি, নুনের সাথে জলের কিংবা লীগের সাথে হেফাজতের চোখ টিপি
ভালোলাগাতে কৃতজ্ঞতা ও আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

মাসুদ সজীব

অতিথি লেখক এর ছবি

ছবিতে লেখাতে একেবারে মাখামাখি। দারুন লাগল।

গোঁসাইবাবু

অতিথি লেখক এর ছবি

শেষ নেই, অণুদার জ্বালায় ঘরে বসে থাকা ভীষন দায় দেঁতো হাসি
ঘুরাঘুরি নিয়ে আরো লেখা আসছে ভবিষ্যতে। বেরিয়ে পড়ুন, এমন সুন্দর স্থানগুলো একবার হলেও ঘুরে আসুন। আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

মাসুদ সজীব

মেঘলা মানুষ এর ছবি

আহা, বেশ ত ঘুরে ঘুরে বেড়াচ্ছিলাম আপনার সাথে, এখন ঘোরাঘুরি শেষ হয়ে গেল ওঁয়া ওঁয়া

পুরো সিরিজটা উপভোগ করেছি, অনেক ধন্যবাদ আমাদের সাথে বাংলাদেশের এত সুন্দর একটা এলাকার পরিচয় করিয়ে দেবার জন্য।

শুভেচ্ছা হাসি

নির্ঝর অলয় এর ছবি

কী অসামান্য জায়গা!
আচ্ছা বর্ষাকালে যাবার উপায় কী? পথ অনেক জায়গায় বন্ধ হয়ে যাবে না?

ভয়ঙ্কর পাহাড়ের ভয়াবহতা কিন্তু ছবিতে ফোটেনি। এ ধরণের পথে পর্বতারোহনের প্রশিক্ষণ নেয়া ছাড়া যাওয়া উচিত না।জিম করবেট আমার সবচেয়ে প্রিয়। কারণ উনি প্রায় কখনোই সজ্ঞানে জীবনের ঝুঁকি নিতেন না।

বানানের প্রতি যত্নবান হন এবং আরো অনেক ভ্রমণকাহিনী উপহার দিন আমাদের মত ছুটিবর্জিত দুর্ভাগা পশুদের!

অতিথি লেখক এর ছবি

আসলেই অসামান্য। বর্ষাকালেও যাওয়া যায়, যারা সত্যিকারের ট্রেকার তারা বর্ষাকালে যায়। আমরা ২০১২ তে প্রথম গিয়েছিলাম বর্ষায়। তবে সেটি কেবলমাত্র নাফাকুমে। থানচি>রিমাক্রি>নাফাকুম সহজ পথ, পাহাড়ে উঠতে হয়না। শুধু ঝিরি পথ দিয়ে হাঁটতে হয়, আর বর্ষাকালে কোমর সমপানির খাল ৪-৫ বার পাড়ি দিতে হয়। কিন্তু নাফাকুম থেকে আমিয়াকুম>নাইক্ষ্যংকুম>বেলাকুম যাওয়া সত্যিকার অর্থেই বিপদজনক। নাফাকুম থেকে আমিয়াকুম যেতে হলে পাথরের একটি পাহাড় বেয়ে নামতে হবে, যেই পাহাড় তালগাছের মত সোজা। সুতরাং কিছুটা রিস্ক থেকেই যায়। তারপরও দেখি বর্ষায় ঠিক পরপর (আগষ্ট-সেপ্টেম্বর) যাওয়ার একটা চেষ্টা দিবো।

আসলে ছবিতে ভয়ঙ্কর পাহাড়ের ভয়াবহতা তুলে আনা সম্ভব হয় না। আর প্রশিক্ষন বলতে ২০০৮ সাল থেকেই পাহাড়ে উঠছি, অভিজ্ঞতা একেবারে খারাপ নয়। বাংলাদেশের সবগুলো উঁচু পাহাড়ে চড়া হয়েছে। বানান ভুল আমার বেশি হয়, অফিসে বসে তাড়াহুড়ো করে লেখা, তারপরও ভুলগুলো ধরিয়ে দিবেন। আর ইচ্ছেটাকে একটু প্রসারিত করলেই ঘুরতে পারেন। দুই দিনের ছুটিতে বান্দরবানের নীলগিরি থেকে ঘুরে আসতে পারেন, নীলগিরি নিয়ে একটা লেখা দিবো সামনে। এছাড়া ভ্রমন নিয়ে আরো লেখার ইচ্ছে আছে, ধন্যবাদ।

মাসুদ সজীব

নির্ঝর অলয় এর ছবি

ভাই, আমার একদিনও ছুটি নেই। উইকেন্ড খালি শুক্রবার। বাড়ি যেতে পারি না। আমি নীলগিরি গিয়েছি ছাত্রজীবনে!

নির্ঝর অলয় এর ছবি

ভ্রমণ ও পর্যটন শিল্পের বিকাশের অন্যতম পূর্বশর্ত বাধ্যতামূলকভাবে সপ্তাহে ২ দিন ছুটি, ১ দিন নয়।

অতিথি লেখক এর ছবি

সব পেশায় তো আর ‍দুদিন ছুটি দেওয়া সম্ভব নয় আমাদের দেশে, বিশেষ করে ডাক্তার-পুলিশ দের। কারণ প্রয়োজনের তুলনায় এই পেশার লোক যথেষ্ট অপ্রতুল। চাল্লু
(আপনি কি ডাক্তার?)

মাসুদ সজীব

অতিথি লেখক এর ছবি

ঘোরাঘুরির শেষ নাই, আর হচল যেহেতু হয়েছেন সেহেতু ভ্রমণের গল্পও পড়া ছাড়া রক্ষা নেই দেঁতো হাসি
ঘোরাঘুরি নিয়ে আরো লেখা আসছে সামনে, তৈরী থাকুন হাসি । আপনাকেও শুভেচ্ছা।

মাসুদ সজীব

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

আহা, বান্দরবান আমিও গিয়েছি। কিন্তু শারীরিক অসামর্থের কারনে অনায়াসে যাওয়া যায় এমন জায়গাগুলোতেই শুধু যাওয়া হয়েছে।
আপনার এই লেখা ও ছবিতে মিলিয়ে আপনি যেভাবে একজন পাকা গাইডের মত অতি দুর্গম জায়গাগুলো ঘুরিয়ে আনলেন সে জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

অতিথি লেখক এর ছবি

যেভাবে পাকা গাইডের সার্টিফিকেট দিয়ে দিলেন ভবিষ্যতে ইহাকেই পেশা হিসাবে নেওয়া যেতে পারে কিনা ভাবছি চোখ টিপি
ঘোরাঘুরির সাথি হওয়ার জন্যে আপনাকেও ধন্যবাদ।

মাসুদ সজীব

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

ঘরে বসে চমৎকার ভ্রমণ হল, অদেখা অনেক কিছু দেখা হল। চলুক

অতিথি লেখক এর ছবি

দেখার কি আর শেষ আছে? আমি না কিছু অচেনা স্থান দেখতে সাহয্য করলাম, কিন্তু আপনার চোখে, আপনার লেখায় আমি না দেখা সময় কে দেখতে পাই। সেটাও অনেক আনন্দের আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

মাসুদ সজীব

অতিথি লেখক এর ছবি

নাম নিয়ে কিছু বিভ্রান্তি আছে। যেমন সাতভাইকুমে যাওয়া কিছুটা কষ্ট আর সময় সাপেক্ষ, তাই অনেক বাংলাদেশী চতুর গাইড বেলাকুমকে পর্যটকদের কাছে সাতভাইকুম বলে চালিয়ে দেয়। তেমন কুম/খুম নিয়ে ও আছে। সেখানকার আদিবাসীরা কুম বলে, কিন্তু যারা সেই স্থানগুলোতে গেছে বাংলাদেশী গাইডের সাথে তারা অনেকেই খুম বলে লেখালেখি করেছে। সমস্যা টা এখানেই।

আমি নিজেও বিস্মিত হয়েছি এমন স্থানগুলো দেখে, পাহাড়ে অনেক বছর ঘুরছি কিন্তু এবারের মত সুন্দর স্থান আর তেমন দেখিনি। ঘোরাঘুরি চলছে, চলবে হাসিআপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

মাসুদ সজীব

তিথীডোর এর ছবি

জায়গাগুলোর নাম কী আসলে কুম না খুম? কী যেন আরেকটা ছবিব্লগে নাফাখুম, আমিয়াখুম পড়েছিলাম। বাংলাদেশেই এত সুন্দর পাহাড়ি জায়গা আর জলপ্রপাত আছে, প্রথম জেনে বিস্মিত হয়েছিলাম খুব।

ঘোরাঘুরি চলুক। হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

দারুণ ঘুরাঘুরি দিয়েছেন দেখছি। খুঁজে খুঁজে সব পর্বই পড়ে ফেললাম।
আমাদের দেশটা কি অদ্ভুত সুন্দর তাইনা?
লেখা, ছবি দুটোই ভালো লেগেছ ...... চলুক
চলুক ঘুরাঘুরি, চলুক লেখালেখি।

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

অতিথি লেখক এর ছবি

ঘোরাঘুরিতে আমি এখনো শিশু খাইছে । তাই আরো বহুদূর যাওয়ার কথা, এবং আপনাদেরকে ও নিয়ে যাওয়ার কথা হাসি
”এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি, সকল দেশের রাণী সে যে আমার জন্মভূমি” এটাতো আর মিথ্যে নয়।

মাসুদ সজীব

আয়নামতি এর ছবি

ছবির মানুষটা যে আপ্নে মাসুদ ভাই তার পমান কী? খাইছে
দারুণ জায়গা রে ভাই!! খুব করে হিংসাইলাম। ছবি ,লেখা ভালৈছে চলুক

অতিথি লেখক এর ছবি

তারপরও প্রমাণ? কই যামু ? ওঁয়া ওঁয়া
আমি ক্ষুদ্র মানুষ, হিংসা করলে অণুদা কে কইরেন চোখ টিপি
আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

মাসুদ সজীব

এক লহমা এর ছবি

লেখা, ছবি দুই-ই উপভোগ করলাম, যেমনটি করার কথা।
সবশেষে নায়কের ছবিটিও চমৎকার এসেছে! হাসি

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- হাসি

যারে তারে লায়ক কইলে বেসম্ভব জলিল ভাই আপনার নামে ৫৭ ধারায় মামলা দিবে দেঁতো হাসি

মাসুদ সজীব

তারেক অণু এর ছবি
অতিথি লেখক এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- আপনার সাথে একখান ট্যুার লইতে চাই হাসি

মাসুদ সজীব

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

আহা! আহা! কী দেখিলাম!!!

____________________________

মাসুদ সজীব এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।

Ahsan এর ছবি

অসাধারন বর্ণনা। ছবি দেখে যাবার লোভ সামলাতে পারছি না।

মাসুদ সজীব এর ছবি

হাসি আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।